নতুন প্রস্তাবনা
আসাদুজ্জামান নূর, ঢাকা

চাপে থাকা ব্যবসার কাঁধে এবার আরও ভারী হচ্ছে করের বোঝা। একদিকে গ্যাস ও বিদ্যুৎ সংকটে হাঁসফাঁস করছে শিল্প, অন্যদিকে কম মুনাফায় টিকে থাকা প্রতিষ্ঠানের ওপরও বসছে অতিরিক্ত করের খড়্গ। আসছে ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটে কর ছাড়ের পথ থেকে সরে এসে রাজস্ব সংগ্রহের কঠিন কৌশল নিচ্ছে সরকার; যার প্রথম আঘাত যাচ্ছে সরাসরি টেক্সটাইল ও ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের ওপর।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) চূড়ান্ত করতে চলেছে একগুচ্ছ প্রস্তাব; যার আওতায় টেক্সটাইল খাতের কর রেয়াত সুবিধা উঠে যাচ্ছে, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে বাড়ছে ন্যূনতম টার্নওভার করের হার, আর ব্যক্তির ক্ষেত্রেও এই কর চার গুণ পর্যন্ত বাড়ানোর প্রস্তাবও থাকছে। নীতিনির্ধারকেরা বলছেন, রাজস্ব ঘাটতি পোষাতে এসব প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ হলেও শিল্পসংশ্লিষ্টদের মতে, এটি দেশের উৎপাদন ও রপ্তানিমুখী অর্থনীতির জন্য একধরনের বিপর্যয় ডেকে আনবে।
এনবিআরের তথ্য বলছে, টেক্সটাইল খাতের ১৫ শতাংশ কর রেয়াত তুলে দিলে তালিকাভুক্ত নয় এমন কোম্পানির জন্য করহার হবে ২৭ দশমিক ৫ শতাংশ; যা প্রায় ৮৩ শতাংশ বৃদ্ধি ঘটতে চলেছে। অথচ বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশনের (বিটিএমএ) সদস্য ১ হাজার ৮৫৪টি কোম্পানির মধ্যে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত শুধু ৫৮টি। ফলে সিংহভাগ প্রতিষ্ঠানই বাড়তি করের সরাসরি শিকার হবে।
আরও বড় চাপ আসছে ন্যূনতম করের খাতে। ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ওপর ০.৬ শতাংশ ন্যূনতম কর বাড়িয়ে ১ শতাংশ করা হচ্ছে, যা ৬৭ শতাংশ বৃদ্ধি। ব্যক্তি পর্যায়ে বার্ষিক ৩ কোটি টাকার বেশি আয়ের ওপর ন্যূনতম কর ০.২৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১ শতাংশ করার প্রস্তাব রয়েছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, মুনাফা বিবেচনায় কর নির্ধারণের বদলে টার্নওভারের ওপর কর চাপানোয় ক্ষতিগ্রস্ত হবেন মূলত সৎ করদাতারা।
বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশনের (বিটিএমএ) সহসভাপতি সালেউদ্দিন জামান খান এ প্রসঙ্গে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের করহার ১৫ শতাংশ বলা হলেও কার্যকর হার অনেক বেশি। মুনাফা মাত্র ৩ শতাংশ হলেও ১ শতাংশ উৎসে কর দিতে হয়; মানে কার্যকর হার দাঁড়ায় ৩৩ শতাংশ। এখন ২ শতাংশ অগ্রিম আয়কর এলে এবং উৎসে কর সমন্বয় না থাকলে কার্যকর করহার গিয়ে দাঁড়াবে ৬৬ শতাংশ।’ তিনি দাবি করেন, ‘যদি সত্যি সত্যি প্রস্তাব কার্যকর হয়, তাহলে এই পরিস্থিতিতে টেক্সটাইল শিল্পের টিকে থাকাই কঠিন হয়ে পড়বে।’
রপ্তানির ক্ষেত্রে সুতা ও কাপড়ের ওপর ১ শতাংশ এবং স্থানীয় বাজারে বিক্রিতে ৪ শতাংশ উৎসে কর বসায় অধিকাংশ প্রতিষ্ঠান লোকসানে চলছে বলে দাবি করেন সংশ্লিষ্টরা। সেই সঙ্গে তুলা ও কৃত্রিম তন্তু আমদানিতে নতুন করে ২ শতাংশ অগ্রিম আয়কর আরোপের চিন্তাও করছে সরকার।
রেয়াত তুলে নেওয়া যেতে পারে, তবে কর নির্ধারণ হওয়া উচিত প্রকৃত মুনাফার ভিত্তিতে। মুনাফা বেশি হলে বেশি কর, না হলে কর নয়—এটাই ন্যায্য। ড. সৈয়দ মো. আমিনুল করিম, অর্থনীতিবিদ ও এনবিআরের সাবেক সদস্য
এনবিআরের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এ বিষয়ে জানিয়েছেন, আগামী জুনে টেক্সটাইল খাতের কর রেয়াত মেয়াদ শেষ হলে তা আর নবায়ন করা হবে না। তিনি বলেন, ‘উন্নয়ন সহযোগীরা রেয়াত তুলে ধাপে ধাপে কর আদায় বাড়ানোর পরামর্শ দিয়েছে। সেভাবেই পরিকল্পনা করা হয়েছে।’
অর্থনীতিবিদ ও এনবিআরের সাবেক সদস্য ড. সৈয়দ মো. আমিনুল করিম মনে করেন, রেয়াত তুলে নেওয়া যেতে পারে, তবে কর নির্ধারণ হওয়া উচিত প্রকৃত মুনাফার ভিত্তিতে। ‘মুনাফা বেশি হলে বেশি কর, না হলে কর নয়—এটাই ন্যায্য,’ বলেন তিনি।
ন্যূনতম করের প্রস্তাবিত বৃদ্ধি নিয়েও ব্যাপক আপত্তি এসেছে। এ প্রসঙ্গে চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট ও কর বিশেষজ্ঞ স্নেহাশীষ বড়ুয়া বলেন, ‘ধরা যাক, কারও টার্নওভার ১০০ কোটি টাকা, কিন্তু মুনাফা অনেক কম। এক্ষেত্রে ২৭.৫ শতাংশ হারে কর ধরলে ৫০ লাখ টাকা হয়, কিন্তু ১ শতাংশ ন্যূনতম কর ধরলে দিতে হবে ১ কোটি টাকা; মানে কার্যকর করহার দাঁড়াচ্ছে ৫৫ শতাংশ।’
স্নেহাশীষ বড়ুয়া আরও বলেন, লোকসান করা প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য এই কর ‘মূলধন-খেকো’ হয়ে উঠবে। কারণ, মুনাফা না হলেও পুরো কর গুনতে হবে মূলধন থেকে।
২০২৩-২৪ অর্থবছরে নিবন্ধিত ২ লাখ ৮৮ হাজার প্রতিষ্ঠানের মধ্যে মাত্র ২৪ হাজার ৩৮১টি রিটার্ন জমা দিয়েছে। তার মধ্যে ৮ হাজারের মতো কোম্পানি প্রকৃতপক্ষে ন্যূনতম কর পরিশোধ করছে। এনবিআর কর্মকর্তাদের ভাষায়, ‘এই পরিবর্তনের চাপে মূলত ওই ৮ হাজার প্রতিষ্ঠানের ওপরই বাড়তি চাপ পড়বে।’
তবে করদাতাদের জন্য একটিমাত্র স্বস্তির দিক হতে পারে, তা হলো ন্যূনতম কর সমন্বয়ের সুযোগ থাকছে ভবিষ্যৎ করবর্ষে ‘ক্যারি ফরোয়ার্ড’ করার মাধ্যমে।
এ নিয়ে ফরেন ইনভেস্টরস চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি মোহাম্মদ জাভেদ আখতার বলেন, ‘আমরা আশা করেছিলাম ন্যূনতম কর ব্যবস্থা তুলে দেওয়া হবে। বরং সেটি বাড়িয়ে আরও চাপ বাড়ানো হচ্ছে। এটি ভুল সিদ্ধান্ত, বিশেষ করে সৎ, ক্ষুদ্র ও নতুন উদ্যোক্তাদের জন্য।’
বর্তমানে ন্যূনতম করহার পাঁচ ধরনের ব্যক্তি ও কোম্পানির ওপর ধার্য রয়েছে, যা শূন্য দশমিক ২৫ শতাংশ থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ৫ শতাংশ পর্যন্ত। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি, অর্থাৎ ৫ শতাংশ কর গুনতে হয় কার্বোনেটেড বেভারেজ কোম্পানিগুলোকে। তামাক কোম্পানির ক্ষেত্রে এই হার ৩ শতাংশ এবং মোবাইল ফোন অপারেটরদের জন্য ২ শতাংশ। যেসব ব্যক্তি করদাতার বার্ষিক টার্নওভার ৩ কোটি টাকার বেশি, তাঁদের জন্য ন্যূনতম করহার নির্ধারিত আছে শূন্য দশমিক ২৫ শতাংশ। এ ছাড়া অন্যান্য কোম্পানিকে শূন্য দশমিক ৬০ শতাংশ এবং রপ্তানিকারকদের ক্ষেত্রে ১ শতাংশ হারে ন্যূনতম কর দিতে হয়।
ন্যূনতম কর পুরোপুরি বাতিলের পরামর্শ দিয়েছেন এনবিআরের আরেক সাবেক সদস্য আমিনুর রহমান। তার ভাষায়, ‘মাথাব্যথায় মাথা কেটে ফেলা সমাধান হতে পারে না। সৎ করদাতাদের শাস্তি দিয়ে অসৎদের ফাঁকি পূরণ করা উচিত নয়।’

চাপে থাকা ব্যবসার কাঁধে এবার আরও ভারী হচ্ছে করের বোঝা। একদিকে গ্যাস ও বিদ্যুৎ সংকটে হাঁসফাঁস করছে শিল্প, অন্যদিকে কম মুনাফায় টিকে থাকা প্রতিষ্ঠানের ওপরও বসছে অতিরিক্ত করের খড়্গ। আসছে ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটে কর ছাড়ের পথ থেকে সরে এসে রাজস্ব সংগ্রহের কঠিন কৌশল নিচ্ছে সরকার; যার প্রথম আঘাত যাচ্ছে সরাসরি টেক্সটাইল ও ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের ওপর।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) চূড়ান্ত করতে চলেছে একগুচ্ছ প্রস্তাব; যার আওতায় টেক্সটাইল খাতের কর রেয়াত সুবিধা উঠে যাচ্ছে, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে বাড়ছে ন্যূনতম টার্নওভার করের হার, আর ব্যক্তির ক্ষেত্রেও এই কর চার গুণ পর্যন্ত বাড়ানোর প্রস্তাবও থাকছে। নীতিনির্ধারকেরা বলছেন, রাজস্ব ঘাটতি পোষাতে এসব প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ হলেও শিল্পসংশ্লিষ্টদের মতে, এটি দেশের উৎপাদন ও রপ্তানিমুখী অর্থনীতির জন্য একধরনের বিপর্যয় ডেকে আনবে।
এনবিআরের তথ্য বলছে, টেক্সটাইল খাতের ১৫ শতাংশ কর রেয়াত তুলে দিলে তালিকাভুক্ত নয় এমন কোম্পানির জন্য করহার হবে ২৭ দশমিক ৫ শতাংশ; যা প্রায় ৮৩ শতাংশ বৃদ্ধি ঘটতে চলেছে। অথচ বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশনের (বিটিএমএ) সদস্য ১ হাজার ৮৫৪টি কোম্পানির মধ্যে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত শুধু ৫৮টি। ফলে সিংহভাগ প্রতিষ্ঠানই বাড়তি করের সরাসরি শিকার হবে।
আরও বড় চাপ আসছে ন্যূনতম করের খাতে। ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ওপর ০.৬ শতাংশ ন্যূনতম কর বাড়িয়ে ১ শতাংশ করা হচ্ছে, যা ৬৭ শতাংশ বৃদ্ধি। ব্যক্তি পর্যায়ে বার্ষিক ৩ কোটি টাকার বেশি আয়ের ওপর ন্যূনতম কর ০.২৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১ শতাংশ করার প্রস্তাব রয়েছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, মুনাফা বিবেচনায় কর নির্ধারণের বদলে টার্নওভারের ওপর কর চাপানোয় ক্ষতিগ্রস্ত হবেন মূলত সৎ করদাতারা।
বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশনের (বিটিএমএ) সহসভাপতি সালেউদ্দিন জামান খান এ প্রসঙ্গে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের করহার ১৫ শতাংশ বলা হলেও কার্যকর হার অনেক বেশি। মুনাফা মাত্র ৩ শতাংশ হলেও ১ শতাংশ উৎসে কর দিতে হয়; মানে কার্যকর হার দাঁড়ায় ৩৩ শতাংশ। এখন ২ শতাংশ অগ্রিম আয়কর এলে এবং উৎসে কর সমন্বয় না থাকলে কার্যকর করহার গিয়ে দাঁড়াবে ৬৬ শতাংশ।’ তিনি দাবি করেন, ‘যদি সত্যি সত্যি প্রস্তাব কার্যকর হয়, তাহলে এই পরিস্থিতিতে টেক্সটাইল শিল্পের টিকে থাকাই কঠিন হয়ে পড়বে।’
রপ্তানির ক্ষেত্রে সুতা ও কাপড়ের ওপর ১ শতাংশ এবং স্থানীয় বাজারে বিক্রিতে ৪ শতাংশ উৎসে কর বসায় অধিকাংশ প্রতিষ্ঠান লোকসানে চলছে বলে দাবি করেন সংশ্লিষ্টরা। সেই সঙ্গে তুলা ও কৃত্রিম তন্তু আমদানিতে নতুন করে ২ শতাংশ অগ্রিম আয়কর আরোপের চিন্তাও করছে সরকার।
রেয়াত তুলে নেওয়া যেতে পারে, তবে কর নির্ধারণ হওয়া উচিত প্রকৃত মুনাফার ভিত্তিতে। মুনাফা বেশি হলে বেশি কর, না হলে কর নয়—এটাই ন্যায্য। ড. সৈয়দ মো. আমিনুল করিম, অর্থনীতিবিদ ও এনবিআরের সাবেক সদস্য
এনবিআরের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এ বিষয়ে জানিয়েছেন, আগামী জুনে টেক্সটাইল খাতের কর রেয়াত মেয়াদ শেষ হলে তা আর নবায়ন করা হবে না। তিনি বলেন, ‘উন্নয়ন সহযোগীরা রেয়াত তুলে ধাপে ধাপে কর আদায় বাড়ানোর পরামর্শ দিয়েছে। সেভাবেই পরিকল্পনা করা হয়েছে।’
অর্থনীতিবিদ ও এনবিআরের সাবেক সদস্য ড. সৈয়দ মো. আমিনুল করিম মনে করেন, রেয়াত তুলে নেওয়া যেতে পারে, তবে কর নির্ধারণ হওয়া উচিত প্রকৃত মুনাফার ভিত্তিতে। ‘মুনাফা বেশি হলে বেশি কর, না হলে কর নয়—এটাই ন্যায্য,’ বলেন তিনি।
ন্যূনতম করের প্রস্তাবিত বৃদ্ধি নিয়েও ব্যাপক আপত্তি এসেছে। এ প্রসঙ্গে চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট ও কর বিশেষজ্ঞ স্নেহাশীষ বড়ুয়া বলেন, ‘ধরা যাক, কারও টার্নওভার ১০০ কোটি টাকা, কিন্তু মুনাফা অনেক কম। এক্ষেত্রে ২৭.৫ শতাংশ হারে কর ধরলে ৫০ লাখ টাকা হয়, কিন্তু ১ শতাংশ ন্যূনতম কর ধরলে দিতে হবে ১ কোটি টাকা; মানে কার্যকর করহার দাঁড়াচ্ছে ৫৫ শতাংশ।’
স্নেহাশীষ বড়ুয়া আরও বলেন, লোকসান করা প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য এই কর ‘মূলধন-খেকো’ হয়ে উঠবে। কারণ, মুনাফা না হলেও পুরো কর গুনতে হবে মূলধন থেকে।
২০২৩-২৪ অর্থবছরে নিবন্ধিত ২ লাখ ৮৮ হাজার প্রতিষ্ঠানের মধ্যে মাত্র ২৪ হাজার ৩৮১টি রিটার্ন জমা দিয়েছে। তার মধ্যে ৮ হাজারের মতো কোম্পানি প্রকৃতপক্ষে ন্যূনতম কর পরিশোধ করছে। এনবিআর কর্মকর্তাদের ভাষায়, ‘এই পরিবর্তনের চাপে মূলত ওই ৮ হাজার প্রতিষ্ঠানের ওপরই বাড়তি চাপ পড়বে।’
তবে করদাতাদের জন্য একটিমাত্র স্বস্তির দিক হতে পারে, তা হলো ন্যূনতম কর সমন্বয়ের সুযোগ থাকছে ভবিষ্যৎ করবর্ষে ‘ক্যারি ফরোয়ার্ড’ করার মাধ্যমে।
এ নিয়ে ফরেন ইনভেস্টরস চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি মোহাম্মদ জাভেদ আখতার বলেন, ‘আমরা আশা করেছিলাম ন্যূনতম কর ব্যবস্থা তুলে দেওয়া হবে। বরং সেটি বাড়িয়ে আরও চাপ বাড়ানো হচ্ছে। এটি ভুল সিদ্ধান্ত, বিশেষ করে সৎ, ক্ষুদ্র ও নতুন উদ্যোক্তাদের জন্য।’
বর্তমানে ন্যূনতম করহার পাঁচ ধরনের ব্যক্তি ও কোম্পানির ওপর ধার্য রয়েছে, যা শূন্য দশমিক ২৫ শতাংশ থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ৫ শতাংশ পর্যন্ত। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি, অর্থাৎ ৫ শতাংশ কর গুনতে হয় কার্বোনেটেড বেভারেজ কোম্পানিগুলোকে। তামাক কোম্পানির ক্ষেত্রে এই হার ৩ শতাংশ এবং মোবাইল ফোন অপারেটরদের জন্য ২ শতাংশ। যেসব ব্যক্তি করদাতার বার্ষিক টার্নওভার ৩ কোটি টাকার বেশি, তাঁদের জন্য ন্যূনতম করহার নির্ধারিত আছে শূন্য দশমিক ২৫ শতাংশ। এ ছাড়া অন্যান্য কোম্পানিকে শূন্য দশমিক ৬০ শতাংশ এবং রপ্তানিকারকদের ক্ষেত্রে ১ শতাংশ হারে ন্যূনতম কর দিতে হয়।
ন্যূনতম কর পুরোপুরি বাতিলের পরামর্শ দিয়েছেন এনবিআরের আরেক সাবেক সদস্য আমিনুর রহমান। তার ভাষায়, ‘মাথাব্যথায় মাথা কেটে ফেলা সমাধান হতে পারে না। সৎ করদাতাদের শাস্তি দিয়ে অসৎদের ফাঁকি পূরণ করা উচিত নয়।’
নতুন প্রস্তাবনা
আসাদুজ্জামান নূর, ঢাকা

চাপে থাকা ব্যবসার কাঁধে এবার আরও ভারী হচ্ছে করের বোঝা। একদিকে গ্যাস ও বিদ্যুৎ সংকটে হাঁসফাঁস করছে শিল্প, অন্যদিকে কম মুনাফায় টিকে থাকা প্রতিষ্ঠানের ওপরও বসছে অতিরিক্ত করের খড়্গ। আসছে ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটে কর ছাড়ের পথ থেকে সরে এসে রাজস্ব সংগ্রহের কঠিন কৌশল নিচ্ছে সরকার; যার প্রথম আঘাত যাচ্ছে সরাসরি টেক্সটাইল ও ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের ওপর।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) চূড়ান্ত করতে চলেছে একগুচ্ছ প্রস্তাব; যার আওতায় টেক্সটাইল খাতের কর রেয়াত সুবিধা উঠে যাচ্ছে, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে বাড়ছে ন্যূনতম টার্নওভার করের হার, আর ব্যক্তির ক্ষেত্রেও এই কর চার গুণ পর্যন্ত বাড়ানোর প্রস্তাবও থাকছে। নীতিনির্ধারকেরা বলছেন, রাজস্ব ঘাটতি পোষাতে এসব প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ হলেও শিল্পসংশ্লিষ্টদের মতে, এটি দেশের উৎপাদন ও রপ্তানিমুখী অর্থনীতির জন্য একধরনের বিপর্যয় ডেকে আনবে।
এনবিআরের তথ্য বলছে, টেক্সটাইল খাতের ১৫ শতাংশ কর রেয়াত তুলে দিলে তালিকাভুক্ত নয় এমন কোম্পানির জন্য করহার হবে ২৭ দশমিক ৫ শতাংশ; যা প্রায় ৮৩ শতাংশ বৃদ্ধি ঘটতে চলেছে। অথচ বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশনের (বিটিএমএ) সদস্য ১ হাজার ৮৫৪টি কোম্পানির মধ্যে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত শুধু ৫৮টি। ফলে সিংহভাগ প্রতিষ্ঠানই বাড়তি করের সরাসরি শিকার হবে।
আরও বড় চাপ আসছে ন্যূনতম করের খাতে। ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ওপর ০.৬ শতাংশ ন্যূনতম কর বাড়িয়ে ১ শতাংশ করা হচ্ছে, যা ৬৭ শতাংশ বৃদ্ধি। ব্যক্তি পর্যায়ে বার্ষিক ৩ কোটি টাকার বেশি আয়ের ওপর ন্যূনতম কর ০.২৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১ শতাংশ করার প্রস্তাব রয়েছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, মুনাফা বিবেচনায় কর নির্ধারণের বদলে টার্নওভারের ওপর কর চাপানোয় ক্ষতিগ্রস্ত হবেন মূলত সৎ করদাতারা।
বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশনের (বিটিএমএ) সহসভাপতি সালেউদ্দিন জামান খান এ প্রসঙ্গে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের করহার ১৫ শতাংশ বলা হলেও কার্যকর হার অনেক বেশি। মুনাফা মাত্র ৩ শতাংশ হলেও ১ শতাংশ উৎসে কর দিতে হয়; মানে কার্যকর হার দাঁড়ায় ৩৩ শতাংশ। এখন ২ শতাংশ অগ্রিম আয়কর এলে এবং উৎসে কর সমন্বয় না থাকলে কার্যকর করহার গিয়ে দাঁড়াবে ৬৬ শতাংশ।’ তিনি দাবি করেন, ‘যদি সত্যি সত্যি প্রস্তাব কার্যকর হয়, তাহলে এই পরিস্থিতিতে টেক্সটাইল শিল্পের টিকে থাকাই কঠিন হয়ে পড়বে।’
রপ্তানির ক্ষেত্রে সুতা ও কাপড়ের ওপর ১ শতাংশ এবং স্থানীয় বাজারে বিক্রিতে ৪ শতাংশ উৎসে কর বসায় অধিকাংশ প্রতিষ্ঠান লোকসানে চলছে বলে দাবি করেন সংশ্লিষ্টরা। সেই সঙ্গে তুলা ও কৃত্রিম তন্তু আমদানিতে নতুন করে ২ শতাংশ অগ্রিম আয়কর আরোপের চিন্তাও করছে সরকার।
রেয়াত তুলে নেওয়া যেতে পারে, তবে কর নির্ধারণ হওয়া উচিত প্রকৃত মুনাফার ভিত্তিতে। মুনাফা বেশি হলে বেশি কর, না হলে কর নয়—এটাই ন্যায্য। ড. সৈয়দ মো. আমিনুল করিম, অর্থনীতিবিদ ও এনবিআরের সাবেক সদস্য
এনবিআরের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এ বিষয়ে জানিয়েছেন, আগামী জুনে টেক্সটাইল খাতের কর রেয়াত মেয়াদ শেষ হলে তা আর নবায়ন করা হবে না। তিনি বলেন, ‘উন্নয়ন সহযোগীরা রেয়াত তুলে ধাপে ধাপে কর আদায় বাড়ানোর পরামর্শ দিয়েছে। সেভাবেই পরিকল্পনা করা হয়েছে।’
অর্থনীতিবিদ ও এনবিআরের সাবেক সদস্য ড. সৈয়দ মো. আমিনুল করিম মনে করেন, রেয়াত তুলে নেওয়া যেতে পারে, তবে কর নির্ধারণ হওয়া উচিত প্রকৃত মুনাফার ভিত্তিতে। ‘মুনাফা বেশি হলে বেশি কর, না হলে কর নয়—এটাই ন্যায্য,’ বলেন তিনি।
ন্যূনতম করের প্রস্তাবিত বৃদ্ধি নিয়েও ব্যাপক আপত্তি এসেছে। এ প্রসঙ্গে চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট ও কর বিশেষজ্ঞ স্নেহাশীষ বড়ুয়া বলেন, ‘ধরা যাক, কারও টার্নওভার ১০০ কোটি টাকা, কিন্তু মুনাফা অনেক কম। এক্ষেত্রে ২৭.৫ শতাংশ হারে কর ধরলে ৫০ লাখ টাকা হয়, কিন্তু ১ শতাংশ ন্যূনতম কর ধরলে দিতে হবে ১ কোটি টাকা; মানে কার্যকর করহার দাঁড়াচ্ছে ৫৫ শতাংশ।’
স্নেহাশীষ বড়ুয়া আরও বলেন, লোকসান করা প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য এই কর ‘মূলধন-খেকো’ হয়ে উঠবে। কারণ, মুনাফা না হলেও পুরো কর গুনতে হবে মূলধন থেকে।
২০২৩-২৪ অর্থবছরে নিবন্ধিত ২ লাখ ৮৮ হাজার প্রতিষ্ঠানের মধ্যে মাত্র ২৪ হাজার ৩৮১টি রিটার্ন জমা দিয়েছে। তার মধ্যে ৮ হাজারের মতো কোম্পানি প্রকৃতপক্ষে ন্যূনতম কর পরিশোধ করছে। এনবিআর কর্মকর্তাদের ভাষায়, ‘এই পরিবর্তনের চাপে মূলত ওই ৮ হাজার প্রতিষ্ঠানের ওপরই বাড়তি চাপ পড়বে।’
তবে করদাতাদের জন্য একটিমাত্র স্বস্তির দিক হতে পারে, তা হলো ন্যূনতম কর সমন্বয়ের সুযোগ থাকছে ভবিষ্যৎ করবর্ষে ‘ক্যারি ফরোয়ার্ড’ করার মাধ্যমে।
এ নিয়ে ফরেন ইনভেস্টরস চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি মোহাম্মদ জাভেদ আখতার বলেন, ‘আমরা আশা করেছিলাম ন্যূনতম কর ব্যবস্থা তুলে দেওয়া হবে। বরং সেটি বাড়িয়ে আরও চাপ বাড়ানো হচ্ছে। এটি ভুল সিদ্ধান্ত, বিশেষ করে সৎ, ক্ষুদ্র ও নতুন উদ্যোক্তাদের জন্য।’
বর্তমানে ন্যূনতম করহার পাঁচ ধরনের ব্যক্তি ও কোম্পানির ওপর ধার্য রয়েছে, যা শূন্য দশমিক ২৫ শতাংশ থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ৫ শতাংশ পর্যন্ত। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি, অর্থাৎ ৫ শতাংশ কর গুনতে হয় কার্বোনেটেড বেভারেজ কোম্পানিগুলোকে। তামাক কোম্পানির ক্ষেত্রে এই হার ৩ শতাংশ এবং মোবাইল ফোন অপারেটরদের জন্য ২ শতাংশ। যেসব ব্যক্তি করদাতার বার্ষিক টার্নওভার ৩ কোটি টাকার বেশি, তাঁদের জন্য ন্যূনতম করহার নির্ধারিত আছে শূন্য দশমিক ২৫ শতাংশ। এ ছাড়া অন্যান্য কোম্পানিকে শূন্য দশমিক ৬০ শতাংশ এবং রপ্তানিকারকদের ক্ষেত্রে ১ শতাংশ হারে ন্যূনতম কর দিতে হয়।
ন্যূনতম কর পুরোপুরি বাতিলের পরামর্শ দিয়েছেন এনবিআরের আরেক সাবেক সদস্য আমিনুর রহমান। তার ভাষায়, ‘মাথাব্যথায় মাথা কেটে ফেলা সমাধান হতে পারে না। সৎ করদাতাদের শাস্তি দিয়ে অসৎদের ফাঁকি পূরণ করা উচিত নয়।’

চাপে থাকা ব্যবসার কাঁধে এবার আরও ভারী হচ্ছে করের বোঝা। একদিকে গ্যাস ও বিদ্যুৎ সংকটে হাঁসফাঁস করছে শিল্প, অন্যদিকে কম মুনাফায় টিকে থাকা প্রতিষ্ঠানের ওপরও বসছে অতিরিক্ত করের খড়্গ। আসছে ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটে কর ছাড়ের পথ থেকে সরে এসে রাজস্ব সংগ্রহের কঠিন কৌশল নিচ্ছে সরকার; যার প্রথম আঘাত যাচ্ছে সরাসরি টেক্সটাইল ও ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের ওপর।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) চূড়ান্ত করতে চলেছে একগুচ্ছ প্রস্তাব; যার আওতায় টেক্সটাইল খাতের কর রেয়াত সুবিধা উঠে যাচ্ছে, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে বাড়ছে ন্যূনতম টার্নওভার করের হার, আর ব্যক্তির ক্ষেত্রেও এই কর চার গুণ পর্যন্ত বাড়ানোর প্রস্তাবও থাকছে। নীতিনির্ধারকেরা বলছেন, রাজস্ব ঘাটতি পোষাতে এসব প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ হলেও শিল্পসংশ্লিষ্টদের মতে, এটি দেশের উৎপাদন ও রপ্তানিমুখী অর্থনীতির জন্য একধরনের বিপর্যয় ডেকে আনবে।
এনবিআরের তথ্য বলছে, টেক্সটাইল খাতের ১৫ শতাংশ কর রেয়াত তুলে দিলে তালিকাভুক্ত নয় এমন কোম্পানির জন্য করহার হবে ২৭ দশমিক ৫ শতাংশ; যা প্রায় ৮৩ শতাংশ বৃদ্ধি ঘটতে চলেছে। অথচ বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশনের (বিটিএমএ) সদস্য ১ হাজার ৮৫৪টি কোম্পানির মধ্যে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত শুধু ৫৮টি। ফলে সিংহভাগ প্রতিষ্ঠানই বাড়তি করের সরাসরি শিকার হবে।
আরও বড় চাপ আসছে ন্যূনতম করের খাতে। ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ওপর ০.৬ শতাংশ ন্যূনতম কর বাড়িয়ে ১ শতাংশ করা হচ্ছে, যা ৬৭ শতাংশ বৃদ্ধি। ব্যক্তি পর্যায়ে বার্ষিক ৩ কোটি টাকার বেশি আয়ের ওপর ন্যূনতম কর ০.২৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১ শতাংশ করার প্রস্তাব রয়েছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, মুনাফা বিবেচনায় কর নির্ধারণের বদলে টার্নওভারের ওপর কর চাপানোয় ক্ষতিগ্রস্ত হবেন মূলত সৎ করদাতারা।
বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশনের (বিটিএমএ) সহসভাপতি সালেউদ্দিন জামান খান এ প্রসঙ্গে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের করহার ১৫ শতাংশ বলা হলেও কার্যকর হার অনেক বেশি। মুনাফা মাত্র ৩ শতাংশ হলেও ১ শতাংশ উৎসে কর দিতে হয়; মানে কার্যকর হার দাঁড়ায় ৩৩ শতাংশ। এখন ২ শতাংশ অগ্রিম আয়কর এলে এবং উৎসে কর সমন্বয় না থাকলে কার্যকর করহার গিয়ে দাঁড়াবে ৬৬ শতাংশ।’ তিনি দাবি করেন, ‘যদি সত্যি সত্যি প্রস্তাব কার্যকর হয়, তাহলে এই পরিস্থিতিতে টেক্সটাইল শিল্পের টিকে থাকাই কঠিন হয়ে পড়বে।’
রপ্তানির ক্ষেত্রে সুতা ও কাপড়ের ওপর ১ শতাংশ এবং স্থানীয় বাজারে বিক্রিতে ৪ শতাংশ উৎসে কর বসায় অধিকাংশ প্রতিষ্ঠান লোকসানে চলছে বলে দাবি করেন সংশ্লিষ্টরা। সেই সঙ্গে তুলা ও কৃত্রিম তন্তু আমদানিতে নতুন করে ২ শতাংশ অগ্রিম আয়কর আরোপের চিন্তাও করছে সরকার।
রেয়াত তুলে নেওয়া যেতে পারে, তবে কর নির্ধারণ হওয়া উচিত প্রকৃত মুনাফার ভিত্তিতে। মুনাফা বেশি হলে বেশি কর, না হলে কর নয়—এটাই ন্যায্য। ড. সৈয়দ মো. আমিনুল করিম, অর্থনীতিবিদ ও এনবিআরের সাবেক সদস্য
এনবিআরের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এ বিষয়ে জানিয়েছেন, আগামী জুনে টেক্সটাইল খাতের কর রেয়াত মেয়াদ শেষ হলে তা আর নবায়ন করা হবে না। তিনি বলেন, ‘উন্নয়ন সহযোগীরা রেয়াত তুলে ধাপে ধাপে কর আদায় বাড়ানোর পরামর্শ দিয়েছে। সেভাবেই পরিকল্পনা করা হয়েছে।’
অর্থনীতিবিদ ও এনবিআরের সাবেক সদস্য ড. সৈয়দ মো. আমিনুল করিম মনে করেন, রেয়াত তুলে নেওয়া যেতে পারে, তবে কর নির্ধারণ হওয়া উচিত প্রকৃত মুনাফার ভিত্তিতে। ‘মুনাফা বেশি হলে বেশি কর, না হলে কর নয়—এটাই ন্যায্য,’ বলেন তিনি।
ন্যূনতম করের প্রস্তাবিত বৃদ্ধি নিয়েও ব্যাপক আপত্তি এসেছে। এ প্রসঙ্গে চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট ও কর বিশেষজ্ঞ স্নেহাশীষ বড়ুয়া বলেন, ‘ধরা যাক, কারও টার্নওভার ১০০ কোটি টাকা, কিন্তু মুনাফা অনেক কম। এক্ষেত্রে ২৭.৫ শতাংশ হারে কর ধরলে ৫০ লাখ টাকা হয়, কিন্তু ১ শতাংশ ন্যূনতম কর ধরলে দিতে হবে ১ কোটি টাকা; মানে কার্যকর করহার দাঁড়াচ্ছে ৫৫ শতাংশ।’
স্নেহাশীষ বড়ুয়া আরও বলেন, লোকসান করা প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য এই কর ‘মূলধন-খেকো’ হয়ে উঠবে। কারণ, মুনাফা না হলেও পুরো কর গুনতে হবে মূলধন থেকে।
২০২৩-২৪ অর্থবছরে নিবন্ধিত ২ লাখ ৮৮ হাজার প্রতিষ্ঠানের মধ্যে মাত্র ২৪ হাজার ৩৮১টি রিটার্ন জমা দিয়েছে। তার মধ্যে ৮ হাজারের মতো কোম্পানি প্রকৃতপক্ষে ন্যূনতম কর পরিশোধ করছে। এনবিআর কর্মকর্তাদের ভাষায়, ‘এই পরিবর্তনের চাপে মূলত ওই ৮ হাজার প্রতিষ্ঠানের ওপরই বাড়তি চাপ পড়বে।’
তবে করদাতাদের জন্য একটিমাত্র স্বস্তির দিক হতে পারে, তা হলো ন্যূনতম কর সমন্বয়ের সুযোগ থাকছে ভবিষ্যৎ করবর্ষে ‘ক্যারি ফরোয়ার্ড’ করার মাধ্যমে।
এ নিয়ে ফরেন ইনভেস্টরস চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি মোহাম্মদ জাভেদ আখতার বলেন, ‘আমরা আশা করেছিলাম ন্যূনতম কর ব্যবস্থা তুলে দেওয়া হবে। বরং সেটি বাড়িয়ে আরও চাপ বাড়ানো হচ্ছে। এটি ভুল সিদ্ধান্ত, বিশেষ করে সৎ, ক্ষুদ্র ও নতুন উদ্যোক্তাদের জন্য।’
বর্তমানে ন্যূনতম করহার পাঁচ ধরনের ব্যক্তি ও কোম্পানির ওপর ধার্য রয়েছে, যা শূন্য দশমিক ২৫ শতাংশ থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ৫ শতাংশ পর্যন্ত। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি, অর্থাৎ ৫ শতাংশ কর গুনতে হয় কার্বোনেটেড বেভারেজ কোম্পানিগুলোকে। তামাক কোম্পানির ক্ষেত্রে এই হার ৩ শতাংশ এবং মোবাইল ফোন অপারেটরদের জন্য ২ শতাংশ। যেসব ব্যক্তি করদাতার বার্ষিক টার্নওভার ৩ কোটি টাকার বেশি, তাঁদের জন্য ন্যূনতম করহার নির্ধারিত আছে শূন্য দশমিক ২৫ শতাংশ। এ ছাড়া অন্যান্য কোম্পানিকে শূন্য দশমিক ৬০ শতাংশ এবং রপ্তানিকারকদের ক্ষেত্রে ১ শতাংশ হারে ন্যূনতম কর দিতে হয়।
ন্যূনতম কর পুরোপুরি বাতিলের পরামর্শ দিয়েছেন এনবিআরের আরেক সাবেক সদস্য আমিনুর রহমান। তার ভাষায়, ‘মাথাব্যথায় মাথা কেটে ফেলা সমাধান হতে পারে না। সৎ করদাতাদের শাস্তি দিয়ে অসৎদের ফাঁকি পূরণ করা উচিত নয়।’

যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের শীর্ষ অর্থনৈতিক কর্মকর্তারা মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরে একটি বৈঠক শেষ করেছেন। আজ শনিবার আসিয়ান সম্মেলনের ফাঁকে এ বৈঠকের আয়োজন করে দুই দেশ। যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র এই বৈঠককে ‘খুবই গঠনমূলক’ বলে মন্তব্য করেছেন।
৩২ মিনিট আগে
নানা অনিয়মের অভিযোগ ওঠায় যখন বিদেশি বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান গৌতম আদানিকে ঋণ দিতে দ্বিধাগ্রস্ত, তখন পাশে দাঁড়িয়েছেন নরেন্দ্র মোদি। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সরকার রাষ্ট্রায়ত্ত বিমা সংস্থা লাইফ ইনস্যুরেন্স করপোরেশন অব ইন্ডিয়াকে (এলআইসি) ব্যবহার করে এই বিতর্কিত শিল্পপতির ঋণগ্রস্ত...
৫ ঘণ্টা আগে
বাজারে আগাম শীতকালীন সবজি আসতে শুরু করেছে। এক সপ্তাহের ব্যবধানে সরবরাহও বেড়েছে বেশ। এতে কমতে শুরু করেছে পণ্যটির দাম। সবজির বাজারে স্বস্তি ফিরলেও দুঃসংবাদ এসেছে পেঁয়াজে। চলতি সপ্তাহে মসলা পণ্যটির দাম কেজিপ্রতি ন্যূনতম ৫ টাকা বেড়েছে।
২ দিন আগে
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত আমদানিকারকেরা বিমা থেকে কোনো ক্ষতিপূরণ পাচ্ছেন না। আমদানি চালানে তাঁদের মালামাল বিমাকৃত ছিল ‘এয়ার রিস্ক অনলি ক্লজ’-এর আওতায়, এই বিধান অনুযায়ী বিমান থেকে পণ্য আনলোড হওয়ার পর আর ওই মালামালের কোনো সুরক্ষা থাকে না।
২ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের শীর্ষ অর্থনৈতিক কর্মকর্তারা মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরে একটি বৈঠক শেষ করেছেন। আজ শনিবার আসিয়ান সম্মেলনের ফাঁকে এ বৈঠকের আয়োজন করে দুই দেশ। যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র এই বৈঠককে ‘খুবই গঠনমূলক’ বলে মন্তব্য করেছেন।
এই বৈঠকের মাধ্যমে বিশ্বের দুই বৃহৎ অর্থনীতির দেশ চেষ্টা করছে, যেন তাদের চলমান বাণিজ্যযুদ্ধ নতুন করে তীব্র না হয়। পাশাপাশি দুই দেশই চাইছে আগামী সপ্তাহে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও চীনা প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের মধ্যে নির্ধারিত বৈঠকটি যেন যথাসময়ে অনুষ্ঠিত হয়।বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় দেশগুলোর জোট আসিয়ান সম্মেলনের ফাঁকে আয়োজিত এ বৈঠকটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।
এর আগে ট্রাম্প হুমকি দিয়েছিলেন, নভেম্বরের ১ তারিখ থেকে চীনা পণ্যের ওপর ১০০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করবেন, পাশাপাশি আরও কিছু বাণিজ্যিক বিধিনিষেধ জারি করবেন। সম্প্রতি চীন বিরল খনিজ ও ম্যাগনেট রপ্তানির ওপর কড়াকড়ি আরোপ করায় এমন হুমকি দেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প।
তবে মার্কিন অর্থমন্ত্রী স্কট বেসেন্ট, বাণিজ্য প্রতিনিধি জেমিসন গ্রিয়ার এবং চীনের ভাইস প্রিমিয়ার হে লিফেংয়ের মধ্যে গত মে মাস থেকে চার দফা আলোচনায় পরিস্থিতি কিছুটা শীতিল হয়েছে।
আজ শনিবার কুয়ালালামপুরের বিশ্বের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ভবন মারদেকা-১১৮ টাওয়ারে প্রথম দিনের এই বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক শেষে হে লিফেং সাংবাদিকদের উদ্দেশে হাত নেড়ে স্থান ত্যাগ করেন, তবে তিনি কোনো মন্তব্য করেননি। তাঁর সঙ্গে ছিলেন চীনের শীর্ষ বাণিজ্য আলোচক লি চেংগ্যাং।
যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জানান, আলোচনা খুবই গঠনমূলক ছিল। আগামীকাল সকালে আবার আলোচনা হবে। তবে মালয়েশীয় সরকার ও দুই দেশের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত আলোচনার অগ্রগতি বা ফলাফল নিয়ে বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি।
জানা গেছে, দুই দেশের তিন শীর্ষ কর্মকর্তা চেষ্টা করছেন, ট্রাম্প ও সি চিন পিংয়ের মধ্যে আগামী বৃহস্পতিবার দক্ষিণ কোরিয়ার এপেক সম্মেলনে একটি বৈঠক নিশ্চিত করতে। সেই বৈঠকে আলোচনার বিষয় হতে পারে—শুল্কে ছাড়, প্রযুক্তিপণ্য রপ্তানি সহজ করা এবং চীনের পক্ষ থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সয়াবিন কেনা আবার চালু করা।
এদিকে, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প স্থানীয় সময় শুক্রবার রাতে এয়ারফোর্স ওয়ানে মালয়েশিয়ার উদ্দেশে রওনা হন। এ সফরে তাঁর আরও গন্তব্য রয়েছে জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়া। এটি দায়িত্ব নেওয়ার পর ট্রাম্পের প্রথম এশিয়া সফর এবং সবচেয়ে দীর্ঘ বিদেশ সফর।
কুয়ালালামপুরে আলোচনা শুরুর কিছুক্ষণ আগে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ওয়াশিংটন ত্যাগ করেন। এ সময় তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমাদের অনেক বিষয় আলোচনা করতে হবে—চীন সয়াবিন কেনা বন্ধ করায় আমাদের কৃষকেরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এ ছাড়া তাইওয়ানের গণতান্ত্রিক অবস্থান, যেটি চীন নিজেদের অংশ বলে দাবি করে, সে বিষয়টিও আলোচনায় আসবে।’ ট্রাম্প জানান, তিনি তাইওয়ান সফরের কোনো পরিকল্পনা করছেন না।

যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের শীর্ষ অর্থনৈতিক কর্মকর্তারা মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরে একটি বৈঠক শেষ করেছেন। আজ শনিবার আসিয়ান সম্মেলনের ফাঁকে এ বৈঠকের আয়োজন করে দুই দেশ। যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র এই বৈঠককে ‘খুবই গঠনমূলক’ বলে মন্তব্য করেছেন।
এই বৈঠকের মাধ্যমে বিশ্বের দুই বৃহৎ অর্থনীতির দেশ চেষ্টা করছে, যেন তাদের চলমান বাণিজ্যযুদ্ধ নতুন করে তীব্র না হয়। পাশাপাশি দুই দেশই চাইছে আগামী সপ্তাহে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও চীনা প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের মধ্যে নির্ধারিত বৈঠকটি যেন যথাসময়ে অনুষ্ঠিত হয়।বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় দেশগুলোর জোট আসিয়ান সম্মেলনের ফাঁকে আয়োজিত এ বৈঠকটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।
এর আগে ট্রাম্প হুমকি দিয়েছিলেন, নভেম্বরের ১ তারিখ থেকে চীনা পণ্যের ওপর ১০০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করবেন, পাশাপাশি আরও কিছু বাণিজ্যিক বিধিনিষেধ জারি করবেন। সম্প্রতি চীন বিরল খনিজ ও ম্যাগনেট রপ্তানির ওপর কড়াকড়ি আরোপ করায় এমন হুমকি দেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প।
তবে মার্কিন অর্থমন্ত্রী স্কট বেসেন্ট, বাণিজ্য প্রতিনিধি জেমিসন গ্রিয়ার এবং চীনের ভাইস প্রিমিয়ার হে লিফেংয়ের মধ্যে গত মে মাস থেকে চার দফা আলোচনায় পরিস্থিতি কিছুটা শীতিল হয়েছে।
আজ শনিবার কুয়ালালামপুরের বিশ্বের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ভবন মারদেকা-১১৮ টাওয়ারে প্রথম দিনের এই বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক শেষে হে লিফেং সাংবাদিকদের উদ্দেশে হাত নেড়ে স্থান ত্যাগ করেন, তবে তিনি কোনো মন্তব্য করেননি। তাঁর সঙ্গে ছিলেন চীনের শীর্ষ বাণিজ্য আলোচক লি চেংগ্যাং।
যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জানান, আলোচনা খুবই গঠনমূলক ছিল। আগামীকাল সকালে আবার আলোচনা হবে। তবে মালয়েশীয় সরকার ও দুই দেশের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত আলোচনার অগ্রগতি বা ফলাফল নিয়ে বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি।
জানা গেছে, দুই দেশের তিন শীর্ষ কর্মকর্তা চেষ্টা করছেন, ট্রাম্প ও সি চিন পিংয়ের মধ্যে আগামী বৃহস্পতিবার দক্ষিণ কোরিয়ার এপেক সম্মেলনে একটি বৈঠক নিশ্চিত করতে। সেই বৈঠকে আলোচনার বিষয় হতে পারে—শুল্কে ছাড়, প্রযুক্তিপণ্য রপ্তানি সহজ করা এবং চীনের পক্ষ থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সয়াবিন কেনা আবার চালু করা।
এদিকে, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প স্থানীয় সময় শুক্রবার রাতে এয়ারফোর্স ওয়ানে মালয়েশিয়ার উদ্দেশে রওনা হন। এ সফরে তাঁর আরও গন্তব্য রয়েছে জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়া। এটি দায়িত্ব নেওয়ার পর ট্রাম্পের প্রথম এশিয়া সফর এবং সবচেয়ে দীর্ঘ বিদেশ সফর।
কুয়ালালামপুরে আলোচনা শুরুর কিছুক্ষণ আগে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ওয়াশিংটন ত্যাগ করেন। এ সময় তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমাদের অনেক বিষয় আলোচনা করতে হবে—চীন সয়াবিন কেনা বন্ধ করায় আমাদের কৃষকেরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এ ছাড়া তাইওয়ানের গণতান্ত্রিক অবস্থান, যেটি চীন নিজেদের অংশ বলে দাবি করে, সে বিষয়টিও আলোচনায় আসবে।’ ট্রাম্প জানান, তিনি তাইওয়ান সফরের কোনো পরিকল্পনা করছেন না।

