Ajker Patrika

পোশাক খাতে চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সরকারের নীতিগত সহায়তা চায় বিজিএমইএ

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ০৩ অক্টোবর ২০২৩, ২০: ৫০
পোশাক খাতে চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সরকারের নীতিগত সহায়তা চায় বিজিএমইএ

পোশাক খাতে চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সরকারের নীতিগত সহায়তা চায় বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সংগঠন (বিজিএমইএ)। আজ মঙ্গলবার অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগের সচিব ড. মো. খায়েরুজ্জামান মজুমদারের সঙ্গে সচিবালয়ে বৈঠকে এ দাবি করেন ব্যবসায়ীরা। বিজিএমইএ থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য দেওয়া হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসানের নেতৃত্বে প্রতিনিধিদলে ছিলেন সিনিয়র সহসভাপতি এস এম মান্নান (কচি) ও সহসভাপতি রাকিবুল আলম চৌধুরী। বৈঠকে দেশের তৈরি পোশাকশিল্প, এর সম্ভাবনা এবং টেকসই প্রবৃদ্ধি ও উন্নয়নের রূপকল্প সম্পর্কিত বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা হয়। 

বৈঠকে বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান বৈশ্বিক অর্থনীতিতে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের গভীর প্রভাব এবং এই প্রভাবের কারণে বাংলাদেশের তৈরি পোশাকশিল্প যেসব চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয়েছে, সেগুলো তুলে ধরেন।

তিনি বলেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইইউ দেশগুলোতে ব্যাপক মূল্যস্ফীতি সৃষ্টি হয়েছে। ইউরোপ ও আমেরিকার মতো প্রধান রপ্তানি বাজারগুলোতে পোশাকের চাহিদা হ্রাস পেয়েছে। কারণ, ভোক্তারা পোশাকের চেয়ে খাদ্য এবং জ্বালানির মতো নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে। এর ফলে ইউরোপ ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানি কমেছে।

রপ্তানি হ্রাস রিজার্ভের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে উল্লেখ করে ফারুক হাসান বলেন, বাংলাদেশের মোট রপ্তানি আয়ের ৮৪ শতাংশের বেশি আসে তৈরি পোশাক খাত থেকে। পোশাক খাতে রপ্তানি কমে যাওয়া দেশের বৈদেশিক রিজার্ভের ওপর সরাসরি প্রভাব রাখছে।

সরকারের নীতিগত সহায়তা চেয়ে বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, পোশাকশিল্পের এই সংকটময় পরিস্থিতিতে চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে বৈশ্বিক বাজারে শিল্পের প্রতিযোগিতার সক্ষমতা ধরে রাখতে সরকারের সহায়তার প্রয়োজন।

তিনি আরও বলেন, ‘বিশ্বব্যাপী উচ্চ চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে ম্যান-মেইড ফাইবারভিত্তিক পোশাকসহ নন-কটন পণ্যগুলোতে যাওয়ার মাধ্যমে পণ্য বৈচিত্র্যকরণ হচ্ছে, যা এই শিল্পের ক্রমবর্ধমান গুরুত্বের দিকটা তুলে ধরছে। নীতি সহায়তার মাধ্যমে পণ্য বৈচিত্র্যকরণকে উৎসাহিত করা এবং সহজতর করার জন্য সরকারের প্রতি অনুরোধ জানাই।’

পরিবেশগত টেকসই উন্নয়নের জন্য শিল্পের প্রতিশ্রুতি, বিশেষ রিসাইক্লিংয়ে সক্ষমতা তৈরি এবং সার্কুলার অর্থনীতি গ্রহণে শিল্পের প্রচেষ্টাগুলো তুলে ধরেন বিজিএমইএ নেতারা। ফারুক হাসান বলেন, বাংলাদেশের পোশাকশিল্পের মধ্যে রিসাইক্লিং এবং সার্কুলারটির প্রসারের জন্যও সরকারের নীতি সহায়তা প্রয়োজন।

এ ছাড়া বিজিএমইএর প্রতিনিধিদল অর্থসচিব ড. মো. খায়েরুজ্জামান মজুমদারের কাছে পোশাকশিল্পের জন্য ব্যাংকিং খাত থেকে সহজতর এবং দ্রুততর সেবা প্রদানেরও অনুরোধ জানিয়েছেন বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত