মাহফুজুল ইসলাম, ঢাকা
দেশের জীবনবিমা খাতে ২০২৪ সালে গ্রাহকদের কাছ থেকে প্রিমিয়াম বাবদ আয় হয়েছে ১২ হাজার ১৮৫ কোটি টাকা। আগের বছরের তুলনায় আয় কমেছে প্রায় ৭ কোটি। ২০২৩ সালে প্রিমিয়াম আয় হয়েছিল ১২ হাজার ২৭৩ কোটি ৪৯ লাখ টাকা। ২০২৪ সালে কোম্পানিগুলোর লাইফ ফান্ডে জমা পড়েছে মাত্র ৪১৫ কোটি টাকা, যা আগের বছরের অর্ধেকের কম।
বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের (আইডিআরএ) সর্বশেষ প্রতিবেদন বলছে, দেশের ৩৫টি জীবনবিমা কোম্পানির সম্পদ বর্তমানে দাঁড়িয়েছে ৪৮ হাজার ৫০০ কোটি টাকায়। এর মধ্যে গ্রাহকের দাবির বিপরীতে সঞ্চিত লাইফ ফান্ডের পরিমাণ ৩৫ হাজার ৯৫৮ কোটি টাকা।
আয় বাড়লেও দুর্বল ফান্ডের আশঙ্কা
২০২৩ সালে জীবনবিমা খাতের প্রিমিয়াম আয় ছিল ১২ হাজার ২৭৩ কোটি ৪৯ লাখ টাকা। ২০২৪ সালে আয় সামান্য কমেছে। উদ্বেগের বিষয় হলো, ২০২৩ সালে যেখানে লাইফ ফান্ডে জমা পড়েছিল ৯০৩ কোটি টাকা, ২০২৪ সালে সেখানে জমা হয়েছে মাত্র ৪১৫ কোটি। মোট প্রিমিয়ামের মাত্র ৩ দশমিক ৩৯ শতাংশ লাইফ ফান্ডে সংরক্ষিত হয়েছে, যেখানে ২০২৩ সালে এই হার ছিল ৭ দশমিক ৩৬ শতাংশ।
আইডিআরএ-এর তথ্যমতে, ২০২২ সালে কোম্পানিগুলোর প্রিমিয়াম আয় হয়েছিল ১১ হাজার ৩৯৩ কোটি ৯ লাখ টাকা। ২০২১ সালে ১০ হাজার ২৩২ কোটি ৫১ লাখ এবং ২০২০ সালে ৯ হাজার ৪৭৫ কোটি ৯৭ লাখ টাকা।
২০২৪ সাল শেষে ৩৫টি কোম্পানির লাইফ ফান্ড দাঁড়িয়েছে ৩৫ হাজার ৯৫৭ কোটি ৭৩ লাখ টাকায়। ২০২৩ সালে যা ছিল ৩৫ হাজার ৫৪২ কোটি ৪৩ লাখ টাকা। ২০২৪ সালে লাইফ ফান্ড বেড়েছে ১ দশমিক ১৭ শতাংশ। আগের বছরে এই বৃদ্ধির হার ছিল ২ দশমিক ৬১ শতাংশ।
শীর্ষ পাঁচ বিমা কোম্পানি
বিদায়ী বছরের ব্যবসার দিক থেকে শীর্ষে ছিল বহুজাতিক প্রতিষ্ঠান মেটলাইফ। কোম্পানিটি ২০২৪ সালে প্রিমিয়াম আয় করেছিল ৩ হাজার ৩০৯ কোটি টাকা। এর মধ্যে নিট আয় ৩ হাজার ৩০৪ কোটি। প্রতিষ্ঠানটির সম্পদের পরিমাণ ১৯ হাজার ৩৯৭ কোটি টাকা। দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা ন্যাশনাল লাইফ ইনস্যুরেন্সের বিদায়ী বছরে ২ হাজার ১০১ কোটি প্রিমিয়ামের মধ্যে নিট আয় হয়েছে ২ হাজার ৯৫ কোটি টাকা। বর্তমানে দেশীয় এই প্রতিষ্ঠানের সম্পদের পরিমাণ ৬ হাজার ৭৯৭ কোটি টাকা।
তৃতীয় স্থানে ডেলটা লাইফ ইনস্যুরেন্স লিমিটেড। প্রতিষ্ঠানটি গ্রাহকদের কাছ থেকে প্রিমিয়াম বাবদ আয় করেছে ৯৩১ কোটি টাকা। এর মধ্যে নিট প্রিমিয়াম আয় ৯১০ কোটি। সম্পদের পরিমাণ ৪ হাজার ৬৫৩ কেটি টাকা। চতুর্থ স্থানে রয়েছে সরকারি প্রতিষ্ঠান জীবন বীমা করপোরেশন। এই প্রতিষ্ঠানের প্রিমিয়াম আয় ৮৬০ কোটি টাকা। ৩ হাজার ১৩৪ কোটির সম্পদের কোম্পানিটির প্রকৃত প্রিমিয়াম আয় ৮৪৯ কোটি টাকা। এ ছাড়া পঞ্চম স্থানে রয়েছে সোনালী লাইফ ইনস্যুরেন্স। প্রতিষ্ঠানটি বিদায়ী বছরে আয় করেছে ৭৯৯ কোটি। এর মধ্যে নিট আয় ৭৯৪ কোটি টাকা। সম্পদের পরিমাণ ৯৯৭ কোটি টাকা।
আস্থাহীনতা বড় চ্যালেঞ্জ
বিমা দাবি পরিশোধ না করা, দেশের রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা এবং বিশ্ব অর্থনৈতিক মন্দার মধ্যেও বিমা কোম্পানির আয়কে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন খাত-সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। তবে আস্থার সংকট কাটিয়ে উঠতে পারলে আয়ের পরিমাণ আরও বাড়বে বলে মনে করেন তাঁরা। এ বিষয়ে আইডিআরএ-এর চেয়ারম্যান এম আসলাম আলম বলেন, ‘বিমা খাতের প্রধান সমস্যা গ্রাহকদের সময়মতো দাবি পরিশোধ না করা। যেসব কোম্পানির দাবি পরিশোধে অনীহা, তাদের চিহ্নিত করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান গ্রহণ করা হয়েছে। আশা করছি, দ্রুত সময়ে সমস্যার সমাধান হবে। বিমা খাতের প্রতি মানুষের আস্থা বাড়বে; আস্থা বাড়লে কোম্পানিগুলোর ব্যবসাও বাড়বে।’
লাইফ ফান্ড দুর্বল, ঝুঁকিতে গ্রাহক
বিমা বিশেষজ্ঞরা বলছেন, লাইফ ফান্ড হচ্ছে বিমা কোম্পানির মেরুদণ্ড। গ্রাহকের দায়ের তুলনায় এই লাইফ ফান্ড শক্তিশালী হওয়া প্রয়োজন। তাহলে গ্রাহকেরা কোম্পানির কাছে বিমা দাবি আবেদনের পরপরই কোম্পানি দাবি পরিশোধ করতে সক্ষম হবে। এই ফান্ড যথেষ্ট না হলে দাবি পরিশোধে কোম্পানিগুলোর সক্ষমতা প্রশ্নবিদ্ধ হয়।
বাংলাদেশ ইনস্যুরেন্স ফোরামের যুগ্ম সম্পাদক এস এম নুরুজ্জামান বলেন, ‘অনেক কোম্পানি লাইফ ফান্ড ভেঙে দাবি পরিশোধ করেছে। তাই বৃদ্ধির হার কম। তবে চলতি বছর থেকে আমরা এই ফান্ড বাড়াতে মনোযোগী হয়েছি।’
দেশের জীবনবিমা খাতে ২০২৪ সালে গ্রাহকদের কাছ থেকে প্রিমিয়াম বাবদ আয় হয়েছে ১২ হাজার ১৮৫ কোটি টাকা। আগের বছরের তুলনায় আয় কমেছে প্রায় ৭ কোটি। ২০২৩ সালে প্রিমিয়াম আয় হয়েছিল ১২ হাজার ২৭৩ কোটি ৪৯ লাখ টাকা। ২০২৪ সালে কোম্পানিগুলোর লাইফ ফান্ডে জমা পড়েছে মাত্র ৪১৫ কোটি টাকা, যা আগের বছরের অর্ধেকের কম।
বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের (আইডিআরএ) সর্বশেষ প্রতিবেদন বলছে, দেশের ৩৫টি জীবনবিমা কোম্পানির সম্পদ বর্তমানে দাঁড়িয়েছে ৪৮ হাজার ৫০০ কোটি টাকায়। এর মধ্যে গ্রাহকের দাবির বিপরীতে সঞ্চিত লাইফ ফান্ডের পরিমাণ ৩৫ হাজার ৯৫৮ কোটি টাকা।
আয় বাড়লেও দুর্বল ফান্ডের আশঙ্কা
২০২৩ সালে জীবনবিমা খাতের প্রিমিয়াম আয় ছিল ১২ হাজার ২৭৩ কোটি ৪৯ লাখ টাকা। ২০২৪ সালে আয় সামান্য কমেছে। উদ্বেগের বিষয় হলো, ২০২৩ সালে যেখানে লাইফ ফান্ডে জমা পড়েছিল ৯০৩ কোটি টাকা, ২০২৪ সালে সেখানে জমা হয়েছে মাত্র ৪১৫ কোটি। মোট প্রিমিয়ামের মাত্র ৩ দশমিক ৩৯ শতাংশ লাইফ ফান্ডে সংরক্ষিত হয়েছে, যেখানে ২০২৩ সালে এই হার ছিল ৭ দশমিক ৩৬ শতাংশ।
আইডিআরএ-এর তথ্যমতে, ২০২২ সালে কোম্পানিগুলোর প্রিমিয়াম আয় হয়েছিল ১১ হাজার ৩৯৩ কোটি ৯ লাখ টাকা। ২০২১ সালে ১০ হাজার ২৩২ কোটি ৫১ লাখ এবং ২০২০ সালে ৯ হাজার ৪৭৫ কোটি ৯৭ লাখ টাকা।
২০২৪ সাল শেষে ৩৫টি কোম্পানির লাইফ ফান্ড দাঁড়িয়েছে ৩৫ হাজার ৯৫৭ কোটি ৭৩ লাখ টাকায়। ২০২৩ সালে যা ছিল ৩৫ হাজার ৫৪২ কোটি ৪৩ লাখ টাকা। ২০২৪ সালে লাইফ ফান্ড বেড়েছে ১ দশমিক ১৭ শতাংশ। আগের বছরে এই বৃদ্ধির হার ছিল ২ দশমিক ৬১ শতাংশ।
শীর্ষ পাঁচ বিমা কোম্পানি
বিদায়ী বছরের ব্যবসার দিক থেকে শীর্ষে ছিল বহুজাতিক প্রতিষ্ঠান মেটলাইফ। কোম্পানিটি ২০২৪ সালে প্রিমিয়াম আয় করেছিল ৩ হাজার ৩০৯ কোটি টাকা। এর মধ্যে নিট আয় ৩ হাজার ৩০৪ কোটি। প্রতিষ্ঠানটির সম্পদের পরিমাণ ১৯ হাজার ৩৯৭ কোটি টাকা। দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা ন্যাশনাল লাইফ ইনস্যুরেন্সের বিদায়ী বছরে ২ হাজার ১০১ কোটি প্রিমিয়ামের মধ্যে নিট আয় হয়েছে ২ হাজার ৯৫ কোটি টাকা। বর্তমানে দেশীয় এই প্রতিষ্ঠানের সম্পদের পরিমাণ ৬ হাজার ৭৯৭ কোটি টাকা।
তৃতীয় স্থানে ডেলটা লাইফ ইনস্যুরেন্স লিমিটেড। প্রতিষ্ঠানটি গ্রাহকদের কাছ থেকে প্রিমিয়াম বাবদ আয় করেছে ৯৩১ কোটি টাকা। এর মধ্যে নিট প্রিমিয়াম আয় ৯১০ কোটি। সম্পদের পরিমাণ ৪ হাজার ৬৫৩ কেটি টাকা। চতুর্থ স্থানে রয়েছে সরকারি প্রতিষ্ঠান জীবন বীমা করপোরেশন। এই প্রতিষ্ঠানের প্রিমিয়াম আয় ৮৬০ কোটি টাকা। ৩ হাজার ১৩৪ কোটির সম্পদের কোম্পানিটির প্রকৃত প্রিমিয়াম আয় ৮৪৯ কোটি টাকা। এ ছাড়া পঞ্চম স্থানে রয়েছে সোনালী লাইফ ইনস্যুরেন্স। প্রতিষ্ঠানটি বিদায়ী বছরে আয় করেছে ৭৯৯ কোটি। এর মধ্যে নিট আয় ৭৯৪ কোটি টাকা। সম্পদের পরিমাণ ৯৯৭ কোটি টাকা।
আস্থাহীনতা বড় চ্যালেঞ্জ
বিমা দাবি পরিশোধ না করা, দেশের রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা এবং বিশ্ব অর্থনৈতিক মন্দার মধ্যেও বিমা কোম্পানির আয়কে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন খাত-সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। তবে আস্থার সংকট কাটিয়ে উঠতে পারলে আয়ের পরিমাণ আরও বাড়বে বলে মনে করেন তাঁরা। এ বিষয়ে আইডিআরএ-এর চেয়ারম্যান এম আসলাম আলম বলেন, ‘বিমা খাতের প্রধান সমস্যা গ্রাহকদের সময়মতো দাবি পরিশোধ না করা। যেসব কোম্পানির দাবি পরিশোধে অনীহা, তাদের চিহ্নিত করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান গ্রহণ করা হয়েছে। আশা করছি, দ্রুত সময়ে সমস্যার সমাধান হবে। বিমা খাতের প্রতি মানুষের আস্থা বাড়বে; আস্থা বাড়লে কোম্পানিগুলোর ব্যবসাও বাড়বে।’
লাইফ ফান্ড দুর্বল, ঝুঁকিতে গ্রাহক
বিমা বিশেষজ্ঞরা বলছেন, লাইফ ফান্ড হচ্ছে বিমা কোম্পানির মেরুদণ্ড। গ্রাহকের দায়ের তুলনায় এই লাইফ ফান্ড শক্তিশালী হওয়া প্রয়োজন। তাহলে গ্রাহকেরা কোম্পানির কাছে বিমা দাবি আবেদনের পরপরই কোম্পানি দাবি পরিশোধ করতে সক্ষম হবে। এই ফান্ড যথেষ্ট না হলে দাবি পরিশোধে কোম্পানিগুলোর সক্ষমতা প্রশ্নবিদ্ধ হয়।
বাংলাদেশ ইনস্যুরেন্স ফোরামের যুগ্ম সম্পাদক এস এম নুরুজ্জামান বলেন, ‘অনেক কোম্পানি লাইফ ফান্ড ভেঙে দাবি পরিশোধ করেছে। তাই বৃদ্ধির হার কম। তবে চলতি বছর থেকে আমরা এই ফান্ড বাড়াতে মনোযোগী হয়েছি।’
দীর্ঘ ২২ বছর পর রাজশাহীতে আবারও বেজেছে কারখানার সাইরেন। রাষ্ট্রায়ত্ত ‘রাজশাহী টেক্সটাইল মিলস্’ এখন প্রাণ-আরএফএলের হাতে হয়ে উঠছে কর্মসংস্থানের নতুন বাতিঘর। গতকাল শনিবার বিকেলে ‘বরেন্দ্র রাজশাহী টেক্সটাইল মিলস্’ পরিদর্শনে এসে আবেগে আপ্লুত হয়ে ওঠেন নৌপরিবহন ও শ্রম মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা...
৩ ঘণ্টা আগেআলোচিত ঢাকা-ওয়াশিংটন শুল্ক আলোচনার আনুষ্ঠানিক পর্ব আপাতত শেষ হলেও একটি প্রশ্ন এখন অনেক মহলে ঘুরপাক খাচ্ছে, এই চুক্তি বাংলাদেশের জাতীয় স্বার্থের সঙ্গে কতটা সামঞ্জস্যপূর্ণ? হিসাব-নিকাশের পর এ থেকে বাংলাদেশের আসলে কতটা লাভ বা ক্ষতি হবে?
৪ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্রের পাল্টা শুল্ক আরোপে রপ্তানি প্রবৃদ্ধির দিক থেকে প্রতিযোগী দেশগুলোর তুলনায় বাংলাদেশ ভালো অবস্থানে রয়েছে বলে মনে করছেন ব্যবসায়ীরা। তাঁরা বলছেন, বাংলাদেশের সস্তা শ্রম, প্রতিযোগীদের তুলনায় কম শুল্কহার ও চীনের ওপর বাড়তি শুল্কের কারণে নতুন শুল্ক ব্যবস্থায় বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরাই...
৫ ঘণ্টা আগেদেশের বিভিন্ন পর্যটন এজেন্সি, বিটুবি এজেন্ট ও সাধারণ গ্রাহকেরা দাবি করছেন, ফ্লাইট এক্সপার্টের কাছে তাঁদের শতকোটি টাকার বেশি পাওনা রয়েছে। অনেকে এরই মধ্যে টাকা পরিশোধ করেও টিকিট, হোটেল বুকিংসহ অন্যান্য সেবা পাননি।
১১ ঘণ্টা আগে