কমলগঞ্জ (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, ‘আল্লাহ তায়ালার সাহায্যে তারা অসাধ্য সাধন করেছে। এমন সন্তান পেয়ে জাতি গর্বিত। আগামীর বাংলাদেশকে তাই তরুণদের হাতে তুলে দেওয়া হবে।’ আজ শনিবার সকালে মৌলভীবাজার সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে জেলা জামায়াত আয়োজিত কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেছেন।
জামায়াতের আমির বলেন, ‘স্বৈরাচার ফ্যাসিস্ট সরকার জাতির সকল অধিকার কেড়ে নিয়েছিল। সারা বাংলাদেশকে সাড়ে ১৫ বছর কবরস্থান বানিয়ে রেখেছিল। তারা ক্ষমতায় আসার আগে লগি-বইঠার তাণ্ডব চালিয়ে জানান দিয়ে পেছনের দরজায় ভোটের মাধ্যমে ক্ষমতায় এসেছিল। ক্ষমতায় এসে ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তাকে হত্যা করে বিশেষ বিমানে খুনিদের পালিয়ে যেতে দেওয়া হয়েছিল। পরে বিডিআরকে ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছিল। সাজানো কোর্টে ১১ জন নেতাকে হত্যা করা হলো।’
ডা. শফিকুর রহমান আরও বলেন, ‘আমাদের ঘরবাড়ি বুলডোজার দিয়ে ভেঙে দেওয়া হয়েছে। নিবন্ধন বাতিলের পর সবশেষে নিষিদ্ধ করা হয়েছে আমাদের। সকল অফিস বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। আমরা ১৫ বছর স্বৈরাচারকে ভাগাতে পারিনি, আমাদের সন্তানেরা তা পেরেছে। ওরা তো গেল, সবকিছু শেষ করে গেল। কিন্তু আফসোস, এ জাতির কেউ কেউ ওদের বদ খাসলতগুলো ধারণ করেছে।’
আমিরে জামায়াত বলেন, ‘সাড়ে ১৫ বছর আমরা দফায় দফায় অনেক আন্দোলন-সংগ্রাম করেছি। কিন্ত সেই আন্দোলনের পরিসমাপ্তি আমরা ঘটাতে পারিনি। স্বৈরাচারকে আমরা তাড়াতে পারিনি, বিদায় করতে পারিনি। আমি গর্বিত, আমাদের সন্তানেরা সেই কাজটি করেছে। আমি আমাদের সন্তানদের ভালোবাসা উপহার দিলাম। শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করছি, কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি। জাতির পক্ষ থেকে তাদের স্যালুট জানাচ্ছি। আল্লাহ তায়ালার সাহায্যে তারা অসাধ্য সাধন করেছে। এমন সন্তান পেয়ে জাতি গর্বিত। ইনশা আল্লাহ, আগামীর বাংলাদেশ আমরা তাদের হাতেই তুলে দেব।’
জামায়াত প্রধান বলেন, ‘তিনি যে দেশে (শেখ হাসিনা) আশ্রয় নিয়েছেন, তারা আমাদের প্রতিবেশী। তাদের প্রতি সম্মান রেখে বলতে চাই, আপনারা শান্তিতে থাকুন আমরা চাই, আমাদেরও শান্তিতে থাকতে দিন। আপনাদের পাকঘরে কী পাকাবেন আমরা জিজ্ঞেস করি না, আমাদের পাকঘরে উঁকি মেরে তাকানোর চেষ্টা করবেন না।’
ডা. শফিক বলেন, ‘আমাদের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির কথা বলার আগে আপনাদের নিজের চেহারা আয়নাতে একটু দেখে নিন। আপনারা সেখানে যাদের মাইনরিটি বলেন, তাদের সঙ্গে কী আচরণ করেন? আমাদের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির সবক দিতে হবে না, যুগ যুগ ধরে এ দেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। যা এ দেশের সকল রাজনৈতিক দল, আলেম উলামারা প্রমাণ দিয়েছেন। আমাদের দেশের নাগরিক হিসেবে সবাই সমান অধিকার নিয়ে বেঁচে থাকতে চাই। আমরা এমন নিরাপত্তা চাই যে, কোনো উপাসনালয়ে যেন আর কোনো পাহারা বসাতে না হয়।’
জামায়াতের মৌলভীবাজার জেলা আমির মো. শাহেদ আলীর সভাপতিত্বে এবং জেলা সেক্রেটারি মো. ইয়ামীর আলীর সঞ্চালনায় কর্মী সম্মেলনে বিশেষ অতিথি ছিলেন জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এহসানুল মাহবুব জুবায়ের, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও সিলেট মহানগর জামায়াতের আমির মো. ফখরুল ইসলাম, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ফয়জুল করিম ময়ূন, হবিগঞ্জ জেলা জামায়াতের আমির মাওলানা কাজী মখলিছুর রহমান, মৌলভীবাজার জেলা জামায়াতের নায়েবে আমির মাওলানা আব্দুর রহমান প্রমুখ।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, ‘আল্লাহ তায়ালার সাহায্যে তারা অসাধ্য সাধন করেছে। এমন সন্তান পেয়ে জাতি গর্বিত। আগামীর বাংলাদেশকে তাই তরুণদের হাতে তুলে দেওয়া হবে।’ আজ শনিবার সকালে মৌলভীবাজার সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে জেলা জামায়াত আয়োজিত কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেছেন।
জামায়াতের আমির বলেন, ‘স্বৈরাচার ফ্যাসিস্ট সরকার জাতির সকল অধিকার কেড়ে নিয়েছিল। সারা বাংলাদেশকে সাড়ে ১৫ বছর কবরস্থান বানিয়ে রেখেছিল। তারা ক্ষমতায় আসার আগে লগি-বইঠার তাণ্ডব চালিয়ে জানান দিয়ে পেছনের দরজায় ভোটের মাধ্যমে ক্ষমতায় এসেছিল। ক্ষমতায় এসে ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তাকে হত্যা করে বিশেষ বিমানে খুনিদের পালিয়ে যেতে দেওয়া হয়েছিল। পরে বিডিআরকে ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছিল। সাজানো কোর্টে ১১ জন নেতাকে হত্যা করা হলো।’
ডা. শফিকুর রহমান আরও বলেন, ‘আমাদের ঘরবাড়ি বুলডোজার দিয়ে ভেঙে দেওয়া হয়েছে। নিবন্ধন বাতিলের পর সবশেষে নিষিদ্ধ করা হয়েছে আমাদের। সকল অফিস বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। আমরা ১৫ বছর স্বৈরাচারকে ভাগাতে পারিনি, আমাদের সন্তানেরা তা পেরেছে। ওরা তো গেল, সবকিছু শেষ করে গেল। কিন্তু আফসোস, এ জাতির কেউ কেউ ওদের বদ খাসলতগুলো ধারণ করেছে।’
আমিরে জামায়াত বলেন, ‘সাড়ে ১৫ বছর আমরা দফায় দফায় অনেক আন্দোলন-সংগ্রাম করেছি। কিন্ত সেই আন্দোলনের পরিসমাপ্তি আমরা ঘটাতে পারিনি। স্বৈরাচারকে আমরা তাড়াতে পারিনি, বিদায় করতে পারিনি। আমি গর্বিত, আমাদের সন্তানেরা সেই কাজটি করেছে। আমি আমাদের সন্তানদের ভালোবাসা উপহার দিলাম। শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করছি, কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি। জাতির পক্ষ থেকে তাদের স্যালুট জানাচ্ছি। আল্লাহ তায়ালার সাহায্যে তারা অসাধ্য সাধন করেছে। এমন সন্তান পেয়ে জাতি গর্বিত। ইনশা আল্লাহ, আগামীর বাংলাদেশ আমরা তাদের হাতেই তুলে দেব।’
জামায়াত প্রধান বলেন, ‘তিনি যে দেশে (শেখ হাসিনা) আশ্রয় নিয়েছেন, তারা আমাদের প্রতিবেশী। তাদের প্রতি সম্মান রেখে বলতে চাই, আপনারা শান্তিতে থাকুন আমরা চাই, আমাদেরও শান্তিতে থাকতে দিন। আপনাদের পাকঘরে কী পাকাবেন আমরা জিজ্ঞেস করি না, আমাদের পাকঘরে উঁকি মেরে তাকানোর চেষ্টা করবেন না।’
