নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
যুক্তরাষ্ট্র পাল্টা শুল্ক কমিয়ে ২০ শতাংশ নির্ধারণ করায় দেশের পোশাক উদ্যোক্তাদের আসল কাজটি এখন শুরু হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) পরিচালক ও সুরমা গার্মেন্টসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফয়সাল সামাদ। তিনি বলেছেন, বিশ্বের সবচেয়ে বড় বাজারে প্রবেশ করতে হলে এখন ক্রেতাদের সঙ্গে নতুনভাবে দর-কষাকষি করতে হবে এবং খরচ, সুযোগ ও সম্প্রসারণের একটি দীর্ঘমেয়াদি রোডম্যাপ তৈরি করতে হবে।
আজ শুক্রবার (১ আগস্ট) যুক্তরাষ্ট্রের পাল্টা শুল্ক কামনোর বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে তিনি আজকের পত্রিকাকে এসব কথা বলেন।
ফয়সাল সামাদ বলেন, ‘প্রথমত একজন গার্মেন্টস প্রস্তুতকারক হিসেবে, দ্বিতীয়ত বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) একজন বোর্ড সদস্য হিসেবে এবং সর্বোপরি বাংলাদেশের একজন সচেতন নাগরিক হিসেবে গত এপ্রিল মাসে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প কর্তৃক আরোপিত প্রাথমিক শুল্ক ও ভবিষ্যতে আরও উচ্চতর শুল্কের সম্ভাবনা আমাকে গভীরভাবে ভাবিয়ে তুলেছে। ওই দিন থেকে বৈশ্বিক বাণিজ্য আলোচনা এক নতুন মোড় নেয়—পশ্চিম থেকে পূর্ব, সবাই নিজেদের জন্য সেরা চুক্তি আদায়ের চেষ্টা চালায়।’
বিজিএমইএর এই পরিচালক বলেন, ‘বাংলাদেশ সরকার শুরুতে কিছুটা দ্বিধায় ছিল, কারণ, আলোচনাটি ছিল কঠিন কিছু নন-ডিসক্লোজার চুক্তির সীমাবদ্ধতায় আবদ্ধ। তবে ব্যাপক পর্যবেক্ষণ, তথ্য বিশ্লেষণ এবং পরে বিজিএমইএ সভাপতি মাহমুদ হাসান খানের সংশ্লিষ্ট তথ্য ও উপাত্ত বিশ্লেষণ এবং স্টেকহোল্ডারদের মতামত নেওয়ার মাধ্যমে আমরা একটি সর্বোত্তম সিদ্ধান্তে উপনীত হতে পেরেছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘আসল কাজটি এখন শুরু। এই শুল্কহার, যা তুলনামূলকভাবে ভারতের চেয়ে কম এবং ভিয়েতনাম ও কম্বোডিয়ার সমান, তা সত্ত্বেও শিল্প খাতে অতিরিক্ত খরচের প্রভাব পড়বে। আমাদের এখন ক্রেতাদের সঙ্গে নতুনভাবে দর-কষাকষি করতে হবে এবং খরচ, সুযোগ ও সম্প্রসারণের একটি দীর্ঘমেয়াদি রোডম্যাপ তৈরি করতে হবে—বিশ্বের সবচেয়ে বড় বাজারে প্রবেশের উদ্দেশ্যে। যদিও চীন এই মুহূর্তে কিছুটা পিছিয়ে রয়েছে, তাকে কোনোভাবেই হালকাভাবে নেওয়া উচিত নয়। কারণ, বিগত তিন মাসের তথ্য বলছে—সবচেয়ে বেশি শুল্ক আরোপিত হওয়া সত্ত্বেও চীনের রপ্তানি উল্লেখযোগ্যভাবে কমে যায়নি। বরং চীন আবারও নিজেকে নতুনভাবে গড়ে তোলার কৌশল খুঁজে পেয়েছে।’
বিজিএমইএ পরিচালক আরও বলেন, ‘কৃতজ্ঞতা জানাই সেসব ব্যক্তির প্রতি, যাঁরা এই জটিল আলোচনার অংশ ছিলেন এবং চূড়ান্ত পর্যায়ে গঠনমূলক ভূমিকা রেখেছেন। এখন সময় এসেছে প্রশান্তির নিঃশ্বাস ফেলার পাশাপাশি ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুতি নেওয়র। আমাদের প্রয়োজন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, সরকার, নীতিনির্ধারক, নাগরিক সমাজ, শ্রমিক ফেডারেশন ও সব বাণিজ্য সংগঠনকে একত্রিত করে জাতীয় ঐক্যের ভিত্তিতে পরিকল্পনা নেওয়ার। কারণ, যদি আমরা সঠিকভাবে ও সম্মিলিতভাবে নিজেদের অবস্থান নির্ধারণ করতে পারি, তাহলে এই অর্থনৈতিক পরিবর্তন আমাদের দেশের জন্য এক বিরাট সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করতে পারে। বিজিএমইএ প্রেসিডেন্টসহ আমরা যারা বোর্ডে রয়েছি, সবাই মিলে তথ্যউপাত্তগুলো পর্যালোচনা করে সম্ভাবনাগুলো আরও সঠিকভাবে এগিয়ে যেতে পারব বলে আশা করছি।’
তিনি আরও বলেন, এই শুল্কহার যদি পুরোটা ক্রেতাদের ওপর চাপানো হয়, তবে ক্রেতার ক্রয়ক্ষমতা কমে যাবে। তাই এখন যেটা হবে, সেটা হলো, এই শুল্কহার তিন ভাগে ভাগ হয়ে যেতে পারে। যদিও বায়ারদের সঙ্গে এখনো আলোচনা হয়নি। তবে বাস্তবতার আলোকে এটা বলা যায় যে, বায়াররা শুল্কের একটা ভাগ রপ্তানিকারকদের ওপর চাপিয়ে দেবে। কিছুটা তারা রাখবে, আর কিছুটা পণ্যের সঙ্গে সমন্বয় করে দেবে, যা ভোক্তার ওপর পড়বে।
যুক্তরাষ্ট্র পাল্টা শুল্ক কমিয়ে ২০ শতাংশ নির্ধারণ করায় দেশের পোশাক উদ্যোক্তাদের আসল কাজটি এখন শুরু হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) পরিচালক ও সুরমা গার্মেন্টসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফয়সাল সামাদ। তিনি বলেছেন, বিশ্বের সবচেয়ে বড় বাজারে প্রবেশ করতে হলে এখন ক্রেতাদের সঙ্গে নতুনভাবে দর-কষাকষি করতে হবে এবং খরচ, সুযোগ ও সম্প্রসারণের একটি দীর্ঘমেয়াদি রোডম্যাপ তৈরি করতে হবে।
আজ শুক্রবার (১ আগস্ট) যুক্তরাষ্ট্রের পাল্টা শুল্ক কামনোর বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে তিনি আজকের পত্রিকাকে এসব কথা বলেন।
ফয়সাল সামাদ বলেন, ‘প্রথমত একজন গার্মেন্টস প্রস্তুতকারক হিসেবে, দ্বিতীয়ত বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) একজন বোর্ড সদস্য হিসেবে এবং সর্বোপরি বাংলাদেশের একজন সচেতন নাগরিক হিসেবে গত এপ্রিল মাসে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প কর্তৃক আরোপিত প্রাথমিক শুল্ক ও ভবিষ্যতে আরও উচ্চতর শুল্কের সম্ভাবনা আমাকে গভীরভাবে ভাবিয়ে তুলেছে। ওই দিন থেকে বৈশ্বিক বাণিজ্য আলোচনা এক নতুন মোড় নেয়—পশ্চিম থেকে পূর্ব, সবাই নিজেদের জন্য সেরা চুক্তি আদায়ের চেষ্টা চালায়।’
বিজিএমইএর এই পরিচালক বলেন, ‘বাংলাদেশ সরকার শুরুতে কিছুটা দ্বিধায় ছিল, কারণ, আলোচনাটি ছিল কঠিন কিছু নন-ডিসক্লোজার চুক্তির সীমাবদ্ধতায় আবদ্ধ। তবে ব্যাপক পর্যবেক্ষণ, তথ্য বিশ্লেষণ এবং পরে বিজিএমইএ সভাপতি মাহমুদ হাসান খানের সংশ্লিষ্ট তথ্য ও উপাত্ত বিশ্লেষণ এবং স্টেকহোল্ডারদের মতামত নেওয়ার মাধ্যমে আমরা একটি সর্বোত্তম সিদ্ধান্তে উপনীত হতে পেরেছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘আসল কাজটি এখন শুরু। এই শুল্কহার, যা তুলনামূলকভাবে ভারতের চেয়ে কম এবং ভিয়েতনাম ও কম্বোডিয়ার সমান, তা সত্ত্বেও শিল্প খাতে অতিরিক্ত খরচের প্রভাব পড়বে। আমাদের এখন ক্রেতাদের সঙ্গে নতুনভাবে দর-কষাকষি করতে হবে এবং খরচ, সুযোগ ও সম্প্রসারণের একটি দীর্ঘমেয়াদি রোডম্যাপ তৈরি করতে হবে—বিশ্বের সবচেয়ে বড় বাজারে প্রবেশের উদ্দেশ্যে। যদিও চীন এই মুহূর্তে কিছুটা পিছিয়ে রয়েছে, তাকে কোনোভাবেই হালকাভাবে নেওয়া উচিত নয়। কারণ, বিগত তিন মাসের তথ্য বলছে—সবচেয়ে বেশি শুল্ক আরোপিত হওয়া সত্ত্বেও চীনের রপ্তানি উল্লেখযোগ্যভাবে কমে যায়নি। বরং চীন আবারও নিজেকে নতুনভাবে গড়ে তোলার কৌশল খুঁজে পেয়েছে।’
বিজিএমইএ পরিচালক আরও বলেন, ‘কৃতজ্ঞতা জানাই সেসব ব্যক্তির প্রতি, যাঁরা এই জটিল আলোচনার অংশ ছিলেন এবং চূড়ান্ত পর্যায়ে গঠনমূলক ভূমিকা রেখেছেন। এখন সময় এসেছে প্রশান্তির নিঃশ্বাস ফেলার পাশাপাশি ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুতি নেওয়র। আমাদের প্রয়োজন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, সরকার, নীতিনির্ধারক, নাগরিক সমাজ, শ্রমিক ফেডারেশন ও সব বাণিজ্য সংগঠনকে একত্রিত করে জাতীয় ঐক্যের ভিত্তিতে পরিকল্পনা নেওয়ার। কারণ, যদি আমরা সঠিকভাবে ও সম্মিলিতভাবে নিজেদের অবস্থান নির্ধারণ করতে পারি, তাহলে এই অর্থনৈতিক পরিবর্তন আমাদের দেশের জন্য এক বিরাট সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করতে পারে। বিজিএমইএ প্রেসিডেন্টসহ আমরা যারা বোর্ডে রয়েছি, সবাই মিলে তথ্যউপাত্তগুলো পর্যালোচনা করে সম্ভাবনাগুলো আরও সঠিকভাবে এগিয়ে যেতে পারব বলে আশা করছি।’
তিনি আরও বলেন, এই শুল্কহার যদি পুরোটা ক্রেতাদের ওপর চাপানো হয়, তবে ক্রেতার ক্রয়ক্ষমতা কমে যাবে। তাই এখন যেটা হবে, সেটা হলো, এই শুল্কহার তিন ভাগে ভাগ হয়ে যেতে পারে। যদিও বায়ারদের সঙ্গে এখনো আলোচনা হয়নি। তবে বাস্তবতার আলোকে এটা বলা যায় যে, বায়াররা শুল্কের একটা ভাগ রপ্তানিকারকদের ওপর চাপিয়ে দেবে। কিছুটা তারা রাখবে, আর কিছুটা পণ্যের সঙ্গে সমন্বয় করে দেবে, যা ভোক্তার ওপর পড়বে।
বাংলাদেশি পণ্যের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের পাল্টা শুল্ক ২০ শতাংশে নেমে আসায় স্বস্তি ফিরেছে ব্যবসায়ীদের মধ্যে। পাল্টা শুল্ক প্রতিযোগী দেশগুলোর সমান হওয়ায় এটি ব্যবস্থাপনাযোগ্য বলে জানিয়েছেন তৈরি পোশাক খাতের ব্যবসায়ীরা। তাঁরা বলছেন, এখন পাল্টা শুল্কের যে হার নির্ধারণ করা হয়েছে, তাতে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে
৭ ঘণ্টা আগেমার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের এক ঘোষণাতেই রপ্তানিকারকদের কপালে পড়েছিল চিন্তার বড় ভাঁজ। এই নিয়ে গত ২ এপ্রিল থেকে ঘুম উড়ে যাওয়ার দশা ব্যবসায়ী ও নীতিনির্ধারকদের। শুরু হয় মার্কিন বাণিজ্য দপ্তরের সঙ্গে দেনদরবার; বাণিজ্য ঘাটতি কমাতে দেওয়া হয় নানা প্রতিশ্রুতি ও ছাড়। দফায় দফায় আলোচনা এবং সরকারের
৮ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশের জন্য শুল্ক কমিয়ে ২০ শতাংশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। আজ শুক্রবার অন্যান্য দেশের জন্য বিভিন্ন হারের পাশাপাশি বাংলাদেশের জন্য এই শুল্ক হার ঘোষণা করেন। হোয়াইট হাউসের এই ঘোষণাকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আলোচনার পদ্ধতির জন্য একটি জয় বলে উল্লেখ করেছেন উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান। সেই সঙ্গে বাণিজ্য
১৬ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্রের বাংলাদেশের জন্য পারস্পরিক শুল্কহার ৩৫ শতাংশ থেকে ২০ শতাংশে নামিয়ে আনা দেশের রপ্তানি খাতের জন্য একটি স্বস্তির সংবাদ বলে মনে করছেন অর্থনীতিবিদ ও সানেমের (সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক অন ইকোনমিক মডেলিং) নির্বাহী পরিচালক সেলিম রায়হান।
১৬ ঘণ্টা আগে