আব্দুর রব, মৌলভীবাজার
মাত্র এক দশক আগেও ডাকঘরের পোস্টম্যানরা ছিলেন জীবন যাপন ও নিত্যদিনের অপরিহার্য অংশ। বর্তমান তথ্য প্রযুক্তির নিত্যনতুন বিভিন্ন আবিষ্কার ও মাধ্যমের কারণে এক প্রকার অলস সময় কাটাচ্ছেন পোস্ট অফিসের পোস্টম্যানরা।
ডাকঘরের ডাকবাক্সে পরিবারের যে কোনো চিঠিপত্র ফেলে আসতে ঘরের অপেক্ষাকৃত কিশোর সদস্যদের মধ্যে কাড়াকাড়ি যেমন শুরু হতো। তেমনি প্রতীক্ষায় থাকতে হতো আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধবের চিঠিপত্র কিংবা মানিঅর্ডার নিয়ে কখন আসবেন পোস্টম্যান।
ইমেইল আর মোবাইল ব্যাংকিংয়ের যুগে হারিয়ে যাচ্ছে পোস্টম্যানদের গুরুত্ব।
মৌলভীবাজার জেলা সদরের একাটুনা ইউনিয়নের বড়কাপন সাব পোস্ট অফিসে গিয়ে দেখা যায়, যান্ত্রিক জীবনে অলস দুপুরে আজও অপেক্ষায় থাকেন বিষ্ণু বাবু। কখন আসবে চিঠি, পৌঁছে দিতে হবে প্রাপকের ঠিকানায়।
পোস্টম্যান বিষ্ণুপদ দেবের চাকরি জীবন ২৫ বৎসর পেরিয়েছে। এখন অফিসে এসে কাজের কোনো চাপ না থাকায়, অলস সময় কাটাতে কখনো কখনো বিরক্তি লাগে বলে তিনি জানান।
তিনি বলেন, 'মাঝে মধ্য সরকারি ডকুমেন্ট আসে, তবে সরকারি নিয়োগ পত্রের সংখ্যাই বেশি। এখন আর চিঠির থলে নিয়ে প্রাপকদের বাড়ি বাড়ি যেতে হয় না। তারা নিজেরাই খোঁজে আসেন এই ডাকঘরে।'
বড়কাপন এলাকা স্থায়ী বাসিন্দা ষাটোর্ধ্ব রকিব চৌধুরী বলেন, ভাই- ভাতিজাসহ পরিবারের অনেকেই বিদেশ থাকে। ১২-১৫ বৎসর পূর্বেও তাদের চিঠির খোঁজে, মানিঅর্ডার নিতে ডাকঘরে আসতাম। এখন মোবাইলেই সব হয়। একই কথা বলেন এলাকার প্রবীণ সদস্য লেচু মিয়া-তিনি বলেন আগে সবকিছু আসতে দেরি হতো এখন দ্রুত চলে আসে। তবে দেরি হলেও আগের চিঠি- ডাকঘরে একটা অন্যরকম প্রাণ ছিল।
এলাকার কলেজ পড়ুয়া মাফিক আহমদ জানান, বাবা চাচাদের কাছে শুনেছি আগে পোস্টম্যানরা আত্মীয়-স্বজনের চিঠি বাড়িতে পৌঁছে দিতেন। এখন ইমেইল আর মোবাইল ব্যাংকিং এর যুগে হারিয়ে যাচ্ছেন পোস্টম্যানরা।
বড়কাপন সাব-পোস্ট অফিসে সাব পোস্ট মাস্টার ফজলুর রহমান জানান, পরিবর্তিত সময়ে এখন ডাকঘর এর কদর অনেক কমে গেছে।যার ফলে আমাদের ব্যস্ততা অনেক কম।
মৌলভীবাজার প্রধান ডাকঘর এর সহকারী পোস্টমাস্টার জেনারেল কাম পোস্টমাস্টার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) তন্ময় দে চৌধুরী জানান- মৌলভীবাজার জেলায় মোট ১৩৩ টি পোস্ট অফিস রয়েছে। তিনি জানান আগের মতো দেশের বাইরে থেকে চিঠিপত্র না আসলেও দেশের ভেতর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্টস আসে এবং টাকা পয়সার লেনদেন হয়। গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্টস এর ক্ষেত্রে পোস্ট অফিসের বিকল্প নেই।
মাত্র এক দশক আগেও ডাকঘরের পোস্টম্যানরা ছিলেন জীবন যাপন ও নিত্যদিনের অপরিহার্য অংশ। বর্তমান তথ্য প্রযুক্তির নিত্যনতুন বিভিন্ন আবিষ্কার ও মাধ্যমের কারণে এক প্রকার অলস সময় কাটাচ্ছেন পোস্ট অফিসের পোস্টম্যানরা।
ডাকঘরের ডাকবাক্সে পরিবারের যে কোনো চিঠিপত্র ফেলে আসতে ঘরের অপেক্ষাকৃত কিশোর সদস্যদের মধ্যে কাড়াকাড়ি যেমন শুরু হতো। তেমনি প্রতীক্ষায় থাকতে হতো আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধবের চিঠিপত্র কিংবা মানিঅর্ডার নিয়ে কখন আসবেন পোস্টম্যান।
ইমেইল আর মোবাইল ব্যাংকিংয়ের যুগে হারিয়ে যাচ্ছে পোস্টম্যানদের গুরুত্ব।
