Ajker Patrika

বড় ব্যবসায়ীদের চেয়ে ছোটদের খেলাপি কম

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
Thumbnail image

দেশের অর্থনীতিকে সচল রাখতে সিএমএসএমই (দেশের কুটির, মাইক্রো, ক্ষুদ্র ও মাঝারি) উদ্যোক্তাদের গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে। কিন্তু দেশের প্রায় এক কোটির বেশি ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তার পুঁজির ঘাটতি রয়েছে। তাঁদের অর্থায়নে একটি মানসিক বাধা বিরাজ করছে। এ ধরনের মানসিকতার পরিবর্তন দরকার। কেননা বড় বড় করপোরেট গ্রাহকের তুলনায় সিএমএসএমই খাতের উদ্যোক্তাদের খেলাপি ঋণ অনেক কম। আর ব্যাংক খাতের বড় সমস্যা খেলাপি ঋণ। এটা ব্যাংকাররা উপলব্ধি করতে শুরু করেছেন। সামনে ক্ষুদ্রঋণের আওতা বেড়ে যাবে।

গতকাল সোমবার রাজধানীর পল্টনে ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ) আয়োজিত ‘অপরচুনিটিস অ্যান্ড চ্যালেঞ্জ ইন দ্য এসএমই সেক্টর’ শীর্ষক সেমিনারে এসব কথা বলেন ন্যাশনাল ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. মেহমুদ হোসেন। ইআরএফ সভাপতি মোহাম্মদ রেফায়েত উল্লাহ মীরধার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম।

মেহমুদ হোসেন তাঁর দায়িত্বরত ব্যাংকের জের টেনে বলেন, ‘খেলাপি বর্তমানে ব্যাংক খাতের একটি বড় সমস্যা। এখন ঋণ আদায়ের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। খেলাপি ঋণ কমে যাবে। ৭ হাজার ২০০ কোটি টাকার মতো এসএমই ঋণ দেওয়া আছে; যা মোট বিতরণ করা ঋণের সাড়ে ১৪ শতাংশ। এটা ২৪ শতাংশে উন্নীত করব। আর খেলাপি কমাতে ব্যাংকের এসএমই ঋণ পরিকল্পনা নতুনভাবে সাজানো হয়েছে। এখন করপোরেট ঋণ প্রায় বন্ধ করে দিয়েছি। যেসব ঋণ আদায় করছি, তা এসএমইতে দেওয়া হচ্ছে। আশা করছি, আগামী দুই বছরে ন্যাশনাল ব্যাংকের পোর্টফোলিওতে এসএমই খাতের অংশগ্রহণ দৃশ্যমান হবে।’

সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, ‘উন্নত দেশগুলোতে বড় উৎপাদকেরা ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজগুলো ছোট উদ্যোক্তাদের কাছ থেকে কিনে নেয়। ফলে একই শিল্পে ছোট-বড় উদ্যোক্তা তৈরি হয়। যেমন টয়োটা গাড়ির ইঞ্জিনটা তৈরি করে আর বাকি সব পার্টস বাইরে থেকে তৈরি করে নেয়। কিন্তু আমাদের দেশে বড়রা ছোটদের সুযোগ দেয় না, তারা নিজেরাই সবকিছু তৈরি করে। অনেক বড় গ্রুপ চানাচুর-মুড়িও তৈরি করে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত