সদ্য প্রস্তাবিত বাজেটে ব্যাংক লুটপাট, মুদ্রা পাচার ও কর ফাঁকি ঠেকাতে নিজের শক্ত অবস্থান জানাতে পারেননি অর্থমন্ত্রী। উল্টো মাত্র ১৫ শতাংশ কর দিয়ে কালোটাকা সাদা করার সুযোগ দিয়েছেন। অথচ সৎ করদাতাদের জন্য সর্বোচ্চ ৩০ শতাংশ কর দেওয়ার বিধান করা হয়েছে। বিশ্লেষকরা বলেন, টাকা লুটপাট হয়ে ব্যাংক যখন নাজুক অবস্থার মধ্যে রয়েছে, এ বিষয়ে কার্যকর কী পদক্ষেপ নিয়ে ব্যাংক খাতে আস্থা ফেরানো যায়, সে বিষয়ে কিছু বলা হয়নি।
আবার দেশ থেকে নানাভাবে বিপুল অঙ্কের টাকা পাচার হয়ে গেলেও কী করা হবে, তার দিকে নির্দেশনা দেওয়া হয়নি। অন্যদিকে কর ফাঁকি একটি বড় সমস্যা। যাঁরা কর দিচ্ছেন, তাঁরাই বারবার কর দিচ্ছেন। যাঁরা দিচ্ছেন না বা ফাঁকি দিচ্ছেন, তাঁদের ধরতে পদক্ষেপের তেমন ঘোষণা দেননি অর্থমন্ত্রী।
এ ব্যাপারে এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মাত্র ১৫ শতাংশ কর দিয়ে কালোটাকা সাদা করার সুযোগ মূলত যেসব অসৎ সরকারি কর্মকর্তা রয়েছেন, তারা যেভাবে অবৈধভাবে টাকা উপার্জন করেছেন; তাদের সম্পদকে বৈধ করার জন্য এটা করা হয়েছে। যদি বলা হতো, শিল্পে বিনিয়োগ করলে এই ছাড়টা আছে, তাহলে বোঝা যেত তাতে মানুষের কর্মসংস্থান হবে, এটা ঠিক আছে। অথবা যদি বলা হতো, রংপুর বা পাহাড়ে কেউ যদি বিনিয়োগ করে, তাহলে কালোটাকা সাদা করতে পারবে, সেটা তো দেয়নি।’
অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী তাঁর বাজেট বক্তৃতায় বিভিন্ন পরিকল্পনার কথা বলেছেন। স্মার্ট বাংলাদেশ, সুশাসন, দুর্নীতি কমানোসহ নানা দিকেই তাঁর নজর ছিল। তবে সুনির্দিষ্টভাবে দেশের ব্যাংক খাতের চলমান আর্থিক কেলেঙ্কারি, ব্যাংকের টাকা নামে-বেনামে লুটে নেওয়ার ঘটনা, আর্থিক প্রতিষ্ঠান একের পর এক দেউলিয়া হয়ে যাওয়াসহ এ রকম বিভিন্ন অনিয়মের কারণে ব্যাংক খাতে শৃঙ্খলা ফেরানোর কোনো স্পষ্ট দিকনির্দেশনা দেননি। মার্জার নিয়ে তিনি নিজেও হতাশা প্রকাশ করেছেন।
কর ফাঁকি দেশের আরেকটি বড় সমস্যা। দেশের বিপুল জনগোষ্ঠীর একটি অংশ কর দেয় না। অনেকে যেটুকু দেওয়ার কথা, তা না দিয়ে ফাঁকি দেন। তাদের ব্যাপারে তেমন কিছুই বলেননি। এমনকি সামনে কোন কোন পদক্ষেপ নিয়ে কর ফাঁকি ঠেকাবেন, এমন কোনো সৃজনশীল উদ্যোগ নেওয়া যায় কি না, সেটিও বলেননি। সবচেয়ে খারাপ দিক হলো, চলতি বাজেটে যারা অসৎ উপায়ে কালোটাকা আয় করছে, তাদের জন্য বিশেষ সুবিধা দেওয়া হয়েছে। এমনকি যেসব কোম্পানি কর ফাঁকি দেবে, তাদের জন্যও বিশেষ সুযোগ রাখা হয়েছে।
এটি বাজেটে প্রথম। কিন্তু যাঁরা সৎভাবে আয় করবেন, তাঁদের আয়ের ওপর সর্বোচ্চ ৩০ শতাংশ পর্যন্ত কর আরোপ করা হয়েছে। এটা নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা হচ্ছে। বলা হচ্ছে, এটা নৈতিকতাবিরোধী। এর ফলে কর ফাঁকি আরও বেড়ে যাবে। মানুষ বেশি কর না দিয়ে ফাঁকি দেবেন। পরে তা ঘোষণা দিয়ে মাত্র ১৫ শতাংশ কর দিয়ে বৈধ করবেন।
এ ব্যাপারে এনবিআরের আয়কর নীতির সাবেক সদস্য ড. সৈয়দ আমিনুল করিম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মুদ্রা পাচার ও কর ফাঁকি ধরার ব্যাপারে কোনো পদক্ষেপই দেখা গেল না। তবে কালোটাকা সাদা করার সুযোগ অনৈতিক হলেও এ সুযোগে মুদ্রা পাচার কমবে। না হলে বিপুল অঙ্কের টাকা বিদেশে পাচার হয়ে যেত।’ তিনি কর ফাঁকির বিষয়ে বলেন, ‘বিপুলসংখ্যক করদাতা কর দিচ্ছে না। অনেকে টিআইএন নিলেও রিটার্ন দিচ্ছে না। দেশের গ্রোথ সেন্টারে খুঁজে খুঁজে করদাতা বের করা সম্ভব, সেটা করা হচ্ছে না। আর বাজেটে কর ফাঁকি বন্ধে সৃজনশীল কোনো পদক্ষেপও দেখা গেল না।’
সদ্য প্রস্তাবিত বাজেটে ব্যাংক লুটপাট, মুদ্রা পাচার ও কর ফাঁকি ঠেকাতে নিজের শক্ত অবস্থান জানাতে পারেননি অর্থমন্ত্রী। উল্টো মাত্র ১৫ শতাংশ কর দিয়ে কালোটাকা সাদা করার সুযোগ দিয়েছেন। অথচ সৎ করদাতাদের জন্য সর্বোচ্চ ৩০ শতাংশ কর দেওয়ার বিধান করা হয়েছে। বিশ্লেষকরা বলেন, টাকা লুটপাট হয়ে ব্যাংক যখন নাজুক অবস্থার মধ্যে রয়েছে, এ বিষয়ে কার্যকর কী পদক্ষেপ নিয়ে ব্যাংক খাতে আস্থা ফেরানো যায়, সে বিষয়ে কিছু বলা হয়নি।
আবার দেশ থেকে নানাভাবে বিপুল অঙ্কের টাকা পাচার হয়ে গেলেও কী করা হবে, তার দিকে নির্দেশনা দেওয়া হয়নি। অন্যদিকে কর ফাঁকি একটি বড় সমস্যা। যাঁরা কর দিচ্ছেন, তাঁরাই বারবার কর দিচ্ছেন। যাঁরা দিচ্ছেন না বা ফাঁকি দিচ্ছেন, তাঁদের ধরতে পদক্ষেপের তেমন ঘোষণা দেননি অর্থমন্ত্রী।
এ ব্যাপারে এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মাত্র ১৫ শতাংশ কর দিয়ে কালোটাকা সাদা করার সুযোগ মূলত যেসব অসৎ সরকারি কর্মকর্তা রয়েছেন, তারা যেভাবে অবৈধভাবে টাকা উপার্জন করেছেন; তাদের সম্পদকে বৈধ করার জন্য এটা করা হয়েছে। যদি বলা হতো, শিল্পে বিনিয়োগ করলে এই ছাড়টা আছে, তাহলে বোঝা যেত তাতে মানুষের কর্মসংস্থান হবে, এটা ঠিক আছে। অথবা যদি বলা হতো, রংপুর বা পাহাড়ে কেউ যদি বিনিয়োগ করে, তাহলে কালোটাকা সাদা করতে পারবে, সেটা তো দেয়নি।’
অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী তাঁর বাজেট বক্তৃতায় বিভিন্ন পরিকল্পনার কথা বলেছেন। স্মার্ট বাংলাদেশ, সুশাসন, দুর্নীতি কমানোসহ নানা দিকেই তাঁর নজর ছিল। তবে সুনির্দিষ্টভাবে দেশের ব্যাংক খাতের চলমান আর্থিক কেলেঙ্কারি, ব্যাংকের টাকা নামে-বেনামে লুটে নেওয়ার ঘটনা, আর্থিক প্রতিষ্ঠান একের পর এক দেউলিয়া হয়ে যাওয়াসহ এ রকম বিভিন্ন অনিয়মের কারণে ব্যাংক খাতে শৃঙ্খলা ফেরানোর কোনো স্পষ্ট দিকনির্দেশনা দেননি। মার্জার নিয়ে তিনি নিজেও হতাশা প্রকাশ করেছেন।
কর ফাঁকি দেশের আরেকটি বড় সমস্যা। দেশের বিপুল জনগোষ্ঠীর একটি অংশ কর দেয় না। অনেকে যেটুকু দেওয়ার কথা, তা না দিয়ে ফাঁকি দেন। তাদের ব্যাপারে তেমন কিছুই বলেননি। এমনকি সামনে কোন কোন পদক্ষেপ নিয়ে কর ফাঁকি ঠেকাবেন, এমন কোনো সৃজনশীল উদ্যোগ নেওয়া যায় কি না, সেটিও বলেননি। সবচেয়ে খারাপ দিক হলো, চলতি বাজেটে যারা অসৎ উপায়ে কালোটাকা আয় করছে, তাদের জন্য বিশেষ সুবিধা দেওয়া হয়েছে। এমনকি যেসব কোম্পানি কর ফাঁকি দেবে, তাদের জন্যও বিশেষ সুযোগ রাখা হয়েছে।
এটি বাজেটে প্রথম। কিন্তু যাঁরা সৎভাবে আয় করবেন, তাঁদের আয়ের ওপর সর্বোচ্চ ৩০ শতাংশ পর্যন্ত কর আরোপ করা হয়েছে। এটা নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা হচ্ছে। বলা হচ্ছে, এটা নৈতিকতাবিরোধী। এর ফলে কর ফাঁকি আরও বেড়ে যাবে। মানুষ বেশি কর না দিয়ে ফাঁকি দেবেন। পরে তা ঘোষণা দিয়ে মাত্র ১৫ শতাংশ কর দিয়ে বৈধ করবেন।
এ ব্যাপারে এনবিআরের আয়কর নীতির সাবেক সদস্য ড. সৈয়দ আমিনুল করিম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মুদ্রা পাচার ও কর ফাঁকি ধরার ব্যাপারে কোনো পদক্ষেপই দেখা গেল না। তবে কালোটাকা সাদা করার সুযোগ অনৈতিক হলেও এ সুযোগে মুদ্রা পাচার কমবে। না হলে বিপুল অঙ্কের টাকা বিদেশে পাচার হয়ে যেত।’ তিনি কর ফাঁকির বিষয়ে বলেন, ‘বিপুলসংখ্যক করদাতা কর দিচ্ছে না। অনেকে টিআইএন নিলেও রিটার্ন দিচ্ছে না। দেশের গ্রোথ সেন্টারে খুঁজে খুঁজে করদাতা বের করা সম্ভব, সেটা করা হচ্ছে না। আর বাজেটে কর ফাঁকি বন্ধে সৃজনশীল কোনো পদক্ষেপও দেখা গেল না।’
বিদায়ী অর্থবছরে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) বাস্তবায়ন গত দুই দশকের মধ্যে সর্বনিম্নে নেমে এসেছে। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে সংশোধিত এডিপির আওতায় বরাদ্দ ছিল ২ লাখ ২৬ হাজার ১৬৫ কোটি টাকা। অথচ শেষ পর্যন্ত খরচ হয়েছে মাত্র ১ লাখ ৫২ হাজার ৪৫০ কোটি, অর্থাৎ বাস্তবায়ন হার দাঁড়িয়েছে মাত্র ৬৭.৮৫ শতাংশ, যা ২০০৪-০৫ অর
৩ ঘণ্টা আগেজলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাতে ঘূর্ণিঝড়, বন্যা, খরা, নদীভাঙন, জলাবদ্ধতা কিংবা লবণাক্ততা মোকাবিলায় দেশে পরিবেশবান্ধব বিনিয়োগ বাড়ছে। টেকসই উন্নয়ন ও সবুজ প্রবৃদ্ধিকে কেন্দ্র করে চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে মার্চ প্রান্তিকে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো টেকসই ও সবুজ খাতে মোট ১,৭০৪ কোটি টাকা বেশি বিনিয়োগ করেছে।
৩ ঘণ্টা আগেদেশের রপ্তানি প্রবাহে আরও বড় হয়ে উঠছে বাংলাদেশ রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকা কর্তৃপক্ষ (বেপজা)। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে বেপজার আওতাধীন ইপিজেড ও অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলো থেকে রপ্তানি হয়েছে ৮.২২ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের পণ্য, যা আগের বছরের তুলনায় ১৬.২২ শতাংশ বেশি। জাতীয় রপ্তানিতে সংস্থাটির একক অবদান দাঁড়িয়েছে ১৭.০৩ শতা
৩ ঘণ্টা আগেআইপিও ফান্ডের ৮০ কোটি ১১ লাখ টাকার অনিয়মের কারণে এক মাসের মধ্যে ৯০ কোটি টাকা জমা দিতে হবে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি রিজেন্ট টেক্সটাইল মিলস লিমিটেডকে। তা না হলে ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ (এমডি) পাঁচজন পরিচালককে ১০০ কোটি টাকা জরিমানা দিতে হবে।
১৫ ঘণ্টা আগে