মৌলভীবাজার জেলা সদরের একাটুনা ইউনিয়নের বড়কাপন সাব পোস্ট অফিসে গিয়ে দেখা যায়, যান্ত্রিক জীবনে অলস দুপুরে আজও অপেক্ষায় থাকেন বিষ্ণু বাবু। কখন আসবে চিঠি, পৌঁছে দিতে হবে প্রাপকের ঠিকানায়।
পোস্টম্যান বিষ্ণুপদ দেবের চাকরি জীবন ২৫ বৎসর পেরিয়েছে। এখন অফিসে এসে কাজের কোনো চাপ না থাকায়, অলস সময় কাটাতে কখনো কখনো বিরক্তি লাগে বলে তিনি জানান।
তিনি বলেন, 'মাঝে মধ্য সরকারি ডকুমেন্ট আসে, তবে সরকারি নিয়োগ পত্রের সংখ্যাই বেশি। এখন আর চিঠির থলে নিয়ে প্রাপকদের বাড়ি বাড়ি যেতে হয় না। তারা নিজেরাই খোঁজে আসেন এই ডাকঘরে।'
বড়কাপন এলাকা স্থায়ী বাসিন্দা ষাটোর্ধ্ব রকিব চৌধুরী বলেন, ভাই- ভাতিজাসহ পরিবারের অনেকেই বিদেশ থাকে। ১২-১৫ বৎসর পূর্বেও তাদের চিঠির খোঁজে, মানিঅর্ডার নিতে ডাকঘরে আসতাম। এখন মোবাইলেই সব হয়। একই কথা বলেন এলাকার প্রবীণ সদস্য লেচু মিয়া-তিনি বলেন আগে সবকিছু আসতে দেরি হতো এখন দ্রুত চলে আসে। তবে দেরি হলেও আগের চিঠি- ডাকঘরে একটা অন্যরকম প্রাণ ছিল।
এলাকার কলেজ পড়ুয়া মাফিক আহমদ জানান, বাবা চাচাদের কাছে শুনেছি আগে পোস্টম্যানরা আত্মীয়-স্বজনের চিঠি বাড়িতে পৌঁছে দিতেন। এখন ইমেইল আর মোবাইল ব্যাংকিং এর যুগে হারিয়ে যাচ্ছেন পোস্টম্যানরা।
বড়কাপন সাব-পোস্ট অফিসে সাব পোস্ট মাস্টার ফজলুর রহমান জানান, পরিবর্তিত সময়ে এখন ডাকঘর এর কদর অনেক কমে গেছে।যার ফলে আমাদের ব্যস্ততা অনেক কম।
মৌলভীবাজার প্রধান ডাকঘর এর সহকারী পোস্টমাস্টার জেনারেল কাম পোস্টমাস্টার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) তন্ময় দে চৌধুরী জানান- মৌলভীবাজার জেলায় মোট ১৩৩ টি পোস্ট অফিস রয়েছে। তিনি জানান আগের মতো দেশের বাইরে থেকে চিঠিপত্র না আসলেও দেশের ভেতর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্টস আসে এবং টাকা পয়সার লেনদেন হয়। গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্টস এর ক্ষেত্রে পোস্ট অফিসের বিকল্প নেই।
সিলেটের জকিগঞ্জ উপজেলা শ্রমিক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও ইউপি সদস্য বদরুল আলম আফজলকে (৩৮) গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার ভোররাতে জকিগঞ্জ সদর ইউপির সেনাপতিরচক গ্রামের বাড়ি থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
৯ মিনিট আগেইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) শাখা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক রোকন উদ্দিনের বক্তব্যকে ‘মিথ্যাচার’ আখ্যা দিয়ে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্র ইউনিয়ন। আজ শুক্রবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র ইউনিয়নের দপ্তর সম্পাদক মনির হোসেন স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে এ প্রতিবাদ জানানো হয়...
১৪ মিনিট আগেচায়ের দোকান কিংবা যাত্রাপালার মঞ্চ—যেখানেই সুযোগ মেলে, নিজের বাঁশির সুরে তিনি মানুষকে আনন্দ দিতে চেষ্টা করেন...
১৭ মিনিট আগেমুন্সিগঞ্জের শ্রীনগরে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত বাজার পরিদর্শন করেছেন গৃহায়ণ ও গণপূর্ত এবং শিল্প মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান। আজ শুক্রবার দুপুরে তিনি শ্রীনগর বাজারে উপস্থিত হয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দোকানমালিক ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলেন এবং তাঁদের পাশে থাকার আশ্বাস দেন।
২৮ মিনিট আগে