আজকের পত্রিকা ডেস্ক
বাংলাদেশে গণ-আন্দোলন এবং রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাব শুধু দেশের অর্থনীতিতেই পড়েনি, প্রতিবেশী ভারতও এর আঁচ অনুভব করছে। এশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম টমেটো বাজার বলে স্বীকৃত কর্ণাটকের কোলার। সেখান থেকে ভারতের অন্যান্য বাজারগুলোসহ টমেটো রপ্তানি হয় বাংলাদেশ ও ইন্দোনেশিয়াও।
কিন্তু বাংলাদেশে সাম্প্রতিক অস্থিরতার জেরে রপ্তানিতে ধস নেমেছে। আর তাতে চরম বিপাকে পড়েছেন কোলারের টমেটো চাষিরা। ফসল বিক্রি করে লাভ হওয়া তো দূরের কথা, এখন খরচ ওঠানোই কঠিন হয়ে গেছে!
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম সিএনএন–নিউজ ১৮–এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আগে প্রথম গ্রেডের এক বাক্স (১৫ কেজি) টমেটো ১ হাজার ১০০ রুপি থেকে ১ হাজার ২০০ রুপি পর্যন্ত বিক্রি হতো। কিন্তু, এখন প্রতি বাক্স টমেটো বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ থেকে ৪৮০ রুপিতে। সেখানকার স্থানীয় বাজারে দুই সপ্তাহ আগেও এক কেজি টমেটো ৪০ রুপিতে বিক্রি হতো। সেটি কমে এখন ১২ রুপিতে দাঁড়িয়েছে। পাইকারি বাজারে এক বাক্স টমেটো বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ৪০০ রুপিতে।
কর্ণাটকের কোলার থেকে মূলত টমেটো নিয়ে আসেন পশ্চিমবঙ্গের ব্যবসায়ীরা। এরপর সেগুলো তাঁরা বাংলাদেশে পাঠান। বাংলাদেশে রাজনৈতিক অস্থিরতার আগে এসব ব্যবসায়ী কোলার থেকে প্রতিদিন ৪০ থেকে ৫০ কেটি (কিলো টন বা ১০০০ টন) টমেটো কিনতেন। বর্তমানে সেটি ৫০ শতাংশে নেমে এসেছে।
কোলার এপিএমসি সেক্রেটারি কিরান নারায়ণস্বামী বলেন, কোলারে উৎপাদিত টমেটোর সবচেয়ে বড় বাজার বাংলাদেশ। এই মুহূর্তে বাংলাদেশে তাঁদের টমেটো রপ্তানিতে বড় প্রভাব পড়েছে।
শারতাজ খান নামের এক স্থানীয় ব্যবসায়ী বলেন, রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে সীমান্তে কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে। এ ছাড়া বাংলাদেশে পণ্যবাহী গাড়ির চলাচল অনেকটা সীমিত হয়ে গেছে।
যেহেতু বাংলাদেশে তাঁরা আর টমেটো রপ্তানি করতে পারছেন না; সে কারণে ব্যবসায়ীরা স্থানীয় বাজারে মনোযোগ দিয়েছেন। এতে কর্ণাটকে টমেটোর দাম আশঙ্কাজনক হারে কমেছে। এ ছাড়া ওয়েয়ান্দের ভূমিধসও দামে প্রভাব ফেলেছে।
কোলারে ৪ হাজার হেক্টর জমিতে টমেটো উৎপাদন করা হয়। বাংলাদেশ ছাড়াও তামিলনাড়ু, কেরালা এবং অন্ধ্রপ্রদেশে যায় এই টমেটো। তবে ভারতের অন্যান্য রাজ্যেও টমেটোর ব্যাপক উৎপাদন হওয়ায় দাম আরও কমে যাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
চাষিরা বলছেন, এক একর জমিতে টমেটো চাষ করতে ১ থেকে ২ লাখ রুপি বিনিয়োগ করতে হয়। ফসল ভালো হলে তাঁরা প্রতি একরে প্রায় ২৫০ বাক্স ফলন আশা করতে পারেন। কিন্তু যখন বাংলাদেশের মতো বাজারে সেগুলো প্রবেশ করতে পারে না, তখন অতিরিক্ত সরবরাহের কারণে টমেটোর দাম বাক্সপ্রতি ২০০ রুপিতে (প্রায় ১৩ রুপি কেজি) নেমে আসে।
এক মাস আগেও ভারতের বাজারে প্রতি কেজি টমেটোর দাম ১০০ রুপির ওপরে ছিল। কিন্তু বাংলাদেশে রপ্তানিতে ধস নামায় ভারতীয় বাজারে টমেটোর দাম এতটাই কমে গেছে যে চাষিরা বড় লোকসানের মুখে পড়তে যাচ্ছেন।
রবি গৌড়া নামে কোলারের এক চাষি বলেন, ছত্তিশগড়, বিলাসপুর, রায়পুরের মতো বাজারগুলোতে মাঝারি আকারের টমেটো বিক্রি হয় প্রতি ক্রেট (খাঁচি) ৯০০ থেকে ১ হাজার ৫০০ রুপির মধ্যে। অন্যান্য দেশে যেগুলো পাঠানো হয়, সেগুলো আরও রসালো। এর চাহিদা বেশি হওয়ায় দামও ভালো পাওয়া যায়। কিন্তু এখন স্থানীয় বাজারে প্রতি ক্রেট টমেটো ৫০০ রুপিতে বিক্রি করা ছাড়া আমাদের কোনো উপায় নেই। এভাবে চলতে থাকলে আমরা বাঁচব কীভাবে!
বাংলাদেশে গণ-আন্দোলন এবং রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাব শুধু দেশের অর্থনীতিতেই পড়েনি, প্রতিবেশী ভারতও এর আঁচ অনুভব করছে। এশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম টমেটো বাজার বলে স্বীকৃত কর্ণাটকের কোলার। সেখান থেকে ভারতের অন্যান্য বাজারগুলোসহ টমেটো রপ্তানি হয় বাংলাদেশ ও ইন্দোনেশিয়াও।
কিন্তু বাংলাদেশে সাম্প্রতিক অস্থিরতার জেরে রপ্তানিতে ধস নেমেছে। আর তাতে চরম বিপাকে পড়েছেন কোলারের টমেটো চাষিরা। ফসল বিক্রি করে লাভ হওয়া তো দূরের কথা, এখন খরচ ওঠানোই কঠিন হয়ে গেছে!
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম সিএনএন–নিউজ ১৮–এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আগে প্রথম গ্রেডের এক বাক্স (১৫ কেজি) টমেটো ১ হাজার ১০০ রুপি থেকে ১ হাজার ২০০ রুপি পর্যন্ত বিক্রি হতো। কিন্তু, এখন প্রতি বাক্স টমেটো বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ থেকে ৪৮০ রুপিতে। সেখানকার স্থানীয় বাজারে দুই সপ্তাহ আগেও এক কেজি টমেটো ৪০ রুপিতে বিক্রি হতো। সেটি কমে এখন ১২ রুপিতে দাঁড়িয়েছে। পাইকারি বাজারে এক বাক্স টমেটো বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ৪০০ রুপিতে।
কর্ণাটকের কোলার থেকে মূলত টমেটো নিয়ে আসেন পশ্চিমবঙ্গের ব্যবসায়ীরা। এরপর সেগুলো তাঁরা বাংলাদেশে পাঠান। বাংলাদেশে রাজনৈতিক অস্থিরতার আগে এসব ব্যবসায়ী কোলার থেকে প্রতিদিন ৪০ থেকে ৫০ কেটি (কিলো টন বা ১০০০ টন) টমেটো কিনতেন। বর্তমানে সেটি ৫০ শতাংশে নেমে এসেছে।
কোলার এপিএমসি সেক্রেটারি কিরান নারায়ণস্বামী বলেন, কোলারে উৎপাদিত টমেটোর সবচেয়ে বড় বাজার বাংলাদেশ। এই মুহূর্তে বাংলাদেশে তাঁদের টমেটো রপ্তানিতে বড় প্রভাব পড়েছে।
শারতাজ খান নামের এক স্থানীয় ব্যবসায়ী বলেন, রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে সীমান্তে কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে। এ ছাড়া বাংলাদেশে পণ্যবাহী গাড়ির চলাচল অনেকটা সীমিত হয়ে গেছে।
যেহেতু বাংলাদেশে তাঁরা আর টমেটো রপ্তানি করতে পারছেন না; সে কারণে ব্যবসায়ীরা স্থানীয় বাজারে মনোযোগ দিয়েছেন। এতে কর্ণাটকে টমেটোর দাম আশঙ্কাজনক হারে কমেছে। এ ছাড়া ওয়েয়ান্দের ভূমিধসও দামে প্রভাব ফেলেছে।
কোলারে ৪ হাজার হেক্টর জমিতে টমেটো উৎপাদন করা হয়। বাংলাদেশ ছাড়াও তামিলনাড়ু, কেরালা এবং অন্ধ্রপ্রদেশে যায় এই টমেটো। তবে ভারতের অন্যান্য রাজ্যেও টমেটোর ব্যাপক উৎপাদন হওয়ায় দাম আরও কমে যাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
চাষিরা বলছেন, এক একর জমিতে টমেটো চাষ করতে ১ থেকে ২ লাখ রুপি বিনিয়োগ করতে হয়। ফসল ভালো হলে তাঁরা প্রতি একরে প্রায় ২৫০ বাক্স ফলন আশা করতে পারেন। কিন্তু যখন বাংলাদেশের মতো বাজারে সেগুলো প্রবেশ করতে পারে না, তখন অতিরিক্ত সরবরাহের কারণে টমেটোর দাম বাক্সপ্রতি ২০০ রুপিতে (প্রায় ১৩ রুপি কেজি) নেমে আসে।
এক মাস আগেও ভারতের বাজারে প্রতি কেজি টমেটোর দাম ১০০ রুপির ওপরে ছিল। কিন্তু বাংলাদেশে রপ্তানিতে ধস নামায় ভারতীয় বাজারে টমেটোর দাম এতটাই কমে গেছে যে চাষিরা বড় লোকসানের মুখে পড়তে যাচ্ছেন।
রবি গৌড়া নামে কোলারের এক চাষি বলেন, ছত্তিশগড়, বিলাসপুর, রায়পুরের মতো বাজারগুলোতে মাঝারি আকারের টমেটো বিক্রি হয় প্রতি ক্রেট (খাঁচি) ৯০০ থেকে ১ হাজার ৫০০ রুপির মধ্যে। অন্যান্য দেশে যেগুলো পাঠানো হয়, সেগুলো আরও রসালো। এর চাহিদা বেশি হওয়ায় দামও ভালো পাওয়া যায়। কিন্তু এখন স্থানীয় বাজারে প্রতি ক্রেট টমেটো ৫০০ রুপিতে বিক্রি করা ছাড়া আমাদের কোনো উপায় নেই। এভাবে চলতে থাকলে আমরা বাঁচব কীভাবে!
কাগুজে ও ভুয়া প্রতিষ্ঠান দেখিয়ে ঋণের নামে নেওয়া হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার করেছে এস আলম গ্রুপ। পাচারের এই অর্থ ফেরাতে তোড়জোড় শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক।) দুদকের দায়িত্বশীল একটি সূত্র জানিয়েছে, ইতিমধ্যে পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনতে বিভিন্ন দেশে মিউচুয়াল লিগ্যাল অ্যাসিস্ট্যান্স রিকোয়েস্ট (এমএলএ
৪ ঘণ্টা আগেপশ্চিমের বলয় থেকে বেরিয়ে যাওয়ার চেষ্টায় বিকল্প অর্থনৈতিক জোট হিসেবে ব্রিকসের জন্ম। এই জোটের সদস্য দেশগুলো হলো—ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত, চীন ও দক্ষিণ আফ্রিকা। সাম্প্রতিক সময়ে মিসর, ইথিওপিয়া, ইরান, সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং ইন্দোনেশিয়া নতুন সদস্য হিসেবে যোগ দিয়েছে।
১২ ঘণ্টা আগেগার্ডিয়ান লাইফ ইনস্যুরেন্স লিমিটেড দেশের একটি সুপরিচিত বিমা প্রতিষ্ঠান, সম্প্রতি বিমা কার্যক্রম পরিচালনায় নিয়ম লঙ্ঘনের জন্য সমালোচিত হয়েছে। প্রায় চার বছর ধরে সিইও (মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা) ছাড়া প্রতিষ্ঠানটি কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। ২০২১ সালের জানুয়ারি মাস থেকে সিইও পদটি শূন্য, যা বিমা আইন..
১ দিন আগেজাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এখনো রাজস্ব আহরণের আধুনিক ব্যবস্থার সঙ্গে তাল মেলাতে পারছে না। বিশেষ করে আয়কর ব্যবস্থার ডিজিটালাইজেশন এখনো অনেক পিছিয়ে। ২০০৫ সালে অটোমেশনের উদ্যোগ নেওয়া হলেও দুই দশক পরেও তা পুরোপুরি বাস্তবায়িত হয়নি।
১ দিন আগে