নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে সৃষ্ট ডলার-সংকট দূরীকরণে গৃহীত পদক্ষেপ কাজে আসছে না। উল্টো খোলাবাজারে ডলারের দাম বেড়েই চলছে। অতিরিক্ত দরে ডলার লেনদেন বন্ধ করতে অবৈধ ডলার ব্যবসায়ীদের ওপর নজরদারি চলমান রেখেছে বাংলাদেশ ব্যাংকের নেতৃত্বাধীন টাস্কফোর্স। এবার টাস্কফোর্সের বিরুদ্ধে মারধর, হয়রানিসহ অপেশাদার আচরণের অভিযোগ তুলেছেন ডলার ব্যবসায়ীরা। টাস্কফোর্সের হয়রানি থেকে রেহাই পেতে অনেক ব্যবসায়ী ডলার লেনদেন বন্ধ করে দিয়েছেন। এতে ডলারের দাম আরও চড়া হয়ে উঠেছে। যার খেসারত দিচ্ছেন বিদেশগামীরা। গতকাল বাংলাদেশ ব্যাংকে এক বৈঠকে এ বিষয়ে টাস্কফোর্সের প্রধান ও বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক নীতি বিভাগের পরিচালক মো. সরওয়ার হোসেনের কাছে অভিযোগ করেছেন ব্যবসায়ীরা।
এ বিষয়ে মানি চেঞ্জার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের মহাসচিব সেখ হেলাল সিকদার বলেন, ‘আমাদের দাবি-দাওয়া নিয়ে টাস্কফোর্সের প্রধানের সঙ্গে দেখা করেছি। বৈঠকে ব্যবসায়ীদের ওপর টাস্কফোর্সের মারধর, গ্রাহকের শরীর তল্লাশি, গালাগালসহ অপেশাদার আচরণের প্রতিকার চেয়েছি। কেননা, এ অবস্থায় ভালো-মন্দ কারও পক্ষে ব্যবসা পরিচালনা করা সম্ভব নয়। দেশে প্রচলিত আইন অনুযায়ী বিচার হতে পারে। দোষী প্রমাণিত হলে শাস্তি হবে। সবশেষে আমাদের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, হয়রানি বন্ধ না করা হলে বাংলাদেশ ব্যাংক যেন খুচরা ডলার ব্যবসার সনদ প্রত্যাহার করে নেয়। এ অবস্থা চলতে থাকলে বাজারে লেনদেন আরও কমে যাবে। তখন বিদেশগামীদের জন্য ডলার পাওয়া আরও কঠিন হয়ে পড়ার শঙ্কা রয়েছে।’
জানা গেছে, রাজধানীর দিশকুশার নিয়ন মানি চেঞ্জার্সের একজন বিক্রয়কর্মী ও গুলশানের আব্দুল্লাহ মানি চেঞ্জার্সের বিক্রয়কর্মীকে গত সপ্তাহে মারধর করেছেন টাস্কফোর্সের সঙ্গে থাকা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। টাস্কফোর্সের অভিযানকালে গ্রাহকের শরীর তল্লাশির ঘটনাও ঘটেছে। এ ছাড়া অনেককে গালাগালও করা হয়েছে।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মো. মেজবাউল হক বলেন, ‘মানি চেঞ্জার্স বিক্রয়কর্মীদের মারধরের বিষয়ে কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। এমন অপেশাদার আচরণ করার কথা নয়। টাস্কফোর্স মূলত ব্যবসায়ীদের ডলার লেনদেনের কাগজপত্র যাচাই করার কথা। তবে ব্যবসায়ীদের অভিযোগ শতভাগ সত্য ধরার সুযোগ নেই।’
গতকাল খোলাবাজারে ডলারের ঘোষিত কেনা-বেচা দর ছিল যথাক্রমে ১১১ টাকা ১০ পয়সা এবং ১১২ টাকা ৬০ পয়সা। কিন্তু সংকটের অজুহাতে প্রতি ডলার লেনদেন হয়েছে ১১৮ থেকে ১২০ টাকা। এতে বিদেশগামীরা খোলাবাজারে ডলার সংগ্রহ করতে গিয়ে বিপাকে পড়েছেন। ডলারের বাড়তি দামের বিষয়টি নজরে এলে আবার অভিযানে নামে কেন্দ্রীয় ব্যাংকসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
প্রসঙ্গত, বেঁধে দেওয়া দামের চেয়ে বেশি মূল্যে ডলার বিক্রি করায় গত সপ্তাহে ৭টি মানি চেঞ্জারের ব্যবসার লাইসেন্স স্থগিত করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। একই অভিযোগে অন্য ১০ মানি চেঞ্জারের কাছে ব্যাখ্যা তলব করা হয়েছে।
ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে সৃষ্ট ডলার-সংকট দূরীকরণে গৃহীত পদক্ষেপ কাজে আসছে না। উল্টো খোলাবাজারে ডলারের দাম বেড়েই চলছে। অতিরিক্ত দরে ডলার লেনদেন বন্ধ করতে অবৈধ ডলার ব্যবসায়ীদের ওপর নজরদারি চলমান রেখেছে বাংলাদেশ ব্যাংকের নেতৃত্বাধীন টাস্কফোর্স। এবার টাস্কফোর্সের বিরুদ্ধে মারধর, হয়রানিসহ অপেশাদার আচরণের অভিযোগ তুলেছেন ডলার ব্যবসায়ীরা। টাস্কফোর্সের হয়রানি থেকে রেহাই পেতে অনেক ব্যবসায়ী ডলার লেনদেন বন্ধ করে দিয়েছেন। এতে ডলারের দাম আরও চড়া হয়ে উঠেছে। যার খেসারত দিচ্ছেন বিদেশগামীরা। গতকাল বাংলাদেশ ব্যাংকে এক বৈঠকে এ বিষয়ে টাস্কফোর্সের প্রধান ও বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক নীতি বিভাগের পরিচালক মো. সরওয়ার হোসেনের কাছে অভিযোগ করেছেন ব্যবসায়ীরা।
এ বিষয়ে মানি চেঞ্জার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের মহাসচিব সেখ হেলাল সিকদার বলেন, ‘আমাদের দাবি-দাওয়া নিয়ে টাস্কফোর্সের প্রধানের সঙ্গে দেখা করেছি। বৈঠকে ব্যবসায়ীদের ওপর টাস্কফোর্সের মারধর, গ্রাহকের শরীর তল্লাশি, গালাগালসহ অপেশাদার আচরণের প্রতিকার চেয়েছি। কেননা, এ অবস্থায় ভালো-মন্দ কারও পক্ষে ব্যবসা পরিচালনা করা সম্ভব নয়। দেশে প্রচলিত আইন অনুযায়ী বিচার হতে পারে। দোষী প্রমাণিত হলে শাস্তি হবে। সবশেষে আমাদের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, হয়রানি বন্ধ না করা হলে বাংলাদেশ ব্যাংক যেন খুচরা ডলার ব্যবসার সনদ প্রত্যাহার করে নেয়। এ অবস্থা চলতে থাকলে বাজারে লেনদেন আরও কমে যাবে। তখন বিদেশগামীদের জন্য ডলার পাওয়া আরও কঠিন হয়ে পড়ার শঙ্কা রয়েছে।’
জানা গেছে, রাজধানীর দিশকুশার নিয়ন মানি চেঞ্জার্সের একজন বিক্রয়কর্মী ও গুলশানের আব্দুল্লাহ মানি চেঞ্জার্সের বিক্রয়কর্মীকে গত সপ্তাহে মারধর করেছেন টাস্কফোর্সের সঙ্গে থাকা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। টাস্কফোর্সের অভিযানকালে গ্রাহকের শরীর তল্লাশির ঘটনাও ঘটেছে। এ ছাড়া অনেককে গালাগালও করা হয়েছে।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মো. মেজবাউল হক বলেন, ‘মানি চেঞ্জার্স বিক্রয়কর্মীদের মারধরের বিষয়ে কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। এমন অপেশাদার আচরণ করার কথা নয়। টাস্কফোর্স মূলত ব্যবসায়ীদের ডলার লেনদেনের কাগজপত্র যাচাই করার কথা। তবে ব্যবসায়ীদের অভিযোগ শতভাগ সত্য ধরার সুযোগ নেই।’
গতকাল খোলাবাজারে ডলারের ঘোষিত কেনা-বেচা দর ছিল যথাক্রমে ১১১ টাকা ১০ পয়সা এবং ১১২ টাকা ৬০ পয়সা। কিন্তু সংকটের অজুহাতে প্রতি ডলার লেনদেন হয়েছে ১১৮ থেকে ১২০ টাকা। এতে বিদেশগামীরা খোলাবাজারে ডলার সংগ্রহ করতে গিয়ে বিপাকে পড়েছেন। ডলারের বাড়তি দামের বিষয়টি নজরে এলে আবার অভিযানে নামে কেন্দ্রীয় ব্যাংকসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
প্রসঙ্গত, বেঁধে দেওয়া দামের চেয়ে বেশি মূল্যে ডলার বিক্রি করায় গত সপ্তাহে ৭টি মানি চেঞ্জারের ব্যবসার লাইসেন্স স্থগিত করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। একই অভিযোগে অন্য ১০ মানি চেঞ্জারের কাছে ব্যাখ্যা তলব করা হয়েছে।
বাংলাদেশি পণ্যের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের পাল্টা শুল্ক ২০ শতাংশে নেমে আসায় স্বস্তি ফিরেছে ব্যবসায়ীদের মধ্যে। পাল্টা শুল্ক প্রতিযোগী দেশগুলোর সমান হওয়ায় এটি ব্যবস্থাপনাযোগ্য বলে জানিয়েছেন তৈরি পোশাক খাতের ব্যবসায়ীরা। তাঁরা বলছেন, এখন পাল্টা শুল্কের যে হার নির্ধারণ করা হয়েছে, তাতে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে
২ ঘণ্টা আগেমার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের এক ঘোষণাতেই রপ্তানিকারকদের কপালে পড়েছিল চিন্তার বড় ভাঁজ। এই নিয়ে গত ২ এপ্রিল থেকে ঘুম উড়ে যাওয়ার দশা ব্যবসায়ী ও নীতিনির্ধারকদের। শুরু হয় মার্কিন বাণিজ্য দপ্তরের সঙ্গে দেনদরবার; বাণিজ্য ঘাটতি কমাতে দেওয়া হয় নানা প্রতিশ্রুতি ও ছাড়। দফায় দফায় আলোচনা এবং সরকারের
৩ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্র পাল্টা শুল্ক কমিয়ে ২০ শতাংশ নির্ধারণ করায় দেশের পোশাক উদ্যোক্তাদের আসল কাজটি এখন শুরু হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) পরিচালক ও সুরমা গার্মেন্টসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফয়সাল সামাদ। তিনি বলেছেন, বিশ্বের সবচেয়ে বড় বাজারে প্রবেশ করতে হলে
১০ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশের জন্য শুল্ক কমিয়ে ২০ শতাংশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। আজ শুক্রবার অন্যান্য দেশের জন্য বিভিন্ন হারের পাশাপাশি বাংলাদেশের জন্য এই শুল্ক হার ঘোষণা করেন। হোয়াইট হাউসের এই ঘোষণাকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আলোচনার পদ্ধতির জন্য একটি জয় বলে উল্লেখ করেছেন উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান। সেই সঙ্গে বাণিজ্য
১১ ঘণ্টা আগে