
বাংলাদেশের পতাকাবাহী বিমান পরিবহন সংস্থা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের কাছে ছয়টি ওয়াইড বডি এয়ারক্রাফট বিক্রি করার প্রস্তাব দিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানি বোয়িং। এর মধ্যে চারটি যাত্রীবাহী বোয়িং-৭৮৭ এবং দুটি মালবাহী (ফ্রেইটার) বোয়িং-৭৭৭। এদিকে ইউরোপের উড়োজাহাজ প্রস্তুতকারক কোম্পানি এয়ারবাসের প্রস্তাব নিয়েও দীর্ঘদিন ধরে আলোচনায় চলছে। এমন প্রেক্ষাপটে বিমানকে বোয়িংয়ের উড়োজাহাজ কেনায় রাজি করা প্রচেষ্টা হিসেবে ঢাকা সফর করে গেলেন কোম্পানির ভারত ও দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের শীর্ষ কর্মকর্তারা। তাঁরা চান, চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের আগে তাঁদের প্রস্তাবের ‘যথাযথ’ মূল্যায়ন হোক।
গতকাল মঙ্গলবার (২১ মে) ঢাকার একটি হোটেলে বোয়িং কর্মকর্তারা সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। আলোচনায় বিমানের সঙ্গে বোয়িংয়ের সম্পর্ক, বোয়িংয়ের নিরাপত্তা নিয়ে বৈশ্বিক উদ্বেগ ও এয়ারবাসের প্রস্তাবসহ দুই উড়োজাহাজ নির্মাতার তুলনামূলক আলোচনা ও অর্থায়নসহ নানা দিক উঠে আসে। সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তর দেন বোয়িংয়ের ভারত ও দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের বিক্রয় ও বিপণন বিভাগের ভাইস প্রেসিডেন্ট রায়ান উয়্যার, ইউরেশিয়া ও ভারতীয় উপমহাদেশের বিপণন বিভাগের ব্যবস্থাপনা পরিচালক অশ্বীন নাইডু ও বোয়িংয়ের বিক্রয় পরিচালক কান্তি ভুবনাগিরি।
বোয়িংয়ের কর্মকর্তাদের দাবি, অন্য কোনো নির্মাতার চেয়ে তাঁদের উড়োজাহাজের দাম কম এবং পুরো প্রস্তাব আর্থিকভাবে সাশ্রয়ী। এর ফলে বাংলাদেশের রাষ্ট্রায়ত্ত কোম্পানি বিমান লাভবান হবে। সে ক্ষেত্রে আগের মতো এবারও যুক্তরাষ্ট্রের এক্সপোর্ট-ইমপোর্ট ব্যাংক অর্থায়ন করতে অর্থাৎ ঋণ দিতে আগ্রহী।
যুক্তরাষ্ট্রের উড়োজাহাজ চলাচল নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফেডারেল অ্যাভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন-এফএএর মূল্যায়নে বাংলাদেশের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) মান উন্নয়ন না হওয়ায় অনেক বছর হল ঢাকা থেকে নিউইয়র্ক রুটে বিমানের ফ্লাইট বন্ধ রয়েছে। সেই বাধা কাটাতে আবারও সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন বোয়িংয়ের কর্মকর্তারা। এফএএ ক্যাটাগরি-২ থেকে ক্যাটাগরি-১–এ বেবিচকের উত্তরণে নিজ খরচে পরামর্শক প্রতিষ্ঠান নিয়োগেরও প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তাঁরা।
বোয়িং ভাইস প্রেসিডেন্ট রায়ান উয়্যার সাংবাদিকদের বলেন, ‘পণ্য মূল্যায়নে আমরা সব সময়ই নিরপেক্ষতায় বিশ্বাস করি। যে অপারেটরগুলো বোয়িং ৭৮৭ মডেলের উড়োজাহাজ ব্যবহার করছে, তারা সেটি মূল্যায়ন করেছে। প্রকৃতপক্ষে আমাদের সবচেয়ে শক্তিশালী জায়গা হচ্ছে ৭৮৭, যা বিক্রির পর আবারও কিনতে বায়না করছে অনেকে। বিমানের কাছে বিক্রয় প্রস্তাবগুলোর একটি পূর্ণাঙ্গ মূল্যায়ন চাই আমরা। আশা করি, চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগেই সেটি হবে। এটা বিমানকে ভবিষ্যতে দীর্ঘ সময়ের জন্য অনেক সহায়তা পেতে সাহায্য করবে। আমরা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, বিমান মন্ত্রণালয় ও বিমানের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে দেখা করেছি। আমাদের প্রস্তাবটি পুরোপুরি মূল্যায়নের অনুরোধ করেছি। তাঁরা বলেছেন, করবেন।’
প্রসঙ্গত, বর্তমানে বিমানের বহরে থাকা ২১টি উড়োজাহাজের মধ্যে ১৬টি বোয়িংয়ের। অন্য পাঁচটি স্বল্পপাল্লার ড্যাশ-৮০০ উড়োজাহাজ। প্রথমবারের মতো বহরে এয়ারবাস যুক্ত করার আলোচনা চলছে, যা অনেক দূর এগিয়েছে বলে খবরে এসেছে।
এর আগে গত বছরের সেপ্টেম্বরে ঢাকায় এসে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁ যৌথ সংবাদ সম্মেলনে বলেন, এয়ারবাসের কাছ থেকে ১০টি উড়োজাহাজ কেনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে বাংলাদেশ। ইউরোপের এ নির্মাতা কোম্পানির উড়োজাহাজ কেনার ব্যাপারে অগ্রগতিও হয়েছে। গত মাসে বিমানের পর্ষদ সভায় তাদের প্রস্তাব যাচাই-বাছাই, দর কষাকষিসহ ক্রয় প্রক্রিয়াটি এগিয়ে নিতে ১১ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে।
এ অবস্থায় বোয়িং চাইছে, তাদের প্রস্তাবটিও পুরোপুরি মূল্যায়ন করুক বাংলাদেশের কর্তৃপক্ষ। এর আগে ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস বাংলাদেশের কাছে বোয়িংয়ের উড়োজাহাজ বিক্রির প্রস্তাব নিয়ে সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ে আলোচনা করে।
উড়োজাহাজ বিক্রিতে বিমানকে আর্থিক সুবিধার প্রস্তাবের বিষয়ে নাইডু বলেন, আমরা বিমানের সামনে একটি পুরোপুরি বাস্তবায়নযোগ্য প্রস্তাব দিয়েছি। তবে সেটা আমাদের ও গ্রাহকের মধ্যেই সীমিত। আর ঋণের বিষয়ে ইউএস এক্সপোর্ট-ইমপোর্ট ব্যাংক মূল্যায়ন করেছে। বিমানের আগের উড়োজাহাজগুলো কেনার ক্ষেত্রেও বিনিয়োগ করেছিল তারা। সেটি খুব ভালোভাবে সম্পন্ন হয়েছে। অতি সম্প্রতি ৭৭৭ উড়োজাহাজের সব টাকা পরিশোধ করেছে বিমান। এবারও ব্যাংকটি আগ্রহ দেখিয়েছে।
আলোচনায় খুচরা যন্ত্রাংশ সরবরাহের বিষয়টি উঠে আসে। বিমান বোয়িংনির্ভর হয়ে পড়লে যদি কোনো সময় দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের অবনতি হয়, তাহলে কি বোয়িং খুচরা যন্ত্রাংশ দেওয়া বন্ধ করে দেবে? এমন প্রশ্নের উত্তরে রায়ান বলেন, ‘এখন তিনটি দেশের সঙ্গে আমাদের এ রকম অবস্থা বিরাজমান। এগুলো হলো—রাশিয়া, ইরান ও উত্তর কোরিয়া। আমার মনে হয় না বাংলাদেশের সঙ্গে এমন কোনো সমস্যা হবে। কারণ, দুই দেশের মধ্যে একটি ভালো সম্পর্ক রয়েছে।'
আগামী বছরের মধ্যে দুটি যাত্রীবাহী উড়োজাহাজ প্রয়োজন বিমানের। সেটি কি বোয়িং সরবরাহ করতে প্রস্তুত? উত্তরে তারা বলেন, যদি অন্য কোনো কোম্পানির অর্ডার করা বিমান তৈরি থাকে, তাহলেই এ সময়ের মধ্যে সরবরাহ করা সম্ভব।
বিমানের জন্য এয়ারবাসের চেয়ে বোয়িং ভালো—এমন দাবির পেছনে যুক্তি প্রসঙ্গে বোয়িং কর্মকর্তারা বলেন, ৭৮৭ চালিয়ে এয়ারবাসের চেয়ে বছরে ৫০ লাখ ডলারের বেশি লাভ করতে পারবে বিমান। ৬ শতাংশ কম জ্বালানি, ৩০ শতাংশ কম রক্ষণাবেক্ষণ খরচ, প্রতিযোগিতামূলক সময়ে সরবরাহ করার প্রস্তাব রয়েছে। বোয়িংয়ের পণ্য অন্য প্রতিযোগীদের চেয়ে দামেও কম। তা ছাড়া বিমান মিশ্র বহরে গেলে অযথা ১৫০ মিলিয়ন ডলার লোকসান করবে।
অশ্বীন নাইডু বলেন, `এ বিষয় নিয়ে আমাদের বিস্তারিত সমীক্ষা আছে। মিশ্র বহর হলে আগামী ২০ বছরে এই ১৫০ মিলিয়ন ডলার তাদের বাড়তি ক্ষতি হবে। চারটি বড় বিষয় আছে—প্রশিক্ষণ, রক্ষণাবেক্ষণ, স্পেয়ার পার্টস এবং পাইলট প্রশিক্ষণ। কোনো বহরে ১০টি বোয়িং ৭৮৭ এবং ১০টি এয়ারবাস এ৩৫০ উড়োজাহাজ থাকলে বেশি পাইলট লাগবে।'
প্রসঙ্গত, বহরে নতুন সুপরিসর উড়োজাহাজ যোগ করার চেষ্টা কয়েক বছর ধরেই করছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস। এ নিয়ে শীর্ষস্থানীয় উড়োজাহাজ নির্মাতা দুই কোম্পানি তাদের আগ্রহ দেখিয়ে বিভিন্ন পর্যায়ে দেন-দরবার চালিয়ে যাচ্ছে। সরকারের দিক থেকে বলা হয়েছে, এই মুহূর্তে ইউরোপভিত্তিক উড়োজাহাজ নির্মাতা কোম্পানি এয়ারবাসের প্রস্তাব যাচাই-বাছাইয়ের কাজ চলছে। এমন প্রেক্ষাপটে বোয়িংয়ের ঢাকা সফরকারী প্রতিনিধিদলটি সাংবাদিকদের সামনে আসে; নিজেরাই তাদের অবস্থান ব্যাখ্যা করে এবং বিমানের জন্য তাদের প্রস্তাব কেন লাভজনক হবে সেসব দাবি তুলে ধরে।

বাংলাদেশের পতাকাবাহী বিমান পরিবহন সংস্থা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের কাছে ছয়টি ওয়াইড বডি এয়ারক্রাফট বিক্রি করার প্রস্তাব দিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানি বোয়িং। এর মধ্যে চারটি যাত্রীবাহী বোয়িং-৭৮৭ এবং দুটি মালবাহী (ফ্রেইটার) বোয়িং-৭৭৭। এদিকে ইউরোপের উড়োজাহাজ প্রস্তুতকারক কোম্পানি এয়ারবাসের প্রস্তাব নিয়েও দীর্ঘদিন ধরে আলোচনায় চলছে। এমন প্রেক্ষাপটে বিমানকে বোয়িংয়ের উড়োজাহাজ কেনায় রাজি করা প্রচেষ্টা হিসেবে ঢাকা সফর করে গেলেন কোম্পানির ভারত ও দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের শীর্ষ কর্মকর্তারা। তাঁরা চান, চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের আগে তাঁদের প্রস্তাবের ‘যথাযথ’ মূল্যায়ন হোক।
গতকাল মঙ্গলবার (২১ মে) ঢাকার একটি হোটেলে বোয়িং কর্মকর্তারা সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। আলোচনায় বিমানের সঙ্গে বোয়িংয়ের সম্পর্ক, বোয়িংয়ের নিরাপত্তা নিয়ে বৈশ্বিক উদ্বেগ ও এয়ারবাসের প্রস্তাবসহ দুই উড়োজাহাজ নির্মাতার তুলনামূলক আলোচনা ও অর্থায়নসহ নানা দিক উঠে আসে। সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তর দেন বোয়িংয়ের ভারত ও দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের বিক্রয় ও বিপণন বিভাগের ভাইস প্রেসিডেন্ট রায়ান উয়্যার, ইউরেশিয়া ও ভারতীয় উপমহাদেশের বিপণন বিভাগের ব্যবস্থাপনা পরিচালক অশ্বীন নাইডু ও বোয়িংয়ের বিক্রয় পরিচালক কান্তি ভুবনাগিরি।
বোয়িংয়ের কর্মকর্তাদের দাবি, অন্য কোনো নির্মাতার চেয়ে তাঁদের উড়োজাহাজের দাম কম এবং পুরো প্রস্তাব আর্থিকভাবে সাশ্রয়ী। এর ফলে বাংলাদেশের রাষ্ট্রায়ত্ত কোম্পানি বিমান লাভবান হবে। সে ক্ষেত্রে আগের মতো এবারও যুক্তরাষ্ট্রের এক্সপোর্ট-ইমপোর্ট ব্যাংক অর্থায়ন করতে অর্থাৎ ঋণ দিতে আগ্রহী।
যুক্তরাষ্ট্রের উড়োজাহাজ চলাচল নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফেডারেল অ্যাভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন-এফএএর মূল্যায়নে বাংলাদেশের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) মান উন্নয়ন না হওয়ায় অনেক বছর হল ঢাকা থেকে নিউইয়র্ক রুটে বিমানের ফ্লাইট বন্ধ রয়েছে। সেই বাধা কাটাতে আবারও সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন বোয়িংয়ের কর্মকর্তারা। এফএএ ক্যাটাগরি-২ থেকে ক্যাটাগরি-১–এ বেবিচকের উত্তরণে নিজ খরচে পরামর্শক প্রতিষ্ঠান নিয়োগেরও প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তাঁরা।
বোয়িং ভাইস প্রেসিডেন্ট রায়ান উয়্যার সাংবাদিকদের বলেন, ‘পণ্য মূল্যায়নে আমরা সব সময়ই নিরপেক্ষতায় বিশ্বাস করি। যে অপারেটরগুলো বোয়িং ৭৮৭ মডেলের উড়োজাহাজ ব্যবহার করছে, তারা সেটি মূল্যায়ন করেছে। প্রকৃতপক্ষে আমাদের সবচেয়ে শক্তিশালী জায়গা হচ্ছে ৭৮৭, যা বিক্রির পর আবারও কিনতে বায়না করছে অনেকে। বিমানের কাছে বিক্রয় প্রস্তাবগুলোর একটি পূর্ণাঙ্গ মূল্যায়ন চাই আমরা। আশা করি, চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগেই সেটি হবে। এটা বিমানকে ভবিষ্যতে দীর্ঘ সময়ের জন্য অনেক সহায়তা পেতে সাহায্য করবে। আমরা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, বিমান মন্ত্রণালয় ও বিমানের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে দেখা করেছি। আমাদের প্রস্তাবটি পুরোপুরি মূল্যায়নের অনুরোধ করেছি। তাঁরা বলেছেন, করবেন।’
প্রসঙ্গত, বর্তমানে বিমানের বহরে থাকা ২১টি উড়োজাহাজের মধ্যে ১৬টি বোয়িংয়ের। অন্য পাঁচটি স্বল্পপাল্লার ড্যাশ-৮০০ উড়োজাহাজ। প্রথমবারের মতো বহরে এয়ারবাস যুক্ত করার আলোচনা চলছে, যা অনেক দূর এগিয়েছে বলে খবরে এসেছে।
এর আগে গত বছরের সেপ্টেম্বরে ঢাকায় এসে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁ যৌথ সংবাদ সম্মেলনে বলেন, এয়ারবাসের কাছ থেকে ১০টি উড়োজাহাজ কেনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে বাংলাদেশ। ইউরোপের এ নির্মাতা কোম্পানির উড়োজাহাজ কেনার ব্যাপারে অগ্রগতিও হয়েছে। গত মাসে বিমানের পর্ষদ সভায় তাদের প্রস্তাব যাচাই-বাছাই, দর কষাকষিসহ ক্রয় প্রক্রিয়াটি এগিয়ে নিতে ১১ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে।
এ অবস্থায় বোয়িং চাইছে, তাদের প্রস্তাবটিও পুরোপুরি মূল্যায়ন করুক বাংলাদেশের কর্তৃপক্ষ। এর আগে ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস বাংলাদেশের কাছে বোয়িংয়ের উড়োজাহাজ বিক্রির প্রস্তাব নিয়ে সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ে আলোচনা করে।
উড়োজাহাজ বিক্রিতে বিমানকে আর্থিক সুবিধার প্রস্তাবের বিষয়ে নাইডু বলেন, আমরা বিমানের সামনে একটি পুরোপুরি বাস্তবায়নযোগ্য প্রস্তাব দিয়েছি। তবে সেটা আমাদের ও গ্রাহকের মধ্যেই সীমিত। আর ঋণের বিষয়ে ইউএস এক্সপোর্ট-ইমপোর্ট ব্যাংক মূল্যায়ন করেছে। বিমানের আগের উড়োজাহাজগুলো কেনার ক্ষেত্রেও বিনিয়োগ করেছিল তারা। সেটি খুব ভালোভাবে সম্পন্ন হয়েছে। অতি সম্প্রতি ৭৭৭ উড়োজাহাজের সব টাকা পরিশোধ করেছে বিমান। এবারও ব্যাংকটি আগ্রহ দেখিয়েছে।
আলোচনায় খুচরা যন্ত্রাংশ সরবরাহের বিষয়টি উঠে আসে। বিমান বোয়িংনির্ভর হয়ে পড়লে যদি কোনো সময় দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের অবনতি হয়, তাহলে কি বোয়িং খুচরা যন্ত্রাংশ দেওয়া বন্ধ করে দেবে? এমন প্রশ্নের উত্তরে রায়ান বলেন, ‘এখন তিনটি দেশের সঙ্গে আমাদের এ রকম অবস্থা বিরাজমান। এগুলো হলো—রাশিয়া, ইরান ও উত্তর কোরিয়া। আমার মনে হয় না বাংলাদেশের সঙ্গে এমন কোনো সমস্যা হবে। কারণ, দুই দেশের মধ্যে একটি ভালো সম্পর্ক রয়েছে।'
আগামী বছরের মধ্যে দুটি যাত্রীবাহী উড়োজাহাজ প্রয়োজন বিমানের। সেটি কি বোয়িং সরবরাহ করতে প্রস্তুত? উত্তরে তারা বলেন, যদি অন্য কোনো কোম্পানির অর্ডার করা বিমান তৈরি থাকে, তাহলেই এ সময়ের মধ্যে সরবরাহ করা সম্ভব।
বিমানের জন্য এয়ারবাসের চেয়ে বোয়িং ভালো—এমন দাবির পেছনে যুক্তি প্রসঙ্গে বোয়িং কর্মকর্তারা বলেন, ৭৮৭ চালিয়ে এয়ারবাসের চেয়ে বছরে ৫০ লাখ ডলারের বেশি লাভ করতে পারবে বিমান। ৬ শতাংশ কম জ্বালানি, ৩০ শতাংশ কম রক্ষণাবেক্ষণ খরচ, প্রতিযোগিতামূলক সময়ে সরবরাহ করার প্রস্তাব রয়েছে। বোয়িংয়ের পণ্য অন্য প্রতিযোগীদের চেয়ে দামেও কম। তা ছাড়া বিমান মিশ্র বহরে গেলে অযথা ১৫০ মিলিয়ন ডলার লোকসান করবে।
অশ্বীন নাইডু বলেন, `এ বিষয় নিয়ে আমাদের বিস্তারিত সমীক্ষা আছে। মিশ্র বহর হলে আগামী ২০ বছরে এই ১৫০ মিলিয়ন ডলার তাদের বাড়তি ক্ষতি হবে। চারটি বড় বিষয় আছে—প্রশিক্ষণ, রক্ষণাবেক্ষণ, স্পেয়ার পার্টস এবং পাইলট প্রশিক্ষণ। কোনো বহরে ১০টি বোয়িং ৭৮৭ এবং ১০টি এয়ারবাস এ৩৫০ উড়োজাহাজ থাকলে বেশি পাইলট লাগবে।'
প্রসঙ্গত, বহরে নতুন সুপরিসর উড়োজাহাজ যোগ করার চেষ্টা কয়েক বছর ধরেই করছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস। এ নিয়ে শীর্ষস্থানীয় উড়োজাহাজ নির্মাতা দুই কোম্পানি তাদের আগ্রহ দেখিয়ে বিভিন্ন পর্যায়ে দেন-দরবার চালিয়ে যাচ্ছে। সরকারের দিক থেকে বলা হয়েছে, এই মুহূর্তে ইউরোপভিত্তিক উড়োজাহাজ নির্মাতা কোম্পানি এয়ারবাসের প্রস্তাব যাচাই-বাছাইয়ের কাজ চলছে। এমন প্রেক্ষাপটে বোয়িংয়ের ঢাকা সফরকারী প্রতিনিধিদলটি সাংবাদিকদের সামনে আসে; নিজেরাই তাদের অবস্থান ব্যাখ্যা করে এবং বিমানের জন্য তাদের প্রস্তাব কেন লাভজনক হবে সেসব দাবি তুলে ধরে।

বাংলাদেশের পতাকাবাহী বিমান পরিবহন সংস্থা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের কাছে ছয়টি ওয়াইড বডি এয়ারক্রাফট বিক্রি করার প্রস্তাব দিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানি বোয়িং। এর মধ্যে চারটি যাত্রীবাহী বোয়িং-৭৮৭ এবং দুটি মালবাহী (ফ্রেইটার) বোয়িং-৭৭৭। এদিকে ইউরোপের উড়োজাহাজ প্রস্তুতকারক কোম্পানি এয়ারবাসের প্রস্তাব নিয়েও দীর্ঘদিন ধরে আলোচনায় চলছে। এমন প্রেক্ষাপটে বিমানকে বোয়িংয়ের উড়োজাহাজ কেনায় রাজি করা প্রচেষ্টা হিসেবে ঢাকা সফর করে গেলেন কোম্পানির ভারত ও দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের শীর্ষ কর্মকর্তারা। তাঁরা চান, চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের আগে তাঁদের প্রস্তাবের ‘যথাযথ’ মূল্যায়ন হোক।
গতকাল মঙ্গলবার (২১ মে) ঢাকার একটি হোটেলে বোয়িং কর্মকর্তারা সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। আলোচনায় বিমানের সঙ্গে বোয়িংয়ের সম্পর্ক, বোয়িংয়ের নিরাপত্তা নিয়ে বৈশ্বিক উদ্বেগ ও এয়ারবাসের প্রস্তাবসহ দুই উড়োজাহাজ নির্মাতার তুলনামূলক আলোচনা ও অর্থায়নসহ নানা দিক উঠে আসে। সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তর দেন বোয়িংয়ের ভারত ও দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের বিক্রয় ও বিপণন বিভাগের ভাইস প্রেসিডেন্ট রায়ান উয়্যার, ইউরেশিয়া ও ভারতীয় উপমহাদেশের বিপণন বিভাগের ব্যবস্থাপনা পরিচালক অশ্বীন নাইডু ও বোয়িংয়ের বিক্রয় পরিচালক কান্তি ভুবনাগিরি।
বোয়িংয়ের কর্মকর্তাদের দাবি, অন্য কোনো নির্মাতার চেয়ে তাঁদের উড়োজাহাজের দাম কম এবং পুরো প্রস্তাব আর্থিকভাবে সাশ্রয়ী। এর ফলে বাংলাদেশের রাষ্ট্রায়ত্ত কোম্পানি বিমান লাভবান হবে। সে ক্ষেত্রে আগের মতো এবারও যুক্তরাষ্ট্রের এক্সপোর্ট-ইমপোর্ট ব্যাংক অর্থায়ন করতে অর্থাৎ ঋণ দিতে আগ্রহী।
যুক্তরাষ্ট্রের উড়োজাহাজ চলাচল নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফেডারেল অ্যাভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন-এফএএর মূল্যায়নে বাংলাদেশের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) মান উন্নয়ন না হওয়ায় অনেক বছর হল ঢাকা থেকে নিউইয়র্ক রুটে বিমানের ফ্লাইট বন্ধ রয়েছে। সেই বাধা কাটাতে আবারও সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন বোয়িংয়ের কর্মকর্তারা। এফএএ ক্যাটাগরি-২ থেকে ক্যাটাগরি-১–এ বেবিচকের উত্তরণে নিজ খরচে পরামর্শক প্রতিষ্ঠান নিয়োগেরও প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তাঁরা।
বোয়িং ভাইস প্রেসিডেন্ট রায়ান উয়্যার সাংবাদিকদের বলেন, ‘পণ্য মূল্যায়নে আমরা সব সময়ই নিরপেক্ষতায় বিশ্বাস করি। যে অপারেটরগুলো বোয়িং ৭৮৭ মডেলের উড়োজাহাজ ব্যবহার করছে, তারা সেটি মূল্যায়ন করেছে। প্রকৃতপক্ষে আমাদের সবচেয়ে শক্তিশালী জায়গা হচ্ছে ৭৮৭, যা বিক্রির পর আবারও কিনতে বায়না করছে অনেকে। বিমানের কাছে বিক্রয় প্রস্তাবগুলোর একটি পূর্ণাঙ্গ মূল্যায়ন চাই আমরা। আশা করি, চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগেই সেটি হবে। এটা বিমানকে ভবিষ্যতে দীর্ঘ সময়ের জন্য অনেক সহায়তা পেতে সাহায্য করবে। আমরা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, বিমান মন্ত্রণালয় ও বিমানের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে দেখা করেছি। আমাদের প্রস্তাবটি পুরোপুরি মূল্যায়নের অনুরোধ করেছি। তাঁরা বলেছেন, করবেন।’
প্রসঙ্গত, বর্তমানে বিমানের বহরে থাকা ২১টি উড়োজাহাজের মধ্যে ১৬টি বোয়িংয়ের। অন্য পাঁচটি স্বল্পপাল্লার ড্যাশ-৮০০ উড়োজাহাজ। প্রথমবারের মতো বহরে এয়ারবাস যুক্ত করার আলোচনা চলছে, যা অনেক দূর এগিয়েছে বলে খবরে এসেছে।
এর আগে গত বছরের সেপ্টেম্বরে ঢাকায় এসে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁ যৌথ সংবাদ সম্মেলনে বলেন, এয়ারবাসের কাছ থেকে ১০টি উড়োজাহাজ কেনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে বাংলাদেশ। ইউরোপের এ নির্মাতা কোম্পানির উড়োজাহাজ কেনার ব্যাপারে অগ্রগতিও হয়েছে। গত মাসে বিমানের পর্ষদ সভায় তাদের প্রস্তাব যাচাই-বাছাই, দর কষাকষিসহ ক্রয় প্রক্রিয়াটি এগিয়ে নিতে ১১ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে।
এ অবস্থায় বোয়িং চাইছে, তাদের প্রস্তাবটিও পুরোপুরি মূল্যায়ন করুক বাংলাদেশের কর্তৃপক্ষ। এর আগে ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস বাংলাদেশের কাছে বোয়িংয়ের উড়োজাহাজ বিক্রির প্রস্তাব নিয়ে সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ে আলোচনা করে।
উড়োজাহাজ বিক্রিতে বিমানকে আর্থিক সুবিধার প্রস্তাবের বিষয়ে নাইডু বলেন, আমরা বিমানের সামনে একটি পুরোপুরি বাস্তবায়নযোগ্য প্রস্তাব দিয়েছি। তবে সেটা আমাদের ও গ্রাহকের মধ্যেই সীমিত। আর ঋণের বিষয়ে ইউএস এক্সপোর্ট-ইমপোর্ট ব্যাংক মূল্যায়ন করেছে। বিমানের আগের উড়োজাহাজগুলো কেনার ক্ষেত্রেও বিনিয়োগ করেছিল তারা। সেটি খুব ভালোভাবে সম্পন্ন হয়েছে। অতি সম্প্রতি ৭৭৭ উড়োজাহাজের সব টাকা পরিশোধ করেছে বিমান। এবারও ব্যাংকটি আগ্রহ দেখিয়েছে।
আলোচনায় খুচরা যন্ত্রাংশ সরবরাহের বিষয়টি উঠে আসে। বিমান বোয়িংনির্ভর হয়ে পড়লে যদি কোনো সময় দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের অবনতি হয়, তাহলে কি বোয়িং খুচরা যন্ত্রাংশ দেওয়া বন্ধ করে দেবে? এমন প্রশ্নের উত্তরে রায়ান বলেন, ‘এখন তিনটি দেশের সঙ্গে আমাদের এ রকম অবস্থা বিরাজমান। এগুলো হলো—রাশিয়া, ইরান ও উত্তর কোরিয়া। আমার মনে হয় না বাংলাদেশের সঙ্গে এমন কোনো সমস্যা হবে। কারণ, দুই দেশের মধ্যে একটি ভালো সম্পর্ক রয়েছে।'
আগামী বছরের মধ্যে দুটি যাত্রীবাহী উড়োজাহাজ প্রয়োজন বিমানের। সেটি কি বোয়িং সরবরাহ করতে প্রস্তুত? উত্তরে তারা বলেন, যদি অন্য কোনো কোম্পানির অর্ডার করা বিমান তৈরি থাকে, তাহলেই এ সময়ের মধ্যে সরবরাহ করা সম্ভব।
বিমানের জন্য এয়ারবাসের চেয়ে বোয়িং ভালো—এমন দাবির পেছনে যুক্তি প্রসঙ্গে বোয়িং কর্মকর্তারা বলেন, ৭৮৭ চালিয়ে এয়ারবাসের চেয়ে বছরে ৫০ লাখ ডলারের বেশি লাভ করতে পারবে বিমান। ৬ শতাংশ কম জ্বালানি, ৩০ শতাংশ কম রক্ষণাবেক্ষণ খরচ, প্রতিযোগিতামূলক সময়ে সরবরাহ করার প্রস্তাব রয়েছে। বোয়িংয়ের পণ্য অন্য প্রতিযোগীদের চেয়ে দামেও কম। তা ছাড়া বিমান মিশ্র বহরে গেলে অযথা ১৫০ মিলিয়ন ডলার লোকসান করবে।
অশ্বীন নাইডু বলেন, `এ বিষয় নিয়ে আমাদের বিস্তারিত সমীক্ষা আছে। মিশ্র বহর হলে আগামী ২০ বছরে এই ১৫০ মিলিয়ন ডলার তাদের বাড়তি ক্ষতি হবে। চারটি বড় বিষয় আছে—প্রশিক্ষণ, রক্ষণাবেক্ষণ, স্পেয়ার পার্টস এবং পাইলট প্রশিক্ষণ। কোনো বহরে ১০টি বোয়িং ৭৮৭ এবং ১০টি এয়ারবাস এ৩৫০ উড়োজাহাজ থাকলে বেশি পাইলট লাগবে।'
প্রসঙ্গত, বহরে নতুন সুপরিসর উড়োজাহাজ যোগ করার চেষ্টা কয়েক বছর ধরেই করছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস। এ নিয়ে শীর্ষস্থানীয় উড়োজাহাজ নির্মাতা দুই কোম্পানি তাদের আগ্রহ দেখিয়ে বিভিন্ন পর্যায়ে দেন-দরবার চালিয়ে যাচ্ছে। সরকারের দিক থেকে বলা হয়েছে, এই মুহূর্তে ইউরোপভিত্তিক উড়োজাহাজ নির্মাতা কোম্পানি এয়ারবাসের প্রস্তাব যাচাই-বাছাইয়ের কাজ চলছে। এমন প্রেক্ষাপটে বোয়িংয়ের ঢাকা সফরকারী প্রতিনিধিদলটি সাংবাদিকদের সামনে আসে; নিজেরাই তাদের অবস্থান ব্যাখ্যা করে এবং বিমানের জন্য তাদের প্রস্তাব কেন লাভজনক হবে সেসব দাবি তুলে ধরে।

বাংলাদেশের পতাকাবাহী বিমান পরিবহন সংস্থা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের কাছে ছয়টি ওয়াইড বডি এয়ারক্রাফট বিক্রি করার প্রস্তাব দিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানি বোয়িং। এর মধ্যে চারটি যাত্রীবাহী বোয়িং-৭৮৭ এবং দুটি মালবাহী (ফ্রেইটার) বোয়িং-৭৭৭। এদিকে ইউরোপের উড়োজাহাজ প্রস্তুতকারক কোম্পানি এয়ারবাসের প্রস্তাব নিয়েও দীর্ঘদিন ধরে আলোচনায় চলছে। এমন প্রেক্ষাপটে বিমানকে বোয়িংয়ের উড়োজাহাজ কেনায় রাজি করা প্রচেষ্টা হিসেবে ঢাকা সফর করে গেলেন কোম্পানির ভারত ও দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের শীর্ষ কর্মকর্তারা। তাঁরা চান, চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের আগে তাঁদের প্রস্তাবের ‘যথাযথ’ মূল্যায়ন হোক।
গতকাল মঙ্গলবার (২১ মে) ঢাকার একটি হোটেলে বোয়িং কর্মকর্তারা সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। আলোচনায় বিমানের সঙ্গে বোয়িংয়ের সম্পর্ক, বোয়িংয়ের নিরাপত্তা নিয়ে বৈশ্বিক উদ্বেগ ও এয়ারবাসের প্রস্তাবসহ দুই উড়োজাহাজ নির্মাতার তুলনামূলক আলোচনা ও অর্থায়নসহ নানা দিক উঠে আসে। সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তর দেন বোয়িংয়ের ভারত ও দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের বিক্রয় ও বিপণন বিভাগের ভাইস প্রেসিডেন্ট রায়ান উয়্যার, ইউরেশিয়া ও ভারতীয় উপমহাদেশের বিপণন বিভাগের ব্যবস্থাপনা পরিচালক অশ্বীন নাইডু ও বোয়িংয়ের বিক্রয় পরিচালক কান্তি ভুবনাগিরি।
বোয়িংয়ের কর্মকর্তাদের দাবি, অন্য কোনো নির্মাতার চেয়ে তাঁদের উড়োজাহাজের দাম কম এবং পুরো প্রস্তাব আর্থিকভাবে সাশ্রয়ী। এর ফলে বাংলাদেশের রাষ্ট্রায়ত্ত কোম্পানি বিমান লাভবান হবে। সে ক্ষেত্রে আগের মতো এবারও যুক্তরাষ্ট্রের এক্সপোর্ট-ইমপোর্ট ব্যাংক অর্থায়ন করতে অর্থাৎ ঋণ দিতে আগ্রহী।
যুক্তরাষ্ট্রের উড়োজাহাজ চলাচল নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফেডারেল অ্যাভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন-এফএএর মূল্যায়নে বাংলাদেশের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) মান উন্নয়ন না হওয়ায় অনেক বছর হল ঢাকা থেকে নিউইয়র্ক রুটে বিমানের ফ্লাইট বন্ধ রয়েছে। সেই বাধা কাটাতে আবারও সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন বোয়িংয়ের কর্মকর্তারা। এফএএ ক্যাটাগরি-২ থেকে ক্যাটাগরি-১–এ বেবিচকের উত্তরণে নিজ খরচে পরামর্শক প্রতিষ্ঠান নিয়োগেরও প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তাঁরা।
বোয়িং ভাইস প্রেসিডেন্ট রায়ান উয়্যার সাংবাদিকদের বলেন, ‘পণ্য মূল্যায়নে আমরা সব সময়ই নিরপেক্ষতায় বিশ্বাস করি। যে অপারেটরগুলো বোয়িং ৭৮৭ মডেলের উড়োজাহাজ ব্যবহার করছে, তারা সেটি মূল্যায়ন করেছে। প্রকৃতপক্ষে আমাদের সবচেয়ে শক্তিশালী জায়গা হচ্ছে ৭৮৭, যা বিক্রির পর আবারও কিনতে বায়না করছে অনেকে। বিমানের কাছে বিক্রয় প্রস্তাবগুলোর একটি পূর্ণাঙ্গ মূল্যায়ন চাই আমরা। আশা করি, চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগেই সেটি হবে। এটা বিমানকে ভবিষ্যতে দীর্ঘ সময়ের জন্য অনেক সহায়তা পেতে সাহায্য করবে। আমরা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, বিমান মন্ত্রণালয় ও বিমানের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে দেখা করেছি। আমাদের প্রস্তাবটি পুরোপুরি মূল্যায়নের অনুরোধ করেছি। তাঁরা বলেছেন, করবেন।’
প্রসঙ্গত, বর্তমানে বিমানের বহরে থাকা ২১টি উড়োজাহাজের মধ্যে ১৬টি বোয়িংয়ের। অন্য পাঁচটি স্বল্পপাল্লার ড্যাশ-৮০০ উড়োজাহাজ। প্রথমবারের মতো বহরে এয়ারবাস যুক্ত করার আলোচনা চলছে, যা অনেক দূর এগিয়েছে বলে খবরে এসেছে।
এর আগে গত বছরের সেপ্টেম্বরে ঢাকায় এসে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁ যৌথ সংবাদ সম্মেলনে বলেন, এয়ারবাসের কাছ থেকে ১০টি উড়োজাহাজ কেনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে বাংলাদেশ। ইউরোপের এ নির্মাতা কোম্পানির উড়োজাহাজ কেনার ব্যাপারে অগ্রগতিও হয়েছে। গত মাসে বিমানের পর্ষদ সভায় তাদের প্রস্তাব যাচাই-বাছাই, দর কষাকষিসহ ক্রয় প্রক্রিয়াটি এগিয়ে নিতে ১১ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে।
এ অবস্থায় বোয়িং চাইছে, তাদের প্রস্তাবটিও পুরোপুরি মূল্যায়ন করুক বাংলাদেশের কর্তৃপক্ষ। এর আগে ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস বাংলাদেশের কাছে বোয়িংয়ের উড়োজাহাজ বিক্রির প্রস্তাব নিয়ে সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ে আলোচনা করে।
উড়োজাহাজ বিক্রিতে বিমানকে আর্থিক সুবিধার প্রস্তাবের বিষয়ে নাইডু বলেন, আমরা বিমানের সামনে একটি পুরোপুরি বাস্তবায়নযোগ্য প্রস্তাব দিয়েছি। তবে সেটা আমাদের ও গ্রাহকের মধ্যেই সীমিত। আর ঋণের বিষয়ে ইউএস এক্সপোর্ট-ইমপোর্ট ব্যাংক মূল্যায়ন করেছে। বিমানের আগের উড়োজাহাজগুলো কেনার ক্ষেত্রেও বিনিয়োগ করেছিল তারা। সেটি খুব ভালোভাবে সম্পন্ন হয়েছে। অতি সম্প্রতি ৭৭৭ উড়োজাহাজের সব টাকা পরিশোধ করেছে বিমান। এবারও ব্যাংকটি আগ্রহ দেখিয়েছে।
আলোচনায় খুচরা যন্ত্রাংশ সরবরাহের বিষয়টি উঠে আসে। বিমান বোয়িংনির্ভর হয়ে পড়লে যদি কোনো সময় দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের অবনতি হয়, তাহলে কি বোয়িং খুচরা যন্ত্রাংশ দেওয়া বন্ধ করে দেবে? এমন প্রশ্নের উত্তরে রায়ান বলেন, ‘এখন তিনটি দেশের সঙ্গে আমাদের এ রকম অবস্থা বিরাজমান। এগুলো হলো—রাশিয়া, ইরান ও উত্তর কোরিয়া। আমার মনে হয় না বাংলাদেশের সঙ্গে এমন কোনো সমস্যা হবে। কারণ, দুই দেশের মধ্যে একটি ভালো সম্পর্ক রয়েছে।'
আগামী বছরের মধ্যে দুটি যাত্রীবাহী উড়োজাহাজ প্রয়োজন বিমানের। সেটি কি বোয়িং সরবরাহ করতে প্রস্তুত? উত্তরে তারা বলেন, যদি অন্য কোনো কোম্পানির অর্ডার করা বিমান তৈরি থাকে, তাহলেই এ সময়ের মধ্যে সরবরাহ করা সম্ভব।
বিমানের জন্য এয়ারবাসের চেয়ে বোয়িং ভালো—এমন দাবির পেছনে যুক্তি প্রসঙ্গে বোয়িং কর্মকর্তারা বলেন, ৭৮৭ চালিয়ে এয়ারবাসের চেয়ে বছরে ৫০ লাখ ডলারের বেশি লাভ করতে পারবে বিমান। ৬ শতাংশ কম জ্বালানি, ৩০ শতাংশ কম রক্ষণাবেক্ষণ খরচ, প্রতিযোগিতামূলক সময়ে সরবরাহ করার প্রস্তাব রয়েছে। বোয়িংয়ের পণ্য অন্য প্রতিযোগীদের চেয়ে দামেও কম। তা ছাড়া বিমান মিশ্র বহরে গেলে অযথা ১৫০ মিলিয়ন ডলার লোকসান করবে।
অশ্বীন নাইডু বলেন, `এ বিষয় নিয়ে আমাদের বিস্তারিত সমীক্ষা আছে। মিশ্র বহর হলে আগামী ২০ বছরে এই ১৫০ মিলিয়ন ডলার তাদের বাড়তি ক্ষতি হবে। চারটি বড় বিষয় আছে—প্রশিক্ষণ, রক্ষণাবেক্ষণ, স্পেয়ার পার্টস এবং পাইলট প্রশিক্ষণ। কোনো বহরে ১০টি বোয়িং ৭৮৭ এবং ১০টি এয়ারবাস এ৩৫০ উড়োজাহাজ থাকলে বেশি পাইলট লাগবে।'
প্রসঙ্গত, বহরে নতুন সুপরিসর উড়োজাহাজ যোগ করার চেষ্টা কয়েক বছর ধরেই করছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস। এ নিয়ে শীর্ষস্থানীয় উড়োজাহাজ নির্মাতা দুই কোম্পানি তাদের আগ্রহ দেখিয়ে বিভিন্ন পর্যায়ে দেন-দরবার চালিয়ে যাচ্ছে। সরকারের দিক থেকে বলা হয়েছে, এই মুহূর্তে ইউরোপভিত্তিক উড়োজাহাজ নির্মাতা কোম্পানি এয়ারবাসের প্রস্তাব যাচাই-বাছাইয়ের কাজ চলছে। এমন প্রেক্ষাপটে বোয়িংয়ের ঢাকা সফরকারী প্রতিনিধিদলটি সাংবাদিকদের সামনে আসে; নিজেরাই তাদের অবস্থান ব্যাখ্যা করে এবং বিমানের জন্য তাদের প্রস্তাব কেন লাভজনক হবে সেসব দাবি তুলে ধরে।

‘মথ’ ডালে হলুদ রঙ মিশিয়ে ‘মুগ’ ডালের নামে বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। এতে মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি রয়েছে বলে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। এ বিষয়ে সতর্ক থাকার জন্য নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ গণবিজ্ঞপ্তি জারি করেছে।
৯ মিনিট আগে
ভারতের বস্ত্র খাতকে বৈশ্বিক মানদণ্ডের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে দেশটি একটি বিস্তৃত ‘ব্যয় রূপরেখা’ প্রস্তুত করছে। মূল্য প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশ, ভিয়েতনাম ও চীনের মতো প্রতিদ্বন্দ্বীদের কাছে ক্রমে অবস্থান হারাচ্ছে ভারত। এই রূপরেখায় থাকবে দুই বছরের স্বল্পমেয়াদি, পাঁচ বছরের মধ্যমেয়াদি এবং দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা।
২ ঘণ্টা আগে
বিশ্ববাজারের দাপটে দেশের ইতিহাসে সোনার দামে রেকর্ড পতন হয়েছে। টানা তিন দিনের মধ্যে সোনার দাম মোট ১৫ হাজার ১৮৭ টাকা কমল। যার ফলে ভালো মানের সোনার ভরি ২ লাখ টাকার নিচে নেমে এসেছে।
৩ ঘণ্টা আগে
মার্জিন ঋণের কারণে অসংখ্য বিনিয়োগকারী সম্পূর্ণ অর্থ হারিয়ে পথে বসেছেন। একইভাবে পুঁজিবাজারে পতনের ফলে ঋণে ক্ষতির শিকার হচ্ছেন ঋণদাতারা। এর খেসারত দিচ্ছে পুরো বাজার। ভবিষ্যতে এ ধরনের ঝুঁকি কমাতে আসছে নতুন মার্জিন ঋণনীতি। এতে ঋণের সীমা কড়াকড়ি করা হয়েছে।
১২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

‘মথ’ ডালে হলুদ রঙ মিশিয়ে ‘মুগ’ ডালের নামে বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। এতে মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি রয়েছে বলে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। এ বিষয়ে সতর্ক থাকার জন্য নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ গণবিজ্ঞপ্তি জারি করেছে।
সম্প্রতি বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের এক পর্যবেক্ষণে বিষয়টি উঠে এসেছে।
নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ জানায়, টারট্রেইজিন (Tartrazine) রঙটি ডালে ব্যবহার অনুমোদন নেই। ওই রঙ খাদ্যদ্রব্য ব্যবহার করলে বিভিন্ন স্বাস্থ্যঝুঁকি রয়েছে। গত অর্থবছরে বাংলাদেশে মুগ ডালের তুলনায় মথ ডাল দ্বিগুণ পরিমাণে আমদানি হলেও বাজারে মথ নামে কোনো ডাল পাওয়া যায়নি। স্থানীয় বাজারে মুগ ডাল নামে বিক্রিত ডালের সংগৃহীত নমুনার অর্ধেকের বেশিতে রঙ মিশ্রিত পাওয়া গেছে।
নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ আরও জানায়, অননুমোদিতভাবে কোনো রঙ খাদ্যে ব্যবহার বা অন্তর্ভুক্তি বা এরূপ রঙ মিশ্রিত খাদ্য আমদানি, প্রক্রিয়াকরণ, মজুদ, সরবরাহ বা বিক্রয় নিরাপদ খাদ্য আইন, ২০১৩-এর ২৭ ধারা মতে শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
সব খাদ্য ব্যবসায়ীদের রঙযুক্ত ডাল আমদানি, প্রক্রিয়াকরণ, মজুদ, সরবরাহ বা বিক্রয় থেকে বিরত থাকার জন্য নির্দেশনা প্রদান করেছে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ।
নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলেছে, সর্বসাধারণকে ‘মুগ’ ডাল ক্রয়ের সময় মুগ ডালের বিশুদ্ধতা এবং উক্ত ডালে রঙ মিশ্রিত করা হয়েছে কি-না তা নিশ্চিত হয়ে ডাল ক্রয়ের জন্য পরামর্শ দেওয়া হলো।

‘মথ’ ডালে হলুদ রঙ মিশিয়ে ‘মুগ’ ডালের নামে বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। এতে মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি রয়েছে বলে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। এ বিষয়ে সতর্ক থাকার জন্য নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ গণবিজ্ঞপ্তি জারি করেছে।
সম্প্রতি বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের এক পর্যবেক্ষণে বিষয়টি উঠে এসেছে।
নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ জানায়, টারট্রেইজিন (Tartrazine) রঙটি ডালে ব্যবহার অনুমোদন নেই। ওই রঙ খাদ্যদ্রব্য ব্যবহার করলে বিভিন্ন স্বাস্থ্যঝুঁকি রয়েছে। গত অর্থবছরে বাংলাদেশে মুগ ডালের তুলনায় মথ ডাল দ্বিগুণ পরিমাণে আমদানি হলেও বাজারে মথ নামে কোনো ডাল পাওয়া যায়নি। স্থানীয় বাজারে মুগ ডাল নামে বিক্রিত ডালের সংগৃহীত নমুনার অর্ধেকের বেশিতে রঙ মিশ্রিত পাওয়া গেছে।
নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ আরও জানায়, অননুমোদিতভাবে কোনো রঙ খাদ্যে ব্যবহার বা অন্তর্ভুক্তি বা এরূপ রঙ মিশ্রিত খাদ্য আমদানি, প্রক্রিয়াকরণ, মজুদ, সরবরাহ বা বিক্রয় নিরাপদ খাদ্য আইন, ২০১৩-এর ২৭ ধারা মতে শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
সব খাদ্য ব্যবসায়ীদের রঙযুক্ত ডাল আমদানি, প্রক্রিয়াকরণ, মজুদ, সরবরাহ বা বিক্রয় থেকে বিরত থাকার জন্য নির্দেশনা প্রদান করেছে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ।
নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলেছে, সর্বসাধারণকে ‘মুগ’ ডাল ক্রয়ের সময় মুগ ডালের বিশুদ্ধতা এবং উক্ত ডালে রঙ মিশ্রিত করা হয়েছে কি-না তা নিশ্চিত হয়ে ডাল ক্রয়ের জন্য পরামর্শ দেওয়া হলো।

বাংলাদেশের পতাকাবাহী বিমান পরিবহন সংস্থা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের কাছে ছয়টি ওয়াইড বডি এয়ারক্রাফট বিক্রি করার প্রস্তাব দিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানি বোয়িং। এর মধ্যে চারটি যাত্রীবাহী বোয়িং-৭৮৭ এবং দুটি মালবাহী (ফ্রেইটার) বোয়িং-৭৭৭। এদিকে ইউরোপের উড়োজাহাজ প্রস্তুতকারক কোম্পানি এয়ারবাসের প্রস
২২ মে ২০২৪
ভারতের বস্ত্র খাতকে বৈশ্বিক মানদণ্ডের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে দেশটি একটি বিস্তৃত ‘ব্যয় রূপরেখা’ প্রস্তুত করছে। মূল্য প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশ, ভিয়েতনাম ও চীনের মতো প্রতিদ্বন্দ্বীদের কাছে ক্রমে অবস্থান হারাচ্ছে ভারত। এই রূপরেখায় থাকবে দুই বছরের স্বল্পমেয়াদি, পাঁচ বছরের মধ্যমেয়াদি এবং দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা।
২ ঘণ্টা আগে
বিশ্ববাজারের দাপটে দেশের ইতিহাসে সোনার দামে রেকর্ড পতন হয়েছে। টানা তিন দিনের মধ্যে সোনার দাম মোট ১৫ হাজার ১৮৭ টাকা কমল। যার ফলে ভালো মানের সোনার ভরি ২ লাখ টাকার নিচে নেমে এসেছে।
৩ ঘণ্টা আগে
মার্জিন ঋণের কারণে অসংখ্য বিনিয়োগকারী সম্পূর্ণ অর্থ হারিয়ে পথে বসেছেন। একইভাবে পুঁজিবাজারে পতনের ফলে ঋণে ক্ষতির শিকার হচ্ছেন ঋণদাতারা। এর খেসারত দিচ্ছে পুরো বাজার। ভবিষ্যতে এ ধরনের ঝুঁকি কমাতে আসছে নতুন মার্জিন ঋণনীতি। এতে ঋণের সীমা কড়াকড়ি করা হয়েছে।
১২ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ভারতের বস্ত্র খাতকে বৈশ্বিক মানদণ্ডের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে দেশটি একটি বিস্তৃত ‘ব্যয় রূপরেখা’ প্রস্তুত করছে। মূল্য প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশ, ভিয়েতনাম ও চীনের মতো প্রতিদ্বন্দ্বীদের কাছে ক্রমে অবস্থান হারাচ্ছে ভারত। এই রূপরেখায় থাকবে দুই বছরের স্বল্পমেয়াদি, পাঁচ বছরের মধ্যমেয়াদি এবং দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা। যেখানে কাঁচামাল, নীতি-অনুবর্তিতা ও কর কাঠামোসহ উৎপাদন খরচের বিভিন্ন উপাদান বিশ্লেষণ করা হবে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইকোনমিক টাইমসের খবরে বলা হয়েছে, ব্যয়বহুল কাঁচামালের পাশাপাশি ভারতের বস্ত্র খাতকে প্রতিদ্বন্দ্বীদের তুলনায় আরও ক্ষতিগ্রস্ত করছে উচ্চ পরিবহন ব্যয় ও জ্বালানির খরচ। এক সরকারি কর্মকর্তার ভাষায়, ‘লক্ষ্য হলো বৈশ্বিক প্রতিদ্বন্দ্বীদের সঙ্গে ভারতের ব্যয় কাঠামোর তুলনামূলক বিশ্লেষণ করা এবং উৎপাদন ও রপ্তানি খরচ কমানোর পাশাপাশি উৎপাদন প্রক্রিয়ায় অপচয় হ্রাসের উদ্যোগ নেওয়া।’
ভারত ২০৩০ সালের মধ্যে বস্ত্র রপ্তানি ১০০ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করতে চায়, যা বর্তমানে প্রায় ৪০ বিলিয়ন ডলারের কাছাকাছি। বাংলাদেশ ও ভিয়েতনামের শ্রম উৎপাদনশীলতা তুলনামূলকভাবে বেশি। তাদের শ্রম আইনও বেশি নমনীয়। তা ছাড়া, উন্নত বিশ্বের অনেক অঞ্চল থেকে তারা শুল্কমুক্ত কাঁচামাল সংগ্রহ করতে পারে এবং ইউরোপীয় বাজারে বাণিজ্য সুবিধাও পায়। ভিয়েতনাম আবার চীনা বাজারে শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকারের সুবিধাও ভোগ করে। অন্যদিকে, বাংলাদেশের শ্রমিকদের মজুরি ভারতের তুলনায় অনেক কম, যা তাদের প্রতিযোগিতামূলক সুবিধা দিয়েছে।
ভারতীয় বস্ত্র শিল্প খাতের অভ্যন্তরীণ সূত্র জানিয়েছে, ভারতের প্রতিদ্বন্দ্বী দেশগুলোর শ্রম উৎপাদনশীলতা ভারতের তুলনায় ২০ থেকে ৪০ শতাংশ বেশি। এই প্রেক্ষাপটে ভারতের বস্ত্র মন্ত্রণালয় তন্তু, কাপড়, প্রযুক্তিনির্ভর বস্ত্র, টেকসই উপাদান ও ডিজিটাল ট্রেসিংয়ের ক্ষেত্রে গবেষণা ও উদ্ভাবন জোরদার করার পরিকল্পনাও হাতে নিয়েছে।
এ ছাড়া, বৈশ্বিক বাজারের জন্য ব্র্যান্ডিং ও ডিজাইনে উদ্ভাবন সংযুক্ত করার উপায় খুঁজতে এবং নবীন বস্ত্র-স্টার্টআপ ও ডিজাইন হাউসগুলোর বিকাশে সহায়তা করতে একটি বিশেষ কমিটি গঠন করা হয়েছে। ওই কর্মকর্তা জানান, ‘শিল্প সংগঠন, ব্যাংক, ইনোভেশন ল্যাব, স্টার্টআপ ও আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে ব্যাপক পরামর্শ প্রক্রিয়া চালানো হবে।’
২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রথমার্ধে ভারতের বস্ত্র ও পোশাক রপ্তানি আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ০.৩৯ শতাংশ বেড়েছে। ভারতের চেম্বার অব কমার্সের টেক্সটাইল বিষয়ক জাতীয় বিশেষজ্ঞ কমিটির চেয়ারম্যান সঞ্জয় জৈন বলেন, ‘কোয়ালিটি কন্ট্রোল অর্ডার বাতিল, শ্রম আইনের সংস্কার এবং ইউরোপের সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি খরচ কমাতে বড় ভূমিকা রাখতে পারে।’
২০২৪-২৫ অর্থবছরের অর্থনৈতিক সমীক্ষায় বলা হয়েছে, বৈশ্বিকভাবে টেকসই উৎস থেকে পণ্য সংগ্রহের প্রবণতা বাড়ার কারণে আগামী বছরগুলোতে ভারতের বস্ত্রশিল্পের খরচ আরও বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে।

ভারতের বস্ত্র খাতকে বৈশ্বিক মানদণ্ডের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে দেশটি একটি বিস্তৃত ‘ব্যয় রূপরেখা’ প্রস্তুত করছে। মূল্য প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশ, ভিয়েতনাম ও চীনের মতো প্রতিদ্বন্দ্বীদের কাছে ক্রমে অবস্থান হারাচ্ছে ভারত। এই রূপরেখায় থাকবে দুই বছরের স্বল্পমেয়াদি, পাঁচ বছরের মধ্যমেয়াদি এবং দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা। যেখানে কাঁচামাল, নীতি-অনুবর্তিতা ও কর কাঠামোসহ উৎপাদন খরচের বিভিন্ন উপাদান বিশ্লেষণ করা হবে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইকোনমিক টাইমসের খবরে বলা হয়েছে, ব্যয়বহুল কাঁচামালের পাশাপাশি ভারতের বস্ত্র খাতকে প্রতিদ্বন্দ্বীদের তুলনায় আরও ক্ষতিগ্রস্ত করছে উচ্চ পরিবহন ব্যয় ও জ্বালানির খরচ। এক সরকারি কর্মকর্তার ভাষায়, ‘লক্ষ্য হলো বৈশ্বিক প্রতিদ্বন্দ্বীদের সঙ্গে ভারতের ব্যয় কাঠামোর তুলনামূলক বিশ্লেষণ করা এবং উৎপাদন ও রপ্তানি খরচ কমানোর পাশাপাশি উৎপাদন প্রক্রিয়ায় অপচয় হ্রাসের উদ্যোগ নেওয়া।’
ভারত ২০৩০ সালের মধ্যে বস্ত্র রপ্তানি ১০০ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করতে চায়, যা বর্তমানে প্রায় ৪০ বিলিয়ন ডলারের কাছাকাছি। বাংলাদেশ ও ভিয়েতনামের শ্রম উৎপাদনশীলতা তুলনামূলকভাবে বেশি। তাদের শ্রম আইনও বেশি নমনীয়। তা ছাড়া, উন্নত বিশ্বের অনেক অঞ্চল থেকে তারা শুল্কমুক্ত কাঁচামাল সংগ্রহ করতে পারে এবং ইউরোপীয় বাজারে বাণিজ্য সুবিধাও পায়। ভিয়েতনাম আবার চীনা বাজারে শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকারের সুবিধাও ভোগ করে। অন্যদিকে, বাংলাদেশের শ্রমিকদের মজুরি ভারতের তুলনায় অনেক কম, যা তাদের প্রতিযোগিতামূলক সুবিধা দিয়েছে।
ভারতীয় বস্ত্র শিল্প খাতের অভ্যন্তরীণ সূত্র জানিয়েছে, ভারতের প্রতিদ্বন্দ্বী দেশগুলোর শ্রম উৎপাদনশীলতা ভারতের তুলনায় ২০ থেকে ৪০ শতাংশ বেশি। এই প্রেক্ষাপটে ভারতের বস্ত্র মন্ত্রণালয় তন্তু, কাপড়, প্রযুক্তিনির্ভর বস্ত্র, টেকসই উপাদান ও ডিজিটাল ট্রেসিংয়ের ক্ষেত্রে গবেষণা ও উদ্ভাবন জোরদার করার পরিকল্পনাও হাতে নিয়েছে।
এ ছাড়া, বৈশ্বিক বাজারের জন্য ব্র্যান্ডিং ও ডিজাইনে উদ্ভাবন সংযুক্ত করার উপায় খুঁজতে এবং নবীন বস্ত্র-স্টার্টআপ ও ডিজাইন হাউসগুলোর বিকাশে সহায়তা করতে একটি বিশেষ কমিটি গঠন করা হয়েছে। ওই কর্মকর্তা জানান, ‘শিল্প সংগঠন, ব্যাংক, ইনোভেশন ল্যাব, স্টার্টআপ ও আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে ব্যাপক পরামর্শ প্রক্রিয়া চালানো হবে।’
২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রথমার্ধে ভারতের বস্ত্র ও পোশাক রপ্তানি আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ০.৩৯ শতাংশ বেড়েছে। ভারতের চেম্বার অব কমার্সের টেক্সটাইল বিষয়ক জাতীয় বিশেষজ্ঞ কমিটির চেয়ারম্যান সঞ্জয় জৈন বলেন, ‘কোয়ালিটি কন্ট্রোল অর্ডার বাতিল, শ্রম আইনের সংস্কার এবং ইউরোপের সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি খরচ কমাতে বড় ভূমিকা রাখতে পারে।’
২০২৪-২৫ অর্থবছরের অর্থনৈতিক সমীক্ষায় বলা হয়েছে, বৈশ্বিকভাবে টেকসই উৎস থেকে পণ্য সংগ্রহের প্রবণতা বাড়ার কারণে আগামী বছরগুলোতে ভারতের বস্ত্রশিল্পের খরচ আরও বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে।

বাংলাদেশের পতাকাবাহী বিমান পরিবহন সংস্থা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের কাছে ছয়টি ওয়াইড বডি এয়ারক্রাফট বিক্রি করার প্রস্তাব দিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানি বোয়িং। এর মধ্যে চারটি যাত্রীবাহী বোয়িং-৭৮৭ এবং দুটি মালবাহী (ফ্রেইটার) বোয়িং-৭৭৭। এদিকে ইউরোপের উড়োজাহাজ প্রস্তুতকারক কোম্পানি এয়ারবাসের প্রস
২২ মে ২০২৪
‘মথ’ ডালে হলুদ রঙ মিশিয়ে ‘মুগ’ ডালের নামে বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। এতে মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি রয়েছে বলে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। এ বিষয়ে সতর্ক থাকার জন্য নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ গণবিজ্ঞপ্তি জারি করেছে।
৯ মিনিট আগে
বিশ্ববাজারের দাপটে দেশের ইতিহাসে সোনার দামে রেকর্ড পতন হয়েছে। টানা তিন দিনের মধ্যে সোনার দাম মোট ১৫ হাজার ১৮৭ টাকা কমল। যার ফলে ভালো মানের সোনার ভরি ২ লাখ টাকার নিচে নেমে এসেছে।
৩ ঘণ্টা আগে
মার্জিন ঋণের কারণে অসংখ্য বিনিয়োগকারী সম্পূর্ণ অর্থ হারিয়ে পথে বসেছেন। একইভাবে পুঁজিবাজারে পতনের ফলে ঋণে ক্ষতির শিকার হচ্ছেন ঋণদাতারা। এর খেসারত দিচ্ছে পুরো বাজার। ভবিষ্যতে এ ধরনের ঝুঁকি কমাতে আসছে নতুন মার্জিন ঋণনীতি। এতে ঋণের সীমা কড়াকড়ি করা হয়েছে।
১২ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

বিশ্ববাজারের দাপটে দেশের ইতিহাসে সোনার দামে রেকর্ড পতন হয়েছে। টানা তিন দিনের মধ্যে সোনার দাম মোট ১৫ হাজার ১৮৭ টাকা কমল। যার ফলে ভালো মানের সোনার ভরি ২ লাখ টাকার নিচে নেমে এসেছে। জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস) গতকাল মঙ্গলবার রাতে এক বিবৃতিতে এই বিশাল দরপতনের ঘোষণা দিয়েছে। নতুন দাম আজ বুধবার থেকে কার্যকর হবে বলে জানানো হয়েছে।
বাজুসের সর্বশেষ সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম একলাফে ১০ হাজার ৪৭৪ টাকা কমানো হয়েছে। ফলে আজ থেকে ভালো মানের এই সোনার দাম কমে দাঁড়াচ্ছে ১ লাখ ৯৩ হাজার ৮০৯ টাকা।
জুয়েলার্স সমিতি জানিয়েছে, আন্তর্জাতিক বাজারে তেজাবি সোনা বা পিওর গোল্ডের দাম কমে যাওয়ার কারণেই স্থানীয় বাজারে এই সমন্বয় করা হয়েছে। বর্তমানে আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতি আউন্স সোনার দাম ৪ হাজার ডলারের নিচে নেমে এসেছে।
গত কয়েক দিনে সোনার দাম কমানোর ঘটনা ছিল নজিরবিহীন। এই নিয়ে চার দফায় সোনার দাম কমল, যেখানে মোট হ্রাসের পরিমাণ ২৩ হাজার ৫৭৩ টাকা প্রতি ভরিতে।
সর্বশেষ মঙ্গলবার রাতে প্রতি ভরিতে কমানো হলো ১০ হাজার ৪৭৪ টাকা, এর আগের দিন প্রতি ভরিতে কমানো হয় ৩ হাজার ৬৭৪ টাকা। এ ছাড়া ২৭ অক্টোবর কমানো হয়েছিল ১ হাজার ৩৯ টাকা এবং ২৪ অক্টোবর প্রথম দফায় বড় দরপতন ঘটে, কমানো হয় ৮ হাজার ৩৮৬ টাকা।
আজ বুধবার থেকে কার্যকর হওয়া নতুন দাম অনুযায়ী, বিভিন্ন মানের সোনার ভরিপ্রতি মূল্য নিম্নরূপ:

সোনার দামে বড়সড় ধস নামলেও রুপার দাম অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে।


বিশ্ববাজারের দাপটে দেশের ইতিহাসে সোনার দামে রেকর্ড পতন হয়েছে। টানা তিন দিনের মধ্যে সোনার দাম মোট ১৫ হাজার ১৮৭ টাকা কমল। যার ফলে ভালো মানের সোনার ভরি ২ লাখ টাকার নিচে নেমে এসেছে। জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস) গতকাল মঙ্গলবার রাতে এক বিবৃতিতে এই বিশাল দরপতনের ঘোষণা দিয়েছে। নতুন দাম আজ বুধবার থেকে কার্যকর হবে বলে জানানো হয়েছে।
বাজুসের সর্বশেষ সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম একলাফে ১০ হাজার ৪৭৪ টাকা কমানো হয়েছে। ফলে আজ থেকে ভালো মানের এই সোনার দাম কমে দাঁড়াচ্ছে ১ লাখ ৯৩ হাজার ৮০৯ টাকা।
জুয়েলার্স সমিতি জানিয়েছে, আন্তর্জাতিক বাজারে তেজাবি সোনা বা পিওর গোল্ডের দাম কমে যাওয়ার কারণেই স্থানীয় বাজারে এই সমন্বয় করা হয়েছে। বর্তমানে আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতি আউন্স সোনার দাম ৪ হাজার ডলারের নিচে নেমে এসেছে।
গত কয়েক দিনে সোনার দাম কমানোর ঘটনা ছিল নজিরবিহীন। এই নিয়ে চার দফায় সোনার দাম কমল, যেখানে মোট হ্রাসের পরিমাণ ২৩ হাজার ৫৭৩ টাকা প্রতি ভরিতে।
সর্বশেষ মঙ্গলবার রাতে প্রতি ভরিতে কমানো হলো ১০ হাজার ৪৭৪ টাকা, এর আগের দিন প্রতি ভরিতে কমানো হয় ৩ হাজার ৬৭৪ টাকা। এ ছাড়া ২৭ অক্টোবর কমানো হয়েছিল ১ হাজার ৩৯ টাকা এবং ২৪ অক্টোবর প্রথম দফায় বড় দরপতন ঘটে, কমানো হয় ৮ হাজার ৩৮৬ টাকা।
আজ বুধবার থেকে কার্যকর হওয়া নতুন দাম অনুযায়ী, বিভিন্ন মানের সোনার ভরিপ্রতি মূল্য নিম্নরূপ:

সোনার দামে বড়সড় ধস নামলেও রুপার দাম অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে।


বাংলাদেশের পতাকাবাহী বিমান পরিবহন সংস্থা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের কাছে ছয়টি ওয়াইড বডি এয়ারক্রাফট বিক্রি করার প্রস্তাব দিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানি বোয়িং। এর মধ্যে চারটি যাত্রীবাহী বোয়িং-৭৮৭ এবং দুটি মালবাহী (ফ্রেইটার) বোয়িং-৭৭৭। এদিকে ইউরোপের উড়োজাহাজ প্রস্তুতকারক কোম্পানি এয়ারবাসের প্রস
২২ মে ২০২৪
‘মথ’ ডালে হলুদ রঙ মিশিয়ে ‘মুগ’ ডালের নামে বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। এতে মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি রয়েছে বলে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। এ বিষয়ে সতর্ক থাকার জন্য নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ গণবিজ্ঞপ্তি জারি করেছে।
৯ মিনিট আগে
ভারতের বস্ত্র খাতকে বৈশ্বিক মানদণ্ডের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে দেশটি একটি বিস্তৃত ‘ব্যয় রূপরেখা’ প্রস্তুত করছে। মূল্য প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশ, ভিয়েতনাম ও চীনের মতো প্রতিদ্বন্দ্বীদের কাছে ক্রমে অবস্থান হারাচ্ছে ভারত। এই রূপরেখায় থাকবে দুই বছরের স্বল্পমেয়াদি, পাঁচ বছরের মধ্যমেয়াদি এবং দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা।
২ ঘণ্টা আগে
মার্জিন ঋণের কারণে অসংখ্য বিনিয়োগকারী সম্পূর্ণ অর্থ হারিয়ে পথে বসেছেন। একইভাবে পুঁজিবাজারে পতনের ফলে ঋণে ক্ষতির শিকার হচ্ছেন ঋণদাতারা। এর খেসারত দিচ্ছে পুরো বাজার। ভবিষ্যতে এ ধরনের ঝুঁকি কমাতে আসছে নতুন মার্জিন ঋণনীতি। এতে ঋণের সীমা কড়াকড়ি করা হয়েছে।
১২ ঘণ্টা আগেআসাদুজ্জামান নূর, ঢাকা

মার্জিন ঋণের কারণে অসংখ্য বিনিয়োগকারী সম্পূর্ণ অর্থ হারিয়ে পথে বসেছেন। একইভাবে পুঁজিবাজারে পতনের ফলে ঋণে ক্ষতির শিকার হচ্ছেন ঋণদাতারা। এর খেসারত দিচ্ছে পুরো বাজার। ভবিষ্যতে এ ধরনের ঝুঁকি কমাতে আসছে নতুন মার্জিন ঋণনীতি। এতে ঋণের সীমা কড়াকড়ি করা হয়েছে। দুর্বল বা ক্ষতিগ্রস্ত কোম্পানিতে ঋণ বিনিয়োগের সুযোগ বন্ধ করা হয়েছে। পাশাপাশি রয়েছে মার্জিন কল ও বাধ্যতামূলক বিক্রির (ফোর্সড সেল) নতুন নির্দেশনা।
নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) এসব বিধান রেখে ‘মার্জিন বিধিমালা, ২০২৫’-এর খসড়া অনুমোদন দিয়েছে। এ প্রসঙ্গে কমিশনার মো. সাইফুদ্দিন আজকের পত্রিকাকে জানান, নতুন নিয়মের লক্ষ্য—বিনিয়োগকারী ও ঋণদাতাকে নেগেটিভ ইকুইটির ফাঁদ থেকে রক্ষা করা। এ বিধান কার্যকর হলে বাজারে স্থিতিশীলতা ফিরে আসবে এবং ঝুঁকি নিয়ন্ত্রণে আসবে। শিগগিরই এটি গেজেট আকারে প্রকাশ করা হবে।
কেন প্রয়োজন ছিল নতুন আইন
দুই দশক ধরে বাজারে নিয়মের ফাঁকফোকর ও অতিরিক্ত ঋণ ব্যবহারের কারণে বহু প্রতিষ্ঠান ও বিনিয়োগকারী বিপুল ক্ষতির মুখে পড়েছেন। ২০০৭ থেকে ২০১২ সালে অতিরিক্ত ঋণনির্ভর বিনিয়োগের ফলে ২০১০ সালের ধস ভয়াবহ ক্ষতিতে রূপ নেয়। অনেক প্রতিষ্ঠান বাধ্যতামূলক মার্জিন কল না দেওয়ায় নেগেটিভ ইকুইটি জমে, যার পরিমাণ প্রায় ১৫-২০ হাজার কোটি টাকা। বিনিয়োগকারীদের মোট ক্ষতির পরিমাণ আনুমানিক ৫০-৭০ হাজার কোটি টাকা।
কমিশনার সাইফুদ্দিন বলেন, বিশেষ করে মধ্যবিত্ত বিনিয়োগকারীরা প্রথমবারের মতো বিনিয়োগ করে তাঁদের সঞ্চয় হারিয়েছেন। এ ক্ষতির স্মৃতি পুঁজিবাজারে এক প্রজন্মের মধ্যে গভীর অবিশ্বাস সৃষ্টি করেছে।
নতুন নিয়মে কী বদল
মার্জিনযোগ্য শেয়ারের সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে। শুধু ‘এ’ ক্যাটাগরির শেয়ার নয়, এবার ‘বি’ ক্যাটাগরির শেয়ারেও মার্জিন ঋণ দেওয়া যাবে। তবে কোম্পানিটির বছরে অন্তত ৫ শতাংশ লভ্যাংশ দিতে হবে। সামান্য ফ্রি ফ্লোট শেয়ার থাকা কোম্পানি (৫০ কোটি টাকার কম) মার্জিন ঋণ পাবে না।
নতুন আইনে দ্রুত সতর্কতা ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। আগের নিয়মে মূলধন ৫০ শতাংশ কমলে মার্জিন কল, ৭৫ শতাংশ কমলে বাধ্যতামূলক বিক্রি হতো; নতুন নিয়মে ২৫ শতাংশ কমলেই মার্জিন কল, ৫০ শতাংশ কমলেই ফোর্সড সেল হবে। এতে বিনিয়োগকারীরা আগেভাগে সতর্ক হয়ে ক্ষতি সীমিত রাখতে পারবেন।
ঋণের সীমা ও ঝুঁকি নিয়ন্ত্রণে বলা হয়েছে, কোনো ঋণদাতা তাঁর নিট সম্পদের তিন গুণের বেশি ঋণ দিতে পারবেন না। একক কোম্পানিকে সর্বোচ্চ ১০ কোটি টাকা বা নিট সম্পদের ১৫ শতাংশের মধ্যে যেটি কম, সে পরিমাণ ঋণ দেওয়া যাবে। প্রতি তিন মাসে মার্জিন অ্যাকাউন্টের পর্যালোচনা বাধ্যতামূলক।
বর্তমানে ১৭৭টি বাজার মধ্যস্থতাকারী প্রতিষ্ঠানে প্রায় ১৫ হাজার কোটি টাকার নেগেটিভ ইকুইটি রয়েছে। বিএসইসি জানিয়েছে, প্রতিষ্ঠানগুলোকে পরিচালনা পর্ষদের অনুমোদন নিয়ে ক্ষতি মেটানোর পরিকল্পনা দিতে হবে; সময়মতো পদক্ষেপ না হলে কমিশন ব্যবস্থা নেবে।
নতুন নিয়মে ঋণ প্রদানের আগে খাতের পারফরম্যান্স বিবেচনা বাধ্যতামূলক, যাতে বিনিয়োগকারী নিরাপদ থাকেন এবং প্রতিষ্ঠান অতিরিক্ত ঝুঁকিতে না পড়ে।
বিএসইসি কমিশনার সাইফুদ্দিন জানিয়েছেন, এ বিধান কার্যকর হলে বিনিয়োগকারীরা অন্তত ৫০ শতাংশ অর্থ ফেরত পাবেন।
অর্থনীতিবিদ হেলাল আহমেদ জনি মনে করেন, নতুন নীতিমালা কার্যকর হলে শেয়ারবাজারে দীর্ঘমেয়াদি স্থিতিশীলতা ফিরে আসবে।
তবে বাংলাদেশ ক্যাপিটাল মার্কেট ইনভেস্টর অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মানিক সতর্ক করে বলেছেন, খসড়া মার্জিন নিয়মে কিছু ফাঁকি রয়েছে। বড় বিনিয়োগকারীরা শেয়ার বিক্রি করে বাজার থেকে সরে যেতে পারেন।

মার্জিন ঋণের কারণে অসংখ্য বিনিয়োগকারী সম্পূর্ণ অর্থ হারিয়ে পথে বসেছেন। একইভাবে পুঁজিবাজারে পতনের ফলে ঋণে ক্ষতির শিকার হচ্ছেন ঋণদাতারা। এর খেসারত দিচ্ছে পুরো বাজার। ভবিষ্যতে এ ধরনের ঝুঁকি কমাতে আসছে নতুন মার্জিন ঋণনীতি। এতে ঋণের সীমা কড়াকড়ি করা হয়েছে। দুর্বল বা ক্ষতিগ্রস্ত কোম্পানিতে ঋণ বিনিয়োগের সুযোগ বন্ধ করা হয়েছে। পাশাপাশি রয়েছে মার্জিন কল ও বাধ্যতামূলক বিক্রির (ফোর্সড সেল) নতুন নির্দেশনা।
নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) এসব বিধান রেখে ‘মার্জিন বিধিমালা, ২০২৫’-এর খসড়া অনুমোদন দিয়েছে। এ প্রসঙ্গে কমিশনার মো. সাইফুদ্দিন আজকের পত্রিকাকে জানান, নতুন নিয়মের লক্ষ্য—বিনিয়োগকারী ও ঋণদাতাকে নেগেটিভ ইকুইটির ফাঁদ থেকে রক্ষা করা। এ বিধান কার্যকর হলে বাজারে স্থিতিশীলতা ফিরে আসবে এবং ঝুঁকি নিয়ন্ত্রণে আসবে। শিগগিরই এটি গেজেট আকারে প্রকাশ করা হবে।
কেন প্রয়োজন ছিল নতুন আইন
দুই দশক ধরে বাজারে নিয়মের ফাঁকফোকর ও অতিরিক্ত ঋণ ব্যবহারের কারণে বহু প্রতিষ্ঠান ও বিনিয়োগকারী বিপুল ক্ষতির মুখে পড়েছেন। ২০০৭ থেকে ২০১২ সালে অতিরিক্ত ঋণনির্ভর বিনিয়োগের ফলে ২০১০ সালের ধস ভয়াবহ ক্ষতিতে রূপ নেয়। অনেক প্রতিষ্ঠান বাধ্যতামূলক মার্জিন কল না দেওয়ায় নেগেটিভ ইকুইটি জমে, যার পরিমাণ প্রায় ১৫-২০ হাজার কোটি টাকা। বিনিয়োগকারীদের মোট ক্ষতির পরিমাণ আনুমানিক ৫০-৭০ হাজার কোটি টাকা।
কমিশনার সাইফুদ্দিন বলেন, বিশেষ করে মধ্যবিত্ত বিনিয়োগকারীরা প্রথমবারের মতো বিনিয়োগ করে তাঁদের সঞ্চয় হারিয়েছেন। এ ক্ষতির স্মৃতি পুঁজিবাজারে এক প্রজন্মের মধ্যে গভীর অবিশ্বাস সৃষ্টি করেছে।
নতুন নিয়মে কী বদল
মার্জিনযোগ্য শেয়ারের সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে। শুধু ‘এ’ ক্যাটাগরির শেয়ার নয়, এবার ‘বি’ ক্যাটাগরির শেয়ারেও মার্জিন ঋণ দেওয়া যাবে। তবে কোম্পানিটির বছরে অন্তত ৫ শতাংশ লভ্যাংশ দিতে হবে। সামান্য ফ্রি ফ্লোট শেয়ার থাকা কোম্পানি (৫০ কোটি টাকার কম) মার্জিন ঋণ পাবে না।
নতুন আইনে দ্রুত সতর্কতা ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। আগের নিয়মে মূলধন ৫০ শতাংশ কমলে মার্জিন কল, ৭৫ শতাংশ কমলে বাধ্যতামূলক বিক্রি হতো; নতুন নিয়মে ২৫ শতাংশ কমলেই মার্জিন কল, ৫০ শতাংশ কমলেই ফোর্সড সেল হবে। এতে বিনিয়োগকারীরা আগেভাগে সতর্ক হয়ে ক্ষতি সীমিত রাখতে পারবেন।
ঋণের সীমা ও ঝুঁকি নিয়ন্ত্রণে বলা হয়েছে, কোনো ঋণদাতা তাঁর নিট সম্পদের তিন গুণের বেশি ঋণ দিতে পারবেন না। একক কোম্পানিকে সর্বোচ্চ ১০ কোটি টাকা বা নিট সম্পদের ১৫ শতাংশের মধ্যে যেটি কম, সে পরিমাণ ঋণ দেওয়া যাবে। প্রতি তিন মাসে মার্জিন অ্যাকাউন্টের পর্যালোচনা বাধ্যতামূলক।
বর্তমানে ১৭৭টি বাজার মধ্যস্থতাকারী প্রতিষ্ঠানে প্রায় ১৫ হাজার কোটি টাকার নেগেটিভ ইকুইটি রয়েছে। বিএসইসি জানিয়েছে, প্রতিষ্ঠানগুলোকে পরিচালনা পর্ষদের অনুমোদন নিয়ে ক্ষতি মেটানোর পরিকল্পনা দিতে হবে; সময়মতো পদক্ষেপ না হলে কমিশন ব্যবস্থা নেবে।
নতুন নিয়মে ঋণ প্রদানের আগে খাতের পারফরম্যান্স বিবেচনা বাধ্যতামূলক, যাতে বিনিয়োগকারী নিরাপদ থাকেন এবং প্রতিষ্ঠান অতিরিক্ত ঝুঁকিতে না পড়ে।
বিএসইসি কমিশনার সাইফুদ্দিন জানিয়েছেন, এ বিধান কার্যকর হলে বিনিয়োগকারীরা অন্তত ৫০ শতাংশ অর্থ ফেরত পাবেন।
অর্থনীতিবিদ হেলাল আহমেদ জনি মনে করেন, নতুন নীতিমালা কার্যকর হলে শেয়ারবাজারে দীর্ঘমেয়াদি স্থিতিশীলতা ফিরে আসবে।
তবে বাংলাদেশ ক্যাপিটাল মার্কেট ইনভেস্টর অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মানিক সতর্ক করে বলেছেন, খসড়া মার্জিন নিয়মে কিছু ফাঁকি রয়েছে। বড় বিনিয়োগকারীরা শেয়ার বিক্রি করে বাজার থেকে সরে যেতে পারেন।

বাংলাদেশের পতাকাবাহী বিমান পরিবহন সংস্থা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের কাছে ছয়টি ওয়াইড বডি এয়ারক্রাফট বিক্রি করার প্রস্তাব দিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানি বোয়িং। এর মধ্যে চারটি যাত্রীবাহী বোয়িং-৭৮৭ এবং দুটি মালবাহী (ফ্রেইটার) বোয়িং-৭৭৭। এদিকে ইউরোপের উড়োজাহাজ প্রস্তুতকারক কোম্পানি এয়ারবাসের প্রস
২২ মে ২০২৪
‘মথ’ ডালে হলুদ রঙ মিশিয়ে ‘মুগ’ ডালের নামে বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। এতে মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি রয়েছে বলে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। এ বিষয়ে সতর্ক থাকার জন্য নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ গণবিজ্ঞপ্তি জারি করেছে।
৯ মিনিট আগে
ভারতের বস্ত্র খাতকে বৈশ্বিক মানদণ্ডের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে দেশটি একটি বিস্তৃত ‘ব্যয় রূপরেখা’ প্রস্তুত করছে। মূল্য প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশ, ভিয়েতনাম ও চীনের মতো প্রতিদ্বন্দ্বীদের কাছে ক্রমে অবস্থান হারাচ্ছে ভারত। এই রূপরেখায় থাকবে দুই বছরের স্বল্পমেয়াদি, পাঁচ বছরের মধ্যমেয়াদি এবং দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা।
২ ঘণ্টা আগে
বিশ্ববাজারের দাপটে দেশের ইতিহাসে সোনার দামে রেকর্ড পতন হয়েছে। টানা তিন দিনের মধ্যে সোনার দাম মোট ১৫ হাজার ১৮৭ টাকা কমল। যার ফলে ভালো মানের সোনার ভরি ২ লাখ টাকার নিচে নেমে এসেছে।
৩ ঘণ্টা আগে