সুব্রত কুমার মুখার্জী
ঝড়-জলোচ্ছ্বাসসহ নানান প্রাকৃতিক দুর্যোগের মধ্যে বসবাস উপকূলীয় জেলা বাগেরহাটবাসীর। এর সঙ্গে রয়েছে লোনাপানির আধিক্যের কারণে অনাবাদি জমি। এসব অনাবাদি জমি যখন হতদরিদ্র কৃষকের গলার কাঁটা হয়েছিল, তখন (আশির দশকের শেষের দিকে) বাগেরহাটসহ উপকূলীয় অঞ্চলে শুরু হয় গলদা চিংড়ির বাণিজ্যিক চাষাবাদ। অবশ্য এর আগে প্রাকৃতিকভাবে প্রচুর গলদা চিংড়ি পাওয়া যেত সুন্দরবনসহ জেলার বিভিন্ন নদী ও খালে।
বাণিজ্যিকভাবে চাষাবাদ শুরু হওয়ার প্রথম দিকে কিছু প্রগতিশীল মানুষ চিংড়ি চাষের বিরোধিতা করলেও কালের পরিক্রমায় বাগেরহাটের অর্থনীতির চালিকাশক্তি হয়ে দাঁড়িয়েছে চিংড়ি চাষ। গলদার বাণিজ্যিক চাষাবাদ শুরুর বেশ কয়েক বছর পর শুরু হয় বাগদার চাষ। বর্তমানে দুটিই সমানভাবে চাষ হচ্ছে বাগেরহাটে।
স্বল্পখরচে অধিক লাভ হওয়ায় দিন দিন চিংড়ি চাষ বাড়ছে বাগেরহাটে। উনবিংশ শতাব্দীর মধ্যভাগ পর্যন্ত চিংড়ি খাদ্য হিসেবে জনপ্রিয়তা অর্জন করতে পারেনি। এ সময় গলদা চিংড়িকে দরিদ্রের খাবার হিসেবে দেখা হতো। ম্যাসাচুসেটস, কানাডায় কাজের লোকদের গলদা চিংড়ি খাদ্য হিসেবে দেয়া হতো। বিংশ শতাব্দীতে খাদ্য হিসেবে চাহিদা বেড়ে যায়।
সরকারি হিসাবে, বর্তমানে বাগেরহাট জেলায় ৬৬ হাজার ৭১৩ হেক্টর জমিতে ৭৮ হাজার ৬৮৫টি ঘেরে বাগদা ও গলদা চিংড়ির চাষ হয়। চিংড়িচাষি রয়েছেন প্রায় ৭৩ হাজার। তবে বেসরকারি হিসাবে, ঘেরের পরিমাণ আরও অনেক বেশি।
বাগেরহাট জেলার মোংলা, রামপাল, ফকিরহাট, কচুয়া, চিতলমারী, মোল্লাহাট ও বাগেরহাট সদর উপজেলার অন্তত ৬০ শতাংশ মানুষ চিংড়ি চাষে জড়িত। যাঁদের ঘের করার মতো জমি নেই, তাঁরা ঘরের সামনের পুকুরে মৌসুমের শুরুতে কয়েক হাজার চিংড়ির পোনা ছাড়েন। সারা বছর কমবেশি এই পুকুর থেকে চিংড়ি বিক্রি করেন তাঁরা। এককথায় আমরা বলতে পারি, বাগেরহাটের অর্থনীতিকে সচল রাখার প্রধান নিয়ামক এই চিংড়ি চাষ।
চাষিরা যে শুধু চিংড়িই চাষ করেন তা নয়। চিংড়ির সঙ্গে কার্প–জাতীয় মাছের চাষও করেন তাঁরা। যে মাছ দেশের বিভিন্ন বাজারে চড়া দামে বিক্রি হয়। প্রতিবছর ৩০ থেকে ৩৫ হাজার মেট্রিক টন কার্প–জাতীয় মাছের উৎপাদন হয় উপকূলীয় এই জেলায়।
অন্যদিকে দেশের বৃহত্তম বাগদা ও গলদা চিংড়ির পোনার হাট রয়েছে বাগেরহাটে। ফকিরহাট উপজেলার ফলতিতা এলাকায় গলদা চিংড়ির রেণু-পোনার হাট এবং রামপাল উপজেলার ফয়লায় বাগদার পোনার হাটের খ্যাতি রয়েছে সমগ্র বাংলাদেশে।
এসবের পরও রয়েছে কিছু সংকট। নানান কারণে বাগেরহাট জেলার গলদা চিংড়ির হ্যাচারিগুলো বন্ধ হয়ে গেছে। বিভিন্ন সময় ঝড়, জলোচ্ছ্বাস, বন্যা, খরাসহ নানা প্রাকৃতিক দূর্যোগের সঙ্গে নতুন নতুন রোগের প্রাদুর্ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন আমাদের চাষিরা। কোভিড-১৯ পরিস্থিতি রপ্তানি ব্যবস্থায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছে। ফলে চিংড়ির দরপতনে চাপের মুখে পড়েছেন চাষিরা। এরপরও থেমে নেই বাগেরহাটবাসীর চিংড়ি চাষ।
চাষিদের উৎপাদিত চিংড়ির প্রায় ৯০ শতাংশই রপ্তানি হয় বিভিন্ন দেশে। এই রপ্তানি আয় জাতীয় অর্থনীতিতে ভূমিকা রাখছে। বাগেরহাট ও খুলনার প্রায় ১৫টি হিমায়িত খাদ্যপণ্য (চিংড়ি) রপ্তানি ও প্রক্রিয়া হয়। চিংড়িশিল্পে এ অঞ্চলের লক্ষাধিক মানুষের বিভিন্নভাবে কর্মসংস্থান হয়েছে।
বাগেরহাট অঞ্চলে কৃষকেরা সাধারণত গলদা চাষে দুটি পদ্ধতি ব্যবহার করে থাকেন। একক চাষ পদ্ধতিতে শুধু গলদা চিংড়ি চাষ করা হয়। এ পদ্ধতিতে চাষ করায় একরপ্রতি উৎপাদন ৪০০ থেকে ৫০০ কেজি হয়ে থাকে। মিশ্র পদ্ধতিতে গলদা চিংড়ির সঙ্গে কার্প–জাতীয় মাছ চাষ করা হয়। এ পদ্ধতিতে একরপ্রতি উৎপাদন হয়ে থাকে ২০০ থেকে ৩০০ কেজি।
বাগেরহাট জেলায় বিভিন্ন সময়ে বেসরকারি সংস্থার পরামর্শে আধুনিক পদ্ধতিতে চিংড়ি চাষ করা হলেও তা তেমন ফলপ্রসূ হয়নি। তবে সনাতন পদ্ধতির পাশাপাশি চাষির সচেতনতা বাড়ায় গলদার উৎপাদন বেড়েছে।
আগে কৃষকেরা ঘেরের পাশে কোনো প্রতিরোধব্যবস্থা রাখতেন না। এর ফলে বন্যার সময় ঘের ভেসে যাওয়া, বাইরের থেকে মাছের ক্ষতিকারক প্রাণী সাপ, ব্যাঙ, কাঁকড়া, কুঁচে প্রবেশ করত। জৈব নিরাপত্তা বা বায়ো–সিকিউরিটি বাড়ার ফলে গলদা চিংড়ির উৎপাদন বেড়েছে।
আধুনিক চাষপদ্ধতিতে বিভিন্ন কোম্পানির খাবার ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এর পাশাপাশি যারা সনাতন পদ্ধতিতে চাষ করেন তাঁরা ভাত, গম, পালিশ কুঁড়ো, ভুট্টোর গুঁড়ো, শামুকসহ বিভিন্ন খাবার চিংড়িকে খাইয়ে থাকেন।
চিংড়ি মাছে প্রায় ৫৭ শতাংশ সেলেনিয়াম রয়েছে, যা ক্যানসার প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ইনস্টিটিউট অব ফুড রিসার্চের গবেষকেরা মনে করেন সেলেনিয়াম দেহে ক্যানসারের কোষ গঠনে বাধা দেয়। রক্তস্বল্পতা দূর, হাড়ের ক্ষয়রোধ, শারীরিক দুর্বলতা, ফ্যাট কমানো, বিষন্নতা দূর, থাইরয়েডের সমস্যা দূর, মূত্রথলির নানান সমস্যা, ডায়াবেটিসের হাত থেকে রক্ষায় চিংড়ির গুণ রয়েছে। এটি হৃৎপিণ্ড সুস্থ রাখে এবং স্মৃতিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। তবে যাঁদের শরীরে এলার্জি রয়েছে, তাঁদের চিংড়ি মাছ খেতে সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। অন্তঃসত্ত্বা নারীদের বাচ্চার স্বাস্থ্যের দিকে নজর রেখে চিংড়ি না খাওয়াই ভালো বলে মনে করেন গবেষকেরা। এতে কোলেস্টেরলের মাত্রা বেশি থাকায় কার্ডিওভাসকুলার রোগের জন্ম হতে পারে।
বাগদা চিংড়ি চাষে কৃষক সহজে লাভ করতে পারেন। তবে এতে এলাকায় লবণাক্ততা বেড়ে পরিবেশের ক্ষতি হচ্ছে। গলদা চিংড়ি যেহেতু স্বাদুপানির মাছ বা সামান্য লবণে চাষ করা যায়, ফলে এটি পরিবেশের ক্ষতি করে না। উপকূলীয় অঞ্চলে দেখা যায়, অপরিকল্পিত বাগদা চাষের কারণে পানীয়জলের সংকট। জনবসতির আশপাশে লোনাপানি প্রবেশ কমানোয় জীববৈচিত্র্যের চরম অবক্ষয় ঘটেছে। ফলদ বৃক্ষ, শাকসবজি, গরু-ছাগলের চারণভূমি সীমিত হয়ে পড়েছে। সে জন্য ঘনবসতি এলাকায় লোনাপানি ঢুকিয়ে যাতে চিংড়ি চাষ না করা হয়, সেদিকে নজর রাখতে হবে। এ জন্য চিংড়ি চাষের নির্দিষ্ট এলাকা শনাক্ত করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন। বাগেরহাট অঞ্চলে আগে নারকেল উৎপাদনে বিরাট অবদান রাখলেও এখন তা অনেকটাই কমে গেছে।
সুব্রত কুমার মুখার্জী
বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা, সামছউদ্দিন-নাহার
ট্রাস্টের চিফ ফ্যাসিলিটেটর
ঝড়-জলোচ্ছ্বাসসহ নানান প্রাকৃতিক দুর্যোগের মধ্যে বসবাস উপকূলীয় জেলা বাগেরহাটবাসীর। এর সঙ্গে রয়েছে লোনাপানির আধিক্যের কারণে অনাবাদি জমি। এসব অনাবাদি জমি যখন হতদরিদ্র কৃষকের গলার কাঁটা হয়েছিল, তখন (আশির দশকের শেষের দিকে) বাগেরহাটসহ উপকূলীয় অঞ্চলে শুরু হয় গলদা চিংড়ির বাণিজ্যিক চাষাবাদ। অবশ্য এর আগে প্রাকৃতিকভাবে প্রচুর গলদা চিংড়ি পাওয়া যেত সুন্দরবনসহ জেলার বিভিন্ন নদী ও খালে।
বাণিজ্যিকভাবে চাষাবাদ শুরু হওয়ার প্রথম দিকে কিছু প্রগতিশীল মানুষ চিংড়ি চাষের বিরোধিতা করলেও কালের পরিক্রমায় বাগেরহাটের অর্থনীতির চালিকাশক্তি হয়ে দাঁড়িয়েছে চিংড়ি চাষ। গলদার বাণিজ্যিক চাষাবাদ শুরুর বেশ কয়েক বছর পর শুরু হয় বাগদার চাষ। বর্তমানে দুটিই সমানভাবে চাষ হচ্ছে বাগেরহাটে।
স্বল্পখরচে অধিক লাভ হওয়ায় দিন দিন চিংড়ি চাষ বাড়ছে বাগেরহাটে। উনবিংশ শতাব্দীর মধ্যভাগ পর্যন্ত চিংড়ি খাদ্য হিসেবে জনপ্রিয়তা অর্জন করতে পারেনি। এ সময় গলদা চিংড়িকে দরিদ্রের খাবার হিসেবে দেখা হতো। ম্যাসাচুসেটস, কানাডায় কাজের লোকদের গলদা চিংড়ি খাদ্য হিসেবে দেয়া হতো। বিংশ শতাব্দীতে খাদ্য হিসেবে চাহিদা বেড়ে যায়।
সরকারি হিসাবে, বর্তমানে বাগেরহাট জেলায় ৬৬ হাজার ৭১৩ হেক্টর জমিতে ৭৮ হাজার ৬৮৫টি ঘেরে বাগদা ও গলদা চিংড়ির চাষ হয়। চিংড়িচাষি রয়েছেন প্রায় ৭৩ হাজার। তবে বেসরকারি হিসাবে, ঘেরের পরিমাণ আরও অনেক বেশি।
বাগেরহাট জেলার মোংলা, রামপাল, ফকিরহাট, কচুয়া, চিতলমারী, মোল্লাহাট ও বাগেরহাট সদর উপজেলার অন্তত ৬০ শতাংশ মানুষ চিংড়ি চাষে জড়িত। যাঁদের ঘের করার মতো জমি নেই, তাঁরা ঘরের সামনের পুকুরে মৌসুমের শুরুতে কয়েক হাজার চিংড়ির পোনা ছাড়েন। সারা বছর কমবেশি এই পুকুর থেকে চিংড়ি বিক্রি করেন তাঁরা। এককথায় আমরা বলতে পারি, বাগেরহাটের অর্থনীতিকে সচল রাখার প্রধান নিয়ামক এই চিংড়ি চাষ।
চাষিরা যে শুধু চিংড়িই চাষ করেন তা নয়। চিংড়ির সঙ্গে কার্প–জাতীয় মাছের চাষও করেন তাঁরা। যে মাছ দেশের বিভিন্ন বাজারে চড়া দামে বিক্রি হয়। প্রতিবছর ৩০ থেকে ৩৫ হাজার মেট্রিক টন কার্প–জাতীয় মাছের উৎপাদন হয় উপকূলীয় এই জেলায়।
অন্যদিকে দেশের বৃহত্তম বাগদা ও গলদা চিংড়ির পোনার হাট রয়েছে বাগেরহাটে। ফকিরহাট উপজেলার ফলতিতা এলাকায় গলদা চিংড়ির রেণু-পোনার হাট এবং রামপাল উপজেলার ফয়লায় বাগদার পোনার হাটের খ্যাতি রয়েছে সমগ্র বাংলাদেশে।
এসবের পরও রয়েছে কিছু সংকট। নানান কারণে বাগেরহাট জেলার গলদা চিংড়ির হ্যাচারিগুলো বন্ধ হয়ে গেছে। বিভিন্ন সময় ঝড়, জলোচ্ছ্বাস, বন্যা, খরাসহ নানা প্রাকৃতিক দূর্যোগের সঙ্গে নতুন নতুন রোগের প্রাদুর্ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন আমাদের চাষিরা। কোভিড-১৯ পরিস্থিতি রপ্তানি ব্যবস্থায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছে। ফলে চিংড়ির দরপতনে চাপের মুখে পড়েছেন চাষিরা। এরপরও থেমে নেই বাগেরহাটবাসীর চিংড়ি চাষ।
চাষিদের উৎপাদিত চিংড়ির প্রায় ৯০ শতাংশই রপ্তানি হয় বিভিন্ন দেশে। এই রপ্তানি আয় জাতীয় অর্থনীতিতে ভূমিকা রাখছে। বাগেরহাট ও খুলনার প্রায় ১৫টি হিমায়িত খাদ্যপণ্য (চিংড়ি) রপ্তানি ও প্রক্রিয়া হয়। চিংড়িশিল্পে এ অঞ্চলের লক্ষাধিক মানুষের বিভিন্নভাবে কর্মসংস্থান হয়েছে।
বাগেরহাট অঞ্চলে কৃষকেরা সাধারণত গলদা চাষে দুটি পদ্ধতি ব্যবহার করে থাকেন। একক চাষ পদ্ধতিতে শুধু গলদা চিংড়ি চাষ করা হয়। এ পদ্ধতিতে চাষ করায় একরপ্রতি উৎপাদন ৪০০ থেকে ৫০০ কেজি হয়ে থাকে। মিশ্র পদ্ধতিতে গলদা চিংড়ির সঙ্গে কার্প–জাতীয় মাছ চাষ করা হয়। এ পদ্ধতিতে একরপ্রতি উৎপাদন হয়ে থাকে ২০০ থেকে ৩০০ কেজি।
বাগেরহাট জেলায় বিভিন্ন সময়ে বেসরকারি সংস্থার পরামর্শে আধুনিক পদ্ধতিতে চিংড়ি চাষ করা হলেও তা তেমন ফলপ্রসূ হয়নি। তবে সনাতন পদ্ধতির পাশাপাশি চাষির সচেতনতা বাড়ায় গলদার উৎপাদন বেড়েছে।
আগে কৃষকেরা ঘেরের পাশে কোনো প্রতিরোধব্যবস্থা রাখতেন না। এর ফলে বন্যার সময় ঘের ভেসে যাওয়া, বাইরের থেকে মাছের ক্ষতিকারক প্রাণী সাপ, ব্যাঙ, কাঁকড়া, কুঁচে প্রবেশ করত। জৈব নিরাপত্তা বা বায়ো–সিকিউরিটি বাড়ার ফলে গলদা চিংড়ির উৎপাদন বেড়েছে।
আধুনিক চাষপদ্ধতিতে বিভিন্ন কোম্পানির খাবার ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এর পাশাপাশি যারা সনাতন পদ্ধতিতে চাষ করেন তাঁরা ভাত, গম, পালিশ কুঁড়ো, ভুট্টোর গুঁড়ো, শামুকসহ বিভিন্ন খাবার চিংড়িকে খাইয়ে থাকেন।
চিংড়ি মাছে প্রায় ৫৭ শতাংশ সেলেনিয়াম রয়েছে, যা ক্যানসার প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ইনস্টিটিউট অব ফুড রিসার্চের গবেষকেরা মনে করেন সেলেনিয়াম দেহে ক্যানসারের কোষ গঠনে বাধা দেয়। রক্তস্বল্পতা দূর, হাড়ের ক্ষয়রোধ, শারীরিক দুর্বলতা, ফ্যাট কমানো, বিষন্নতা দূর, থাইরয়েডের সমস্যা দূর, মূত্রথলির নানান সমস্যা, ডায়াবেটিসের হাত থেকে রক্ষায় চিংড়ির গুণ রয়েছে। এটি হৃৎপিণ্ড সুস্থ রাখে এবং স্মৃতিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। তবে যাঁদের শরীরে এলার্জি রয়েছে, তাঁদের চিংড়ি মাছ খেতে সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। অন্তঃসত্ত্বা নারীদের বাচ্চার স্বাস্থ্যের দিকে নজর রেখে চিংড়ি না খাওয়াই ভালো বলে মনে করেন গবেষকেরা। এতে কোলেস্টেরলের মাত্রা বেশি থাকায় কার্ডিওভাসকুলার রোগের জন্ম হতে পারে।
বাগদা চিংড়ি চাষে কৃষক সহজে লাভ করতে পারেন। তবে এতে এলাকায় লবণাক্ততা বেড়ে পরিবেশের ক্ষতি হচ্ছে। গলদা চিংড়ি যেহেতু স্বাদুপানির মাছ বা সামান্য লবণে চাষ করা যায়, ফলে এটি পরিবেশের ক্ষতি করে না। উপকূলীয় অঞ্চলে দেখা যায়, অপরিকল্পিত বাগদা চাষের কারণে পানীয়জলের সংকট। জনবসতির আশপাশে লোনাপানি প্রবেশ কমানোয় জীববৈচিত্র্যের চরম অবক্ষয় ঘটেছে। ফলদ বৃক্ষ, শাকসবজি, গরু-ছাগলের চারণভূমি সীমিত হয়ে পড়েছে। সে জন্য ঘনবসতি এলাকায় লোনাপানি ঢুকিয়ে যাতে চিংড়ি চাষ না করা হয়, সেদিকে নজর রাখতে হবে। এ জন্য চিংড়ি চাষের নির্দিষ্ট এলাকা শনাক্ত করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন। বাগেরহাট অঞ্চলে আগে নারকেল উৎপাদনে বিরাট অবদান রাখলেও এখন তা অনেকটাই কমে গেছে।
সুব্রত কুমার মুখার্জী
বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা, সামছউদ্দিন-নাহার
ট্রাস্টের চিফ ফ্যাসিলিটেটর
উন্নত বিশ্বের মতো বাংলাদেশেও মানুষ ধীরে ধীরে ক্যাশলেস লেনদেনের প্রতি আগ্রহী হয়ে উঠছে, যা অর্থনীতির আধুনিকায়নের পথে গুরুত্বপূর্ণ একটি অগ্রগতি। এটি শুধু সময় সাশ্রয় করে না, বরং নিরাপদ, স্বচ্ছ ও কার্যকর অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
২০ মার্চ ২০২৫সিটি ব্যাংক ২০০৪ সালে প্রথম ক্রেডিট কার্ড ইস্যু করে এবং ২০০৯ সালে আমেরিকান এক্সপ্রেস (অ্যামেক্স) কার্ড ইস্যুয়ার ও অ্যাকুয়ারার হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। প্রথম আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর লাউঞ্জ-সুবিধা চালু করার মাধ্যমে ক্রেডিট কার্ড খাতে উদ্ভাবনী সেবা প্রদান করে, যা সিটি ব্যাংককে শীর্ষ স্থানে নিয়ে আসে। বর্তম
২০ মার্চ ২০২৫ক্রেডিট কার্ডের জগতে প্রতিযোগিতার ছড়াছড়ি। সেখানে কীভাবে ঢাকা ব্যাংক তার অবস্থান ধরে রেখেছে, ভবিষ্যৎ কী পরিকল্পনা, জানিয়েছেন ঢাকা ব্যাংকের এমডি শেখ মোহাম্মদ মারুফ। তাঁর সঙ্গে কথা বলেছেন আজকের পত্রিকার সিনিয়র রিপোর্টার...
২০ মার্চ ২০২৫বাংলাদেশে যাত্রা শুরুর পর মাস্টারকার্ড এখন কোন অবস্থানে রয়েছে, গ্রাহকের সেবার মান ও নিরাপত্তার ধরন এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে আজকের পত্রিকার সঙ্গে কথা বলেছেন মাস্টারকার্ডের কান্ট্রি ম্যানেজার সৈয়দ মোহাম্মদ কামাল। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন
২০ মার্চ ২০২৫