Ajker Patrika

আদালতে চোরাই গরুর নিলাম, কিনলেন আইনজীবী

 নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
আপডেট : ১৬ মে ২০২৫, ১৪: ৪৮
নিলাম হওয়া গরু। ছবি: আজকের পত্রিকা
নিলাম হওয়া গরু। ছবি: আজকের পত্রিকা

চট্টগ্রামের অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে গরুর নিলাম অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার (১৫ মে) বিকেল সাড়ে ৪টায় এ নিলাম হয়। এতে দুটি গাভি ও একটি বাছুর চট্টগ্রাম আদালতেরই আইনজীবী মোহাম্মদ ফরহাদুল আলম কিনে নেন।

জানা গেছে, গরু তিনটির দাম ১ লাখ ২৪ হাজার টাকা। ভ্যাট আয়কর মিলে তাঁকে পরিশোধ করতে হয়েছে ১ লাখ ৫৫ হাজার টাকা। পরে গরু তিনটি আইনজীবী ফরহাদুলের গ্রামের বাড়ি ফটিকছড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়।

এর আগে ১২ মে এ-সংক্রান্ত পত্রিকায় নিলাম বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয় আদালতের পক্ষ থেকে।

চট্টগ্রামের অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতের এজলাস কক্ষে প্রকাশ্য নিলামে নগদ অর্থে গরুগুলো বিক্রয় করা হবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।

আইনজীবী ফরহাদুল আলম জানান, আকবরশাহ থানার পুলিশ গত ৮ এপ্রিল চোরাই গরু তিনটি উদ্ধার করে। এরপর গতকাল বিকেলে অনুষ্ঠিত নিলামে গরু তিনটি কিনে নিয়েছেন এই আইনজীবী।

তথ্য মতে, গত ৮ এপ্রিল আকবরশাহ থানা এলাকা থেকে চোরাই গরুগুলো উদ্ধার করে আকবরশাহ থানার পুলিশ। সেই থেকে এক মাস সাত দিন গরু তিনটি থানা-পুলিশের জিম্মায় ছিল। নিলাম উপলক্ষে গরুগুলো আদালতে তোলা হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

আমাকে দল থেকে বহিষ্কারের জন্য জামায়াত চেষ্টা করেছে: ফজলুর

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি
ইটনায় বিএনপির কর্মী সম্মেলনে অ্যাডভোকেট ফজলুর রহমান। ছবি: আজকের পত্রিকা
ইটনায় বিএনপির কর্মী সম্মেলনে অ্যাডভোকেট ফজলুর রহমান। ছবি: আজকের পত্রিকা

দেশে-বিদেশে বড় ধরনের অপপ্রচার চালিয়ে আমাকে দল (বিএনপি) থেকে স্থায়ী বহিষ্কারের জন্য জামায়াত চেষ্টা করেছে বলে মন্তব্য করেছেন কিশোরগঞ্জ-৪ (ইটনা-মিঠামইন-অষ্টগ্রাম) আসনে বিএনপির প্রার্থী মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট ফজলুর রহমান।

আজ রোববার কিশোরগঞ্জের ইটনায় বিএনপির কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ মন্তব্য করেন।

অ্যাডভোকেট ফজলুর রহমান বলেন, ‘আমাকে জামায়াতে ইসলামী টাইটেল দিয়েছে ‘‘ফজু পাগলা’’। বাংলাদেশে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমসহ অনেক মসজিদ আছে।

‘কিন্তু কিশোরগঞ্জের পাগলা মসজিদকে মানুষ সবচেয়ে বেশি সম্মান করে। কোটি কোটি টাকা, স্বর্ণ, ডলার, পাউন্ড এই পাগলা মসজিদের দানবাক্সে পড়ে। সম্মান কত! কাজেই পাগলা মসজিদের কিশোরগঞ্জের সন্তান ‘‘ফজু পাগলা’’। আর যারা আমাকে এই উপাধি দিয়েছে, তাদের ধন্যবাদ দিলাম।’

ফজলুর রহমান বলেন, ‘আমি গত ৮ সেপ্টেম্বর ইটনায় এসেছিলাম। আপনারা রেকর্ড ব্রেক করে ইটনার সমস্ত সংগঠনের নেতা-কর্মী ও জনতা আমার দুর্দিনে–দুঃসময়ে পাশে দাঁড়িয়েছিলেন।

‘বাংলাদেশ এখন এমন একটা জায়গায় গেছে, জয়ের অনেক বাবা আছে, কিন্তু পরাজয় এতিম। যখন আমাকে দল সাসপেন্ড করল, বাইরের লোকজন সবাই মনে করেছিল—ফজলুর রহমান বিপদে পড়ে গেল। তখন আমার জন্মস্থান ইটনার সমস্ত নেতা-কর্মী, ছাত্র-জনতা আপনারা এমনভাবে আমার পাশে দাঁড়ালেন, সারা দুনিয়া অবাক হয়ে গেল যে এই লোকটা কী? এই লোকটারে যে কয় ‘‘ফজু পাগলা’’, ইটনা থানার সব মানুষ পাগল নাকি!’

ফজলুর রহমান বলেন, ‘অনেকেই মনে করেছিল, আমি নাকি মনোনয়ন পাব না। আমি সেপ্টেম্বর মাসে ইটনায় আমার বক্তব্যে প্রথম জিজ্ঞেস করেছিলাম, আমি নির্বাচন করব কি না, বলুন তো? আপনারা হাজার হাজার হাত তুলে সমর্থন দিয়ে বলেছিলেন—ইয়েস। নির্বাচন করবেন।

‘আমি একটা কথা ফাঁক দিয়ে বলেছি, বুঝবার জন্য। তাহলে আমি ধানের শীষ চাই? আপনারা হাজার হাজার মানুষ আবারও হাত তুলেছিলেন। আপনারা বলেছিলেন, ফজলুর রহমানও চাই, ধানের শীষও চাই।’

মনোনয়ন প্রসঙ্গে বিএনপির এ নেতা বলেন, ‘আমি জানতাম এবং প্রতিদিন বলতাম—আমার দল আমাকেই মনোনয়ন দেবে। আপনারা সবাই একটু শঙ্কার মধ্যে ছিলেন। কারণ, আমার বিরুদ্ধে দেশে-বিদেশে বড় অপপ্রচার ছিল। জামায়াত শত শত কোটি টাকা খরচ করেছে দেশে-বিদেশে। আমাকে দল থেকে একদম বহিষ্কার করে দেওয়ার জন্য জামায়াত চেষ্টা করেছে।

‘কিন্তু আমার দল বিএনপি, আমার দলের নেত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া, দেশনায়ক তারেক রহমান আমাকে মনোনয়ন দিয়ে ইটনা, অষ্টগ্রাম, মিঠামইনের মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকারের প্রতি সম্মান দেখিয়েছে বলে তাদের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ।’

ফজলুর রহমান উপস্থিত নেতা-কর্মী ও সাধারণ মানুষকে জিজ্ঞেস করেন, ‘আপনারা কি আমার মনোনয়নে খুশি হয়েছেন?’ এ সময় ‘আলহামদুলিল্লাহ’ বলে উপস্থিত জনতা হাততালি দেয়।

ফজলুর রহমান বলেন, ‘আপনারা যখন মনে করেছিলেন আমাকে মনোনয়ন দেবে না, তখন ইটনা থানার ঘরে ঘরে কান্নার রোল পড়েছিল। আমি যদি আল্লাহর রহমতে, মানুষের দয়ায় ও নেতা-কর্মীদের কাজে এই এলাকার এমপি হতে পারি, তাহলে আমি এলাকার ভাগ্য পরিবর্তন করে দেব, ইনশা আল্লাহ।’

উপজেলা বিএনপির সভাপতি এস এম কামাল হোসেনের সভাপতিত্বে কর্মী সম্মেলনে ফজলুর রহমানের সহধর্মিণী অ্যাডভোকেট উম্মে কুলসুম রেখা, উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন, সিনিয়র সহসভাপতি মো. মনির উদ্দিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পলাশ রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক তরিকুল ইসলাম জুয়েল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুমেশ ঘোষ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

সাবেক স্বামীকে শায়েস্তা করতে যুবদল নেতাকে ভাড়া নারীর

মির্জাপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি
শহিদুল ইসলাম । ছবি : সংগৃহীত
শহিদুল ইসলাম । ছবি : সংগৃহীত

টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে এক যুবদল নেতার নেতৃত্বে শহিদুল ইসলাম (৩০) নামের এক নির্মাণশ্রমিককে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। গতকাল শনিবার দুপুরে উপজেলার গোড়াই শিল্পাঞ্চলে এই হত্যার ঘটনা ঘটে। অভিযোগ উঠেছে, সাবেক স্বামী শহিদুলকে শায়েস্তা করতে যুবদল নেতাকে ভাড়া করেন নাসরিন বেগম নামের এক নারী। ঘটনার পর পুলিশ নাসরিনকে গ্রেপ্তার করেছে।

আজ রোববার সকালে শহিদুলের বোন আলেয়া বেগম বাদী হয়ে মির্জাপুর থানায় হত্যা মামলা করেছেন। এতে শহিদুলের সাবেক স্ত্রী নাসরিন, যুবদল নেতা সকাল মাহমুদ, রবিন শেখ, ছাত্রদল নেতা তৌফিক ওমরের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও সাত-আটজনকে আসামি করা হয়েছে।

নিহত নির্মাণশ্রমিক শহিদুল ইসলামের বাড়ি রংপুর জেলার মিঠাপুকুর উপজেলার ইসলামপুর গ্রামে। তিনি মির্জাপুরের গোড়াই জোড়পুকুর পাড় এলাকায় থেকে নির্মাণশ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন। অন্যদিকে শহিদুলের সাবেক স্ত্রী নাসরিনের বাড়ি মির্জাপুর উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়নের পারদিঘী গ্রামে।

গ্রেপ্তার আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদের বরাতে পুলিশ জানায়, শহিদুলের সঙ্গে তাঁর তৃতীয় স্ত্রী নাসরিনের কয়েক মাস আগে ছাড়াছাড়ি হয়। কিন্তু সংসার করার সময় তাঁদের অন্তরঙ্গ কিছু ছবি ও ভিডিও শহিদুলের মোবাইল ফোনে ধারণ করা হয়েছিল। বিচ্ছেদের পর সেই ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছেড়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে শহিদুল নাসরিনকে অনৈতিক কাজ করতে চাপ দিচ্ছিল। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে শহিদুলের মোবাইল ফোনে থাকা ছবি ও ভিডিও উদ্ধারের জন্য গোড়াই ইউনিয়ন যুবদলের দপ্তর সম্পাদক সকাল মাহমুদসহ যুবদল, ছাত্রদল, শ্রমিক দলের কয়েকজন নেতাকে ভাড়া করেন নাসরিন। গতকাল দুপুর ১২টার দিকে যুবদল নেতা সকাল মাহমুদের নেতৃত্বে ইউনিয়ন যুবদলের সাধারণ সম্পাদক রবিন শেখ, ইউনিয়ন ছাত্রদলের সহসভাপতি তৌফিক ওমরসহ অজ্ঞাতনামা আসামিরা জোড়পুকুর পাড় এলাকায় গিয়ে শহিদুলকে এলোপাতাড়ি পেটায়। পরে স্থানীয়রা তাঁকে উদ্ধার করে কুমুদিনী হাসপাতালে নেওয়ার পথে শহিদুল মারা যান।

ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে মির্জাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ রাশেদুল ইসলাম বলেন, ঘটনার সঙ্গে জড়িত নিহত ব্যক্তির সাবেক স্ত্রীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

স্কুলের মালপত্র বিক্রি, নেওয়ার সময় শিক্ষক ধরা

সোনারগাঁ (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি
ট্রাকসহ মালামাল আটক। ছবি: সংগৃহীত
ট্রাকসহ মালামাল আটক। ছবি: সংগৃহীত

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে পঞ্চমীঘাট উচ্চবিদ্যালয়ের পুরোনো বেঞ্চ, ফ্যানসহ অন্যান্য মালামাল অবৈধভাবে বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। ওই মালামাল নেওয়ার সময় সহকারী শিক্ষক আব্দুল বাতেন ও অফিস সহায়ক সুমন এলাকাবাসীর হাতে আটক হয়েছেন। পরে অবশ্য তাঁরা পালিয়ে যান।

গতকাল শনিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে সাদিপুর ইউনিয়নের পঞ্চমীঘাট স্কুলে দুটি ট্রাকে তিন শতাধিক বেঞ্চ, ফ্যান ও রড নেওয়ার সময় স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছে ধরা পড়েন তাঁরা।

