জুয়েল আহমদ, জগন্নাথপুর (সুনামগঞ্জ)
শতভাগ বিশুদ্ধ পানি নিশ্চিতের জন্য আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে সুনামগঞ্জের দুই উপজেলায় কোটি টাকা ব্যয়ে নলকূপ স্থাপন করা হয়। কিন্তু দুই বছর যেতে না যেতেই সুফল মিলছে না প্রকল্পের। যেনতেনভাবে নলকূপ স্থাপন করে ক্ষমতাসীন দলের ঠিকাদার ও জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা এ প্রকল্পের টাকা লুটপাট করেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, যেনতেনভাবে কম গভীরতায় স্থাপন করায় এসব নলকূপ থেকে এখন পানি উঠছে না। তবে কর্তৃপক্ষের দাবি, পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ায় অধিকাংশ নলকূপ অকেজো হয়ে পড়েছে। এদিকে উপজেলাজুড়ে পানির জন্য হাহাকার দেখা দিয়েছে। বিত্তবানেরা গভীর নলকূপ (ডিপ টিউবওয়েল) স্থাপন করে সমস্যা সমাধানের পথ খুঁজলেও বিপাকে পড়েছে অধিকাংশ সাধারণ পরিবার।
জানা গেছে, আওয়ামী লীগ সরকারের সময় সুনামগঞ্জ-৩ (জগন্নাথপুর-শান্তিগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য ও তৎকালীন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান শুধু তাঁর নির্বাচনী এলাকায় শতভাগ বিশুদ্ধ পানি ও স্বাস্থ্যসম্মত স্যানিটারি ল্যাট্রিন স্থাপনের জন্য অগ্রাধিকার ভিত্তিতে একটি প্রকল্প গ্রহণ করেন। কোটি টাকা বরাদ্দের ওই প্রকল্প জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের বাস্তবায়নে ২০১৯ সালের এপ্রিল থেকে কাজ শুরু করা হয়, যা শেষ হয় ২০২৩ সালের ডিসেম্বর মাসে।
প্রকল্পের তথ্য অনুযায়ী, জগন্নাথপুর উপজেলায় ২৫০০টি এবং শান্তিগঞ্জ উপজেলায় ৩৩৫০ নলকূপ বসানো হয়। এ ছাড়া প্রকল্পের মাধ্যমে জগন্নাথপুরে ৪ হাজার ৮৮০টি রিং ল্যাট্রিন এবং শান্তিগঞ্জে ৩ হাজার ৯৫০টি রিং ল্যাট্রিন বসানো হয়। প্রতি ৫ পরিবারের জন্য একটি নলকূপ স্থাপনের জন্য ফি নেওয়া হয় ৭ হাজার ১০০ টাকা। তবে স্বাস্থ্যসম্মত রিং ল্যাট্রিনের জন্য নেওয়া হয়নি কোনো ফি। ফলে হতদরিদ্র উপকারভোগীদের মধ্যে বিশুদ্ধ পানি ও স্বাস্থ্যসম্মত ল্যাট্রিনের অভাব অনেকটা দূর হয়। কিন্তু কিছুদিন যেতে না যেতেই নলকূপ থেকে পানি না ওঠায় তাদের মধ্যে হতাশার সৃষ্টি হয়।
জগন্নাথপুর পৌরসভার মইনপুর এলাকার সমেলা বেগম বলেন, নলকূপ বসানোর পর থেকেই পানি থাকে না। পানি দিয়ে পানি তুলতে হয়। রোজার মাসে সেহরির সময় পানি তুলতে অনেক কষ্ট হয়।
উপজেলার চিলাউড়া-হলদিপুর ইউনিয়নের দাসনোওয়াগাঁও গ্রামের গুনেন্দু কুমার দাস বলেন, ‘হাওরের মানুষ হিসেবে বিশুদ্ধ পানির জন্য খুব দুর্ভোগে ছিলাম। একটি নলকূপ সেই দুর্ভোগ লাঘব করেছিল। কিন্তু দুর্ভাগ্য, এখন সেই নলকূপ থেকে পানি উঠছে না।’
রানীগঞ্জ ইউনিয়নের হরিণাকান্দি গ্রামের আকিল মিয়া বলেন, এক বছর যেতে না যেতেই নলকূপ থেকে পানি না ওঠায় আবারও বাধ্য হয়ে খাল-বিল-নদীর পানি খেতে হচ্ছে। একই গ্রামের বাসিন্দা রাখাল দাস বলেন, ‘আমাদের মন্দিরে যেনতেনভাবে নলকূপ স্থাপন করায় এক দিনের জন্য পানি পাইনি। বিষয়টি জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর জগন্নাথপুর কার্যালয়ের কর্মকর্তাকে জানিয়েও সুফল মিলছে না।’
জানতে চাইলে জগন্নাথপুর উপজেলা নাগরিক অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের আহ্বায়ক এম এ কাদির বলেন, ‘ঢাকঢোল পিটিয়ে শতভাগ বিশুদ্ধ পানি ও স্বাস্থ্যসম্মত স্যানিটারি ল্যাট্রিন স্থাপন প্রকল্প গ্রহণ করা হয়। কিন্তু যেনতেনভাবে নলকূপ স্থাপন করে টাকা লুটপাট করায় এখন সুফল মিলছে না। বিষয়টি খতিয়ে দেখার দাবি জানাচ্ছি।’
এ বিষয়ে জগন্নাথপুর উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মিজানুর রহমান বলেন, বর্তমানে অধিকাংশ এলাকায় পানির স্তর নিচে নেমে গেছে, ফলে পানি উঠছে না। গভীর নলকূপ স্থাপন করে এর সমাধান করতে হবে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘ওই প্রকল্পে যেনতেনভাবে নলকূপ স্থাপনের বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। আমি অল্প কিছুদিন ধরে এই উপজেলায় অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করছি।’
শতভাগ বিশুদ্ধ পানি নিশ্চিতের জন্য আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে সুনামগঞ্জের দুই উপজেলায় কোটি টাকা ব্যয়ে নলকূপ স্থাপন করা হয়। কিন্তু দুই বছর যেতে না যেতেই সুফল মিলছে না প্রকল্পের। যেনতেনভাবে নলকূপ স্থাপন করে ক্ষমতাসীন দলের ঠিকাদার ও জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা এ প্রকল্পের টাকা লুটপাট করেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, যেনতেনভাবে কম গভীরতায় স্থাপন করায় এসব নলকূপ থেকে এখন পানি উঠছে না। তবে কর্তৃপক্ষের দাবি, পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ায় অধিকাংশ নলকূপ অকেজো হয়ে পড়েছে। এদিকে উপজেলাজুড়ে পানির জন্য হাহাকার দেখা দিয়েছে। বিত্তবানেরা গভীর নলকূপ (ডিপ টিউবওয়েল) স্থাপন করে সমস্যা সমাধানের পথ খুঁজলেও বিপাকে পড়েছে অধিকাংশ সাধারণ পরিবার।
জানা গেছে, আওয়ামী লীগ সরকারের সময় সুনামগঞ্জ-৩ (জগন্নাথপুর-শান্তিগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য ও তৎকালীন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান শুধু তাঁর নির্বাচনী এলাকায় শতভাগ বিশুদ্ধ পানি ও স্বাস্থ্যসম্মত স্যানিটারি ল্যাট্রিন স্থাপনের জন্য অগ্রাধিকার ভিত্তিতে একটি প্রকল্প গ্রহণ করেন। কোটি টাকা বরাদ্দের ওই প্রকল্প জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের বাস্তবায়নে ২০১৯ সালের এপ্রিল থেকে কাজ শুরু করা হয়, যা শেষ হয় ২০২৩ সালের ডিসেম্বর মাসে।
প্রকল্পের তথ্য অনুযায়ী, জগন্নাথপুর উপজেলায় ২৫০০টি এবং শান্তিগঞ্জ উপজেলায় ৩৩৫০ নলকূপ বসানো হয়। এ ছাড়া প্রকল্পের মাধ্যমে জগন্নাথপুরে ৪ হাজার ৮৮০টি রিং ল্যাট্রিন এবং শান্তিগঞ্জে ৩ হাজার ৯৫০টি রিং ল্যাট্রিন বসানো হয়। প্রতি ৫ পরিবারের জন্য একটি নলকূপ স্থাপনের জন্য ফি নেওয়া হয় ৭ হাজার ১০০ টাকা। তবে স্বাস্থ্যসম্মত রিং ল্যাট্রিনের জন্য নেওয়া হয়নি কোনো ফি। ফলে হতদরিদ্র উপকারভোগীদের মধ্যে বিশুদ্ধ পানি ও স্বাস্থ্যসম্মত ল্যাট্রিনের অভাব অনেকটা দূর হয়। কিন্তু কিছুদিন যেতে না যেতেই নলকূপ থেকে পানি না ওঠায় তাদের মধ্যে হতাশার সৃষ্টি হয়।
জগন্নাথপুর পৌরসভার মইনপুর এলাকার সমেলা বেগম বলেন, নলকূপ বসানোর পর থেকেই পানি থাকে না। পানি দিয়ে পানি তুলতে হয়। রোজার মাসে সেহরির সময় পানি তুলতে অনেক কষ্ট হয়।
উপজেলার চিলাউড়া-হলদিপুর ইউনিয়নের দাসনোওয়াগাঁও গ্রামের গুনেন্দু কুমার দাস বলেন, ‘হাওরের মানুষ হিসেবে বিশুদ্ধ পানির জন্য খুব দুর্ভোগে ছিলাম। একটি নলকূপ সেই দুর্ভোগ লাঘব করেছিল। কিন্তু দুর্ভাগ্য, এখন সেই নলকূপ থেকে পানি উঠছে না।’
রানীগঞ্জ ইউনিয়নের হরিণাকান্দি গ্রামের আকিল মিয়া বলেন, এক বছর যেতে না যেতেই নলকূপ থেকে পানি না ওঠায় আবারও বাধ্য হয়ে খাল-বিল-নদীর পানি খেতে হচ্ছে। একই গ্রামের বাসিন্দা রাখাল দাস বলেন, ‘আমাদের মন্দিরে যেনতেনভাবে নলকূপ স্থাপন করায় এক দিনের জন্য পানি পাইনি। বিষয়টি জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর জগন্নাথপুর কার্যালয়ের কর্মকর্তাকে জানিয়েও সুফল মিলছে না।’
জানতে চাইলে জগন্নাথপুর উপজেলা নাগরিক অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের আহ্বায়ক এম এ কাদির বলেন, ‘ঢাকঢোল পিটিয়ে শতভাগ বিশুদ্ধ পানি ও স্বাস্থ্যসম্মত স্যানিটারি ল্যাট্রিন স্থাপন প্রকল্প গ্রহণ করা হয়। কিন্তু যেনতেনভাবে নলকূপ স্থাপন করে টাকা লুটপাট করায় এখন সুফল মিলছে না। বিষয়টি খতিয়ে দেখার দাবি জানাচ্ছি।’
এ বিষয়ে জগন্নাথপুর উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মিজানুর রহমান বলেন, বর্তমানে অধিকাংশ এলাকায় পানির স্তর নিচে নেমে গেছে, ফলে পানি উঠছে না। গভীর নলকূপ স্থাপন করে এর সমাধান করতে হবে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘ওই প্রকল্পে যেনতেনভাবে নলকূপ স্থাপনের বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। আমি অল্প কিছুদিন ধরে এই উপজেলায় অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করছি।’
রাজধানীসহ সারা দেশেই সড়কে বিশৃঙ্খলার অন্যতম একটি কারণ ব্যাটারিচালিত অটোরিকশাসহ তিন চাকার যান। ঢাকার প্রধান সড়কগুলোয়ও এখন দাপিয়ে বেড়াচ্ছে ব্যাটারিচালিত রিকশা। এ কারণে প্রায়ই দুর্ঘটনাও ঘটছে। এসব কারণে ঢাকা মহানগর এলাকায় ব্যাটারিচালিত রিকশা বন্ধের নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। তার প্রতিবাদে সড়ক ও রেলপথ অ
৪ ঘণ্টা আগেরাজধানীর সেগুনবাগিচায় শিল্পকলা একাডেমির প্রধান ফটকের সামনের দৃশ্য। ইফতারের সময়ের আগে আগে সারি দিয়ে রাখা হচ্ছে ইফতারসামগ্রী। সেখানে সুশৃঙ্খলভাবে সারি বেঁধে বসে যাচ্ছেন খেটে খাওয়া মানুষেরা। সময় হতেই মুখে তুলে নিলেন পানি ও খাবার।
৪ ঘণ্টা আগেদিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে স্মার্ট কার্ড জটিলতায় দুই মাস ধরে টিসিবির পণ্য পায়নি উপজেলার প্রায় ১৯ হাজার পরিবার। পবিত্র রমজান মাসেও টিসিবির পণ্য না পাওয়ায় হতাশ হয়ে পড়েছেন তাঁরা। স্বল্প আয়ের মানুষের সুবিধার্থে ন্যায্যমূল্যে বিতরণ করা এই পণ্য স্মার্ট কার্ডের অভাবে বিতরণ সম্ভব হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন ডিলারমালিক
৪ ঘণ্টা আগেরাজধানীর লালমাটিয়া ও মোহাম্মদপুর এলাকায় সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য ২০টি আবাসিক ভবন নির্মাণ করেছে জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষ (জাগৃক)। ছয়তলাবিশিষ্ট এসব ভবনে দুটি করে ইউনিটে ১০টি ফ্ল্যাট রয়েছে। এসব আবাসিক এলাকার সৌন্দর্য ও পরিবেশ নষ্ট করে ফ্ল্যাট সম্প্রসারণসহ ভবনের ফাঁকা জায়গায় অবৈধভাবে স্থাপনা নির্
৪ ঘণ্টা আগে