জাকির হোসেন, সুনামগঞ্জ
সুনামগঞ্জে বন্যার পানিতে অনেক শিক্ষার্থীর বইপত্র ভেসে গেছে। যে দু-চারখানা বই তারা আঁকড়ে ধরে রাখতে পেরেছে, পানিতে ভিজে যাওয়ায় সেগুলোর অবস্থাও নাজেহাল। এমন পরিস্থিতিতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত এসএসসি পরীক্ষার্থীরা। জেলায় এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার্থী রয়েছে ২৮ হাজার ২০৫ জন। এ ছাড়া জেলার সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ঢুকেছে বানের পানি।
সুনামগঞ্জ পৌর শহরের নবীনগর আবাসিক এলাকার সুনামগঞ্জ উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থী সুমাইয়া বেগম। রাস্তার পাশের টিনের দোচালা ঘরে ভাড়া বাসায় থাকে। বাবা আসকর আলী রিকশার মেকানিক। অনেক কষ্টে দরজির কাজ করে নিজের লেখাপড়া চালিয়ে আসছে সুমাইয়া। হঠাৎ আসা বানের পানিতে ডুবে যায় তাদের ভাড়া বাসা। তাতে ভেসে যায় সুমাইয়াদের বইপত্র আর স্বপ্ন। সুমইয়া আক্তার বলে, ‘বাবা আমদের তিন ভাইবোনকে কষ্ট করে পড়ালেখা করাচ্ছেন। আমরা ভাড়া বাসায় থাকি। বাসার অবস্থাও নাজুক হয়ে গেছে। সামনে আমার পরীক্ষা। বন্যার পানিতে আমার সব বইপত্র নষ্ট হয়ে গেছে। ভিজে যাওয়া কিছু বই রোদে শুকাইতে দিচ্ছি। তবে অনেক বইয়ের পাতা ছিঁড়ে গেছে। এখন কীভাবে পড়ালেখা করব বুঝতে পারছি না।’
সুমাইয়ার মতো সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার মাইজবাড়ী গ্রামের সরকারি জুবিলী উচ্চবিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থী নিয়াজ আহমদ সিয়ামের বই-খাতাও ভিজে গেছে বানের জলে। খুব কষ্ট করে বাঁচিয়েছে এসএসসি পরীক্ষার প্রবেশপত্র। সিয়াম বলে, ‘হঠাৎ করেই বন্যার পানি আইছে। আমাদের বাসার সব জিনিসপত্র নষ্ট হয়ে গেছে। কোনো রকমে আমার প্রবেশপত্রটি একটু ওপরে রেখেছিলাম, তাই নষ্ট হয়নি। তবে ঘরের অন্য জিনিস রক্ষা করতে গিয়ে বইগুলো সামাল দিতে দিতে নিমেষেই ভিজে গেছে।’
নবীনগর আবাসিক এলাকার সুনামগঞ্জ সরকারি কলেজের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী টুম্পা আচার্য কঙ্কা। নিম্নবিত্ত পরিবারের সন্তান টুম্পা। বন্যার পানিতে ভেসে গেছে বাড়ির অনেক মূল্যবান জিনিসপত্র। এর মধ্যে টুম্পার পাঠ্যবইগুলোও রক্ষা করতে পারেনি। টুম্পা বলে, ‘আমি আমার একটা বইও ধইরা রাখতাম পারি নাই। আমাগো ঘরের ভেতর অনেক রাত গেছে। ঘরের অন্যান্য জিনিসের সঙ্গে বইও বন্যার পানিতে ভেসে গেছে। সামনে আমার পরীক্ষা। এখন কীভাবে পড়ালেখা করব আর কীভাবেই বা পরীক্ষা দিব বুঝে উঠতে পারছি না। এদিকে জেলা শহর থেকে যে নতুন বই কিনব, সে উপায়ও নাই। কারণ বন্যার পানি ঢুকে নষ্ট হয়েছে জেলার বেশির ভাগ দোকানের বইপত্র।
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, জেলার অধিকাংশ এলাকায় এখনো পানি রয়েছে। ক্ষয়ক্ষতি এখন পর্যন্ত নিরূপণ করা সম্ভব হয়নি। তবে যেসব এসএসসি পরীক্ষার্থীর বই নষ্ট হয়েছে, সবাইকে নতুন বই দেওয়া হবে এবং ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা করে পুনর্বাসনের আওতায় নিয়ে আসা হবে।
সুনামগঞ্জে বন্যার পানিতে অনেক শিক্ষার্থীর বইপত্র ভেসে গেছে। যে দু-চারখানা বই তারা আঁকড়ে ধরে রাখতে পেরেছে, পানিতে ভিজে যাওয়ায় সেগুলোর অবস্থাও নাজেহাল। এমন পরিস্থিতিতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত এসএসসি পরীক্ষার্থীরা। জেলায় এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার্থী রয়েছে ২৮ হাজার ২০৫ জন। এ ছাড়া জেলার সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ঢুকেছে বানের পানি।
সুনামগঞ্জ পৌর শহরের নবীনগর আবাসিক এলাকার সুনামগঞ্জ উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থী সুমাইয়া বেগম। রাস্তার পাশের টিনের দোচালা ঘরে ভাড়া বাসায় থাকে। বাবা আসকর আলী রিকশার মেকানিক। অনেক কষ্টে দরজির কাজ করে নিজের লেখাপড়া চালিয়ে আসছে সুমাইয়া। হঠাৎ আসা বানের পানিতে ডুবে যায় তাদের ভাড়া বাসা। তাতে ভেসে যায় সুমাইয়াদের বইপত্র আর স্বপ্ন। সুমইয়া আক্তার বলে, ‘বাবা আমদের তিন ভাইবোনকে কষ্ট করে পড়ালেখা করাচ্ছেন। আমরা ভাড়া বাসায় থাকি। বাসার অবস্থাও নাজুক হয়ে গেছে। সামনে আমার পরীক্ষা। বন্যার পানিতে আমার সব বইপত্র নষ্ট হয়ে গেছে। ভিজে যাওয়া কিছু বই রোদে শুকাইতে দিচ্ছি। তবে অনেক বইয়ের পাতা ছিঁড়ে গেছে। এখন কীভাবে পড়ালেখা করব বুঝতে পারছি না।’
সুমাইয়ার মতো সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার মাইজবাড়ী গ্রামের সরকারি জুবিলী উচ্চবিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থী নিয়াজ আহমদ সিয়ামের বই-খাতাও ভিজে গেছে বানের জলে। খুব কষ্ট করে বাঁচিয়েছে এসএসসি পরীক্ষার প্রবেশপত্র। সিয়াম বলে, ‘হঠাৎ করেই বন্যার পানি আইছে। আমাদের বাসার সব জিনিসপত্র নষ্ট হয়ে গেছে। কোনো রকমে আমার প্রবেশপত্রটি একটু ওপরে রেখেছিলাম, তাই নষ্ট হয়নি। তবে ঘরের অন্য জিনিস রক্ষা করতে গিয়ে বইগুলো সামাল দিতে দিতে নিমেষেই ভিজে গেছে।’
নবীনগর আবাসিক এলাকার সুনামগঞ্জ সরকারি কলেজের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী টুম্পা আচার্য কঙ্কা। নিম্নবিত্ত পরিবারের সন্তান টুম্পা। বন্যার পানিতে ভেসে গেছে বাড়ির অনেক মূল্যবান জিনিসপত্র। এর মধ্যে টুম্পার পাঠ্যবইগুলোও রক্ষা করতে পারেনি। টুম্পা বলে, ‘আমি আমার একটা বইও ধইরা রাখতাম পারি নাই। আমাগো ঘরের ভেতর অনেক রাত গেছে। ঘরের অন্যান্য জিনিসের সঙ্গে বইও বন্যার পানিতে ভেসে গেছে। সামনে আমার পরীক্ষা। এখন কীভাবে পড়ালেখা করব আর কীভাবেই বা পরীক্ষা দিব বুঝে উঠতে পারছি না। এদিকে জেলা শহর থেকে যে নতুন বই কিনব, সে উপায়ও নাই। কারণ বন্যার পানি ঢুকে নষ্ট হয়েছে জেলার বেশির ভাগ দোকানের বইপত্র।
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, জেলার অধিকাংশ এলাকায় এখনো পানি রয়েছে। ক্ষয়ক্ষতি এখন পর্যন্ত নিরূপণ করা সম্ভব হয়নি। তবে যেসব এসএসসি পরীক্ষার্থীর বই নষ্ট হয়েছে, সবাইকে নতুন বই দেওয়া হবে এবং ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা করে পুনর্বাসনের আওতায় নিয়ে আসা হবে।
গত রোববার রাতে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের টঙ্গীর হোসেন মার্কেট এলাকায় এসে ঢাকনাবিহীন ম্যানহোলে পড়ে নিখোঁজ হন জ্যোতি। তিনি চুয়াডাঙ্গা জেলার বাগানপাড়া থানার মৃত ওলিউল্লাহ আহম্মেদের মেয়ে। জ্যোতি রাজধানীর মিরপুর এলাকায় পরিবার নিয়ে বাস করতেন।
৩ মিনিট আগেনাটোরের বড়াইগ্রামে চাঁদা না পেয়ে ১০টি দোকানে তালা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় পুলিশ জামায়াতে ইসলামীর নেতা ও বিএনপির কর্মীসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল সোমবার সন্ধ্যা উপজেলার আহম্মেদপুর বাজারে এই ঘটনা ঘটে।
১৮ মিনিট আগেকুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে বিলে শাপলা তুলতে গিয়ে পানিতে ডুবে ষষ্ঠ শ্রেণির দুই শিক্ষার্থী মারা গেছে। গতকাল সোমবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে উপজেলার সদর ইউনিয়নের উত্তর কুটিচন্দ্রখানা এলাকায় ঘটনা ঘটে। সন্ধ্যায় তাদের মরদেহ উদ্ধার করে পরিবারের লোকজন।
১ ঘণ্টা আগেসোমবার জামালপুর ও ময়মনসিংহে জুলাই পথযাত্রা করেন এনসিপি। আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টায় টাঙ্গাইল শহরের নিরালার মোড়ে পথসভা করবে দলটি। এ জন্য সফরে থাকা দলটির নেতার গতকাল রাতেই টাঙ্গাইলে আসেন। তাঁরা পৌঁছে ভাসানীর মাজারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এর মধ্য দিয়ে এনসিপির টাঙ্গাইলের পদযাত্রা শুরু করা হয়েছে বলে দলটির
২ ঘণ্টা আগে