Ajker Patrika

মাশরাফির বাড়ি ঘেরাওয়ের হুমকি, ৬০ দিনের সময় চায় ই-অরেঞ্জ

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ১৬ আগস্ট ২০২১, ২০: ২৭
মাশরাফির বাড়ি ঘেরাওয়ের হুমকি, ৬০ দিনের সময় চায় ই-অরেঞ্জ

গ্রাহকদের পুরোনো অর্ডার ডেলিভারি করতে আরও ৪৫ থেকে ৬০ কর্মদিবস সময় লাগবে বলে জানিয়েছে ই-অরেঞ্জ। আজ সোমবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এ তথ্য জানায় প্রতিষ্ঠানটি। ই-অরেঞ্জ জানায়, পুরোনো যে সমস্ত অর্ডার এখনো ডেলিভারি হয়নি, সেগুলো নিষ্পন্ন করতে তাদের ৪৫ থেকে ৬০ কর্মদিবস সময় লাগবে। প্রতিষ্ঠানটির এমন সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ গ্রাহকেরা। 

এদিকে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা প্রতিষ্ঠানটির শুভেচ্ছা দূত হওয়ায় তাঁর বাড়ি ঘেরাওয়েরও হুমকি দেন বিক্ষুব্ধ গ্রাহকেরা। তবে ই-অরেঞ্জের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, মাশরাফি বিন মুর্তজার সঙ্গে তাদের চুক্তির সময়সীমা গত ১ জুলাই শেষ হয়েছে। মাশরাফি এখন আর তাদের শুভেচ্ছা দূত নন। 

টাকা দিয়েও পণ্য বুঝে না পাওয়া ক্রেতারা গত ১১ আগস্ট রাজধানীর গুলশানে ই-অরেঞ্জ কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ শুরু করেন। সে সময় ই-অরেঞ্জ জানিয়েছিল, তারা আজ সোমবার (১৬ আগস্ট) ডেলিভারি তালিকা প্রকাশ করবে এবং আগামীকাল (১৭ আগস্ট) থেকে ডেলিভারি শুরু করবে। কিন্তু আজ দুপুর পর্যন্ত এমন কোনো তালিকা না আসায় গ্রাহকেরা আবারও ই-অরেঞ্জ কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। তখন তাঁরা ই-অরেঞ্জের শুভেচ্ছা দূত মাশরাফি বিন মুর্তজার বাড়ি ঘেরাওয়ের হুমকি দেন। 

মহিউদ্দিন কাদের নামে একজন বিক্ষোভকারী বলেন, খেলোয়াড় এবং সংসদ সদস্য মাশরাফি ই–অরেঞ্জের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার কারণেই আমরা ই-অরেঞ্জকে চিনেছি। শত শত গ্রাহক মাশরাফিকে ই-অরেঞ্জের বিজ্ঞাপন দিতে দেখেই এই প্রতিষ্ঠান থেকে পণ্য কিনেছেন। তাই গ্রাহকেরা যেন টাকা ফেরত পান, সে জন্য তাঁর নিজেরও উদ্যোগী হওয়া উচিত। 

গ্রাহকেরা বিক্ষোভ করলেও ই-অরেঞ্জের মালিকপক্ষের কাউকেই খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। গত ১১ জুলাই প্রতিষ্ঠানটির মালিকানা পরিবর্তন করা হয়েছে। ই-অরেঞ্জের সাবেক মালিক ছিলেন সোনিয়া মেহজাবিন আর বর্তমান মালিকের নাম বিথী আক্তার। গত ৩০ জুলাই ই-অরেঞ্জের ফেসবুক পেজে বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বীথি আক্তারকে কোম্পানিটির নতুন মালিক ঘোষণা করা হয়। এখন সোনিয়া মেহজাবিন বা বীথি আক্তার কাউকেই খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। কয়েকটি সূত্রে জানা গেছে, সাবেক মালিক সোনিয়া মেহজাবিন ইতিমধ্যেই বিদেশে চলে গেছেন। আর নতুন মালিকেরও বিদেশে যাওয়ার প্রক্রিয়া চলছে। কাওসার আহমেদ নামের একজন ব্যক্তি ই-অরেঞ্জের ফেসবুক পেজে এসে কথা বলছেন। তিনি নিজেকে প্রতিষ্ঠানটির নবনিযুক্ত সিটিও হিসেবে দাবি করেছেন। কিন্তু মালিক কোথায় আছেন, তা তিনি জানাতে পারেননি। 

ই-অরেঞ্জের মালিকানা নিয়ে দ্বন্দ্বের মধ্যে আছে ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ই-ক্যাব)। গত ১৭ জুলাই ই-অরেঞ্জের বিরুদ্ধে আসা বিভিন্ন অভিযোগ সম্পর্কে জানতে প্রতিষ্ঠানটির কাছে চিঠি পাঠিয়েছিল ই–ক্যাব। উত্তরে ই-অরেঞ্জ জানায় তাদের মালিকানা পরিবর্তন হয়েছে। কিন্তু মালিকানা পরিবর্তন হলে যেসব তথ্য দিতে হয় সেগুলো তারা দেয়নি বলে জানিয়েছেন ই–ক্যাবের মহাব্যবস্থাপক জাহাঙ্গীর আলম শোভন। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ই-অরেঞ্জের উত্তর পরিপূর্ণ নয়। নতুন মালিকের সমস্ত তথ্য আমরা পাইনি। এ জন্য নতুন মালিককে এখনো ভ্যারিফাই (যাচাই) করা সম্ভব হয়নি। বিষয়গুলো পরিষ্কার করার জন্য আমরা তাদের সঙ্গে বসতে চাচ্ছি। 

ই-ক্যাবের এই কর্মকর্তা আরও জানান, একজন মালিকের সমস্ত তথ্য যাচাই করে কোনো প্রতিষ্ঠানকে ই-ক্যাবের সদস্যপদ দেওয়া হয়। ই-অরেঞ্জ যদি তাদের নতুন মালিক সংক্রান্ত সমস্ত তথ্য সরবরাহ না করে, তাহলে তাদের সদস্যপদ বাতিল হবে।

বিষয়:

অনলাইন
Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

নিজের প্রস্রাব পান করে ‘আশিকি’ অভিনেত্রী অনু আগারওয়াল বললেন, ‘আহা অমৃত’

মে. জে. ফজলুরের সেভেন সিস্টার্স দখলের মন্তব্য সমর্থন করে না সরকার: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

বাংলাদেশ ও পাকিস্তানে স্টারলিংকের প্রস্তাবিত কার্যক্রমের বিস্তারিত চায় ভারত

নির্দেশনা মানেননি পাইলট, মদিনা-ঢাকা ফ্লাইটকে নামতে হলো সিলেটে

গায়ে কেরোসিন ঢেলে কলেজছাত্রীর আত্মহনন, পলাতক ইমাম গ্রেপ্তার

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত