সংকটে স্থানীয় উদ্যোক্তারা
রোকন উদ্দীন, ঢাকা
দীর্ঘদিন ধরে অব্যাহত গ্যাস ও বিদ্যুৎ-সংকট, ব্যাংকিং খাতের তারল্য ঘাটতি, উচ্চ সুদের হার এবং নীতিগত অনিশ্চয়তার মধ্য দিয়ে টিকে থাকার লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন দেশীয় উদ্যোক্তারা। এরই মাঝে রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং যুক্তরাষ্ট্রের পাল্টা শুল্কের মতো নতুন বাধা বিনিয়োগ পরিস্থিতিকে আরও নাজুক করে তুলেছে। এই প্রেক্ষাপটে বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে উদ্যোগ নিচ্ছে সরকার। আয়োজিত হতে যাচ্ছে আন্তর্জাতিক বিনিয়োগ সম্মেলন।
স্থানীয় উদ্যোক্তারা এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানালেও তাঁরা বলছেন, উচ্চ সুদের হার, তারল্যসংকট, জ্বালানি সমস্যাসহ নানা প্রতিবন্ধকতা এখনো বিনিয়োগের জন্য প্রতিকূল পরিবেশ তৈরি করেছে। বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করার জন্য হলেও দেশীয় বিনিয়োগকারীদের সমস্যাগুলোর সমাধান করা দরকার। কারণ, বিদেশি উদ্যোক্তারা বিনিয়োগ করার আগে স্থানীয় ব্যবসায়ীদের অবস্থার প্রতি নজর রাখে। তাই স্থানীয় ব্যবসায়ীদের সহজে ব্যবসা করার সুযোগ তৈরি করতে হবে।
দেশীয় বিনিয়োগের হাল
ঢাকা চেম্বারের সাবেক সভাপতি আশরাফ আহমেদ বলেন, ‘উচ্চ সুদের হার এবং ব্যাংকে তারল্যসংকটের কারণে স্থানীয় ব্যবসার জন্য বিনিয়োগ পরিস্থিতি এখনো কঠিন। একই সঙ্গে মুদ্রাস্ফীতি চাহিদা এবং দাম হ্রাস করেছে, যা মুনাফার ওপর প্রভাব ফেলেছে। উপরন্তু, আমাদের জ্বালানি সরবরাহ এবং মূল্যের উদ্বেগ রয়েই গেছে। এই বাস্তবতায় বেসরকারি খাতে বিনিয়োগে আগ্রহ ধরে রাখা কঠিন। তবে আমরা আশা করছি, বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণের জন্য সরকারের উদ্যোগ সফল হবে; কারণ, এটি আমাদের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতায় অবদান রাখবে।’
একই সুর বাংলাদেশ তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ) পরিচালনা কমিটির সদস্য ও শাশা গার্মেন্টসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শামস মাহমুদের কণ্ঠেও। তিনি বলেন, দেশের আইনশৃঙ্খলা এখনো পুরোপুরি স্থিতিশীল নয়। অবকাঠামোগত দুর্বলতা এবং আপাতদৃষ্টে মনে হচ্ছে, দেশীয় বিনিয়োগকারীরা অবহেলিত হয়ে আছে।
বাংলাদেশ চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি আনোয়ার-উল আলম চৌধুরী (পারভেজ) বলেন, জুলাইয়ের বিপ্লব হয়েছে বেকারত্ব থেকে, সেটা বুঝতে হবে। উৎপাদনমুখী শিল্প ছাড়া কর্মসংস্থান তৈরি হবে না। আগের সরকার জোর করে গ্যাসের দাম বাড়ানোর পর থেকে অর্থনীতিতে ধস নেমেছে, বিনিয়োগ কমেছে। গ্যাস না পাওয়ায় ৩৫ শতাংশ উৎপাদন সক্ষমতা কমেছে কারখানার। তার ওপর নতুন করে গ্যাসের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব রয়েছে। আবার গ্যাসের দাম বাড়লে অনেক শিল্প টিকে থাকতে পারবে না। এখন সুতা তৈরি করতে যে খরচ হচ্ছে, তার চেয়ে কম দামে ভারত থেকে কাপড় আমদানি করা যায়।
বিদেশি বিনিয়োগেও ধস
অর্থ মন্ত্রণালয়ের সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে দেখা গেছে, চলতি অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর) বিদেশি বিনিয়োগ আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে কমে ৪ ভাগের প্রায় ১ ভাগে নেমেছে। এ সময় বিদেশি বিনিয়োগ আগের বছরের চেয়ে ৭১ শতাংশের বেশি কমে গেছে। ২০২০ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত বার্ষিক গড় বিনিয়োগ ১৫০ কোটি ডলার হলেও এর বড় অংশই ছিল পুনর্বিনিয়োগ। নতুন ইকুইটি বিনিয়োগ ছিল মাত্র ৬৬ কোটি ৮০ লাখ ডলার।
অর্থ মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাব অনুসারে, প্রান্তিক হিসাবেও চলতি অর্থবছরে বিদেশি বিনিয়োগ কমেছে। প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) নতুন ও পুনর্বিনিয়োগ মিলে এসেছে প্রায় ১৫ কোটি ডলার। পরের প্রান্তিকে (অক্টোবর-ডিসেম্বর) এসেছে সাত কোটি ডলারের কাছাকাছি।
বাংলাদেশের এফডিআইয়ের বড় অংশই আগে থেকে দেশে বিনিয়োগ করা কোম্পানির আয় ও অবণ্টিত লাভের পুনর্বিনিয়োগের মাধ্যমে আসে। দীর্ঘদিন ধরে বিদেশি বিনিয়োগের মন্দাভাব চলছে। ব্যবসায় পরিবেশবান্ধব পরিস্থিতির কোনো উন্নতি নেই। আবার স্থানীয় বা দেশি বিনিয়োগও খুব বেশি বাড়ছে না। অর্থনীতিবিদ ও দেশি শিল্পোদ্যোক্তারা বলছেন, দেশি বিনিয়োগ না বাড়লে বিদেশি বিনিয়োগও বাড়বে না।
বিনিয়োগ পরিবেশের চিত্র
মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এমসিসিআই) ও বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান পলিসি এক্সচেঞ্জ বাংলাদেশের করা ২০২৩-২৪ অর্থবছরের ব্যবসা পরিবেশ সূচক বা বিজনেস ক্লাইমেট ইনডেক্সে (বিবিএক্স) দেখা যায়, দেশের ব্যবসা পরিবেশ সূচকে অর্জিত পয়েন্ট আগের বছরের তুলনায় ৩ দশমিক ২ শতাংশীয় পয়েন্ট কমেছে। সর্বশেষ জরিপে সূচক ছিল ৫৮ দশমিক ৭৫; যা ২০২২-২৩ অর্থবছরে ছিল ৬১ দশমিক ৯৫ পয়েন্ট।
কৃষি ও বনায়ন, নির্মাণ, ইলেকট্রনিকস ও হালকা প্রকৌশল, আর্থিক মধ্যস্থতাকারী, খাদ্য ও পানীয়, চামড়া ও ট্যানারি, ওষুধ ও রাসায়নিক, আবাসন, তৈরি পোশাক, বস্ত্র, পরিবহন, খুচরা ও পাইকারি ব্যবসা—মোট এই ১২টি খাতের ওপর জরিপটি করা হয়েছে।
ব্যবসা শুরু, জমির প্রাপ্যতা, আইনকানুনের তথ্যপ্রাপ্তি, অবকাঠামো সুবিধা, শ্রম নিয়ন্ত্রণ, বিরোধ নিষ্পত্তি, বাণিজ্য সহজীকরণ, কর পরিশোধ, প্রযুক্তি গ্রহণ, ঋণের প্রাপ্যতা এবং পরিবেশগত নিয়ন্ত্রণ ও মান—এই ১১ সূচকের ওপর ভিত্তি করে জরিপটি করা হয়েছে।
জরিপে দেখা গেছে, উল্লিখিত ১১টি সূচকের মধ্যে বাংলাদেশ সবচেয়ে খারাপ করেছে ঋণের প্রাপ্যতা সূচকে; এই সূচকে প্রাপ্ত পয়েন্ট মাত্র ২৮ দশমিক ১১।
২০২১-২২ অর্থবছরে সামগ্রিকভাবে ব্যবসার পরিবেশ সূচকের ১০০ নম্বরের মধ্যে প্রাপ্ত নম্বর ছিল ৬১ দশমিক শূন্য ১। পরের বছর, অর্থাৎ ২০২২-২৩ অর্থবছরে সেই স্কোর সামান্য বেড়ে হয় ৬১ দশমিক ৯৫। ওই বছরে সূচকের মানে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি না হওয়ার বড় কারণ ছিল, ১০টি সূচকের মধ্যে ৪টির অবস্থা খারাপ হয়; বাকি ৬টি সূচক উন্নতির দিকে ছিল।
ঢাকা চেম্বারের সভাপতি তাসকিন আহমেদ বলেন, বিদেশি বিনিয়োগ আনতে হলে আগে দেশীয় উদ্যোক্তাদের আস্থা ফেরাতে হবে। স্থিতিশীল, স্বচ্ছ ও নীতিনির্ভর বিনিয়োগ পরিবেশ নিশ্চিত না করলে বিদেশিরাও আসবে না। যদিও কিছু সংস্কার হয়েছে, তবু একটি স্থিতিশীল ও স্বচ্ছ বিনিয়োগ পরিবেশ গড়ে তোলার পদক্ষেপই হবে এখন সময়োপযোগী।
দীর্ঘদিন ধরে অব্যাহত গ্যাস ও বিদ্যুৎ-সংকট, ব্যাংকিং খাতের তারল্য ঘাটতি, উচ্চ সুদের হার এবং নীতিগত অনিশ্চয়তার মধ্য দিয়ে টিকে থাকার লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন দেশীয় উদ্যোক্তারা। এরই মাঝে রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং যুক্তরাষ্ট্রের পাল্টা শুল্কের মতো নতুন বাধা বিনিয়োগ পরিস্থিতিকে আরও নাজুক করে তুলেছে। এই প্রেক্ষাপটে বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে উদ্যোগ নিচ্ছে সরকার। আয়োজিত হতে যাচ্ছে আন্তর্জাতিক বিনিয়োগ সম্মেলন।
স্থানীয় উদ্যোক্তারা এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানালেও তাঁরা বলছেন, উচ্চ সুদের হার, তারল্যসংকট, জ্বালানি সমস্যাসহ নানা প্রতিবন্ধকতা এখনো বিনিয়োগের জন্য প্রতিকূল পরিবেশ তৈরি করেছে। বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করার জন্য হলেও দেশীয় বিনিয়োগকারীদের সমস্যাগুলোর সমাধান করা দরকার। কারণ, বিদেশি উদ্যোক্তারা বিনিয়োগ করার আগে স্থানীয় ব্যবসায়ীদের অবস্থার প্রতি নজর রাখে। তাই স্থানীয় ব্যবসায়ীদের সহজে ব্যবসা করার সুযোগ তৈরি করতে হবে।
দেশীয় বিনিয়োগের হাল
ঢাকা চেম্বারের সাবেক সভাপতি আশরাফ আহমেদ বলেন, ‘উচ্চ সুদের হার এবং ব্যাংকে তারল্যসংকটের কারণে স্থানীয় ব্যবসার জন্য বিনিয়োগ পরিস্থিতি এখনো কঠিন। একই সঙ্গে মুদ্রাস্ফীতি চাহিদা এবং দাম হ্রাস করেছে, যা মুনাফার ওপর প্রভাব ফেলেছে। উপরন্তু, আমাদের জ্বালানি সরবরাহ এবং মূল্যের উদ্বেগ রয়েই গেছে। এই বাস্তবতায় বেসরকারি খাতে বিনিয়োগে আগ্রহ ধরে রাখা কঠিন। তবে আমরা আশা করছি, বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণের জন্য সরকারের উদ্যোগ সফল হবে; কারণ, এটি আমাদের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতায় অবদান রাখবে।’
একই সুর বাংলাদেশ তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ) পরিচালনা কমিটির সদস্য ও শাশা গার্মেন্টসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শামস মাহমুদের কণ্ঠেও। তিনি বলেন, দেশের আইনশৃঙ্খলা এখনো পুরোপুরি স্থিতিশীল নয়। অবকাঠামোগত দুর্বলতা এবং আপাতদৃষ্টে মনে হচ্ছে, দেশীয় বিনিয়োগকারীরা অবহেলিত হয়ে আছে।
বাংলাদেশ চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি আনোয়ার-উল আলম চৌধুরী (পারভেজ) বলেন, জুলাইয়ের বিপ্লব হয়েছে বেকারত্ব থেকে, সেটা বুঝতে হবে। উৎপাদনমুখী শিল্প ছাড়া কর্মসংস্থান তৈরি হবে না। আগের সরকার জোর করে গ্যাসের দাম বাড়ানোর পর থেকে অর্থনীতিতে ধস নেমেছে, বিনিয়োগ কমেছে। গ্যাস না পাওয়ায় ৩৫ শতাংশ উৎপাদন সক্ষমতা কমেছে কারখানার। তার ওপর নতুন করে গ্যাসের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব রয়েছে। আবার গ্যাসের দাম বাড়লে অনেক শিল্প টিকে থাকতে পারবে না। এখন সুতা তৈরি করতে যে খরচ হচ্ছে, তার চেয়ে কম দামে ভারত থেকে কাপড় আমদানি করা যায়।
বিদেশি বিনিয়োগেও ধস
অর্থ মন্ত্রণালয়ের সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে দেখা গেছে, চলতি অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর) বিদেশি বিনিয়োগ আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে কমে ৪ ভাগের প্রায় ১ ভাগে নেমেছে। এ সময় বিদেশি বিনিয়োগ আগের বছরের চেয়ে ৭১ শতাংশের বেশি কমে গেছে। ২০২০ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত বার্ষিক গড় বিনিয়োগ ১৫০ কোটি ডলার হলেও এর বড় অংশই ছিল পুনর্বিনিয়োগ। নতুন ইকুইটি বিনিয়োগ ছিল মাত্র ৬৬ কোটি ৮০ লাখ ডলার।
অর্থ মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাব অনুসারে, প্রান্তিক হিসাবেও চলতি অর্থবছরে বিদেশি বিনিয়োগ কমেছে। প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) নতুন ও পুনর্বিনিয়োগ মিলে এসেছে প্রায় ১৫ কোটি ডলার। পরের প্রান্তিকে (অক্টোবর-ডিসেম্বর) এসেছে সাত কোটি ডলারের কাছাকাছি।
বাংলাদেশের এফডিআইয়ের বড় অংশই আগে থেকে দেশে বিনিয়োগ করা কোম্পানির আয় ও অবণ্টিত লাভের পুনর্বিনিয়োগের মাধ্যমে আসে। দীর্ঘদিন ধরে বিদেশি বিনিয়োগের মন্দাভাব চলছে। ব্যবসায় পরিবেশবান্ধব পরিস্থিতির কোনো উন্নতি নেই। আবার স্থানীয় বা দেশি বিনিয়োগও খুব বেশি বাড়ছে না। অর্থনীতিবিদ ও দেশি শিল্পোদ্যোক্তারা বলছেন, দেশি বিনিয়োগ না বাড়লে বিদেশি বিনিয়োগও বাড়বে না।
বিনিয়োগ পরিবেশের চিত্র
মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এমসিসিআই) ও বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান পলিসি এক্সচেঞ্জ বাংলাদেশের করা ২০২৩-২৪ অর্থবছরের ব্যবসা পরিবেশ সূচক বা বিজনেস ক্লাইমেট ইনডেক্সে (বিবিএক্স) দেখা যায়, দেশের ব্যবসা পরিবেশ সূচকে অর্জিত পয়েন্ট আগের বছরের তুলনায় ৩ দশমিক ২ শতাংশীয় পয়েন্ট কমেছে। সর্বশেষ জরিপে সূচক ছিল ৫৮ দশমিক ৭৫; যা ২০২২-২৩ অর্থবছরে ছিল ৬১ দশমিক ৯৫ পয়েন্ট।
কৃষি ও বনায়ন, নির্মাণ, ইলেকট্রনিকস ও হালকা প্রকৌশল, আর্থিক মধ্যস্থতাকারী, খাদ্য ও পানীয়, চামড়া ও ট্যানারি, ওষুধ ও রাসায়নিক, আবাসন, তৈরি পোশাক, বস্ত্র, পরিবহন, খুচরা ও পাইকারি ব্যবসা—মোট এই ১২টি খাতের ওপর জরিপটি করা হয়েছে।
ব্যবসা শুরু, জমির প্রাপ্যতা, আইনকানুনের তথ্যপ্রাপ্তি, অবকাঠামো সুবিধা, শ্রম নিয়ন্ত্রণ, বিরোধ নিষ্পত্তি, বাণিজ্য সহজীকরণ, কর পরিশোধ, প্রযুক্তি গ্রহণ, ঋণের প্রাপ্যতা এবং পরিবেশগত নিয়ন্ত্রণ ও মান—এই ১১ সূচকের ওপর ভিত্তি করে জরিপটি করা হয়েছে।
জরিপে দেখা গেছে, উল্লিখিত ১১টি সূচকের মধ্যে বাংলাদেশ সবচেয়ে খারাপ করেছে ঋণের প্রাপ্যতা সূচকে; এই সূচকে প্রাপ্ত পয়েন্ট মাত্র ২৮ দশমিক ১১।
২০২১-২২ অর্থবছরে সামগ্রিকভাবে ব্যবসার পরিবেশ সূচকের ১০০ নম্বরের মধ্যে প্রাপ্ত নম্বর ছিল ৬১ দশমিক শূন্য ১। পরের বছর, অর্থাৎ ২০২২-২৩ অর্থবছরে সেই স্কোর সামান্য বেড়ে হয় ৬১ দশমিক ৯৫। ওই বছরে সূচকের মানে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি না হওয়ার বড় কারণ ছিল, ১০টি সূচকের মধ্যে ৪টির অবস্থা খারাপ হয়; বাকি ৬টি সূচক উন্নতির দিকে ছিল।
ঢাকা চেম্বারের সভাপতি তাসকিন আহমেদ বলেন, বিদেশি বিনিয়োগ আনতে হলে আগে দেশীয় উদ্যোক্তাদের আস্থা ফেরাতে হবে। স্থিতিশীল, স্বচ্ছ ও নীতিনির্ভর বিনিয়োগ পরিবেশ নিশ্চিত না করলে বিদেশিরাও আসবে না। যদিও কিছু সংস্কার হয়েছে, তবু একটি স্থিতিশীল ও স্বচ্ছ বিনিয়োগ পরিবেশ গড়ে তোলার পদক্ষেপই হবে এখন সময়োপযোগী।
দক্ষিণ কোরিয়ার ইয়াংওয়ান করপোরেশনের চেয়ারম্যান কিহাক সাংকে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশের আরএমজি (তৈরি পোশাক) এবং বস্ত্র খাতে অসামান্য অবদানের জন্য বাংলাদেশ বিনিয়োগ শীর্ষ সম্মেলন ২০২৫–এ তাঁকে সম্মানসূচক নাগরিকত্ব দেওয়া হয়। এই শিল্পটি গঠনে তিনি ১৯৯০–এর দশকে প্রথম বাংলাদেশে আসার পর...
১ ঘণ্টা আগেমধ্যপ্রাচ্যের বৃহত্তম মার্কেটপ্লেস স্যারির (Sary) সঙ্গে একীভূত হয়েছে বাংলাদেশের মার্কেটপ্লেস শপআপ। দুটি প্রতিষ্ঠান মিলে নতুন গঠিত বাণিজ্যিক প্ল্যাটফর্ম এসআইএলকিউ (SILQ) ১১ কোটি মার্কিন ডলারের বিনিয়োগ পাচ্ছে। এতে নেতৃত্ব দিচ্ছে সৌদি আরব এবং যুক্তরাষ্ট্রের ভেঞ্চার ক্যাপিটাল।
৩ ঘণ্টা আগেআওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর পুঁজিবাজার সংস্কারের উদ্দেশ্যে গত বছরের আগস্টে গঠন করা হয় পুঁজিবাজার সংস্কার টাস্কফোর্স। সংস্কার কাজে টাস্কফোর্সকে সহযোগিতার জন্য পরবর্তীতে গঠন করা হয় ‘ফোকাস গ্রুপ’। গ্রুপটিতে ১০ জন সদস্য রয়েছেন।
৫ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশ থেকে মৌসুমি ফল আমদানিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে সিঙ্গাপুর। গতকাল মঙ্গলবার সচিবালয়ে বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীনের সঙ্গে বৈঠকে এই আগ্রহের কথা জানান বাংলাদেশে নিযুক্ত সিঙ্গাপুরের অনাবাসিক হাইকমিশনার ডেরেক লো।
৫ ঘণ্টা আগে