Ajker Patrika

আমাকে দল থেকে বহিষ্কারের জন্য জামায়াত চেষ্টা করেছে: ফজলুর

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি
আপডেট : ০৯ নভেম্বর ২০২৫, ২১: ৫১
ইটনায় বিএনপির কর্মী সম্মেলনে অ্যাডভোকেট ফজলুর রহমান। ছবি: আজকের পত্রিকা
ইটনায় বিএনপির কর্মী সম্মেলনে অ্যাডভোকেট ফজলুর রহমান। ছবি: আজকের পত্রিকা

দেশে-বিদেশে বড় ধরনের অপপ্রচার চালিয়ে আমাকে দল (বিএনপি) থেকে স্থায়ী বহিষ্কারের জন্য জামায়াত চেষ্টা করেছে বলে মন্তব্য করেছেন কিশোরগঞ্জ-৪ (ইটনা-মিঠামইন-অষ্টগ্রাম) আসনে বিএনপির প্রার্থী মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট ফজলুর রহমান।

আজ রোববার কিশোরগঞ্জের ইটনায় বিএনপির কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ মন্তব্য করেন।

অ্যাডভোকেট ফজলুর রহমান বলেন, ‘আমাকে জামায়াতে ইসলামী টাইটেল দিয়েছে ‘‘ফজু পাগলা’’। বাংলাদেশে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমসহ অনেক মসজিদ আছে।

‘কিন্তু কিশোরগঞ্জের পাগলা মসজিদকে মানুষ সবচেয়ে বেশি সম্মান করে। কোটি কোটি টাকা, স্বর্ণ, ডলার, পাউন্ড এই পাগলা মসজিদের দানবাক্সে পড়ে। সম্মান কত! কাজেই পাগলা মসজিদের কিশোরগঞ্জের সন্তান ‘‘ফজু পাগলা’’। আর যারা আমাকে এই উপাধি দিয়েছে, তাদের ধন্যবাদ দিলাম।’

ফজলুর রহমান বলেন, ‘আমি গত ৮ সেপ্টেম্বর ইটনায় এসেছিলাম। আপনারা রেকর্ড ব্রেক করে ইটনার সমস্ত সংগঠনের নেতা-কর্মী ও জনতা আমার দুর্দিনে–দুঃসময়ে পাশে দাঁড়িয়েছিলেন।

‘বাংলাদেশ এখন এমন একটা জায়গায় গেছে, জয়ের অনেক বাবা আছে, কিন্তু পরাজয় এতিম। যখন আমাকে দল সাসপেন্ড করল, বাইরের লোকজন সবাই মনে করেছিল—ফজলুর রহমান বিপদে পড়ে গেল। তখন আমার জন্মস্থান ইটনার সমস্ত নেতা-কর্মী, ছাত্র-জনতা আপনারা এমনভাবে আমার পাশে দাঁড়ালেন, সারা দুনিয়া অবাক হয়ে গেল যে এই লোকটা কী? এই লোকটারে যে কয় ‘‘ফজু পাগলা’’, ইটনা থানার সব মানুষ পাগল নাকি!’

ফজলুর রহমান বলেন, ‘অনেকেই মনে করেছিল, আমি নাকি মনোনয়ন পাব না। আমি সেপ্টেম্বর মাসে ইটনায় আমার বক্তব্যে প্রথম জিজ্ঞেস করেছিলাম, আমি নির্বাচন করব কি না, বলুন তো? আপনারা হাজার হাজার হাত তুলে সমর্থন দিয়ে বলেছিলেন—ইয়েস। নির্বাচন করবেন।

‘আমি একটা কথা ফাঁক দিয়ে বলেছি, বুঝবার জন্য। তাহলে আমি ধানের শীষ চাই? আপনারা হাজার হাজার মানুষ আবারও হাত তুলেছিলেন। আপনারা বলেছিলেন, ফজলুর রহমানও চাই, ধানের শীষও চাই।’

মনোনয়ন প্রসঙ্গে বিএনপির এ নেতা বলেন, ‘আমি জানতাম এবং প্রতিদিন বলতাম—আমার দল আমাকেই মনোনয়ন দেবে। আপনারা সবাই একটু শঙ্কার মধ্যে ছিলেন। কারণ, আমার বিরুদ্ধে দেশে-বিদেশে বড় অপপ্রচার ছিল। জামায়াত শত শত কোটি টাকা খরচ করেছে দেশে-বিদেশে। আমাকে দল থেকে একদম বহিষ্কার করে দেওয়ার জন্য জামায়াত চেষ্টা করেছে।

‘কিন্তু আমার দল বিএনপি, আমার দলের নেত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া, দেশনায়ক তারেক রহমান আমাকে মনোনয়ন দিয়ে ইটনা, অষ্টগ্রাম, মিঠামইনের মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকারের প্রতি সম্মান দেখিয়েছে বলে তাদের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ।’

ফজলুর রহমান উপস্থিত নেতা-কর্মী ও সাধারণ মানুষকে জিজ্ঞেস করেন, ‘আপনারা কি আমার মনোনয়নে খুশি হয়েছেন?’ এ সময় ‘আলহামদুলিল্লাহ’ বলে উপস্থিত জনতা হাততালি দেয়।

ফজলুর রহমান বলেন, ‘আপনারা যখন মনে করেছিলেন আমাকে মনোনয়ন দেবে না, তখন ইটনা থানার ঘরে ঘরে কান্নার রোল পড়েছিল। আমি যদি আল্লাহর রহমতে, মানুষের দয়ায় ও নেতা-কর্মীদের কাজে এই এলাকার এমপি হতে পারি, তাহলে আমি এলাকার ভাগ্য পরিবর্তন করে দেব, ইনশা আল্লাহ।’

উপজেলা বিএনপির সভাপতি এস এম কামাল হোসেনের সভাপতিত্বে কর্মী সম্মেলনে ফজলুর রহমানের সহধর্মিণী এডভোকেট উম্মে কুলসুম রেখা, উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকুজ্জামান ঠাকুর স্বপন, সিনিয়র সহসভাপতি মো. মনির উদ্দিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পলাশ রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক তরিকুল ইসলাম জুয়েল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুমেশ ঘোষ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...