আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের শর্ত মানার ফাঁদে পড়েছে দেশের অর্থনীতি। ঋণ পাওয়ার নামে সংস্থাটির নানান শর্ত মানতে হচ্ছে সরকারকে। এসব শর্তের প্রভাবে আর্থিক ও মুদ্রা খাতে চলছে অস্থিরতা। আর রাজস্ব খাতে এমন সব নীতি-কৌশল নেওয়া হচ্ছে, যার ফলে ভোক্তার ওপর বাড়ছে করের বোঝা। সব মিলিয়ে এসবের ইতিবাচকের চেয়ে নেতিবাচক ফল গিয়ে পড়ছে মানুষের জীবনযাপনে।
আইএমএফের শর্ত মেনে রাজস্ব খাতে নেওয়া উদ্যোগের প্রভাব নিয়ে এনবিআরের সাবেক সদস্য ড. সৈয়দ আমিনুল করিম আজকের পত্রিকাকে বলেন, কিছু কিছু পদক্ষেপ রাজস্ব খাতের জন্য ইতিবাচক। তবে ঢালাওভাবে কর অবকাশ তুলে দিলে অনেক শিল্প ক্ষতিগ্রস্ত হবে, কর্মসংস্থান সংকুচিত হবে। দেশের স্বার্থে ভালো হয়—এমনভাবে নীতি-কৌশল নিতে হবে।
জানা যায়, উন্নয়ন-সহযোগী এ সংস্থাটির কাছ থেকে ৪৭০ কোটি ডলারের ঋণ নিচ্ছে সরকার। এরই মধ্যে দুটি কিস্তি ছাড় হয়েছে। এখন ছাড় হবে তৃতীয় কিস্তি। এ ব্যাপারে ইতিবাচক সায় দিয়েছে আইএমএফ। এর কারণ হলো, আর্থিক, মুদ্রা, রাজস্ব, জ্বালানিসহ বিভিন্ন খাতে যেসব শর্ত দিয়েছিল তারা, এর বেশির ভাগই সরকার এরই মধ্যে পালন করেছে।
তবে আইএমএফ সন্তুষ্ট হলেও যেসব শর্ত তারা বাংলাদেশকে মানতে বাধ্য করেছে বা সামনে মানতে হবে; এর প্রভাব এরই মধ্যে ভোক্তাদের ওপর পড়তে শুরু করেছে। তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, সংস্থাটির শর্ত বাস্তবায়ন করতে গিয়ে সরকার ডলার, ঋণের সুদহার, গ্যাস, বিদ্যুৎ ও সারের দাম বাড়িয়েছে। এগুলোর প্রভাবে লাগামহীনভাবে বেড়েছে গণপরিবহনসহ বিভিন্ন পণ্য ও সেবার দাম।
বিভিন্ন খাতে ভর্তুকি কমানো হয়েছে। ফলে ওই সব খাতেও পণ্য ও সেবার দাম বেড়েছে। মূল্যস্ফীতির ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণে সংকোচনমুখী মুদ্রানীতি অনুসরণ করা হচ্ছে। এতে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড সংকুচিত হয়েছে। ফলে বাড়েনি বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থান। ফলে জীবনযাত্রার মান কমেছে।
আইএমএফের শর্ত মেনে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ডলারের দাম নির্ধারণের ক্রলিং পেগ পদ্ধতি চালু করে। ফলে ওই দিনই ব্যাংকগুলোতে ডলারের দাম একলাফে ৮ টাকা বেড়ে ১১০ টাকা থেকে ১১৮ টাকায় ওঠে। এটি রপ্তানি আয় ও রেমিট্যান্সের জন্য কিছুটা ইতিবাচক হলেও আমদানি ব্যয় ও বৈদেশিক দেনার চাপ তৈরি করছে। টাকার মান কমায় মূল্যস্ফীতিতে চাপ আরও বাড়বে। ফলে ভোক্তা আরও বেশি চাপে পড়বে। এক দিনে খোলাবাজারে ডলারের দাম ১১৭ থেকে ৮ টাকা বেড়ে ১২৫ টাকা পর্যন্ত উঠেছে বলে খবর প্রকাশিত হয়েছে।
আমদানিকারকদের এখন এলসি খোলার জন্য প্রতি ডলারে ১২৫ থেকে ১২৯ টাকা পর্যন্ত দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। মূল্যস্ফীতি ঠেকাতে টাকার প্রবাহ কমানো ও ঋণের সুদহার বাড়ানো হয়েছে। টাকার প্রবাহ কমানোর ফলে বিনিয়োগ কমে গেছে। নতুন শিল্প স্থাপনের গতি মন্থর হয়েছে। কর্মসংস্থান বাড়ার হার কমেছে।
শিল্প ও ব্যবসা-বাণিজ্য খাতে প্রতিযোগিতা কমায় উৎপাদন কমেছে, বেড়েছে দাম। ডলারের দর বাড়ায় সরকারি ঋণের খরচ বেড়েছে। এই অর্থ সরকার জনগণের ওপর করের বোঝা চাপিয়ে আদায় করছে। আসছে বাজেটে করছাড় কমিয়ে করের বোঝা আরও বাড়ানোর আয়োজন চলছে। এতে স্থানীয় শিল্পের খরচ বেড়ে যাওয়া এবং ভোক্তার ওপর ব্যয় বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
রপ্তানিমুখী চামড়া খাতের উদ্যোক্তা শাহজাদা আহমেদ রনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ডলারের দর বাড়ায় রপ্তানিতে কিছুটা সুবিধা পাওয়া যাবে। তবে কাঁচামাল আমদানিতে আবার বেশি দরে ডলার কিনে এলসি খুলতে হবে। এতে লাভের অংশ চলে যাবে ডলারের বাড়তি দর দিতে গিয়ে। আবার ঋণের সুদের হার বাড়ানোয় শিল্পের উৎপাদন খরচ বেড়ে গেছে বলেও জানান তিনি।
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের শর্ত মানার ফাঁদে পড়েছে দেশের অর্থনীতি। ঋণ পাওয়ার নামে সংস্থাটির নানান শর্ত মানতে হচ্ছে সরকারকে। এসব শর্তের প্রভাবে আর্থিক ও মুদ্রা খাতে চলছে অস্থিরতা। আর রাজস্ব খাতে এমন সব নীতি-কৌশল নেওয়া হচ্ছে, যার ফলে ভোক্তার ওপর বাড়ছে করের বোঝা। সব মিলিয়ে এসবের ইতিবাচকের চেয়ে নেতিবাচক ফল গিয়ে পড়ছে মানুষের জীবনযাপনে।
আইএমএফের শর্ত মেনে রাজস্ব খাতে নেওয়া উদ্যোগের প্রভাব নিয়ে এনবিআরের সাবেক সদস্য ড. সৈয়দ আমিনুল করিম আজকের পত্রিকাকে বলেন, কিছু কিছু পদক্ষেপ রাজস্ব খাতের জন্য ইতিবাচক। তবে ঢালাওভাবে কর অবকাশ তুলে দিলে অনেক শিল্প ক্ষতিগ্রস্ত হবে, কর্মসংস্থান সংকুচিত হবে। দেশের স্বার্থে ভালো হয়—এমনভাবে নীতি-কৌশল নিতে হবে।
জানা যায়, উন্নয়ন-সহযোগী এ সংস্থাটির কাছ থেকে ৪৭০ কোটি ডলারের ঋণ নিচ্ছে সরকার। এরই মধ্যে দুটি কিস্তি ছাড় হয়েছে। এখন ছাড় হবে তৃতীয় কিস্তি। এ ব্যাপারে ইতিবাচক সায় দিয়েছে আইএমএফ। এর কারণ হলো, আর্থিক, মুদ্রা, রাজস্ব, জ্বালানিসহ বিভিন্ন খাতে যেসব শর্ত দিয়েছিল তারা, এর বেশির ভাগই সরকার এরই মধ্যে পালন করেছে।
তবে আইএমএফ সন্তুষ্ট হলেও যেসব শর্ত তারা বাংলাদেশকে মানতে বাধ্য করেছে বা সামনে মানতে হবে; এর প্রভাব এরই মধ্যে ভোক্তাদের ওপর পড়তে শুরু করেছে। তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, সংস্থাটির শর্ত বাস্তবায়ন করতে গিয়ে সরকার ডলার, ঋণের সুদহার, গ্যাস, বিদ্যুৎ ও সারের দাম বাড়িয়েছে। এগুলোর প্রভাবে লাগামহীনভাবে বেড়েছে গণপরিবহনসহ বিভিন্ন পণ্য ও সেবার দাম।
বিভিন্ন খাতে ভর্তুকি কমানো হয়েছে। ফলে ওই সব খাতেও পণ্য ও সেবার দাম বেড়েছে। মূল্যস্ফীতির ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণে সংকোচনমুখী মুদ্রানীতি অনুসরণ করা হচ্ছে। এতে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড সংকুচিত হয়েছে। ফলে বাড়েনি বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থান। ফলে জীবনযাত্রার মান কমেছে।
আইএমএফের শর্ত মেনে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ডলারের দাম নির্ধারণের ক্রলিং পেগ পদ্ধতি চালু করে। ফলে ওই দিনই ব্যাংকগুলোতে ডলারের দাম একলাফে ৮ টাকা বেড়ে ১১০ টাকা থেকে ১১৮ টাকায় ওঠে। এটি রপ্তানি আয় ও রেমিট্যান্সের জন্য কিছুটা ইতিবাচক হলেও আমদানি ব্যয় ও বৈদেশিক দেনার চাপ তৈরি করছে। টাকার মান কমায় মূল্যস্ফীতিতে চাপ আরও বাড়বে। ফলে ভোক্তা আরও বেশি চাপে পড়বে। এক দিনে খোলাবাজারে ডলারের দাম ১১৭ থেকে ৮ টাকা বেড়ে ১২৫ টাকা পর্যন্ত উঠেছে বলে খবর প্রকাশিত হয়েছে।
আমদানিকারকদের এখন এলসি খোলার জন্য প্রতি ডলারে ১২৫ থেকে ১২৯ টাকা পর্যন্ত দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। মূল্যস্ফীতি ঠেকাতে টাকার প্রবাহ কমানো ও ঋণের সুদহার বাড়ানো হয়েছে। টাকার প্রবাহ কমানোর ফলে বিনিয়োগ কমে গেছে। নতুন শিল্প স্থাপনের গতি মন্থর হয়েছে। কর্মসংস্থান বাড়ার হার কমেছে।
শিল্প ও ব্যবসা-বাণিজ্য খাতে প্রতিযোগিতা কমায় উৎপাদন কমেছে, বেড়েছে দাম। ডলারের দর বাড়ায় সরকারি ঋণের খরচ বেড়েছে। এই অর্থ সরকার জনগণের ওপর করের বোঝা চাপিয়ে আদায় করছে। আসছে বাজেটে করছাড় কমিয়ে করের বোঝা আরও বাড়ানোর আয়োজন চলছে। এতে স্থানীয় শিল্পের খরচ বেড়ে যাওয়া এবং ভোক্তার ওপর ব্যয় বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
রপ্তানিমুখী চামড়া খাতের উদ্যোক্তা শাহজাদা আহমেদ রনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ডলারের দর বাড়ায় রপ্তানিতে কিছুটা সুবিধা পাওয়া যাবে। তবে কাঁচামাল আমদানিতে আবার বেশি দরে ডলার কিনে এলসি খুলতে হবে। এতে লাভের অংশ চলে যাবে ডলারের বাড়তি দর দিতে গিয়ে। আবার ঋণের সুদের হার বাড়ানোয় শিল্পের উৎপাদন খরচ বেড়ে গেছে বলেও জানান তিনি।
মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক পিএলসির সাবসিডিয়ারি প্রতিষ্ঠান এমটিবি ক্যাপিটাল লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে যোগদান করেছেন সুমিত পোদ্দার। রোববার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
৩১ মিনিট আগেজাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় ১৪ প্রকল্প অনুমোদন করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। প্রকল্পগুলোর ব্যয় ধরা হয়েছে ২৪ হাজার ২৪৭ কোটি ২৪ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকারি অর্থায়ন ৩ হাজার ১ কোটি ৩৪ লাখ টাকা, প্রকল্প ঋণ ১৬ হাজার ৭১৯ কোটি ৭৩ লাখ টাকা এবং সংস্থার নিজস্ব অর্থায়ন ৪ হাজার ৪২৬ কোটি ১৭ লাখ
৩ ঘণ্টা আগেদেশের আমদানি সরবরাহ স্বাভাবিক রাখার লক্ষ্যে অসংগতিপূর্ণ বা ত্রুটিপূর্ণ আমদানি বিলের বিপরীতে নির্ধারিত পণ্যের বিল পরিশোধ করতে নির্দেশনা জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। তবে অনুমোদিত ডিলার (এডি) ব্যাংকগুলোর ত্রুটিপূর্ণ আমদানি বিল গ্রহণে সংশ্লিষ্ট আমদানি পণ্যে কোনোরূপ পরিবর্তন করার সুযোগ থাকবে না। আর অসংগতি
৩ ঘণ্টা আগেমাত্র ১ মাস ১৯ দিনে ৫০০ কোটি ডলার বা ৫ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা। গত মার্চ মাসে তাঁরা ৩২৯ কোটি ডলার বা ৩ দশমিক ২৯ বিলিয়ন ডলার পাঠিয়েছেন। আর চলতি মাস এপ্রিলের প্রথম ১৯ দিনেই এসেছে ১৭১ কোটি ৮৭ লাখ ২০ হাজার ডলারের রেমিট্যান্স। বাংলাদেশি মুদ্রায় (প্রতি ডলার ১২২ টাকা হিসাবে)
৪ ঘণ্টা আগে