Ajker Patrika

সরবরাহ ঘাটতির কারণে বেড়েছে মুরগির দাম

  • বাজারে ক্রেতা কম, খোলেনি অনেক দোকান।
  • আগামী সপ্তাহ থেকে বাজার পুরো চালুর প্রত্যাশা।
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ১৩ জুন ২০২৫, ০৮: ৪৮
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

ঈদের কারণে মুরগি, ডিম, সবজিসহ কাঁচাবাজারের বিভিন্ন পণ্যের সরবরাহকারীদের অনেকেই দীর্ঘ ছুটিতে। ক্রেতাদেরও বড় অংশ এখনো গ্রামের বাড়ি। বহু মানুষ ঢাকায় ফেরার পথে। তাই পাইকারি ও খুচরা বাজারের অনেক দোকান না খোলায় পণ্যের সরবরাহ কিছুটা কম। এ কারণে কিছু পণ্যের দামও বেড়েছে। আগামী সপ্তাহ থেকে বাজারে সরবরাহ এবং কেনাবেচা পুরোদমে চালু হবে বলে আশা করছেন বিক্রেতারা।

গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর মানিকনগর, সেগুনবাগিচা, খিলগাঁও, মালিবাগসহ কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা যায়, অনেক মুদি ও সবজির দোকান খোলেনি। দুপুর ১২টায় তুলনামূলকভাবে ছোট সেগুনবাগিচা বাজারে গিয়ে দেখা যায়, ছয়টি মুদিদোকানের মধ্যে চারটি খোলা। বাজারের ১২টি সবজির দোকানের মধ্যে ৫টিই বন্ধ। অন্যান্য বাজারের চিত্রও প্রায় একই রকম।

রাজধানীর এ বাজারগুলোয় ঈদের আগে মুরগির দাম বেশ সহনীয় ছিল। দাম কমে ব্রয়লার মুরগি কোথাও কোথাও ১৫০ টাকা কেজিতে নেমেছিল। তবে ঈদের পর সব ধরনের মুরগির দাম কেজিতে বেড়েছে ২০ থেকে ৩০ টাকা। এসব বাজারে গতকাল ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছিল প্রতি কেজি ১৮০-১৯০ টাকায়। ঈদের আগের সপ্তাহে তা ছিল ১৫০-১৬০ টাকা। এ ছাড়া সোনালি মুরগি বিক্রি হয় ২৮০-৩০০ টাকায়; ঈদের আগে ছিল ২৫০-২৬০ টাকা।

ডিমের দাম প্রতি ডজনে ১০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১৪০-১৫০ টাকায়।

পেঁয়াজের দামও কিছুটা বেড়েছে। গতকাল প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৬০ থেকে ৭০ টাকায়। ঈদের আগে ছিল ৫৫-৬৫ টাকা। আদার কেজি মানভেদে ১২০ থেকে ২৮০ টাকা। আলুর কেজি ৩০ টাকা। রসুন মানভেদে বিক্রি হয় ১৫০-২৫০ টাকা কেজিতে।

মানিকনগর বাজারের খুচরা ব্যবসায়ী শামীম হাসান বলেন, ঈদের পর অনেক আড়ত খোলেনি। কিছু কিছু আড়ত থেকে মালপত্র আসছে। তাই দাম কিছুটা বাড়তি। সবকিছু খুললে দাম কমে যাবে।

সবজিসহ পচনশীল পণ্যের বাইরে চাল, ডাল, তেল, চিনিসহ মুদিপণ্যের দাম আগের মতোই রয়েছে। মানিকনগর বাজারের চাল ব্যবসায়ী মরিয়ম স্টোরের মালিক আলমগীর হোসেন বলেন, ‘চালের দর দাম ঈদের আগের মতোই। দাম আর কমবে কি না, তা নিয়ে সন্দেহ আছে। নাজিরশাইল, মিনিকেটসহ সরু চাল ঈদের আগে ২৫ কেজির প্যাকেট ১ হাজার ৮০০ টাকা থেকে ১ হাজার ৯০০ টাকায় বিক্রি করছি। এখনো সেই দামই আছে। বিক্রি কম হওয়ায় পরিচিত কাস্টমারকে ১০-২০ টাকা কমেও দিয়ে দিচ্ছি।’

বৃষ্টি ও ঈদের বাজারের আবহের কারণে ঈদের আগেও রাজধানীতে কিছু কিছু সবজির দাম কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা বেড়ে যায়। গতকাল বাজারে গ্রীষ্মকালীন সবজির মধ্যে করলা বিক্রি হয় ৮০ টাকা কেজিতে। ঢ্যাঁড়স ও চিচিঙ্গার দাম ছিল ৬০ টাকা। পটোল ৬০-৮০ ও ধুন্দুল বিক্রি হয় ৭০ টাকায়।

কাঁকরোল ৪০ টাকা, কচুর মুখি ৯০ থেকে ১০০, সজনে ডাঁটা ১০০ থেকে ১২০ ও ঝিঙা আগের মতোই ৬০ টাকা কেজিতে মিলছে।

এ ছাড়া টমেটো ৫০ টাকা, গাজর ৫০-৬০, মুলা ৫০ ও শসা ৫০-৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

বাজারে কাঁচকলার হালি আগের মতোই ৪০ থেকে ৫০ টাকা, চালকুমড়া প্রতিটি ৫০ টাকা এবং মিষ্টিকুমড়ার কেজি ৩০ থেকে ৪০ টাকা ছিল।

প্রচুর সরবরাহের কারণে লেবুর দাম ঈদের সময় বাদ দিয়ে কিছুদিন ধরে বেশ কমই ছিল। গতকাল এক হালি লেবু প্রকারভেদে মিলেছে ১০-২০ টাকায়। ধনেপাতার কেজি আগের মতোই ২৫০-২৮০ টাকার মধ্যে আছে।

সেগুনবাগিচা বাজারের সবজি বিক্রেতা নূর আলম বলেন, ‘ঈদের আগে শসা আর কিছু সবজির দাম অনেক বাইড়া গেছিল। আমরা শসা বেচছি ১২০ টাকা কেজি। ঈদের কারণে এগুলার দাম বাড়ছিল। অন্য সবজির দাম আগের মতোই আছে। ঘাটে (পাইকারি বাজারে) সবজি আসতেছে কম।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ইসরায়েলের হামলার ‘কড়া’ প্রতিশোধ ইরানের, কয়েক ডজন লক্ষ্যবস্তুতে পাল্টা ক্ষেপণাস্ত্র হামলা: বিবিসি

দুই ঘণ্টা আগে একই বিমানে ভ্রমণের দাবি এক ব্যক্তির, জানালেন ভয়াবহ তথ্য

ইরানে ইসলামি শাসনের অবসান হতে পারে—মার্কিন কর্মকর্তাদের আশঙ্কা

নির্বাচন নিয়ে ড. ইউনূস ও তারেক রহমানের মধ্যে যে কথা হলো

আ.লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে ৭ জন আহত, গ্রেপ্তার ১

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত