জয়নাল আবেদীন খান, ঢাকা
সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ (এফডিআই) পাওয়ার লড়াইয়ে এখন কঠিন সময় পার করছে দেশ। এক দিকে রাজনৈতিক অস্থিরতা আর অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা, অন্য দিকে বৈদেশিক মুদ্রার চাপ—সব মিলিয়ে দেশের বিনিয়োগের মাঠ যেন ক্রমেই শুষ্ক হয়ে উঠছে। ২০২৪ সালে দেশে নিট এফডিআই নেমেছে মাত্র ১ দশমিক ২৭ বিলিয়ন ডলারে, যা গত পাঁচ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন। অথচ ২০২১ সালেও এই অঙ্ক ছিল ১ দশমিক ৫৭ বিলিয়ন ডলার।
বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ পরিসংখ্যান বলছে, চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জুলাই থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত আট মাসে সরাসরি বৈদেশিক বিনিয়োগ এসেছে ৮২৪ মিলিয়ন ডলার, যেখানে আগের অর্থবছরের একই সময়ে এই অঙ্ক ছিল ১ হাজার ৩২ মিলিয়ন। মানে এক বছরের ব্যবধানে বিনিয়োগ কমেছে প্রায় ২০ দশমিক ১৬ শতাংশ।
বিশেষজ্ঞদের মতে, গত বছরের মাঝামাঝি ঘটে যাওয়া রাজনৈতিক পালাবদল এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি বিনিয়োগকারীদের মনে অনিশ্চয়তা তৈরি করেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন কর্মকর্তা জানান, ‘জুলাইয়ের ছাত্র আন্দোলনের পর আগস্টে সরকার পরিবর্তন ঘটে। এই সময় আইনশৃঙ্খলাজনিত যে অস্থিরতা তৈরি হয়, তা অনেক বিদেশি বিনিয়োগকারীর মন থেকে আস্থা সরিয়ে নেয়।’
তবে বছর শেষে পরিস্থিতি কিছুটা স্থিতিশীল হলে আশার আলোও দেখা দেয়। সম্প্রতি বিডা ও বেজার যৌথ আয়োজনে অনুষ্ঠিত হলো বাংলাদেশ ইনভেস্টমেন্ট সামিট ২০২৫। এই সামিটে ৫০টি দেশের ৪১৫ জন বিদেশি প্রতিনিধি অংশ নেন। বিডা ও বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন জানান, ‘সামিটে বাংলাদেশে বিনিয়োগে আগ্রহ প্রকাশ করেছে বহু বিদেশি বিনিয়োগকারী। আশা করা যায়, সামনে এফডিআই বাড়বে। তবে খোদ আয়োজকদের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, এসব আগ্রহ বাস্তব রূপ পেতে সময় লাগবে প্রায় এক বছর।
২০২৪ সালের মোট এফডিআই বিশ্লেষণেও স্পষ্ট হয় যে বিনিয়োগের বড় অংশ এসেছে পুরোনো বিনিয়োগকারীদের মুনাফা থেকে। ১ দশমিক ২৭ বিলিয়ন ডলারের মধ্যে ৬২২ মিলিয়নই ছিল রিইনভেস্টেড আর্নিংস, অর্থাৎ পুনর্বিনিয়োগ। ইকুইটি ক্যাপিটাল এসেছে ৫৪৫ মিলিয়ন ডলার এবং আন্তকোম্পানি ঋণ এসেছে ১০৪ মিলিয়ন ডলার। খাতভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা যায়, ব্যাংকিং খাতে এসেছে সর্বাধিক ৪১৬ মিলিয়ন ডলার, এরপর টেক্সটাইল ও গার্মেন্টস খাতে ৪০৭ মিলিয়ন।
সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) গবেষণা পরিচালক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, ‘শুধু রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা নয়, নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস-বিদ্যুৎ সরবরাহ এবং অর্থনৈতিক জোনগুলোতে মানসম্পন্ন অবকাঠামো নিশ্চিত না করলে বিদেশি বিনিয়োগ বাড়বে না। সেই সঙ্গে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভও শক্তিশালী করতে হবে, যাতে মুনাফা সহজে ফিরিয়ে নিতে পারেন বিনিয়োগকারীরা।’
বিকেএমইএ সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বললেন, ‘সামিটে অনেক আশাব্যঞ্জক আলাপ হয়েছে, কিন্তু মাঠে তার প্রতিফলন না ঘটলে আগ্রহ দ্রুতই মিইয়ে যাবে।’
সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ (এফডিআই) পাওয়ার লড়াইয়ে এখন কঠিন সময় পার করছে দেশ। এক দিকে রাজনৈতিক অস্থিরতা আর অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা, অন্য দিকে বৈদেশিক মুদ্রার চাপ—সব মিলিয়ে দেশের বিনিয়োগের মাঠ যেন ক্রমেই শুষ্ক হয়ে উঠছে। ২০২৪ সালে দেশে নিট এফডিআই নেমেছে মাত্র ১ দশমিক ২৭ বিলিয়ন ডলারে, যা গত পাঁচ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন। অথচ ২০২১ সালেও এই অঙ্ক ছিল ১ দশমিক ৫৭ বিলিয়ন ডলার।
বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ পরিসংখ্যান বলছে, চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জুলাই থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত আট মাসে সরাসরি বৈদেশিক বিনিয়োগ এসেছে ৮২৪ মিলিয়ন ডলার, যেখানে আগের অর্থবছরের একই সময়ে এই অঙ্ক ছিল ১ হাজার ৩২ মিলিয়ন। মানে এক বছরের ব্যবধানে বিনিয়োগ কমেছে প্রায় ২০ দশমিক ১৬ শতাংশ।
বিশেষজ্ঞদের মতে, গত বছরের মাঝামাঝি ঘটে যাওয়া রাজনৈতিক পালাবদল এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি বিনিয়োগকারীদের মনে অনিশ্চয়তা তৈরি করেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন কর্মকর্তা জানান, ‘জুলাইয়ের ছাত্র আন্দোলনের পর আগস্টে সরকার পরিবর্তন ঘটে। এই সময় আইনশৃঙ্খলাজনিত যে অস্থিরতা তৈরি হয়, তা অনেক বিদেশি বিনিয়োগকারীর মন থেকে আস্থা সরিয়ে নেয়।’
তবে বছর শেষে পরিস্থিতি কিছুটা স্থিতিশীল হলে আশার আলোও দেখা দেয়। সম্প্রতি বিডা ও বেজার যৌথ আয়োজনে অনুষ্ঠিত হলো বাংলাদেশ ইনভেস্টমেন্ট সামিট ২০২৫। এই সামিটে ৫০টি দেশের ৪১৫ জন বিদেশি প্রতিনিধি অংশ নেন। বিডা ও বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন জানান, ‘সামিটে বাংলাদেশে বিনিয়োগে আগ্রহ প্রকাশ করেছে বহু বিদেশি বিনিয়োগকারী। আশা করা যায়, সামনে এফডিআই বাড়বে। তবে খোদ আয়োজকদের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, এসব আগ্রহ বাস্তব রূপ পেতে সময় লাগবে প্রায় এক বছর।
২০২৪ সালের মোট এফডিআই বিশ্লেষণেও স্পষ্ট হয় যে বিনিয়োগের বড় অংশ এসেছে পুরোনো বিনিয়োগকারীদের মুনাফা থেকে। ১ দশমিক ২৭ বিলিয়ন ডলারের মধ্যে ৬২২ মিলিয়নই ছিল রিইনভেস্টেড আর্নিংস, অর্থাৎ পুনর্বিনিয়োগ। ইকুইটি ক্যাপিটাল এসেছে ৫৪৫ মিলিয়ন ডলার এবং আন্তকোম্পানি ঋণ এসেছে ১০৪ মিলিয়ন ডলার। খাতভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা যায়, ব্যাংকিং খাতে এসেছে সর্বাধিক ৪১৬ মিলিয়ন ডলার, এরপর টেক্সটাইল ও গার্মেন্টস খাতে ৪০৭ মিলিয়ন।
সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) গবেষণা পরিচালক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, ‘শুধু রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা নয়, নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস-বিদ্যুৎ সরবরাহ এবং অর্থনৈতিক জোনগুলোতে মানসম্পন্ন অবকাঠামো নিশ্চিত না করলে বিদেশি বিনিয়োগ বাড়বে না। সেই সঙ্গে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভও শক্তিশালী করতে হবে, যাতে মুনাফা সহজে ফিরিয়ে নিতে পারেন বিনিয়োগকারীরা।’
বিকেএমইএ সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বললেন, ‘সামিটে অনেক আশাব্যঞ্জক আলাপ হয়েছে, কিন্তু মাঠে তার প্রতিফলন না ঘটলে আগ্রহ দ্রুতই মিইয়ে যাবে।’
অর্থনৈতিক দুর্বলতা, রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং বিনিয়োগ স্থবিরতার প্রেক্ষাপটে এখনো এলডিসি (স্বল্পোন্নত দেশ) থেকে উত্তরণের জন্য প্রস্তুত নয় বাংলাদেশ—এমন মত দিয়েছেন বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ, গবেষক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা। তাঁদের মতে, প্রয়োজনীয় কাঠামোগত সংস্কার, নীতিগত প্রস্তুতি ও আন্তর্জাতিক বাণিজ্য চুক্তির..
৫ ঘণ্টা আগেমৌলভীবাজারের হাওরাঞ্চলে বোরো মৌসুমের শুরুতেই স্পষ্ট হয়েছে লোকসানের সংকেত। সেচের অভাব, পানির সংকট ও রোগবালাইয়ে ফলন অনেক কম, বিনিয়োগ তুলতে না পারার শঙ্কায় দিশেহারা কৃষকেরা। এনজিও ও স্থানীয় ঋণদাতার কাছ থেকে ধার করা টাকাই এখন চাপ হয়ে ফিরছে। এই ক্ষতি কৃষকপাড়া ছাড়িয়ে প্রভাব ফেলছে স্থানীয় অর্থনীতিতে..
৫ ঘণ্টা আগেবিশ্বব্যাপী উদ্যোক্তারা পুঁজি সংগ্রহের জন্য পুঁজিবাজারের দিকে হাত বাড়ান। পুঁজিবাজার থেকে পুঁজি সংগ্রহের মাধ্যম হলো প্রাথমিক গণপ্রস্তাব বা আইপিও। কিন্তু দেশের পুঁজিবাজারে এক বছরের বেশি সময় ধরে কোনো আইপিও অনুমোদন হয়নি। ফলে এই সময়ে বাজার থেকে পুঁজি সংগ্রহ করতে পারেনি কোনো কোম্পানি।
৫ ঘণ্টা আগেবিশ্বব্যাংক পূর্বাভাস দিয়েছে, চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরে বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি নেমে আসবে ৩.৩ শতাংশে এবং গড় মূল্যস্ফীতি থাকবে ১০ শতাংশের ওপরে। বিনিয়োগে স্থবিরতা, রাজনৈতিক অস্থিরতা ও বৈশ্বিক বাণিজ্য বিঘ্ন এই ধীরগতির মূল কারণ। ব্যাংকিং খাতের দুর্বলতা ও উচ্চ মূল্যস্ফীতিও দেশের অর্থনীতির জন্য বড়
১২ ঘণ্টা আগে