জাকির হোসেন, সুনামগঞ্জ
সুনামগঞ্জের বন্যা পরিস্থিতি অবনতির দিকে। পাহাড়ি ঢল ও ভারী বর্ষণ অব্যাহত থাকায় নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। ছাতক ও দোয়ারাবাজার উপজেলার পানি কিছুটা কমলেও এখনো পৌর এলাকাসহ প্রায় দেড় শতাধিক গ্রামের দুই লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দী অবস্থায় মানবেতর জীবনযাপন করছেন।
বন্যার কারণে দেখা দিয়েছে খাদ্য ও বিশুদ্ধ খাবার আর পানি সংকট। অন্যদিকে সুনামগঞ্জের সুরমা নদীর পানি বিপদ সীমার ২৫ সেন্টিমিটার ওপরে প্রবাহিত হওয়ায় সুনামগঞ্জ পৌর শহরের অন্তত ১৫টি আবাসিক এলাকায় নতুন করে পানি প্রবেশ করেছে। এতে চরম ভোগান্তিতে পরেছেন শহরের বাসিন্দারা। শহরের তেঘরিয়া, পশ্চিম হাজিপাড়া, কালিপুর, মল্লিকপুর, নতুনপাড়া, হাছননগর, নবীনগরসহ আরও বেশ কয়েকটি আবাসিক এলাকার প্রায় সব বাসাবাড়িতেই পানি ঢুকেছে। তাহিরপুর বিশ্বম্ভরপুর সড়কে পানি কিছুটা কমাতে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গ্রামীণ রাস্তাঘাট তলিয়ে যাওয়ায় ছাতক ও দোয়রাবাজার উপজেলা সদরের সঙ্গে সব ইউনিয়নের সড়ক যোগাযোগ এখনো বন্ধ রয়েছে। শহরের বাইরে পানিবন্দী লক্ষাধিক মানুষ খাদ্য ও বিশুদ্ধ পানির সংকটে ভুগছেন। প্রত্যন্ত অঞ্চলে পানিবন্দী মানুষেরা সরকারি বেসরকারিসহ কোনো ধরনের ত্রাণ সহায়তাও পাচ্ছেন না। ফলে লোকচক্ষুর অন্তরালে প্রত্যন্ত অঞ্চলের পানিবন্দী মানুষের চরম দুর্ভোগ থেকে যাচ্ছে। এ সময়ে তীব্র ঢলের কারণে জেলার ছাতক-সুনামগঞ্জ প্রধান সড়কের দোহালিয়া এলাকার একটি সেতু ধসে পরে গেছে। ফলে ছাতক ও দোয়ারাবাজার উপজেলার লক্ষাধিক মানুষের দুর্ভোগ আরও দ্বিগুর বেড়ে গেছে।
সুনামগঞ্জ পৌর শহরের কালিপুর আবাসিক এলাকা সবচেয়ে বেশি শ্রমজীবী মানুষেরা বসবাস করেন। এই এলাকার সব কটি বাসা বাড়িতে পানি প্রবেশ করায় কাজে বের হতে পারছে না লোকজন। খাদ্যের অভাবে দেখা দিয়েছে এসব এলাকার।
এ বিষয়ে কালিপুর আবাসিক এলাকার রিকশাচালক রমিজ আলি বলেন, ‘ঘরোও পানি রাস্তাতও পানি, রিকশা লইয়া বাইর ওইবার কোনো সুযোগ নাই। এখন রাস্তা দিয়ে অন্য একজনের নৌকা ভাড়ায় আনছি। নৌকা দিয়া কিছু রুজি করতাছি তাও চলে না। একবেলা না খাইয়া ওই থাকন লাগতাছে পরিবার পরিজন লইয়া।’
চানাচুর বিক্রেতা আমজদ হোসেন বলেন, ‘বাসার ভেতরে কোমর পানি। অন্য বাড়িত বাচ্চা কাচ্চা লইয়া আশ্রয় লইছি। কাজেও বাইর হইতাম পারতাছি না। কেমনে খামু কেমনে কি বুঝতাছি না। ছাতক দোয়রাবাজারে বন্যা পরিস্থিতি কিছুটা উন্নতি হলেও বসতভিটা ও সড়কে এখনো পানি থাকায় ভোগান্তি বাড়ছে।’
নোয়াগাঁও গ্রামের জমির আলি বলেন, ‘এই সেতুটি ভেঙে যাওয়ার ফলে আমাদের দুর্ভোগের মাঝে দুর্ভোগ দেখা দিছে। গত বছরের বন্যায় এই সড়কের আরেকটি সেতু ভেঙে গেলেও এখন পর্যন্ত মেরামতের কোনো উদ্যোগ দেখা গেছে না। আর এইটা যে কবে ঠিক হইবো কে জানে।’
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) সূত্রে জানা যায়, সুনামগঞ্জে বন্যায় এখন পর্যন্ত ১২০ কিলোমিটার সড়ক ভেঙেছে আর তিনটি বড় কালভার্ট ভেঙেছে।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মাহবুব আলম জানান, বন্যায় ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে সড়কের। পানি নেমে গেলে আরও ক্ষতি হয়েছে কি না তা নিরূপণ করা যাবে। আর যে সেতুটি ভেঙেছে পানি না নামলে এখনই সংস্কার করা সম্ভব হবে না। তবে বিকল্প ব্যবস্থা করে দেওয়া হবে।
খাদ্য সহায়তা নিয়ে জেলা প্রশাসক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে আছেন ছাতক ও দোয়ারাবাজার উপজেলার মানুষ। এই দুই উপজেলার আমরা সরকারের দেওয়া ১২০ মেট্রিক টন চাল ও নগদ ১২ লাখ টাকা দিয়েছি। এ ছাড়া প্রতিটি আশ্রয় কেন্দ্রে রান্না করা খাবার দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়াও ২ হাজার প্যাকেট শুষ্ক খাবার বিতরণ করা হয়েছে।
সুনামগঞ্জের বন্যা পরিস্থিতি অবনতির দিকে। পাহাড়ি ঢল ও ভারী বর্ষণ অব্যাহত থাকায় নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। ছাতক ও দোয়ারাবাজার উপজেলার পানি কিছুটা কমলেও এখনো পৌর এলাকাসহ প্রায় দেড় শতাধিক গ্রামের দুই লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দী অবস্থায় মানবেতর জীবনযাপন করছেন।
বন্যার কারণে দেখা দিয়েছে খাদ্য ও বিশুদ্ধ খাবার আর পানি সংকট। অন্যদিকে সুনামগঞ্জের সুরমা নদীর পানি বিপদ সীমার ২৫ সেন্টিমিটার ওপরে প্রবাহিত হওয়ায় সুনামগঞ্জ পৌর শহরের অন্তত ১৫টি আবাসিক এলাকায় নতুন করে পানি প্রবেশ করেছে। এতে চরম ভোগান্তিতে পরেছেন শহরের বাসিন্দারা। শহরের তেঘরিয়া, পশ্চিম হাজিপাড়া, কালিপুর, মল্লিকপুর, নতুনপাড়া, হাছননগর, নবীনগরসহ আরও বেশ কয়েকটি আবাসিক এলাকার প্রায় সব বাসাবাড়িতেই পানি ঢুকেছে। তাহিরপুর বিশ্বম্ভরপুর সড়কে পানি কিছুটা কমাতে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গ্রামীণ রাস্তাঘাট তলিয়ে যাওয়ায় ছাতক ও দোয়রাবাজার উপজেলা সদরের সঙ্গে সব ইউনিয়নের সড়ক যোগাযোগ এখনো বন্ধ রয়েছে। শহরের বাইরে পানিবন্দী লক্ষাধিক মানুষ খাদ্য ও বিশুদ্ধ পানির সংকটে ভুগছেন। প্রত্যন্ত অঞ্চলে পানিবন্দী মানুষেরা সরকারি বেসরকারিসহ কোনো ধরনের ত্রাণ সহায়তাও পাচ্ছেন না। ফলে লোকচক্ষুর অন্তরালে প্রত্যন্ত অঞ্চলের পানিবন্দী মানুষের চরম দুর্ভোগ থেকে যাচ্ছে। এ সময়ে তীব্র ঢলের কারণে জেলার ছাতক-সুনামগঞ্জ প্রধান সড়কের দোহালিয়া এলাকার একটি সেতু ধসে পরে গেছে। ফলে ছাতক ও দোয়ারাবাজার উপজেলার লক্ষাধিক মানুষের দুর্ভোগ আরও দ্বিগুর বেড়ে গেছে।
সুনামগঞ্জ পৌর শহরের কালিপুর আবাসিক এলাকা সবচেয়ে বেশি শ্রমজীবী মানুষেরা বসবাস করেন। এই এলাকার সব কটি বাসা বাড়িতে পানি প্রবেশ করায় কাজে বের হতে পারছে না লোকজন। খাদ্যের অভাবে দেখা দিয়েছে এসব এলাকার।
এ বিষয়ে কালিপুর আবাসিক এলাকার রিকশাচালক রমিজ আলি বলেন, ‘ঘরোও পানি রাস্তাতও পানি, রিকশা লইয়া বাইর ওইবার কোনো সুযোগ নাই। এখন রাস্তা দিয়ে অন্য একজনের নৌকা ভাড়ায় আনছি। নৌকা দিয়া কিছু রুজি করতাছি তাও চলে না। একবেলা না খাইয়া ওই থাকন লাগতাছে পরিবার পরিজন লইয়া।’
চানাচুর বিক্রেতা আমজদ হোসেন বলেন, ‘বাসার ভেতরে কোমর পানি। অন্য বাড়িত বাচ্চা কাচ্চা লইয়া আশ্রয় লইছি। কাজেও বাইর হইতাম পারতাছি না। কেমনে খামু কেমনে কি বুঝতাছি না। ছাতক দোয়রাবাজারে বন্যা পরিস্থিতি কিছুটা উন্নতি হলেও বসতভিটা ও সড়কে এখনো পানি থাকায় ভোগান্তি বাড়ছে।’
নোয়াগাঁও গ্রামের জমির আলি বলেন, ‘এই সেতুটি ভেঙে যাওয়ার ফলে আমাদের দুর্ভোগের মাঝে দুর্ভোগ দেখা দিছে। গত বছরের বন্যায় এই সড়কের আরেকটি সেতু ভেঙে গেলেও এখন পর্যন্ত মেরামতের কোনো উদ্যোগ দেখা গেছে না। আর এইটা যে কবে ঠিক হইবো কে জানে।’
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) সূত্রে জানা যায়, সুনামগঞ্জে বন্যায় এখন পর্যন্ত ১২০ কিলোমিটার সড়ক ভেঙেছে আর তিনটি বড় কালভার্ট ভেঙেছে।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মাহবুব আলম জানান, বন্যায় ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে সড়কের। পানি নেমে গেলে আরও ক্ষতি হয়েছে কি না তা নিরূপণ করা যাবে। আর যে সেতুটি ভেঙেছে পানি না নামলে এখনই সংস্কার করা সম্ভব হবে না। তবে বিকল্প ব্যবস্থা করে দেওয়া হবে।
খাদ্য সহায়তা নিয়ে জেলা প্রশাসক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে আছেন ছাতক ও দোয়ারাবাজার উপজেলার মানুষ। এই দুই উপজেলার আমরা সরকারের দেওয়া ১২০ মেট্রিক টন চাল ও নগদ ১২ লাখ টাকা দিয়েছি। এ ছাড়া প্রতিটি আশ্রয় কেন্দ্রে রান্না করা খাবার দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়াও ২ হাজার প্যাকেট শুষ্ক খাবার বিতরণ করা হয়েছে।
গত রোববার রাতে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের টঙ্গীর হোসেন মার্কেট এলাকায় এসে ঢাকনাবিহীন ম্যানহোলে পড়ে নিখোঁজ হন জ্যোতি। তিনি চুয়াডাঙ্গা জেলার বাগানপাড়া থানার মৃত ওলিউল্লাহ আহম্মেদের মেয়ে। জ্যোতি রাজধানীর মিরপুর এলাকায় পরিবার নিয়ে বাস করতেন।
২ মিনিট আগেনাটোরের বড়াইগ্রামে চাঁদা না পেয়ে ১০টি দোকানে তালা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় পুলিশ জামায়াতে ইসলামীর নেতা ও বিএনপির কর্মীসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল সোমবার সন্ধ্যা উপজেলার আহম্মেদপুর বাজারে এই ঘটনা ঘটে।
১৭ মিনিট আগেকুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে বিলে শাপলা তুলতে গিয়ে পানিতে ডুবে ষষ্ঠ শ্রেণির দুই শিক্ষার্থী মারা গেছে। গতকাল সোমবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে উপজেলার সদর ইউনিয়নের উত্তর কুটিচন্দ্রখানা এলাকায় ঘটনা ঘটে। সন্ধ্যায় তাদের মরদেহ উদ্ধার করে পরিবারের লোকজন।
১ ঘণ্টা আগেসোমবার জামালপুর ও ময়মনসিংহে জুলাই পথযাত্রা করেন এনসিপি। আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টায় টাঙ্গাইল শহরের নিরালার মোড়ে পথসভা করবে দলটি। এ জন্য সফরে থাকা দলটির নেতার গতকাল রাতেই টাঙ্গাইলে আসেন। তাঁরা পৌঁছে ভাসানীর মাজারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এর মধ্য দিয়ে এনসিপির টাঙ্গাইলের পদযাত্রা শুরু করা হয়েছে বলে দলটির
২ ঘণ্টা আগে