জানা যায়, পঞ্চমীঘাট উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জাহাঙ্গীর আলমের নির্দেশে ও ম্যানেজিং কমিটির যোগসাজশে সহকারী শিক্ষক আব্দুল বাতেন ও অফিস সহায়ক সুমন পুরোনো বেঞ্চ, ফ্যানসহ ওই মালপত্র অবৈধভাবে ভাঙারি ব্যবসায়ী সিরাজুল ইসলামের কাছে বিক্রি করেন। পরে রাতের অন্ধকারে ট্রাকযোগে ওই মালপত্র নেওয়ার সময় সহকারী শিক্ষক আব্দুল বাতেন ও অফিস সহায়ক সুমনকে এলাকাবাসী আটক করেন। এ সময় কৌশলে শিক্ষক আব্দুল বাতেন ও সুমন মালামাল ফেলে পালিয়ে যান। খবর পেয়ে তালতলা তদন্তকেন্দ্রের পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মালামালগুলো জব্দ করে।

স্থানীয় তকির আহম্মেদ বলেন, মালামাল ট্রাক ভর্তি করে স্কুল থেকে নেওয়ার সময় হাতে নাতে আটক করা হয়। পরে এলাকাবাসী চালকদের জিজ্ঞাসাবাদ করলে তাঁরা কোনো কাগজপত্র ও সঠিক কোনো উত্তর দিতে পারেননি।

স্থানীয় ইউপি সদস্য হাবিবুর রহমান মাসুদ বলেন, স্কুলের বেঞ্চ ও ফ্যান জনগণকে না জানিয়ে চুরি করে রাতের বেলা কীভাবে বিক্রি করে। সেগুলো এলাকাবাসী হাতে নাতে আটক করে আমাকে খবর দেন। পরে এসে দেখি, প্রায় কোটি টাকার মালামাল চুরি করে বিক্রি করেছে।’

পঞ্চমীঘাট উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘ম্যানেজিং কমিটি ও শিক্ষক প্রতিনিধিদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী রেজল্যুশন করে মালামাল বিক্রি করেছি। মালামাল বিক্রির টাকা স্কুলের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে জমা হবে। এগুলো কোনো চোরাই মাল নয়। ট্রাকে মালামাল উঠাতে দেরি হয়েছে। তাই মালামাল নিতে রাত হয়েছে।’

তালতলা পুলিশ তদন্তকেন্দ্রের উপপরিদর্শক (এসআই) মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, ‘সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর আমরা ঘটনাস্থলে গিয়েছি। প্রাথমিকভাবে দেখা যায়, বিক্রির প্রক্রিয়ায় নিয়মভঙ্গ হয়েছে। থানায় লিখিত অভিযোগ করলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

নেত্রকোনায় প্রতিবন্ধী কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ

নেত্রকোনা প্রতিনিধি
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

নেত্রকোনার আটপাড়া উপজেলায় এক প্রতিবন্ধী কিশোরীকে (১৮) ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে এক যুবকের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর পরিবার থানায় লিখিত অভিযোগ করেছে।

আটপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান বলেন, ভুক্তভোগীর পরিবার থানায় অভিযোগ করেছে। অভিযুক্ত বাবু মিয়া (২৪) ঘটনার পর থেকে পলাতক। তাঁকে গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে।

গত শুক্রবার (৭ নভেম্বর) দুপুরে উপজেলার শুনই ইউনিয়নের ইছাইল গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

অভিযুক্ত বাবু মিয়া উপজেলার শুনই ইউনিয়নের ইছাইল গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য নান্দু মিয়ার ছেলে। ঘটনার পর থেকে তিনি পলাতক রয়েছেন। এ ঘটনায় এলাকাজুড়ে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার জুমার নামাজের সময় কিশোরীর বাবা মসজিদে ছিলেন আর মা গিয়েছিলেন গোসল করতে। এই সুযোগে বাবু মিয়া প্রলোভন দেখিয়ে বাক ও শ্রবণপ্রতিবন্ধী মেয়েটিকে একটি নির্জন ঝুপড়ি ঘরে নিয়ে ধর্ষণ করেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত