হামাসের সঙ্গে ইসরায়েলের চলমান যুদ্ধের পরিপ্রেক্ষিতে ইসরায়েলের ওপর তেল নিষেধাজ্ঞা আরোপে মুসলিম দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে ইরান। কিন্তু মুসলিম দেশগুলো যদি এই আহ্বানে সাড়া দেয়ও, তাতে কি ইসরায়েলে জ্বালানি তেলের সরবরাহ বন্ধ হয়ে যাবে? বাস্তবতা বলছে, ইরানের আহ্বান তখনই কার্যকর হবে, যখন আজারবাইজান ও কাজাখস্তানের মতো মুসলিমপ্রধান দেশগুলো এই নিষেধাজ্ঞায় অংশ নেবে। এ দুটি দেশই ইসরায়েলকে সবচেয়ে বেশি জ্বালানি তেল সরবরাহ করে।
কিন্তু এ দুই দেশ নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করলেও ইসরায়েলের জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ রাস্তা খোলা থাকবে দৈনিক ২ লাখ ২০ হাজার ব্যারেল জ্বালানি তেলের চাহিদা মেটানোর। বাজার বিশ্লেষক প্রতিষ্ঠান কেইপলারের তথ্য বলছে, চলতি বছরের মে মাসের মাঝামাঝি থেকে দৈনিক ২ লাখ ২০ হাজার ব্যারেল ক্রুড জ্বালানি আমদানি করেছে। এসব তেলের ৬০ শতাংশের জোগানদাতাই আবার মুসলিম দেশগুলো। তবে এদের মধ্যে পশ্চিম আফ্রিকার দেশ গ্যাবন এককভাবে ইসরায়েলকে সবচেয়ে বেশি তেল সরবরাহ করে।
কেইপলারের বিশ্লেষণ বলছে, মুসলিম বিশ্ব যদি ইসরায়েলের ওপর জ্বালানি অবরোধ আরোপ করে, সে ক্ষেত্রে দেশটির বিপুল পরিমাণ বিকল্প রয়েছে। ইসরায়েলের সবচেয়ে বড় মিত্র যুক্তরাষ্ট্র এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় ভূমিকা পালন করতে পারে। কারণ, সৌদি আরব, রাশিয়াসহ ওপেকভুক্ত দেশগুলো স্বেচ্ছায় জ্বালানি উৎপাদন কমানোর ঘোষণা দেওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্রই বিশ্ববাজারে সমুদ্রকেন্দ্রিক জ্বালানি বিক্রির ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় সরবরাহকারী ছিল। ইসরায়েলের আরেকটি নির্ভরযোগ্য উৎস হয়ে উঠতে পারে ব্রাজিল। দেশটি বিগত কয়েক মাসে ইসরায়েলের সবচেয়ে বড় তেল সরবরাহকারী দেশ ছিল।
তবে জ্বালানি তেলের উৎস নিশ্চিত করতে পারলেও ইসরায়েলের জন্য একটি বড় দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে থাকবে যে পথে জ্বালানি আমদানি করা হবে তার নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। বিশেষ করে জ্বালানি আমদানির ক্ষেত্রে তিনটি টার্মিনাল—ভূমধ্য সাগরতীরের হাইফা ও আশকেলন এবং লোহিত সাগরতীরের এলিয়াত বন্দরের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।
এই তিন টার্মিনালের মধ্যে আশকেলন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এবং এর নিরাপত্তা নিয়েই বোধ হয় ইসরায়েলকে বেশি শঙ্কিত হতে হবে। কারণ এটি হামাস নিয়ন্ত্রিত গাজার একেবারে নিকটে অবস্থিত। হামাসের গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলার পর থেকে টার্মিনালটির নিরাপত্তা নিয়ে নতুন করে ভাবতে হবে ইসরায়েলকে।
আশকেলন বন্দর দিয়েই ইসরায়েল সবচেয়ে বেশি জ্বালানি তেল আমদানি করে। কেইপলারের তথ্য বলছে, এই বন্দর প্রতিটি ১ লাখ ৮০ হাজার ব্যারেল জ্বালানি তেল খালাস করতে পারে। পক্ষান্তরে হাইফা বন্দর দিয়ে খালাস করা যায় মাত্র ৪০ হাজার ব্যারেল। লোহিত সাগরের তীরে অবস্থিত এলিয়াত বন্দর দিয়ে ইসরায়েল এখনো কোনো জ্বালানি আমদানি করেনি।
উল্লেখ্য, মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো বিপুল পরিমাণ জ্বালানি উৎপাদন করলেও ইসরায়েল এসব দেশ থেকে খুব সামান্যই জ্বালানি তেল কিনে থাকে। পক্ষান্তরে ইরান থেকেও খুব বেশি জ্বালানি আমদানি করে না ইসরায়েল।
হামাসের সঙ্গে ইসরায়েলের চলমান যুদ্ধের পরিপ্রেক্ষিতে ইসরায়েলের ওপর তেল নিষেধাজ্ঞা আরোপে মুসলিম দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে ইরান। কিন্তু মুসলিম দেশগুলো যদি এই আহ্বানে সাড়া দেয়ও, তাতে কি ইসরায়েলে জ্বালানি তেলের সরবরাহ বন্ধ হয়ে যাবে? বাস্তবতা বলছে, ইরানের আহ্বান তখনই কার্যকর হবে, যখন আজারবাইজান ও কাজাখস্তানের মতো মুসলিমপ্রধান দেশগুলো এই নিষেধাজ্ঞায় অংশ নেবে। এ দুটি দেশই ইসরায়েলকে সবচেয়ে বেশি জ্বালানি তেল সরবরাহ করে।
কিন্তু এ দুই দেশ নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করলেও ইসরায়েলের জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ রাস্তা খোলা থাকবে দৈনিক ২ লাখ ২০ হাজার ব্যারেল জ্বালানি তেলের চাহিদা মেটানোর। বাজার বিশ্লেষক প্রতিষ্ঠান কেইপলারের তথ্য বলছে, চলতি বছরের মে মাসের মাঝামাঝি থেকে দৈনিক ২ লাখ ২০ হাজার ব্যারেল ক্রুড জ্বালানি আমদানি করেছে। এসব তেলের ৬০ শতাংশের জোগানদাতাই আবার মুসলিম দেশগুলো। তবে এদের মধ্যে পশ্চিম আফ্রিকার দেশ গ্যাবন এককভাবে ইসরায়েলকে সবচেয়ে বেশি তেল সরবরাহ করে।
কেইপলারের বিশ্লেষণ বলছে, মুসলিম বিশ্ব যদি ইসরায়েলের ওপর জ্বালানি অবরোধ আরোপ করে, সে ক্ষেত্রে দেশটির বিপুল পরিমাণ বিকল্প রয়েছে। ইসরায়েলের সবচেয়ে বড় মিত্র যুক্তরাষ্ট্র এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় ভূমিকা পালন করতে পারে। কারণ, সৌদি আরব, রাশিয়াসহ ওপেকভুক্ত দেশগুলো স্বেচ্ছায় জ্বালানি উৎপাদন কমানোর ঘোষণা দেওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্রই বিশ্ববাজারে সমুদ্রকেন্দ্রিক জ্বালানি বিক্রির ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় সরবরাহকারী ছিল। ইসরায়েলের আরেকটি নির্ভরযোগ্য উৎস হয়ে উঠতে পারে ব্রাজিল। দেশটি বিগত কয়েক মাসে ইসরায়েলের সবচেয়ে বড় তেল সরবরাহকারী দেশ ছিল।
তবে জ্বালানি তেলের উৎস নিশ্চিত করতে পারলেও ইসরায়েলের জন্য একটি বড় দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে থাকবে যে পথে জ্বালানি আমদানি করা হবে তার নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। বিশেষ করে জ্বালানি আমদানির ক্ষেত্রে তিনটি টার্মিনাল—ভূমধ্য সাগরতীরের হাইফা ও আশকেলন এবং লোহিত সাগরতীরের এলিয়াত বন্দরের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।
এই তিন টার্মিনালের মধ্যে আশকেলন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এবং এর নিরাপত্তা নিয়েই বোধ হয় ইসরায়েলকে বেশি শঙ্কিত হতে হবে। কারণ এটি হামাস নিয়ন্ত্রিত গাজার একেবারে নিকটে অবস্থিত। হামাসের গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলার পর থেকে টার্মিনালটির নিরাপত্তা নিয়ে নতুন করে ভাবতে হবে ইসরায়েলকে।
আশকেলন বন্দর দিয়েই ইসরায়েল সবচেয়ে বেশি জ্বালানি তেল আমদানি করে। কেইপলারের তথ্য বলছে, এই বন্দর প্রতিটি ১ লাখ ৮০ হাজার ব্যারেল জ্বালানি তেল খালাস করতে পারে। পক্ষান্তরে হাইফা বন্দর দিয়ে খালাস করা যায় মাত্র ৪০ হাজার ব্যারেল। লোহিত সাগরের তীরে অবস্থিত এলিয়াত বন্দর দিয়ে ইসরায়েল এখনো কোনো জ্বালানি আমদানি করেনি।
উল্লেখ্য, মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো বিপুল পরিমাণ জ্বালানি উৎপাদন করলেও ইসরায়েল এসব দেশ থেকে খুব সামান্যই জ্বালানি তেল কিনে থাকে। পক্ষান্তরে ইরান থেকেও খুব বেশি জ্বালানি আমদানি করে না ইসরায়েল।
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত একাধিক বহুজাতিক কোম্পানি গত অর্থবছরের মুনাফার তুলনায় বেশি পরিমাণ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। এতে প্রশ্ন উঠছে, এই প্রতিষ্ঠানগুলো কি বাংলাদেশে তাদের পুনর্বিনিয়োগের আগ্রহ হারাচ্ছে? পুঁজিবাজার বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এটি সরাসরি একটি ‘বিনিয়োগ প্রত্যাহার’-এর কৌশল, যা দেশের অর্থনীতি...
২১ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্রের বাজারে শুল্ক জটিলতা ও অস্থিরতা যখন নতুন চ্যালেঞ্জ, তখন ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) বাজারে তৈরি পোশাক রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধি আরও বেড়েছে বাংলাদেশের। চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে মে পর্যন্ত ৫ মাসে বাজারটিতে রপ্তানি হয়েছে ৯৬৮ কোটি ৮ লাখ ৭০ হাজার ডলারের পণ্য, যা ২০২৪ সালের একই সময়ে ছিল ৮২৩ কোটি...
২১ ঘণ্টা আগেদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম স্থলবন্দর চাঁপাইনবাবগঞ্জের সোনামসজিদ স্থলবন্দরে টানা তিন অর্থবছর ধরে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে কম রাজস্ব আদায় হয়েছে। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে এ ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২১৪ কোটি টাকা। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ফল ও কৃষিপণ্য আমদানি বন্ধ থাকায় এবং দুই দেশের সম্পর্কের টানাপোড়েনে এ অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে।
২১ ঘণ্টা আগেস্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক পিএলসির শরিয়াহ সুপারভাইজরি কমিটির ৫০তম সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বুধবার (২৩ জুলাই) ঢাকায় ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের বোর্ড রুমে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
১ দিন আগে