চাপে থাকা ব্যবসার কাঁধে এবার আরও ভারী হচ্ছে করের বোঝা। একদিকে গ্যাস ও বিদ্যুৎ সংকটে হাঁসফাঁস করছে শিল্প, অন্যদিকে কম মুনাফায় টিকে থাকা প্রতিষ্ঠানের ওপরও বসছে অতিরিক্ত করের খড়্গ। আসছে ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটে কর ছাড়ের পথ থেকে সরে এসে রাজস্ব সংগ্রহের কঠিন কৌশল নিচ্ছে সরকার; যার প্রথম আঘাত যাচ্ছে...
২৩ মে ২০২৫
নানা অনিয়মের অভিযোগ ওঠায় যখন বিদেশি বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান গৌতম আদানিকে ঋণ দিতে দ্বিধাগ্রস্ত, তখন পাশে দাঁড়িয়েছেন নরেন্দ্র মোদি। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সরকার রাষ্ট্রায়ত্ত বিমা সংস্থা লাইফ ইনস্যুরেন্স করপোরেশন অব ইন্ডিয়াকে (এলআইসি) ব্যবহার করে এই বিতর্কিত শিল্পপতির ঋণগ্রস্ত...
৫ ঘণ্টা আগে
বাজারে আগাম শীতকালীন সবজি আসতে শুরু করেছে। এক সপ্তাহের ব্যবধানে সরবরাহও বেড়েছে বেশ। এতে কমতে শুরু করেছে পণ্যটির দাম। সবজির বাজারে স্বস্তি ফিরলেও দুঃসংবাদ এসেছে পেঁয়াজে। চলতি সপ্তাহে মসলা পণ্যটির দাম কেজিপ্রতি ন্যূনতম ৫ টাকা বেড়েছে।
২ দিন আগে
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত আমদানিকারকেরা বিমা থেকে কোনো ক্ষতিপূরণ পাচ্ছেন না। আমদানি চালানে তাঁদের মালামাল বিমাকৃত ছিল ‘এয়ার রিস্ক অনলি ক্লজ’-এর আওতায়, এই বিধান অনুযায়ী বিমান থেকে পণ্য আনলোড হওয়ার পর আর ওই মালামালের কোনো সুরক্ষা থাকে না।
২ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

নানা অনিয়মের অভিযোগ ওঠায় যখন বিদেশি বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান গৌতম আদানিকে ঋণ দিতে দ্বিধাগ্রস্ত, তখন পাশে দাঁড়িয়েছেন নরেন্দ্র মোদি। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সরকার রাষ্ট্রায়ত্ত বিমা সংস্থা লাইফ ইনস্যুরেন্স করপোরেশন অব ইন্ডিয়াকে (এলআইসি) ব্যবহার করে এই বিতর্কিত শিল্পপতির ঋণগ্রস্ত সংস্থাকে বাঁচাতে গোপনে ৩ দশমিক ৯ বিলিয়ন ডলার (প্রায় ৩৯০০ কোটি রুপি) বিনিয়োগের পরিকল্পনা তৈরি করেছিল। সম্প্রতি মার্কিন সংবাদমাধ্যম ‘ওয়াশিংটন পোস্টে’ প্রকাশিত একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে এই চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে।
ওয়াশিংটন পোস্টের হাতে আসা অভ্যন্তরীণ নথি অনুযায়ী, ২০২৫ সালের মে মাসে কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রণালয়, আর্থিক পরিষেবা বিভাগ (ডিএফএস), এলআইসি এবং নীতিনির্ধারণী সংস্থা নীতি আয়োগ সমন্বিতভাবে এই বিনিয়োগ কৌশল তৈরি করে। এই পরিকল্পনার মূল উদ্দেশ্য ছিল আদানি গ্রুপের বন্ড ও ইক্যুইটিতে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার ঢালা।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই পরিকল্পনার অংশ হিসেবে আদানি পোর্টসের একটি ৫৮৫ মিলিয়ন ডলারের বন্ড ইস্যুতে এলআইসি একা অর্থায়ন করে। মে মাসের ৩০ তারিখে আদানি গ্রুপ ঘোষণা করে, পুরো বন্ডটির অর্থায়ন করেছে একটিমাত্র বিনিয়োগকারী—এলআইসি। সমালোচকেরা এই পদক্ষেপকে জনগণের অর্থের অপব্যবহার বলে অভিহিত করেছেন।
পরিকল্পনাটির ঘোষিত লক্ষ্য ছিল আদানির প্রতি ‘আস্থার বার্তা’ দেওয়া এবং অন্য বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করা। যদিও এর ঠিক এক বছর আগে আদানি গ্রুপের ঋণ ২০ শতাংশ বেড়েছিল এবং তাদের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রে গুরুতর দুর্নীতি ও জালিয়াতির অভিযোগ উঠেছিল।
আদানি গ্রুপ বর্তমানে একাধিক আন্তর্জাতিক এবং দেশীয় তদন্তের মুখোমুখি।
মার্কিন বিচার বিভাগ এবং সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (এসইসি) আদানি এবং তাঁর সহযোগীদের বিরুদ্ধে কোটি কোটি ডলারের ঘুষ এবং জালিয়াতির অভিযোগ এনেছে। অভিযোগ, জ্বালানি চুক্তি জেতার জন্য মিথ্যা বিবৃতি ও ২৫০ মিলিয়ন ডলারের অবৈধ লেনদেন করা হয়েছিল। যদিও আদানি এই অভিযোগকে ‘ভিত্তিহীন’ বলে উড়িয়ে দিয়েছেন।
২০২৩ সালে মার্কিন শর্ট-সেলার হিন্ডেনবার্গ আদানি গ্রুপের বিরুদ্ধে স্টক ম্যানিপুলেশন এবং আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ তোলে। এই প্রতিবেদনের পর বেশ কয়েকটি বড় আমেরিকান ও ইউরোপীয় ব্যাংক আদানির ঋণ-সংক্রান্ত বিষয়ে সহায়তা করতে ইতস্তত করছিল।
এই পরিস্থিতিতে ডিএফএসের অভ্যন্তরীণ নথিতে ভারতীয় কর্মকর্তারা আদানিকে ‘দূরদর্শী উদ্যোক্তা’ হিসেবে বর্ণনা করেন। তাঁরা মনে করেন, বন্দর, জ্বালানি এবং অবকাঠামোসহ আদানির ব্যবসাগুলো জাতীয় অর্থনীতির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছেন, এলআইসি লাখ লাখ ভারতীয়র জীবন বিমা করে এবং তাদের গ্রাহকদের বেশির ভাগই নিম্ন আয়ের, এমন একটি প্রতিষ্ঠান একটি রাজনৈতিকভাবে ঘনিষ্ঠ বেসরকারি সংস্থায় এত বেশি বিনিয়োগ করে উচ্চ ঝুঁকি নিচ্ছে।
প্রতিবেদনে উদ্ধৃত স্বাধীন বিশ্লেষক হেমিন্দ্র হাজারি বলেন, ‘একটি বেসরকারি করপোরেট সত্তায় এলআইসির এত বড় অঙ্কের অর্থ বিনিয়োগ করা অস্বাভাবিক। এলআইসি-এর যদি কিছু হয়...তবে একমাত্র সরকারই এটিকে উদ্ধার করতে পারে।’
এই প্রতিবেদন প্রকাশের পর বিরোধী দলগুলো প্রধানমন্ত্রী মোদি এবং আদানি গ্রুপের ওপর তীব্র আক্রমণ শুরু করেছে।
তৃণমূল কংগ্রেসের সংসদ সদস্য মহুয়া মৈত্র ধারাবাহিক টুইটে মোদি সরকার এবং আদানি গ্রুপের সমালোচনা করে বলেন, ‘ভারতীয় করদাতাদের ৩০ হাজার কোটি রুপি কীভাবে আদানিদের “পিগিব্যাংক” হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে, সেদিকে মনোযোগ দিন।’ তিনি অভিযোগ করেন, মোদি সরকার আদানিকে অর্থায়ন করে চলেছে এবং উল্টো ভারতীয় জনগণকেই তাঁকে উদ্ধার করতে হচ্ছে।
কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ এক্স প্ল্যাটফর্মে পোস্ট করে বলেন, ২০২২ সালের ২১ সেপ্টেম্বর গৌতম আদানি এবং তাঁর সাত সহযোগীর বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রে অভিযোগ ওঠার পর মাত্র চার ঘণ্টার ট্রেডিংয়ে এলআইসির ৭ হাজার ৮৫০ কোটি রুপি লোকসান হয়েছিল। তিনি এই ঘটনাকে ‘মোদানি মেগাস্ক্যাম’-এর অংশ বলে অভিহিত করেন। যেখানে অভিযোগের মধ্যে রয়েছে—জোরপূর্বক সম্পদ বিক্রি, কারচুপি করে রাষ্ট্রীয় সংস্থা বেসরকারীকরণ এবং রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত চুক্তির মতো ক্ষমতার অপব্যবহার।
ওয়াশিংটন পোস্টকে দেওয়া বিবৃতিতে আদানি গ্রুপ সরকারের সিদ্ধান্তের সঙ্গে তাদের যেকোনো ভূমিকার কথা ‘সুস্পষ্টভাবে অস্বীকার’ করেছে। তারা রাজনৈতিক পক্ষপাতের অভিযোগকে ‘ভিত্তিহীন’ বলে অভিহিত করেছে এবং জোর দিয়ে বলেছে, তাদের উত্থান নরেন্দ্র মোদির জাতীয় নেতা হয়ে ওঠার বহু আগের ঘটনা।
আরও খবর পড়ুন:

