রোকন উদ্দীন, ঢাকা
ভারতের মধ্য দিয়ে ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বন্ধ হওয়ায় শুধু তৈরি পোশাক খাত নয়, সংকটে পড়তে যাচ্ছে দেশের কৃষিভিত্তিক রপ্তানি খাতও। বিশেষ করে ফল, সবজি ও অন্যান্য পচনশীল পণ্য রপ্তানিকারকেরা আশঙ্কা করছেন, তৈরি পোশাক এখন বিমানে রপ্তানি হওয়ায় কার্গো বিমানে চাপ অনেক বাড়বে। এতে এসব পচনশীল পণ্য পাঠাতে আরও ভোগান্তিতে পড়তে হবে।
বাংলাদেশ ফ্রুটস, ভেজিটেবলস অ্যান্ড অ্যালাইড প্রোডাক্ট এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের রপ্তানিকারকেরা জানান, দেশে এখনো নিজস্ব কোনো সরকারি কার্গো বিমান নেই। ফলে সবজি, ফল, শুকনো খাদ্যপণ্যসহ অধিকাংশ পণ্য যাত্রীবাহী বিমানের কার্গো হোল্ডে রপ্তানি করা হয়। কিন্তু লাগেজ রাখার পর অবশিষ্ট জায়গায় পণ্য পরিবহন হওয়ায় নিয়মিতভাবে জায়গা পাওয়া কঠিন। বিশেষ করে পচনশীল পণ্যের ক্ষেত্রে দীর্ঘ অপেক্ষার কারণে নষ্ট হওয়ার ঝুঁকি বেশি। এ ছাড়া যাত্রীবাহী ফ্লাইটগুলো সাধারণত আরএমজি ও শুকনো পণ্যকে অগ্রাধিকার দেয়। পচনশীল পণ্য হলে সহজে তারা নিতে চায় না। শুধু বাড়তি জায়গা থাকলে শাকসবজি ও ফল নেওয়া হয়; যার কারণে পচনশীল পণ্যের রপ্তানি আরও বাধাগ্রস্ত হয়।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ ফ্রুটস, ভেজিটেবলস অ্যান্ড অ্যালাইড প্রোডাক্ট এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা এমনিতেই যাত্রীবাহী বিমানের ফাঁকা জায়গায় পণ্য পাঠাই। সেখানে নিয়মিত স্থান পাওয়া যায় না। এখন যদি তৈরি পোশাকের মতো পণ্য যুক্ত হয়, তাহলে আমরা আরও অবহেলিত হব। কারণ, স্বাভাবিকভাবেই তারা আরএমজিকে প্রাধান্য দেবে। আর এই প্রতিযোগিতায় খরচও বাড়বে।’
এস এম জাহাঙ্গীর বলেন, ‘পচনশীল পণ্য সময়মতো পাঠানো না গেলে নষ্ট হয়ে যায়। খরচও বাড়ে। তাই দীর্ঘদিন ধরে আমরা নিজস্ব কার্গো ফ্লাইটের দাবি জানিয়ে আসছি। এখন সেই প্রয়োজন আরও জরুরি হয়ে উঠেছে। দেখা যাক, সরকার কী পদক্ষেপ নেয়।’
বিমানের সংকটে বাড়ছে প্রতিযোগিতা
বাংলাদেশ থেকে যেসব তৈরি পোশাক আগে ভারতের কলকাতা বিমানবন্দর ব্যবহার করে বিভিন্ন দেশে যেত, এখন সেগুলো সরাসরি দেশের বিমানবন্দর থেকে পাঠাতে হবে। প্রতি মাসে প্রায় ২ হাজার ৫০০ টন পোশাক ভারত হয়ে রপ্তানি হতো। এ পরিমাণ পণ্য বিমানবন্দরে যুক্ত হলে যাত্রীবাহী বিমানের কার্গো হোল্ডে স্থানসংকট আরও প্রকট হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
ফলের মৌসুমে রপ্তানি সর্বোচ্চে
বাংলাদেশ থেকে নিয়মিতভাবে প্রতি মাসে প্রায় ২ হাজার ৫০০ টন সবজি ও অন্যান্য পচনশীল পণ্য রপ্তানি হয় এবং আম-কাঁঠালের মৌসুমে প্রতি সপ্তাহে ১ থেকে ১ হাজার ৫০০ টন পর্যন্ত বাড়ে। অর্থাৎ মৌসুমে রপ্তানি হয় মাসে প্রায় ৬ হাজার টন। এই সময়ে যদি কার্গো হোল্ডের সংকট আরও বাড়ে, তাহলে বিপাকে পড়বে কৃষিপণ্য রপ্তানি।
ট্রান্সশিপমেন্টে রপ্তানি হতো ৩৬ দেশে
বিজিএমইএ ও কাস্টমস সূত্রে জানা যায়, গত ১৫ মাসে ভারত হয়ে প্রায় ৩৫ হাজার টন তৈরি পোশাক বিশ্বের ৩৬টি দেশে রপ্তানি হয়েছে। যার আর্থিক মূল্য প্রায় ৪৬২ মিলিয়ন ডলার (৫ হাজার ৬০০ কোটি টাকা)। এ তালিকায় রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, যুক্তরাজ্য, জার্মানি, অস্ট্রেলিয়া, জাপান, চীনসহ উল্লেখযোগ্য সব গন্তব্য।
এসব পণ্যের মধ্যে রয়েছে মেয়েদের ব্লাউজ, ব্রিফ ও প্যান্টি, স্কার্ট ও কৃত্রিম ফাইবার দিয়ে তৈরি বিভক্ত স্কার্ট, ট্রাউজার্স ইত্যাদি। এ ছাড়া পুরুষ বা ছেলেদের ড্রেসিং গাউন, জ্যাকেট, পুলওভার, টি-শার্ট, সিঙ্গেলস, বিব ও ব্রেস ট্রাউজার্স, ব্রিচ, শর্টস, ছেলেদের ওভারকোট, গাড়ির কোট, ক্লোক সুতির অন্তর্বাস, ব্রিফ ইত্যাদি।
কার্গো ফ্লাইট সময়ের দাবি
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কৃষিপণ্য রপ্তানি টিকিয়ে রাখতে হলে দ্রুত সময়ে সরকারের নিজস্ব কার্গো বিমান চালুর উদ্যোগ নেওয়া দরকার। শুধু ভারত হয়ে যাওয়া পণ্যের বিকল্প ব্যবস্থা নয়, ভবিষ্যতে রপ্তানির সম্ভাবনাও এর ওপর নির্ভর করছে।
ভারতের মধ্য দিয়ে ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বন্ধ হওয়ায় শুধু তৈরি পোশাক খাত নয়, সংকটে পড়তে যাচ্ছে দেশের কৃষিভিত্তিক রপ্তানি খাতও। বিশেষ করে ফল, সবজি ও অন্যান্য পচনশীল পণ্য রপ্তানিকারকেরা আশঙ্কা করছেন, তৈরি পোশাক এখন বিমানে রপ্তানি হওয়ায় কার্গো বিমানে চাপ অনেক বাড়বে। এতে এসব পচনশীল পণ্য পাঠাতে আরও ভোগান্তিতে পড়তে হবে।
বাংলাদেশ ফ্রুটস, ভেজিটেবলস অ্যান্ড অ্যালাইড প্রোডাক্ট এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের রপ্তানিকারকেরা জানান, দেশে এখনো নিজস্ব কোনো সরকারি কার্গো বিমান নেই। ফলে সবজি, ফল, শুকনো খাদ্যপণ্যসহ অধিকাংশ পণ্য যাত্রীবাহী বিমানের কার্গো হোল্ডে রপ্তানি করা হয়। কিন্তু লাগেজ রাখার পর অবশিষ্ট জায়গায় পণ্য পরিবহন হওয়ায় নিয়মিতভাবে জায়গা পাওয়া কঠিন। বিশেষ করে পচনশীল পণ্যের ক্ষেত্রে দীর্ঘ অপেক্ষার কারণে নষ্ট হওয়ার ঝুঁকি বেশি। এ ছাড়া যাত্রীবাহী ফ্লাইটগুলো সাধারণত আরএমজি ও শুকনো পণ্যকে অগ্রাধিকার দেয়। পচনশীল পণ্য হলে সহজে তারা নিতে চায় না। শুধু বাড়তি জায়গা থাকলে শাকসবজি ও ফল নেওয়া হয়; যার কারণে পচনশীল পণ্যের রপ্তানি আরও বাধাগ্রস্ত হয়।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ ফ্রুটস, ভেজিটেবলস অ্যান্ড অ্যালাইড প্রোডাক্ট এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা এমনিতেই যাত্রীবাহী বিমানের ফাঁকা জায়গায় পণ্য পাঠাই। সেখানে নিয়মিত স্থান পাওয়া যায় না। এখন যদি তৈরি পোশাকের মতো পণ্য যুক্ত হয়, তাহলে আমরা আরও অবহেলিত হব। কারণ, স্বাভাবিকভাবেই তারা আরএমজিকে প্রাধান্য দেবে। আর এই প্রতিযোগিতায় খরচও বাড়বে।’
এস এম জাহাঙ্গীর বলেন, ‘পচনশীল পণ্য সময়মতো পাঠানো না গেলে নষ্ট হয়ে যায়। খরচও বাড়ে। তাই দীর্ঘদিন ধরে আমরা নিজস্ব কার্গো ফ্লাইটের দাবি জানিয়ে আসছি। এখন সেই প্রয়োজন আরও জরুরি হয়ে উঠেছে। দেখা যাক, সরকার কী পদক্ষেপ নেয়।’
বিমানের সংকটে বাড়ছে প্রতিযোগিতা
বাংলাদেশ থেকে যেসব তৈরি পোশাক আগে ভারতের কলকাতা বিমানবন্দর ব্যবহার করে বিভিন্ন দেশে যেত, এখন সেগুলো সরাসরি দেশের বিমানবন্দর থেকে পাঠাতে হবে। প্রতি মাসে প্রায় ২ হাজার ৫০০ টন পোশাক ভারত হয়ে রপ্তানি হতো। এ পরিমাণ পণ্য বিমানবন্দরে যুক্ত হলে যাত্রীবাহী বিমানের কার্গো হোল্ডে স্থানসংকট আরও প্রকট হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
ফলের মৌসুমে রপ্তানি সর্বোচ্চে
বাংলাদেশ থেকে নিয়মিতভাবে প্রতি মাসে প্রায় ২ হাজার ৫০০ টন সবজি ও অন্যান্য পচনশীল পণ্য রপ্তানি হয় এবং আম-কাঁঠালের মৌসুমে প্রতি সপ্তাহে ১ থেকে ১ হাজার ৫০০ টন পর্যন্ত বাড়ে। অর্থাৎ মৌসুমে রপ্তানি হয় মাসে প্রায় ৬ হাজার টন। এই সময়ে যদি কার্গো হোল্ডের সংকট আরও বাড়ে, তাহলে বিপাকে পড়বে কৃষিপণ্য রপ্তানি।
ট্রান্সশিপমেন্টে রপ্তানি হতো ৩৬ দেশে
বিজিএমইএ ও কাস্টমস সূত্রে জানা যায়, গত ১৫ মাসে ভারত হয়ে প্রায় ৩৫ হাজার টন তৈরি পোশাক বিশ্বের ৩৬টি দেশে রপ্তানি হয়েছে। যার আর্থিক মূল্য প্রায় ৪৬২ মিলিয়ন ডলার (৫ হাজার ৬০০ কোটি টাকা)। এ তালিকায় রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, যুক্তরাজ্য, জার্মানি, অস্ট্রেলিয়া, জাপান, চীনসহ উল্লেখযোগ্য সব গন্তব্য।
এসব পণ্যের মধ্যে রয়েছে মেয়েদের ব্লাউজ, ব্রিফ ও প্যান্টি, স্কার্ট ও কৃত্রিম ফাইবার দিয়ে তৈরি বিভক্ত স্কার্ট, ট্রাউজার্স ইত্যাদি। এ ছাড়া পুরুষ বা ছেলেদের ড্রেসিং গাউন, জ্যাকেট, পুলওভার, টি-শার্ট, সিঙ্গেলস, বিব ও ব্রেস ট্রাউজার্স, ব্রিচ, শর্টস, ছেলেদের ওভারকোট, গাড়ির কোট, ক্লোক সুতির অন্তর্বাস, ব্রিফ ইত্যাদি।
কার্গো ফ্লাইট সময়ের দাবি
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কৃষিপণ্য রপ্তানি টিকিয়ে রাখতে হলে দ্রুত সময়ে সরকারের নিজস্ব কার্গো বিমান চালুর উদ্যোগ নেওয়া দরকার। শুধু ভারত হয়ে যাওয়া পণ্যের বিকল্প ব্যবস্থা নয়, ভবিষ্যতে রপ্তানির সম্ভাবনাও এর ওপর নির্ভর করছে।
ঢাকা ব্যাংকের এমডি হিসেবে যোগ দেওয়ার এক বছরেরও কম সময়ে পদত্যাগ করলেন শেখ মোহাম্মদ মারুফ। এর আগে তিনি সিটি ব্যাংকে অতিরিক্ত এমডি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। সূত্র জানিয়েছে, গত বছরের ৫ আগস্ট সরকার পরিবর্তনের পর ঢাকা ব্যাংকের কয়েকজন সাবেক ও বর্তমান পরিচালক সক্রিয় হয়ে ওঠেন।
১ ঘণ্টা আগেজাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় ৬ হাজার ৫০৬ কোটি ৫০ লাখ টাকা ব্যয় সংবলিত ১০টি প্রকল্প অনুমোদিত হয়েছে। এর মধ্যে সরকারি অর্থায়ন ৩ হাজার ৮২১ কোটি ৫৮ লাখ টাকা, প্রকল্প ঋণ ২ হাজার ৪২৮ কোটি ৪ লাখ টাকা এবং সংস্থার নিজস্ব অর্থায়ন ২৫৬ কোটি ৮৯ লাখ টাকা।
৩ ঘণ্টা আগেদেশের মুদ্রাবাজারে আজ রোববার সপ্তাহের প্রথম দিনে লেনদেন চলছে পুরোদমে। গত সপ্তাহের শেষ দিন বৃহস্পতিবারের তুলনায় আজ ডলারের দাম কিছুটা কমেছে। এদিন ইউরোর দাম কিছুটা কমলেও ব্রিটিশ পাউন্ড স্টারলিংয়ের দাম কিছুটা বেড়েছে।
৪ ঘণ্টা আগেমার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভারতের ওপর ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছেন। এর ফলে, ভারতের রপ্তানির প্রায় ৭০ শতাংশ, যার আর্থিক মূল্য ৬০ দশমিক ৮৫ বিলিয়ন ডলার, এখন যুক্তরাষ্ট্রের আরোপিত শুল্কের আওতায় পড়েছে। ভারতীয় আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক সম্পর্ক গবেষণা পরিষদের (আইসিআরআইইআর)
৫ ঘণ্টা আগে