Ajker Patrika

কর ফাঁকি ধরতে চালু হচ্ছে সফটওয়্যার

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
কর ফাঁকি ধরতে চালু  হচ্ছে সফটওয়্যার

কর অডিট প্রক্রিয়ায় অস্বচ্ছতা ও কর কর্মকর্তাদের স্বেচ্ছাচারী ক্ষমতার প্রয়োগ নতুন কিছু নয়। এবার কর ফাঁকি চিহ্নিত করতে ও করদাতাদের অডিট-ভীতি দূর করতে সফটওয়্যার তৈরি করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। সংশ্লিষ্টদের মতে, এতে অডিট প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতার পাশাপাশি কর কর্মকর্তাদের স্বেচ্ছাচার ক্ষমতা কমবে। সেই সঙ্গে চিহ্নিত করা যাবে কর ফাঁকি। 

সূত্র জানায়, এ লক্ষ্যে ‘রিস্ক ম্যানেজমেন্ট ইঞ্জিন’ নামে একটি সফটওয়্যার তৈরি করেছে এনবিআর। সফটওয়্যারটি তথ্য সংগ্রহের জন্য অন্যান্য সরকারি সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ, ব্যক্তি ও কোম্পানির জমা দেওয়া রিটার্ন স্ক্যান করার পর ব্যক্তিগত অডিটের জন্য ফাইল বাছাই করবে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে এনবিআরের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা বলেন, চলতি বছরের পুরো সময় বিভিন্ন কর অঞ্চলে এ কার্যক্রমের সফলতা যাচাই করা হবে। এরপর আগামী বছর থেকে পুরোদমে কার্যক্রম শুরু করবে সফটওয়্যারটি। 

জানা গেছে, প্রথমবারের মতো এনবিআর অডিট ম্যানুয়ালও তৈরি করছে। ওই ম্যানুয়ালের আওতায় এই কার্যক্রম চলবে। ট্যাক্স ম্যানুয়াল না থাকায় কর্মকর্তারা এখন ইচ্ছেমতো ফাইল বাছাই করেন। অভিযোগ রয়েছে, এ প্রক্রিয়ায় অনেক করদাতা প্রায়ই হয়রানির শিকার হন। 
এনবিআর কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, নতুন অটোমেটেড সিস্টেম চালু হলে কর কর্মকর্তারা ইচ্ছামাফিক কর ফাইল অডিটের জন্য বাছাই করতে পারবেন না। কারণ তখন কোন করদাতার ফাইল অডিট করা হবে, তা নির্দিষ্ট মানদণ্ডের ভিত্তিতে সফটওয়্যারটিই বেছে নেবে। এ প্রক্রিয়া কেবল কর নয়, দেশের সার্বিক আর্থিক ব্যবস্থায় স্বচ্ছতা আনতে বিরাট ভূমিকা পালন করবে। 

এনবিআর কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, করদাতাদের তিন বছরের ডেটা সংগ্রহের কাজ এখন চলমান আছে। কর বিভাগ সরকারের অন্যান্য সংস্থার ডেটাবেইসে প্রবেশাধিকার নিচ্ছে। এর ফলে কর ফাইলে দেখানো আয়, ব্যয় ও সম্পদের তথ্যের সঙ্গে সফটওয়্যার অন্যান্য বিভাগের তথ্য মিলিয়ে দেখে নির্দিষ্ট মানদণ্ডের ভিত্তিতে সন্দেহভাজন ফাইল চিহ্নিত করতে পারবে। এরপর ওই সব ফাইল এনবিআরের ট্যাক্স রিস্ক ইউনিটে পাঠানো হবে। সেই ইউনিট চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়ে মাঠপর্যায়ের অফিসগুলোকে অডিটের জন্য নির্দেশনা দেবে। তবে অডিটের ক্ষেত্রে কোন ধরনের ফাইল সন্দেহের তালিকায় থাকবে, সেই ক্রাইটেরিয়া এখনো চূড়ান্ত হয়নি। তবে আয়-ব্যয় কিংবা সম্পদে বড় ধরনের গরমিল রয়েছে, এমন ব্যক্তি এর আওতায় আসতে পারেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