নানা অনিয়মের অভিযোগ ওঠায় যখন বিদেশি বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান গৌতম আদানিকে ঋণ দিতে দ্বিধাগ্রস্ত, তখন পাশে দাঁড়িয়েছেন নরেন্দ্র মোদি। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সরকার রাষ্ট্রায়ত্ত বিমা সংস্থা লাইফ ইনস্যুরেন্স করপোরেশন অব ইন্ডিয়াকে (এলআইসি) ব্যবহার করে এই বিতর্কিত শিল্পপতির ঋণগ্রস্ত সংস্থাকে বাঁচাতে গোপনে ৩ দশমিক ৯ বিলিয়ন ডলার (প্রায় ৩৯০০ কোটি রুপি) বিনিয়োগের পরিকল্পনা তৈরি করেছিল। সম্প্রতি মার্কিন সংবাদমাধ্যম ‘ওয়াশিংটন পোস্টে’ প্রকাশিত একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে এই চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে।
ওয়াশিংটন পোস্টের হাতে আসা অভ্যন্তরীণ নথি অনুযায়ী, ২০২৫ সালের মে মাসে কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রণালয়, আর্থিক পরিষেবা বিভাগ (ডিএফএস), এলআইসি এবং নীতিনির্ধারণী সংস্থা নীতি আয়োগ সমন্বিতভাবে এই বিনিয়োগ কৌশল তৈরি করে। এই পরিকল্পনার মূল উদ্দেশ্য ছিল আদানি গ্রুপের বন্ড ও ইক্যুইটিতে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার ঢালা।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই পরিকল্পনার অংশ হিসেবে আদানি পোর্টসের একটি ৫৮৫ মিলিয়ন ডলারের বন্ড ইস্যুতে এলআইসি একা অর্থায়ন করে। মে মাসের ৩০ তারিখে আদানি গ্রুপ ঘোষণা করে, পুরো বন্ডটির অর্থায়ন করেছে একটিমাত্র বিনিয়োগকারী—এলআইসি। সমালোচকেরা এই পদক্ষেপকে জনগণের অর্থের অপব্যবহার বলে অভিহিত করেছেন।
পরিকল্পনাটির ঘোষিত লক্ষ্য ছিল আদানির প্রতি ‘আস্থার বার্তা’ দেওয়া এবং অন্য বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করা। যদিও এর ঠিক এক বছর আগে আদানি গ্রুপের ঋণ ২০ শতাংশ বেড়েছিল এবং তাদের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রে গুরুতর দুর্নীতি ও জালিয়াতির অভিযোগ উঠেছিল।
আদানি গ্রুপ বর্তমানে একাধিক আন্তর্জাতিক এবং দেশীয় তদন্তের মুখোমুখি।
মার্কিন বিচার বিভাগ এবং সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (এসইসি) আদানি এবং তাঁর সহযোগীদের বিরুদ্ধে কোটি কোটি ডলারের ঘুষ এবং জালিয়াতির অভিযোগ এনেছে। অভিযোগ, জ্বালানি চুক্তি জেতার জন্য মিথ্যা বিবৃতি ও ২৫০ মিলিয়ন ডলারের অবৈধ লেনদেন করা হয়েছিল। যদিও আদানি এই অভিযোগকে ‘ভিত্তিহীন’ বলে উড়িয়ে দিয়েছেন।
২০২৩ সালে মার্কিন শর্ট-সেলার হিন্ডেনবার্গ আদানি গ্রুপের বিরুদ্ধে স্টক ম্যানিপুলেশন এবং আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ তোলে। এই প্রতিবেদনের পর বেশ কয়েকটি বড় আমেরিকান ও ইউরোপীয় ব্যাংক আদানির ঋণ-সংক্রান্ত বিষয়ে সহায়তা করতে ইতস্তত করছিল।
এই পরিস্থিতিতে ডিএফএসের অভ্যন্তরীণ নথিতে ভারতীয় কর্মকর্তারা আদানিকে ‘দূরদর্শী উদ্যোক্তা’ হিসেবে বর্ণনা করেন। তাঁরা মনে করেন, বন্দর, জ্বালানি এবং অবকাঠামোসহ আদানির ব্যবসাগুলো জাতীয় অর্থনীতির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছেন, এলআইসি লাখ লাখ ভারতীয়র জীবন বিমা করে এবং তাদের গ্রাহকদের বেশির ভাগই নিম্ন আয়ের, এমন একটি প্রতিষ্ঠান একটি রাজনৈতিকভাবে ঘনিষ্ঠ বেসরকারি সংস্থায় এত বেশি বিনিয়োগ করে উচ্চ ঝুঁকি নিচ্ছে।
প্রতিবেদনে উদ্ধৃত স্বাধীন বিশ্লেষক হেমিন্দ্র হাজারি বলেন, ‘একটি বেসরকারি করপোরেট সত্তায় এলআইসির এত বড় অঙ্কের অর্থ বিনিয়োগ করা অস্বাভাবিক। এলআইসি-এর যদি কিছু হয়...তবে একমাত্র সরকারই এটিকে উদ্ধার করতে পারে।’
এই প্রতিবেদন প্রকাশের পর বিরোধী দলগুলো প্রধানমন্ত্রী মোদি এবং আদানি গ্রুপের ওপর তীব্র আক্রমণ শুরু করেছে।
তৃণমূল কংগ্রেসের সংসদ সদস্য মহুয়া মৈত্র ধারাবাহিক টুইটে মোদি সরকার এবং আদানি গ্রুপের সমালোচনা করে বলেন, ‘ভারতীয় করদাতাদের ৩০ হাজার কোটি রুপি কীভাবে আদানিদের “পিগিব্যাংক” হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে, সেদিকে মনোযোগ দিন।’ তিনি অভিযোগ করেন, মোদি সরকার আদানিকে অর্থায়ন করে চলেছে এবং উল্টো ভারতীয় জনগণকেই তাঁকে উদ্ধার করতে হচ্ছে।
কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ এক্স প্ল্যাটফর্মে পোস্ট করে বলেন, ২০২২ সালের ২১ সেপ্টেম্বর গৌতম আদানি এবং তাঁর সাত সহযোগীর বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রে অভিযোগ ওঠার পর মাত্র চার ঘণ্টার ট্রেডিংয়ে এলআইসির ৭ হাজার ৮৫০ কোটি রুপি লোকসান হয়েছিল। তিনি এই ঘটনাকে ‘মোদানি মেগাস্ক্যাম’-এর অংশ বলে অভিহিত করেন। যেখানে অভিযোগের মধ্যে রয়েছে—জোরপূর্বক সম্পদ বিক্রি, কারচুপি করে রাষ্ট্রীয় সংস্থা বেসরকারীকরণ এবং রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত চুক্তির মতো ক্ষমতার অপব্যবহার।
ওয়াশিংটন পোস্টকে দেওয়া বিবৃতিতে আদানি গ্রুপ সরকারের সিদ্ধান্তের সঙ্গে তাদের যেকোনো ভূমিকার কথা ‘সুস্পষ্টভাবে অস্বীকার’ করেছে। তারা রাজনৈতিক পক্ষপাতের অভিযোগকে ‘ভিত্তিহীন’ বলে অভিহিত করেছে এবং জোর দিয়ে বলেছে, তাদের উত্থান নরেন্দ্র মোদির জাতীয় নেতা হয়ে ওঠার বহু আগের ঘটনা।
আরও খবর পড়ুন:

চাপে থাকা ব্যবসার কাঁধে এবার আরও ভারী হচ্ছে করের বোঝা। একদিকে গ্যাস ও বিদ্যুৎ সংকটে হাঁসফাঁস করছে শিল্প, অন্যদিকে কম মুনাফায় টিকে থাকা প্রতিষ্ঠানের ওপরও বসছে অতিরিক্ত করের খড়্গ। আসছে ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটে কর ছাড়ের পথ থেকে সরে এসে রাজস্ব সংগ্রহের কঠিন কৌশল নিচ্ছে সরকার; যার প্রথম আঘাত যাচ্ছে...
২৩ মে ২০২৫
যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের শীর্ষ অর্থনৈতিক কর্মকর্তারা মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরে একটি বৈঠক শেষ করেছেন। আজ শনিবার আসিয়ান সম্মেলনের ফাঁকে এ বৈঠকের আয়োজন করে দুই দেশ। যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র এই বৈঠককে ‘খুবই গঠনমূলক’ বলে মন্তব্য করেছেন।
৩২ মিনিট আগে
বাজারে আগাম শীতকালীন সবজি আসতে শুরু করেছে। এক সপ্তাহের ব্যবধানে সরবরাহও বেড়েছে বেশ। এতে কমতে শুরু করেছে পণ্যটির দাম। সবজির বাজারে স্বস্তি ফিরলেও দুঃসংবাদ এসেছে পেঁয়াজে। চলতি সপ্তাহে মসলা পণ্যটির দাম কেজিপ্রতি ন্যূনতম ৫ টাকা বেড়েছে।
২ দিন আগে
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত আমদানিকারকেরা বিমা থেকে কোনো ক্ষতিপূরণ পাচ্ছেন না। আমদানি চালানে তাঁদের মালামাল বিমাকৃত ছিল ‘এয়ার রিস্ক অনলি ক্লজ’-এর আওতায়, এই বিধান অনুযায়ী বিমান থেকে পণ্য আনলোড হওয়ার পর আর ওই মালামালের কোনো সুরক্ষা থাকে না।
২ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বাজারে আগাম শীতকালীন সবজি আসতে শুরু করেছে। এক সপ্তাহের ব্যবধানে সরবরাহও বেড়েছে বেশ। এতে কমতে শুরু করেছে পণ্যটির দাম। সবজির বাজারে স্বস্তি ফিরলেও দুঃসংবাদ এসেছে পেঁয়াজে। চলতি সপ্তাহে মসলা পণ্যটির দাম কেজিপ্রতি ন্যূনতম ৫ টাকা বেড়েছে।
বিক্রেতারা বলছেন, বাজারে আগাম জাতের শিম, মুলা, ফুলকপি ও লাউয়ের সরবরাহ গত এক সপ্তাহে ব্যাপক বেড়েছে। এতে অন্যান্য সবজির চাহিদা ও দাম দুটোই কমছে। আগামী দু-এক সপ্তাহের মধ্যে টমেটো, শালগম, গাজর, ব্রোকলি ও লালশাকসহ অন্যান্য শীতকালীন সবজির সরবরাহ বেড়ে যাবে, তখন দাম আরও কমে আসবে।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর খিলগাঁও, মালিবাগ, মুগদা, মানিকনগর, সেগুনবাগিচাসহ বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, শীতের সবজি শিম বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা কেজিতে। এক সপ্তাহ আগেও এটি বিক্রি হয়েছিল ২২০-২৪০ টাকা কেজি।
গত সপ্তাহে যে ফুলকপি প্রতিটি ৬০-৭০ টাকায় বিক্রি হয়েছে, গতকাল তা ৪০-৫০ টাকায় পাওয়া গেছে। মুলা বিক্রি হচ্ছে ৪০-৫০ টাকা কেজি, গত সপ্তাহে যা ছিল ৫০-৬০ টাকা। ভালো মানের লাউ এখন পাওয়া যাচ্ছে প্রতিটি ৫০ টাকায়, যা এক সপ্তাহ আগে ৬০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।
বাজারের অন্যান্য সবজির মধ্যে ঢ্যাঁড়স বিক্রি হচ্ছে ৬০, যা গত সপ্তাহে ছিল ৮০ টাকা কেজি। বেগুন ৮০, যা ছিল ১০০ টাকা কেজি। করলা বিক্রি হচ্ছে ৭০, যা ছিল ৮০ টাকা কেজি। বরবটি ৭০-৮০, যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ৯০-১০০ টাকা কেজি। কমেছে জলপাইয়ের দামও। জলপাই পাওয়া যাচ্ছে ৬০-৭০ টাকা কেজিতে, গত সপ্তাহে যা ছিল ১০০ টাকার আশপাশে।
পরিসংখ্যান ব্যুরো ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, শীত মৌসুমে দেশে ফুলকপি, বাঁধাকপি, ওলকপি, শালগম, টমেটো, আলু, গাজর, বেগুন, মুলা, লাউ, শিম, পালংশাক, লালশাকসহ ৩০ ধরনের সবজি উৎপাদন হয়। আর গ্রীষ্মকালে হয় ১৬ ধরনের সবজি। দেশে শীত এবং গ্রীষ্ম মিলে বছরে মোট ৫৫ দশমিক ৫০ লাখ টনের বেশি সবজি উৎপাদন হয়, যার মধ্যে প্রায় ৪০ লাখ টনই উৎপাদন হয় শীত মৌসুমে। বাকিটা গ্রীষ্মকালে।
অপরিবর্তিত রয়েছে কাঁচা মরিচ, টমেটো, কচুর মুখীসহ কিছু সবজির দাম। কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ১৬০, টমেটো-১২০ ও কচুর মুখী প্রতি কেজি ৫০ টাকায়। কিছুটা বেশি দেখা গেছে শসার দাম। বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৬০, যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ৫০ টাকা কেজি।
পেঁয়াজের দাম আগে থেকেই বেশি ছিল। তার ওপর এখন আবার একটু একটু করে বাড়ছে। ভালো মানের পেঁয়াজ কিনতে এখন ৮৫-৯০ টাকা কেজি লাগছে, যা এক সপ্তাহ আগে ৮০-৮৫ টাকায় পাওয়া যেত। অবশ্য আকারে কিছুটা ছোট পেঁয়াজ পাওয়া যাচ্ছে ৭৫-৮০ টাকা কেজি, যা ৭০-৭৫ টাকা ছিল।
কারওয়ান বাজারের পেঁয়াজ ব্যবসায়ী মো. খলিলুর রহমান বলেন, পাবনাসহ বিভিন্ন অঞ্চলের কৃষকেরা গত বছরের পেঁয়াজ বিক্রি করে নতুন আবাদ করছেন। ফলে পেঁয়াজের সরবরাহে কিছুটা ঘাটতি দেখা দিয়েছে। যদি আমদানি না হয়, তবে আগামী এক-দেড় মাস দাম বেশিই থাকবে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুসারে, দেশে দুই ধরনের পেঁয়াজ উৎপাদন হয়। এর মধ্যে প্রধান পেঁয়াজ হলো ‘হালি’ পেঁয়াজ, যা সংরক্ষণ করা যায় এবং সারা বছরের চাহিদা পূরণ হয়। ডিসেম্বরে এই পেঁয়াজের আবাদ হয়ে ফেব্রুয়ারি-মার্চে বাজারে আসে। এর আগে অক্টোবরে মুড়িকাটা জাতের পেঁয়াজ আবাদ হয়. যা ডিসেম্বরের শুরুতেই বাজারে আসে। এই পেঁয়াজের উৎপাদন অল্প হলেও মধ্যবর্তী চাহিদা পূরণে সহায়তা করে।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, দেশে গত মৌসুমের হালি পেঁয়াজের মজুত প্রায় শেষের দিকে। আগামী ডিসেম্বরে মুড়িকাটা পেঁয়াজ আসার আগপর্যন্ত দাম কিছুটা চড়া থাকবে।
সবজি ও পেঁয়াজ ছাড়া ভোজ্যতেল, চিনি, ডাল, আটা ও ময়দাসহ অন্যান্য মুদিপণ্য গত সপ্তাহের মতোই রয়েছে।
এ ছাড়া ব্রয়লার মুরগি গত সপ্তাহের মতোই ১৭০-১৮০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। তবে ডিমের দাম কিছুটা বাড়তে পারে বলে আভাস দিয়েছেন বিক্রেতারা। ফার্মের মুরগির ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৪০-১৫০ টাকা ডজন।

