Ajker Patrika

সিলেটে পরিবহনশ্রমিকদের কর্মবিরতি, ভোগান্তি সাধারণ মানুষের

সিলেট প্রতিনিধি
আপডেট : ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৬: ০৮
Thumbnail image

সিলেটে চলছে শ্রমিকদের পাঁচ দফা দাবিতে ডাকা পরিবহন কর্মবিরতি। আজ বুধবার সকাল থেকে এ কর্মবিরতি শুরু করেন তাঁরা। এতে বিপাকে পড়েছেন শিক্ষার্থী, চাকরিজীবীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। এর আগে গতকাল মঙ্গলবার অনির্দিষ্টকালের পরিবহন কর্মবিরতির ডাক দেন জেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক ঐক্য পরিষদের নেতারা।

গ্যাসের সংকট সমাধান, রাজনৈতিক মামলায় শ্রমিকনেতাকে জড়ানো, সড়ক দুর্ঘটনার মামলায় চালকদের জামিন, পরিষেবা আইন বাতিল ও দেড় বছর আগে গোলাপগঞ্জে ইউপি নির্বাচনের সময় গ্রেপ্তার চারজন শ্রমিকনেতার মুক্তির দাবিতে এই কর্মবিরতি ঘোষণা করেন তাঁরা।

নগরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট ঘুরে দেখা যায়, পরিবহন ধর্মঘটের কারণে সিলেট থেকে ছেড়ে যাচ্ছে না দূরপাল্লার কোনো যানবাহন। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন দূরের যাত্রীরা। এদিকে আজ বুধবার চলছে এসএসসি ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রি প্রথম বর্ষের পরীক্ষা। সকাল থেকেই শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা দিতে বের হন। যাদের আগে থেকেই গাড়ি রিজার্ভ করা ছিল তাঁরা ততটা সমস্যায় না পড়লেও অন্যরা পড়ছেন সমস্যায়। রাস্তায় কোনো সিএনজিচালিত অটোরিকশা নেই। আর যারা কোনোক্রমে গাড়ি পেয়ে যাচ্ছেন, পথিমধ্যে তাঁরা পড়ছেন সমস্যায়। প্রতিটি পয়েন্টেই গাড়ি আটকানো হচ্ছে। পরীক্ষার্থীর গাড়িতে দেখলেও তাদের গাড়ি আটকে করা হচ্ছে হয়রানি।

সাধারণ যাত্রীদের পরিস্থিতিও মোটেই ভালো নয়। কোনোভাবেই গাড়ি পাচ্ছেন না। উবার, মোটরসাইকেল-রিকশা পেলেও দ্বিগুণেরও বেশি ভাড়া দিতে হচ্ছে কোথাও যেতে। যাঁদের কাজের তাড়া আছে, তাঁরা বেশি ভাড়া দিয়ে গন্তব্য ছুটছেন।

এ ছাড়া পর্যটননগরী সিলেটে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে বেড়াতে আসা পর্যটকেরাও আটকা পড়েছেন। সকাল থেকে সিলেট নগরের সব গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে পরিবহনশ্রমিকেরা গাড়ি আটকে দিতে দেখা যায়।

ডিগ্রি পরীক্ষা দিতে যাওয়া এমসি কলেজের শিক্ষার্থী রুবেল আহমদ পাঠানটুলা পয়েন্টে দাঁড়িয়ে ছিলেন গাড়ির অপেক্ষায়। এ সময় তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, আধা ঘণ্টা ধরে গাড়ির জন্য অপেক্ষা করতেছি। গাড়ি পাচ্ছি না। শেষমেশ গাড়ি না পেলে অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে উবারের মোটরসাইকেলে করেই চলে যাবো।

কিছু সিএনজিচালিত অটোরিকশা চললেও প্রতিটি পয়েন্টেই গাড়ি আটকানো হচ্ছে।সুবিদ বাজার পয়েন্টে দাঁড়ানো আবুল হোসেন বলেন, ‘দুই দিন পরপর অবরোধ আর ধর্মঘট। কে শুনে কার কথা! বিপদে পড়ি আমরা সাধারণ যাত্রীরা। গাড়ি পাচ্ছি না অনেকক্ষণ ধরে। এভাবে চলতে থাকলে কাজ-কর্ম সব বাদ দিয়ে দিতে হবে। সিএনজিচালিত অটোরিকশা পাচ্ছি না। রিকশা পেলেও দ্বিগুণেরও বেশি ভাড়া বলছে।’

নগরের পাঠানটুলা পয়েন্টে আন্দোলন করা অটোরিকশাচালক মানিক মিয়া বলেন, ‘আমরা আমাদের পেটের দায়ে এই আন্দোলন করতেছি। গ্যাসের জন্য সারা দিন ধরে লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। আমাদের সব সমস্যার সমাধান করে দিলে আমরা এই আন্দোলন বন্ধ করে দেব।’

সিলেট জেলা সড়ক পরিবহন বিভাগীয় কমিটির সভাপতি হাজী ময়নুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘পাঁচ দফা দাবিতে আমরা অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি পালন করছি। এখন প্রশাসন থাকি আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। মিটিং চলতেছে। ভালো সমাধান হলে আমরা কর্মবিরতি তুলে নেব।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত