নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
জ্বালানি তেল বিক্রির ওপর কমিশন বৃদ্ধিসহ তিন দফা দাবিতে আগামীকাল রোববার থেকে সারা দেশে পেট্রলপাম্প বন্ধ থাকবে বলে বাংলাদেশ পেট্রলপাম্প মালিক সমিতি এবং বাংলাদেশ ট্যাংকলরি ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে ঘোষণা এসেছে। তবে এই কর্মসূচি বাস্তবায়ন নিয়ে ধোঁয়াশা সৃষ্টি হয়েছে। পাম্পমালিক সংগঠনের নেতারা বলছেন, আগামীকাল সারা দেশে পেট্রলপাম্প বন্ধ থাকবে। তবে একাধিক পেট্রলপাম্পের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তাঁদের কাছে এ-সংক্রান্ত নির্দেশনা পৌঁছেনি।
গত ২৭ আগস্ট রাজধানীতে সংবাদ সম্মেলন করে বাংলাদেশ পেট্রলপাম্প মালিক সমিতি এবং বাংলাদেশ ট্যাংকলরি ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন। জ্বালানি তেল পরিবহনে ব্যবহৃত ট্যাংকলরির ইকোনমিক লাইফ ৫০ বছর নির্ধারণ; জ্বালানি তেল বিক্রির ওপর প্রচলিত কমিশন কমপক্ষে ৭ দশমিক ৫ শতাংশ নির্ধারণ করা এবং জ্বালানি তেল ব্যবসায়ীরা কমিশন এজেন্ট হওয়ায় প্রতিশ্রুতি সুস্পষ্ট করে গেজেট প্রকাশ করার দাবি তুলে ধরেন নেতারা।
সরকারকে এই দাবিগুলো বাস্তবায়ন করার জন্য ৩১ আগস্ট পর্যন্ত সময় বেঁধে দেওয়া হয়। দাবি বাস্তবায়ন না হলে ৩ সেপ্টেম্বর থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য সারা দেশে জ্বালানি তেল উত্তোলন ও পরিবহন বন্ধ থাকবে বলে ঘোষণা দেওয়া হয়।
ঘোষণা অনুযায়ী আগামীকাল পেট্রলপাম্প বন্ধের বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ পেট্রলপাম্প ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা মিজানুর রহমান রতন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের এই দাবিগুলো অনেক দিনের পুরোনো। আমাদের দাবি নিয়ে সর্বশেষ ২৯ আগস্ট বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ে বৈঠক হয়েছে। সরকার দাবি বাস্তবায়নের জন্য এক মাস সময় চায়। আমাদের পক্ষে আর সময় দেওয়া সম্ভব না। আমাদের দাবি আদায়ের জন্য আগামীকাল সারা দেশে পেট্রলপাম্প বন্ধ থাকবে।’
দাবি আদায় না হলে কি অনির্দিষ্টকাল পর্যন্ত পেট্রলপাম্প বন্ধ থাকবে—এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘দাবি আদায় করার জন্য আমরা অনির্দিষ্টকাল বলি। তবে এক দিন যাওয়ার পর মনে হয় একটা সমাধান আসবে। আন্দোলন তো আর অনির্দিষ্টকাল চলতে পারে না।’
তবে বাংলাদেশ পেট্রলপাম্প ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি এবং রমনা পেট্রলপাম্প অ্যান্ড সার্ভিস স্টেশনের মালিক মো. নাজমুল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘যারা আগামীকাল থেকে পেট্রলপাম্প বন্ধের কথা বলছে, তাদের সঙ্গে পেট্রলপাম্প মালিকদের কোনো সম্পর্ক নেই। সারা দেশে আগামীকাল পেট্রলপাম্প খোলা থাকবে।’
মো. নাজমুল হক বলেন, ‘এই তিন দফা দাবি নিয়ে আমরা প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদের সঙ্গে বসেছিলাম। সরকার সেপ্টেম্বর মধ্যে আমাদের দাবি মেনে নেবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। এখন যারা পেট্রলপাম্প বন্ধের কথা বলছে তারাসহ সবাই একমত হয়েছিল যে তারা আন্দোলন থেকে সরে আসবে। কিন্তু তারা এখন ভিন্ন কথা বলছে। এটা সরকারকে বেকায়দায় ফেলার ষড়যন্ত্র। আমরা সারা দেশের সকল পেট্রলপাম্প মালিকদের বলে দিয়েছি খোলা রাখতে।’
আগামীকাল পেট্রলপাম্প বন্ধের কর্মসূচির বিষয়ে জানতে আজ সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে রাজধানীর তিনটি পেট্রলপাম্প ও ফিলিং স্টেশনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা হয় এ প্রতিবেদকের। এই তিনটি পেট্রলপাম্পের কর্মকর্তারা বলেছেন, আগামীকাল পেট্রলপাম্প বন্ধ থাকার বিষয়ে বর্তমান কমিটির কোনো নির্দেশনা এখনো তাঁদের কাছে আসেনি। এ ব্যাপারে তাঁদের সঙ্গে কোনো যোগাযোগও করা হয়নি বলে জানান কর্মকর্তারা।
রাজধানীর আসাদ গেটে অবস্থিত তালুকদার ফিলিং স্টেশন সিএনজি অ্যান্ড সার্ভিস সেন্টারের হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা ফাত্তাহ আজম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সাংবাদিকেরা আজ আমার কাছ থেকে এ ব্যাপারে জানতে চাওয়ার পর আগামীকালের কর্মসূচির বিষয়টি জেনেছি। আমাদের কর্মচারীরা কাল পাম্পে আসবে। পেট্রলপাম্প বন্ধের ব্যাপারে আমাদের কাছে বর্তমান কমিটি থেকে কোনো নির্দেশনা আসেনি।’
অন্যদিকে আগামীকাল পেট্রলপাম্প বন্ধের ব্যাপারে জানতে বাংলাদেশ পেট্রলপাম্প মালিক সমিতির সভাপতি সাজ্জাদুল করিম কাবুলের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তাঁর ব্যবহৃত দুটি মোবাইল ফোন নম্বরই বন্ধ পাওয়া যায়।
জ্বালানি তেলের কমিশন বাড়ানোর দাবির সপক্ষে এর আগে সাজ্জাদুল করিম কাবুল বলেছিলেন, ‘জ্বালানি তেলের দাম যখন ধাপে ধাপে বাড়ানো হলো, তখন আমাদের কমিশন কমিয়ে দেওয়া হলো। তেলের দাম বাড়ানো হলে আমাদের কমিশনও বাড়াতে হবে। জ্বালানি তেল বিক্রির ওপর কমিশন কমপক্ষে ৭ দশমিক ৫ শতাংশ নির্ধারণ করতে হবে।’
জ্বালানি তেল বিক্রির ওপর কমিশন বৃদ্ধিসহ তিন দফা দাবিতে আগামীকাল রোববার থেকে সারা দেশে পেট্রলপাম্প বন্ধ থাকবে বলে বাংলাদেশ পেট্রলপাম্প মালিক সমিতি এবং বাংলাদেশ ট্যাংকলরি ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে ঘোষণা এসেছে। তবে এই কর্মসূচি বাস্তবায়ন নিয়ে ধোঁয়াশা সৃষ্টি হয়েছে। পাম্পমালিক সংগঠনের নেতারা বলছেন, আগামীকাল সারা দেশে পেট্রলপাম্প বন্ধ থাকবে। তবে একাধিক পেট্রলপাম্পের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তাঁদের কাছে এ-সংক্রান্ত নির্দেশনা পৌঁছেনি।
গত ২৭ আগস্ট রাজধানীতে সংবাদ সম্মেলন করে বাংলাদেশ পেট্রলপাম্প মালিক সমিতি এবং বাংলাদেশ ট্যাংকলরি ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন। জ্বালানি তেল পরিবহনে ব্যবহৃত ট্যাংকলরির ইকোনমিক লাইফ ৫০ বছর নির্ধারণ; জ্বালানি তেল বিক্রির ওপর প্রচলিত কমিশন কমপক্ষে ৭ দশমিক ৫ শতাংশ নির্ধারণ করা এবং জ্বালানি তেল ব্যবসায়ীরা কমিশন এজেন্ট হওয়ায় প্রতিশ্রুতি সুস্পষ্ট করে গেজেট প্রকাশ করার দাবি তুলে ধরেন নেতারা।
সরকারকে এই দাবিগুলো বাস্তবায়ন করার জন্য ৩১ আগস্ট পর্যন্ত সময় বেঁধে দেওয়া হয়। দাবি বাস্তবায়ন না হলে ৩ সেপ্টেম্বর থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য সারা দেশে জ্বালানি তেল উত্তোলন ও পরিবহন বন্ধ থাকবে বলে ঘোষণা দেওয়া হয়।
ঘোষণা অনুযায়ী আগামীকাল পেট্রলপাম্প বন্ধের বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ পেট্রলপাম্প ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা মিজানুর রহমান রতন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের এই দাবিগুলো অনেক দিনের পুরোনো। আমাদের দাবি নিয়ে সর্বশেষ ২৯ আগস্ট বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ে বৈঠক হয়েছে। সরকার দাবি বাস্তবায়নের জন্য এক মাস সময় চায়। আমাদের পক্ষে আর সময় দেওয়া সম্ভব না। আমাদের দাবি আদায়ের জন্য আগামীকাল সারা দেশে পেট্রলপাম্প বন্ধ থাকবে।’
দাবি আদায় না হলে কি অনির্দিষ্টকাল পর্যন্ত পেট্রলপাম্প বন্ধ থাকবে—এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘দাবি আদায় করার জন্য আমরা অনির্দিষ্টকাল বলি। তবে এক দিন যাওয়ার পর মনে হয় একটা সমাধান আসবে। আন্দোলন তো আর অনির্দিষ্টকাল চলতে পারে না।’
তবে বাংলাদেশ পেট্রলপাম্প ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি এবং রমনা পেট্রলপাম্প অ্যান্ড সার্ভিস স্টেশনের মালিক মো. নাজমুল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘যারা আগামীকাল থেকে পেট্রলপাম্প বন্ধের কথা বলছে, তাদের সঙ্গে পেট্রলপাম্প মালিকদের কোনো সম্পর্ক নেই। সারা দেশে আগামীকাল পেট্রলপাম্প খোলা থাকবে।’
মো. নাজমুল হক বলেন, ‘এই তিন দফা দাবি নিয়ে আমরা প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদের সঙ্গে বসেছিলাম। সরকার সেপ্টেম্বর মধ্যে আমাদের দাবি মেনে নেবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। এখন যারা পেট্রলপাম্প বন্ধের কথা বলছে তারাসহ সবাই একমত হয়েছিল যে তারা আন্দোলন থেকে সরে আসবে। কিন্তু তারা এখন ভিন্ন কথা বলছে। এটা সরকারকে বেকায়দায় ফেলার ষড়যন্ত্র। আমরা সারা দেশের সকল পেট্রলপাম্প মালিকদের বলে দিয়েছি খোলা রাখতে।’
আগামীকাল পেট্রলপাম্প বন্ধের কর্মসূচির বিষয়ে জানতে আজ সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে রাজধানীর তিনটি পেট্রলপাম্প ও ফিলিং স্টেশনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা হয় এ প্রতিবেদকের। এই তিনটি পেট্রলপাম্পের কর্মকর্তারা বলেছেন, আগামীকাল পেট্রলপাম্প বন্ধ থাকার বিষয়ে বর্তমান কমিটির কোনো নির্দেশনা এখনো তাঁদের কাছে আসেনি। এ ব্যাপারে তাঁদের সঙ্গে কোনো যোগাযোগও করা হয়নি বলে জানান কর্মকর্তারা।
রাজধানীর আসাদ গেটে অবস্থিত তালুকদার ফিলিং স্টেশন সিএনজি অ্যান্ড সার্ভিস সেন্টারের হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা ফাত্তাহ আজম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সাংবাদিকেরা আজ আমার কাছ থেকে এ ব্যাপারে জানতে চাওয়ার পর আগামীকালের কর্মসূচির বিষয়টি জেনেছি। আমাদের কর্মচারীরা কাল পাম্পে আসবে। পেট্রলপাম্প বন্ধের ব্যাপারে আমাদের কাছে বর্তমান কমিটি থেকে কোনো নির্দেশনা আসেনি।’
অন্যদিকে আগামীকাল পেট্রলপাম্প বন্ধের ব্যাপারে জানতে বাংলাদেশ পেট্রলপাম্প মালিক সমিতির সভাপতি সাজ্জাদুল করিম কাবুলের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তাঁর ব্যবহৃত দুটি মোবাইল ফোন নম্বরই বন্ধ পাওয়া যায়।
জ্বালানি তেলের কমিশন বাড়ানোর দাবির সপক্ষে এর আগে সাজ্জাদুল করিম কাবুল বলেছিলেন, ‘জ্বালানি তেলের দাম যখন ধাপে ধাপে বাড়ানো হলো, তখন আমাদের কমিশন কমিয়ে দেওয়া হলো। তেলের দাম বাড়ানো হলে আমাদের কমিশনও বাড়াতে হবে। জ্বালানি তেল বিক্রির ওপর কমিশন কমপক্ষে ৭ দশমিক ৫ শতাংশ নির্ধারণ করতে হবে।’
রাফায়েল গ্যালার্দো বলেন, ‘আমেরিকা এখন বিনিয়োগের জন্য নিরাপদ নয়। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের নতুন কর নীতি বৈশ্বিক বিনিয়োগকারীদের জন্য মারাত্মক ঝুঁকি তৈরি করেছে।’
২ ঘণ্টা আগেভারতের তৈরি পোশাক শিল্প বাংলাদেশে রাজনৈতিক অস্থিরতা ও অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তার সুযোগ কাজে লাগিয়ে যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে নিজেদের অবস্থান জোরদার করছে। শুল্কমুক্ত বা স্বল্প শুল্ক সুবিধা, উৎপাদন দক্ষতা ও সরকারের সহায়তায় ভারতীয় গার্মেন্টস শিল্প দ্রুত প্রবৃদ্ধি অর্জন করছে, যার নেতৃত্বে রয়েছে
৪ ঘণ্টা আগেদায়িত্ব নেওয়ার আট মাস পূর্তিতে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) ও বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেজা) নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন ‘আমাদের আমলনামা’ শিরোনামে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্ট দিয়েছেন।
১ দিন আগেট্রাম্পের প্রস্তাব অনুযায়ী, গ্রিন কার্ডধারী ও অস্থায়ী ভিসাধারী— যেমন; এইচ-ওয়ান বি কর্মীদের পাঠানো অর্থেও এই কর আরোপিত হবে। বিশ্বে সবচেয়ে বেশি রেমিট্যান্স পাওয়া দেশ ভারত। তাই এর প্রভাব ভারতের জন্য হবে ব্যাপক, বলছেন বিশ্লেষকেরা। অন্যান্য বড় রেমিট্যান্স নির্ভর দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে— মেক্সিকো, চীন
১ দিন আগে