নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
কৃচ্ছ্রসাধনের লক্ষ্যে আকার না বাড়িয়ে ২ লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকার নতুন বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) অনুমোদন দিয়েছে সরকার। গতকাল বৃহস্পতিবার আগারগাঁওয়ে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের (এনইসি) সভায় নতুন এডিপির অনুমোদন দেওয়া হয়। এমন এক সময়ে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের এডিপির অনুমোদন দেওয়া হলো, যখন দেশের অর্থনীতি নানান চাপের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। এমন প্রেক্ষাপটে আসছে অর্থবছরের এডিপির আকার গত এডিপির তুলনায় মাত্র ২ হাজার কোটি টাকা বাড়ানো হয়েছে। এনইসির সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সভাপতিত্ব করেন।
নতুন এডিপিতে প্রকল্প রয়েছে ১ হাজার ১৩৩টি। এতে ১০টি মেগা প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ ধরা হয়েছে প্রায় ৫২ হাজার কোটি টাকা। সবচেয়ে বেশি বরাদ্দ রাখা হয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন কর্মসূচিতে।
সভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে পরিকল্পনামন্ত্রী মেজর জেনারেল (অব.) আব্দুস সালাম ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী শহীদুজ্জামান সরকার বিস্তারিত তুলে ধরেন।
বরাদ্দ পাওয়া মেগা প্রকল্পগুলোর মধ্যে রয়েছে চতুর্থ প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন কর্মসূচি প্রকল্প, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র, মাতারবাড়ী কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র, ঢাকা-আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, মেট্রোরেল লাইন-১ প্রকল্প, পাওয়ার গ্রিডের নেটওয়ার্ক শক্তিশালীকরণ প্রকল্প এবং পদ্মা রেল ও বিমানবন্দরের থার্ড টার্মিনাল প্রকল্প। এসব প্রকল্পের মধ্যে সবচেয়ে বেশি বরাদ্দ পাচ্ছে প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন কর্মসূচি (পিইডিপি-৪) প্রকল্প।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের এ প্রকল্পের জন্য আগামী অর্থবছরে বরাদ্দ রাখা হয়েছে ১১ হাজার ৫৬ কোটি টাকা। ২০১৮ সালে চতুর্থবারের মতো এই গুচ্ছ কর্মসূচি শুরু হয়। আগামী বছরের জুনের মধ্যে প্রকল্প শেষ করতে আগামী এডিপিতে এ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। সব মিলিয়ে প্রকল্পটির আওতায় খরচ হবে ৩৮ হাজার ২৯১ কোটি টাকা।
দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বরাদ্দ পাচ্ছে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্প। এ প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে ১০ হাজার ৫০২ কোটি টাকা। এ প্রকল্প বাস্তবায়নে ব্যয় হচ্ছে ১ লাখ ১৩ হাজার ৯২ কোটি ৯১ লাখ টাকা। এখন পর্যন্ত খরচ হয়েছে ৭১ হাজার ৮৯ কোটি ৪০ লাখ টাকা।
তৃতীয় সর্বোচ্চ বরাদ্দ পাচ্ছে মাতারবাড়ী কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র। এ প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে ৬ হাজার ৫ কোটি টাকা। এরপরে ঢাকা-আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ ধরা হয়েছে ৩ হাজার ৭৯৬ কোটি টাকা। ‘ঢাকা মাস র্যাপিড ট্রানজিট ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট: মেট্রো রেললাইন-১’ প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ ৩ হাজার ৫৯৪ কোটি টাকা।
এ ছাড়া পাওয়ার গ্রিডের নেটওয়ার্ক শক্তিশালীকরণ প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে ৩ হাজার ৫৫৫ কোটি টাকা, পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পে বরাদ্দ ৩ হাজার ৫৪৪ কোটি, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সম্প্রসারণ (প্রথম পর্যায়) প্রকল্পের জন্য ৩ হাজার ৫৩৫ কোটি, এক্সপানশন অ্যান্ড স্ট্রেনদেনিং অব পাওয়ার সিস্টেম নেটওয়ার্ক আন্ডার ডিপিডিসি এরিয়া শীর্ষক প্রকল্পের জন্য ৩ হাজার ৩৮৪ কোটি এবং ৫টি হাসপাতাল ৫০০ শয্যায় উন্নীতকরণ প্রকল্পে বরাদ্দ রাখা হয়েছে ৩ হাজার কোটি টাকা।
এদিকে প্রস্তাবিত এডিপি অনুযায়ী ৫৮টি মন্ত্রণালয় এবং বিভাগের মধ্যে সবচেয়ে বেশি বরাদ্দ পাচ্ছে ১০টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগ। এগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ১৮ হাজার ৬৬৭ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে বিদ্যুৎ বিভাগের জন্য। স্থানীয় সরকার বিভাগের জন্য দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৩ হাজার ৮৪ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের জন্য ১০ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ থাকছে।
কৃচ্ছ্রসাধনের লক্ষ্যে আকার না বাড়িয়ে ২ লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকার নতুন বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) অনুমোদন দিয়েছে সরকার। গতকাল বৃহস্পতিবার আগারগাঁওয়ে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের (এনইসি) সভায় নতুন এডিপির অনুমোদন দেওয়া হয়। এমন এক সময়ে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের এডিপির অনুমোদন দেওয়া হলো, যখন দেশের অর্থনীতি নানান চাপের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। এমন প্রেক্ষাপটে আসছে অর্থবছরের এডিপির আকার গত এডিপির তুলনায় মাত্র ২ হাজার কোটি টাকা বাড়ানো হয়েছে। এনইসির সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সভাপতিত্ব করেন।
নতুন এডিপিতে প্রকল্প রয়েছে ১ হাজার ১৩৩টি। এতে ১০টি মেগা প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ ধরা হয়েছে প্রায় ৫২ হাজার কোটি টাকা। সবচেয়ে বেশি বরাদ্দ রাখা হয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন কর্মসূচিতে।
সভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে পরিকল্পনামন্ত্রী মেজর জেনারেল (অব.) আব্দুস সালাম ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী শহীদুজ্জামান সরকার বিস্তারিত তুলে ধরেন।
বরাদ্দ পাওয়া মেগা প্রকল্পগুলোর মধ্যে রয়েছে চতুর্থ প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন কর্মসূচি প্রকল্প, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র, মাতারবাড়ী কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র, ঢাকা-আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, মেট্রোরেল লাইন-১ প্রকল্প, পাওয়ার গ্রিডের নেটওয়ার্ক শক্তিশালীকরণ প্রকল্প এবং পদ্মা রেল ও বিমানবন্দরের থার্ড টার্মিনাল প্রকল্প। এসব প্রকল্পের মধ্যে সবচেয়ে বেশি বরাদ্দ পাচ্ছে প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন কর্মসূচি (পিইডিপি-৪) প্রকল্প।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের এ প্রকল্পের জন্য আগামী অর্থবছরে বরাদ্দ রাখা হয়েছে ১১ হাজার ৫৬ কোটি টাকা। ২০১৮ সালে চতুর্থবারের মতো এই গুচ্ছ কর্মসূচি শুরু হয়। আগামী বছরের জুনের মধ্যে প্রকল্প শেষ করতে আগামী এডিপিতে এ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। সব মিলিয়ে প্রকল্পটির আওতায় খরচ হবে ৩৮ হাজার ২৯১ কোটি টাকা।
দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বরাদ্দ পাচ্ছে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্প। এ প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে ১০ হাজার ৫০২ কোটি টাকা। এ প্রকল্প বাস্তবায়নে ব্যয় হচ্ছে ১ লাখ ১৩ হাজার ৯২ কোটি ৯১ লাখ টাকা। এখন পর্যন্ত খরচ হয়েছে ৭১ হাজার ৮৯ কোটি ৪০ লাখ টাকা।
তৃতীয় সর্বোচ্চ বরাদ্দ পাচ্ছে মাতারবাড়ী কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র। এ প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে ৬ হাজার ৫ কোটি টাকা। এরপরে ঢাকা-আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ ধরা হয়েছে ৩ হাজার ৭৯৬ কোটি টাকা। ‘ঢাকা মাস র্যাপিড ট্রানজিট ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট: মেট্রো রেললাইন-১’ প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ ৩ হাজার ৫৯৪ কোটি টাকা।
এ ছাড়া পাওয়ার গ্রিডের নেটওয়ার্ক শক্তিশালীকরণ প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে ৩ হাজার ৫৫৫ কোটি টাকা, পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পে বরাদ্দ ৩ হাজার ৫৪৪ কোটি, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সম্প্রসারণ (প্রথম পর্যায়) প্রকল্পের জন্য ৩ হাজার ৫৩৫ কোটি, এক্সপানশন অ্যান্ড স্ট্রেনদেনিং অব পাওয়ার সিস্টেম নেটওয়ার্ক আন্ডার ডিপিডিসি এরিয়া শীর্ষক প্রকল্পের জন্য ৩ হাজার ৩৮৪ কোটি এবং ৫টি হাসপাতাল ৫০০ শয্যায় উন্নীতকরণ প্রকল্পে বরাদ্দ রাখা হয়েছে ৩ হাজার কোটি টাকা।
এদিকে প্রস্তাবিত এডিপি অনুযায়ী ৫৮টি মন্ত্রণালয় এবং বিভাগের মধ্যে সবচেয়ে বেশি বরাদ্দ পাচ্ছে ১০টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগ। এগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ১৮ হাজার ৬৬৭ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে বিদ্যুৎ বিভাগের জন্য। স্থানীয় সরকার বিভাগের জন্য দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৩ হাজার ৮৪ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের জন্য ১০ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ থাকছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত সেন্ট্রাল ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড আর্থিক সংকটের মধ্যে পড়েছে। কোম্পানির পুঞ্জীভূত লোকসান এখন শতকোটি টাকা ছাড়িয়েছে, এর ফলে ব্যাংক থেকে নেওয়া ঋণের কিস্তি পরিশোধেও এখন ব্যর্থ হচ্ছে। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে করের বকেয়া, বিক্রি বাড়াতে না পারা, উৎপাদন খরচের অতিরিক্ত চাপ...
১ ঘণ্টা আগেচট্টগ্রাম বন্দর থেকে নিত্যপণ্যের সরবরাহ নির্বিঘ্ন রাখতে এবং বাজারে কৃত্রিম সংকট প্রতিরোধে নতুন নির্দেশনা জারি করেছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ (চবক)। এই নির্দেশনা অনুযায়ী, বহির্নোঙরে বড় জাহাজ থেকে আমদানি করা পণ্য লাইটার জাহাজে লোড হওয়ার পর ৭২ ঘণ্টার মধ্যে বন্দর সীমানা ত্যাগ করতে হবে।
২ ঘণ্টা আগেস্থানীয় বাজারে তেজাবি সোনার (পিওর গোল্ড) দাম হ্রাস পাওয়ায় নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। দাম আরও কমিয়ে সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের এক ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) সোনার দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ৪৮ হাজার ৩৪৩ টাকা।
৪ ঘণ্টা আগে২ বছর পূর্ণ করে বাংলাদেশে তৃতীয় বছরে পা দিল তাইওয়ানভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ‘কই তে’। এ উপলক্ষে প্রতিষ্ঠানটির গুলশান আউটলেটে এক বিশেষ আয়োজন করা হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন ‘কই তে’র সিইও এবং প্রতিষ্ঠাতা কোয়ে মা, চিফ বিজনেস অফিসার মি লাউ ইয়ং কিয়ং, কই তে বাংলাদেশের এবং ট্যাড গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক...
১ দিন আগে