সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়
ইয়াহ্ইয়া মারুফ, সিলেট

একটা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশ্নপত্র ছাপা, পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ, সার্টিফিকেটে স্বাক্ষর, বিভিন্ন কার্যাদেশ বা সরবরাহ আদেশে স্বাক্ষর, পরীক্ষা কেন্দ্র পরিদর্শন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে অগ্রিম টাকা উত্তোলন—এসব গুরুত্বপূর্ণ কাজ একজন ভুয়া ‘সহকারী পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক’ করবেন, তা ভাবা যায় না। কিন্তু অভাবনীয় এসব ঘটনা ঘটছে সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (এসএমইউ)। এই কথিত সহকারী পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (এইসি) হলেন বিলাল আহমদ চৌধুরী।
আজকের পত্রিকা'র অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে এমন তথ্য। এ-সংক্রান্ত তথ্য-প্রমাণ প্রতিবেদকের কাছে সংরক্ষিত রয়েছে।
ইউজিসির নির্দেশনা অনুযায়ী, অস্থায়ী চাকরির বৈধতা শেষ অনেক আগেই। সরকারি বেতনও বন্ধ হয়েছে প্রায় ২ বছর আগে। তবু তিনি ২ বছর ধরে সহকারী পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের কাজ করেছেন। সদ্য সাবেক ভিসি ও রেজিস্ট্রার তাঁকে এসব কাজের দায়িত্ব দিয়েছিলেন। কিন্তু বেতন দেননি।
অভিযোগ রয়েছে, বেতন না দিলেও কাগজ কেনার নামে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়েছে এই ‘সহকারী পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক’কে। বৈধ নয়, এমন ব্যক্তির স্বাক্ষরিত সার্টিফিকেটগুলোর বৈধতার প্রশ্নে নিজেদের ভবিষ্যৎ নিয়ে ব্যাপক দুশ্চিন্তায় পড়েছেন শিক্ষার্থীরা।
এসএমইউসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানান, ২০২৩ সালের ৪ জানুয়ারি ভিসি হিসেবে যোগ দেন ডা. এনায়েত হোসেন। শুরুতেই বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিয়োগের মেয়াদ বৃদ্ধি না করে সব নিয়োগ অবৈধ ঘোষণা করেন। ওই বছরের ১৪ জুন উপাচার্য ২৩৯ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীর বেতন বন্ধ করে তাঁদের মধ্য থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫ম সিন্ডিকেটের মাধ্যমে নিজের পছন্দমতো রেজিস্ট্রার, সহকারী হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা, হিসাবরক্ষক ও ক্যাশিয়ার এবং ২৬ আগস্ট আরও ২৭ জনকে কর্মকর্তা-কর্মচারী অস্থায়ী ভিত্তিতে পুনরায় নিয়োগ দেন। যদিও এর আগে চিঠি দিয়ে অ্যাডহক (অস্থায়ী) নিয়োগ বন্ধ করার নির্দেশনা দিয়েছিল ইউজিসি। সদ্য সাবেক ভিসি এ এইচ এম এনায়েত হোসেন যে দুই দফা নিয়োগ দিয়েছিলেন, তার কোথাও সহকারী পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক পদে বিলাল হোসেন চৌধুরীর নাম নেই। অথচ দুই বছর ধরে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষাসংক্রান্ত সব কাজ করে যাচ্ছেন।
নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগে প্রথম ভিসি ড. মোরশেদ আহমেদ চৌধুরীসহ কয়েকজন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুদকের যে মামলা চলছে, সেটির ৭ নম্বর আসামি এই বিলাল।
নথিপত্র বলছে, এসএমইউর ২০২০-২১ সেশনের ফলাফল প্রকাশ হয়েছে ২০২৩ সালের ৩ আগস্ট। বিলাল চৌধুরীর স্বাক্ষরে ওই মাসের ২৮ তারিখে পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের সনদ দেওয়া হয়।
টেন্ডার অর্ডারে স্বাক্ষর
বিলাল আহমদ চৌধুরী ২০২৪ সালের ৭ জুলাই ‘সহকারী পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক’ হিসেবে বিভিন্ন পরীক্ষার ১৯ হাজার কপি মূল উত্তরপত্রের ওয়ার্ক অর্ডার (সরবরাহ আদেশ) দেন নগরের লামাবাজারের উদয়ন অফসেট প্রেসকে। ২ লাখ ৯৯ হাজার ২৫০ টাকার এই টেন্ডারের দরপত্র মূল্যায়নে ৭ সদস্যের কমিটির মধ্যে শুধু ভিসি আর রেজিস্ট্রার স্বাক্ষর করেছেন। একইভাবে দরপত্র উন্মুক্তকরণে তিন সদস্যের কমিটির মধ্যে রেজিস্ট্রার ও সদস্য স্বাক্ষর করেছেন। ২০২৪ সালের ১৮ জুলাই এই টাকাও পরিশোধ করেন। অভিযোগ উঠেছে, কাগজ কেনার টাকায় বিলালকে তাঁর বেতন উশুল করার সুযোগ দেন উপাচার্য ও রেজিস্ট্রার।
অগ্রিম টাকা উত্তোলন
বিলাল চৌধুরী ‘সহকারী পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক’ হিসেবে পরীক্ষাসংক্রান্ত বিভিন্ন কাজের জন্য ২০২৩ সালের ১০ অক্টোবর ৩ লাখ, ৩০ ডিসেম্বর ২ লাখ ও ২০২৪ সালের ২৫ জানুয়ারি ৩ লাখ টাকা অগ্রিম উত্তোলন করেন।
পরিদর্শনের নামে অর্থ আত্মসাৎ
২০২৪ সালের ৮ মে এসএমইউর ৪৩৬ নম্বর ভাউচারে পরীক্ষা কেন্দ্র পরিদর্শন সম্মানী নিয়েছেন বিলাল। বিএসসি ইন মেডিকেল টেকনোলজি (ল্যাবরেটরি) প্রথম বর্ষ জানুয়ারি ২০২৪ পরীক্ষার একটি কেন্দ্র তিনি ৭ দিন পরিদর্শন করেছেন। নগরের শাহি ঈদগাহের আরটিএমআই মেডিকেল টেকনোলজি ইনস্টিটিউট পরিদর্শনে দৈনিক ৩ হাজার ৫০০ টাকা করে মোট ২৪ হাজার ৫০০ টাকা নেন। তবে বিলাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সব কাগজপত্রে নিজের পদবি ব্যবহার করলেও এই ভাউচারে শুধু নাম ব্যবহার করেছেন।
এ ব্যাপারে জানতে সাবেক ভিসি এ এইচ এম এনায়েত হোসেন, রেজিস্ট্রার আবুল কালাম মো. ফজলুর রহমান ও নিয়োগহীন ‘সহকারী পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক’ বিলাল আহমদ চৌধুরীর মোবাইল ফোনে একাধিকার কল করলেও তাঁরা রিসিভ করেননি। এই প্রতিবেদক খুদে বার্তা পাঠালেও তাঁরা সাড়া দেননি। পরে এনায়েত হোসেন ও বিলাল চৌধুরীর পক্ষে দুজন লোক এই প্রতিবেদককে ফোন করে সংবাদ প্রকাশ না করতে অনুরোধ করেন।
এসএমইউর নবনিযুক্ত পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক ডা. মো. জিয়াউর রহমান চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘নতুন ভিসি নিয়োগ হয়েছেন। এটা উনাকে জিজ্ঞেস করেন। এ বিষয়ে আমার জানা নাই কিছু।’
এসএমইউর অন্যতম ডিন অধ্যাপক ডা. মো. নাজমুল ইসলাম বলেন, ‘এখানে কয়েক হাজার পরীক্ষার্থী আছেন। তাঁদের পরীক্ষা তো চালিয়ে যেতে হবে। এ কারণে আমরা যাঁদের পাইছি, তাঁদের দিয়ে কাজ করিয়েছি।’
এসএমইউর নবনিযুক্ত ভিসি অধ্যাপক ডা. মো. ইসমাইল পাটোয়ারি বলেন, ‘এটা তো আগে থেকেই চলে আসতেছে। পরীক্ষা কনটিনিউ (অব্যাহত) করার জন্য ডেইলি বেসিসে কয়েকজনকে রাখা হয়েছে। আমাদের মন্ত্রণালয়ের পরীক্ষার দায়িত্ব ওসমানীর প্রিন্সিপালকে দিয়েছে এবং উনারা কনটিনিউ করতেছেন আরকি। রেগুলার (স্থায়ী) নিয়োগ কারও হয়নি। আমাদের সংবিধিটা পাস হলে আমরা রেগুলারে যাব আরকি। যাঁরা এখানে ক্রাইটেরিয়া ফুল (যোগ্যতাসম্পন্ন) করবেন, তাঁরা আসবেন। আর যাঁরা ক্রাইটেরিয়া ফুলফিল করবেন না, তাঁরা আসবেন না। আমাদের আজকে (রোববার) মিটিং ছিল, সেখানেও এ বিষয়ে আলাপ হয়েছে।’
এসএমইউর অধীন ৩টি কলেজের ২০১৯-২০ সেশনের তিনজন শিক্ষার্থী নাম প্রকাশ না করার শর্তে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এটি আমাদের জন্য খুবই উদ্বেগের। চাকরি-উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে চরম বিপাকে পড়ব। বিষয়টি নিয়ে কলেজ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে শিগগিরই আমরা কথা বলব।’
আরও খবর পড়ুন:

একটা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশ্নপত্র ছাপা, পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ, সার্টিফিকেটে স্বাক্ষর, বিভিন্ন কার্যাদেশ বা সরবরাহ আদেশে স্বাক্ষর, পরীক্ষা কেন্দ্র পরিদর্শন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে অগ্রিম টাকা উত্তোলন—এসব গুরুত্বপূর্ণ কাজ একজন ভুয়া ‘সহকারী পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক’ করবেন, তা ভাবা যায় না। কিন্তু অভাবনীয় এসব ঘটনা ঘটছে সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (এসএমইউ)। এই কথিত সহকারী পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (এইসি) হলেন বিলাল আহমদ চৌধুরী।
আজকের পত্রিকা'র অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে এমন তথ্য। এ-সংক্রান্ত তথ্য-প্রমাণ প্রতিবেদকের কাছে সংরক্ষিত রয়েছে।
ইউজিসির নির্দেশনা অনুযায়ী, অস্থায়ী চাকরির বৈধতা শেষ অনেক আগেই। সরকারি বেতনও বন্ধ হয়েছে প্রায় ২ বছর আগে। তবু তিনি ২ বছর ধরে সহকারী পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের কাজ করেছেন। সদ্য সাবেক ভিসি ও রেজিস্ট্রার তাঁকে এসব কাজের দায়িত্ব দিয়েছিলেন। কিন্তু বেতন দেননি।
অভিযোগ রয়েছে, বেতন না দিলেও কাগজ কেনার নামে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়েছে এই ‘সহকারী পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক’কে। বৈধ নয়, এমন ব্যক্তির স্বাক্ষরিত সার্টিফিকেটগুলোর বৈধতার প্রশ্নে নিজেদের ভবিষ্যৎ নিয়ে ব্যাপক দুশ্চিন্তায় পড়েছেন শিক্ষার্থীরা।
এসএমইউসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানান, ২০২৩ সালের ৪ জানুয়ারি ভিসি হিসেবে যোগ দেন ডা. এনায়েত হোসেন। শুরুতেই বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিয়োগের মেয়াদ বৃদ্ধি না করে সব নিয়োগ অবৈধ ঘোষণা করেন। ওই বছরের ১৪ জুন উপাচার্য ২৩৯ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীর বেতন বন্ধ করে তাঁদের মধ্য থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫ম সিন্ডিকেটের মাধ্যমে নিজের পছন্দমতো রেজিস্ট্রার, সহকারী হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা, হিসাবরক্ষক ও ক্যাশিয়ার এবং ২৬ আগস্ট আরও ২৭ জনকে কর্মকর্তা-কর্মচারী অস্থায়ী ভিত্তিতে পুনরায় নিয়োগ দেন। যদিও এর আগে চিঠি দিয়ে অ্যাডহক (অস্থায়ী) নিয়োগ বন্ধ করার নির্দেশনা দিয়েছিল ইউজিসি। সদ্য সাবেক ভিসি এ এইচ এম এনায়েত হোসেন যে দুই দফা নিয়োগ দিয়েছিলেন, তার কোথাও সহকারী পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক পদে বিলাল হোসেন চৌধুরীর নাম নেই। অথচ দুই বছর ধরে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষাসংক্রান্ত সব কাজ করে যাচ্ছেন।
নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগে প্রথম ভিসি ড. মোরশেদ আহমেদ চৌধুরীসহ কয়েকজন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুদকের যে মামলা চলছে, সেটির ৭ নম্বর আসামি এই বিলাল।
নথিপত্র বলছে, এসএমইউর ২০২০-২১ সেশনের ফলাফল প্রকাশ হয়েছে ২০২৩ সালের ৩ আগস্ট। বিলাল চৌধুরীর স্বাক্ষরে ওই মাসের ২৮ তারিখে পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের সনদ দেওয়া হয়।
টেন্ডার অর্ডারে স্বাক্ষর
বিলাল আহমদ চৌধুরী ২০২৪ সালের ৭ জুলাই ‘সহকারী পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক’ হিসেবে বিভিন্ন পরীক্ষার ১৯ হাজার কপি মূল উত্তরপত্রের ওয়ার্ক অর্ডার (সরবরাহ আদেশ) দেন নগরের লামাবাজারের উদয়ন অফসেট প্রেসকে। ২ লাখ ৯৯ হাজার ২৫০ টাকার এই টেন্ডারের দরপত্র মূল্যায়নে ৭ সদস্যের কমিটির মধ্যে শুধু ভিসি আর রেজিস্ট্রার স্বাক্ষর করেছেন। একইভাবে দরপত্র উন্মুক্তকরণে তিন সদস্যের কমিটির মধ্যে রেজিস্ট্রার ও সদস্য স্বাক্ষর করেছেন। ২০২৪ সালের ১৮ জুলাই এই টাকাও পরিশোধ করেন। অভিযোগ উঠেছে, কাগজ কেনার টাকায় বিলালকে তাঁর বেতন উশুল করার সুযোগ দেন উপাচার্য ও রেজিস্ট্রার।
অগ্রিম টাকা উত্তোলন
বিলাল চৌধুরী ‘সহকারী পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক’ হিসেবে পরীক্ষাসংক্রান্ত বিভিন্ন কাজের জন্য ২০২৩ সালের ১০ অক্টোবর ৩ লাখ, ৩০ ডিসেম্বর ২ লাখ ও ২০২৪ সালের ২৫ জানুয়ারি ৩ লাখ টাকা অগ্রিম উত্তোলন করেন।
পরিদর্শনের নামে অর্থ আত্মসাৎ
২০২৪ সালের ৮ মে এসএমইউর ৪৩৬ নম্বর ভাউচারে পরীক্ষা কেন্দ্র পরিদর্শন সম্মানী নিয়েছেন বিলাল। বিএসসি ইন মেডিকেল টেকনোলজি (ল্যাবরেটরি) প্রথম বর্ষ জানুয়ারি ২০২৪ পরীক্ষার একটি কেন্দ্র তিনি ৭ দিন পরিদর্শন করেছেন। নগরের শাহি ঈদগাহের আরটিএমআই মেডিকেল টেকনোলজি ইনস্টিটিউট পরিদর্শনে দৈনিক ৩ হাজার ৫০০ টাকা করে মোট ২৪ হাজার ৫০০ টাকা নেন। তবে বিলাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সব কাগজপত্রে নিজের পদবি ব্যবহার করলেও এই ভাউচারে শুধু নাম ব্যবহার করেছেন।
এ ব্যাপারে জানতে সাবেক ভিসি এ এইচ এম এনায়েত হোসেন, রেজিস্ট্রার আবুল কালাম মো. ফজলুর রহমান ও নিয়োগহীন ‘সহকারী পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক’ বিলাল আহমদ চৌধুরীর মোবাইল ফোনে একাধিকার কল করলেও তাঁরা রিসিভ করেননি। এই প্রতিবেদক খুদে বার্তা পাঠালেও তাঁরা সাড়া দেননি। পরে এনায়েত হোসেন ও বিলাল চৌধুরীর পক্ষে দুজন লোক এই প্রতিবেদককে ফোন করে সংবাদ প্রকাশ না করতে অনুরোধ করেন।
এসএমইউর নবনিযুক্ত পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক ডা. মো. জিয়াউর রহমান চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘নতুন ভিসি নিয়োগ হয়েছেন। এটা উনাকে জিজ্ঞেস করেন। এ বিষয়ে আমার জানা নাই কিছু।’
এসএমইউর অন্যতম ডিন অধ্যাপক ডা. মো. নাজমুল ইসলাম বলেন, ‘এখানে কয়েক হাজার পরীক্ষার্থী আছেন। তাঁদের পরীক্ষা তো চালিয়ে যেতে হবে। এ কারণে আমরা যাঁদের পাইছি, তাঁদের দিয়ে কাজ করিয়েছি।’
এসএমইউর নবনিযুক্ত ভিসি অধ্যাপক ডা. মো. ইসমাইল পাটোয়ারি বলেন, ‘এটা তো আগে থেকেই চলে আসতেছে। পরীক্ষা কনটিনিউ (অব্যাহত) করার জন্য ডেইলি বেসিসে কয়েকজনকে রাখা হয়েছে। আমাদের মন্ত্রণালয়ের পরীক্ষার দায়িত্ব ওসমানীর প্রিন্সিপালকে দিয়েছে এবং উনারা কনটিনিউ করতেছেন আরকি। রেগুলার (স্থায়ী) নিয়োগ কারও হয়নি। আমাদের সংবিধিটা পাস হলে আমরা রেগুলারে যাব আরকি। যাঁরা এখানে ক্রাইটেরিয়া ফুল (যোগ্যতাসম্পন্ন) করবেন, তাঁরা আসবেন। আর যাঁরা ক্রাইটেরিয়া ফুলফিল করবেন না, তাঁরা আসবেন না। আমাদের আজকে (রোববার) মিটিং ছিল, সেখানেও এ বিষয়ে আলাপ হয়েছে।’
এসএমইউর অধীন ৩টি কলেজের ২০১৯-২০ সেশনের তিনজন শিক্ষার্থী নাম প্রকাশ না করার শর্তে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এটি আমাদের জন্য খুবই উদ্বেগের। চাকরি-উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে চরম বিপাকে পড়ব। বিষয়টি নিয়ে কলেজ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে শিগগিরই আমরা কথা বলব।’
আরও খবর পড়ুন:

ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলায় বন্যা রানী নামের এক নারীকে হত্যা মামলায় তাঁর স্বামীকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। তাঁর নাম সৌরভ কুমার দাস (২২)। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে র্যাব জানিয়েছে, বন্যাকে তাঁর মা আটকে রেখে অন্যত্র বিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছিলেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে সৌরভ
২ মিনিট আগে
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) নাট্যকলা বিভাগে শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে আমরণ অনশনে বসেছেন দুই শিক্ষার্থী। গতকাল শনিবার বেলা ৩টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে অনশন শুরু করেন তাঁরা। এর আগে দুদিন প্রতীকী অনশন করেন তাঁরা। আমরণ অনশনে থাকা শিক্ষার্থীরা হলেন নাট্যকলা...
৬ মিনিট আগে
ফাতেমা বেগম তাঁর নিজ বাড়ি থেকে একই উপজেলার উকিলবাড়ি এলাকায় মেয়ের বাড়ি যাচ্ছিলেন। আজ দুপুরে মেয়ের বাড়িতে তাঁর কাজির ভাত খাওয়ার দাওয়াত ছিল।
১৩ মিনিট আগে
ফারইস্ট ইসলামী লাইফ ইনস্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের রংপুর জোনাল অফিসে উত্তেজনা ও বিশৃঙ্খলার ঘটনা ঘটেছে। গ্রাহকদের কোটি কোটি টাকার বিমা পরিশোধ না করে অফিসের মালপত্র বিক্রি করে পালানোর চেষ্টা করছিলেন কর্মকর্তারা—এমন খবর পেয়ে গ্রাহকেরা দ্রুত অফিসে গিয়ে তাঁদের অবরুদ্ধ করে রাখেন। পরে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ
২২ মিনিট আগেফরিদপুর প্রতিনিধি

ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলায় বন্যা রানী নামের এক নারীকে হত্যা মামলায় তাঁর স্বামীকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। তাঁর নাম সৌরভ কুমার দাস (২২)। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে র্যাব জানিয়েছে, বন্যাকে তাঁর মা আটকে রেখে অন্যত্র বিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছিলেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে সৌরভ তাঁর স্ত্রীকে বালিশচাপা দিয়ে হত্যা করে পালিয়ে যান।
আজ রোববার দুপুরে ফরিদপুর র্যাব কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে কোম্পানি কমান্ডার ও স্কোয়াড্রন লিডার তারিকুল ইসলাম এসব তথ্য জানান।
এর আগে সকালে গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার ভাটিয়াপাড়া এলাকা থেকে মামলার একমাত্র আসামি সৌরভ কুমার দাসকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। তিনি ফরিদপুর সদরের বঙ্গেশ্বরদি গ্রামের বাসুদেব দাসের ছেলে এবং পেশায় গ্যারেজের মিস্ত্রি।
তারিকুল ইসলাম জানান, ২০ অক্টোবর সকালে মধুখালী পৌরসভার গাড়াখোলা এলাকায় শাশুড়ির ভাড়াবাসায় ঢুকে বন্যাকে শ্বাস রোধ করে পালিয়ে যান সৌরভ। পরদিন ২১ অক্টোবর মধুখালী থানায় সৌরভকে একমাত্র আসামি করে হত্যা মামলা করেন বন্যার মা শেফালী রানী।
হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যের তথ্য তুলে ধরে তারিকুল ইসলাম বলেন, চার বছর আগে পালিয়ে বিয়ে করেন সৌরভ ও বন্যা। বিষয়টি তখন বন্যার মা মেনে নেননি। সৌরভ ও বন্যা দুই বছর ধরে ঢাকার একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করেন। তাঁদের একটি পুত্রসন্তান হয়, যার বয়স দুই বছর। সম্প্রতি তাঁরা এলাকায় ফিরে আসেন। বিভিন্ন সময় বন্যা তাঁর মায়ের বাড়িতে বেড়াতে গেলে তাঁকে আটকে রাখা হয়। সর্বশেষ দুর্গাপূজার আগে বন্যা তাঁর মায়ের বাড়িতে যাওয়ার পর সৌরভের সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন। একপর্যায়ে সৌরভ জানতে পারেন, তাঁর স্ত্রীকে অন্যত্র বিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছেন শাশুড়ি।
র্যাব কর্মকর্তা আরও বলেন, স্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ না করতে পেরে ২০ অক্টোবর শাশুড়ির বাসায় যান সৌরভ। এ সময় বাইরে থেকে বন্যাকে অশ্লীল ভঙ্গিতে কথা বলতে দেখে তিনি ঘরে ঢুকে বাগ্বিতণ্ডায় জড়ান। একপর্যায়ে সন্তানকে নিয়ে চলে যাওয়ার চেষ্টা করেন তিনি। ওই সময় তাঁকে পেছন থেকে কিল-ঘুষি দিতে থাকেন স্ত্রী। এ নিয়ে ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে বন্যাকে বালিশচাপা দিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করে পালিয়ে যান সৌরভ। গ্রেপ্তারের পর তাঁকে মধুখালী থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
এদিকে এ ঘটনার পর নিহতের মা শেফালী রানী অভিযোগ করে সাংবাদিকদের বলেন, বিয়ের পর থেকে সৌরভ অন্য নারীর সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। এ নিয়ে কলহের জের ধরে বন্যাকে হত্যা করা হয়।

ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলায় বন্যা রানী নামের এক নারীকে হত্যা মামলায় তাঁর স্বামীকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। তাঁর নাম সৌরভ কুমার দাস (২২)। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে র্যাব জানিয়েছে, বন্যাকে তাঁর মা আটকে রেখে অন্যত্র বিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছিলেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে সৌরভ তাঁর স্ত্রীকে বালিশচাপা দিয়ে হত্যা করে পালিয়ে যান।
আজ রোববার দুপুরে ফরিদপুর র্যাব কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে কোম্পানি কমান্ডার ও স্কোয়াড্রন লিডার তারিকুল ইসলাম এসব তথ্য জানান।
এর আগে সকালে গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার ভাটিয়াপাড়া এলাকা থেকে মামলার একমাত্র আসামি সৌরভ কুমার দাসকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। তিনি ফরিদপুর সদরের বঙ্গেশ্বরদি গ্রামের বাসুদেব দাসের ছেলে এবং পেশায় গ্যারেজের মিস্ত্রি।
তারিকুল ইসলাম জানান, ২০ অক্টোবর সকালে মধুখালী পৌরসভার গাড়াখোলা এলাকায় শাশুড়ির ভাড়াবাসায় ঢুকে বন্যাকে শ্বাস রোধ করে পালিয়ে যান সৌরভ। পরদিন ২১ অক্টোবর মধুখালী থানায় সৌরভকে একমাত্র আসামি করে হত্যা মামলা করেন বন্যার মা শেফালী রানী।
হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যের তথ্য তুলে ধরে তারিকুল ইসলাম বলেন, চার বছর আগে পালিয়ে বিয়ে করেন সৌরভ ও বন্যা। বিষয়টি তখন বন্যার মা মেনে নেননি। সৌরভ ও বন্যা দুই বছর ধরে ঢাকার একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করেন। তাঁদের একটি পুত্রসন্তান হয়, যার বয়স দুই বছর। সম্প্রতি তাঁরা এলাকায় ফিরে আসেন। বিভিন্ন সময় বন্যা তাঁর মায়ের বাড়িতে বেড়াতে গেলে তাঁকে আটকে রাখা হয়। সর্বশেষ দুর্গাপূজার আগে বন্যা তাঁর মায়ের বাড়িতে যাওয়ার পর সৌরভের সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন। একপর্যায়ে সৌরভ জানতে পারেন, তাঁর স্ত্রীকে অন্যত্র বিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছেন শাশুড়ি।
র্যাব কর্মকর্তা আরও বলেন, স্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ না করতে পেরে ২০ অক্টোবর শাশুড়ির বাসায় যান সৌরভ। এ সময় বাইরে থেকে বন্যাকে অশ্লীল ভঙ্গিতে কথা বলতে দেখে তিনি ঘরে ঢুকে বাগ্বিতণ্ডায় জড়ান। একপর্যায়ে সন্তানকে নিয়ে চলে যাওয়ার চেষ্টা করেন তিনি। ওই সময় তাঁকে পেছন থেকে কিল-ঘুষি দিতে থাকেন স্ত্রী। এ নিয়ে ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে বন্যাকে বালিশচাপা দিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করে পালিয়ে যান সৌরভ। গ্রেপ্তারের পর তাঁকে মধুখালী থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
এদিকে এ ঘটনার পর নিহতের মা শেফালী রানী অভিযোগ করে সাংবাদিকদের বলেন, বিয়ের পর থেকে সৌরভ অন্য নারীর সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। এ নিয়ে কলহের জের ধরে বন্যাকে হত্যা করা হয়।

একটা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশ্নপত্র ছাপা, পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ, সার্টিফিকেটে স্বাক্ষর, বিভিন্ন কার্যাদেশ বা সরবরাহ আদেশে স্বাক্ষর, পরীক্ষা কেন্দ্র পরিদর্শন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে অগ্রিম টাকা উত্তোলন—এসব গুরুত্বপূর্ণ কাজ একজন ভুয়া ‘সহকারী পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক’ করবেন, তা ভাবা যায় না।
২৫ মার্চ ২০২৫
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) নাট্যকলা বিভাগে শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে আমরণ অনশনে বসেছেন দুই শিক্ষার্থী। গতকাল শনিবার বেলা ৩টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে অনশন শুরু করেন তাঁরা। এর আগে দুদিন প্রতীকী অনশন করেন তাঁরা। আমরণ অনশনে থাকা শিক্ষার্থীরা হলেন নাট্যকলা...
৬ মিনিট আগে
ফাতেমা বেগম তাঁর নিজ বাড়ি থেকে একই উপজেলার উকিলবাড়ি এলাকায় মেয়ের বাড়ি যাচ্ছিলেন। আজ দুপুরে মেয়ের বাড়িতে তাঁর কাজির ভাত খাওয়ার দাওয়াত ছিল।
১৩ মিনিট আগে
ফারইস্ট ইসলামী লাইফ ইনস্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের রংপুর জোনাল অফিসে উত্তেজনা ও বিশৃঙ্খলার ঘটনা ঘটেছে। গ্রাহকদের কোটি কোটি টাকার বিমা পরিশোধ না করে অফিসের মালপত্র বিক্রি করে পালানোর চেষ্টা করছিলেন কর্মকর্তারা—এমন খবর পেয়ে গ্রাহকেরা দ্রুত অফিসে গিয়ে তাঁদের অবরুদ্ধ করে রাখেন। পরে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ
২২ মিনিট আগেরাবি প্রতিনিধি

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) নাট্যকলা বিভাগে শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে আমরণ অনশনে বসেছেন দুই শিক্ষার্থী। গতকাল শনিবার বেলা ৩টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে অনশন শুরু করেন তাঁরা। এর আগে দুদিন প্রতীকী অনশন করেন তাঁরা।
আমরণ অনশনে থাকা শিক্ষার্থীরা হলেন নাট্যকলা বিভাগের চতুর্থ বর্ষের সাদেক রহমান এবং সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের আহ্বায়ক ও দর্শন বিভাগের ফুয়াদ রাতুল।
ফুয়াদ রাতুল বলেন, ‘নাট্যকলা বিভাগের শিক্ষক নিয়োগে আর্থিক লেনদেনের কল রেকর্ড প্রকাশ হওয়ার পরও প্রশাসন বিষয়টি এআই নির্মিত বলে ধামাচাপা দেয়। লিখিত পরীক্ষায়ও জালিয়াতির অভিযোগ রয়েছে। এসব অনিয়মের বিরুদ্ধে স্বচ্ছ তদন্তের দাবি জানিয়েও কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ায় আমরা আমরণ অনশনে বসেছি।’
অন্য অনশনরত শিক্ষার্থী সাদেক রহমান বলেন, ‘শখ করে কেউ আমরণ অনশনে বসে না। যখন সব রাস্তা বন্ধ হয়ে যায়, তখনই মানুষ এ পথ বেছে নেয়। আমরা মব সৃষ্টি করিনি, নিয়মের পথেই লড়াই করছি। দাবি পূরণ না হলে প্রশাসনকে আমাদের লাশের ওপর দিয়েই সিন্ডিকেট সভায় বসতে হবে।’
এর আগে গত বৃহস্পতিবার বিকেলে ৪ ঘণ্টা এবং শুক্রবার ৮ ঘণ্টার প্রতীকী অনশন করেন তাঁরা। শিক্ষার্থীদের অনশন কর্মসূচিতে সংহতি জানিয়ে গতকাল উপস্থিত হয়েছিলেন নাট্যকলা বিভাগের অধ্যাপক হাবিব জাকারিয়া ও সহযোগী অধ্যাপক কাজী সুস্মিন আফসানা।
অধ্যাপক হাবিব জাকারিয়া বলেন, ‘অভিযোগ ওঠার পরও বিভাগের সভাপতি শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক আলোচনায় বসেননি। আমি প্রশাসনের ওপর আস্থা রেখে শিক্ষার্থীদের দাবির প্রতি সংহতি জানাচ্ছি।’ এ বিষয়ে নাট্যকলা বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক মীর মেহবুবের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।
তবে এ বিষয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জনসংযোগ দপ্তর প্রশাসক অধ্যাপক আখতার হোসেন মজুমদার। জনসংযোগ দপ্তর থেকে প্রকাশিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নাট্যকলা বিভাগে শিক্ষক নিয়োগ সম্পর্কে যেসব সংবাদ ও ফোনালাপের অডিও প্রকাশিত হয়েছে, সে সম্পর্কে তদন্তের জন্য কর্তৃপক্ষ কর্তৃক একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। ম্যাটেরিয়ালস সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক এম আসাদুল হককে আহ্বায়ক করে এ কমিটি গঠন করা হয়েছে।
এর আগে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ তুলে উপাচার্যসহ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছিলেন নিয়োগ পরীক্ষায় অংশ নেওয়া এক প্রার্থী। গত ২৮ সেপ্টেম্বর তিনি আইনজীবীর মাধ্যমে উপাচার্য, রেজিস্ট্রারসহ সংশ্লিষ্ট কয়েকজনকে আইনি নোটিশও পাঠিয়েছিলেন।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) নাট্যকলা বিভাগে শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে আমরণ অনশনে বসেছেন দুই শিক্ষার্থী। গতকাল শনিবার বেলা ৩টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে অনশন শুরু করেন তাঁরা। এর আগে দুদিন প্রতীকী অনশন করেন তাঁরা।
আমরণ অনশনে থাকা শিক্ষার্থীরা হলেন নাট্যকলা বিভাগের চতুর্থ বর্ষের সাদেক রহমান এবং সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের আহ্বায়ক ও দর্শন বিভাগের ফুয়াদ রাতুল।
ফুয়াদ রাতুল বলেন, ‘নাট্যকলা বিভাগের শিক্ষক নিয়োগে আর্থিক লেনদেনের কল রেকর্ড প্রকাশ হওয়ার পরও প্রশাসন বিষয়টি এআই নির্মিত বলে ধামাচাপা দেয়। লিখিত পরীক্ষায়ও জালিয়াতির অভিযোগ রয়েছে। এসব অনিয়মের বিরুদ্ধে স্বচ্ছ তদন্তের দাবি জানিয়েও কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ায় আমরা আমরণ অনশনে বসেছি।’
অন্য অনশনরত শিক্ষার্থী সাদেক রহমান বলেন, ‘শখ করে কেউ আমরণ অনশনে বসে না। যখন সব রাস্তা বন্ধ হয়ে যায়, তখনই মানুষ এ পথ বেছে নেয়। আমরা মব সৃষ্টি করিনি, নিয়মের পথেই লড়াই করছি। দাবি পূরণ না হলে প্রশাসনকে আমাদের লাশের ওপর দিয়েই সিন্ডিকেট সভায় বসতে হবে।’
এর আগে গত বৃহস্পতিবার বিকেলে ৪ ঘণ্টা এবং শুক্রবার ৮ ঘণ্টার প্রতীকী অনশন করেন তাঁরা। শিক্ষার্থীদের অনশন কর্মসূচিতে সংহতি জানিয়ে গতকাল উপস্থিত হয়েছিলেন নাট্যকলা বিভাগের অধ্যাপক হাবিব জাকারিয়া ও সহযোগী অধ্যাপক কাজী সুস্মিন আফসানা।
অধ্যাপক হাবিব জাকারিয়া বলেন, ‘অভিযোগ ওঠার পরও বিভাগের সভাপতি শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক আলোচনায় বসেননি। আমি প্রশাসনের ওপর আস্থা রেখে শিক্ষার্থীদের দাবির প্রতি সংহতি জানাচ্ছি।’ এ বিষয়ে নাট্যকলা বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক মীর মেহবুবের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।
তবে এ বিষয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জনসংযোগ দপ্তর প্রশাসক অধ্যাপক আখতার হোসেন মজুমদার। জনসংযোগ দপ্তর থেকে প্রকাশিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নাট্যকলা বিভাগে শিক্ষক নিয়োগ সম্পর্কে যেসব সংবাদ ও ফোনালাপের অডিও প্রকাশিত হয়েছে, সে সম্পর্কে তদন্তের জন্য কর্তৃপক্ষ কর্তৃক একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। ম্যাটেরিয়ালস সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক এম আসাদুল হককে আহ্বায়ক করে এ কমিটি গঠন করা হয়েছে।
এর আগে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ তুলে উপাচার্যসহ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছিলেন নিয়োগ পরীক্ষায় অংশ নেওয়া এক প্রার্থী। গত ২৮ সেপ্টেম্বর তিনি আইনজীবীর মাধ্যমে উপাচার্য, রেজিস্ট্রারসহ সংশ্লিষ্ট কয়েকজনকে আইনি নোটিশও পাঠিয়েছিলেন।

একটা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশ্নপত্র ছাপা, পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ, সার্টিফিকেটে স্বাক্ষর, বিভিন্ন কার্যাদেশ বা সরবরাহ আদেশে স্বাক্ষর, পরীক্ষা কেন্দ্র পরিদর্শন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে অগ্রিম টাকা উত্তোলন—এসব গুরুত্বপূর্ণ কাজ একজন ভুয়া ‘সহকারী পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক’ করবেন, তা ভাবা যায় না।
২৫ মার্চ ২০২৫
ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলায় বন্যা রানী নামের এক নারীকে হত্যা মামলায় তাঁর স্বামীকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। তাঁর নাম সৌরভ কুমার দাস (২২)। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে র্যাব জানিয়েছে, বন্যাকে তাঁর মা আটকে রেখে অন্যত্র বিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছিলেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে সৌরভ
২ মিনিট আগে
ফাতেমা বেগম তাঁর নিজ বাড়ি থেকে একই উপজেলার উকিলবাড়ি এলাকায় মেয়ের বাড়ি যাচ্ছিলেন। আজ দুপুরে মেয়ের বাড়িতে তাঁর কাজির ভাত খাওয়ার দাওয়াত ছিল।
১৩ মিনিট আগে
ফারইস্ট ইসলামী লাইফ ইনস্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের রংপুর জোনাল অফিসে উত্তেজনা ও বিশৃঙ্খলার ঘটনা ঘটেছে। গ্রাহকদের কোটি কোটি টাকার বিমা পরিশোধ না করে অফিসের মালপত্র বিক্রি করে পালানোর চেষ্টা করছিলেন কর্মকর্তারা—এমন খবর পেয়ে গ্রাহকেরা দ্রুত অফিসে গিয়ে তাঁদের অবরুদ্ধ করে রাখেন। পরে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ
২২ মিনিট আগেমাদারীপুর প্রতিনিধি

মাদারীপুরে একটি যাত্রীবাহী বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে যাওয়ার ঘটনায় এক নারী পথচারী মারা গেছেন। আজ রোববার (২৬ অক্টোবর) দুপুরে সদর উপজেলার ঘটমাঝি ইউনিয়নের উকিলবাড়ি এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত নারী পথচারী হলেন ফাতেমা বেগম (৫৫)। তিনি মাদারীপুর সদর উপজেলার মস্তফাপুর ইউনিয়নের চতুরপারা মোল্লাকান্দি এলাকার জব্বার মোল্লার স্ত্রী।
পুলিশ, নিহতের পরিবার ও স্থানীয়রা জানান, ফাতেমা বেগম তাঁর নিজ বাড়ি থেকে একই উপজেলার উকিলবাড়ি এলাকায় মেয়ের বাড়ি যাচ্ছিলেন। আজ দুপুরে মেয়ের বাড়িতে তাঁর কাজির ভাত খাওয়ার দাওয়াত ছিল। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে উকিলবাড়ি এলাকায় একটি লোকাল বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে যাওয়ার সময় পথচারী ফাতেমা বেগমকে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়।
মাদারীপুর ফায়ার সার্ভিসের ইন্সপেক্টর শেখ আহাদুজ্জামান বলেন, ‘আমরা খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে যাই। আমাদের দুটি ইউনিট গিয়ে ঘটনাস্থল থেকে তিনজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এর মধ্যে এক পথচারী নারী মারা গেছেন।’

মাদারীপুরে একটি যাত্রীবাহী বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে যাওয়ার ঘটনায় এক নারী পথচারী মারা গেছেন। আজ রোববার (২৬ অক্টোবর) দুপুরে সদর উপজেলার ঘটমাঝি ইউনিয়নের উকিলবাড়ি এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত নারী পথচারী হলেন ফাতেমা বেগম (৫৫)। তিনি মাদারীপুর সদর উপজেলার মস্তফাপুর ইউনিয়নের চতুরপারা মোল্লাকান্দি এলাকার জব্বার মোল্লার স্ত্রী।
পুলিশ, নিহতের পরিবার ও স্থানীয়রা জানান, ফাতেমা বেগম তাঁর নিজ বাড়ি থেকে একই উপজেলার উকিলবাড়ি এলাকায় মেয়ের বাড়ি যাচ্ছিলেন। আজ দুপুরে মেয়ের বাড়িতে তাঁর কাজির ভাত খাওয়ার দাওয়াত ছিল। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে উকিলবাড়ি এলাকায় একটি লোকাল বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে যাওয়ার সময় পথচারী ফাতেমা বেগমকে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়।
মাদারীপুর ফায়ার সার্ভিসের ইন্সপেক্টর শেখ আহাদুজ্জামান বলেন, ‘আমরা খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে যাই। আমাদের দুটি ইউনিট গিয়ে ঘটনাস্থল থেকে তিনজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এর মধ্যে এক পথচারী নারী মারা গেছেন।’

একটা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশ্নপত্র ছাপা, পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ, সার্টিফিকেটে স্বাক্ষর, বিভিন্ন কার্যাদেশ বা সরবরাহ আদেশে স্বাক্ষর, পরীক্ষা কেন্দ্র পরিদর্শন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে অগ্রিম টাকা উত্তোলন—এসব গুরুত্বপূর্ণ কাজ একজন ভুয়া ‘সহকারী পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক’ করবেন, তা ভাবা যায় না।
২৫ মার্চ ২০২৫
ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলায় বন্যা রানী নামের এক নারীকে হত্যা মামলায় তাঁর স্বামীকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। তাঁর নাম সৌরভ কুমার দাস (২২)। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে র্যাব জানিয়েছে, বন্যাকে তাঁর মা আটকে রেখে অন্যত্র বিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছিলেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে সৌরভ
২ মিনিট আগে
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) নাট্যকলা বিভাগে শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে আমরণ অনশনে বসেছেন দুই শিক্ষার্থী। গতকাল শনিবার বেলা ৩টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে অনশন শুরু করেন তাঁরা। এর আগে দুদিন প্রতীকী অনশন করেন তাঁরা। আমরণ অনশনে থাকা শিক্ষার্থীরা হলেন নাট্যকলা...
৬ মিনিট আগে
ফারইস্ট ইসলামী লাইফ ইনস্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের রংপুর জোনাল অফিসে উত্তেজনা ও বিশৃঙ্খলার ঘটনা ঘটেছে। গ্রাহকদের কোটি কোটি টাকার বিমা পরিশোধ না করে অফিসের মালপত্র বিক্রি করে পালানোর চেষ্টা করছিলেন কর্মকর্তারা—এমন খবর পেয়ে গ্রাহকেরা দ্রুত অফিসে গিয়ে তাঁদের অবরুদ্ধ করে রাখেন। পরে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ
২২ মিনিট আগেশিপুল ইসলাম, রংপুর

ফারইস্ট ইসলামী লাইফ ইনস্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের রংপুর জোনাল অফিসে উত্তেজনা ও বিশৃঙ্খলার ঘটনা ঘটেছে। গ্রাহকদের কোটি কোটি টাকার বিমা পরিশোধ না করে অফিসের মালপত্র বিক্রি করে পালানোর চেষ্টা করছিলেন কর্মকর্তারা—এমন খবর পেয়ে গ্রাহকেরা দ্রুত অফিসে গিয়ে তাঁদের অবরুদ্ধ করে রাখেন। পরে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন ক্ষুব্ধ গ্রাহকেরা। আজ রোববার বেলা সাড়ে ৩টা পর্যন্ত সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ চলছিল।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শনিবার মধ্যরাতে অফিসের কিছু কর্মকর্তা-কর্মচারী আসবাব ও দামি সরঞ্জাম বিক্রি করে বাইরে নেওয়ার চেষ্টা করলে সন্দেহ হয় স্থানীয় গ্রাহকদের। তাঁরা তাৎক্ষণিকভাবে অফিসে গিয়ে মালপত্র আটক করেন এবং কর্মকর্তাদের জবাবদিহির জন্য অবরুদ্ধ করে রাখেন। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে আজ সকাল থেকে অফিসের সামনে গ্রাহকের ভিড় করতে শুরু করে দুপুর গড়তেই জাহাজ কোম্পানি-স্টেশন রোডে জামাল মার্কেটের সামনে অফিসের নিচে নগরীর প্রধান সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন।
সরেজমিন দেখা গেছে, জাহাজ কোম্পানি-স্টেশন রোড অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন গ্রাহকেরা। এ সময় অফিসের লকার, চেয়ার-টেবিল, আসবাবসহ একটি ট্রাক দেখা যায়। অফিস কক্ষে চারজনকে অবরুদ্ধ করে রাখা হয় বলে জানা গেছে।
অভিযোগ পাওয়া গেছে, রংপুর বিভাগের প্রায় ৩০ হাজার গ্রাহকের ১২১ কোটি টাকারও বেশি বিমা দাবি এখনো পরিশোধ করেনি ফারইস্ট ইসলামী লাইফ ইনস্যুরেন্স কোম্পানি। দীর্ঘদিন ধরে তাঁরা টাকা না পেয়ে হতাশ ও ক্ষুব্ধ হয়ে পড়েছেন।
রংপুর বিভাগীয় কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ২০২১ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত রংপুর বিভাগের আট জেলায় ২৯ হাজার ৫৯৬ জন গ্রাহকের বিমার মেয়াদ শেষ হয়েছে, যার বিপরীতে ১২০ কোটি ৯৭ লাখ টাকারও বেশি পরিশোধ বকেয়া রয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী ৯০ দিনের মধ্যে টাকা দেওয়ার বাধ্যবাধকতা থাকলেও গ্রাহকেরা বছরের পর বছর ধরে শুধু আশ্বাসই পাচ্ছেন।

অবস্থান নেওয়া গ্রাহক নগরীর ভগিবালা এলাকার বৃদ্ধা আকলিমা বেগমের দুই বছর আগে বিমার মেয়াদ শেষ হয়েছে। কিন্তু সেই টাকা দীর্ঘদিন ঘুরেও পাননি। আক্ষেপ করে আকলিমা বেগম বলেন, ‘স্বামী নাই, অনেক কষ্ট করে টাকা জমাইছি। সেই টাকা না দিয়ে অফিস নিয়ে পালিয়ে যাচ্ছে বিমা কোম্পানি লোকজন। আমার কষ্টের টাকা আমি ফেরত চাই। খবর পেয়ে সবার সঙ্গে এখানে অবস্থান নিচ্ছি।’
আরেক গ্রাহক নগরের আদর্শপাড়া গ্রাম এলাকার বাসিন্দা আজিজার রহমান বলেন, ‘ভবিষ্যতে ভালোর আশায় রিকশা চালিয়ে অনেক কষ্ট করে খেয়ে না-খেয়ে ১২ বছর ধরে টাকা জমিয়েছি। সেই টাকা না দিয়ে ফারইস্ট কোম্পানি অফিসের মালপত্র বিক্রি করে পালিয়ে যাচ্ছে। এই টাকা না পেলে পথে বসে যাব। আমার রক্ত-মাংস পানি করা টাকা আমি ফেরত চাই। এ জন্য আজ রাস্তায় দাঁড়িয়ে আছি।’
রাস্তায় বসে বিমার কাগজপত্র নাড়াচাড়া করছিলেন আর চোখ দিয়ে জল পড়ছিল হারাগাছ এলাকার সায়েম বাদশা। তিনি আক্ষেপ করে বলেন, ‘বৃদ্ধ বয়সে যেন ভালোভাবে চলতে পারি, সেই আশায় বিমা করেছিলাম। না খেয়ে কষ্ট করে ১০ হাজার টাকা করে জমিয়েছিলাম। মেয়াদ শেষ হয়েছে দুই বছর আগে, কিন্তু এখনো টাকা পাইনি। সরকার কাছে দাবি আমাদের আসল টাকাটা যেন ফেরত নিয়ে দেয়।’
এ বিষয়ে মহানগর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতাউর রহমান বলেন, ‘আমরা ঘটনাস্থলে এসেছি। গ্রাহকদের সঙ্গে কথা বলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা করা হচ্ছে।’

ফারইস্ট ইসলামী লাইফ ইনস্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের রংপুর জোনাল অফিসে উত্তেজনা ও বিশৃঙ্খলার ঘটনা ঘটেছে। গ্রাহকদের কোটি কোটি টাকার বিমা পরিশোধ না করে অফিসের মালপত্র বিক্রি করে পালানোর চেষ্টা করছিলেন কর্মকর্তারা—এমন খবর পেয়ে গ্রাহকেরা দ্রুত অফিসে গিয়ে তাঁদের অবরুদ্ধ করে রাখেন। পরে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন ক্ষুব্ধ গ্রাহকেরা। আজ রোববার বেলা সাড়ে ৩টা পর্যন্ত সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ চলছিল।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শনিবার মধ্যরাতে অফিসের কিছু কর্মকর্তা-কর্মচারী আসবাব ও দামি সরঞ্জাম বিক্রি করে বাইরে নেওয়ার চেষ্টা করলে সন্দেহ হয় স্থানীয় গ্রাহকদের। তাঁরা তাৎক্ষণিকভাবে অফিসে গিয়ে মালপত্র আটক করেন এবং কর্মকর্তাদের জবাবদিহির জন্য অবরুদ্ধ করে রাখেন। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে আজ সকাল থেকে অফিসের সামনে গ্রাহকের ভিড় করতে শুরু করে দুপুর গড়তেই জাহাজ কোম্পানি-স্টেশন রোডে জামাল মার্কেটের সামনে অফিসের নিচে নগরীর প্রধান সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন।
সরেজমিন দেখা গেছে, জাহাজ কোম্পানি-স্টেশন রোড অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন গ্রাহকেরা। এ সময় অফিসের লকার, চেয়ার-টেবিল, আসবাবসহ একটি ট্রাক দেখা যায়। অফিস কক্ষে চারজনকে অবরুদ্ধ করে রাখা হয় বলে জানা গেছে।
অভিযোগ পাওয়া গেছে, রংপুর বিভাগের প্রায় ৩০ হাজার গ্রাহকের ১২১ কোটি টাকারও বেশি বিমা দাবি এখনো পরিশোধ করেনি ফারইস্ট ইসলামী লাইফ ইনস্যুরেন্স কোম্পানি। দীর্ঘদিন ধরে তাঁরা টাকা না পেয়ে হতাশ ও ক্ষুব্ধ হয়ে পড়েছেন।
রংপুর বিভাগীয় কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ২০২১ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত রংপুর বিভাগের আট জেলায় ২৯ হাজার ৫৯৬ জন গ্রাহকের বিমার মেয়াদ শেষ হয়েছে, যার বিপরীতে ১২০ কোটি ৯৭ লাখ টাকারও বেশি পরিশোধ বকেয়া রয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী ৯০ দিনের মধ্যে টাকা দেওয়ার বাধ্যবাধকতা থাকলেও গ্রাহকেরা বছরের পর বছর ধরে শুধু আশ্বাসই পাচ্ছেন।

অবস্থান নেওয়া গ্রাহক নগরীর ভগিবালা এলাকার বৃদ্ধা আকলিমা বেগমের দুই বছর আগে বিমার মেয়াদ শেষ হয়েছে। কিন্তু সেই টাকা দীর্ঘদিন ঘুরেও পাননি। আক্ষেপ করে আকলিমা বেগম বলেন, ‘স্বামী নাই, অনেক কষ্ট করে টাকা জমাইছি। সেই টাকা না দিয়ে অফিস নিয়ে পালিয়ে যাচ্ছে বিমা কোম্পানি লোকজন। আমার কষ্টের টাকা আমি ফেরত চাই। খবর পেয়ে সবার সঙ্গে এখানে অবস্থান নিচ্ছি।’
আরেক গ্রাহক নগরের আদর্শপাড়া গ্রাম এলাকার বাসিন্দা আজিজার রহমান বলেন, ‘ভবিষ্যতে ভালোর আশায় রিকশা চালিয়ে অনেক কষ্ট করে খেয়ে না-খেয়ে ১২ বছর ধরে টাকা জমিয়েছি। সেই টাকা না দিয়ে ফারইস্ট কোম্পানি অফিসের মালপত্র বিক্রি করে পালিয়ে যাচ্ছে। এই টাকা না পেলে পথে বসে যাব। আমার রক্ত-মাংস পানি করা টাকা আমি ফেরত চাই। এ জন্য আজ রাস্তায় দাঁড়িয়ে আছি।’
রাস্তায় বসে বিমার কাগজপত্র নাড়াচাড়া করছিলেন আর চোখ দিয়ে জল পড়ছিল হারাগাছ এলাকার সায়েম বাদশা। তিনি আক্ষেপ করে বলেন, ‘বৃদ্ধ বয়সে যেন ভালোভাবে চলতে পারি, সেই আশায় বিমা করেছিলাম। না খেয়ে কষ্ট করে ১০ হাজার টাকা করে জমিয়েছিলাম। মেয়াদ শেষ হয়েছে দুই বছর আগে, কিন্তু এখনো টাকা পাইনি। সরকার কাছে দাবি আমাদের আসল টাকাটা যেন ফেরত নিয়ে দেয়।’
এ বিষয়ে মহানগর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতাউর রহমান বলেন, ‘আমরা ঘটনাস্থলে এসেছি। গ্রাহকদের সঙ্গে কথা বলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা করা হচ্ছে।’

একটা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশ্নপত্র ছাপা, পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ, সার্টিফিকেটে স্বাক্ষর, বিভিন্ন কার্যাদেশ বা সরবরাহ আদেশে স্বাক্ষর, পরীক্ষা কেন্দ্র পরিদর্শন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে অগ্রিম টাকা উত্তোলন—এসব গুরুত্বপূর্ণ কাজ একজন ভুয়া ‘সহকারী পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক’ করবেন, তা ভাবা যায় না।
২৫ মার্চ ২০২৫
ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলায় বন্যা রানী নামের এক নারীকে হত্যা মামলায় তাঁর স্বামীকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। তাঁর নাম সৌরভ কুমার দাস (২২)। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে র্যাব জানিয়েছে, বন্যাকে তাঁর মা আটকে রেখে অন্যত্র বিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছিলেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে সৌরভ
২ মিনিট আগে
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) নাট্যকলা বিভাগে শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে আমরণ অনশনে বসেছেন দুই শিক্ষার্থী। গতকাল শনিবার বেলা ৩টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে অনশন শুরু করেন তাঁরা। এর আগে দুদিন প্রতীকী অনশন করেন তাঁরা। আমরণ অনশনে থাকা শিক্ষার্থীরা হলেন নাট্যকলা...
৬ মিনিট আগে
ফাতেমা বেগম তাঁর নিজ বাড়ি থেকে একই উপজেলার উকিলবাড়ি এলাকায় মেয়ের বাড়ি যাচ্ছিলেন। আজ দুপুরে মেয়ের বাড়িতে তাঁর কাজির ভাত খাওয়ার দাওয়াত ছিল।
১৩ মিনিট আগে