দুর্বল ব্যাংকগুলোকে ৫২ হাজার কোটি টাকা ধার ও ডলারের দর নিয়ে আইএমএফের উদ্বেগ

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
দুর্বল ব্যাংকগুলোকে ৫২ হাজার কোটি টাকা ধার ও ডলারের দর নিয়ে আইএমএফের উদ্বেগ

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) বাংলাদেশ ব্যাংকের ডলার বিনিময় হার নির্ধারণপ্রক্রিয়া ও দুর্বল ব্যাংকগুলোকে জামানত ছাড়া দেওয়া বিপুল পরিমাণ ঋণ নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। সংস্থাটি বলেছে, কেন্দ্রীয় ব্যাংক এখনো পুরোপুরি বাজারভিত্তিক ডলারের দর নির্ধারণ করছে না, বরং রেফারেন্স রেটের মাধ্যমে তা নিয়ন্ত্রণ করছে। একই সঙ্গে আইএমএফ প্রশ্ন তুলেছে, জামানত ছাড়া ব্যাংকগুলোকে ৫২ হাজার কোটি টাকার বেশি ঋণ দেওয়া কতটা যৌক্তিক ও টেকসই।

রোববার (২ নভেম্বর) ঢাকায় বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুরের সঙ্গে আইএমএফ প্রতিনিধিদলের বৈঠকে এসব বিষয়ে বিশদ আলোচনা হয়। প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন সংস্থাটির গবেষণা বিভাগের ডেভেলপমেন্ট ম্যাক্রো ইকোনমিকসের প্রধান ক্রিস পাপাজর্জিও। বৈঠকে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পক্ষে ডেপুটি গভর্নর নুরুন নাহার, ড. হাবিবুর রহমান, জাকির হোসেন চৌধুরী, ড. কবির আহমেদ; গবেষণা বিভাগের নির্বাহী পরিচালক ড. এজাজুল ইসলামসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠক সূত্রে জানা যায়, আইএমএফ জানতে চায়—বাংলাদেশ ব্যাংক কীভাবে ডলার বাজার নিয়ন্ত্রণ করছে। জবাবে গভর্নর মনসুর জানান, রেফারেন্স রেটের ভিত্তিতে বাজারমূল্য নির্ধারণ করা হচ্ছে। তবে আইএমএফ বলেছে, রেফারেন্স রেট আসলে বাজারনির্ভর নয়; প্রকৃত বাজারভিত্তিক মূল্য নির্ধারণ করতে হলে তা পুরোপুরি বাজারের ওপর ছেড়ে দিতে হবে।

রেফারেন্স রেট সাধারণত কেন্দ্রীয় ব্যাংক নির্ধারিত একটি মানদণ্ড, যা বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেনের ভিত্তিমূল্য হিসেবে কাজ করে। তবে আইএমএফের মতে, এটি ডলারের প্রকৃত বাজারদর প্রতিফলিত করে না এবং আমদানি-রপ্তানি ও রেমিট্যান্সপ্রবাহে বিকৃতি তৈরি করে।

বৈঠকে দুর্বল ব্যাংকগুলোর তারল্য সংকট ও জামানতহীন ঋণ নিয়েও আলোচনা হয়। সূত্র জানায়, গত এক বছরে বাংলাদেশ ব্যাংক প্রায় ৫২ হাজার কোটি টাকা ঋণ দিয়েছে কয়েকটি সমস্যাগ্রস্ত ব্যাংককে, যেগুলোর অনেকেই বিল বা বন্ড জমা রাখতে পারেনি। এসব ব্যাংক শুধু প্রতিশ্রুতিপত্র (ডিমান্ড প্রমিসরি নোট) দিয়ে টাকা নিয়েছে, যা এখনো ফেরত দেওয়া হয়নি। আইএমএফ এ প্রথাকে ‘অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ বিনিয়োগ’ হিসেবে উল্লেখ করে তা অবিলম্বে বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছে।

আইএমএফ আরও জানতে চেয়েছে, বাংলাদেশ ব্যাংক কেন এসব ঋণে গ্যারান্টার হিসেবে ভূমিকা নিচ্ছে এবং এতে রাষ্ট্রীয় ঝুঁকি কতটা বাড়ছে। তবে এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংক কোনো নির্দিষ্ট উত্তর দেয়নি।

এ ছাড়া বিগত সরকারের সময় গোপন রাখা বিপুল পরিমাণ খেলাপি ঋণের প্রকৃত চিত্র প্রকাশ করায় আইএমএফ সন্তোষ প্রকাশ করেছে। তবে সংস্থাটি মনে করে, সরকারি ব্যাংকগুলোর খেলাপি ঋণ দ্রুত ১০ শতাংশের নিচে নামাতে হবে—যা ৪৭০ কোটি ডলারের ঋণচুক্তির অন্যতম শর্ত।

গত জুন শেষে দেশে মোট খেলাপি ঋণের পরিমাণ দাঁড়ায় ৬ লাখ ৬৭ হাজার কোটি টাকায়, যা এক বছরে প্রায় ৪ লাখ কোটি টাকা বেড়েছে। সরকারি ব্যাংকগুলোর খেলাপির হার ৪০ শতাংশ ছাড়িয়েছে আর বেসরকারি খাতে তা ১০ শতাংশের ওপরে।

আইএমএফ প্রতিনিধিদল রিজার্ভ থেকে রপ্তানি উন্নয়ন তহবিল (ইডিএফ) ও অন্যান্য পুনঃঅর্থায়ন কর্মসূচি নিয়েও প্রশ্ন তোলে। তারা জানতে চায়, এসব উদ্যোগ দেশের বৈদেশিক মুদ্রা সঞ্চয় ও আর্থিক স্থিতিশীলতার ওপর কী প্রভাব ফেলছে।

বৈঠকে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক সাফল্যে আইএমএফ সন্তোষ প্রকাশ করেছে। তবে তারা সতর্ক করে দিয়েছে, দীর্ঘ সময় ধরে সংকোচনমূলক মুদ্রানীতি অব্যাহত থাকলে বিনিয়োগে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে।

সূত্র জানায়, আইএমএফ প্রতিনিধিদল রাষ্ট্রায়ত্ত ছয় ব্যাংকের সর্বশেষ আর্থিক অবস্থা, তারল্য সংকট, প্রভিশন ঘাটতি, বৈদেশিক মুদ্রা সংকট ও জলবায়ু সহনশীল বিনিয়োগ কার্যক্রম সম্পর্কেও বিস্তারিত তথ্য নিয়েছে।

২০২৩ সালের জানুয়ারিতে ৪৭০ কোটি ডলারের ঋণচুক্তির মাধ্যমে আইএমএফ কর্মসূচিতে যুক্ত হয় বাংলাদেশ। পরে ঋণের পরিমাণ বাড়িয়ে ৫ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার করা হয়। এখন পর্যন্ত চার কিস্তিতে বাংলাদেশ পেয়েছে প্রায় ৩৬৫ কোটি ডলার।

বৈঠকের শেষে আইএমএফ স্পষ্টভাবে জানায়, ডলারের মূল্য নির্ধারণ পুরোপুরি বাজারের ওপর ছেড়ে দিতে হবে এবং দুর্বল ব্যাংকগুলোকে জামানতহীন ঋণ দেওয়ার প্রচলন বন্ধ করতে হবে—অন্যথায় আর্থিক স্থিতিশীলতা ও আন্তর্জাতিক আস্থা উভয়ই ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

১২ কেজির এলপিজি সিলিন্ডারের দাম কমল ২৬ টাকা

বাসস, ঢাকা  
১২ কেজির এলপিজি সিলিন্ডারের দাম কমল ২৬ টাকা

বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) নভেম্বর মাসের জন্য ১২ কেজি তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাস (এলপিজি) সিলিন্ডারের দাম ২৬ টাকা কমিয়েছে। আজ রোববার (২ নভেম্বর) বিইআরসি চেয়ারম্যান জালাল আহমেদ মূল্যহ্রাসের ঘোষণা দেন।

