Ajker Patrika

গোলাপগঞ্জে পানিবন্দী লক্ষাধিক মানুষ, নৌকার সংকট

গোলাপগঞ্জ (সিলেট) প্রতিনিধি 
আপডেট : ১৯ জুন ২০২২, ১৮: ৩৮
গোলাপগঞ্জে পানিবন্দী লক্ষাধিক মানুষ, নৌকার সংকট

সিলেটের গোলাপগঞ্জে উজান থেকে নেমে আসা ঢল ও ভারী বর্ষণের কারণে সুরমা ও কুশিয়ারা নদীর পানি ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে। এতে উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করছে। বন্যায় গোলাপগঞ্জ পৌরসভাসহ উপজেলার ১১টি ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হয়েছে। এতে উপজেলাজুড়ে লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দী অবস্থায় রয়েছে।

বন্যার্তদের জন্য উপজেলার বাঘা ইউনিয়নে পাঁচটি ও পৌর এলাকায় দুটি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। বাঘা ইউনিয়নের আশ্রয়কেন্দ্রগুলো হলো—নলুয়া কান্দিগ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, দক্ষিণ বাঘা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পূর্বগাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, উত্তর গোলাপনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও পালানডুলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। 

পৌর এলাকার আশ্রয়কেন্দ্রগুলো হলো হাজি জছির আলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং এমসি একাডেমি মডেল স্কুল ও কলেজ। 

জানা গেছে, বন্যায় উপজেলার বাঘা ইউনিয়নে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ ইউনিয়নের প্রায় ৯০ শতাংশ গ্রাম পানির নিচে তলিয়ে গেছে। এ ইউনিয়নের মধ্য দিয়ে অবস্থিত বোরহান উদ্দিন সড়ক এরই মধ্যে প্রায় ৫ ফুট পানির নিচে রয়েছে। কানাইঘাট, সিলেট সদর ও বাঘা ইউনিয়নের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপনকারী সড়কটি পানির নিচে নিমজ্জিত থাকায় যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। অন্যদিকে পানিবন্দী এলাকায় দেখা দিয়েছে নৌকার সংকট। পর্যাপ্ত নৌকা না থাকায় পানিবন্দী মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে বিড়ম্বনায় পড়ছে। 

শুধু তাই নয়, গোলাপগঞ্জ সদর ইউনিয়নের বেশির ভাগ এলাকা পানির নিচে রয়েছে। গোলাপগঞ্জ পৌরসভার সুরমাতীরবর্তী সরস্বতী, কান্দিগাঁওসহ বেশ কিছু এলাকা বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়েছে। এ ছাড়া গোলাপগঞ্জ বাজারের কাঁচাবাজার সুরমার পানিতে প্লাবিত হয়েছে। বাজারের অন্যতম সড়ক আহমদ খান রোডে পানি উঠেছে। এতে পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন দোকানপাটে পানি ঢুকে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এ ছাড়া উপজেলার ঢাকা দক্ষিণ বাজারে চতুর্থবারের মতো জোয়ার নেমেছে। এতে দুই শতাধিক দোকানে পানি ঢুকে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। 

উপজেলার ফুলবাড়ী ইউনিয়নের শিংপুর, হিলাপুর গ্রাম বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়েছে। শরীফগঞ্জ, বুধবারী বাজার, ঢাকা দক্ষিণ, ভাদেশ্বর ও বাদেপাশা ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।

এ বিষয়ে বাঘা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুস সামাদ বলেন, এ ইউনিয়নের প্রায় ৯০ শতাংশ এলাকার মানুষ পানিবন্দী রয়েছে। তাই পানিবন্দী মানুষদের আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে নেওয়া হচ্ছে। 

গোলাপগঞ্জ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান বলেন, বানভাসি মানুষের মধ্যে ২৪ টন চাল বিতরণ করা হয়েছে। তবে নৌকার সংকট থাকায় পানিবন্দী মানুষের কাছে পৌঁছানো কঠিন হয়ে পড়েছে। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

প্রশিক্ষণ ছাড়াই মাঠে ৪২৬ সহায়ক পুলিশ কর্মকর্তা

গ্রাহকের ২,৬৩৫ কোটি টাকা দিচ্ছে না ৪৬ বিমা কোম্পানি

‘এই টাকা দিয়ে কী হয়, আমি এত চাপ নিচ্ছি, লাখ পাঁচেক দিতে বলো’, ওসির অডিও ফাঁস

মারধর করে ছাত্রলীগ কর্মীর পিঠে পাড়া দিয়ে অটোরিকশায় শহর ঘোরাল ছাত্রদল, সঙ্গে উচ্চ স্বরে গান

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়: তিন দফা দাবিতে সোমবার মাঠে নামছেন শিক্ষার্থীরা

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত