রেজাউর রহিম
‘গত কয়েক মাস ধরে শাক-সবজির দাম যে হারে বেড়েছে, তাতে এখন শাক-সবজিও খাওয়াই ভুলে যেতে হবে।’ মিরপুর ১ নম্বর বাজারে দিনের বাজার করতে আসা আবদুল আলিম বেশ ক্ষোভের সঙ্গেই বললেন কথাগুলো।
রাজধানীর বাজারে দিন দিন পাল্লা দিয়ে বাড়ছে শাক-সবজির দাম। এতে সাধারণ মানুষের ভোগান্তি বেড়েছে ভয়াবহভাবে। নিত্যপ্রয়োজনীয় এসব পণ্য কিনতে রীতিমতো হিমশিম খেতে হচ্ছে সীমিত ও নিম্ন আয়ের মানুষদের। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে গেছে যে, সাধারণ ও নিম্ন আয়ের মানুষের এখন শাক-সবজি, লতা-পাতা খেয়ে বেঁচে থাকাও কঠিন হয়ে পড়েছে। আর প্রতিটি বাজারেই পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকার পরও কেন শাক এবং প্রায় সব ধরনের সবজির দাম চড়া, সে প্রশ্ন এখন নিম্ন ও মধ্যবিত্ত শ্রেণির মধ্যে অনেক বড় হয়ে উঠেছে। জন্ম নিচ্ছে হতাশা ও ক্ষোভ।
রাজধানীর মিরপুর ১ নম্বর বাজার, শেওড়াপাড়া কাঁচাবাজার এবং কল্যাণপুর নতুন বাজারে ঘুরে দেখা গেছে, শীত মৌসুম প্রায় শুরু হওয়ায় বাজারে সব ধরনের সবজির পর্যাপ্ত সরবরাহ রয়েছে। তারপরও ক্রমান্বয়ে বাড়ছে শাকসবজির দাম। এ ছাড়া আগাম শীতকালীন সবজিও ইতিমধ্যে বাজারে এসেছে। কিন্তু কমছে না দাম।
দেখা গেছে, পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকার পরও প্রায় প্রতিটি সবজির দাম ভয়ানক চড়া। বাজারে ঝিঙের কেজি ৬০ টাকা, করলা ৬০-৮০ টাকা, চিচিঙ্গা ৬০ টাকা, পটোল ৬০ টাকা, বেগুন ৬০ থেকে ৮০ টাকা, আর গোল বেগুন ৮০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। ঢ্যাঁড়সের কেজি ৬০ টাকা এবং বরবটির কেজি ৮০ টাকা। আর লেবুর হালি ২০ থেকে ২৫ টাকা। শীতের আগাম সবজির মধ্যে মাঝারি আকারের একটি ফুলকপি ৫০ থেকে ৬০ টাকা, বাঁধাকপি ৫০ টাকা, শিমের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১৪০ টাকা। গাজরের কেজি ১৬০ টাকা, আর টমেটো বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা দরে। এর মধ্যে গাজর ও টমেটোর দাম সপ্তাহের ব্যবধানেও অপরিবর্তিত রয়েছে। আর মুলার কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকায়। এ ছাড়া কাঁচকলার হালি ২৫ থেকে ৩০ টাকা, লাউ প্রতি পিস ৭০ থেকে ৮০ টাকা এবং পেঁপে ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
আর কাঁচামরিচের দাম অন্যান্য বছর এ সময় সহনীয় পর্যায়ে থাকলেও এবার ব্যতিক্রম। এখনো কাঁচামরিচ প্রতি কেজির দাম ১২০ থেকে ১৪০ টাকা। অবশ্য কিছুদিন আগে প্রতি কেজি কাঁচামরিচ বিক্রি হয়েছে ২০০ টাকা দরে। সবজির বাজার রেখে যদি শাকের দিকেও হাত বাড়ানো যায়, তাতেও তা গুটিয়ে আসতে বাধ্য। কারণ দাম।
এবার বাজারে ভয়ানকভাবে বেড়েছে বিভিন্ন ধরনের শাকের দাম। মুলা শাকের আঁটি ২০ টাকা, পুঁই শাক ও লাউ শাকের প্রতি আঁটি ৪০ টাকা করে, সরিষার শাক প্রতি আঁটি ২০ টাকা, পালং ২৫, লাল শাকের ছোট আঁটি ১৫ থেকে ২০ টাকা, ডাটা শাক ১৫ টাকা আঁটিতে বিক্রি হতে দেখা গেছে। কলমি শাকের প্রতি আঁটি ১০ থেকে ১৫ টাকা দামে বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া বিভিন্ন বাজারে আলুর কেজি ২৫ টাকা এবং পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৫৫ থেকে ৬০ টাকা কেজি দরে।
এ নিয়ে এক কথায় হতাশ ও ক্ষুব্ধ সাধারণ মানুষ। মিরপুর ১ নম্বর বাজারে শাক-সবজি কিনতে আসা আবদুল আলিম এমনই একজন। বাজারে শাক-সবজির দাম নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘ভাই আমাদের মতো গরিব মানুষের আর বাঁচার উপায় নাই। মাছ-মাংসের দাম তো আগে থেকেই বেশি। গত কয়েক মাস ধরে শাক-সবজির দাম যে হারে বেড়েছে, তাতে এখন শাক-সবজিও খাওয়াই ভুলে যেতে হবে। এ অবস্থায় বেঁচে থাকাই এখন বড় দায় হয়ে দাঁড়িয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘দাম নিয়ন্ত্রণে সরকারের একটা কিছু করা উচিত। যাতে নিম্ন আয়ের মানুষেরা একটু স্বস্তির নিশ্বাস ফেলতে পারে।’
কথা হলো বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত শেওড়াপাড়া এলাকায় বসবাসরত মোকাররম হোসেনের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘বাজারে চাল-ডাল শাকসবজির দাম যেভাবে বেড়েছে, তাতে আমাদের এই স্বল্প আয়ে তিন বেলা ভালোভাবে খেয়ে-পরে বেঁচে থাকা খুবই কষ্টকর। পণ্যের দাম সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রাখার জন্য সরকারের কার্যকর ভূমিকা নেওয়া দরকার।’
এ তো গেল ক্রেতাদের কথা। এদিকে খুচরা বিক্রেতাদের দাবি, শীত মৌসুম শুরুর আগে প্রতি বছরের এ সময়ে সবজির সরবরাহ সাধারণত কম থাকে। ফলে দাম এখন একটু বাড়তি। এ ছাড়া পাইকারি পর্যায়ে দাম বাড়তি থাকায় তাদের বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।
কল্যাণপুর নতুন বাজারের সবজি বিক্রেতা আরশাদ আলী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বাজারে অন্য বছরের তুলনায় শীতের সবজি এখনো সেভাবে ওঠেনি। এ ছাড়া আড়তে (পাইকারি বাজার) দাম বেশি থাকায় আমাদেরও বেশি দামেই বেচতে হচ্ছে।’
এ বিষয়ে কারওয়ান বাজার কাঁচামাল আড়ত ব্যবসায়ী মালিক সমিতির দপ্তর সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন বলেন, শীতকাল শুরুর আগে এই সময়ে সাধারণত শীতকালীন সবজির দাম একটু বেশি থাকে। সরবরাহ ঠিক আছে। তারপরও বাজারে শাক-সবজির বাড়তি দামের জন্য খুচরা বিক্রেতাদের অতিরিক্ত মুনাফা করার প্রবণতা দায়ী। তবে শীতকালীন সবজি পুরোদমে বাজারে এলে শাক-সবজির দাম কমে যাবে।’
এ ব্যাপারে কনজিউমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সভাপতি গোলাম রহমান বলেন, ‘বাজারে পণ্যের দাম সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রাখতে সরকারকেই ভূমিকা নিতে হবে। বাজারে পণ্য সংকট থাকলে সরবরাহ বাড়ানোর উদ্যোগও নিতে হবে।’ বাজারে শাকসবজির দামের অস্বাভাবিক বৃদ্ধি প্রসঙ্গে ক্যাব সভাপতি বলেন, ‘উৎপাদক; অর্থাৎ, কৃষক পর্যায়ের দামের সঙ্গে রাজধানীসহ বিভিন্ন বাজারে শাক-সবজির দামের আকাশ-পাতাল তফাৎ। এর কারণ সরকারকে অনুসন্ধান করতে হবে। পাশাপাশি দাম নিয়ন্ত্রণে সরকারের নিয়মিত বাজার তদারকি জোরদার করতে হবে। এ ছাড়া পরিবহনের ভাড়া বৃদ্ধি, চাঁদাবাজি ও অন্য প্রতিবন্ধকতা থাকলে তা বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে।’
‘গত কয়েক মাস ধরে শাক-সবজির দাম যে হারে বেড়েছে, তাতে এখন শাক-সবজিও খাওয়াই ভুলে যেতে হবে।’ মিরপুর ১ নম্বর বাজারে দিনের বাজার করতে আসা আবদুল আলিম বেশ ক্ষোভের সঙ্গেই বললেন কথাগুলো।
রাজধানীর বাজারে দিন দিন পাল্লা দিয়ে বাড়ছে শাক-সবজির দাম। এতে সাধারণ মানুষের ভোগান্তি বেড়েছে ভয়াবহভাবে। নিত্যপ্রয়োজনীয় এসব পণ্য কিনতে রীতিমতো হিমশিম খেতে হচ্ছে সীমিত ও নিম্ন আয়ের মানুষদের। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে গেছে যে, সাধারণ ও নিম্ন আয়ের মানুষের এখন শাক-সবজি, লতা-পাতা খেয়ে বেঁচে থাকাও কঠিন হয়ে পড়েছে। আর প্রতিটি বাজারেই পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকার পরও কেন শাক এবং প্রায় সব ধরনের সবজির দাম চড়া, সে প্রশ্ন এখন নিম্ন ও মধ্যবিত্ত শ্রেণির মধ্যে অনেক বড় হয়ে উঠেছে। জন্ম নিচ্ছে হতাশা ও ক্ষোভ।
রাজধানীর মিরপুর ১ নম্বর বাজার, শেওড়াপাড়া কাঁচাবাজার এবং কল্যাণপুর নতুন বাজারে ঘুরে দেখা গেছে, শীত মৌসুম প্রায় শুরু হওয়ায় বাজারে সব ধরনের সবজির পর্যাপ্ত সরবরাহ রয়েছে। তারপরও ক্রমান্বয়ে বাড়ছে শাকসবজির দাম। এ ছাড়া আগাম শীতকালীন সবজিও ইতিমধ্যে বাজারে এসেছে। কিন্তু কমছে না দাম।
দেখা গেছে, পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকার পরও প্রায় প্রতিটি সবজির দাম ভয়ানক চড়া। বাজারে ঝিঙের কেজি ৬০ টাকা, করলা ৬০-৮০ টাকা, চিচিঙ্গা ৬০ টাকা, পটোল ৬০ টাকা, বেগুন ৬০ থেকে ৮০ টাকা, আর গোল বেগুন ৮০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। ঢ্যাঁড়সের কেজি ৬০ টাকা এবং বরবটির কেজি ৮০ টাকা। আর লেবুর হালি ২০ থেকে ২৫ টাকা। শীতের আগাম সবজির মধ্যে মাঝারি আকারের একটি ফুলকপি ৫০ থেকে ৬০ টাকা, বাঁধাকপি ৫০ টাকা, শিমের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১৪০ টাকা। গাজরের কেজি ১৬০ টাকা, আর টমেটো বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা দরে। এর মধ্যে গাজর ও টমেটোর দাম সপ্তাহের ব্যবধানেও অপরিবর্তিত রয়েছে। আর মুলার কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকায়। এ ছাড়া কাঁচকলার হালি ২৫ থেকে ৩০ টাকা, লাউ প্রতি পিস ৭০ থেকে ৮০ টাকা এবং পেঁপে ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
আর কাঁচামরিচের দাম অন্যান্য বছর এ সময় সহনীয় পর্যায়ে থাকলেও এবার ব্যতিক্রম। এখনো কাঁচামরিচ প্রতি কেজির দাম ১২০ থেকে ১৪০ টাকা। অবশ্য কিছুদিন আগে প্রতি কেজি কাঁচামরিচ বিক্রি হয়েছে ২০০ টাকা দরে। সবজির বাজার রেখে যদি শাকের দিকেও হাত বাড়ানো যায়, তাতেও তা গুটিয়ে আসতে বাধ্য। কারণ দাম।
এবার বাজারে ভয়ানকভাবে বেড়েছে বিভিন্ন ধরনের শাকের দাম। মুলা শাকের আঁটি ২০ টাকা, পুঁই শাক ও লাউ শাকের প্রতি আঁটি ৪০ টাকা করে, সরিষার শাক প্রতি আঁটি ২০ টাকা, পালং ২৫, লাল শাকের ছোট আঁটি ১৫ থেকে ২০ টাকা, ডাটা শাক ১৫ টাকা আঁটিতে বিক্রি হতে দেখা গেছে। কলমি শাকের প্রতি আঁটি ১০ থেকে ১৫ টাকা দামে বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া বিভিন্ন বাজারে আলুর কেজি ২৫ টাকা এবং পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৫৫ থেকে ৬০ টাকা কেজি দরে।
এ নিয়ে এক কথায় হতাশ ও ক্ষুব্ধ সাধারণ মানুষ। মিরপুর ১ নম্বর বাজারে শাক-সবজি কিনতে আসা আবদুল আলিম এমনই একজন। বাজারে শাক-সবজির দাম নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘ভাই আমাদের মতো গরিব মানুষের আর বাঁচার উপায় নাই। মাছ-মাংসের দাম তো আগে থেকেই বেশি। গত কয়েক মাস ধরে শাক-সবজির দাম যে হারে বেড়েছে, তাতে এখন শাক-সবজিও খাওয়াই ভুলে যেতে হবে। এ অবস্থায় বেঁচে থাকাই এখন বড় দায় হয়ে দাঁড়িয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘দাম নিয়ন্ত্রণে সরকারের একটা কিছু করা উচিত। যাতে নিম্ন আয়ের মানুষেরা একটু স্বস্তির নিশ্বাস ফেলতে পারে।’
কথা হলো বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত শেওড়াপাড়া এলাকায় বসবাসরত মোকাররম হোসেনের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘বাজারে চাল-ডাল শাকসবজির দাম যেভাবে বেড়েছে, তাতে আমাদের এই স্বল্প আয়ে তিন বেলা ভালোভাবে খেয়ে-পরে বেঁচে থাকা খুবই কষ্টকর। পণ্যের দাম সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রাখার জন্য সরকারের কার্যকর ভূমিকা নেওয়া দরকার।’
এ তো গেল ক্রেতাদের কথা। এদিকে খুচরা বিক্রেতাদের দাবি, শীত মৌসুম শুরুর আগে প্রতি বছরের এ সময়ে সবজির সরবরাহ সাধারণত কম থাকে। ফলে দাম এখন একটু বাড়তি। এ ছাড়া পাইকারি পর্যায়ে দাম বাড়তি থাকায় তাদের বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।
কল্যাণপুর নতুন বাজারের সবজি বিক্রেতা আরশাদ আলী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বাজারে অন্য বছরের তুলনায় শীতের সবজি এখনো সেভাবে ওঠেনি। এ ছাড়া আড়তে (পাইকারি বাজার) দাম বেশি থাকায় আমাদেরও বেশি দামেই বেচতে হচ্ছে।’
এ বিষয়ে কারওয়ান বাজার কাঁচামাল আড়ত ব্যবসায়ী মালিক সমিতির দপ্তর সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন বলেন, শীতকাল শুরুর আগে এই সময়ে সাধারণত শীতকালীন সবজির দাম একটু বেশি থাকে। সরবরাহ ঠিক আছে। তারপরও বাজারে শাক-সবজির বাড়তি দামের জন্য খুচরা বিক্রেতাদের অতিরিক্ত মুনাফা করার প্রবণতা দায়ী। তবে শীতকালীন সবজি পুরোদমে বাজারে এলে শাক-সবজির দাম কমে যাবে।’
এ ব্যাপারে কনজিউমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সভাপতি গোলাম রহমান বলেন, ‘বাজারে পণ্যের দাম সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রাখতে সরকারকেই ভূমিকা নিতে হবে। বাজারে পণ্য সংকট থাকলে সরবরাহ বাড়ানোর উদ্যোগও নিতে হবে।’ বাজারে শাকসবজির দামের অস্বাভাবিক বৃদ্ধি প্রসঙ্গে ক্যাব সভাপতি বলেন, ‘উৎপাদক; অর্থাৎ, কৃষক পর্যায়ের দামের সঙ্গে রাজধানীসহ বিভিন্ন বাজারে শাক-সবজির দামের আকাশ-পাতাল তফাৎ। এর কারণ সরকারকে অনুসন্ধান করতে হবে। পাশাপাশি দাম নিয়ন্ত্রণে সরকারের নিয়মিত বাজার তদারকি জোরদার করতে হবে। এ ছাড়া পরিবহনের ভাড়া বৃদ্ধি, চাঁদাবাজি ও অন্য প্রতিবন্ধকতা থাকলে তা বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে।’
সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ (এফডিআই) পাওয়ার লড়াইয়ে এখন কঠিন সময় পার করছে দেশ। এক দিকে রাজনৈতিক অস্থিরতা আর অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা, অন্য দিকে বৈদেশিক মুদ্রার চাপ—সব মিলিয়ে দেশের বিনিয়োগের মাঠ যেন ক্রমেই শুষ্ক হয়ে উঠছে। ২০২৪ সালে দেশে নিট এফডিআই নেমেছে মাত্র ১ দশমিক ২৭ বিলিয়ন ডলারে, যা গত পাঁচ বছরের মধ্যে...
৫ ঘণ্টা আগেঅর্থনৈতিক দুর্বলতা, রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং বিনিয়োগ স্থবিরতার প্রেক্ষাপটে এখনো এলডিসি (স্বল্পোন্নত দেশ) থেকে উত্তরণের জন্য প্রস্তুত নয় বাংলাদেশ—এমন মত দিয়েছেন বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ, গবেষক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা। তাঁদের মতে, প্রয়োজনীয় কাঠামোগত সংস্কার, নীতিগত প্রস্তুতি ও আন্তর্জাতিক বাণিজ্য চুক্তির..
৬ ঘণ্টা আগেমৌলভীবাজারের হাওরাঞ্চলে বোরো মৌসুমের শুরুতেই স্পষ্ট হয়েছে লোকসানের সংকেত। সেচের অভাব, পানির সংকট ও রোগবালাইয়ে ফলন অনেক কম, বিনিয়োগ তুলতে না পারার শঙ্কায় দিশেহারা কৃষকেরা। এনজিও ও স্থানীয় ঋণদাতার কাছ থেকে ধার করা টাকাই এখন চাপ হয়ে ফিরছে। এই ক্ষতি কৃষকপাড়া ছাড়িয়ে প্রভাব ফেলছে স্থানীয় অর্থনীতিতে..
৬ ঘণ্টা আগেবিশ্বব্যাপী উদ্যোক্তারা পুঁজি সংগ্রহের জন্য পুঁজিবাজারের দিকে হাত বাড়ান। পুঁজিবাজার থেকে পুঁজি সংগ্রহের মাধ্যম হলো প্রাথমিক গণপ্রস্তাব বা আইপিও। কিন্তু দেশের পুঁজিবাজারে এক বছরের বেশি সময় ধরে কোনো আইপিও অনুমোদন হয়নি। ফলে এই সময়ে বাজার থেকে পুঁজি সংগ্রহ করতে পারেনি কোনো কোম্পানি।
৬ ঘণ্টা আগে