Ajker Patrika

সিলেটে বন্যার উঁকি, উত্তরে ফুঁসছে যমুনা

সিলেটে বন্যার উঁকি, উত্তরে ফুঁসছে যমুনা

সিলেটে বৃষ্টি বেড়েছে। ভারতের মেঘালয় ও আসাম থেকেও নেমেছে ঢল। ফলে বিপৎসীমা অতিক্রম করছে নদীর পানি। এতে আবারও বন্যা উঁকি দিচ্ছে সিলেট ও হাওরের জেলা সুনামগঞ্জে। একই অবস্থা উত্তরাঞ্চলেও। সেখানে যমুনার পানি বেড়ে সিরাজগঞ্জে দেখা দিয়েছে তীব্র ভাঙন। 

সিলেট আবহাওয়া অফিসের পূর্বাভাস ছিল, আগামী ১১ জুন থেকে বৃষ্টির পরিমাণ বাড়বে। সিলেট পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষও বলেছিল, ১০ জুনের পর থেকে ভারতের মেঘালয় ও আসামে ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে ১২ জুনের মধ্যে এ অঞ্চলের কিছু নদ-নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে। হয়েছেও তাই। ১১ জুন থেকে সিলেটে বেড়েছে বৃষ্টিপাত। এতে সুনামগঞ্জে সুরমা ও যাদুকাটা বিপৎসীমার ওপর দিয়ে যাচ্ছে। সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্টে কুশিয়ারা নদীর পানিও বিপৎসীমা পেরিয়ে গেছে। আগে থেকে নদ-নদী পানিতে ভরাট থাকায় চলমান এই বৃষ্টিপাত ও উজানের ঢলে আবার বন্যার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে সিলেটে। 

সিলেট পানি উন্নয়ন বোর্ড ( পাউবো) সূত্রে জানা যায়, গতকাল সোমবার বিকেল ৩টায়  কুশিয়ারা নদীর পানি ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্টে  ছিল ৯ দশমিক ৫০ সেন্টিমিটার। এই পয়েন্টে পানির ডেঞ্জার লেভেল ( বিপৎসীমা) ৯ দশমিক ৪৫ সেন্টিমিটার। 

পাউবো সিলেট কার্যালয়ের উপসহকারী প্রকৌশলী নিলয় পাশা আজকের পত্রিকাকে বলেন, চলমান বৃষ্টি আর উজানের ঢলে সিলেটের নদ-নদীর পানি বাড়ছে।  নদীগুলো ভরাট হয়ে যাওয়ায় বর্ষার স্বাভাবিক বৃষ্টির পানি ধারণ করতে পারবে না । তার ওপর উজানের ঢল চলমান থাকলে সিলেট অঞ্চলের কিছু নদনদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হবে। এতে  নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হবে। 

এক মাসের ব্যবধানে আবারও বন্যার পদধ্বনি শোনা যাচ্ছে সুনামগঞ্জে। গত তিন দিনের টানা বর্ষণ আর পাহাড়ি ঢলে জেলার প্রায় সব নদ-নদীতে পানি বেড়েছে।  পাউবো সূত্র জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতের মেঘালয়ের চেরাপুঞ্জিতে ২৫৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। অন্যদিকে সুনামগঞ্জের লাউড়েরগড় স্টেশনে ১৯০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। এ অবস্থায় সুরমা নদীর পানি বিপৎসীমার ১২ সেন্টিমিটার ওপরে প্রবাহিত হচ্ছে।  এতে নদী তীরবর্তী অন্তত ১০টি গ্রামে পানি প্রবেশ করেছে। পৌর শহরের তেঘরিয়া, মল্লিকপুর, জলিলপুর ও উকিলপাড়া আবাসিক এলাকায় পানি ঢুকতে শুরু করেছে। এ ছাড়া জেলা সদর থেকে তাহিরপুর উপজেলার সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। 

পাহাড়ি ঢলের ফলে জেলার ছাতক, দোয়ারাবাজার, বিশ্বম্ভরপুর, তাহিরপুর ও সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার বাসিন্দারা পুনরায় বন্যায় আক্রান্ত হওয়ার শঙ্কার কথা জানিয়েছে পানি পাউবোর  কর্মকর্তারা। 

পাউবো সুনামগঞ্জের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. জহুরুল ইসলাম বলেন, আগামী ৪৮ ঘণ্টা পানি বৃদ্ধি পাবে। যেহেতু চেরাপুঞ্জিতে অস্বাভাবিকভাবে বৃষ্টিপাত হচ্ছে।  বৃষ্টির এই পানি সুনামগঞ্জের নদনদী দিয়ে প্রবাহিত হয়ে জেলার নিম্নাঞ্চলে স্বল্পমেয়াদি বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে পারে।  ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটি নিচু এলাকা প্লাবিত হয়েছে। 

সিরাজগঞ্জে যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। পানি বৃদ্ধির সঙ্গে চলছে তীব্র নদী ভাঙন। নদীতে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় এবার বিলীন হলো ঐতিহ্যবাহী তারকা মসজিদ। গতকাল সকালে সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুরে ব্রাহ্মণগ্রামের এই মসজিদটি নদীগর্ভে চলে গেছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

কৌশলে বিনিয়োগ সরাচ্ছে বহুজাতিক কোম্পানি

বিমান বিধ্বস্ত: এক ঘণ্টা পর উদ্ধার হন পাইলট, তখনো বেঁচে ছিলেন

মোহাম্মদপুর থানায় ভুক্তভোগীকে হেনস্তা: চার পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার, ৩ ছিনতাইকারী গ্রেপ্তার

‘ওসি হয়েও আমার কম দামি ফোন, দামি ফোন নিয়ে ঘুরলে ছিনতাই তো হবেই’, ভুক্তভোগীকে মোহাম্মদপুরের ওসি

রংপুরের ১০ কিমি সড়কে ৩৬৫ টন পাথর উধাও

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত