মো. মাহফুজুল ইসলাম, ঢাকা
অর্থনৈতিক মন্দার মধ্যে ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটে ঘাটতি কমানো হলেও বিদেশি ঋণের ওপর ভরসা বেড়েছে। ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটির বাজেটে ঘাটতির অঙ্ক নির্ধারণ করা হয়েছে ২ লাখ ২৬ হাজার কোটি টাকা, যা চলতি অর্থবছরের সংশোধিত লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা বেশি।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, এবার সরকার বিদেশি উৎস থেকে ১ লাখ কোটি টাকার ঋণ নিতে যাচ্ছে। ঋণের সুদ ও আসল পরিশোধের চাপে পুরোনো ঋণ মেটাতে এই নতুন ঋণ নেওয়ার প্রবণতা তৈরি হয়েছে।
মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, খাদ্য ও জ্বালানি নিরাপত্তা, সামাজিক সুরক্ষা, দক্ষ জনশক্তি তৈরি ও কর্মসংস্থান—এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করেই প্রস্তাবিত বাজেট তৈরি হচ্ছে। এর মধ্যে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) জন্য বরাদ্দ ধরা হয়েছে ২ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে বৈদেশিক উৎস্য থেকে নেওয়া ঋণের ৮৬ হাজার কোটি টাকা এডিপি বাস্তবায়নে এবং বাকি ১৪ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ থাকবে বাজেটের অন্যান্য খাতে।
অর্থনীতিবিদদের মতে, রাজস্ব আহরণে কাঙ্ক্ষিত অগ্রগতি না থাকায় ঘাটতি মেটাতে সরকার বিদেশি ঋণসহ ব্যাংক খাতের ওপর নির্ভরতা বাড়াতে বাধ্য হচ্ছে। এতে বেসরকারি খাতে ঋণ সংকোচন, বিনিয়োগে ভাটা ও মূল্যস্ফীতির চাপ বাড়ার আশঙ্কা করছেন তাঁরা।
অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ জানিয়েছেন, সহজ শর্তে এবং যাচাই-বাছাই করে আইএমএফ, বিশ্বব্যাংক, জাইকাসহ উন্নয়ন অংশীদারদের কাছ থেকে ঋণ নেওয়া হচ্ছে। তিনি মনে করেন, শুধু ঋণ নিলে চলবে না, এর বিপরীতে কার্যকর ব্যয়ের নিশ্চয়তা থাকা জরুরি।
সিপিডির বিশেষ ফেলো অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, বিদেশি ঋণের সুদ ও আসল পরিশোধ করতে গিয়ে সরকার বিগত কয়েক বছরে বড় অঙ্কের ঋণ নিতে বাধ্য হয়েছে। এখন বিভিন্ন সময়ের অনেক পুরোনো ঋণ শোধ করতে নতুন ঋণ নিতে হচ্ছে। তাঁর মতে, সরকারের উচিত ঘাটতি মোকাবিলায় অভ্যন্তরীণ উৎস ও রাজস্ব প্রবাহে বেশি জোর দেওয়া।
বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিসের সাবেক মুখ্য অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সরকারি ঋণ সাধারণত ঝুঁকিবিহীন এবং রিটার্ন নিশ্চিত হওয়ায় ব্যাংকগুলো এতে আগ্রহী থাকে। তবে বেসরকারি খাতের জায়গা সংকুচিত হলে নতুন বিনিয়োগে ভাটা পড়বে।’ তিনি সতর্ক করে বলেন, রাজস্ব আয়ের ঘাটতি পূরণ না হলে এবং ব্যয় নিয়ন্ত্রণ না থাকলে বাজেট ঘাটতি আরও বাড়বে। তখন ব্যাংকঋণের ওপর চাপ বাড়বে, যার নেতিবাচক প্রভাব পড়বে ব্যক্তি খাতে।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের তথ্যে দেখা যাচ্ছে, সব বাজেটেই ঘাটতি থাকছে। এই ঘাটতি পূরণে বাড়ছে বৈদেশিক ঋণের পরিমাণ। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে বাজেটের আকার ছিল ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকা, ঘাটতি ২ লাখ ৫৬ হাজার কোটি। তখন বৈদেশিক ঋণের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১ লাখ ২৭ হাজার ২০০ কোটি টাকা, যা পরে সংশোধন করে ৯০ হাজার ৭০০ কোটিতে নামিয়ে আনা হয়।
২০২৩-২৪ সালে বাজেট ছিল ৭ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা, যার ঘাটতি ছিল ২ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি এবং বৈদেশিক ঋণ ১ লাখ ২ হাজার ৪৯০ কোটি টাকা। ২০২২-২৩ অর্থবছরে বাজেটের আকার ছিল ৬ লাখ ৭৮ হাজার ৬৪ কোটি টাকা, ঘাটতি ছিল ২ লাখ ৪৫ হাজার ৬৪ কোটি এবং বৈদেশিক ঋণ নেওয়া হয়েছিল ৯৮ হাজার ৭২৯ কোটি টাকা। এর আগের বছর, অর্থাৎ ২০২১-২২ সালে বাজেটের আকার ছিল ৬ লাখ ৩ হাজার ৬৮১ কোটি টাকা, ঘাটতি ছিল ২ লাখ ১৪ হাজার ৬৮১ কোটি এবং বৈদেশিক ঋণ ছিল ১ লাখ ১ হাজার ২২৮ কোটি টাকা।
অর্থনীতিবিদেরা বলছেন, চলমান মুদ্রাস্ফীতি, রাজস্ব ঘাটতি ও সুদ পরিশোধের চাপে ঘাটতি অর্থায়নের জন্য কৌশলী পরিকল্পনা জরুরি হয়ে পড়েছে। একদিকে বিদেশি সস্তা ঋণের সদ্ব্যবহার, অন্যদিকে অভ্যন্তরীণ রাজস্ব আহরণে সংস্কার না আনলে দীর্ঘ মেয়াদে এই ঋণনির্ভরতা অর্থনীতির ভারসাম্য নষ্ট করতে পারে।
অর্থনৈতিক মন্দার মধ্যে ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটে ঘাটতি কমানো হলেও বিদেশি ঋণের ওপর ভরসা বেড়েছে। ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটির বাজেটে ঘাটতির অঙ্ক নির্ধারণ করা হয়েছে ২ লাখ ২৬ হাজার কোটি টাকা, যা চলতি অর্থবছরের সংশোধিত লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা বেশি।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, এবার সরকার বিদেশি উৎস থেকে ১ লাখ কোটি টাকার ঋণ নিতে যাচ্ছে। ঋণের সুদ ও আসল পরিশোধের চাপে পুরোনো ঋণ মেটাতে এই নতুন ঋণ নেওয়ার প্রবণতা তৈরি হয়েছে।
মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, খাদ্য ও জ্বালানি নিরাপত্তা, সামাজিক সুরক্ষা, দক্ষ জনশক্তি তৈরি ও কর্মসংস্থান—এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করেই প্রস্তাবিত বাজেট তৈরি হচ্ছে। এর মধ্যে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) জন্য বরাদ্দ ধরা হয়েছে ২ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে বৈদেশিক উৎস্য থেকে নেওয়া ঋণের ৮৬ হাজার কোটি টাকা এডিপি বাস্তবায়নে এবং বাকি ১৪ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ থাকবে বাজেটের অন্যান্য খাতে।
অর্থনীতিবিদদের মতে, রাজস্ব আহরণে কাঙ্ক্ষিত অগ্রগতি না থাকায় ঘাটতি মেটাতে সরকার বিদেশি ঋণসহ ব্যাংক খাতের ওপর নির্ভরতা বাড়াতে বাধ্য হচ্ছে। এতে বেসরকারি খাতে ঋণ সংকোচন, বিনিয়োগে ভাটা ও মূল্যস্ফীতির চাপ বাড়ার আশঙ্কা করছেন তাঁরা।
অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ জানিয়েছেন, সহজ শর্তে এবং যাচাই-বাছাই করে আইএমএফ, বিশ্বব্যাংক, জাইকাসহ উন্নয়ন অংশীদারদের কাছ থেকে ঋণ নেওয়া হচ্ছে। তিনি মনে করেন, শুধু ঋণ নিলে চলবে না, এর বিপরীতে কার্যকর ব্যয়ের নিশ্চয়তা থাকা জরুরি।
সিপিডির বিশেষ ফেলো অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, বিদেশি ঋণের সুদ ও আসল পরিশোধ করতে গিয়ে সরকার বিগত কয়েক বছরে বড় অঙ্কের ঋণ নিতে বাধ্য হয়েছে। এখন বিভিন্ন সময়ের অনেক পুরোনো ঋণ শোধ করতে নতুন ঋণ নিতে হচ্ছে। তাঁর মতে, সরকারের উচিত ঘাটতি মোকাবিলায় অভ্যন্তরীণ উৎস ও রাজস্ব প্রবাহে বেশি জোর দেওয়া।
বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিসের সাবেক মুখ্য অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সরকারি ঋণ সাধারণত ঝুঁকিবিহীন এবং রিটার্ন নিশ্চিত হওয়ায় ব্যাংকগুলো এতে আগ্রহী থাকে। তবে বেসরকারি খাতের জায়গা সংকুচিত হলে নতুন বিনিয়োগে ভাটা পড়বে।’ তিনি সতর্ক করে বলেন, রাজস্ব আয়ের ঘাটতি পূরণ না হলে এবং ব্যয় নিয়ন্ত্রণ না থাকলে বাজেট ঘাটতি আরও বাড়বে। তখন ব্যাংকঋণের ওপর চাপ বাড়বে, যার নেতিবাচক প্রভাব পড়বে ব্যক্তি খাতে।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের তথ্যে দেখা যাচ্ছে, সব বাজেটেই ঘাটতি থাকছে। এই ঘাটতি পূরণে বাড়ছে বৈদেশিক ঋণের পরিমাণ। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে বাজেটের আকার ছিল ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকা, ঘাটতি ২ লাখ ৫৬ হাজার কোটি। তখন বৈদেশিক ঋণের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১ লাখ ২৭ হাজার ২০০ কোটি টাকা, যা পরে সংশোধন করে ৯০ হাজার ৭০০ কোটিতে নামিয়ে আনা হয়।
২০২৩-২৪ সালে বাজেট ছিল ৭ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা, যার ঘাটতি ছিল ২ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি এবং বৈদেশিক ঋণ ১ লাখ ২ হাজার ৪৯০ কোটি টাকা। ২০২২-২৩ অর্থবছরে বাজেটের আকার ছিল ৬ লাখ ৭৮ হাজার ৬৪ কোটি টাকা, ঘাটতি ছিল ২ লাখ ৪৫ হাজার ৬৪ কোটি এবং বৈদেশিক ঋণ নেওয়া হয়েছিল ৯৮ হাজার ৭২৯ কোটি টাকা। এর আগের বছর, অর্থাৎ ২০২১-২২ সালে বাজেটের আকার ছিল ৬ লাখ ৩ হাজার ৬৮১ কোটি টাকা, ঘাটতি ছিল ২ লাখ ১৪ হাজার ৬৮১ কোটি এবং বৈদেশিক ঋণ ছিল ১ লাখ ১ হাজার ২২৮ কোটি টাকা।
অর্থনীতিবিদেরা বলছেন, চলমান মুদ্রাস্ফীতি, রাজস্ব ঘাটতি ও সুদ পরিশোধের চাপে ঘাটতি অর্থায়নের জন্য কৌশলী পরিকল্পনা জরুরি হয়ে পড়েছে। একদিকে বিদেশি সস্তা ঋণের সদ্ব্যবহার, অন্যদিকে অভ্যন্তরীণ রাজস্ব আহরণে সংস্কার না আনলে দীর্ঘ মেয়াদে এই ঋণনির্ভরতা অর্থনীতির ভারসাম্য নষ্ট করতে পারে।
দেশের অধিকাংশ মানুষের জীবিকা এখনো কৃষিনির্ভর। কৃষিক্ষেত্রে নতুন উদ্যোগের পাশাপাশি প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও জলবায়ুর সংকটে টিকে থাকতে কৃষকদের ঋণের চাহিদা বেড়েই চলেছে। অথচ বাস্তবতা হলো, চাহিদা থাকলেও কৃষি খাতে অর্থায়ন নিয়ে উদাসীন অবস্থান নিয়েছে ব্যাংকগুলো। সাম্প্রতিক তথ্য বলছে, একটি অর্থবছরের ব্যবধানে
৪ ঘণ্টা আগেহঠাৎ ঊর্ধ্বমুখী কাঁচা মরিচের বাজার সামাল দিতে দ্রুত পদক্ষেপ নিয়েছে কৃষি মন্ত্রণালয়। গত ছয় দিনে ৩৪ হাজার ২০০ টন কাঁচা মরিচ আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এতে বাজারে সরবরাহ বাড়ছে এবং দামও কমতে শুরু করেছে।
৫ ঘণ্টা আগেপথচলার এক যুগে পদার্পণ করল বাংলাদেশের অন্যতম বেসরকারি বিমান সংস্থা ইউএস-বাংলা। সাফল্যগাথা ১১টি বছর পেরিয়ে আজ বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) ২০২৫ ইউএস-বাংলা এয়ারলাইনস ১২তম বর্ষে পা রাখল। একাদশ বর্ষপূর্তি উপলক্ষে সব শুভানুধ্যায়ীকে ইউএস-বাংলা জানাচ্ছে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।
৭ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশের তরুণদের আর্থিক লেনদেন আরও সহজ করতে মাস্টারকার্ড, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক পিএলসি (এমটিবি) ও শীর্ষস্থানীয় ফিনটেক প্রতিষ্ঠান পাঠাও পে যৌথভাবে একটি রিয়েল টাইম কম্পেনিয়ন প্রিপেইড কার্ড চালু করার ঘোষণা দিয়েছে। এই কার্ডগুলো বিশেষভাবে তরুণদের জন্য ডিজাইন করা হয়েছে, যা ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ছাড়
৮ ঘণ্টা আগে