Ajker Patrika

হবিগঞ্জের ফুসফুস পুরোনো খোয়াই নদ দখলমুক্ত করার দাবি

হবিগঞ্জ প্রতিনিধি
আপডেট : ১৮ জুলাই ২০২৫, ১৯: ২৪
পুরোনো খোয়াই নদী দখলমুক্ত করার দাবিতে নাগরিক সভায় উপস্থিত অতিথিরা। ছবি: আজকের পত্রিকা
পুরোনো খোয়াই নদী দখলমুক্ত করার দাবিতে নাগরিক সভায় উপস্থিত অতিথিরা। ছবি: আজকের পত্রিকা

হবিগঞ্জের ফুসফুস খ্যাত পুরোনো খোয়াই নদ দখলমুক্ত করার দাবিতে নাগরিক সভা হয়েছে। আজ শুক্রবার ধরিত্রী রক্ষায় আমরা (ধরা) ও নদপাড়ের ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাবাসী এই সভা ও নদের একাংশ পরিদর্শনের আয়োজন করে।

শহরের শ্যামলী এলাকার অরবিট স্কুল প্রাঙ্গণে অধ্যক্ষ মুজিবুর রহমানের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন ধরার কেন্দ্রীয় সদস্যসচিব শরীফ জামিল। অতিথি ছিলেন বৃন্দাবন সরকারি কলেজের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. ইকরামুল ওয়াদুদ ও হবিগঞ্জ প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মনসুর উদ্দিন আহমেদ ইকবাল।

অনুষ্ঠানে শরীফ জামিল বলেন, অন্যান্য সরকারের মতো বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারও খোয়াই নদ সংরক্ষণে নানা প্রকল্প নিয়েছে। হবিগঞ্জের মানুষ পুরোনো খোয়াই রক্ষায় যেকোনো সরকারকে সহযোগিতা করতে প্রস্তুত। তবে দীর্ঘদিন ধরে সারা দেশে নদীরক্ষার নামে নেওয়া প্রকল্পের মাধ্যমে দখলদারদের বৈধতা দেওয়ার যে বাস্তবতা রয়েছে, এর পুনরাবৃত্তি হবিগঞ্জের মানুষ হতে দেবে না। তাই পুরোনো খোয়াই পুনরুদ্ধারের আগে চলমান দখল বন্ধ করে শ্যামলী, মুসলিম কোয়ার্টার, পুরান মুন্সেফ, শায়েস্তানগরসহ বিস্তীর্ণ এলাকায় জলাবদ্ধতার কারণে চলমান মানবিক বিপর্যয় মোকাবিলা করা উচিত।

শরীফ জামিল জানান, পুরোনো খোয়াই সংরক্ষণে নদের সীমানা নির্ধারণ যেকোনো সমন্বিত পরিকল্পনার প্রথম পদক্ষেপ। যেহেতু হবিগঞ্জের সিএস জরিপ নেই, কাজেই স্থানীয় পরিবেশবাদী ও বয়োজ্যেষ্ঠদের মতামতকে প্রাধান্য দিয়ে বিজ্ঞানভিত্তিক সমীক্ষার মাধ্যমে নদীর সীমানা চিহ্নিত করতে হবে।

নদী পরিদর্শনকালে সিলেট মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির উপাচার্য ও ধরার আজীবন সদস্য মোহাম্মদ জহিরুল হক বলেন, পুরোনো খোয়াই নদ হচ্ছে হবিগঞ্জের ফুসফুস। দখল-দূষণের মাধ্যমে কেবল এ নদীর সর্বনাশা ডেকে আনা হয়নি; পুরো শহরের পরিবেশ ও প্রতিবেশকে হুমকিতে ফেলা হয়েছে। অথচ এই নদের মাধ্যমে হবিগঞ্জ একটি পরিকল্পিত, সুস্থ ও সুন্দর শহর হতে পারত। এ নদের সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে পানি নিষ্কাশনসহ নগরায়ণের যাবতীয় অবকাঠামোগত সমস্যার সমাধান সম্ভব।

এ সময় খোয়াই রিভার ওয়াটারকিপার ও ধরা হবিগঞ্জের সদস্যসচিব তোফাজ্জল সোহেল বলেন, দখল-দূষণ বন্ধ না করার কারণে জলাবদ্ধতায় হবিগঞ্জে মানবিক বিপর্যয় নেমে এসেছে। মাছুলিয়া থেকে বগলাবাজারের মাছবাজার পর্যন্ত কোথাও দখল থেমে নেই। দখল কেবল ব্যক্তিপর্যায়ে হয়নি; বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি স্থাপনও গড়ে তোলা হয়েছে পুরোনো খোয়াই নদের বুকে। এখনো দখল অব্যাহত রয়েছে। পুরোনো খোয়াই পুনরুদ্ধারে কার্যকর পদক্ষেপের দাবিতে হবিগঞ্জের মানুষের দীর্ঘদিনের আন্দোলন আরও জোরদার করা হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত