Ajker Patrika

সিলেট শিল্পনগরীতে দিনে ৫ ঘণ্টা লোডশেডিং, উৎপাদনে ধস

নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট
আপডেট : ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২২: ২৯
Thumbnail image

সিলেটে বিদ্যুৎ–বিভ্রাটের (লোডশেডিং) কারণে বিপাকে পড়েছেন বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশনের (বিসিক) শিল্পনগরীর উদ্যোক্তারা। ঘণ্টার পর ঘণ্টা লোডশেডিংয়ের কারণে উৎপাদনে ধস নেমেছে। এভাবে চলতে থাকলে উৎপাদন বন্ধ করা ছাড়া উপায় থাকবে না বলে জানিয়েছেন উদ্যোক্তারা। 

আজ সোমবার এক বিবৃতিতে নগরের বিসিক শিল্প মালিক সমিতি গোটাটিকরের সভাপতি কাজী মঈনুল হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক আলীমুল এহছান চৌধুরী জানান, গোটাটিকর বিসিক শিল্পনগরী এলাকায় হিমাগার, খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্প, কৃষি যন্ত্রপাতি প্রস্তুতকারক শিল্পসহ বিভিন্ন ধরনের প্রায় ৪৫টি শিল্প কারখানা রয়েছে। প্রতিদিন সেখানে চলছে উৎপাদন কার্যক্রম। এসব কারখানায় প্রায় আড়াই হাজার শ্রমিক কর্মরত। 

সংগঠনটি বলছে, এক সপ্তাহ ধরে শিল্পনগরী এলাকায় ভয়াবহ লোডশেডিং চলছে। আগে যেখানে সারা মাসে ১৫-২০ ঘণ্টা লোডশেডিং হতো, সেখানে বর্তমানে দৈনিক ৪-৫ ঘণ্টা লোডশেডিং হচ্ছে। এভাবে বিদ্যুৎ–বিভ্রাটের কারণে কারখানাগুলোর উৎপাদনব্যবস্থা মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। প্রতিষ্ঠানগুলো আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। 

উৎপাদনব্যবস্থা ব্যাহত হওয়ার কারণে প্রতিষ্ঠানগুলো ঠিকমতো শ্রমিকদের পারিশ্রমিক দিতে পারছে না। এ ছাড়া ব্যাংক ঋণের টাকায় নির্মিত প্রতিষ্ঠানগুলোর পক্ষে নিয়মিত ঋণ পরিশোধ করা সম্ভব হচ্ছে না। 

সংগঠনটির বিবৃতিতে আরও বলা হয়, সরকার নির্ধারিত ভ্যাট-ট্যাক্সের অর্থ পরিশোধ করা দিন দিন অসম্ভব হয়ে যাচ্ছে। এ ব্যাপারে বিদ্যুৎ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী ও প্রধান প্রকৌশলীর সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তাঁরা কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি। 

এ অবস্থা বেশি দিন চলতে থাকলে কারখানাগুলোতে শ্রমিক অসন্তোষ সৃষ্টি হবে এবং বাজারে অস্থিরতা বিরাজ করবে। শিল্প কারখানার মুনাফার ওপর চাপ পড়বে এবং আয়-প্রবৃদ্ধি ও সরকারি আয়-রাজস্ব প্রাপ্তির ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। তাই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে এ ব্যাপারে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানান তাঁরা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত