Ajker Patrika

চাহিদা মেটাতে পর্যাপ্ত পেঁয়াজ আমদানি হচ্ছে

রেজাউর রহিম, ঢাকা 
চাহিদা মেটাতে পর্যাপ্ত পেঁয়াজ আমদানি হচ্ছে

এ বছর দেশে পেঁয়াজের উৎপাদন ভালো হওয়ার পরও অস্বাভাবিকভাবে দাম বাড়ছে। দাম নিয়ন্ত্রণ এবং চাহিদা মেটাতে আমদানি বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। আর পর্যাপ্ত পেঁয়াজ আমদানিও করা হচ্ছে।

এদিকে, অসাধু ও অতি মুনাফালোভী ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের তৎপরতা বন্ধে এবং অস্থির পেঁয়াজের বাজার নিয়ন্ত্রণে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি কাল সোমবার সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী-আমদানিকারকদের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন বলে জানা গেছে। পেঁয়াজের দাম সংক্রান্ত এ বৈঠকে কৃষি মন্ত্রণালয়, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর), এফবিসিসিআই, স্থল ও সমুদ্র বন্দর কর্তৃপক্ষসহ সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করবেন।বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, প্রতি বছর দেশে পেঁয়াজের চাহিদা প্রায় ২৮ লাখ টন। আর দেশে বর্তমানে উৎপাদনের পরিমাণ প্রায় ৩৩ লাখ টন। সংরক্ষণের অভাবসহ বিভিন্ন কারণে ৩০ শতাংশ পেঁয়াজ নষ্ট হলেও বাকি থাকে ২৩ লাখ টন। আর প্রতি বছর ভারতসহ বিভিন্ন দেশ থেকে ৮ থেকে ১০ লাখ টন পেঁয়াজ আমদানি করা হয়। ফলে চাহিদার চেয়ে বেশি পেঁয়াজ সব সময় উদ্বৃত্ত থাকে। এ ছাড়া বর্তমানে দেশের কৃষকদের কাছে ৬ লাখ টন পেঁয়াজ মজুত রয়েছে, যা দিয়ে আগামী জানুয়ারি পর্যন্ত চাহিদা মেটানো সম্ভব।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, হঠাৎ পেঁয়াজের দাম বাড়ার পেছনে বাংলাদেশ-ভারত দুই দেশের সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীরাই দায়ী। মূলত দুর্গাপূজা, অতিবৃষ্টি এবং উৎপাদন কম হওয়ার মতো ভুল তথ্য দিয়ে বাজারে গুজব ছড়ানো হয়েছে। পূজার পর পেঁয়াজ রপ্তানিতে ভারত নিষেধাজ্ঞা জারি করতে পারে এমন গুজব ছড়িয়ে পেঁয়াজের দাম বাড়ানোর সুযোগ নিয়েছে অসাধু ব্যবসায়ীরা। এই গুজব ওঠার পর এক সপ্তাহের ব্যবধানে পেঁয়াজের কেজি ৪০ টাকা থেকে বেড়ে ৮০ টাকা হয়েছে।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান, দেশে পেঁয়াজের পর্যাপ্ত মজুত আছে। তারপরও দ্রুত বাজার নিয়ন্ত্রণ ও দাম কমাতে পেঁয়াজ আমদানি উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে। আমদানি বাড়াতে পেঁয়াজের ওপর আরোপিত ৫ শতাংশ শুল্ক কর প্রত্যাহার করা হবে। এ জন্য এনবিআরের কাছে শিগগির প্রস্তাব পাঠাবে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। দাম কমানো এবং দ্রুত আমদানির বিষয়ে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সমন্বিত উদ্যোগে কাজ করতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে সরকারের উচ্চ পর্যায় থেকে নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে। 
 
এ বিষয়ে বাণিজ্যসচিব তপন কান্তি ঘোষ আজকের পত্রিকাকে বলেন, চাহিদা মেটাতে বিকল্প উৎস থেকেও পেঁয়াজ আমদানি করা হচ্ছে। এরই মধ্যে তুরস্ক থেকে পেঁয়াজ আসা শুরু হয়েছে। এর পাশাপাশি প্রয়োজনে মিশর, থাইল্যান্ড, সংযুক্ত আরব আমিরাত, মিয়ানমার, চীন, অস্ট্রেলিয়া থেকে পেঁয়াজ আমদানি করবে সরকার। শিগগির পেঁয়াজের দাম স্বাভাবিক হয়ে আসবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন। 

তুরস্ক থেকে গতকাল শনিবার এবং আজ রোববার ১ হাজার টন এবং ৯০০ টন পেঁয়াজ এসেছে। হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকেও পেঁয়াজ আমদানি অব্যাহত রয়েছে। আমদানির পরিমাণও বেড়েছে। বর্তমানে প্রতিদিন ২০-২৫ ট্রাক আমদানি হচ্ছে। এ ছাড়া ভারত সরকার সরকারিভাবে পেঁয়াজের দাম বাড়ায়নি। 
 
এদিকে, পেঁয়াজের দাম সহনীয় রাখতে আমদানি ও সরবরাহের পাশাপাশি রাষ্ট্রায়ত্ত বাণিজ্য সংস্থা টিসিবি’র মাধ্যমে ট্রাক সেল কার্যক্রম অব্যাহত রাখা হয়েছে। টিসিবির পরিচালক ও মুখপাত্র হুমায়ুন কবির জানান, মানুষ যাতে সাশ্রয়ী দামে পেঁয়াজ কিনতে পারেন সে জন্য টিসিবির ট্রাক সেল কার্যক্রমে বরাদ্দের পরিমাণ বাড়িয়ে প্রতি ট্রাকে ৭০০ কেজি পেঁয়াজ বরাদ্দ দেওয়া হবে। তিনি বলেন, প্রয়োজন হলে পর্যায়ক্রমে এ বরাদ্দ আরও বাড়ানো হবে। 

এদিকে পেঁয়াজের দাম অস্বাভাবিকভাবে বাড়ায় ক্ষোভ বিরাজ করছে সাধারণ মানুষের মধ্যে। তারা বলছেন, সবকিছু ঠিক থাকার পরও কী কারণে হঠাৎ করে পেঁয়াজের দাম প্রায় দ্বিগুণ হয়ে যায়? সাত দিনের ব্যবধানে দাম দ্বিগুণ হয়ে যাওয়াটা সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তর ও সংস্থাগুলোর নিয়মিত বাজার তদারকি না করা এবং তাদের চরম ব্যর্থতা বলে মনে করেন ক্রেতারা। 

রোববার রাজধানীর, কল্যাণপুর নতুন বাজার, শেওড়াপাড়াসহ কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৭৫ থেকে ৮০ টাকা দরে। দোকানিরা জানান, দাম বাড়ার ফলে পেঁয়াজের ক্রেতার সংখ্যাও কম। এ ছাড়া পরিমাণে কম পেঁয়াজ কিনছেন ক্রেতারা। 

কল্যাণপুর নতুন বাজারে ক্রেতা শামসুল আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, সবকিছু স্বাভাবিক থাকার পরও এভাবে হঠাৎ করে পেঁয়াজের দাম কেন বাড়বে? এ জন্য সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোর ব্যর্থতা ও অদক্ষতাকে দায়ী করে তিনি বলেন, দাম কিছুটা বাড়তে শুরু করার পরই সরকারের উচিত ছিল ব্যাপারে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া। প্রতিবছরই কোন না কোন অজুহাতে এভাবে ব্যবসায়ীদের পণ্যের দাম বাড়ানো বন্ধে প্রয়োজনে আইন প্রণয়ন এবং অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান তিনি। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

বাংলাদেশ ডেনিম এক্সপো শুরু

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

দেশের ডেনিম শিল্পের সবচেয়ে বড় প্রদর্শনী ‘বাংলাদেশ ডেনিম এক্সপো’-এর ১৯ তম আসর আজ। দুই দিনের এই এক্সপো অনুষ্ঠিত হবে ৫ ও ৬ নভেম্বর রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি)।

এ বছর প্রদর্শনীতে বাংলাদেশ, ভারত, চীন, পাকিস্তান, তুরস্ক, স্পেন, অস্ট্রেলিয়া, ভিয়েতনাম, জার্মানি ও সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ ১০টি দেশ থেকে ৪৫ টিরও বেশি প্রতিষ্ঠান অংশ নিচ্ছে।

এরা মূলত ফ্যাব্রিক মিল (ডেনিম ও নন-ডেনিম), গার্মেন্টস প্রস্তুতকারক, সুতা উৎপাদক, ওয়াশিং ও লন্ড্রি, অ্যাকসেসরিজ ও ট্রিমস, কেমিক্যালস, মেশিনারি বা প্রযুক্তি এবং লজিস্টিকস ক্যাটাগরিতে পণ্য ও সেবা প্রদর্শন করবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

আইএফআইসি ব্যাংকের সাবেক এমডিকে ৫ কোটি টাকা জরিমানা

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আইএফআইসি ব্যাংক পিএলসির সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) শাহ আলম সারওয়ার। ফাইল ছবি
আইএফআইসি ব্যাংক পিএলসির সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) শাহ আলম সারওয়ার। ফাইল ছবি

সিকিউরিটিজ আইন ও বিধিবিধান ভঙ্গের দায়ে আইএফআইসি ব্যাংক পিএলসির সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) শাহ আলম সারওয়ারকে পাঁচ কোটি টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত করেছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।

আজ মঙ্গলবার সংস্থার চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ৯৮০ তম কমিশন সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

সভা শেষে বিএসইসির পরিচালক ও মুখপাত্র মো. আবুল কালাম এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান।

বিএসইসি জানায়, ‘আইএফআইসি গ্যারান্টিড শ্রীপুর টাউনশীপ গ্রিন জিরো কুপন বন্ড’ শীর্ষক ১ হাজার ৫০০ কোটি টাকা অভিহিত মূল্যের ও ১ হাজার কোটি টাকা ইস্যু মূল্যের বন্ডটির জামিনদার (গ্যারান্টার) হিসেবে আইএফআইসি ব্যাংক এবং অ্যাডভাইজার ও অ্যারেঞ্জার হিসেবে আইএফআইসি ইনভেস্টমেন্টস লিমিটেড দায়িত্ব পালন করেছে। আইএফআইসি ব্যাংক ওই বন্ড ইস্যু করেনি। মূলত রিয়েল এস্টেট কোম্পানি শ্রীপুর টাউনশীপ লিমিটেড (এসটিএল) ওই বন্ডের মাধ্যমে টাকা উত্তোলন করেছে। কিন্তু বিভিন্ন বিজ্ঞাপনে বন্ডের নাম হিসেবে ‘আইএফআইসি আমার বন্ড’ নামটি ব্যবহার করা হয়েছে, যা বিনিয়োগকারীকে ধারণা দেয় যে, এ বন্ড আইএফআইসি ব্যাংক ইস্যু করেছে; কিন্তু ব্যাংকটি ছিল মূলত বন্ডটির জামিনদার। এভাবে বিনিয়োগকারীদের প্রতারিত করে বিনিয়োগে আকৃষ্ট করা হয়।

বিএসইসি এও জানায়, এর আগে ৯৬৫ তম কমিশন সভায় ওই বন্ডের অনিয়মের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত হয়েছিল। একই অপরাধে এবার ব্যাংকের তৎকালীন এমডি শাহ আলম সারওয়ারকে পাঁচ কোটি টাকা অর্থদন্ডে দন্ডিত করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে কমিশন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

মার্কিন তুলায় শুল্কছাড়ে স্পষ্টতা চায় বিজিএমইএ

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর উত্তরায় মার্কিন তুলা রপ্তানিকারক সংগঠন কটন ইউএসএর এক উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক করে বিজিএমইএ। ছবি: আজকের পত্রিকা
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর উত্তরায় মার্কিন তুলা রপ্তানিকারক সংগঠন কটন ইউএসএর এক উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক করে বিজিএমইএ। ছবি: আজকের পত্রিকা

পোশাক উৎপাদনে ন্যূনতম ২০ শতাংশ মার্কিন কাঁচামাল ব্যবহার করা হলে যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানির ক্ষেত্রে আরোপিত অতিরিক্ত শুল্ক থেকে বাংলাদেশের আনুপাতিক ছাড় পাওয়ার সুযোগ দিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। তবে এ বিষয়ে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক ব্যাখ্যা বা বাস্তবায়ন নির্দেশনা না থাকায় দ্রুত স্পষ্টীকরণ চেয়েছে বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ)।

আজ মঙ্গলবার রাজধানীর উত্তরায় মার্কিন তুলা রপ্তানিকারক সংগঠন কটন ইউএসএর এক উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠকে বিষয়টি তুলে ধরে বিজিএমইএ। বৈঠকে দুই দেশের বাণিজ্য সম্প্রসারণ, বাংলাদেশের তৈরি পোশাকে মার্কিন তুলার ব্যবহার বৃদ্ধি এবং ঘোষিত শুল্ক সুবিধা বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।

বিজিএমইএ সভাপতি মাহমুদ হাসান খান বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন। সংগঠনের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র সহসভাপতি ইনামুল হক খান ও পরিচালক নাফিস-উদ-দৌলা। মার্কিন প্রতিনিধিদলে ছিলেন ইকমের লি ইন, কারগিলের ক্রিস্টা রিকম্যান, এলডিসির ডিয়েগো লোজাদা, ওলাম এগ্রির ওয়েসলি রেন্টজ, ক্যারোলিনা কটন গ্রোয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের ওয়েন বোসম্যানসহ আরও অনেকে।

বৈঠকে বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, নতুন শুল্কছাড় বাংলাদেশের পোশাকশিল্পের জন্য এক বড় সুযোগ। কিন্তু এই সুবিধা কার্যকরভাবে পেতে কারখানাগুলোকে কী প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হবে, সে বিষয়ে কোনো সুস্পষ্ট দিকনির্দেশনা নেই। মার্কিন প্রশাসনের পক্ষ থেকে দ্রুত ব্যাখ্যা পাওয়া গেলে উদ্যোক্তারা প্রস্তুতি নিতে পারবেন।

মাহমুদ হাসান খান বলেন, বর্তমানে আমদানি করা তুলার প্রায় ১০ শতাংশ যুক্তরাষ্ট্র থেকে আসে, যা দ্বিগুণ বা ৩ গুণ পর্যন্ত বাড়ানো সম্ভব। তবে এ জন্য প্রয়োজন দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন ও সুচিন্তিত কৌশলগত পদক্ষেপ। মার্কিন তুলার উচ্চ গুণগত মান ও তুলনামূলক সুবিধার বিষয়ে গবেষণা করে সুতা উৎপাদনকারীদের তথ্য সরবরাহ করা হলে তাঁরা আমদানি বাড়াতে উৎসাহিত হবেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

খেলাপি ঋণের তথ্য গোপন রাখা নিয়ে প্রশ্ন আইএমএফের

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

আওয়ামী লীগ সরকারের সময় বিশাল অঙ্কের খেলাপি ঋণ গোপন রেখে নিয়মিত দেখানো হতো। তবে কোনো পরিদর্শক প্রকৃত সত্য প্রতিবেদন দিতে পারতেন না। সরকার পরিবর্তনের পর এ তথ্য ধীরে ধীরে প্রকাশ পাচ্ছে। খেলাপি ঋণ কীভাবে গোপন রাখা হতো এবং কেন তা ব্যাংক পরিদর্শনে ধরা পড়েনি—এ বিষয়গুলো ঢাকায় সফররত আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) প্রতিনিধিদলের নজরে এসেছে। তারা ব্যাংক পরিদর্শনপ্রক্রিয়ার ত্রুটি আছে কি না, তা খতিয়ে দেখছে।

আজ মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে বৈঠকে আইএমএফ সদস্যরা খেলাপি ঋণ বাড়ার নেপথ্যে কর্মকর্তাদের ভূমিকা ও আইনি দুর্বলতা পর্যালোচনার আহ্বান জানান। বৈঠকে খেলাপি ঋণের প্রকৃত চিত্র, ব্যাংক খাতের তারল্য সংকট ও ঋণ বাড়ার কারণ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।

বৈঠকে আইএমএফ জানিয়েছে, তাদের ৪৭০ কোটি ডলারের ঋণ কর্মসূচির শর্ত অনুযায়ী, ২০২৬ সালের মধ্যে সরকারি ব্যাংকগুলোর খেলাপি ঋণের হার ১০ শতাংশের নিচে নামানোর প্রতিশ্রুতি ছিল। কিন্তু বাস্তবে পরিস্থিতি উল্টো। সরকার পরিবর্তনের পর গোপন করা প্রকৃত তথ্য প্রকাশিত হলে দেখা গেছে, মাত্র এক বছরে খেলাপি ঋণের পরিমাণ প্রায় ৪ লাখ কোটি থেকে বেড়ে সাড়ে ৬ লাখ কোটি টাকা হয়েছে। সরকারি ব্যাংকগুলোর খেলাপির হার ৪০ শতাংশ ছাড়িয়েছে আর বেসরকারি খাতে ঋণহার ১০ শতাংশের ওপরে পৌঁছেছে।

সূত্র জানায়, ব্যাংকে খেলাপি ঋণ গোপন করার বিষয়টি রহস্যজনক। এতে সিস্টেমের দুর্বলতা বা কারচুপি দুটোরই ভূমিকা থাকতে পারে। যাঁরা ব্যাংক ইন্সপেকশন করেছেন, তাঁরা হয়তো দায়সারা পরিদর্শন করেছেন। আইএমএফ দ্রুত প্রকৃত কারণ জানাতে অনুরোধ করেছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত