সিলেট প্রতিনিধি
সিলেটে চলছে শ্রমিকদের পাঁচ দফা দাবিতে ডাকা পরিবহন কর্মবিরতি। আজ বুধবার সকাল থেকে এ কর্মবিরতি শুরু করেন তাঁরা। এতে বিপাকে পড়েছেন শিক্ষার্থী, চাকরিজীবীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। এর আগে গতকাল মঙ্গলবার অনির্দিষ্টকালের পরিবহন কর্মবিরতির ডাক দেন জেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক ঐক্য পরিষদের নেতারা।
গ্যাসের সংকট সমাধান, রাজনৈতিক মামলায় শ্রমিকনেতাকে জড়ানো, সড়ক দুর্ঘটনার মামলায় চালকদের জামিন, পরিষেবা আইন বাতিল ও দেড় বছর আগে গোলাপগঞ্জে ইউপি নির্বাচনের সময় গ্রেপ্তার চারজন শ্রমিকনেতার মুক্তির দাবিতে এই কর্মবিরতি ঘোষণা করেন তাঁরা।
নগরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট ঘুরে দেখা যায়, পরিবহন ধর্মঘটের কারণে সিলেট থেকে ছেড়ে যাচ্ছে না দূরপাল্লার কোনো যানবাহন। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন দূরের যাত্রীরা। এদিকে আজ বুধবার চলছে এসএসসি ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রি প্রথম বর্ষের পরীক্ষা। সকাল থেকেই শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা দিতে বের হন। যাদের আগে থেকেই গাড়ি রিজার্ভ করা ছিল তাঁরা ততটা সমস্যায় না পড়লেও অন্যরা পড়ছেন সমস্যায়। রাস্তায় কোনো সিএনজিচালিত অটোরিকশা নেই। আর যারা কোনোক্রমে গাড়ি পেয়ে যাচ্ছেন, পথিমধ্যে তাঁরা পড়ছেন সমস্যায়। প্রতিটি পয়েন্টেই গাড়ি আটকানো হচ্ছে। পরীক্ষার্থীর গাড়িতে দেখলেও তাদের গাড়ি আটকে করা হচ্ছে হয়রানি।
সাধারণ যাত্রীদের পরিস্থিতিও মোটেই ভালো নয়। কোনোভাবেই গাড়ি পাচ্ছেন না। উবার, মোটরসাইকেল-রিকশা পেলেও দ্বিগুণেরও বেশি ভাড়া দিতে হচ্ছে কোথাও যেতে। যাঁদের কাজের তাড়া আছে, তাঁরা বেশি ভাড়া দিয়ে গন্তব্য ছুটছেন।
এ ছাড়া পর্যটননগরী সিলেটে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে বেড়াতে আসা পর্যটকেরাও আটকা পড়েছেন। সকাল থেকে সিলেট নগরের সব গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে পরিবহনশ্রমিকেরা গাড়ি আটকে দিতে দেখা যায়।
ডিগ্রি পরীক্ষা দিতে যাওয়া এমসি কলেজের শিক্ষার্থী রুবেল আহমদ পাঠানটুলা পয়েন্টে দাঁড়িয়ে ছিলেন গাড়ির অপেক্ষায়। এ সময় তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, আধা ঘণ্টা ধরে গাড়ির জন্য অপেক্ষা করতেছি। গাড়ি পাচ্ছি না। শেষমেশ গাড়ি না পেলে অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে উবারের মোটরসাইকেলে করেই চলে যাবো।
সুবিদ বাজার পয়েন্টে দাঁড়ানো আবুল হোসেন বলেন, ‘দুই দিন পরপর অবরোধ আর ধর্মঘট। কে শুনে কার কথা! বিপদে পড়ি আমরা সাধারণ যাত্রীরা। গাড়ি পাচ্ছি না অনেকক্ষণ ধরে। এভাবে চলতে থাকলে কাজ-কর্ম সব বাদ দিয়ে দিতে হবে। সিএনজিচালিত অটোরিকশা পাচ্ছি না। রিকশা পেলেও দ্বিগুণেরও বেশি ভাড়া বলছে।’
নগরের পাঠানটুলা পয়েন্টে আন্দোলন করা অটোরিকশাচালক মানিক মিয়া বলেন, ‘আমরা আমাদের পেটের দায়ে এই আন্দোলন করতেছি। গ্যাসের জন্য সারা দিন ধরে লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। আমাদের সব সমস্যার সমাধান করে দিলে আমরা এই আন্দোলন বন্ধ করে দেব।’
সিলেট জেলা সড়ক পরিবহন বিভাগীয় কমিটির সভাপতি হাজী ময়নুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘পাঁচ দফা দাবিতে আমরা অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি পালন করছি। এখন প্রশাসন থাকি আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। মিটিং চলতেছে। ভালো সমাধান হলে আমরা কর্মবিরতি তুলে নেব।’
সিলেটে চলছে শ্রমিকদের পাঁচ দফা দাবিতে ডাকা পরিবহন কর্মবিরতি। আজ বুধবার সকাল থেকে এ কর্মবিরতি শুরু করেন তাঁরা। এতে বিপাকে পড়েছেন শিক্ষার্থী, চাকরিজীবীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। এর আগে গতকাল মঙ্গলবার অনির্দিষ্টকালের পরিবহন কর্মবিরতির ডাক দেন জেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক ঐক্য পরিষদের নেতারা।
গ্যাসের সংকট সমাধান, রাজনৈতিক মামলায় শ্রমিকনেতাকে জড়ানো, সড়ক দুর্ঘটনার মামলায় চালকদের জামিন, পরিষেবা আইন বাতিল ও দেড় বছর আগে গোলাপগঞ্জে ইউপি নির্বাচনের সময় গ্রেপ্তার চারজন শ্রমিকনেতার মুক্তির দাবিতে এই কর্মবিরতি ঘোষণা করেন তাঁরা।
নগরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট ঘুরে দেখা যায়, পরিবহন ধর্মঘটের কারণে সিলেট থেকে ছেড়ে যাচ্ছে না দূরপাল্লার কোনো যানবাহন। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন দূরের যাত্রীরা। এদিকে আজ বুধবার চলছে এসএসসি ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রি প্রথম বর্ষের পরীক্ষা। সকাল থেকেই শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা দিতে বের হন। যাদের আগে থেকেই গাড়ি রিজার্ভ করা ছিল তাঁরা ততটা সমস্যায় না পড়লেও অন্যরা পড়ছেন সমস্যায়। রাস্তায় কোনো সিএনজিচালিত অটোরিকশা নেই। আর যারা কোনোক্রমে গাড়ি পেয়ে যাচ্ছেন, পথিমধ্যে তাঁরা পড়ছেন সমস্যায়। প্রতিটি পয়েন্টেই গাড়ি আটকানো হচ্ছে। পরীক্ষার্থীর গাড়িতে দেখলেও তাদের গাড়ি আটকে করা হচ্ছে হয়রানি।
সাধারণ যাত্রীদের পরিস্থিতিও মোটেই ভালো নয়। কোনোভাবেই গাড়ি পাচ্ছেন না। উবার, মোটরসাইকেল-রিকশা পেলেও দ্বিগুণেরও বেশি ভাড়া দিতে হচ্ছে কোথাও যেতে। যাঁদের কাজের তাড়া আছে, তাঁরা বেশি ভাড়া দিয়ে গন্তব্য ছুটছেন।
এ ছাড়া পর্যটননগরী সিলেটে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে বেড়াতে আসা পর্যটকেরাও আটকা পড়েছেন। সকাল থেকে সিলেট নগরের সব গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে পরিবহনশ্রমিকেরা গাড়ি আটকে দিতে দেখা যায়।
ডিগ্রি পরীক্ষা দিতে যাওয়া এমসি কলেজের শিক্ষার্থী রুবেল আহমদ পাঠানটুলা পয়েন্টে দাঁড়িয়ে ছিলেন গাড়ির অপেক্ষায়। এ সময় তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, আধা ঘণ্টা ধরে গাড়ির জন্য অপেক্ষা করতেছি। গাড়ি পাচ্ছি না। শেষমেশ গাড়ি না পেলে অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে উবারের মোটরসাইকেলে করেই চলে যাবো।
সুবিদ বাজার পয়েন্টে দাঁড়ানো আবুল হোসেন বলেন, ‘দুই দিন পরপর অবরোধ আর ধর্মঘট। কে শুনে কার কথা! বিপদে পড়ি আমরা সাধারণ যাত্রীরা। গাড়ি পাচ্ছি না অনেকক্ষণ ধরে। এভাবে চলতে থাকলে কাজ-কর্ম সব বাদ দিয়ে দিতে হবে। সিএনজিচালিত অটোরিকশা পাচ্ছি না। রিকশা পেলেও দ্বিগুণেরও বেশি ভাড়া বলছে।’
নগরের পাঠানটুলা পয়েন্টে আন্দোলন করা অটোরিকশাচালক মানিক মিয়া বলেন, ‘আমরা আমাদের পেটের দায়ে এই আন্দোলন করতেছি। গ্যাসের জন্য সারা দিন ধরে লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। আমাদের সব সমস্যার সমাধান করে দিলে আমরা এই আন্দোলন বন্ধ করে দেব।’
সিলেট জেলা সড়ক পরিবহন বিভাগীয় কমিটির সভাপতি হাজী ময়নুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘পাঁচ দফা দাবিতে আমরা অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি পালন করছি। এখন প্রশাসন থাকি আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। মিটিং চলতেছে। ভালো সমাধান হলে আমরা কর্মবিরতি তুলে নেব।’
চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে সোনামসজিদ স্থলবন্দরে যাওয়ার রাস্তাটিতে খানাখন্দ সৃষ্টি হওয়ায় চরম জনদুর্ভোগ দেখা দিয়েছে। জানা গেছে, কয়েক দিনের টানা বৃষ্টিতে চাঁপাইনবাবগঞ্জ-সোনামসজিদ মহাসড়কের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। চাঁপাইনবাবগঞ্জের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এ সড়কে টানা কয়েকদিনের বৃষ্টিতে খানাখন্দ সৃষ্টি হয়। এতে করে
৪ ঘণ্টা আগেদিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (হাবিপ্রবি) জুলাই অভ্যুত্থানে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় শাস্তি পাচ্ছেন নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। গত বছরের ১৫ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত এসব হামলার তদন্তে গঠিত ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটির সুপারিশ করা ১০২ জনের শাস
৪ ঘণ্টা আগেময়মনসিংহে নির্মিত হচ্ছে বহুল প্রত্যাশিত হাই-টেক পার্ক। তবে দেশে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের জেরে গত বছরের ৫ আগস্টের পর থমকে যায় প্রকল্পের কাজ। সাত মাস বন্ধ থাকার পর এখন ধীরগতিতে চলছে পার্কটির নির্মাণ। ইতিমধ্যে এক দফা প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানোর পর আরেক দফা বৃদ্ধির আবেদন করা হয়েছে। তবে পুরোদমে কাজ শুরু করা না
৪ ঘণ্টা আগেএকপশলা বৃষ্টি হলেই জলাবদ্ধতা দেখা দেয় বেনাপোল স্থলবন্দরে। টানা বৃষ্টি হলে তো কথাই নেই। পণ্যাগারে পানি ঢুকে নষ্ট হয় শত শত কোটি টাকার আমদানি পণ্য। ক্ষতির মুখে পড়েন ব্যবসায়ীরা, ভোগান্তি বাড়ে শ্রমিকদের।
৫ ঘণ্টা আগে