Ajker Patrika

হলে থাকা নিয়ে ভর্তি পরীক্ষার্থীকে হয়রানির অভিযোগ শাবিপ্রবির হল প্রভোস্টের বিরুদ্ধে

শাবিপ্রবি প্রতিনিধি
আপডেট : ০৩ মে ২০২৪, ১৬: ০১
হলে থাকা নিয়ে ভর্তি পরীক্ষার্থীকে হয়রানির অভিযোগ শাবিপ্রবির হল প্রভোস্টের বিরুদ্ধে

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) এক হলে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার্থীর থাকা নিয়ে হয়রানির অভিযোগ উঠেছে হল প্রভোস্টের বিরুদ্ধে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিক এ ঘটনা ঘটে।

আজ শুক্রবার গুচ্ছের ২০২৩-২৪ সেশনের ‘খ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার জন্য বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলে আসেন ওই পরীক্ষার্থী। ওই হলের এক আবাসিক ছাত্রীর কাছে থাকার জায়গার সমস্যার কথা জানান তিনি। কিন্তু হল কর্তৃপক্ষ আবাসিক ছাত্রীকে সহযোগিতা না করে বরং হয়রানি করেছেন।

গুচ্ছের ২০২৩-২৪ সেশনের ‘খ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা আজ শুক্রবার। এর আগের দিন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলে একজন আবাসিক ছাত্রীর কাছে থাকার জায়গার সমস্যার কথা জানান একজন গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার্থী। কিন্তু ওই হল কর্তৃপক্ষ আবাসিক ছাত্রীকে সহযোগিতা না করে বরং হয়রানি করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। 

হলের আবাসিক শিক্ষার্থী আফসারা তাসনিম ঈশিতা বলেন, ‘গতকাল হবিগঞ্জ থেকে আমার একজন গেস্ট (অতিথি) এসেছিল ‘খ’ ইউনিটে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা দিতে। সে অনেক দূর আসায় ক্লান্ত ছিল। তাকে নিয়ে ভেতরে যেতে চাইলে নিরাপত্তারক্ষী মামারা বাধা দেয়। তখন বলি, আপাতত তাকে ভেতরে নিয়ে যাই, পরে হল প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলে নেব। কিন্তু তারা বলেন, ভেতরে প্রবেশ করতে দেওয়া যাবে না, এমন নিয়ম নেই। পরে বিষয়টি নিয়ে হল সুপারের সঙ্গে কথা বললে তিনিও একই কথা বলেন।’ 

ইশিতা আরও বলেন, ‘সে দীর্ঘ ভ্রমণ করতে অভ্যস্ত না থাকায় সমস্যা হয়েছিল। তার জন্য এটা অনেক কষ্টদায়ক। সে মানসিকভাবে চাপ পেয়েছে। একজন সিনিয়র হিসেবে আমার দায়িত্ব কোনোভাবে তার থাকার ব্যবস্থা করা। এ বিষয়ে আমি আমার সিনিয়র ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সজীব ভাইয়ের সঙ্গে কথা বলি। পরে অন্য হল থেকে একজন সিনিয়র এসে তাকে সেখানে নিয়ে যান। পরীক্ষার্থীর সমস্যা বিবেচনায় আবাসিক হলে তাকে নিয়ে এসেছিলাম। এটা একধরনের অসহযোগিতামূলক আচরণ করেছে। একই সঙ্গে দেড় ঘণ্টার মতো হলের গেটে দাঁড়িয়ে ছিলাম, যেটা কোনোভাবেই কাম্য নয়। এটা আমাদের মতো আবাসিক শিক্ষার্থীদের জন্য হয়রানি।’ 

গত ২৭ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হওয়া ‘এ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় বাইরের একজনকে হলে থাকতে দেখেছেন বলেও অভিযোগে করেন ঈশিতা। 

এ বিষয়ে শাবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সজীবুর রহমান বলেন, ‘একজন শিক্ষার্থী আমাকে বিষয়টি জানালে আমি হল প্রভোস্টের সঙ্গে কথা বলি। কিন্তু হল প্রভোস্ট সমস্যার কথা বিবেচনা না করে বরং নিয়মের দোহাই দিয়ে পরীক্ষার্থীকে দেড় ঘণ্টার মতো দাঁড় করিয়ে রাখে। দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে আসা ওই ভর্তিচ্ছু ক্লান্ত হয়ে পড়েছিলেন। সমস্যার কথা জানার পর একজন ছাত্র প্রতিনিধি হিসেবে বিষয়টি সমাধানের জন্য একাধিক মাধ্যমকে জানিয়েছি। তবে হল প্রভোস্ট বিষয়টিকে গুরুত্ব না দিয়ে বরং প্রতিবারই প্রত্যাখ্যান করে গেছেন। সমস্যা যে কারও (ভর্তিচ্ছু) থাকতে পারে; তাই বলে হলে থাকতে কেন দেবে না?’ 

এ বিষয়ে বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. চন্দ্রানী নাগ বলেন, ‘আবাসিক ছাত্রীদের নিরাপত্তার স্বার্থে আমাকে কাজটি করতে হয়েছে। ওখানে একটি মেয়ে বাড়তি থাকলে আমার সমস্যা কী? আমি কি ওখানে থাকি? না। কিন্তু তাদের জন্য যেকোনো পরিস্থিতিতেই তাদের নিরাপত্তা যেন বিঘ্নিত না হয়।’ 

প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. চন্দ্রানী নাগ আরও বলেন, ‘আমাদের হলে আবাসিক ছাত্রী ছাড়া কাউকে থাকতে দিই না। এটা আমাদের নিয়মিত রুটিন। এটা সব সময় করা হয়। আবাসিক ছাত্রী ছাড়া কেউ হলে প্রবেশ করতে পারে না। যেহেতু এখানে ফিঙ্গার প্রিন্ট ডিভাইস আছে। ফিঙ্গার প্রিন্টে যাদের ম্যাচ করে তারাই হলে থাকে। কোনো গেস্ট অ্যালাউ নয়। তবে কোনো ছাত্রী অসুস্থ হলে তার মা সেবাশুশ্রূষা করার জন্য এলে নির্ধারিত রুমে থাকতে হয়, সেই রুমে নয়। তবে ওই পরীক্ষার্থীকে বেগম সিরাজুন্নেসা হলের প্রভোস্ট কনক ম্যাডামের সঙ্গে কথা বলে ওখানে থাকার ব্যবস্থা করেছি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

লক্ষ্মীপুরে ঘরে ঢুকে নারীকে কুপিয়ে হত্যা

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি
লক্ষ্মীপুর পৌরসভার ১০ নম্বর ওয়ার্ডে গতকাল দিবাগত গভীর রাতে এক নারীকে কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। ছবি: আজকের পত্রিকা
লক্ষ্মীপুর পৌরসভার ১০ নম্বর ওয়ার্ডে গতকাল দিবাগত গভীর রাতে এক নারীকে কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। ছবি: আজকের পত্রিকা

লক্ষ্মীপুর পৌরসভার ১০ নম্বর ওয়ার্ডের মটকা মসজিদ এলাকায় ঘরে ঢুকে ছকিনা বেগম (৫০) নামের এক নারীকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। শুক্রবার দিবাগত গভীর রাতে এই ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ তাঁর মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে।

নিহত ব্যক্তির স্বজন, এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে মুখোশ পরা এক বা একাধিক দুর্বৃত্ত ঘরের ছাদ দিয়ে ভেতরে প্রবেশ করে। তারা প্রথমে ছকিনা বেগমের কক্ষে ঢোকে। এ সময় তিনি চিৎকার করলে দুর্বৃত্তরা তাঁকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে গুরুতর আহত করে পালিয়ে যায়।

পরে চিৎকার শুনে স্থানীয় লোকজন ছকিনা বেগমকে উদ্ধার করে প্রথমে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে এবং পরে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নেওয়ার পথে তিনি মারা যান। নিহত ছকিনা বেগমের স্বামী সাফি উল্যাহ তিন বছর আগে মারা যান। তাঁর দুই সন্তান বিদেশে থাকেন।

এই ঘটনায় ঘর থেকে কোনো টাকা বা মালপত্র লুটের ঘটনা ঘটেনি বলে জানিয়েছেন স্বজনেরা। তবে ডাকাতির সময় বাধা দেওয়ায় এই হত্যাকাণ্ড ঘটতে পারে বলে স্থানীয় বাসিন্দাদের ধারণা।

লক্ষ্মীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. রেজাউল হক বলেন, প্রাথমিকভাবে পূর্বশত্রুতা বা পরিকল্পিতভাবে নারীকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে ডাকাতির বিষয়টিও তদন্তের আওতায় রয়েছে। এই ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন এবং জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

নানা বয়সী দৌড়বিদদের অংশগ্রহণে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হাফ ম্যারাথন

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
আজ ভোরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার শিমরাইলকান্দি ব্রিজ এলাকা থেকে প্রতিযোগিতা শুরু হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা
আজ ভোরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার শিমরাইলকান্দি ব্রিজ এলাকা থেকে প্রতিযোগিতা শুরু হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা

শারীরিক ও মানসিক সুস্থতার বার্তা ছড়িয়ে দিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অনুষ্ঠিত হয়েছে হাফ ম্যারাথন। শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) ভোরে আয়োজিত এই প্রতিযোগিতায় নারী-পুরুষ, শিশুসহ বিভিন্ন বয়সের প্রায় ৩৫০ দৌড়বিদ অংশ নেন।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া রানার্স কমিটির উদ্যোগে কাকডাকা ভোরে শুরু হওয়া এই হাফ ম্যারাথনে ২১ কিলোমিটার, ১০ কিলোমিটার, ৫ কিলোমিটার ও ২ কিলোমিটার—এই চার ক্যাটাগরিতে দৌড় অনুষ্ঠিত হয়। এতে দেশের ২০ জেলার দৌড়বিদদের পাশাপাশি কয়েকজন বিদেশি দৌড়বিদও অংশগ্রহণ করেন।

সকাল পৌনে ৬টায় জেলার শিমরাইলকান্দি ব্রিজ এলাকা থেকে প্রতিযোগিতা শুরু হয়ে বিজয়নগর উপজেলার পত্তন এলাকায় গিয়ে শেষ হয়। শীতের সকালে এমন ব্যতিক্রমধর্মী আয়োজন ঘিরে দৌড়বিদ ও দর্শকদের মধ্যে ছিল ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা।

আয়োজকেরা জানান, প্রযুক্তির অপব্যবহার থেকে মানুষকে দূরে রাখা, তরুণ প্রজন্মকে খেলাধুলার প্রতি আগ্রহী করা এবং নেশামুক্ত সমাজ গড়ে তোলার লক্ষ্যে এই আয়োজন করা হয়েছে।

প্রতিযোগিতা শেষে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার ও প্রাইজমানি তুলে দেওয়া হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

মাদারীপুরে গাছ ফেলে মহাসড়ক অবরোধ, পুলিশ দেখে পালাল আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীরা

মাদারীপুর প্রতিনিধি
শনিবার ভোরে গাছ ফেলে মহাসড়ক অবরোধ করে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা। ছবি: স্ক্রিনশট
শনিবার ভোরে গাছ ফেলে মহাসড়ক অবরোধ করে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা। ছবি: স্ক্রিনশট

ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের মাদারীপুর সদর ও রাজৈর উপজেলার বিভিন্ন অংশে আজ শনিবার ভোরে গাছ ফেলে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ মিছিল করেছে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা। ভোর ৫টা থেকে প্রায় দুই ঘণ্টা এই অবরোধের ফলে মহাসড়কে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয় এবং যান চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ থাকে।

পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার সাধুর ব্রিজ থেকে মাদারীপুর সদর উপজেলার মোস্তফাপুর পর্যন্ত মহাসড়কের মোট আটটি স্থানে গাছ ফেলে সড়ক অবরোধ করা হয়। ভোর ৫টা থেকে ৭টা পর্যন্ত এই অবরোধ চলে।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশিত একটি ভিডিওতে দেখা যায়, এই মহাসড়ক অবরোধের নেতৃত্ব দেন মাদারীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এবং মাদারীপুর সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান পাভেলুর রহমান শফিক খান। এ সময় তাঁর সঙ্গে উপস্থিত নেতা-কর্মী ও সমর্থকেরা আওয়ামী লীগের পক্ষে বিভিন্ন স্লোগান দেন। অনেকের মুখেই হেলমেট ও মাস্ক পরা অবস্থায় দেখা যায়।

বিক্ষোভ চলাকালীন শফিক খান তাঁর বক্তব্যে বলেন, ‘আজকে তারা আওয়ামী লীগকে বাদ দিয়ে নির্বাচন করতে চান। এই নির্বাচন বাঙালি মানবে না, মানে না। আজকে মাদারীপুর, রাজৈর বরিশালে কোনো গাড়ি চলবে না। আমরা শেখ হাসিনা ছাড়া কোনো কিছু চিনিনা, কিছু মানি না, মানব না।’

সড়কের পাশের গাছ কেটে যান চলাচল আটকে দেয় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা। ছবি: স্ক্রিনশট
সড়কের পাশের গাছ কেটে যান চলাচল আটকে দেয় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা। ছবি: স্ক্রিনশট

এ সময় নেতা-কর্মীরা বিভিন্ন স্লোগান দেয়। তাদের মোটরসাইকেল নিয়েও মিছিল করতে দেখা যায়।

অবরোধের খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায় পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস এবং স্থানীয়রা। মাদারীপুর ফায়ার সার্ভিসের টিম লিডার সাইফুল ইসলাম ভূইয়া জানান, তাঁরা ভোর ৫টা ৫০ মিনিটে খবর পান। দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা পাঁচটি এবং স্থানীয়রা আরও তিনটি গাছ অপসারণ করেন। গাছগুলো সরাতে প্রায় এক ঘণ্টা সময় লাগে।

মাদারীপুরের মোস্তফাপুর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মামুন আল রশিদ বলেন, ‘বিক্ষোভকারীরা অল্প সময়ের জন্য সড়ক অবরোধ করে রেখেছিল। পুলিশ দেখে দ্রুত তারা পালিয়ে যায়। তাৎক্ষণিক গাছগুলো সরিয়ে যান চলাচল স্বাভাবিক করা হয় এবং বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

নীলফামারীতে ট্রেনে কাটা পড়ে যুবকের মৃত্যু

নীলফামারী প্রতিনিধি
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

নীলফামারী-সৈয়দপুর রেলপথে ট্রেনে কাটা পড়ে হৃদয় রায় (২৫) নামের এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। আজ শনিবার সকাল সোয়া ৬টার দিকে নীলফামারী পৌর এলাকার আদর্শপাড়া এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।

সৈয়দপুর রেলওয়ে পুলিশ জানায়, ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা মরদেহের পকেটে একটি চিরকুট পাওয়া গেছে। এতে লেখা রয়েছে, তাঁর মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়। চিরকুট অনুযায়ী হৃদয় রায়ের বাড়ি দিনাজপুরের খানসামা উপজেলার রামকলা গ্রামে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকাল সোয়া ৬টার দিকে ওই যুবক রেললাইন ধরে হাঁটছিলেন। এ সময় খুলনা থেকে ছেড়ে আসা সীমান্ত এক্সপ্রেস ট্রেন ঘটনাস্থলে পৌঁছালে তিনি ট্রেনে কাটা পড়েন।

সৈয়দপুর রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাহমুদ-উন নবী বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করেছে। আইনগত প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত