আনোয়ার সাদাৎ ইমরান, টাঙ্গাইল
ঈদের আনন্দে টাঙ্গাইলের তাঁতপল্লি রাঙাতে তৈরি হয় লাখো শাড়ি। ঐতিহ্যের সঙ্গে আধুনিকতার ছোঁয়া, নতুন নকশায় আকৃষ্ট করার চেষ্টা। দামও রাখা হচ্ছে সাধ্যের মধ্যে—৫০০ থেকে ১০-১২ হাজার টাকা পর্যন্ত। কিন্তু এবার সেই চিরচেনা ব্যস্ততা নেই, জেলার পাথরাইলের দোকানগুলোয় নেই আশানুরূপ ক্রেতা। ব্যবসায়ীদের অলস সময় কাটছে অপেক্ষায়। তবে আশার আলো দেখা যাচ্ছে ভারতের বাজারে—সেখানে টাঙ্গাইল শাড়ির চাহিদা বেড়েছে, রপ্তানিও হয়েছে বেশি। ফলে স্থানীয় বাজারের মন্দাভাব কিছুটা হলেও পুষিয়ে নিচ্ছে এই বিদেশি চাহিদা।
যদিও একসময় উৎসবের আগে টাঙ্গাইলের তাঁতপল্লিগুলোয় থেমে থাকার সুযোগ থাকত না। তাঁতিদের দিনরাত ব্যস্ততায় মুখর থাকত তাঁতের ঘর, গৃহস্থবাড়ির উঠোন, এমনকি বাজারের গলিগুলোও। এবার সে দৃশ্য বদলে গেছে। অর্থনীতির ধীরগতি, বাজারে টাকার প্রবাহ কমে যাওয়া, প্রভাবশালী ক্রেতাদের অনাগ্রহ—সব মিলিয়ে বিক্রিতে নেমে এসেছে বড় ধাক্কা। অনেকেই আগে একাধিক শাড়ি কিনলেও এবার তা নেমে এসেছে মাত্র দু-একটিতে। ব্যবসায়ীরা নতুন ডিজাইনের শাড়ি তৈরি করলেও আশানুরূপ সাড়া পাচ্ছেন না।
এ বিষয়ে অবশ্য স্বস্তির কথা জানিয়েছেন টাঙ্গাইল শাড়ি ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি রঘুনাথ বসাক। তিনি আজকের পত্রিকাকে জানান, ‘দেশের বাজারে এবার ঈদে টাঙ্গাইল শাড়ি বিক্রিতে মন্দাভাব পরিলক্ষিত হলেও ভারতের বাজারে কিন্তু আগের তুলনায় চাহিদা বেড়ে গেছে। এবার ঈদে এটাই কিছুটা সান্ত্বনা দিয়েছে। তা না হলে এবার টাঙ্গাইল শাড়ির ব্যবসা বড় ধসের মুখে পড়ত।’
স্থানীয় বাজারে এ সংকট যেন দীর্ঘদিনের অবক্ষয়েরই এক প্রতিফলন। একসময় টাঙ্গাইলের তাঁতশিল্প ছিল বাংলার ঐতিহ্যের প্রতীক। করটিয়া, দেলদুয়ার ও সন্তোষের জমিদারদের পৃষ্ঠপোষকতায় বিস্তৃত হয়েছিল এ শিল্পের স্বর্ণযুগ। ১৯৯২ সালে টাঙ্গাইলে তাঁতের সংখ্যা ছিল এক লাখেরও বেশি, যেখানে কাজ করতেন প্রায় দেড় লাখ তাঁতি। ২০১৩ সালের শুমারিতে তাঁতের সংখ্যা কমে দাঁড়ায় ৬০ হাজারে। আর এখন তা নেমে এসেছে মাত্র ৩৪ হাজার ৪০২-এ, যার বেশির ভাগই বন্ধ হয়ে গেছে।
ক্রমেই সংকুচিত হওয়ার পেছনের কারণ দক্ষ কারিগরের অভাব। যাঁরা হাতে শাড়ি বুনতে পারতেন, তাঁরা ধীরে ধীরে অন্য পেশায় চলে গেছেন। শ্রমঘন হ্যান্ডলুমের জায়গা দখল করেছে মেশিনচালিত পাওয়ারলুম। কারণ এতে খরচ কম। কিন্তু তাঁতিরা বলছেন, এতে শাড়ির সৌন্দর্য ও আরামদায়ক অনুভূতি হারিয়ে যাচ্ছে। কারিগর সংকটের পাশাপাশি এলসি জটিলতায় সুতা আমদানি কমেছে, যার প্রভাব পড়েছে উৎপাদনে।
ব্যবসায়ী পলাশ বসাক বললেন, আগের ঈদ মৌসুমে ব্যস্ততার কারণে কথা বলারও সময় পাওয়া যেত না। এবার দিনের পর দিন দোকানে বসে থাকতে হচ্ছে, ক্রেতা নেই। নিমাই চন্দ্র বসাক জানান, জামদানিতে নতুনত্ব আনা হলেও তেমন বিক্রি নেই। পাইকাররা কম পরিমাণে শাড়ি কিনছেন, কারণ বাজারের পরিস্থিতি নিয়ে শঙ্কিত তাঁরা।
শাড়ি ক্রেতা রোমানা বেগম বলেন, ‘টাঙ্গাইল শাড়ি খুবই পছন্দের। তাই উৎসব এলেই পাথরাইলে শাড়ি কিনতে আসি। এবারও কিনতে এসেছি। তবে গতবার কয়েকটি কিনেছি। এবার দুটির বেশি কিনতে পারছি না।’
ঈদের আনন্দে টাঙ্গাইলের তাঁতপল্লি রাঙাতে তৈরি হয় লাখো শাড়ি। ঐতিহ্যের সঙ্গে আধুনিকতার ছোঁয়া, নতুন নকশায় আকৃষ্ট করার চেষ্টা। দামও রাখা হচ্ছে সাধ্যের মধ্যে—৫০০ থেকে ১০-১২ হাজার টাকা পর্যন্ত। কিন্তু এবার সেই চিরচেনা ব্যস্ততা নেই, জেলার পাথরাইলের দোকানগুলোয় নেই আশানুরূপ ক্রেতা। ব্যবসায়ীদের অলস সময় কাটছে অপেক্ষায়। তবে আশার আলো দেখা যাচ্ছে ভারতের বাজারে—সেখানে টাঙ্গাইল শাড়ির চাহিদা বেড়েছে, রপ্তানিও হয়েছে বেশি। ফলে স্থানীয় বাজারের মন্দাভাব কিছুটা হলেও পুষিয়ে নিচ্ছে এই বিদেশি চাহিদা।
যদিও একসময় উৎসবের আগে টাঙ্গাইলের তাঁতপল্লিগুলোয় থেমে থাকার সুযোগ থাকত না। তাঁতিদের দিনরাত ব্যস্ততায় মুখর থাকত তাঁতের ঘর, গৃহস্থবাড়ির উঠোন, এমনকি বাজারের গলিগুলোও। এবার সে দৃশ্য বদলে গেছে। অর্থনীতির ধীরগতি, বাজারে টাকার প্রবাহ কমে যাওয়া, প্রভাবশালী ক্রেতাদের অনাগ্রহ—সব মিলিয়ে বিক্রিতে নেমে এসেছে বড় ধাক্কা। অনেকেই আগে একাধিক শাড়ি কিনলেও এবার তা নেমে এসেছে মাত্র দু-একটিতে। ব্যবসায়ীরা নতুন ডিজাইনের শাড়ি তৈরি করলেও আশানুরূপ সাড়া পাচ্ছেন না।
এ বিষয়ে অবশ্য স্বস্তির কথা জানিয়েছেন টাঙ্গাইল শাড়ি ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি রঘুনাথ বসাক। তিনি আজকের পত্রিকাকে জানান, ‘দেশের বাজারে এবার ঈদে টাঙ্গাইল শাড়ি বিক্রিতে মন্দাভাব পরিলক্ষিত হলেও ভারতের বাজারে কিন্তু আগের তুলনায় চাহিদা বেড়ে গেছে। এবার ঈদে এটাই কিছুটা সান্ত্বনা দিয়েছে। তা না হলে এবার টাঙ্গাইল শাড়ির ব্যবসা বড় ধসের মুখে পড়ত।’
স্থানীয় বাজারে এ সংকট যেন দীর্ঘদিনের অবক্ষয়েরই এক প্রতিফলন। একসময় টাঙ্গাইলের তাঁতশিল্প ছিল বাংলার ঐতিহ্যের প্রতীক। করটিয়া, দেলদুয়ার ও সন্তোষের জমিদারদের পৃষ্ঠপোষকতায় বিস্তৃত হয়েছিল এ শিল্পের স্বর্ণযুগ। ১৯৯২ সালে টাঙ্গাইলে তাঁতের সংখ্যা ছিল এক লাখেরও বেশি, যেখানে কাজ করতেন প্রায় দেড় লাখ তাঁতি। ২০১৩ সালের শুমারিতে তাঁতের সংখ্যা কমে দাঁড়ায় ৬০ হাজারে। আর এখন তা নেমে এসেছে মাত্র ৩৪ হাজার ৪০২-এ, যার বেশির ভাগই বন্ধ হয়ে গেছে।
ক্রমেই সংকুচিত হওয়ার পেছনের কারণ দক্ষ কারিগরের অভাব। যাঁরা হাতে শাড়ি বুনতে পারতেন, তাঁরা ধীরে ধীরে অন্য পেশায় চলে গেছেন। শ্রমঘন হ্যান্ডলুমের জায়গা দখল করেছে মেশিনচালিত পাওয়ারলুম। কারণ এতে খরচ কম। কিন্তু তাঁতিরা বলছেন, এতে শাড়ির সৌন্দর্য ও আরামদায়ক অনুভূতি হারিয়ে যাচ্ছে। কারিগর সংকটের পাশাপাশি এলসি জটিলতায় সুতা আমদানি কমেছে, যার প্রভাব পড়েছে উৎপাদনে।
ব্যবসায়ী পলাশ বসাক বললেন, আগের ঈদ মৌসুমে ব্যস্ততার কারণে কথা বলারও সময় পাওয়া যেত না। এবার দিনের পর দিন দোকানে বসে থাকতে হচ্ছে, ক্রেতা নেই। নিমাই চন্দ্র বসাক জানান, জামদানিতে নতুনত্ব আনা হলেও তেমন বিক্রি নেই। পাইকাররা কম পরিমাণে শাড়ি কিনছেন, কারণ বাজারের পরিস্থিতি নিয়ে শঙ্কিত তাঁরা।
শাড়ি ক্রেতা রোমানা বেগম বলেন, ‘টাঙ্গাইল শাড়ি খুবই পছন্দের। তাই উৎসব এলেই পাথরাইলে শাড়ি কিনতে আসি। এবারও কিনতে এসেছি। তবে গতবার কয়েকটি কিনেছি। এবার দুটির বেশি কিনতে পারছি না।’
চীন থেকে তুরস্ক হয়ে ইউরোপ— এই রেলপথে নিয়মিত মালবাহী ট্রেনের ঐতিহাসিক চলাচল শুরু হলো। গত ৯ জুলাই চীনের চংকিং ও চেংদু শহর থেকে ২,০০০ টন কার্গোবোঝাই দুটি ট্রেন রওনা দিয়েছে। ‘মিডল করিডর’ নামে পরিচিত মধ্য এশিয়া, কাস্পিয়ান সাগর ও তুরস্ক পেরিয়ে ইউরোপমুখী এই রুট পূর্ব এশিয়া থেকে ইউরোপের মধ্যে বিকল্প
১ ঘণ্টা আগেবিশ্বের বৃহত্তম গম রপ্তানিকারক দেশ রাশিয়া। নতুন বিপণন মৌসুমে (১ জুলাই থেকে শুরু) শস্য রপ্তানির জন্য নতুন বাজার খুঁজতে শুরু করেছে তারা। বিশেষ করে ভিয়েতনাম, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, ফিলিপাইন এবং বাংলাদেশের মতো বড় বাজারগুলোকে এবার টার্গেট করছে।
৫ ঘণ্টা আগেট্রাম্প প্রশাসন বৈদ্যুতিক গাড়ির (ইভি) ব্যাটারি তৈরির জন্য অত্যাবশ্যকীয় কাঁচামাল গ্রাফাইটের ওপর বড় ধরনের শুল্ক আরোপ করেছে। এর ফলে, যুক্তরাষ্ট্রে ইভি তৈরির খরচ উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়ে যেতে পারে। মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
৫ ঘণ্টা আগেরাশিয়ার জ্বালানি খাতকে লক্ষ্য করে ঘোষিত নতুন নিষেধাজ্ঞার অংশ হিসেবে ভারতের বৃহত্তম তেল শোধনাগারের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। এই তেল শোধনাগারটি পরিচালনা করে নায়ারা এনার্জি লিমিটেড, যার মালিকানার বড় একটি অংশ রাশিয়ার রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান রসনেফটের।
২০ ঘণ্টা আগে