১২ কেজি এলপিজি সিলিন্ডার এখন থেকে ১ হাজার ২১৫ টাকায় বিক্রি হবে। গত মাসে (অক্টোবর) এর দাম ছিল ১ হাজার ২৪১ টাকা। নতুন দর আজ রোববার সন্ধ্যা ৬টা থেকে কার্যকর হয়েছে।

বিইআরসি চেয়ারম্যান বলেন, চলতি মাসের জন্য সৌদি আরবভিত্তিক আরামকো নির্ধারিত আন্তর্জাতিক মূল্যের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে এলপিজি ভর্তি ১৩টি বিভিন্ন আকারের সিলিন্ডারের দাম কমানো হয়েছে।

বিইআরসি সূত্রমতে, বিভিন্ন আকারের এলপিজি সিলিন্ডারের দাম নিম্নরূপ

৫.৫ কেজি ৫৫৭, ১২.৫ কেজি ১ হাজার ২২৬, ১৫ কেজি ১ হাজার ৫১৯, ১৬ কেজি ১ হাজার ৬২০, ১৮ কেজি ১ হাজার ৮২২, ২০ কেজি ২ হাজার ২৫, ২২ কেজি ২ হাজার ২২৭, ২৫ কেজি ২ হাজার ৫৩১, ৩০ কেজি ৩ হাজার ৩৭, ৩৩ কেজি ৩ হাজার ৩৪১, ৩৫ কেজি ৩ হাজার ৫৪৩ এবং ৪৫ কেজি ৪ হাজার ৫৫৬ টাকা।

বিইআরসি জানিয়েছে, বেসরকারি খাতে খুচরা পর্যায়ে প্রতি লিটার অটো গ্যাসের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৫৫.৫৮ টাকা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

১০-১৫ ডিসেম্বর ভ্যাট সপ্তাহ পালন করবে এনবিআর

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) প্রধান কার্যালয়, আগারগাঁও, ঢাকা। ফাইল ছবি
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) প্রধান কার্যালয়, আগারগাঁও, ঢাকা। ফাইল ছবি

প্রতিবছরের মতো এবারও জাতীয় ভ্যাট দিবস ও জাতীয় ভ্যাট সপ্তাহ পালন করবে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। আগামী ১০ ডিসেম্বর জাতীয় ভ্যাট দিবস ও ১০-১৫ ডিসেম্বর জাতীয় ভ্যাট সপ্তাহ পালন করবে সংস্থাটি। ভ্যাট দিবস ও ভ্যাট সপ্তাহ, ২০২৫ উদ্‌যাপন উপলক্ষে কেন্দ্রীয় স্টিয়ারিং কমিটি গঠন করেছে তারা।

এনবিআর সূত্রে এ তথ্য জানা যায়।

এ জন্য এনবিআর চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খানকে সভাপতি করে ৯ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে।

অন্য সদস্যরা হলেন কাস্টমস: নিরীক্ষা, আধুনিকায়ন ও আন্তর্জাতিক বাণিজ্য; কাস্টমস: রপ্তানি, বন্ড ও আইটি, করনীতি; কাস্টমস: নীতি ও আইসিটি, মূসক বাস্তবায়ন ও আইটি শুল্ক এবং ভ্যাট প্রশাসন, মূসক নীতি, মূসক নিরীক্ষা ও গোয়েন্দা দপ্তরের সদস্য পদমর্যাদার কর্মকর্তারা।

সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, চলতি বছর ভ্যাট সিস্টেমকে সামগ্রিকভাবে অনলাইন করা, জাতীয় ভ্যাট দিবস ও ভ্যাট সপ্তাহ পালন উপলক্ষে মাঠপর্যায়ে করদাতাদের নিবন্ধন, রিটার্ন, ই-পেমেন্ট, ক্রয়-বিক্রয়ের হিসাব সংরক্ষণ, চালানপত্র ইস্যু ইত্যাদি ক্ষেত্রে সরাসরি সার্কেল, বিভাগ ও কমিশনারেট থেকে বিশেষ সেবা দেওয়া হবে।

প্রতিবছর ১০ ডিসেম্বর জাতীয় ভ্যাট দিবস পালিত হয়। ভ্যাট বিষয়ে সচেতনতা বাড়ানোর জন্য ২০১১ সাল থেকে দিবসটি উদ্‌যাপন করা হচ্ছে। আর ২০১৩ সাল থেকে দিবসটির পাশাপাশি ১০-১৫ ডিসেম্বর ভ্যাট সপ্তাহ উদ্‌যাপন করা হচ্ছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বিকাশ ও নগদ ছাড়াই দেশে আন্তএমএফএস লেনদেন চালু

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ০২ নভেম্বর ২০২৫, ১৯: ৫৩
বিকাশ ও নগদ ছাড়াই দেশে আন্তএমএফএস লেনদেন চালু

বাংলাদেশে আন্তমোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস (এমএফএস) লেনদেন শুরু হলেও দেশের সবচেয়ে বড় দুই এমএফএস প্রতিষ্ঠান নগদ ও বিকাশ এখনো এতে যুক্ত হতে পারেনি। নগদের লাইসেন্সের জটিলতা ও বিকাশ নিরাপত্তার ঝুঁকি দেখিয়ে তাদের অংশগ্রহণ স্থগিত করেছে।

গতকাল প্রধান কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান বলেন, নগদের লাইসেন্সের জটিলতার কারণে আপাতত আন্তএমএফএস সেবায় যুক্ত করা হয়নি। গভর্নর দেশে ফিরলে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। নিরাপত্তার ঘাটতির কারণ দেখিয়ে বিকাশও আপাতত আন্তলেনদেনে অংশ নিচ্ছে না। এ জন্য প্রতিষ্ঠানটি বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে তিন মাস সময় চেয়েছে।

এদিকে, এখন পর্যন্ত কতগুলো প্রতিষ্ঠান এই সেবায় যুক্ত হয়েছে, তা এখনো নিশ্চিত নয়। তবে বাংলাদেশ ব্যাংক পরে চূড়ান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করবে।

প্রযুক্তিগত জটিলতার মধ্যেও এ উদ্যোগ কতটা যৌক্তিক—এমন প্রশ্নে মুখপাত্র বলেন, টেকনোলজি-নির্ভর লেনদেন থেকে পেছনে যাওয়ার সুযোগ নেই। বিশ্ব এখন প্রযুক্তিনির্ভর অর্থনীতির দিকে যাচ্ছে। তাই জ্ঞান ও সক্ষমতা বাড়ানো ছাড়া বিকল্প নেই।

বিকাশের হেড অব করপোরেট কমিউনিকেশনস অ্যান্ড পিআর শামসুদ্দিন হায়দার ডালিম বলেন, ‘বিকাশ শুরু থেকেই আন্তলেনদেন সেবা চালুর উদ্যোগের সঙ্গে যুক্ত আছে। আমরা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট বিভাগের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছি। এই সেবা চালুর মাধ্যমে গ্রাহকদের ডিজিটাল লেনদেন আরও সহজ ও নিরাপদ হবে।’

শামসুদ্দিন হায়দার ডালিম আরও বলেন, তবে এই ব্যবস্থায় অন্যান্য অংশীজনের প্রস্তুতির ওপর কার্যকারিতা নির্ভর করছে। আমরা শক্তিশালী অথেনটিকেশন ও স্তরভিত্তিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কাজ করছি, যাতে লেনদেন নির্বিঘ্নে সম্পন্ন হয় এবং কোনো বিরোধ দেখা দিলে তা দ্রুত সমাধান করা যায়। প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন হওয়ার পর খুব শিগগিরই গ্রাহকেরা পূর্ণাঙ্গ সেবাটি ব্যবহার করতে পারবেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত