শাবিপ্রবি প্রতিনিধি
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) এক হলে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার্থীর থাকা নিয়ে হয়রানির অভিযোগ উঠেছে হল প্রভোস্টের বিরুদ্ধে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিক এ ঘটনা ঘটে।
আজ শুক্রবার গুচ্ছের ২০২৩-২৪ সেশনের ‘খ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার জন্য বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলে আসেন ওই পরীক্ষার্থী। ওই হলের এক আবাসিক ছাত্রীর কাছে থাকার জায়গার সমস্যার কথা জানান তিনি। কিন্তু হল কর্তৃপক্ষ আবাসিক ছাত্রীকে সহযোগিতা না করে বরং হয়রানি করেছেন।
গুচ্ছের ২০২৩-২৪ সেশনের ‘খ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা আজ শুক্রবার। এর আগের দিন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলে একজন আবাসিক ছাত্রীর কাছে থাকার জায়গার সমস্যার কথা জানান একজন গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার্থী। কিন্তু ওই হল কর্তৃপক্ষ আবাসিক ছাত্রীকে সহযোগিতা না করে বরং হয়রানি করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
হলের আবাসিক শিক্ষার্থী আফসারা তাসনিম ঈশিতা বলেন, ‘গতকাল হবিগঞ্জ থেকে আমার একজন গেস্ট (অতিথি) এসেছিল ‘খ’ ইউনিটে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা দিতে। সে অনেক দূর আসায় ক্লান্ত ছিল। তাকে নিয়ে ভেতরে যেতে চাইলে নিরাপত্তারক্ষী মামারা বাধা দেয়। তখন বলি, আপাতত তাকে ভেতরে নিয়ে যাই, পরে হল প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলে নেব। কিন্তু তারা বলেন, ভেতরে প্রবেশ করতে দেওয়া যাবে না, এমন নিয়ম নেই। পরে বিষয়টি নিয়ে হল সুপারের সঙ্গে কথা বললে তিনিও একই কথা বলেন।’
ইশিতা আরও বলেন, ‘সে দীর্ঘ ভ্রমণ করতে অভ্যস্ত না থাকায় সমস্যা হয়েছিল। তার জন্য এটা অনেক কষ্টদায়ক। সে মানসিকভাবে চাপ পেয়েছে। একজন সিনিয়র হিসেবে আমার দায়িত্ব কোনোভাবে তার থাকার ব্যবস্থা করা। এ বিষয়ে আমি আমার সিনিয়র ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সজীব ভাইয়ের সঙ্গে কথা বলি। পরে অন্য হল থেকে একজন সিনিয়র এসে তাকে সেখানে নিয়ে যান। পরীক্ষার্থীর সমস্যা বিবেচনায় আবাসিক হলে তাকে নিয়ে এসেছিলাম। এটা একধরনের অসহযোগিতামূলক আচরণ করেছে। একই সঙ্গে দেড় ঘণ্টার মতো হলের গেটে দাঁড়িয়ে ছিলাম, যেটা কোনোভাবেই কাম্য নয়। এটা আমাদের মতো আবাসিক শিক্ষার্থীদের জন্য হয়রানি।’
গত ২৭ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হওয়া ‘এ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় বাইরের একজনকে হলে থাকতে দেখেছেন বলেও অভিযোগে করেন ঈশিতা।
এ বিষয়ে শাবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সজীবুর রহমান বলেন, ‘একজন শিক্ষার্থী আমাকে বিষয়টি জানালে আমি হল প্রভোস্টের সঙ্গে কথা বলি। কিন্তু হল প্রভোস্ট সমস্যার কথা বিবেচনা না করে বরং নিয়মের দোহাই দিয়ে পরীক্ষার্থীকে দেড় ঘণ্টার মতো দাঁড় করিয়ে রাখে। দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে আসা ওই ভর্তিচ্ছু ক্লান্ত হয়ে পড়েছিলেন। সমস্যার কথা জানার পর একজন ছাত্র প্রতিনিধি হিসেবে বিষয়টি সমাধানের জন্য একাধিক মাধ্যমকে জানিয়েছি। তবে হল প্রভোস্ট বিষয়টিকে গুরুত্ব না দিয়ে বরং প্রতিবারই প্রত্যাখ্যান করে গেছেন। সমস্যা যে কারও (ভর্তিচ্ছু) থাকতে পারে; তাই বলে হলে থাকতে কেন দেবে না?’
এ বিষয়ে বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. চন্দ্রানী নাগ বলেন, ‘আবাসিক ছাত্রীদের নিরাপত্তার স্বার্থে আমাকে কাজটি করতে হয়েছে। ওখানে একটি মেয়ে বাড়তি থাকলে আমার সমস্যা কী? আমি কি ওখানে থাকি? না। কিন্তু তাদের জন্য যেকোনো পরিস্থিতিতেই তাদের নিরাপত্তা যেন বিঘ্নিত না হয়।’
প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. চন্দ্রানী নাগ আরও বলেন, ‘আমাদের হলে আবাসিক ছাত্রী ছাড়া কাউকে থাকতে দিই না। এটা আমাদের নিয়মিত রুটিন। এটা সব সময় করা হয়। আবাসিক ছাত্রী ছাড়া কেউ হলে প্রবেশ করতে পারে না। যেহেতু এখানে ফিঙ্গার প্রিন্ট ডিভাইস আছে। ফিঙ্গার প্রিন্টে যাদের ম্যাচ করে তারাই হলে থাকে। কোনো গেস্ট অ্যালাউ নয়। তবে কোনো ছাত্রী অসুস্থ হলে তার মা সেবাশুশ্রূষা করার জন্য এলে নির্ধারিত রুমে থাকতে হয়, সেই রুমে নয়। তবে ওই পরীক্ষার্থীকে বেগম সিরাজুন্নেসা হলের প্রভোস্ট কনক ম্যাডামের সঙ্গে কথা বলে ওখানে থাকার ব্যবস্থা করেছি।’
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) এক হলে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার্থীর থাকা নিয়ে হয়রানির অভিযোগ উঠেছে হল প্রভোস্টের বিরুদ্ধে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিক এ ঘটনা ঘটে।
আজ শুক্রবার গুচ্ছের ২০২৩-২৪ সেশনের ‘খ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার জন্য বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলে আসেন ওই পরীক্ষার্থী। ওই হলের এক আবাসিক ছাত্রীর কাছে থাকার জায়গার সমস্যার কথা জানান তিনি। কিন্তু হল কর্তৃপক্ষ আবাসিক ছাত্রীকে সহযোগিতা না করে বরং হয়রানি করেছেন।
গুচ্ছের ২০২৩-২৪ সেশনের ‘খ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা আজ শুক্রবার। এর আগের দিন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলে একজন আবাসিক ছাত্রীর কাছে থাকার জায়গার সমস্যার কথা জানান একজন গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার্থী। কিন্তু ওই হল কর্তৃপক্ষ আবাসিক ছাত্রীকে সহযোগিতা না করে বরং হয়রানি করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
হলের আবাসিক শিক্ষার্থী আফসারা তাসনিম ঈশিতা বলেন, ‘গতকাল হবিগঞ্জ থেকে আমার একজন গেস্ট (অতিথি) এসেছিল ‘খ’ ইউনিটে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা দিতে। সে অনেক দূর আসায় ক্লান্ত ছিল। তাকে নিয়ে ভেতরে যেতে চাইলে নিরাপত্তারক্ষী মামারা বাধা দেয়। তখন বলি, আপাতত তাকে ভেতরে নিয়ে যাই, পরে হল প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলে নেব। কিন্তু তারা বলেন, ভেতরে প্রবেশ করতে দেওয়া যাবে না, এমন নিয়ম নেই। পরে বিষয়টি নিয়ে হল সুপারের সঙ্গে কথা বললে তিনিও একই কথা বলেন।’
ইশিতা আরও বলেন, ‘সে দীর্ঘ ভ্রমণ করতে অভ্যস্ত না থাকায় সমস্যা হয়েছিল। তার জন্য এটা অনেক কষ্টদায়ক। সে মানসিকভাবে চাপ পেয়েছে। একজন সিনিয়র হিসেবে আমার দায়িত্ব কোনোভাবে তার থাকার ব্যবস্থা করা। এ বিষয়ে আমি আমার সিনিয়র ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সজীব ভাইয়ের সঙ্গে কথা বলি। পরে অন্য হল থেকে একজন সিনিয়র এসে তাকে সেখানে নিয়ে যান। পরীক্ষার্থীর সমস্যা বিবেচনায় আবাসিক হলে তাকে নিয়ে এসেছিলাম। এটা একধরনের অসহযোগিতামূলক আচরণ করেছে। একই সঙ্গে দেড় ঘণ্টার মতো হলের গেটে দাঁড়িয়ে ছিলাম, যেটা কোনোভাবেই কাম্য নয়। এটা আমাদের মতো আবাসিক শিক্ষার্থীদের জন্য হয়রানি।’
গত ২৭ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হওয়া ‘এ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় বাইরের একজনকে হলে থাকতে দেখেছেন বলেও অভিযোগে করেন ঈশিতা।
এ বিষয়ে শাবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সজীবুর রহমান বলেন, ‘একজন শিক্ষার্থী আমাকে বিষয়টি জানালে আমি হল প্রভোস্টের সঙ্গে কথা বলি। কিন্তু হল প্রভোস্ট সমস্যার কথা বিবেচনা না করে বরং নিয়মের দোহাই দিয়ে পরীক্ষার্থীকে দেড় ঘণ্টার মতো দাঁড় করিয়ে রাখে। দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে আসা ওই ভর্তিচ্ছু ক্লান্ত হয়ে পড়েছিলেন। সমস্যার কথা জানার পর একজন ছাত্র প্রতিনিধি হিসেবে বিষয়টি সমাধানের জন্য একাধিক মাধ্যমকে জানিয়েছি। তবে হল প্রভোস্ট বিষয়টিকে গুরুত্ব না দিয়ে বরং প্রতিবারই প্রত্যাখ্যান করে গেছেন। সমস্যা যে কারও (ভর্তিচ্ছু) থাকতে পারে; তাই বলে হলে থাকতে কেন দেবে না?’
এ বিষয়ে বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. চন্দ্রানী নাগ বলেন, ‘আবাসিক ছাত্রীদের নিরাপত্তার স্বার্থে আমাকে কাজটি করতে হয়েছে। ওখানে একটি মেয়ে বাড়তি থাকলে আমার সমস্যা কী? আমি কি ওখানে থাকি? না। কিন্তু তাদের জন্য যেকোনো পরিস্থিতিতেই তাদের নিরাপত্তা যেন বিঘ্নিত না হয়।’
প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. চন্দ্রানী নাগ আরও বলেন, ‘আমাদের হলে আবাসিক ছাত্রী ছাড়া কাউকে থাকতে দিই না। এটা আমাদের নিয়মিত রুটিন। এটা সব সময় করা হয়। আবাসিক ছাত্রী ছাড়া কেউ হলে প্রবেশ করতে পারে না। যেহেতু এখানে ফিঙ্গার প্রিন্ট ডিভাইস আছে। ফিঙ্গার প্রিন্টে যাদের ম্যাচ করে তারাই হলে থাকে। কোনো গেস্ট অ্যালাউ নয়। তবে কোনো ছাত্রী অসুস্থ হলে তার মা সেবাশুশ্রূষা করার জন্য এলে নির্ধারিত রুমে থাকতে হয়, সেই রুমে নয়। তবে ওই পরীক্ষার্থীকে বেগম সিরাজুন্নেসা হলের প্রভোস্ট কনক ম্যাডামের সঙ্গে কথা বলে ওখানে থাকার ব্যবস্থা করেছি।’
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে প্রধান শিক্ষক ছাড়াই দীর্ঘদিন ধরে চলছে ১১টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও মাদ্রাসা। প্রধান শিক্ষকবিহীন এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিচালিত হচ্ছে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দিয়ে। অভিযোগ রয়েছে, যেসব ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দিয়ে প্রতিষ্ঠানগুলো পরিচালিত হচ্ছে, তাঁদের অনেকেরই প্রধান শিক্ষক হওয়ার যোগ
৫ ঘণ্টা আগেদুই দশক কিছুটা শান্ত থাকার পর কুড়িগ্রামের চিলমারী-রৌমারী-রাজিবপুর নৌপথে আবার ডাকাতের দৌরাত্ম্য বেড়েছে। এক মাসের ব্যবধানে দুবার ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এ দুই ঘটনায় আইনগত কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। প্রতিরোধেও কার্যকর উদ্যোগ নেই স্থানীয় প্রশাসনের। আবার ডাকাতি শুরু হওয়ায় ১৪ কিলোমিটার এই নৌপথের নৌযান, যাত্রী
৫ ঘণ্টা আগেরাত ১০টার দিকে ওই দুই যুবক মোটরসাইকেলে করে আড়ংঘাটা থানার লতার বাইপাস মোড় লিংক রোড থেকে বাইপাস মহাসড়ক পার হচ্ছিলেন। এ সময়ে আফিলগেট থেকে খুলনাগামী একটি বাস তাঁদের ধাক্কা দেয়।
৬ ঘণ্টা আগেনোয়াখালীর হাতিয়ায় গভীর রাতে বসতঘরে আগুন লেগে নিমাই চন্দ্র মজুমদার ও তাঁর স্ত্রী মিলনবালার মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার (৩১ জানুয়ারী) চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়ার পথে বিকেল ৫টায় নিমাই চন্দ্রের মৃত্যু হয়। হাসপাতালে পৌছার পর রাত ৯টার দিকে মিলন বালাও মারা যান।
৬ ঘণ্টা আগে