ডা. শফিক বলেন, ‘আমাদের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির কথা বলার আগে আপনাদের নিজের চেহারা আয়নাতে একটু দেখে নিন। আপনারা সেখানে যাদের মাইনরিটি বলেন, তাদের সঙ্গে কী আচরণ করেন? আমাদের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির সবক দিতে হবে না, যুগ যুগ ধরে এ দেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। যা এ দেশের সকল রাজনৈতিক দল, আলেম উলামারা প্রমাণ দিয়েছেন। আমাদের দেশের নাগরিক হিসেবে সবাই সমান অধিকার নিয়ে বেঁচে থাকতে চাই। আমরা এমন নিরাপত্তা চাই যে, কোনো উপাসনালয়ে যেন আর কোনো পাহারা বসাতে না হয়।’
জামায়াতের মৌলভীবাজার জেলা আমির মো. শাহেদ আলীর সভাপতিত্বে এবং জেলা সেক্রেটারি মো. ইয়ামীর আলীর সঞ্চালনায় কর্মী সম্মেলনে বিশেষ অতিথি ছিলেন জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এহসানুল মাহবুব জুবায়ের, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও সিলেট মহানগর জামায়াতের আমির মো. ফখরুল ইসলাম, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ফয়জুল করিম ময়ূন, হবিগঞ্জ জেলা জামায়াতের আমির মাওলানা কাজী মখলিছুর রহমান, মৌলভীবাজার জেলা জামায়াতের নায়েবে আমির মাওলানা আব্দুর রহমান প্রমুখ।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে আটক হন নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের নেতা নাজমুল কবির শিশির। আজ শুক্রবার বিকেলে চাঁদাবাজি মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে তাঁকে জেল-হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। তিনি রামগঞ্জ পৌরসভার আঙ্গারপাড়া এলাকার মো. নয়ন মাস্টারের ছেলে।
১ ঘণ্টা আগেকুমিল্লায় যৌথ বাহিনী তুলে নেওয়ার পর হাসপাতালে তৌহিদুর রহমান নামের এক যুবদল নেতার লাশ পেয়েছে পরিবার। আজ শুক্রবার বেলা সাড়ে ১২টায় তাঁর মৃত্যুর খবর পায় পরিবার। তবে কখন তাঁর মৃত্যু হয়েছে সে তথ্য জানা যায়নি। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হেফাজতে যুবদল নেতার মৃত্যু তথ্য জানিয়েছেন তাঁর ভাই আবুল কালাম।
১ ঘণ্টা আগেইতালি নেওয়া কথা বলে ফরিদপুর থেকে দুই জনকে নেওয়া হয়েছিল লিবিয়ায়। সেখানে নেওয়ার পর তাঁদের ওপর নির্যাতন করা হয়। এরপর নেওয়া হয় মুক্তিপণ। তবে এতেও মুক্তি মেলেনি। গুলি করে হত্যা করা হয়েছে ওই দুই যুবককে। ঢাকা, ফরিদপুর, লিবিয়া, গুলি, হত্যা, জেলার খবর
১ ঘণ্টা আগেএক মাসের ব্যবধানে হত্যাকাণ্ড ও সহিংসতার ঘটনায় সাবেক সরকারসংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে মামলার সংখ্যা বেড়েছে ৪ গুণের বেশি। আর আসামির সংখ্যা হয়েছে দ্বিগুণের বেশি। সরকার পতনের পর গত ডিসেম্বরে হত্যাকাণ্ড ও সহিংসতার ঘটনায় সাবেক সরকারসংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে মামলার সংখ্যা ছিল ১৭টি। জানুয়ারিতে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭২টি।
১ ঘণ্টা আগে