বাজারে আগাম শীতকালীন সবজি আসতে শুরু করেছে। এক সপ্তাহের ব্যবধানে সরবরাহও বেড়েছে বেশ। এতে কমতে শুরু করেছে পণ্যটির দাম। সবজির বাজারে স্বস্তি ফিরলেও দুঃসংবাদ এসেছে পেঁয়াজে। চলতি সপ্তাহে মসলা পণ্যটির দাম কেজিপ্রতি ন্যূনতম ৫ টাকা বেড়েছে।
বিক্রেতারা বলছেন, বাজারে আগাম জাতের শিম, মুলা, ফুলকপি ও লাউয়ের সরবরাহ গত এক সপ্তাহে ব্যাপক বেড়েছে। এতে অন্যান্য সবজির চাহিদা ও দাম দুটোই কমছে। আগামী দু-এক সপ্তাহের মধ্যে টমেটো, শালগম, গাজর, ব্রোকলি ও লালশাকসহ অন্যান্য শীতকালীন সবজির সরবরাহ বেড়ে যাবে, তখন দাম আরও কমে আসবে।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর খিলগাঁও, মালিবাগ, মুগদা, মানিকনগর, সেগুনবাগিচাসহ বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, শীতের সবজি শিম বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা কেজিতে। এক সপ্তাহ আগেও এটি বিক্রি হয়েছিল ২২০-২৪০ টাকা কেজি।
গত সপ্তাহে যে ফুলকপি প্রতিটি ৬০-৭০ টাকায় বিক্রি হয়েছে, গতকাল তা ৪০-৫০ টাকায় পাওয়া গেছে। মুলা বিক্রি হচ্ছে ৪০-৫০ টাকা কেজি, গত সপ্তাহে যা ছিল ৫০-৬০ টাকা। ভালো মানের লাউ এখন পাওয়া যাচ্ছে প্রতিটি ৫০ টাকায়, যা এক সপ্তাহ আগে ৬০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।
বাজারের অন্যান্য সবজির মধ্যে ঢ্যাঁড়স বিক্রি হচ্ছে ৬০, যা গত সপ্তাহে ছিল ৮০ টাকা কেজি। বেগুন ৮০, যা ছিল ১০০ টাকা কেজি। করলা বিক্রি হচ্ছে ৭০, যা ছিল ৮০ টাকা কেজি। বরবটি ৭০-৮০, যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ৯০-১০০ টাকা কেজি। কমেছে জলপাইয়ের দামও। জলপাই পাওয়া যাচ্ছে ৬০-৭০ টাকা কেজিতে, গত সপ্তাহে যা ছিল ১০০ টাকার আশপাশে।
পরিসংখ্যান ব্যুরো ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, শীত মৌসুমে দেশে ফুলকপি, বাঁধাকপি, ওলকপি, শালগম, টমেটো, আলু, গাজর, বেগুন, মুলা, লাউ, শিম, পালংশাক, লালশাকসহ ৩০ ধরনের সবজি উৎপাদন হয়। আর গ্রীষ্মকালে হয় ১৬ ধরনের সবজি। দেশে শীত এবং গ্রীষ্ম মিলে বছরে মোট ৫৫ দশমিক ৫০ লাখ টনের বেশি সবজি উৎপাদন হয়, যার মধ্যে প্রায় ৪০ লাখ টনই উৎপাদন হয় শীত মৌসুমে। বাকিটা গ্রীষ্মকালে।
অপরিবর্তিত রয়েছে কাঁচা মরিচ, টমেটো, কচুর মুখীসহ কিছু সবজির দাম। কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ১৬০, টমেটো-১২০ ও কচুর মুখী প্রতি কেজি ৫০ টাকায়। কিছুটা বেশি দেখা গেছে শসার দাম। বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৬০, যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ৫০ টাকা কেজি।
পেঁয়াজের দাম আগে থেকেই বেশি ছিল। তার ওপর এখন আবার একটু একটু করে বাড়ছে। ভালো মানের পেঁয়াজ কিনতে এখন ৮৫-৯০ টাকা কেজি লাগছে, যা এক সপ্তাহ আগে ৮০-৮৫ টাকায় পাওয়া যেত। অবশ্য আকারে কিছুটা ছোট পেঁয়াজ পাওয়া যাচ্ছে ৭৫-৮০ টাকা কেজি, যা ৭০-৭৫ টাকা ছিল।
কারওয়ান বাজারের পেঁয়াজ ব্যবসায়ী মো. খলিলুর রহমান বলেন, পাবনাসহ বিভিন্ন অঞ্চলের কৃষকেরা গত বছরের পেঁয়াজ বিক্রি করে নতুন আবাদ করছেন। ফলে পেঁয়াজের সরবরাহে কিছুটা ঘাটতি দেখা দিয়েছে। যদি আমদানি না হয়, তবে আগামী এক-দেড় মাস দাম বেশিই থাকবে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুসারে, দেশে দুই ধরনের পেঁয়াজ উৎপাদন হয়। এর মধ্যে প্রধান পেঁয়াজ হলো ‘হালি’ পেঁয়াজ, যা সংরক্ষণ করা যায় এবং সারা বছরের চাহিদা পূরণ হয়। ডিসেম্বরে এই পেঁয়াজের আবাদ হয়ে ফেব্রুয়ারি-মার্চে বাজারে আসে। এর আগে অক্টোবরে মুড়িকাটা জাতের পেঁয়াজ আবাদ হয়. যা ডিসেম্বরের শুরুতেই বাজারে আসে। এই পেঁয়াজের উৎপাদন অল্প হলেও মধ্যবর্তী চাহিদা পূরণে সহায়তা করে।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, দেশে গত মৌসুমের হালি পেঁয়াজের মজুত প্রায় শেষের দিকে। আগামী ডিসেম্বরে মুড়িকাটা পেঁয়াজ আসার আগপর্যন্ত দাম কিছুটা চড়া থাকবে।
সবজি ও পেঁয়াজ ছাড়া ভোজ্যতেল, চিনি, ডাল, আটা ও ময়দাসহ অন্যান্য মুদিপণ্য গত সপ্তাহের মতোই রয়েছে।
এ ছাড়া ব্রয়লার মুরগি গত সপ্তাহের মতোই ১৭০-১৮০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। তবে ডিমের দাম কিছুটা বাড়তে পারে বলে আভাস দিয়েছেন বিক্রেতারা। ফার্মের মুরগির ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৪০-১৫০ টাকা ডজন।

চাপে থাকা ব্যবসার কাঁধে এবার আরও ভারী হচ্ছে করের বোঝা। একদিকে গ্যাস ও বিদ্যুৎ সংকটে হাঁসফাঁস করছে শিল্প, অন্যদিকে কম মুনাফায় টিকে থাকা প্রতিষ্ঠানের ওপরও বসছে অতিরিক্ত করের খড়্গ। আসছে ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটে কর ছাড়ের পথ থেকে সরে এসে রাজস্ব সংগ্রহের কঠিন কৌশল নিচ্ছে সরকার; যার প্রথম আঘাত যাচ্ছে...
২৩ মে ২০২৫
যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের শীর্ষ অর্থনৈতিক কর্মকর্তারা মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরে একটি বৈঠক শেষ করেছেন। আজ শনিবার আসিয়ান সম্মেলনের ফাঁকে এ বৈঠকের আয়োজন করে দুই দেশ। যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র এই বৈঠককে ‘খুবই গঠনমূলক’ বলে মন্তব্য করেছেন।
৩২ মিনিট আগে
নানা অনিয়মের অভিযোগ ওঠায় যখন বিদেশি বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান গৌতম আদানিকে ঋণ দিতে দ্বিধাগ্রস্ত, তখন পাশে দাঁড়িয়েছেন নরেন্দ্র মোদি। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সরকার রাষ্ট্রায়ত্ত বিমা সংস্থা লাইফ ইনস্যুরেন্স করপোরেশন অব ইন্ডিয়াকে (এলআইসি) ব্যবহার করে এই বিতর্কিত শিল্পপতির ঋণগ্রস্ত...
৫ ঘণ্টা আগে
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত আমদানিকারকেরা বিমা থেকে কোনো ক্ষতিপূরণ পাচ্ছেন না। আমদানি চালানে তাঁদের মালামাল বিমাকৃত ছিল ‘এয়ার রিস্ক অনলি ক্লজ’-এর আওতায়, এই বিধান অনুযায়ী বিমান থেকে পণ্য আনলোড হওয়ার পর আর ওই মালামালের কোনো সুরক্ষা থাকে না।
২ দিন আগেমাহফুজুল ইসলাম, ঢাকা

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত আমদানিকারকেরা বিমা থেকে কোনো ক্ষতিপূরণ পাচ্ছেন না। আমদানি চালানে তাঁদের মালামাল বিমাকৃত ছিল ‘এয়ার রিস্ক অনলি ক্লজ’-এর আওতায়, এই বিধান অনুযায়ী বিমান থেকে পণ্য আনলোড হওয়ার পর আর ওই মালামালের কোনো সুরক্ষা থাকে না। বিমা কোম্পানি ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে এই তথ্য জানা গেছে।
বিমা কোম্পানির তথ্য অনুযায়ী, ‘এয়ার রিস্ক অনলি’ বিমা মূলত শুধু বিমানে পরিবহনের সময়কার ঝুঁকি; যেমন বিমান দুর্ঘটনা, হাইজ্যাক বা জোরপূর্বক অবতরণজনিত ক্ষতি কভার করে। ফলে কার্গো ভিলেজে পুড়ে যাওয়া মালামালের জন্য কোনো ক্ষতিপূরণ পাওয়া সম্ভব নয়।
এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ইএবি) সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম আজকের পত্রিকাকে জানালেন, অগ্নিকাণ্ডে রপ্তানিকারকদের আনুমানিক ক্ষতি প্রায় ১২ হাজার কোটি টাকা। তিনি বলেন, ‘আইনের কারণে আমদানিকারকেরা বিমা করেছেন, কিন্তু অধিকাংশই ক্ষতিপূরণ পাবেন না। সরকারের উচিত ক্ষতিগ্রস্ত উদ্যোক্তাদের সহায়তা করা, কারণ সরকারি জিম্মায় মালামাল পুড়ে তাঁরা নিঃস্ব হয়ে গেছেন।’
রংপুরের মেসার্স মহুবর রহমান পার্টিকেল মিলস লিমিটেড ৭ লাখ ৮৩ হাজার টাকার মালামাল চীন থেকে আমদানি করেছিল। এলসি শর্ত অনুযায়ী বিমা বাধ্যতামূলক হওয়ায় তিনি ‘এয়ার রিস্ক অনলি’ ক্লজের আওতায় বিমা করেন। প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তা আবু বক্কর সিদ্দিক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ব্যাংকের মাধ্যমে বিমা করা হয়। দালালেরাই করিয়ে দেয়, আমরা সবটা জানি না।’
একই অবস্থায় আছে টাঙ্গাইলের ইউনিগ্লোরি পেপার অ্যান্ড প্যাকেজিং লিমিটেড। তাদের ৯৪ হাজার টাকার মালামাল সম্পূর্ণ পুড়ে গেছে। প্রতিষ্ঠানটির কর্ণধার কায়সার আলম জানান, বিমা কোম্পানি প্রিমিয়াম কম হওয়ায় ‘এয়ার রিস্ক অনলি’ ক্লজে বিমা দিয়েছে, ফলে ক্ষতিপূরণ পাওয়ার সুযোগ নেই।
সিএনএফ এজেন্ট ও এসজিএস কোম্পানির মাসুদ বকুল বলেন, ‘এ ধরনের দুর্ঘটনা আগে হয়নি। খরচ কমাতে আমরা এয়ার রিস্ক অনলি ক্লজই ব্যবহার করি।’
বিকেএমইএর নির্বাহী সভাপতি ফজলে শামীম এহসান বলেন, সেক্টরে এখন পর্যন্ত ৩০০ চালানের কনসাইনমেন্ট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ‘আমদানিকারকেরা বিমা করেছেন, কিন্তু বিমা কোম্পানিগুলো গোপন শর্তে দাবি পরিশোধ করছে না। ফলে ক্ষতিপূরণ পাওয়া যাচ্ছে না।’
আইন অনুযায়ী, আমদানিকারকেরা স্থানীয়ভাবে বিমা করা বাধ্যতামূলক হলেও ব্যবসায়ীরা প্রিমিয়াম কমাতে বিদেশে, বিশেষত সরবরাহকারীর দেশে বিমা করেন। ইস্টার্ন ইনস্যুরেন্সের সিইও হাসান তারেক বলেন, ‘কম প্রিমিয়ামের কারণে অনেকে এয়ার রিস্ক অনলি নেন, কিন্তু এতে কভারেজ সীমিত। নিরাপত্তার জন্য এয়ার অল রিস্ক পলিসি নেওয়াই উত্তম।’
বিমা বিশেষজ্ঞ এ কে এম এহসানুল হক (এফসিআইআই) বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে সাধারণত ইনস্টিটিউট কার্গো ক্লজ (এয়ার) ব্যবহৃত হয়, যেখানে ওয়্যারহাউস টু ওয়্যারহাউস পর্যন্ত কভারেজ থাকে। ‘এয়ার রিস্ক অনলি’ ক্লজ আন্তর্জাতিকভাবে প্রচলিত নয়।
সরকারি প্রতিষ্ঠান সাধারণ বীমা করপোরেশনের (এসবিসি) জেনারেল ম্যানেজার শাহ আলম বলেন, ‘আগুনে পোড়ার ঘটনায় হয়তো ১০০-১৫০ কোটি টাকার বিমা দাবি হতে পারে। কোনোভাবে এটা ১০-১২ হাজার কোটি টাকা হবে না।’ এ ছাড়া বেবিচকের কার্গো ভিলেজে সর্বোচ্চ বিমা রয়েছে মাত্র ২০ লাখ টাকা।
বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ) জানায়, অগ্নিকাণ্ডে নাশকতার অভিযোগ প্রমাণিত হলে কেউ বিমা দাবি করতে পারবে না। আইডিআরএর মুখপাত্র সাইফুন্নাহার সুমি বলেন, ‘বিমা দাবি ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানার জন্য বিমা কোম্পানিগুলোকে শিগগির চিঠি পাঠানো হবে।’

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত আমদানিকারকেরা বিমা থেকে কোনো ক্ষতিপূরণ পাচ্ছেন না। আমদানি চালানে তাঁদের মালামাল বিমাকৃত ছিল ‘এয়ার রিস্ক অনলি ক্লজ’-এর আওতায়, এই বিধান অনুযায়ী বিমান থেকে পণ্য আনলোড হওয়ার পর আর ওই মালামালের কোনো সুরক্ষা থাকে না। বিমা কোম্পানি ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে এই তথ্য জানা গেছে।
বিমা কোম্পানির তথ্য অনুযায়ী, ‘এয়ার রিস্ক অনলি’ বিমা মূলত শুধু বিমানে পরিবহনের সময়কার ঝুঁকি; যেমন বিমান দুর্ঘটনা, হাইজ্যাক বা জোরপূর্বক অবতরণজনিত ক্ষতি কভার করে। ফলে কার্গো ভিলেজে পুড়ে যাওয়া মালামালের জন্য কোনো ক্ষতিপূরণ পাওয়া সম্ভব নয়।
এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ইএবি) সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম আজকের পত্রিকাকে জানালেন, অগ্নিকাণ্ডে রপ্তানিকারকদের আনুমানিক ক্ষতি প্রায় ১২ হাজার কোটি টাকা। তিনি বলেন, ‘আইনের কারণে আমদানিকারকেরা বিমা করেছেন, কিন্তু অধিকাংশই ক্ষতিপূরণ পাবেন না। সরকারের উচিত ক্ষতিগ্রস্ত উদ্যোক্তাদের সহায়তা করা, কারণ সরকারি জিম্মায় মালামাল পুড়ে তাঁরা নিঃস্ব হয়ে গেছেন।’
রংপুরের মেসার্স মহুবর রহমান পার্টিকেল মিলস লিমিটেড ৭ লাখ ৮৩ হাজার টাকার মালামাল চীন থেকে আমদানি করেছিল। এলসি শর্ত অনুযায়ী বিমা বাধ্যতামূলক হওয়ায় তিনি ‘এয়ার রিস্ক অনলি’ ক্লজের আওতায় বিমা করেন। প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তা আবু বক্কর সিদ্দিক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ব্যাংকের মাধ্যমে বিমা করা হয়। দালালেরাই করিয়ে দেয়, আমরা সবটা জানি না।’
একই অবস্থায় আছে টাঙ্গাইলের ইউনিগ্লোরি পেপার অ্যান্ড প্যাকেজিং লিমিটেড। তাদের ৯৪ হাজার টাকার মালামাল সম্পূর্ণ পুড়ে গেছে। প্রতিষ্ঠানটির কর্ণধার কায়সার আলম জানান, বিমা কোম্পানি প্রিমিয়াম কম হওয়ায় ‘এয়ার রিস্ক অনলি’ ক্লজে বিমা দিয়েছে, ফলে ক্ষতিপূরণ পাওয়ার সুযোগ নেই।
সিএনএফ এজেন্ট ও এসজিএস কোম্পানির মাসুদ বকুল বলেন, ‘এ ধরনের দুর্ঘটনা আগে হয়নি। খরচ কমাতে আমরা এয়ার রিস্ক অনলি ক্লজই ব্যবহার করি।’
বিকেএমইএর নির্বাহী সভাপতি ফজলে শামীম এহসান বলেন, সেক্টরে এখন পর্যন্ত ৩০০ চালানের কনসাইনমেন্ট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ‘আমদানিকারকেরা বিমা করেছেন, কিন্তু বিমা কোম্পানিগুলো গোপন শর্তে দাবি পরিশোধ করছে না। ফলে ক্ষতিপূরণ পাওয়া যাচ্ছে না।’
আইন অনুযায়ী, আমদানিকারকেরা স্থানীয়ভাবে বিমা করা বাধ্যতামূলক হলেও ব্যবসায়ীরা প্রিমিয়াম কমাতে বিদেশে, বিশেষত সরবরাহকারীর দেশে বিমা করেন। ইস্টার্ন ইনস্যুরেন্সের সিইও হাসান তারেক বলেন, ‘কম প্রিমিয়ামের কারণে অনেকে এয়ার রিস্ক অনলি নেন, কিন্তু এতে কভারেজ সীমিত। নিরাপত্তার জন্য এয়ার অল রিস্ক পলিসি নেওয়াই উত্তম।’
বিমা বিশেষজ্ঞ এ কে এম এহসানুল হক (এফসিআইআই) বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে সাধারণত ইনস্টিটিউট কার্গো ক্লজ (এয়ার) ব্যবহৃত হয়, যেখানে ওয়্যারহাউস টু ওয়্যারহাউস পর্যন্ত কভারেজ থাকে। ‘এয়ার রিস্ক অনলি’ ক্লজ আন্তর্জাতিকভাবে প্রচলিত নয়।
সরকারি প্রতিষ্ঠান সাধারণ বীমা করপোরেশনের (এসবিসি) জেনারেল ম্যানেজার শাহ আলম বলেন, ‘আগুনে পোড়ার ঘটনায় হয়তো ১০০-১৫০ কোটি টাকার বিমা দাবি হতে পারে। কোনোভাবে এটা ১০-১২ হাজার কোটি টাকা হবে না।’ এ ছাড়া বেবিচকের কার্গো ভিলেজে সর্বোচ্চ বিমা রয়েছে মাত্র ২০ লাখ টাকা।
বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ) জানায়, অগ্নিকাণ্ডে নাশকতার অভিযোগ প্রমাণিত হলে কেউ বিমা দাবি করতে পারবে না। আইডিআরএর মুখপাত্র সাইফুন্নাহার সুমি বলেন, ‘বিমা দাবি ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানার জন্য বিমা কোম্পানিগুলোকে শিগগির চিঠি পাঠানো হবে।’

চাপে থাকা ব্যবসার কাঁধে এবার আরও ভারী হচ্ছে করের বোঝা। একদিকে গ্যাস ও বিদ্যুৎ সংকটে হাঁসফাঁস করছে শিল্প, অন্যদিকে কম মুনাফায় টিকে থাকা প্রতিষ্ঠানের ওপরও বসছে অতিরিক্ত করের খড়্গ। আসছে ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটে কর ছাড়ের পথ থেকে সরে এসে রাজস্ব সংগ্রহের কঠিন কৌশল নিচ্ছে সরকার; যার প্রথম আঘাত যাচ্ছে...
২৩ মে ২০২৫
যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের শীর্ষ অর্থনৈতিক কর্মকর্তারা মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরে একটি বৈঠক শেষ করেছেন। আজ শনিবার আসিয়ান সম্মেলনের ফাঁকে এ বৈঠকের আয়োজন করে দুই দেশ। যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র এই বৈঠককে ‘খুবই গঠনমূলক’ বলে মন্তব্য করেছেন।
৩২ মিনিট আগে
নানা অনিয়মের অভিযোগ ওঠায় যখন বিদেশি বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান গৌতম আদানিকে ঋণ দিতে দ্বিধাগ্রস্ত, তখন পাশে দাঁড়িয়েছেন নরেন্দ্র মোদি। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সরকার রাষ্ট্রায়ত্ত বিমা সংস্থা লাইফ ইনস্যুরেন্স করপোরেশন অব ইন্ডিয়াকে (এলআইসি) ব্যবহার করে এই বিতর্কিত শিল্পপতির ঋণগ্রস্ত...
৫ ঘণ্টা আগে
বাজারে আগাম শীতকালীন সবজি আসতে শুরু করেছে। এক সপ্তাহের ব্যবধানে সরবরাহও বেড়েছে বেশ। এতে কমতে শুরু করেছে পণ্যটির দাম। সবজির বাজারে স্বস্তি ফিরলেও দুঃসংবাদ এসেছে পেঁয়াজে। চলতি সপ্তাহে মসলা পণ্যটির দাম কেজিপ্রতি ন্যূনতম ৫ টাকা বেড়েছে।
২ দিন আগে