Ajker Patrika

শাবিপ্রবির সেই প্রভাষকের নিয়োগ বাতিলের দাবিতে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন শিক্ষার্থীদের

নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট  
শাবিপ্রবির পেট্রোলিয়াম অ্যান্ড মাইনিং ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে অনিয়মের মাধ্যমে কম যোগ্য প্রভাষক নিয়োগের অভিযোগ তুলে তা বাতিলের দাবিতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ। ছবি: আজকের পত্রিকা
শাবিপ্রবির পেট্রোলিয়াম অ্যান্ড মাইনিং ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে অনিয়মের মাধ্যমে কম যোগ্য প্রভাষক নিয়োগের অভিযোগ তুলে তা বাতিলের দাবিতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ। ছবি: আজকের পত্রিকা

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) পেট্রোলিয়াম অ্যান্ড মাইনিং ইঞ্জিনিয়ারিং (পিএমই) বিভাগে কম যোগ্য প্রার্থীকে অনিয়মের মাধ্যমে প্রভাষক পদে নিয়োগ দেওয়ার অভিযোগ তুলে তাঁর নিয়োগ বাতিলের দাবিতে দিনভর অবস্থান কর্মসূচি ও বিক্ষোভ করেছে শিক্ষার্থীরা। পরে উপাচার্যের (ভিসি) আশ্বাসে তারা অবস্থান-বিক্ষোভ প্রত্যাহার করলেও, পিএমই বিভাগের সব ক্লাস ও পরীক্ষা অনির্দিষ্টকালের জন্য বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে।

আজ শনিবার দিনভর আন্দোলনের পর, অবৈধভাবে নিয়োগপ্রাপ্ত প্রভাষক তাজবিউল ইসলামের নিয়োগ বাতিল এবং অবৈধ নিয়োগে জড়িতদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের লক্ষ্যে এই সিদ্ধান্ত নেয় শিক্ষার্থীরা।

এর আগে বেলা ১১টার দিকে প্রশাসনিক ভবন-১–এর উপাচার্যের কার্যালয়ে পূর্বনির্ধারিত সিন্ডিকেট সভা শুরু হয়। একই সময়ে ভবনের সামনে বিক্ষোভ শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীরা বলেন, গত (২৩৫ তম) সিন্ডিকেট সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছিল, ওই নিয়োগে অনিয়ম হয়েছে এবং ওই প্রভাষকের বেতন ও অন্যান্য আর্থিক সুবিধা বন্ধ রেখে তাঁকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়ার। কিন্তু তিনি এখনো কোনো জবাব দেননি। এর মধ্যে তাঁকে আবার যোগদানের চিঠি দেওয়া হয়েছে, যা সম্পূর্ণ অগ্রহণযোগ্য।

শিক্ষার্থীরা জানান, সিন্ডিকেট বৈঠক শেষে উপাচার্য তাঁদের সঙ্গে আলোচনায় বসলে, ছয়–সাতজনের একটি প্রতিনিধিদল প্রশাসনিক ভবনে যান। সেখানে উপাচার্যসহ সিন্ডিকেট সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

অভিযোগ রয়েছে, পিএমই বিভাগে সিজিপিএ ৩.৫০ না থাকা সত্ত্বেও গত বছর জুনে তাজবিউল ইসলাম নামে একজনকে প্রভাষক পদে নিয়োগ দেওয়া হয়, যা নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির শর্ত লঙ্ঘন করে।

শিক্ষার্থী আবরার মাহির বলেন, তদন্ত কমিটির রিপোর্টে প্রমাণিত হয়েছে যে ওই শিক্ষক অনুপযুক্ত। তারপরও তাঁকে রক্ষা করতে লবিং হয়েছে। তবে সিন্ডিকেট আশ্বাস দিয়েছে, এই নিয়োগ বাতিল হবে এবং এতে বিলম্ব হবে না।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাজেদুল করিম বলেন, ২৩৫ তম সিন্ডিকেট সভায় তদন্ত কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী তিনটি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। শনিবারের সভায় তা পুনরায় নিশ্চিত করা হয়েছে।

প্রক্টর অধ্যাপক মোখলেসুর রহমান বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের সঙ্গে আলোচনা করে আশ্বস্ত হয়েছে। ক্লাস-পরীক্ষায় ফিরবে কি না, তারা বিভাগে আলোচনা করে জানাবে। তবে আমরা চাই, তারা নিয়মিত পড়াশোনায় ফিরে আসুক।’

প্রক্টর আরও বলেন, ‘পূর্বের প্রশাসন যোগ্যতা না থাকা সত্ত্বেও একজনকে নিয়োগ দেয়, যা নিয়ে শুরু থেকেই বিরোধিতা চলছে। বর্তমান প্রশাসন তদন্ত কমিটি গঠন করে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এখন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রতিক্রিয়া না পাওয়া পর্যন্ত আমরা চূড়ান্ত পদক্ষেপ নিতে পারছি না। তবে শিক্ষার্থীদের দাবিকে গুরুত্ব দেওয়া হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

সেনানিবাস ঘিরে ‘নাশকতার পরিকল্পনা’, বরখাস্ত সৈনিকসহ গ্রেপ্তার ৩

বাংলাদেশ এড়িয়ে সমুদ্রপথে সেভেন সিস্টার্সকে যুক্ত করতে নতুন প্রকল্প ভারতের

থাইল্যান্ডে পর্যটন ভিসা পেতে আর্থিক সক্ষমতার প্রমাণ দিতে হবে

দক্ষিণপন্থীদের কবজায় বাংলাদেশের রাজনীতি: বদরুদ্দীন উমর

বন্দর-করিডর আপনার এখতিয়ারে নেই, বিদেশি উপদেষ্টাকে বিদায় করুন: ইউনূসকে সালাহউদ্দিন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত