ঈদকে কেন্দ্র করে দেশের বাজারে জাল নোটের কারবারিদের তৎপরতা বেড়ে যায়। কেনাকাটার ভিড়ে অসতর্কতা কিংবা ব্যস্ততার সুযোগ নিয়ে প্রতারকচক্র আসল নোটের সঙ্গে জাল টাকাও চালিয়ে দেয়। বিশেষ করে কোরবানির ঈদের সময় গরুর হাটগুলোতে এবং রমজানের শেষদিকে বিপণিবিতানগুলোতে এই প্রবণতা বাড়ে।
বাংলাদেশ ব্যাংক ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তথ্য অনুযায়ী, জাল নোট তৈরি ও ছড়ানোর একটি সংঘবদ্ধ চক্র সক্রিয় থাকে। তারা সাধারণত কাঁচা বাজার, বাসস্ট্যান্ড, গরুর হাট, শপিং মল ও ফুটপাতের দোকানগুলোকে টার্গেট করে। ঈদের সময় নতুন নোটের চাহিদা থাকায় প্রতারকরা হুবহু নতুন নোটের মতো দেখতে জাল টাকা তৈরি করে বাজারে ছাড়ে।
টাকা আসল না জাল চিনবেন যেভাবে
বাংলাদেশ ব্যাংক নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্যসহ ৫০০ ও ১০০০ টাকার নোট বাজারে ছেড়েছে। কিন্তু জাল নোট প্রতারণা থেকে রক্ষা পেতে সাধারণ মানুষের এসব বৈশিষ্ট্য জানা থাকা জরুরি। আসুন জেনে নিই কীভাবে সহজেই আসল নোট চেনা যায়।
১. ওয়াটার মার্ক বা জলছাপ যাচাই করুন
নোটের বাম পাশে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতির জলছাপ রয়েছে। আলোর বিপরীতে ধরলে জলছাপটি স্পষ্টভাবে দৃশ্যমান হবে।
২. ওভিআই বা রং পরিবর্তনশীল কালি চেক করুন
১০০, ৫০০ ও ১০০০ টাকার নোটে ‘১০০’, ‘৫০০’ ও ‘১০০০’ লেখা সংখ্যা অপটিক্যালি ভ্যারিয়েবল ইংক বা ওভিআই কালি দিয়ে মুদ্রিত। নোটটি কাত করলে সংখ্যার রং সবুজ থেকে সোনালি বা লালচে রঙে পরিবর্তিত হবে।
৩. সূক্ষ্ম লেখা ও খাঁজকাটা স্পর্শ করুন
নিরাপত্তার জন্য ‘বাংলাদেশ ব্যাংক’, ‘১০০ TAKA’, ‘৫০০ TAKA’ বা ‘১০০০ TAKA’ লেখা মাইক্রোপ্রিন্ট করা রয়েছে। আঙুল দিয়ে স্পর্শ করলে খাঁজকাটা অনুভূত হবে, যা জাল নোটে থাকে না।
৪. উল্লম্ব সিকিউরিটি থ্রেড বা নিরাপত্তা সূতা পরীক্ষা করুন
আসল নোটে সিকিউরিটি থ্রেড থাকে, যা আংশিক খালি চোখে দেখা যায় এবং আংশিক কাগজের মধ্যে লুকানো থাকে। নোটটি নাড়ালে থ্রেডের রঙ বদলায়।
৫. পেছনের নকশা ও হাতে লেখা সংখ্যা লক্ষ্য করুন
১০০ টাকার নোটের পেছনে ‘কর্ণফুলী সেতু’, ৫০০ টাকার নোটে ‘বাংলার কৃষি’, এবং ১০০০ টাকার নোটে ‘বাংলাদেশ ব্যাংক ভবন’ রয়েছে। নোটের ওপর হস্তলিখিত কোনো সংখ্যা বা অস্বাভাবিক ছাপ থাকলে তা জাল হতে পারে।
৬. ব্যাকগ্রাউন্ড প্যাটার্ন ও অদৃশ্য লেখা খেয়াল করুন
আসল নোটের ডিজাইনে সূক্ষ্ম প্যাটার্ন থাকে, যা আলোর বিপরীতে ধরলে স্পষ্ট হয়। ‘বাংলাদেশ ব্যাংক’ লেখা থাকে, যা নির্দিষ্ট কোণ থেকে দেখলে স্পষ্ট হয়।
৭. নোটের রঙ, কাগজের মান ও উজ্জ্বলতা পরীক্ষা করুন
আসল নোটের কাগজ উন্নত মানের ফাইবার ও তুলা মিশ্রিত হওয়ায় শক্ত এবং স্থায়ী হয়। জাল নোট তুলনামূলক ঝাপসা ও নিম্নমানের কাগজে মুদ্রিত হয়।
১০০, ৫০০ ও ১০০০ টাকার নোটে বাংলাদেশ ব্যাংকের সংযোজিত নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্যগুলো জানলে সহজেই জাল নোট শনাক্ত করা সম্ভব। অপরিচিত ব্যক্তির কাছ থেকে বড় অঙ্কের নোট গ্রহণে সতর্ক থাকুন। বিশেষ করে ব্যস্ত বাজারে লেনদেনের সময় খুঁটিয়ে পরীক্ষা করুন। সন্দেহজনক হলে ব্যাংক বা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহায়তা নিন। ব্যাংকনোটের ব্যবহার সম্পর্কে সচেতন হোন, জাল নোটের প্রতারণা থেকে নিজেকে রক্ষা করুন।
আরও খবর পড়ুন:
ঈদকে কেন্দ্র করে দেশের বাজারে জাল নোটের কারবারিদের তৎপরতা বেড়ে যায়। কেনাকাটার ভিড়ে অসতর্কতা কিংবা ব্যস্ততার সুযোগ নিয়ে প্রতারকচক্র আসল নোটের সঙ্গে জাল টাকাও চালিয়ে দেয়। বিশেষ করে কোরবানির ঈদের সময় গরুর হাটগুলোতে এবং রমজানের শেষদিকে বিপণিবিতানগুলোতে এই প্রবণতা বাড়ে।
বাংলাদেশ ব্যাংক ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তথ্য অনুযায়ী, জাল নোট তৈরি ও ছড়ানোর একটি সংঘবদ্ধ চক্র সক্রিয় থাকে। তারা সাধারণত কাঁচা বাজার, বাসস্ট্যান্ড, গরুর হাট, শপিং মল ও ফুটপাতের দোকানগুলোকে টার্গেট করে। ঈদের সময় নতুন নোটের চাহিদা থাকায় প্রতারকরা হুবহু নতুন নোটের মতো দেখতে জাল টাকা তৈরি করে বাজারে ছাড়ে।
টাকা আসল না জাল চিনবেন যেভাবে
বাংলাদেশ ব্যাংক নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্যসহ ৫০০ ও ১০০০ টাকার নোট বাজারে ছেড়েছে। কিন্তু জাল নোট প্রতারণা থেকে রক্ষা পেতে সাধারণ মানুষের এসব বৈশিষ্ট্য জানা থাকা জরুরি। আসুন জেনে নিই কীভাবে সহজেই আসল নোট চেনা যায়।
১. ওয়াটার মার্ক বা জলছাপ যাচাই করুন
নোটের বাম পাশে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতির জলছাপ রয়েছে। আলোর বিপরীতে ধরলে জলছাপটি স্পষ্টভাবে দৃশ্যমান হবে।
২. ওভিআই বা রং পরিবর্তনশীল কালি চেক করুন
১০০, ৫০০ ও ১০০০ টাকার নোটে ‘১০০’, ‘৫০০’ ও ‘১০০০’ লেখা সংখ্যা অপটিক্যালি ভ্যারিয়েবল ইংক বা ওভিআই কালি দিয়ে মুদ্রিত। নোটটি কাত করলে সংখ্যার রং সবুজ থেকে সোনালি বা লালচে রঙে পরিবর্তিত হবে।
৩. সূক্ষ্ম লেখা ও খাঁজকাটা স্পর্শ করুন
নিরাপত্তার জন্য ‘বাংলাদেশ ব্যাংক’, ‘১০০ TAKA’, ‘৫০০ TAKA’ বা ‘১০০০ TAKA’ লেখা মাইক্রোপ্রিন্ট করা রয়েছে। আঙুল দিয়ে স্পর্শ করলে খাঁজকাটা অনুভূত হবে, যা জাল নোটে থাকে না।
৪. উল্লম্ব সিকিউরিটি থ্রেড বা নিরাপত্তা সূতা পরীক্ষা করুন
আসল নোটে সিকিউরিটি থ্রেড থাকে, যা আংশিক খালি চোখে দেখা যায় এবং আংশিক কাগজের মধ্যে লুকানো থাকে। নোটটি নাড়ালে থ্রেডের রঙ বদলায়।
৫. পেছনের নকশা ও হাতে লেখা সংখ্যা লক্ষ্য করুন
১০০ টাকার নোটের পেছনে ‘কর্ণফুলী সেতু’, ৫০০ টাকার নোটে ‘বাংলার কৃষি’, এবং ১০০০ টাকার নোটে ‘বাংলাদেশ ব্যাংক ভবন’ রয়েছে। নোটের ওপর হস্তলিখিত কোনো সংখ্যা বা অস্বাভাবিক ছাপ থাকলে তা জাল হতে পারে।
৬. ব্যাকগ্রাউন্ড প্যাটার্ন ও অদৃশ্য লেখা খেয়াল করুন
আসল নোটের ডিজাইনে সূক্ষ্ম প্যাটার্ন থাকে, যা আলোর বিপরীতে ধরলে স্পষ্ট হয়। ‘বাংলাদেশ ব্যাংক’ লেখা থাকে, যা নির্দিষ্ট কোণ থেকে দেখলে স্পষ্ট হয়।
৭. নোটের রঙ, কাগজের মান ও উজ্জ্বলতা পরীক্ষা করুন
আসল নোটের কাগজ উন্নত মানের ফাইবার ও তুলা মিশ্রিত হওয়ায় শক্ত এবং স্থায়ী হয়। জাল নোট তুলনামূলক ঝাপসা ও নিম্নমানের কাগজে মুদ্রিত হয়।
১০০, ৫০০ ও ১০০০ টাকার নোটে বাংলাদেশ ব্যাংকের সংযোজিত নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্যগুলো জানলে সহজেই জাল নোট শনাক্ত করা সম্ভব। অপরিচিত ব্যক্তির কাছ থেকে বড় অঙ্কের নোট গ্রহণে সতর্ক থাকুন। বিশেষ করে ব্যস্ত বাজারে লেনদেনের সময় খুঁটিয়ে পরীক্ষা করুন। সন্দেহজনক হলে ব্যাংক বা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহায়তা নিন। ব্যাংকনোটের ব্যবহার সম্পর্কে সচেতন হোন, জাল নোটের প্রতারণা থেকে নিজেকে রক্ষা করুন।
আরও খবর পড়ুন:
টানা ৯ বছর জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা পূরণে ব্যর্থ হচ্ছে। রাজস্ব আদায়ে প্রতিবছর কিছুটা প্রবৃদ্ধি থাকলেও তা পূর্বনির্ধারিত লক্ষ্য থেকে পিছিয়ে থাকছে। প্রস্তাবিত ও সংশোধিত, উভয় লক্ষ্যেই তৈরি হচ্ছে বড় ফারাক। ২০১৫-১৬ অর্থবছরের পর থেকে কোনো বছরই লক্ষ্যমাত্রা ছুঁতে পারেনি...
২ ঘণ্টা আগে১১ বছরের সফল যাত্রা সম্পন্ন করল ইউএস-বাংলা এয়ারলাইনস। দেশের অন্যতম বেসরকারি এই বিমান সংস্থা গতকাল বৃহস্পতিবার ১২ বছরে পা রাখল। ২০১৪ সালের ১৭ জুলাই যাত্রা শুরু করা ইউএস-বাংলা আজ অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক রুটে নিরবচ্ছিন্ন সেবা দিয়ে বাংলাদেশের আকাশে একটি নির্ভরতার নাম হয়ে উঠেছে।
২ ঘণ্টা আগে৩৫ শতাংশ অতিরিক্ত শুল্কের চাপ এড়াতে বাণিজ্য ও অবাণিজ্য-সংক্রান্ত অনেক বিষয়ে ছাড় দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রকে খুশি রাখতে চাইছে বাংলাদেশ। এ বিষয়ে আগামী রোববার মার্কিন বাণিজ্য দপ্তরে (ইউএসটিআর) বাংলাদেশের চূড়ান্ত অবস্থানপত্র পাঠানো হবে বলে জানা গেছে। এরপর বাংলাদেশের প্রস্তাবে যুক্তরাষ্ট্র কতটুকু সাড়া দেয়...
৩ ঘণ্টা আগেজনতা ব্যাংকের প্রস্তাবিত নতুন পদোন্নতি নীতিমালায় চাকরির মোট মেয়াদকে প্রধান বিবেচনায় এনে নম্বর নির্ধারণ করায় গভীর অসন্তোষ দেখা দিয়েছে ব্যাংকের অভ্যন্তরে। বিশেষত, বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকার্স সিলেকশন কমিটির মাধ্যমে ২০১৯ সাল ও পরবর্তী সময়ে সরাসরি জ্যেষ্ঠ অফিসার পদে নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা...
৫ ঘণ্টা আগে