Ajker Patrika

আইএমএফের ঋণ: প্রথম কিস্তির ৪৭ কোটি ৬২ লাখ ডলার পেল বাংলাদেশ 

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ২০: ০৮
আইএমএফের ঋণ: প্রথম কিস্তির ৪৭ কোটি ৬২ লাখ ডলার পেল বাংলাদেশ 

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) চুক্তি অনুযায়ী বাংলাদেশের জন্য ঋণের প্রথম কিস্তির অর্থ ছাড় করেছে। আজ বৃহস্পতিবার সংস্থাটির কাছ থেকে ঋণ বাবদ ৪৭৬ দশমিক ১৭ মিলিয়ন ডলার বাংলাদেশ ব্যাংকে জমা হয়েছে। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা ৫ হাজার ৯৪ কোটি টাকা।

ঋণ পাওয়ার বিষয়টি আজকের পত্রিকাকে নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মো. মেজবাউল হক।

ঋণ প্রাপ্তির মাত্র ৩ দিন আগে গত সোমবার আইএমএফ পরিচালনা পর্ষদ ৪৭০ বিলিয়ন ডলার ঋণ বাংলাদেশের জন্য অনুমোদন করে।

 
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র বলেন, ‘আইএমএফ ঋণের প্রথম কিস্তি ৪৭৬ দশমিক ১৭ মিলিয়ন ডলার আজ বৃহস্পতিবার এসেছে। এর ফলে রিজার্ভ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩২ দশমিক ৬৯ বিলিয়ন ডলার। এই ঋণের অর্থ ডলার সংকটের কিছুটা হলেও স্বস্তি যোগাবে। প্রথম কিস্তির পরের কিস্তিগুলো ছয় মাস পরপর আসবে। এ ঋণের শেষ কিস্তি পাওয়া যাবে ২০২৬ সালের ডিসেম্বরে। ঋণের গড় সুদ হার ২ দশমিক ২ শতাংশ।’ 

আইএমএফের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, বাংলাদেশকে সাড়ে ৪ বিলিয়ন ডলার ঋণ দেওয়ার প্রস্তাবটি অনুমোদনের জন্য আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) নির্বাহী পর্ষদে ওঠে। সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসিতে আইএমএফের নির্বাহী বোর্ড সভায় প্রস্তাবটি অনুমোদন পায়। ওই দিনই জানানো হয় যে, ফেব্রুয়ারিতেই ঋণের প্রথম কিস্তি পেতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। ঋণ অনুমোদের পরই আনুষ্ঠানিকভাবে ঋণের বিষয়ে আইএমএফ বাংলাদেশকে আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়ে দেয়।

সংস্থাটি জানিয়েছে, রেজিলিয়েন্স অ্যান্ড সাসটেইনেবিলিটি ফ্যাসিলিটির (আরএসএফ) আওতায় প্রথম দেশ হিসাবে অন্তর্ভুক্ত হলো বাংলাদেশ। গত সোমবার আইএমএফের নির্বাহী পর্ষদের সভায় আরএসএফ খাতে ১ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলার ঋণ অনুমোদন করা হয়েছে। এছাড়া সংস্থাটি বর্ধিত ক্রেডিট সুবিধা বা বর্ধিত তহবিল সুবিধার অধীনে ৩ দশমিক ৩ বিলিয়ন বা ৩৩০ কোটি ডলার ঋণের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এতে সবমিলে সংস্থাটির অনুমোদিতে ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৪ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার বা ৪৭০ কোটি ডলার। যদিও পুর্বের চুক্তি অনুযাযী ৪৫০ কোটি ডলারের ঋণ পাওয়ার কথা ছিল।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্বব্যাংক ঢাকা কার্যালয়ের সাবেক মুখ্য অর্থনীতিবিদ জাহিদ হোসেন বলেন, ‘আইএমএফের ঋণ পাওয়ার আগে কিছু নীতিগত শর্ত পূরণ করতে হয়। এজন্য ঋণ পেতে সময় লাগে। তবে বাংলাদেশকে ঋণ দিতে আগে থেকেই আগ্রহী ছিল সংস্থাটি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত