Ajker Patrika

জেনারেল আজিজের বিষয়ে ব্যবস্থা নেবে সেনাবাহিনী: অর্থমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ২৬ মে ২০২৪, ২০: ২০
Thumbnail image

সাবেক সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদের বিরুদ্ধে কোনো অনিয়ম–দুর্নীতির তথ্য থাকলে, তাঁর বিচার সেনাবাহিনী করবে—এমন মন্তব্য করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। আজ রোববার আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) নির্বাহী পরিচালক ভেঙ্কারা সুব্রাহ্মানিয়ানের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ মন্তব্য করে মন্ত্রী। 

দুর্নীতিতে সম্পৃক্ততার অভিযোগে গত সোমবার মধ্যরাতের পর বাংলাদেশের সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল (অব.) আজিজ আহমেদের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত বিবৃতিতে আজিজ আহমেদ ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের অযোগ্য ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। 

বাংলাদেশকে দেওয়া আইএমএফের ঋণের তৃতীয় কিস্তির বিষয়ে সংস্থাটির কর্মকর্তার সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের একপর্যায়ে জেনারেল আজিজের প্রসঙ্গ আসে। সাংবাদিকেরা তথ্যটির প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করলে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘সাবেক সেনাপ্রধানও ধরা পড়েছেন। যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞা দিলেও বিষয়টি তো জনসমক্ষে চলে এসেছে।’ 

এ সময় অর্থমন্ত্রী সাংবাদিকদের উল্টো প্রশ্ন করেন, ‘সাবেক সেনাপ্রধান কি ধরা পড়েছেন? সব সম্পত্তি জব্দ করার আদেশ এসেছে?’ তখন সাংবাদিকেরা জানান, সম্পত্তি জব্দের আদেশ এসেছে সাবেক পুলিশপ্রধানের। 

সাংবাদিকেরা বলেন, সাবেক সেনাপ্রধানের বিষয়ে সরকার তো কিছু করেনি। জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘সরকার কিছু করেনি মানে সেনাবাহিনী কিছু করবে।’ আজিজ আহমেদ তো এখন সেনাবাহিনীতে নেই। অর্থমন্ত্রীকে এ বিষয়টি মনে করিয়ে দিলে বলেন, ‘অবসরে যাওয়ার পরও সেনাবাহিনী কিছু করতে পারে।’ 

আলাপের বিভিন্ন পর্যায়ে সাংবাদিকেরা আইএমএফের ঋণ, খেলাপি, মূল্যস্ফীতি ও চলমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতির বিষয়ে অর্থমন্ত্রীর কাছে জানতে চান। এ সময় অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল খেলাপি ঋণ কমিয়ে আনার বিষয়ে সরকারকে পরামর্শ দিয়েছে। আমরা সে অনুযায়ী ঋণখেলাপিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব। আমি ঋণখেলাপিদের ধরতে চাই।’ 

মূল্যস্ফীতিই মূল চ্যালেঞ্জ কি না? এ প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘শুধু মূল্যস্ফীতি নয়; আরও আছে রিজার্ভ পরিস্থিতির উন্নয়ন, রাজস্ব আদায় ইত্যাদি।’ 

চ্যালেঞ্জের মধ্যে ডলারের দর আর ধরে রাখতে চান না অর্থমন্ত্রী। বলেন, ‘আইএমএফ অনেক দিন থেকেই ক্রলিং পেগ পদ্ধতি চালু করতে বলছিল। আমরা এটা করেছি। আইএমএফ এখন খুশি। অর্থাৎ আমরা ঠিক পথেই আছি।’ আইএমএফের ঋণের তৃতীয় কিস্তির অর্থ আগামী জুনে পাওয়া যাবে বলেও জানান অর্থমন্ত্রী।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত