ময়মনসিংহ হাই-টেক পার্ক
ইলিয়াস আহমেদ, ময়মনসিংহ
ময়মনসিংহে নির্মিত হচ্ছে বহুল প্রত্যাশিত হাই-টেক পার্ক। তবে দেশে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের জেরে গত বছরের ৫ আগস্টের পর থমকে যায় প্রকল্পের কাজ। সাত মাস বন্ধ থাকার পর এখন ধীরগতিতে চলছে পার্কটির নির্মাণ। ইতিমধ্যে এক দফা প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানোর পর আরেক দফা বৃদ্ধির আবেদন করা হয়েছে। তবে পুরোদমে কাজ শুরু করা না গেলে সেই সময়েও প্রকল্পটি সম্পন্ন করা যাবে না বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
প্রকল্প সূত্রে জানা গেছে, ময়মনসিংহ নগরের কিসমত এলাকায় ছয় দশমিক এক একর জমিতে পার্ক নির্মাণে ২০১৭ সালে দরপত্র আহ্বান করা হয়। ২০২২ সালের জুনে নির্মাণকাজ শুরু করে ভারতীয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান লারসেন অ্যান্ড টুব্রু (এলঅ্যান্ডটি) এবং পরামর্শক প্রতিষ্ঠান ভয়েন্টস সলিউশন প্রাইভেট লিমিটেড। সাততলাবিশিষ্ট প্রকল্পটির ব্যয় ধরা হয় ১৫৩ কোটি টাকা। প্রতি তলায় জায়গা থাকবে ১৫ হাজার বর্গফুট।
এই কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল ২০২৪ সালের জুনে। পরে নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ না হলে প্রকল্পের মেয়াদ আরও এক বছর বাড়ানো হয়। তাতেও কাজ শেষ করতে না পারায় ২০২৬ সালের জুন পর্যন্ত প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানোর জন্য আবেদন করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত কাজ শেষ হয়েছে ৫৫ শতাংশ। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, পুরোদমে কাজ করার সুযোগ পেলে সম্পন্ন হতে সময় লাগবে আরও এক বছর।
সম্প্রতি সরেজমিনে দেখা গেছে, নির্মাণকাজে নিয়োজিত আছেন ৫০-৬০ শ্রমিক; যেখানে ২৫০-৩০০ শ্রমিক কাজ করার কথা ছিল। গত ৩০ জুন পরামর্শক প্রতিষ্ঠান কাজ ফেলে ভারতে চলে গেলে দুশ্চিন্তা বাড়ে কর্মকর্তাদের। তাঁরা বলছেন, আগের নকশা অনুযায়ী কাজ করা হচ্ছে। তবে দ্রুত পরামর্শক প্রতিষ্ঠান না ফিরলে বা নতুন নিয়োগ না হলে বন্ধ হয়ে যাবে কাজ।
প্রকল্পটির দেখভালের দায়িত্বে থাকা উপসহকারী প্রকৌশলী (ইলেকট্রিক্যাল) মোস্তাক আহমেদ বলেন, ‘সরকার পরিবর্তন হলে ভারতীয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে কাজ ফেলে চলে যায়। তখন প্রায় সাত মাস কাজ বন্ধ ছিল। পরিবেশ-পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হলে আবার কাজ শুরু হয়। তবে সেটা অনেকটাই সীমিত পরিসরে। যেখানে ৩০০ শ্রমিক কাজ করত, সেখানে এখন করছে ৫০-৬০ জন। এখন নতুন করে উদ্বেগের কারণ হলো পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের চলে যাওয়া। তবে আমরা পুরোদমে কাজ শুরু করতে পারলে এক বছরের মধ্যে সম্পন্ন হয়ে যাবে।’
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এলঅ্যান্ডটির প্রকৌশলী জসিম উদ্দিন বলেন, ‘এই প্রকল্পে আমি নতুন যোগদান করেছি। সবকিছু বুঝতেও একটু সময় লাগছে। কাজ ধাপে ধাপে শুরু করা হচ্ছে। পুরোদমে শুরু করতে পারলে এক বছরের মধ্যে সরকারকে বুঝিয়ে দিতে পারব।’
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, প্রকল্পটি সম্পন্ন হলে কর্মসংস্থান হবে হাজার মানুষের। প্রতিবছর বিনা মূল্যে প্রশিক্ষণ নিয়ে নিজেকে গড়ে তোলার সুযোগ পাবে ১ হাজার তরুণ-তরুণী। স্থানীয়রা বলছেন, গতি ফিরিয়ে দ্রুত সম্পন্ন করা হোক নির্মাণ।
কিসমতপুরের বাসিন্দা হাবিবুল ইসলাম বলেন, ‘এটি শুধু একটি প্রকল্প নয়, এখানে আমাদের আবেগ জড়িয়ে আছে। প্রকল্প শুরুর দিকে জায়গা-জমি নিয়ে কিছুটা সমস্যা হলেও আমরা আগ্রহভরে জমি দিয়েছি। প্রকল্পের কাজ পুরোদমে শুরু হওয়ার মাধ্যমে দ্রুত সম্পন্ন হোক, সেটাই চাচ্ছি।’
আনন্দ মোহন কলেজের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ আহমেদ বলেন, ‘বর্তমানে চাকরি পাওয়া খুব কঠিন। আইটি পার্কের কাজ সম্পন্ন হলে সেখানে প্রশিক্ষণ নিয়ে জীবনকে সাজাতে চাই। আমার মতো অনেক তরুণের স্বপ্ন এই পার্ক। কোনো কারণে যেন কাজের গতি না হারায়, সরকারকে সে দিকে বিশেষ নজর রাখার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি।’
এ নিয়ে যোগাযোগ করা হলে তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিভাগের যুগ্ম সচিব এবং প্রকল্প পরিচালক আশরাফুল মুমিন খান বলেন, ‘রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর ঠিকাদার ও পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের ভারতে চলে যাওয়ায় কাজে স্থবিরতা দেখা দেয়। কাজটি পুরোপুরি সম্পন্ন করতে আরও এক বছর সময় বাড়ানোর জন্য আবেদন করা হয়েছে। আমরা পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগাযোগ করছি। তারা কাজে ফিরতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। আশা করছি দু-এক মাসের মধ্যে চলেও আসবে।’
ময়মনসিংহে নির্মিত হচ্ছে বহুল প্রত্যাশিত হাই-টেক পার্ক। তবে দেশে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের জেরে গত বছরের ৫ আগস্টের পর থমকে যায় প্রকল্পের কাজ। সাত মাস বন্ধ থাকার পর এখন ধীরগতিতে চলছে পার্কটির নির্মাণ। ইতিমধ্যে এক দফা প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানোর পর আরেক দফা বৃদ্ধির আবেদন করা হয়েছে। তবে পুরোদমে কাজ শুরু করা না গেলে সেই সময়েও প্রকল্পটি সম্পন্ন করা যাবে না বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
প্রকল্প সূত্রে জানা গেছে, ময়মনসিংহ নগরের কিসমত এলাকায় ছয় দশমিক এক একর জমিতে পার্ক নির্মাণে ২০১৭ সালে দরপত্র আহ্বান করা হয়। ২০২২ সালের জুনে নির্মাণকাজ শুরু করে ভারতীয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান লারসেন অ্যান্ড টুব্রু (এলঅ্যান্ডটি) এবং পরামর্শক প্রতিষ্ঠান ভয়েন্টস সলিউশন প্রাইভেট লিমিটেড। সাততলাবিশিষ্ট প্রকল্পটির ব্যয় ধরা হয় ১৫৩ কোটি টাকা। প্রতি তলায় জায়গা থাকবে ১৫ হাজার বর্গফুট।
এই কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল ২০২৪ সালের জুনে। পরে নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ না হলে প্রকল্পের মেয়াদ আরও এক বছর বাড়ানো হয়। তাতেও কাজ শেষ করতে না পারায় ২০২৬ সালের জুন পর্যন্ত প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানোর জন্য আবেদন করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত কাজ শেষ হয়েছে ৫৫ শতাংশ। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, পুরোদমে কাজ করার সুযোগ পেলে সম্পন্ন হতে সময় লাগবে আরও এক বছর।
সম্প্রতি সরেজমিনে দেখা গেছে, নির্মাণকাজে নিয়োজিত আছেন ৫০-৬০ শ্রমিক; যেখানে ২৫০-৩০০ শ্রমিক কাজ করার কথা ছিল। গত ৩০ জুন পরামর্শক প্রতিষ্ঠান কাজ ফেলে ভারতে চলে গেলে দুশ্চিন্তা বাড়ে কর্মকর্তাদের। তাঁরা বলছেন, আগের নকশা অনুযায়ী কাজ করা হচ্ছে। তবে দ্রুত পরামর্শক প্রতিষ্ঠান না ফিরলে বা নতুন নিয়োগ না হলে বন্ধ হয়ে যাবে কাজ।
প্রকল্পটির দেখভালের দায়িত্বে থাকা উপসহকারী প্রকৌশলী (ইলেকট্রিক্যাল) মোস্তাক আহমেদ বলেন, ‘সরকার পরিবর্তন হলে ভারতীয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে কাজ ফেলে চলে যায়। তখন প্রায় সাত মাস কাজ বন্ধ ছিল। পরিবেশ-পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হলে আবার কাজ শুরু হয়। তবে সেটা অনেকটাই সীমিত পরিসরে। যেখানে ৩০০ শ্রমিক কাজ করত, সেখানে এখন করছে ৫০-৬০ জন। এখন নতুন করে উদ্বেগের কারণ হলো পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের চলে যাওয়া। তবে আমরা পুরোদমে কাজ শুরু করতে পারলে এক বছরের মধ্যে সম্পন্ন হয়ে যাবে।’
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এলঅ্যান্ডটির প্রকৌশলী জসিম উদ্দিন বলেন, ‘এই প্রকল্পে আমি নতুন যোগদান করেছি। সবকিছু বুঝতেও একটু সময় লাগছে। কাজ ধাপে ধাপে শুরু করা হচ্ছে। পুরোদমে শুরু করতে পারলে এক বছরের মধ্যে সরকারকে বুঝিয়ে দিতে পারব।’
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, প্রকল্পটি সম্পন্ন হলে কর্মসংস্থান হবে হাজার মানুষের। প্রতিবছর বিনা মূল্যে প্রশিক্ষণ নিয়ে নিজেকে গড়ে তোলার সুযোগ পাবে ১ হাজার তরুণ-তরুণী। স্থানীয়রা বলছেন, গতি ফিরিয়ে দ্রুত সম্পন্ন করা হোক নির্মাণ।
কিসমতপুরের বাসিন্দা হাবিবুল ইসলাম বলেন, ‘এটি শুধু একটি প্রকল্প নয়, এখানে আমাদের আবেগ জড়িয়ে আছে। প্রকল্প শুরুর দিকে জায়গা-জমি নিয়ে কিছুটা সমস্যা হলেও আমরা আগ্রহভরে জমি দিয়েছি। প্রকল্পের কাজ পুরোদমে শুরু হওয়ার মাধ্যমে দ্রুত সম্পন্ন হোক, সেটাই চাচ্ছি।’
আনন্দ মোহন কলেজের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ আহমেদ বলেন, ‘বর্তমানে চাকরি পাওয়া খুব কঠিন। আইটি পার্কের কাজ সম্পন্ন হলে সেখানে প্রশিক্ষণ নিয়ে জীবনকে সাজাতে চাই। আমার মতো অনেক তরুণের স্বপ্ন এই পার্ক। কোনো কারণে যেন কাজের গতি না হারায়, সরকারকে সে দিকে বিশেষ নজর রাখার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি।’
এ নিয়ে যোগাযোগ করা হলে তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিভাগের যুগ্ম সচিব এবং প্রকল্প পরিচালক আশরাফুল মুমিন খান বলেন, ‘রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর ঠিকাদার ও পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের ভারতে চলে যাওয়ায় কাজে স্থবিরতা দেখা দেয়। কাজটি পুরোপুরি সম্পন্ন করতে আরও এক বছর সময় বাড়ানোর জন্য আবেদন করা হয়েছে। আমরা পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগাযোগ করছি। তারা কাজে ফিরতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। আশা করছি দু-এক মাসের মধ্যে চলেও আসবে।’
চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে সোনামসজিদ স্থলবন্দরে যাওয়ার রাস্তাটিতে খানাখন্দ সৃষ্টি হওয়ায় চরম জনদুর্ভোগ দেখা দিয়েছে। জানা গেছে, কয়েক দিনের টানা বৃষ্টিতে চাঁপাইনবাবগঞ্জ-সোনামসজিদ মহাসড়কের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। চাঁপাইনবাবগঞ্জের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এ সড়কে টানা কয়েকদিনের বৃষ্টিতে খানাখন্দ সৃষ্টি হয়। এতে করে
৩ ঘণ্টা আগেদিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (হাবিপ্রবি) জুলাই অভ্যুত্থানে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় শাস্তি পাচ্ছেন নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। গত বছরের ১৫ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত এসব হামলার তদন্তে গঠিত ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটির সুপারিশ করা ১০২ জনের শাস
৪ ঘণ্টা আগেএকপশলা বৃষ্টি হলেই জলাবদ্ধতা দেখা দেয় বেনাপোল স্থলবন্দরে। টানা বৃষ্টি হলে তো কথাই নেই। পণ্যাগারে পানি ঢুকে নষ্ট হয় শত শত কোটি টাকার আমদানি পণ্য। ক্ষতির মুখে পড়েন ব্যবসায়ীরা, ভোগান্তি বাড়ে শ্রমিকদের।
৪ ঘণ্টা আগেচাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুরে বোরো মৌসুমে কৃষি অফিসের তালিকাভুক্ত কৃষকদের পরিবর্তে বহিরাগত সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে ধান নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে খাদ্যগুদাম (এলএসডি) কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। অনলাইনে আবেদন করে প্রান্তিক কৃষকদের কাছ থেকে ধান নেওয়ার কথা থাকলেও এই উপজেলায় হয়েছে উল্টো। এতে ক্ষতির মুখে পড়েছেন
৪ ঘণ্টা আগে