নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
পুঁজিবাজারে নতুন পণ্য হিসেবে কমোডটি ডেরিভেটিভস চালুর উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। পণ্যটি চালু করার ক্ষেত্রে এর সম্ভাবনা ও আইনি কাঠামো কী হবে, সেগুলো নিয়ে আলোচনাও হচ্ছে।
আজ সোমবার এ সংক্রান্ত কর্মশালাও করেছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। বিএসইসির কমিশনার ফারজানা লালারুখের সভাপতিত্বে ১০টায় এ কর্মশালা শুরু হয়।
বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, বিএসইসির মাল্টিপারপাস হলে ‘বাংলাদেশে কমোডটি ডেরিভেটিভস চালুকরণের সম্ভাবনা ও আইনি কাঠামো’ শীর্ষক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। কমোডটি ডেরিভেটিভস হলো এক ধরনের আর্থিক চুক্তি, যা পুঁজিবাজারে লেনদেন হবে। ডেরিভেটিভসের মাধ্যমে বিভিন্ন পণ্য, যেমন—তেল, সোনার, গমের বা প্রাকৃতিক গ্যাসের মতো মৌলিক পণ্যের বেচাকেনা পূর্বনির্ধারিত মূল্যে ভবিষ্যতের নির্দিষ্ট তারিখে সম্পন্ন হবে।
পণ্যের উৎপাদক ও ভোক্তারা এই ডেরিভেটিভস ব্যবহার করে মূল্য অস্থিরতা নিয়ন্ত্রণ করতে এবং প্রতিকূল বাজার পরিস্থিতি থেকে নিজেদের রক্ষা করতে পারেন। উদাহরণস্বরূপ, একজন গমচাষি ডেরিভেটিভস বা ভবিষ্যৎ চুক্তিতে প্রবেশ করে একটি নির্দিষ্ট মূল্যে পণ্যের চুক্তি বিক্রি করতে পারবেন। এর ফলে পরবর্তীতে ওই পণ্যের দর কমলেও তিনি নির্ধারিত অর্থ পাবেন এবং লোকসান এড়াতে পারবেন।
কমোডটি ডেরিভেটিভসের মাধ্যমে ভবিষ্যৎ অনুমান (স্পেকুলেশন) থেকে ট্রেডার ও বিনিয়োগকারীরা কমোডটি বাজারের মূল্য পরিবর্তনের পূর্বাভাস দিয়ে এই ডেরিভেটিভস কিনে বা বিক্রি করে মুনাফা অর্জনের চেষ্টা করেন। এই স্পেকুলেশন কার্যকলাপ বাজারে তারল্য বাড়ায়। সঠিক পূর্বাভাসের মাধ্যমে মুনাফা লাভের সুযোগ সৃষ্টি হয়।
বিএসইসি জানায়, কর্মশালায় বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক, অর্থ মন্ত্রণালয় ও এর অর্থ বিভাগ, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, শিল্প মন্ত্রণালয়, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর), ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই), চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই), বাংলাদেশ একাডেমি ফর সিকিউরিটিজ মার্কেটস (বিএএসএম), বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ক্যাপিটাল মার্কেটসহ (বিআইসিএম) পুঁজিবাজারসংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন।
কর্মশালায় সভাপতির বক্তব্যে বিএসইসির কমিশনার ফারজানা লালারুখ বলেন, দেশে কমোডটি এক্সচেঞ্জের অনেক সম্ভাবনা রয়েছে। বাংলাদেশে কমোডটি ডেরিভেটিভসের সফলতার জন্য সক্ষমতা বৃদ্ধি, সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণ এবং ভবিষ্যতের জন্য প্রয়োজনীয় পূর্বপ্রস্তুতি নিশ্চিত করা অনেক বেশি জরুরি। কমোডটি ডেরিভেটিভসের সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে দেশের পুঁজিবাজারের উন্নয়ন সাধনে সংশ্লিষ্ট সকলের সহায়তা কামনা করেন তিনি।
মোহাম্মদ রেজাউল করিম কর্মশালায় মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন। এ ছাড়াও বিএসইসির পরিচালক মোহাম্মদ আবুল হাসানের সঞ্চালনায় কমোডটি ডেরিভেটিভ চালু করার ক্ষেত্রে সম্ভাবনা এবং এ সংক্রান্ত ঝুঁকি নিয়ে প্যানেল আলোচনা হয়। প্যানেল আলোচনায় আলোচক হিসেবে বিএসইসির পরিচালক মো. আবুল কালাম, সিসিবিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফরহাদ আহমেদ, ডিএসইর মহাব্যবস্থাপক ও ভারপ্রাপ্ত প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা (সিওও) মো. ছামিউল ইসলাম, সিএসইর ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাইফুর রহমান মজুমদার অংশ নেন।
কর্মশালায় ডেরিভেটিভস ও ডেরিভেটিভস মার্কেট, কমোডটি এক্সচেঞ্জের প্রোডাক্ট ও লেনদেন সংশ্লিষ্ট বিষয়, বাংলাদেশে কমোডটি ডেরিভেটিভস মার্কেটের সুযোগ ও সম্ভাবনা, এক্সচেঞ্জে কমোডটি ডেরিভেটিভের ট্রেডিং মেকানিজম, কমোডটি ডেরিভেটিভসের ট্রেডিংয়ের ক্লিয়ারিং ও সেটেলমেন্ট প্রক্রিয়া ইত্যাদি বিষয়ে আলোচনা হয়। এ ছাড়াও দেশে কমোডটি ডেরিভেটিভস মার্কেট চালু করার ক্ষেত্রে বিদ্যমান চ্যালেঞ্জ এবং সম্ভাব্য সমাধান, বাজারের অংশীজন, কমোডটি এক্সচেঞ্জ বিধিমালাসহ সংশ্লিষ্ট আরও অনেক বিষয়ে আলোচনা হয়।
পুঁজিবাজারে নতুন পণ্য হিসেবে কমোডটি ডেরিভেটিভস চালুর উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। পণ্যটি চালু করার ক্ষেত্রে এর সম্ভাবনা ও আইনি কাঠামো কী হবে, সেগুলো নিয়ে আলোচনাও হচ্ছে।
আজ সোমবার এ সংক্রান্ত কর্মশালাও করেছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। বিএসইসির কমিশনার ফারজানা লালারুখের সভাপতিত্বে ১০টায় এ কর্মশালা শুরু হয়।
বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, বিএসইসির মাল্টিপারপাস হলে ‘বাংলাদেশে কমোডটি ডেরিভেটিভস চালুকরণের সম্ভাবনা ও আইনি কাঠামো’ শীর্ষক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। কমোডটি ডেরিভেটিভস হলো এক ধরনের আর্থিক চুক্তি, যা পুঁজিবাজারে লেনদেন হবে। ডেরিভেটিভসের মাধ্যমে বিভিন্ন পণ্য, যেমন—তেল, সোনার, গমের বা প্রাকৃতিক গ্যাসের মতো মৌলিক পণ্যের বেচাকেনা পূর্বনির্ধারিত মূল্যে ভবিষ্যতের নির্দিষ্ট তারিখে সম্পন্ন হবে।
পণ্যের উৎপাদক ও ভোক্তারা এই ডেরিভেটিভস ব্যবহার করে মূল্য অস্থিরতা নিয়ন্ত্রণ করতে এবং প্রতিকূল বাজার পরিস্থিতি থেকে নিজেদের রক্ষা করতে পারেন। উদাহরণস্বরূপ, একজন গমচাষি ডেরিভেটিভস বা ভবিষ্যৎ চুক্তিতে প্রবেশ করে একটি নির্দিষ্ট মূল্যে পণ্যের চুক্তি বিক্রি করতে পারবেন। এর ফলে পরবর্তীতে ওই পণ্যের দর কমলেও তিনি নির্ধারিত অর্থ পাবেন এবং লোকসান এড়াতে পারবেন।
কমোডটি ডেরিভেটিভসের মাধ্যমে ভবিষ্যৎ অনুমান (স্পেকুলেশন) থেকে ট্রেডার ও বিনিয়োগকারীরা কমোডটি বাজারের মূল্য পরিবর্তনের পূর্বাভাস দিয়ে এই ডেরিভেটিভস কিনে বা বিক্রি করে মুনাফা অর্জনের চেষ্টা করেন। এই স্পেকুলেশন কার্যকলাপ বাজারে তারল্য বাড়ায়। সঠিক পূর্বাভাসের মাধ্যমে মুনাফা লাভের সুযোগ সৃষ্টি হয়।
বিএসইসি জানায়, কর্মশালায় বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক, অর্থ মন্ত্রণালয় ও এর অর্থ বিভাগ, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, শিল্প মন্ত্রণালয়, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর), ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই), চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই), বাংলাদেশ একাডেমি ফর সিকিউরিটিজ মার্কেটস (বিএএসএম), বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ক্যাপিটাল মার্কেটসহ (বিআইসিএম) পুঁজিবাজারসংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন।
কর্মশালায় সভাপতির বক্তব্যে বিএসইসির কমিশনার ফারজানা লালারুখ বলেন, দেশে কমোডটি এক্সচেঞ্জের অনেক সম্ভাবনা রয়েছে। বাংলাদেশে কমোডটি ডেরিভেটিভসের সফলতার জন্য সক্ষমতা বৃদ্ধি, সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণ এবং ভবিষ্যতের জন্য প্রয়োজনীয় পূর্বপ্রস্তুতি নিশ্চিত করা অনেক বেশি জরুরি। কমোডটি ডেরিভেটিভসের সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে দেশের পুঁজিবাজারের উন্নয়ন সাধনে সংশ্লিষ্ট সকলের সহায়তা কামনা করেন তিনি।
মোহাম্মদ রেজাউল করিম কর্মশালায় মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন। এ ছাড়াও বিএসইসির পরিচালক মোহাম্মদ আবুল হাসানের সঞ্চালনায় কমোডটি ডেরিভেটিভ চালু করার ক্ষেত্রে সম্ভাবনা এবং এ সংক্রান্ত ঝুঁকি নিয়ে প্যানেল আলোচনা হয়। প্যানেল আলোচনায় আলোচক হিসেবে বিএসইসির পরিচালক মো. আবুল কালাম, সিসিবিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফরহাদ আহমেদ, ডিএসইর মহাব্যবস্থাপক ও ভারপ্রাপ্ত প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা (সিওও) মো. ছামিউল ইসলাম, সিএসইর ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাইফুর রহমান মজুমদার অংশ নেন।
কর্মশালায় ডেরিভেটিভস ও ডেরিভেটিভস মার্কেট, কমোডটি এক্সচেঞ্জের প্রোডাক্ট ও লেনদেন সংশ্লিষ্ট বিষয়, বাংলাদেশে কমোডটি ডেরিভেটিভস মার্কেটের সুযোগ ও সম্ভাবনা, এক্সচেঞ্জে কমোডটি ডেরিভেটিভের ট্রেডিং মেকানিজম, কমোডটি ডেরিভেটিভসের ট্রেডিংয়ের ক্লিয়ারিং ও সেটেলমেন্ট প্রক্রিয়া ইত্যাদি বিষয়ে আলোচনা হয়। এ ছাড়াও দেশে কমোডটি ডেরিভেটিভস মার্কেট চালু করার ক্ষেত্রে বিদ্যমান চ্যালেঞ্জ এবং সম্ভাব্য সমাধান, বাজারের অংশীজন, কমোডটি এক্সচেঞ্জ বিধিমালাসহ সংশ্লিষ্ট আরও অনেক বিষয়ে আলোচনা হয়।
পশ্চিমের বলয় থেকে বেরিয়ে যাওয়ার চেষ্টায় বিকল্প অর্থনৈতিক জোট হিসেবে ব্রিকসের জন্ম। এই জোটের সদস্য দেশগুলো হলো—ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত, চীন ও দক্ষিণ আফ্রিকা। সাম্প্রতিক সময়ে মিসর, ইথিওপিয়া, ইরান, সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং ইন্দোনেশিয়া নতুন সদস্য হিসেবে যোগ দিয়েছে।
৪ ঘণ্টা আগেগার্ডিয়ান লাইফ ইনস্যুরেন্স লিমিটেড দেশের একটি সুপরিচিত বিমা প্রতিষ্ঠান, সম্প্রতি বিমা কার্যক্রম পরিচালনায় নিয়ম লঙ্ঘনের জন্য সমালোচিত হয়েছে। প্রায় চার বছর ধরে সিইও (মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা) ছাড়া প্রতিষ্ঠানটি কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। ২০২১ সালের জানুয়ারি মাস থেকে সিইও পদটি শূন্য, যা বিমা আইন..
২১ ঘণ্টা আগেজাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এখনো রাজস্ব আহরণের আধুনিক ব্যবস্থার সঙ্গে তাল মেলাতে পারছে না। বিশেষ করে আয়কর ব্যবস্থার ডিজিটালাইজেশন এখনো অনেক পিছিয়ে। ২০০৫ সালে অটোমেশনের উদ্যোগ নেওয়া হলেও দুই দশক পরেও তা পুরোপুরি বাস্তবায়িত হয়নি।
২১ ঘণ্টা আগেসরকারের ব্যাপক চাল আমদানি এবং দেশের ৬৪ জেলায় ওএমএসের (খোলাবাজারে খাদ্যশস্য বিক্রয়) মাধ্যমে সুলভ মূল্যে চাল বিক্রির ঘোষণার প্রভাব বাজারে ইতিবাচকভাবে পড়তে শুরু করেছে। গত মাসের শেষ দিকে হঠাৎ অস্বাভাবিক হারে বেড়ে যাওয়া চালের দাম এখন নিম্নমুখী।
২১ ঘণ্টা আগে