Ajker Patrika

১৭ বছরেও হয়নি রাস্তা সংস্কার, চরম দুর্ভোগে এলাকাবাসী

প্রতিনিধি
১৭ বছরেও হয়নি রাস্তা সংস্কার, চরম দুর্ভোগে এলাকাবাসী

বালাগঞ্জ (সিলেট): নামে শুধু পাকা সড়ক হলেও পাকার অস্তিত্ব বিলীন হয়ে গেছে বেশ কয়েক বছর আগেই। সড়কটির দৃশ্যমান অবস্থা দেখে এখন এটিকে মাটির সড়ক বললেও ভুল হবে না। দীর্ঘ ১৭ বছর ধরে সংস্কার না হওয়ায় এভাবেই অবহেলিত অবস্থায় পড়ে আছে সিলেট বালাগঞ্জ ইউনিয়নের আদিত্যপুর-রিফাতপুর-গহরমলী সড়কটি। 

আজ বুধবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সড়কের পিচ উঠে গিয়ে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। ফলে যান চলাচলে অচলাবস্থা দেখা দিয়েছে। চলতি বর্ষায় বৃষ্টিপাতের কারণে সড়কটি কাদাজলে একাকার হয়ে গেছে। ভগ্ন দশায় নিমজ্জিত এই সড়কে চলাচলকারী দশ গ্রামের মানুষ চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে।

এলাকা ঘুরে দেখা যায়, বালাগঞ্জ-তাজপুর সড়কের আদিত্যপুর মোড় থেকে শুরু হওয়া প্রায় চার কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের সড়কটি সিলেট-সুলতানপুর-বালাগঞ্জ সড়কের সঙ্গে মিলিত হয়েছে। রাস্তাগুলো পাকাকরণেরে পর সংস্কার না হওয়ায় পিচ উঠে গিয়ে পুরো সড়ক জুড়ে অসংখ্য খানা-খন্দের সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের চরম অবহেলা আর সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের গাফিলতির কারণে দীর্ঘদিন ধরে সড়কের সংস্কার কাজ করা হচ্ছে না বলে অভিযোগ করেন স্থানীয়রা। 

স্থানীয় ও সংশ্লিষ্ট প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, ২০০৪ সালের প্রথম দিকে আদিত্যপুর মোড় থেকে রিফাতপুর গ্রাম পর্যন্ত প্রায় এক কিলোমিটার রাস্তা পাকাকরণ কাজ করা হয়েছিল। পাকাকরণের সঙ্গে সঙ্গেই ওই বছরের স্মরণ কালের ভয়াবহ বন্যায় রাস্তাটি সম্পূর্ণ ভেঙে যায়। কিন্তু প্রথম দফায় রাস্তাটি পাকাকরণের পর এখন পর্যন্ত আর কোনো ধরনের সংস্কার কাজ করা হয়নি। যোগাযোগ অব্যাহত রাখার স্বার্থে ২০১৭-১৮ সালে স্থানীয়দের উদ্যোগে রাস্তার পিচ করা অংশে ইটের কংক্রিট বিছিয়ে দেওয়া হয়েছিল। ২০১৪-১৫ অর্থ বছরে রিফাতপুর জামে মসজিদ হতে দক্ষিণ রিফাতপুর পর্যন্ত প্রায় অর্ধ কিলোমিটার এবং সিলেট-সুলতানপুর-বালাগঞ্জ সড়ক হতে চরসুবিয়া গ্রাম পর্যন্ত আরও প্রায় এক কিলোমিটার রাস্তা পাকাকরণ কাজ করা হয়েছিল। 

এদিকে রাস্তার মধ্য অংশে চরসুবিয়া গ্রাম থেকে দক্ষিণ রিফাতপুর গ্রাম পর্যন্ত প্রায় দেড় কিলোমিটার রাস্তা এখনো পাকাকরণ কাজ না হওয়ায় চরম ভোগান্তি পোহাচ্ছেন এই এলাকার লোকজন।

স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, রিফাতপুর, দক্ষিণ রিফাতপুর, চড় হাড়িয়া, চরসূবিয়া, মানন, গহরমলি, রহমতপুর, কোষারগাঁওসহ সংশ্লিষ্ট এলাকার প্রায় দশটি গ্রামের মানুষের চলাচলের এই সড়কটি চরম অবহেলায় পড়ে আছে। বালাগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল মুনিম ও ইউপি সদস্য মো. মোশাহীদ আলী ইউনিয়ন পরিষদের বরাদ্দ থেকে ২০২০ সালের শুরুর দিকে এই সড়কের দেড় কিলোমিটার অংশে মাটি ভরাটের কাজ সম্পন্ন করেন। যদিও মাটি ভরাট কাজে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে পর্যাপ্ত বরাদ্দ মেলেনি। তারপরও এলাকার মানুষের দুর্ভোগের কথা চিন্তা করে চেয়ারম্যানের ব্যক্তিগত অর্থায়নে মাটির ভরাটের কাজ সম্পূর্ণ করা হয়। 

এ বিষয়ে বালাগঞ্জ উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী (অতিরিক্ত দায়িত্ব) এস. আর. এম. জি. কিবরিয়া বলেন, বিগত দিনে এই সড়কের সংস্কার কাজের জন্য অনুমোদিত প্রকল্পে পর্যাপ্ত বরাদ্দ মেলেনি তাই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ নিতে আগ্রহী হয়নি। সংস্কার কাজে পর্যাপ্ত চাহিদার কথা উল্লেখ করে প্রকল্প প্রস্তাব পাঠানো হলেও সিলেট বিভাগে এ ধরনের প্রকল্পগুলোর অনুমোদন বন্ধ থাকায় বরাদ্দ পাওয়া যাচ্ছে না বলে অভিযোগ করেন এই কর্মকর্তা। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী হলেন ক্যালিফোর্নিয়ার পরিবহন বিশেষজ্ঞ

‘তল্লাশির’ জন্য উসকানি দিয়েছে গুলশানের ওই বাসার সাবেক কেয়ারটেকার: প্রেস উইং

প্রধান উপদেষ্টার আরও দুই বিশেষ সহকারী নিয়োগ

তানভীর ইমামের বাড়ি ভেবে গুলশানের একটি বাসায় মধ্যরাতে শতাধিক ব্যক্তির অনুপ্রবেশ, তছনছ

৬ জ্যান্ত হাতি নিয়ে রাশিয়ায় মিয়ানমারের জান্তাপ্রধান, উচ্ছ্বসিত পুতিন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত