আশরাফুল আলম কাজীপুর (সিরাজগঞ্জ)

সময়ের পরিক্রমায় প্রকৃতিতে এখন হেমন্ত। পঞ্জিকা অনুযায়ী আর দিন কুড়ি পরই শুরু হবে শীত। তবে তার আগেই শীত অনুভূত হচ্ছে। দিনে তেমন না হলেও রাতে শীত নিবারণে কাঁথা কিংবা কম্বল জড়াতে হচ্ছে শরীরে। সে সঙ্গে বেড়েছে কাঁথা কিংবা কম্বল তৈরির কারিগরদের ব্যস্ততা।
সিরাজগঞ্জের কাজীপুর উপজেলার কম্বলপল্লিও এখন সরগরম। বিরামহীন কাজ করছেন কারিগরেরা। বিক্রিও হচ্ছে দেদার। অনলাইনেও বিক্রি করছেন অনেকেই। অনলাইনে কম্বল বিক্রেতা হালিম বলেন, ‘সরাসরি বিক্রির পাশাপাশি অনলাইনেও বিক্রি করি। আমাদের একটা ফেসবুক পেজ আছে। সেখানে ভালো সাড়া পাচ্ছি। প্রতিদিন অন্তত দুই ট্রাক কম্বল ডেলিভারি হয়।’
নারায়ণগঞ্জ ও ঢাকার বিভিন্ন পোশাক কারখানা থেকে পরিত্যক্ত কাপড় কিনে এনে তৈরি করা হয় জোড়া কম্বল। এই কম্বল সেলাই করেই এলাকার হাজারো মানুষ স্বাবলম্বী হয়েছেন।
কেননা উপজেলার বরশিভাঙ্গা, শিমুলদাইড়, সাতকয়া, শ্যামপুর, ছালাভরা, কুনকুনিয়া, গাড়াবেড়, চকপাড়া, পাইকরতলী, ঢেকুরিয়া, বরইতলা, মুসলিমপাড়াসহ প্রায় ৩০টি গ্রামের ৩০-৩৫ হাজার মানুষ এখন কম্বল তৈরির সঙ্গে জড়িত। আর এই কম্বলশিল্পের প্রাণকেন্দ্র হয়ে উঠেছে শিমুলদাইড় বাজার।
কম্বলপল্লি খ্যাত এই উপজেলায় এই যে ব্যস্ততা, তা হঠাৎ করে শুরু হয়নি। ৪০ বছর আগে উপজেলার বরশিভাঙ্গা গ্রামের সাইদুল হক কাজের সন্ধানে গিয়েছিলেন রাজধানীর মিরপুরে। সেখানে পোশাক কারখানায় কিছুদিন কাজ করার পর পরিত্যক্ত ঝুট কাপড় কিনে নিয়ে এলাকায় গিয়ে শুরু করেন কম্বল তৈরি।
সেই কম্বল সাইকেলে করে বিক্রি করতেন গ্রামে গ্রামে। তাঁর দেখাদেখি কাজীপুরে কম্বল তৈরি শুরু করেন অনেকেই। এরপর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি তাঁদের। মূলত সাইদুলের হাত ধরেই কাজীপুর পরিচিতি পেয়েছে কম্বলপল্লি নামে।
বর্তমানে শিমুলদাইড় বাজারে জোড়া কম্বলের জন্য প্রয়োজনীয় পরিত্যক্ত কাপড় বিক্রি করছেন সাইদুল। তিনি বলেন, ‘আমি ওই সময় ঢাকা গিয়ে দেখি মিরপুরের ১০ নম্বরে ঝুট কাপড় পাওয়া যায়। তখন আমি তিন বস্তা কাপড় কিনে বাড়িতে এনে সেলাই মেশিনে জোড়া দিয়ে কম্বল তৈরি করি। পরে সেগুলো সাইকেলে করে গ্রামে গ্রামে বিক্রি করি। দেখি ভালোই চলে। এরপর আমার দেখাদেখি অনেকেই ব্যবসা শুরু করেন। আর্থিক সংকটের কারণে ব্যবসা বড় করতে পারিনি।’
ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ২৩০-৩২০ টাকা কেজি দরে কম্বল তৈরির রোল কাপড় কেনা হয়। ওজন ভিত্তিতে প্রতি কেজি কাপড় থেকে ৩ থেকে ৫টি কম্বল তৈরি হয়। মানভেদে প্রতিটি কম্বল ১২০-৮০০ টাকা দরে বিক্রি করা হয়। আর জোড়া কম্বল তৈরি করা হয় গার্মেন্টসের পরিত্যক্ত কাপড় দিয়ে। সেগুলো মানভেদে ১৫০-৪০০ টাকায় পর্যন্ত বিক্রি হয়ে থাকে।
গাড়াবেড় গ্রামের নুরুল ইসলাম ছোটদের পায়জামা আর হুডি তৈরি করে এলাকায় ব্যাপক জনপ্রিয় হয়েছেন। নুরুল ইসলাম বলেন, ‘পায়জামা ও হুডি তৈরি করে শিমুলদাইড় বাজারে ৯ টাকা-৪৮ টাকা পর্যন্ত পাইকারি বিক্রি করি প্রতিটি।’

মূলত বছরের জুলাইয়ে শুরু হয় কম্বল তৈরি। আর তৈরির কাজ চলে পরবর্তী বছরের জানুয়ারি পর্যন্ত। অর্থাৎ ৬ মাস কম্বল ও শিশুদের শীতবস্ত্র তৈরিতে ব্যস্ত থাকেন এখানকার কারিগর ও শ্রমিকেরা। গৃহস্থালি কাজের ফাঁকে জোড়া কম্বল তৈরি করেন গাড়াবেড় গ্রামের ফোলেরা খাতুন। তিনি বলেন, ‘আগে পায়ের মেশিন আছিল। তহন দিনে ৩ থেকে ৪টা কম্বল বানাছি। ১৫ টাকা করে মজুরি দিত। এহন কারেনের মেশিন কিনছি। সারা দিন কাম করলি দুই-আড়াই শ হয়। এই টাকা দিয়েই পোলাপানের পড়াশোনার খরচ, পরিবার চালাই।’
ছালাভরা গ্রামের আছিয়া বলেন, ‘২০ বছর ধরে জোড়া কম্বল বানাই। প্রতি কম্বলে মজুরি পাই ৩০ টাকা। একটা মেয়ে বিয়া দিছি, ছেলেকেও আইএ পাস করাছি। এ কাজ করে সবাই পরিবারের উন্নতি করতেছে।’
এদিকে, বছরখানেক আগে উপজেলার শিমুলদাইড় বাজারে কম্বল তৈরির একটি আধুনিক কারখানাও গড়ে উঠেছে। সম্প্রতি সে কারখানায় গিয়ে দেখা গেছে, শ্রমিকদের দম ফেলার ফুরসত নেই। বাহারি সুতায় বোনা হচ্ছে রঙিন কম্বল। সেই কম্বল বিভিন্ন মাপে কেটে সেলাইমেশিনে দিচ্ছেন শ্রমিকেরা। সেগুলোর মুড়ি সেলাই করছেন কারিগরেরা। পরে ভাঁজ করে বিশেষ ব্যাগে ভরে গুদামে রাখছেন। পাইকাররা দেখছেন, দরদাম করছেন। দামে বোনলেই কিনে ট্রাকে করে নিয়ে যাচ্ছেন।
মেসার্স সহি ট্রেডার্স নামের ওই কারখানার স্বত্বাধিকারী শরিফুল ইসলাম সোহেল বলেন, ‘আমাদের এই কম্বলপল্লিতে বর্তমানে ১৬৬ আইটেমের শীতের কাপড় তৈরি হয়। আশা করছি, এবারের মৌসুমে অন্তত ৩০০ কোটি টাকার ব্যবসা হবে এ পল্লিতে। ব্যবসায়ীরা যদি স্বল্প সুদে ঋণ পেতেন তাহলে এ শিল্পের আরও প্রসার ঘটত। পাশাপাশি নিরাপদে টাকা লেনদেনের জন্য এই বাজারে একটা ব্যাংকের শাখা খুবই প্রয়োজন।’

সময়ের পরিক্রমায় প্রকৃতিতে এখন হেমন্ত। পঞ্জিকা অনুযায়ী আর দিন কুড়ি পরই শুরু হবে শীত। তবে তার আগেই শীত অনুভূত হচ্ছে। দিনে তেমন না হলেও রাতে শীত নিবারণে কাঁথা কিংবা কম্বল জড়াতে হচ্ছে শরীরে। সে সঙ্গে বেড়েছে কাঁথা কিংবা কম্বল তৈরির কারিগরদের ব্যস্ততা।
সিরাজগঞ্জের কাজীপুর উপজেলার কম্বলপল্লিও এখন সরগরম। বিরামহীন কাজ করছেন কারিগরেরা। বিক্রিও হচ্ছে দেদার। অনলাইনেও বিক্রি করছেন অনেকেই। অনলাইনে কম্বল বিক্রেতা হালিম বলেন, ‘সরাসরি বিক্রির পাশাপাশি অনলাইনেও বিক্রি করি। আমাদের একটা ফেসবুক পেজ আছে। সেখানে ভালো সাড়া পাচ্ছি। প্রতিদিন অন্তত দুই ট্রাক কম্বল ডেলিভারি হয়।’
নারায়ণগঞ্জ ও ঢাকার বিভিন্ন পোশাক কারখানা থেকে পরিত্যক্ত কাপড় কিনে এনে তৈরি করা হয় জোড়া কম্বল। এই কম্বল সেলাই করেই এলাকার হাজারো মানুষ স্বাবলম্বী হয়েছেন।
কেননা উপজেলার বরশিভাঙ্গা, শিমুলদাইড়, সাতকয়া, শ্যামপুর, ছালাভরা, কুনকুনিয়া, গাড়াবেড়, চকপাড়া, পাইকরতলী, ঢেকুরিয়া, বরইতলা, মুসলিমপাড়াসহ প্রায় ৩০টি গ্রামের ৩০-৩৫ হাজার মানুষ এখন কম্বল তৈরির সঙ্গে জড়িত। আর এই কম্বলশিল্পের প্রাণকেন্দ্র হয়ে উঠেছে শিমুলদাইড় বাজার।
কম্বলপল্লি খ্যাত এই উপজেলায় এই যে ব্যস্ততা, তা হঠাৎ করে শুরু হয়নি। ৪০ বছর আগে উপজেলার বরশিভাঙ্গা গ্রামের সাইদুল হক কাজের সন্ধানে গিয়েছিলেন রাজধানীর মিরপুরে। সেখানে পোশাক কারখানায় কিছুদিন কাজ করার পর পরিত্যক্ত ঝুট কাপড় কিনে নিয়ে এলাকায় গিয়ে শুরু করেন কম্বল তৈরি।
সেই কম্বল সাইকেলে করে বিক্রি করতেন গ্রামে গ্রামে। তাঁর দেখাদেখি কাজীপুরে কম্বল তৈরি শুরু করেন অনেকেই। এরপর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি তাঁদের। মূলত সাইদুলের হাত ধরেই কাজীপুর পরিচিতি পেয়েছে কম্বলপল্লি নামে।
বর্তমানে শিমুলদাইড় বাজারে জোড়া কম্বলের জন্য প্রয়োজনীয় পরিত্যক্ত কাপড় বিক্রি করছেন সাইদুল। তিনি বলেন, ‘আমি ওই সময় ঢাকা গিয়ে দেখি মিরপুরের ১০ নম্বরে ঝুট কাপড় পাওয়া যায়। তখন আমি তিন বস্তা কাপড় কিনে বাড়িতে এনে সেলাই মেশিনে জোড়া দিয়ে কম্বল তৈরি করি। পরে সেগুলো সাইকেলে করে গ্রামে গ্রামে বিক্রি করি। দেখি ভালোই চলে। এরপর আমার দেখাদেখি অনেকেই ব্যবসা শুরু করেন। আর্থিক সংকটের কারণে ব্যবসা বড় করতে পারিনি।’
ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ২৩০-৩২০ টাকা কেজি দরে কম্বল তৈরির রোল কাপড় কেনা হয়। ওজন ভিত্তিতে প্রতি কেজি কাপড় থেকে ৩ থেকে ৫টি কম্বল তৈরি হয়। মানভেদে প্রতিটি কম্বল ১২০-৮০০ টাকা দরে বিক্রি করা হয়। আর জোড়া কম্বল তৈরি করা হয় গার্মেন্টসের পরিত্যক্ত কাপড় দিয়ে। সেগুলো মানভেদে ১৫০-৪০০ টাকায় পর্যন্ত বিক্রি হয়ে থাকে।
গাড়াবেড় গ্রামের নুরুল ইসলাম ছোটদের পায়জামা আর হুডি তৈরি করে এলাকায় ব্যাপক জনপ্রিয় হয়েছেন। নুরুল ইসলাম বলেন, ‘পায়জামা ও হুডি তৈরি করে শিমুলদাইড় বাজারে ৯ টাকা-৪৮ টাকা পর্যন্ত পাইকারি বিক্রি করি প্রতিটি।’

মূলত বছরের জুলাইয়ে শুরু হয় কম্বল তৈরি। আর তৈরির কাজ চলে পরবর্তী বছরের জানুয়ারি পর্যন্ত। অর্থাৎ ৬ মাস কম্বল ও শিশুদের শীতবস্ত্র তৈরিতে ব্যস্ত থাকেন এখানকার কারিগর ও শ্রমিকেরা। গৃহস্থালি কাজের ফাঁকে জোড়া কম্বল তৈরি করেন গাড়াবেড় গ্রামের ফোলেরা খাতুন। তিনি বলেন, ‘আগে পায়ের মেশিন আছিল। তহন দিনে ৩ থেকে ৪টা কম্বল বানাছি। ১৫ টাকা করে মজুরি দিত। এহন কারেনের মেশিন কিনছি। সারা দিন কাম করলি দুই-আড়াই শ হয়। এই টাকা দিয়েই পোলাপানের পড়াশোনার খরচ, পরিবার চালাই।’
ছালাভরা গ্রামের আছিয়া বলেন, ‘২০ বছর ধরে জোড়া কম্বল বানাই। প্রতি কম্বলে মজুরি পাই ৩০ টাকা। একটা মেয়ে বিয়া দিছি, ছেলেকেও আইএ পাস করাছি। এ কাজ করে সবাই পরিবারের উন্নতি করতেছে।’
এদিকে, বছরখানেক আগে উপজেলার শিমুলদাইড় বাজারে কম্বল তৈরির একটি আধুনিক কারখানাও গড়ে উঠেছে। সম্প্রতি সে কারখানায় গিয়ে দেখা গেছে, শ্রমিকদের দম ফেলার ফুরসত নেই। বাহারি সুতায় বোনা হচ্ছে রঙিন কম্বল। সেই কম্বল বিভিন্ন মাপে কেটে সেলাইমেশিনে দিচ্ছেন শ্রমিকেরা। সেগুলোর মুড়ি সেলাই করছেন কারিগরেরা। পরে ভাঁজ করে বিশেষ ব্যাগে ভরে গুদামে রাখছেন। পাইকাররা দেখছেন, দরদাম করছেন। দামে বোনলেই কিনে ট্রাকে করে নিয়ে যাচ্ছেন।
মেসার্স সহি ট্রেডার্স নামের ওই কারখানার স্বত্বাধিকারী শরিফুল ইসলাম সোহেল বলেন, ‘আমাদের এই কম্বলপল্লিতে বর্তমানে ১৬৬ আইটেমের শীতের কাপড় তৈরি হয়। আশা করছি, এবারের মৌসুমে অন্তত ৩০০ কোটি টাকার ব্যবসা হবে এ পল্লিতে। ব্যবসায়ীরা যদি স্বল্প সুদে ঋণ পেতেন তাহলে এ শিল্পের আরও প্রসার ঘটত। পাশাপাশি নিরাপদে টাকা লেনদেনের জন্য এই বাজারে একটা ব্যাংকের শাখা খুবই প্রয়োজন।’
আশরাফুল আলম কাজীপুর (সিরাজগঞ্জ)

সময়ের পরিক্রমায় প্রকৃতিতে এখন হেমন্ত। পঞ্জিকা অনুযায়ী আর দিন কুড়ি পরই শুরু হবে শীত। তবে তার আগেই শীত অনুভূত হচ্ছে। দিনে তেমন না হলেও রাতে শীত নিবারণে কাঁথা কিংবা কম্বল জড়াতে হচ্ছে শরীরে। সে সঙ্গে বেড়েছে কাঁথা কিংবা কম্বল তৈরির কারিগরদের ব্যস্ততা।
সিরাজগঞ্জের কাজীপুর উপজেলার কম্বলপল্লিও এখন সরগরম। বিরামহীন কাজ করছেন কারিগরেরা। বিক্রিও হচ্ছে দেদার। অনলাইনেও বিক্রি করছেন অনেকেই। অনলাইনে কম্বল বিক্রেতা হালিম বলেন, ‘সরাসরি বিক্রির পাশাপাশি অনলাইনেও বিক্রি করি। আমাদের একটা ফেসবুক পেজ আছে। সেখানে ভালো সাড়া পাচ্ছি। প্রতিদিন অন্তত দুই ট্রাক কম্বল ডেলিভারি হয়।’
নারায়ণগঞ্জ ও ঢাকার বিভিন্ন পোশাক কারখানা থেকে পরিত্যক্ত কাপড় কিনে এনে তৈরি করা হয় জোড়া কম্বল। এই কম্বল সেলাই করেই এলাকার হাজারো মানুষ স্বাবলম্বী হয়েছেন।
কেননা উপজেলার বরশিভাঙ্গা, শিমুলদাইড়, সাতকয়া, শ্যামপুর, ছালাভরা, কুনকুনিয়া, গাড়াবেড়, চকপাড়া, পাইকরতলী, ঢেকুরিয়া, বরইতলা, মুসলিমপাড়াসহ প্রায় ৩০টি গ্রামের ৩০-৩৫ হাজার মানুষ এখন কম্বল তৈরির সঙ্গে জড়িত। আর এই কম্বলশিল্পের প্রাণকেন্দ্র হয়ে উঠেছে শিমুলদাইড় বাজার।
কম্বলপল্লি খ্যাত এই উপজেলায় এই যে ব্যস্ততা, তা হঠাৎ করে শুরু হয়নি। ৪০ বছর আগে উপজেলার বরশিভাঙ্গা গ্রামের সাইদুল হক কাজের সন্ধানে গিয়েছিলেন রাজধানীর মিরপুরে। সেখানে পোশাক কারখানায় কিছুদিন কাজ করার পর পরিত্যক্ত ঝুট কাপড় কিনে নিয়ে এলাকায় গিয়ে শুরু করেন কম্বল তৈরি।
সেই কম্বল সাইকেলে করে বিক্রি করতেন গ্রামে গ্রামে। তাঁর দেখাদেখি কাজীপুরে কম্বল তৈরি শুরু করেন অনেকেই। এরপর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি তাঁদের। মূলত সাইদুলের হাত ধরেই কাজীপুর পরিচিতি পেয়েছে কম্বলপল্লি নামে।
বর্তমানে শিমুলদাইড় বাজারে জোড়া কম্বলের জন্য প্রয়োজনীয় পরিত্যক্ত কাপড় বিক্রি করছেন সাইদুল। তিনি বলেন, ‘আমি ওই সময় ঢাকা গিয়ে দেখি মিরপুরের ১০ নম্বরে ঝুট কাপড় পাওয়া যায়। তখন আমি তিন বস্তা কাপড় কিনে বাড়িতে এনে সেলাই মেশিনে জোড়া দিয়ে কম্বল তৈরি করি। পরে সেগুলো সাইকেলে করে গ্রামে গ্রামে বিক্রি করি। দেখি ভালোই চলে। এরপর আমার দেখাদেখি অনেকেই ব্যবসা শুরু করেন। আর্থিক সংকটের কারণে ব্যবসা বড় করতে পারিনি।’
ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ২৩০-৩২০ টাকা কেজি দরে কম্বল তৈরির রোল কাপড় কেনা হয়। ওজন ভিত্তিতে প্রতি কেজি কাপড় থেকে ৩ থেকে ৫টি কম্বল তৈরি হয়। মানভেদে প্রতিটি কম্বল ১২০-৮০০ টাকা দরে বিক্রি করা হয়। আর জোড়া কম্বল তৈরি করা হয় গার্মেন্টসের পরিত্যক্ত কাপড় দিয়ে। সেগুলো মানভেদে ১৫০-৪০০ টাকায় পর্যন্ত বিক্রি হয়ে থাকে।
গাড়াবেড় গ্রামের নুরুল ইসলাম ছোটদের পায়জামা আর হুডি তৈরি করে এলাকায় ব্যাপক জনপ্রিয় হয়েছেন। নুরুল ইসলাম বলেন, ‘পায়জামা ও হুডি তৈরি করে শিমুলদাইড় বাজারে ৯ টাকা-৪৮ টাকা পর্যন্ত পাইকারি বিক্রি করি প্রতিটি।’

মূলত বছরের জুলাইয়ে শুরু হয় কম্বল তৈরি। আর তৈরির কাজ চলে পরবর্তী বছরের জানুয়ারি পর্যন্ত। অর্থাৎ ৬ মাস কম্বল ও শিশুদের শীতবস্ত্র তৈরিতে ব্যস্ত থাকেন এখানকার কারিগর ও শ্রমিকেরা। গৃহস্থালি কাজের ফাঁকে জোড়া কম্বল তৈরি করেন গাড়াবেড় গ্রামের ফোলেরা খাতুন। তিনি বলেন, ‘আগে পায়ের মেশিন আছিল। তহন দিনে ৩ থেকে ৪টা কম্বল বানাছি। ১৫ টাকা করে মজুরি দিত। এহন কারেনের মেশিন কিনছি। সারা দিন কাম করলি দুই-আড়াই শ হয়। এই টাকা দিয়েই পোলাপানের পড়াশোনার খরচ, পরিবার চালাই।’
ছালাভরা গ্রামের আছিয়া বলেন, ‘২০ বছর ধরে জোড়া কম্বল বানাই। প্রতি কম্বলে মজুরি পাই ৩০ টাকা। একটা মেয়ে বিয়া দিছি, ছেলেকেও আইএ পাস করাছি। এ কাজ করে সবাই পরিবারের উন্নতি করতেছে।’
এদিকে, বছরখানেক আগে উপজেলার শিমুলদাইড় বাজারে কম্বল তৈরির একটি আধুনিক কারখানাও গড়ে উঠেছে। সম্প্রতি সে কারখানায় গিয়ে দেখা গেছে, শ্রমিকদের দম ফেলার ফুরসত নেই। বাহারি সুতায় বোনা হচ্ছে রঙিন কম্বল। সেই কম্বল বিভিন্ন মাপে কেটে সেলাইমেশিনে দিচ্ছেন শ্রমিকেরা। সেগুলোর মুড়ি সেলাই করছেন কারিগরেরা। পরে ভাঁজ করে বিশেষ ব্যাগে ভরে গুদামে রাখছেন। পাইকাররা দেখছেন, দরদাম করছেন। দামে বোনলেই কিনে ট্রাকে করে নিয়ে যাচ্ছেন।
মেসার্স সহি ট্রেডার্স নামের ওই কারখানার স্বত্বাধিকারী শরিফুল ইসলাম সোহেল বলেন, ‘আমাদের এই কম্বলপল্লিতে বর্তমানে ১৬৬ আইটেমের শীতের কাপড় তৈরি হয়। আশা করছি, এবারের মৌসুমে অন্তত ৩০০ কোটি টাকার ব্যবসা হবে এ পল্লিতে। ব্যবসায়ীরা যদি স্বল্প সুদে ঋণ পেতেন তাহলে এ শিল্পের আরও প্রসার ঘটত। পাশাপাশি নিরাপদে টাকা লেনদেনের জন্য এই বাজারে একটা ব্যাংকের শাখা খুবই প্রয়োজন।’

সময়ের পরিক্রমায় প্রকৃতিতে এখন হেমন্ত। পঞ্জিকা অনুযায়ী আর দিন কুড়ি পরই শুরু হবে শীত। তবে তার আগেই শীত অনুভূত হচ্ছে। দিনে তেমন না হলেও রাতে শীত নিবারণে কাঁথা কিংবা কম্বল জড়াতে হচ্ছে শরীরে। সে সঙ্গে বেড়েছে কাঁথা কিংবা কম্বল তৈরির কারিগরদের ব্যস্ততা।
সিরাজগঞ্জের কাজীপুর উপজেলার কম্বলপল্লিও এখন সরগরম। বিরামহীন কাজ করছেন কারিগরেরা। বিক্রিও হচ্ছে দেদার। অনলাইনেও বিক্রি করছেন অনেকেই। অনলাইনে কম্বল বিক্রেতা হালিম বলেন, ‘সরাসরি বিক্রির পাশাপাশি অনলাইনেও বিক্রি করি। আমাদের একটা ফেসবুক পেজ আছে। সেখানে ভালো সাড়া পাচ্ছি। প্রতিদিন অন্তত দুই ট্রাক কম্বল ডেলিভারি হয়।’
নারায়ণগঞ্জ ও ঢাকার বিভিন্ন পোশাক কারখানা থেকে পরিত্যক্ত কাপড় কিনে এনে তৈরি করা হয় জোড়া কম্বল। এই কম্বল সেলাই করেই এলাকার হাজারো মানুষ স্বাবলম্বী হয়েছেন।
কেননা উপজেলার বরশিভাঙ্গা, শিমুলদাইড়, সাতকয়া, শ্যামপুর, ছালাভরা, কুনকুনিয়া, গাড়াবেড়, চকপাড়া, পাইকরতলী, ঢেকুরিয়া, বরইতলা, মুসলিমপাড়াসহ প্রায় ৩০টি গ্রামের ৩০-৩৫ হাজার মানুষ এখন কম্বল তৈরির সঙ্গে জড়িত। আর এই কম্বলশিল্পের প্রাণকেন্দ্র হয়ে উঠেছে শিমুলদাইড় বাজার।
কম্বলপল্লি খ্যাত এই উপজেলায় এই যে ব্যস্ততা, তা হঠাৎ করে শুরু হয়নি। ৪০ বছর আগে উপজেলার বরশিভাঙ্গা গ্রামের সাইদুল হক কাজের সন্ধানে গিয়েছিলেন রাজধানীর মিরপুরে। সেখানে পোশাক কারখানায় কিছুদিন কাজ করার পর পরিত্যক্ত ঝুট কাপড় কিনে নিয়ে এলাকায় গিয়ে শুরু করেন কম্বল তৈরি।
সেই কম্বল সাইকেলে করে বিক্রি করতেন গ্রামে গ্রামে। তাঁর দেখাদেখি কাজীপুরে কম্বল তৈরি শুরু করেন অনেকেই। এরপর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি তাঁদের। মূলত সাইদুলের হাত ধরেই কাজীপুর পরিচিতি পেয়েছে কম্বলপল্লি নামে।
বর্তমানে শিমুলদাইড় বাজারে জোড়া কম্বলের জন্য প্রয়োজনীয় পরিত্যক্ত কাপড় বিক্রি করছেন সাইদুল। তিনি বলেন, ‘আমি ওই সময় ঢাকা গিয়ে দেখি মিরপুরের ১০ নম্বরে ঝুট কাপড় পাওয়া যায়। তখন আমি তিন বস্তা কাপড় কিনে বাড়িতে এনে সেলাই মেশিনে জোড়া দিয়ে কম্বল তৈরি করি। পরে সেগুলো সাইকেলে করে গ্রামে গ্রামে বিক্রি করি। দেখি ভালোই চলে। এরপর আমার দেখাদেখি অনেকেই ব্যবসা শুরু করেন। আর্থিক সংকটের কারণে ব্যবসা বড় করতে পারিনি।’
ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ২৩০-৩২০ টাকা কেজি দরে কম্বল তৈরির রোল কাপড় কেনা হয়। ওজন ভিত্তিতে প্রতি কেজি কাপড় থেকে ৩ থেকে ৫টি কম্বল তৈরি হয়। মানভেদে প্রতিটি কম্বল ১২০-৮০০ টাকা দরে বিক্রি করা হয়। আর জোড়া কম্বল তৈরি করা হয় গার্মেন্টসের পরিত্যক্ত কাপড় দিয়ে। সেগুলো মানভেদে ১৫০-৪০০ টাকায় পর্যন্ত বিক্রি হয়ে থাকে।
গাড়াবেড় গ্রামের নুরুল ইসলাম ছোটদের পায়জামা আর হুডি তৈরি করে এলাকায় ব্যাপক জনপ্রিয় হয়েছেন। নুরুল ইসলাম বলেন, ‘পায়জামা ও হুডি তৈরি করে শিমুলদাইড় বাজারে ৯ টাকা-৪৮ টাকা পর্যন্ত পাইকারি বিক্রি করি প্রতিটি।’

মূলত বছরের জুলাইয়ে শুরু হয় কম্বল তৈরি। আর তৈরির কাজ চলে পরবর্তী বছরের জানুয়ারি পর্যন্ত। অর্থাৎ ৬ মাস কম্বল ও শিশুদের শীতবস্ত্র তৈরিতে ব্যস্ত থাকেন এখানকার কারিগর ও শ্রমিকেরা। গৃহস্থালি কাজের ফাঁকে জোড়া কম্বল তৈরি করেন গাড়াবেড় গ্রামের ফোলেরা খাতুন। তিনি বলেন, ‘আগে পায়ের মেশিন আছিল। তহন দিনে ৩ থেকে ৪টা কম্বল বানাছি। ১৫ টাকা করে মজুরি দিত। এহন কারেনের মেশিন কিনছি। সারা দিন কাম করলি দুই-আড়াই শ হয়। এই টাকা দিয়েই পোলাপানের পড়াশোনার খরচ, পরিবার চালাই।’
ছালাভরা গ্রামের আছিয়া বলেন, ‘২০ বছর ধরে জোড়া কম্বল বানাই। প্রতি কম্বলে মজুরি পাই ৩০ টাকা। একটা মেয়ে বিয়া দিছি, ছেলেকেও আইএ পাস করাছি। এ কাজ করে সবাই পরিবারের উন্নতি করতেছে।’
এদিকে, বছরখানেক আগে উপজেলার শিমুলদাইড় বাজারে কম্বল তৈরির একটি আধুনিক কারখানাও গড়ে উঠেছে। সম্প্রতি সে কারখানায় গিয়ে দেখা গেছে, শ্রমিকদের দম ফেলার ফুরসত নেই। বাহারি সুতায় বোনা হচ্ছে রঙিন কম্বল। সেই কম্বল বিভিন্ন মাপে কেটে সেলাইমেশিনে দিচ্ছেন শ্রমিকেরা। সেগুলোর মুড়ি সেলাই করছেন কারিগরেরা। পরে ভাঁজ করে বিশেষ ব্যাগে ভরে গুদামে রাখছেন। পাইকাররা দেখছেন, দরদাম করছেন। দামে বোনলেই কিনে ট্রাকে করে নিয়ে যাচ্ছেন।
মেসার্স সহি ট্রেডার্স নামের ওই কারখানার স্বত্বাধিকারী শরিফুল ইসলাম সোহেল বলেন, ‘আমাদের এই কম্বলপল্লিতে বর্তমানে ১৬৬ আইটেমের শীতের কাপড় তৈরি হয়। আশা করছি, এবারের মৌসুমে অন্তত ৩০০ কোটি টাকার ব্যবসা হবে এ পল্লিতে। ব্যবসায়ীরা যদি স্বল্প সুদে ঋণ পেতেন তাহলে এ শিল্পের আরও প্রসার ঘটত। পাশাপাশি নিরাপদে টাকা লেনদেনের জন্য এই বাজারে একটা ব্যাংকের শাখা খুবই প্রয়োজন।’

ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. ফারুক আহমেদ বলেন, গতকাল মেট্রোর ছাদে ওঠার ঘটনার পাঁচ থেকে সাত মিনিটের মধ্যে ডিএমটিসিএলের ফেসবুকের মাধ্যমে জানানো হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় (কুবি) প্রেসক্লাবের ৯ সদস্যের ষষ্ঠ কার্যনির্বাহী কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। নতুন কমিটিতে সভাপতি হয়েছেন দৈনিক আজকের পত্রিকার বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি মো. আতিকুর রহমান তনয় এবং সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন বার্তা বাজারের বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি আব্দুল্লাহ।
১ ঘণ্টা আগে
ফরিদপুরের ভাঙ্গায় পিকআপ ও কাভার্ড ভ্যানের মুখোমুখি সংঘর্ষে মধু উল্লাহ (৫২) নামের এক ফল ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন দুই চালক। আজ সোমবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে ফরিদপুর-বরিশাল মহাসড়কের উপজেলার প্রাণিসম্পদ ইনস্টিটিউটের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগে
স্থানীয়রা জানান, পারিবারিকভাবে প্রায় তিন বছর আগে বিয়ে হয় তাঁদের। শুরুতে সংসার ঠিকঠাক চললেও সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বাড়ে অশান্তি। স্বামীর বেপরোয়া চলাফেরার কারণে দূরত্ব বেড়ে যায় তাঁদের। কয়েকবার গ্রাম্য সালিস বসানো হলেও ভালো ফলাফল মেলেনি। ইতিমধ্যে আব্দুর রহমান একাধিক বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন।
১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. ফারুক আহমেদ বলেন, ‘গতকাল মেট্রোর ছাদে ওঠার ঘটনার পাঁচ থেকে সাত মিনিটের মধ্যে ডিএমটিসিএলের ফেসবুকের মাধ্যমে জানানো হয়েছে। তবে অত অল্প সময়ের মধ্যে সঠিক তথ্য দেওয়ার মতো আমাদের যোগ্যতা নেই। শিশুটি কোন স্টেশন থেকে উঠছে—এটা ধরতে আমাদের ১৫ থেকে ২০ মিনিট লেগেছে।’
আজ সোমবার দুপুরে উত্তরা মেট্রোরেলের ডিপোতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন ব্যবস্থাপনা পরিচালক।
গতকালের ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে এমডি জানান, শনিবার রাতে মেট্রোরেলের ছাদে এক শিশুকে পাওয়া যায়। ভিডিও ফুটেজে প্রাথমিকভাবে দেখা যায়, ছেলেটি সম্ভবত কারওয়ান বাজার এলাকার কোনো স্থান থেকে ট্রেনে উঠে আগারগাঁও পর্যন্ত আসে। আগারগাঁও স্টেশনে সে ট্রেন বদলায়। স্বাভাবিক প্রবেশপথ ব্যবহার না করে দুটি কোচের মাঝের ফাঁক দিয়ে সে ওপরে উঠে পড়ে। সচিবালয় স্টেশনে পৌঁছানোর পর তাকে ছাদে দেখা গেলে কর্তব্যরত নিরাপত্তাকর্মীরা তাৎক্ষণিকভাবে বিষয়টি জানান। বৈদ্যুতিক লাইনে সংযোগ না থাকায় বড় ধরনের দুর্ঘটনা এড়ানো গেছে।
তিনি বলেন, পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হতে পারত। এ জন্য সবাইকে সচেতনভাবে চলার পরামর্শ দেন তিনি।
ফারুক আহমেদ বলেন, শিশুটি ঠিক কোথা থেকে উঠেছে সেটি ভিডিওগুলো আরও বিশ্লেষণ করে আরও সঠিক তথ্য দেওয়া যাবে। এটা নিয়ে তদন্ত হচ্ছে।
বিয়ারিং প্যাড পড়ে পথচারী মৃত্যুর ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটির প্রসঙ্গে এমডি বলেন, ধীরে ধীরে নতুন নতুন তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। বিয়ারিং পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য সেটি বিদেশে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে। আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য আসার অপেক্ষায় তদন্ত কমিটির মেয়াদ বাড়িয়ে ১২ ডিসেম্বর পর্যন্ত করা হয়েছে।
সাম্প্রতিক ভূমিকম্পের বিষয়ে ফারুক আহমেদ বলেন, ‘ভূমিকম্পের পরে পুরোটাই পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়েছে। কোথাও কোনো ফিজিক্যাল ডিসপ্লেস (কাঠামোগত বিচ্যুতি) হয়নি। তবে মেট্রোর ওয়াল কেন ফেটেছে সেটা আমি বলতে পারব না।’

ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. ফারুক আহমেদ বলেন, ‘গতকাল মেট্রোর ছাদে ওঠার ঘটনার পাঁচ থেকে সাত মিনিটের মধ্যে ডিএমটিসিএলের ফেসবুকের মাধ্যমে জানানো হয়েছে। তবে অত অল্প সময়ের মধ্যে সঠিক তথ্য দেওয়ার মতো আমাদের যোগ্যতা নেই। শিশুটি কোন স্টেশন থেকে উঠছে—এটা ধরতে আমাদের ১৫ থেকে ২০ মিনিট লেগেছে।’
আজ সোমবার দুপুরে উত্তরা মেট্রোরেলের ডিপোতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন ব্যবস্থাপনা পরিচালক।
গতকালের ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে এমডি জানান, শনিবার রাতে মেট্রোরেলের ছাদে এক শিশুকে পাওয়া যায়। ভিডিও ফুটেজে প্রাথমিকভাবে দেখা যায়, ছেলেটি সম্ভবত কারওয়ান বাজার এলাকার কোনো স্থান থেকে ট্রেনে উঠে আগারগাঁও পর্যন্ত আসে। আগারগাঁও স্টেশনে সে ট্রেন বদলায়। স্বাভাবিক প্রবেশপথ ব্যবহার না করে দুটি কোচের মাঝের ফাঁক দিয়ে সে ওপরে উঠে পড়ে। সচিবালয় স্টেশনে পৌঁছানোর পর তাকে ছাদে দেখা গেলে কর্তব্যরত নিরাপত্তাকর্মীরা তাৎক্ষণিকভাবে বিষয়টি জানান। বৈদ্যুতিক লাইনে সংযোগ না থাকায় বড় ধরনের দুর্ঘটনা এড়ানো গেছে।
তিনি বলেন, পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হতে পারত। এ জন্য সবাইকে সচেতনভাবে চলার পরামর্শ দেন তিনি।
ফারুক আহমেদ বলেন, শিশুটি ঠিক কোথা থেকে উঠেছে সেটি ভিডিওগুলো আরও বিশ্লেষণ করে আরও সঠিক তথ্য দেওয়া যাবে। এটা নিয়ে তদন্ত হচ্ছে।
বিয়ারিং প্যাড পড়ে পথচারী মৃত্যুর ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটির প্রসঙ্গে এমডি বলেন, ধীরে ধীরে নতুন নতুন তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। বিয়ারিং পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য সেটি বিদেশে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে। আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য আসার অপেক্ষায় তদন্ত কমিটির মেয়াদ বাড়িয়ে ১২ ডিসেম্বর পর্যন্ত করা হয়েছে।
সাম্প্রতিক ভূমিকম্পের বিষয়ে ফারুক আহমেদ বলেন, ‘ভূমিকম্পের পরে পুরোটাই পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়েছে। কোথাও কোনো ফিজিক্যাল ডিসপ্লেস (কাঠামোগত বিচ্যুতি) হয়নি। তবে মেট্রোর ওয়াল কেন ফেটেছে সেটা আমি বলতে পারব না।’

সময়ের পরিক্রমায় প্রকৃতিতে এখন হেমন্ত। পঞ্জিকা অনুযায়ী আর দিন কুড়ি পরই শুরু হবে শীত। তবে তার আগেই শীত অনুভূত হচ্ছে। দিনে তেমন না হলেও রাতে শীত নিবারণে কাঁথা কিংবা কম্বল জড়াতে হচ্ছে শরীরে। সে সঙ্গে বেড়েছে কাঁথা কিংবা কম্বল তৈরির কারিগরদের ব্যস্ততা।
৭ দিন আগে
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় (কুবি) প্রেসক্লাবের ৯ সদস্যের ষষ্ঠ কার্যনির্বাহী কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। নতুন কমিটিতে সভাপতি হয়েছেন দৈনিক আজকের পত্রিকার বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি মো. আতিকুর রহমান তনয় এবং সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন বার্তা বাজারের বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি আব্দুল্লাহ।
১ ঘণ্টা আগে
ফরিদপুরের ভাঙ্গায় পিকআপ ও কাভার্ড ভ্যানের মুখোমুখি সংঘর্ষে মধু উল্লাহ (৫২) নামের এক ফল ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন দুই চালক। আজ সোমবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে ফরিদপুর-বরিশাল মহাসড়কের উপজেলার প্রাণিসম্পদ ইনস্টিটিউটের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগে
স্থানীয়রা জানান, পারিবারিকভাবে প্রায় তিন বছর আগে বিয়ে হয় তাঁদের। শুরুতে সংসার ঠিকঠাক চললেও সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বাড়ে অশান্তি। স্বামীর বেপরোয়া চলাফেরার কারণে দূরত্ব বেড়ে যায় তাঁদের। কয়েকবার গ্রাম্য সালিস বসানো হলেও ভালো ফলাফল মেলেনি। ইতিমধ্যে আব্দুর রহমান একাধিক বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন।
১ ঘণ্টা আগেকুবি প্রতিনিধি

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় (কুবি) প্রেসক্লাবের ৯ সদস্যের ষষ্ঠ কার্যনির্বাহী কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। নতুন কমিটিতে সভাপতি হয়েছেন দৈনিক আজকের পত্রিকার বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি মো. আতিকুর রহমান তনয় এবং সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন বার্তা বাজারের বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি আব্দুল্লাহ।
সোমবার (১ ডিসেম্বর) সংগঠনের উপদেষ্টা ও প্রতিষ্ঠাকালীন আহ্বায়ক শতাব্দী জুবায়ের, উপদেষ্টা ও প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্যসচিব নাহিদ ইকবাল, সদ্য সাবেক সভাপতি ইমতিয়াজ হাসান রিফাত এবং সদ্য সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাভেদ রায়হান স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়। নবগঠিত এই কার্যনির্বাহী কমিটি আগামী এক বছর দায়িত্ব পালন করবে।
এ ছাড়া নতুন কমিটিতে সহসভাপতি হিসেবে মনোনীত হয়েছেন দৈনিক বর্তমানের বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি মারিয়াম আক্তার শিল্পী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হিসেবে মনোনীত হয়েছেন দৈনিক আমার শহরের বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি মো. সাজিদুর রহমান। অর্থ সম্পাদক হিসেবে মনোনীত হয়েছেন দৈনিক সকালের বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি রাফি হোসেন, দপ্তর সম্পাদক হিসেবে মনোনীত হয়েছেন দ্য ঢাকা ডায়েরির বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি নুরুল হাকিম বাপ্পী, তথ্য ও পাঠাগার সম্পাদক হিসেবে মনোনীত হয়েছেন ফেস দ্য পিপলের বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি হাসিন আরমান। পাশাপাশি, কার্যনির্বাহী সদস্য হিসেবে মনোনীত হয়েছেন ঢাকা প্রকাশের বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি আল শাহরিয়ার অন্তু ও সময় জার্নালের বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি সুদীপ্ত সাহা।
সদ্য মনোনীত সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ বলেন, ‘“সর্বদা সত্যের সন্ধানে” স্লোগান ধারণ করে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় প্রেসক্লাব সব সময় কাজ করে আসছে। এই ধারাবাহিকতা বজায় রাখার জন্য সামনেও ক্লাবের জন্য, বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করে যাব। শিক্ষার্থীদের কল্যাণে স্বচ্ছ ও নৈতিক সাংবাদিকতা প্রতিষ্ঠা করতে আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।’
সদ্য মনোনীত সভাপতি মো. আতিকুর রহমান তনয় বলেন, ‘কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় প্রেসক্লাবের এই পদবি আমার কাছে শুধু পদ নয়, এটি আমার কাছে একটি দায়িত্ব। শুরু থেকে দেখে এসেছি কুবি প্রেসক্লাব শুধু সংবাদ সংগ্রহ বা প্রচারের কেন্দ্র নয়, বরং এটি সত্য, ন্যায় ও দায়িত্ববোধের চর্চার জায়গা। এই দায়িত্ব যথাযথভাবে পালনের জন্য সকলের সহযোগিতা প্রয়োজন। নিরপেক্ষতা ও বস্তুনিষ্ঠতার মাধ্যমে, কমিটির সকলের সহযোগিতায় কুবি প্রেসক্লাবকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করব।’

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় (কুবি) প্রেসক্লাবের ৯ সদস্যের ষষ্ঠ কার্যনির্বাহী কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। নতুন কমিটিতে সভাপতি হয়েছেন দৈনিক আজকের পত্রিকার বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি মো. আতিকুর রহমান তনয় এবং সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন বার্তা বাজারের বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি আব্দুল্লাহ।
সোমবার (১ ডিসেম্বর) সংগঠনের উপদেষ্টা ও প্রতিষ্ঠাকালীন আহ্বায়ক শতাব্দী জুবায়ের, উপদেষ্টা ও প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্যসচিব নাহিদ ইকবাল, সদ্য সাবেক সভাপতি ইমতিয়াজ হাসান রিফাত এবং সদ্য সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাভেদ রায়হান স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়। নবগঠিত এই কার্যনির্বাহী কমিটি আগামী এক বছর দায়িত্ব পালন করবে।
এ ছাড়া নতুন কমিটিতে সহসভাপতি হিসেবে মনোনীত হয়েছেন দৈনিক বর্তমানের বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি মারিয়াম আক্তার শিল্পী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হিসেবে মনোনীত হয়েছেন দৈনিক আমার শহরের বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি মো. সাজিদুর রহমান। অর্থ সম্পাদক হিসেবে মনোনীত হয়েছেন দৈনিক সকালের বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি রাফি হোসেন, দপ্তর সম্পাদক হিসেবে মনোনীত হয়েছেন দ্য ঢাকা ডায়েরির বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি নুরুল হাকিম বাপ্পী, তথ্য ও পাঠাগার সম্পাদক হিসেবে মনোনীত হয়েছেন ফেস দ্য পিপলের বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি হাসিন আরমান। পাশাপাশি, কার্যনির্বাহী সদস্য হিসেবে মনোনীত হয়েছেন ঢাকা প্রকাশের বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি আল শাহরিয়ার অন্তু ও সময় জার্নালের বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি সুদীপ্ত সাহা।
সদ্য মনোনীত সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ বলেন, ‘“সর্বদা সত্যের সন্ধানে” স্লোগান ধারণ করে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় প্রেসক্লাব সব সময় কাজ করে আসছে। এই ধারাবাহিকতা বজায় রাখার জন্য সামনেও ক্লাবের জন্য, বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করে যাব। শিক্ষার্থীদের কল্যাণে স্বচ্ছ ও নৈতিক সাংবাদিকতা প্রতিষ্ঠা করতে আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।’
সদ্য মনোনীত সভাপতি মো. আতিকুর রহমান তনয় বলেন, ‘কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় প্রেসক্লাবের এই পদবি আমার কাছে শুধু পদ নয়, এটি আমার কাছে একটি দায়িত্ব। শুরু থেকে দেখে এসেছি কুবি প্রেসক্লাব শুধু সংবাদ সংগ্রহ বা প্রচারের কেন্দ্র নয়, বরং এটি সত্য, ন্যায় ও দায়িত্ববোধের চর্চার জায়গা। এই দায়িত্ব যথাযথভাবে পালনের জন্য সকলের সহযোগিতা প্রয়োজন। নিরপেক্ষতা ও বস্তুনিষ্ঠতার মাধ্যমে, কমিটির সকলের সহযোগিতায় কুবি প্রেসক্লাবকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করব।’

সময়ের পরিক্রমায় প্রকৃতিতে এখন হেমন্ত। পঞ্জিকা অনুযায়ী আর দিন কুড়ি পরই শুরু হবে শীত। তবে তার আগেই শীত অনুভূত হচ্ছে। দিনে তেমন না হলেও রাতে শীত নিবারণে কাঁথা কিংবা কম্বল জড়াতে হচ্ছে শরীরে। সে সঙ্গে বেড়েছে কাঁথা কিংবা কম্বল তৈরির কারিগরদের ব্যস্ততা।
৭ দিন আগে
ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. ফারুক আহমেদ বলেন, গতকাল মেট্রোর ছাদে ওঠার ঘটনার পাঁচ থেকে সাত মিনিটের মধ্যে ডিএমটিসিএলের ফেসবুকের মাধ্যমে জানানো হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
ফরিদপুরের ভাঙ্গায় পিকআপ ও কাভার্ড ভ্যানের মুখোমুখি সংঘর্ষে মধু উল্লাহ (৫২) নামের এক ফল ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন দুই চালক। আজ সোমবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে ফরিদপুর-বরিশাল মহাসড়কের উপজেলার প্রাণিসম্পদ ইনস্টিটিউটের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগে
স্থানীয়রা জানান, পারিবারিকভাবে প্রায় তিন বছর আগে বিয়ে হয় তাঁদের। শুরুতে সংসার ঠিকঠাক চললেও সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বাড়ে অশান্তি। স্বামীর বেপরোয়া চলাফেরার কারণে দূরত্ব বেড়ে যায় তাঁদের। কয়েকবার গ্রাম্য সালিস বসানো হলেও ভালো ফলাফল মেলেনি। ইতিমধ্যে আব্দুর রহমান একাধিক বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন।
১ ঘণ্টা আগেফরিদপুর প্রতিনিধি

ফরিদপুরের ভাঙ্গায় পিকআপ ও কাভার্ড ভ্যানের মুখোমুখি সংঘর্ষে মধু উল্লাহ (৫২) নামের এক ফল ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন দুই চালক। আজ সোমবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে ফরিদপুর-বরিশাল মহাসড়কের উপজেলার প্রাণিসম্পদ ইনস্টিটিউটের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত ফল ব্যবসায়ী মধু উল্লাহ চুয়াডাঙ্গা জেলার জীবননগর উপজেলার ধোপখালি গ্রামের আব্দুস সাত্তারের ছেলে। তাৎক্ষণিকভাবে আহতদের পরিচয় জানা যায়নি।
ভাঙ্গা হাইওয়ে থানার এসআই মো. মামুন জানান, পঞ্চগড় থেকে ভাঙ্গাগামী কমলাবোঝাই পিকআপটি প্রাণিসম্পদ ইনস্টিটিউটের সামনে পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা ফরিদপুরগামী কাভার্ড ভ্যানের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে কমলাবোঝাই পিকআপটি দুমড়েমুচড়ে রাস্তার পাশে খাদে পড়ে যায়। এ সময় পিকআপে থাকা ফল ব্যবসায়ী মধু উল্লাহ ঘটনাস্থলেই মারা যান। আহত দুই চালককে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পিকআপ ও কাভার্ড ভ্যান জব্দ করা হয়েছে। মামলার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।

ফরিদপুরের ভাঙ্গায় পিকআপ ও কাভার্ড ভ্যানের মুখোমুখি সংঘর্ষে মধু উল্লাহ (৫২) নামের এক ফল ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন দুই চালক। আজ সোমবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে ফরিদপুর-বরিশাল মহাসড়কের উপজেলার প্রাণিসম্পদ ইনস্টিটিউটের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত ফল ব্যবসায়ী মধু উল্লাহ চুয়াডাঙ্গা জেলার জীবননগর উপজেলার ধোপখালি গ্রামের আব্দুস সাত্তারের ছেলে। তাৎক্ষণিকভাবে আহতদের পরিচয় জানা যায়নি।
ভাঙ্গা হাইওয়ে থানার এসআই মো. মামুন জানান, পঞ্চগড় থেকে ভাঙ্গাগামী কমলাবোঝাই পিকআপটি প্রাণিসম্পদ ইনস্টিটিউটের সামনে পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা ফরিদপুরগামী কাভার্ড ভ্যানের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে কমলাবোঝাই পিকআপটি দুমড়েমুচড়ে রাস্তার পাশে খাদে পড়ে যায়। এ সময় পিকআপে থাকা ফল ব্যবসায়ী মধু উল্লাহ ঘটনাস্থলেই মারা যান। আহত দুই চালককে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পিকআপ ও কাভার্ড ভ্যান জব্দ করা হয়েছে। মামলার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।

সময়ের পরিক্রমায় প্রকৃতিতে এখন হেমন্ত। পঞ্জিকা অনুযায়ী আর দিন কুড়ি পরই শুরু হবে শীত। তবে তার আগেই শীত অনুভূত হচ্ছে। দিনে তেমন না হলেও রাতে শীত নিবারণে কাঁথা কিংবা কম্বল জড়াতে হচ্ছে শরীরে। সে সঙ্গে বেড়েছে কাঁথা কিংবা কম্বল তৈরির কারিগরদের ব্যস্ততা।
৭ দিন আগে
ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. ফারুক আহমেদ বলেন, গতকাল মেট্রোর ছাদে ওঠার ঘটনার পাঁচ থেকে সাত মিনিটের মধ্যে ডিএমটিসিএলের ফেসবুকের মাধ্যমে জানানো হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় (কুবি) প্রেসক্লাবের ৯ সদস্যের ষষ্ঠ কার্যনির্বাহী কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। নতুন কমিটিতে সভাপতি হয়েছেন দৈনিক আজকের পত্রিকার বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি মো. আতিকুর রহমান তনয় এবং সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন বার্তা বাজারের বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি আব্দুল্লাহ।
১ ঘণ্টা আগে
স্থানীয়রা জানান, পারিবারিকভাবে প্রায় তিন বছর আগে বিয়ে হয় তাঁদের। শুরুতে সংসার ঠিকঠাক চললেও সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বাড়ে অশান্তি। স্বামীর বেপরোয়া চলাফেরার কারণে দূরত্ব বেড়ে যায় তাঁদের। কয়েকবার গ্রাম্য সালিস বসানো হলেও ভালো ফলাফল মেলেনি। ইতিমধ্যে আব্দুর রহমান একাধিক বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন।
১ ঘণ্টা আগেহাতিয়া (নোয়াখালী) প্রতিনিধি

সামাজিকভাবে নিয়ম মেনে বিয়ে হয় তাঁদের। মেয়ের জামাইকে খুশি রাখতে গ্রাম্য প্রথা অনুযায়ী দেওয়া হয় টাকা-পয়সা ও আসবাব। ভালোভাবেই চলছিল তাঁদের সংসার। কিছুদিন যেতে না যেতেই দেখা দেয় বিপত্তি। স্বামী-স্ত্রী দুজনের মধ্যে লেগে যায় ঝগড়া। দুজনের মধ্যে বাড়তে থাকে দূরত্ব। একপর্যায়ে স্বামী করেন দ্বিতীয় বিয়ে। দুজনই পৃথকভাবে বসবাস শুরু করেন। কিছুদিন যেতে না যেতেই স্বামী তৃতীয় বিয়েও করেন। এদিকে বহু চেষ্টা করেও স্ত্রীর অধিকার ফিরে পাচ্ছিলেন না প্রথম স্ত্রী। হঠাৎ সুযোগ পেয়ে স্বামীকে ধরে এনে পায়ে শিকল বেঁধে আটকে রাখেন নিজের বাড়িতে। ফেরত চান বাবার পক্ষ থেকে দেওয়া টাকা-পয়সা।
চাঞ্চল্যকর এ ঘটনা ঘটেছে নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার জাহাজমারা ইউনিয়নের কাটাখালী গ্রামে। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে এলাকার লোকজন এসে ভিড় করে ভুক্তভোগীর শ্বশুরবাড়িতে। পায়ে শিকল পরা সেই ব্যক্তিকে দেখতে হাতিয়ার বিভিন্ন অঞ্চল থেকে লোকেরা এসে হাসিঠাট্টায় মেতে ওঠেন। অনেকে আবার ক্ষোভ ঝাড়েন।
প্রথম স্ত্রী হাসিনা বেগম জাহাজমারা ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের কাটাখালী গ্রামের আবুল কাশেমের মেয়ে। স্বামী আব্দুর রহমান বুড়িরচর ইউনিয়নের রেহানিয়া গ্রামের আনোয়ার হোসেনের ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, পারিবারিকভাবে প্রায় তিন বছর আগে বিয়ে হয় তাঁদের। শুরুতে সংসার ঠিকঠাক চললেও সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বাড়ে অশান্তি। স্বামীর বেপরোয়া চলাফেরার কারণে দূরত্ব বেড়ে যায় তাঁদের। কয়েকবার গ্রাম্য সালিস বসানো হলেও ভালো ফলাফল মেলেনি। ইতিমধ্যে আব্দুর রহমান একাধিক বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। প্রথম স্ত্রী বরণ-পোষণে তিনি উদাসীন। তাতে ক্ষিপ্ত হয়ে তাঁকে পার্শ্ববর্তী বাজার থেকে ধরে আনা হয়েছে।
হাসিনা বেগম বলেন, ‘বিয়ের পর থেকে আমাকে নানাভাবে নির্যাতন করত। বহুবার সালিস বিচার করেও সমাধান হয়নি। এরপর আমাকে রেখে সে আরও দুইটা বিয়ে করেছে। আমি আমার অধিকার ফেরত পেতেই তাকে ধরে এনেছি। পালিয়ে যাওয়ার ভয়ে পায়ে শিকল দিয়ে বেঁধে রেখেছি।’
হাসিনার মা-বাবা বলেন, ‘ছেলের পরিবার কোনো দিনও তাকে শাসন করেনি। দুই বছর ধরে মেয়ের খোঁজও নেয়নি। এখন মেয়ে তাকে ধরে এনেছে। আমরা ছেলের পরিবারকে খবর দিয়েছি। তারা এলে সামাজিকভাবে সমাধানের চেষ্টা হবে।’
শিকল দিয়ে বেঁধে রাখা অবস্থায় কথা হয় আব্দুর রহমানের সঙ্গে। তিনি তৃতীয় বিয়ের কথা অস্বীকার করলেও দ্বিতীয় বিয়ের কথা স্বীকার করেন। তিনি প্রথম স্ত্রীর উগ্র আচরণের কারণে দ্বিতীয় বিয়ে করেছেন বলে দাবি করেন। তাঁকে ধরে এনে মারধর করা হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন।
এ বিষয়ে জাহাজমারা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ খোরশেদ আলম বলেন, এখনো থানায় কেউ লিখিত অভিযোগ দেয়নি। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সামাজিকভাবে নিয়ম মেনে বিয়ে হয় তাঁদের। মেয়ের জামাইকে খুশি রাখতে গ্রাম্য প্রথা অনুযায়ী দেওয়া হয় টাকা-পয়সা ও আসবাব। ভালোভাবেই চলছিল তাঁদের সংসার। কিছুদিন যেতে না যেতেই দেখা দেয় বিপত্তি। স্বামী-স্ত্রী দুজনের মধ্যে লেগে যায় ঝগড়া। দুজনের মধ্যে বাড়তে থাকে দূরত্ব। একপর্যায়ে স্বামী করেন দ্বিতীয় বিয়ে। দুজনই পৃথকভাবে বসবাস শুরু করেন। কিছুদিন যেতে না যেতেই স্বামী তৃতীয় বিয়েও করেন। এদিকে বহু চেষ্টা করেও স্ত্রীর অধিকার ফিরে পাচ্ছিলেন না প্রথম স্ত্রী। হঠাৎ সুযোগ পেয়ে স্বামীকে ধরে এনে পায়ে শিকল বেঁধে আটকে রাখেন নিজের বাড়িতে। ফেরত চান বাবার পক্ষ থেকে দেওয়া টাকা-পয়সা।
চাঞ্চল্যকর এ ঘটনা ঘটেছে নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার জাহাজমারা ইউনিয়নের কাটাখালী গ্রামে। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে এলাকার লোকজন এসে ভিড় করে ভুক্তভোগীর শ্বশুরবাড়িতে। পায়ে শিকল পরা সেই ব্যক্তিকে দেখতে হাতিয়ার বিভিন্ন অঞ্চল থেকে লোকেরা এসে হাসিঠাট্টায় মেতে ওঠেন। অনেকে আবার ক্ষোভ ঝাড়েন।
প্রথম স্ত্রী হাসিনা বেগম জাহাজমারা ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের কাটাখালী গ্রামের আবুল কাশেমের মেয়ে। স্বামী আব্দুর রহমান বুড়িরচর ইউনিয়নের রেহানিয়া গ্রামের আনোয়ার হোসেনের ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, পারিবারিকভাবে প্রায় তিন বছর আগে বিয়ে হয় তাঁদের। শুরুতে সংসার ঠিকঠাক চললেও সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বাড়ে অশান্তি। স্বামীর বেপরোয়া চলাফেরার কারণে দূরত্ব বেড়ে যায় তাঁদের। কয়েকবার গ্রাম্য সালিস বসানো হলেও ভালো ফলাফল মেলেনি। ইতিমধ্যে আব্দুর রহমান একাধিক বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। প্রথম স্ত্রী বরণ-পোষণে তিনি উদাসীন। তাতে ক্ষিপ্ত হয়ে তাঁকে পার্শ্ববর্তী বাজার থেকে ধরে আনা হয়েছে।
হাসিনা বেগম বলেন, ‘বিয়ের পর থেকে আমাকে নানাভাবে নির্যাতন করত। বহুবার সালিস বিচার করেও সমাধান হয়নি। এরপর আমাকে রেখে সে আরও দুইটা বিয়ে করেছে। আমি আমার অধিকার ফেরত পেতেই তাকে ধরে এনেছি। পালিয়ে যাওয়ার ভয়ে পায়ে শিকল দিয়ে বেঁধে রেখেছি।’
হাসিনার মা-বাবা বলেন, ‘ছেলের পরিবার কোনো দিনও তাকে শাসন করেনি। দুই বছর ধরে মেয়ের খোঁজও নেয়নি। এখন মেয়ে তাকে ধরে এনেছে। আমরা ছেলের পরিবারকে খবর দিয়েছি। তারা এলে সামাজিকভাবে সমাধানের চেষ্টা হবে।’
শিকল দিয়ে বেঁধে রাখা অবস্থায় কথা হয় আব্দুর রহমানের সঙ্গে। তিনি তৃতীয় বিয়ের কথা অস্বীকার করলেও দ্বিতীয় বিয়ের কথা স্বীকার করেন। তিনি প্রথম স্ত্রীর উগ্র আচরণের কারণে দ্বিতীয় বিয়ে করেছেন বলে দাবি করেন। তাঁকে ধরে এনে মারধর করা হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন।
এ বিষয়ে জাহাজমারা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ খোরশেদ আলম বলেন, এখনো থানায় কেউ লিখিত অভিযোগ দেয়নি। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সময়ের পরিক্রমায় প্রকৃতিতে এখন হেমন্ত। পঞ্জিকা অনুযায়ী আর দিন কুড়ি পরই শুরু হবে শীত। তবে তার আগেই শীত অনুভূত হচ্ছে। দিনে তেমন না হলেও রাতে শীত নিবারণে কাঁথা কিংবা কম্বল জড়াতে হচ্ছে শরীরে। সে সঙ্গে বেড়েছে কাঁথা কিংবা কম্বল তৈরির কারিগরদের ব্যস্ততা।
৭ দিন আগে
ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. ফারুক আহমেদ বলেন, গতকাল মেট্রোর ছাদে ওঠার ঘটনার পাঁচ থেকে সাত মিনিটের মধ্যে ডিএমটিসিএলের ফেসবুকের মাধ্যমে জানানো হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় (কুবি) প্রেসক্লাবের ৯ সদস্যের ষষ্ঠ কার্যনির্বাহী কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। নতুন কমিটিতে সভাপতি হয়েছেন দৈনিক আজকের পত্রিকার বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি মো. আতিকুর রহমান তনয় এবং সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন বার্তা বাজারের বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি আব্দুল্লাহ।
১ ঘণ্টা আগে
ফরিদপুরের ভাঙ্গায় পিকআপ ও কাভার্ড ভ্যানের মুখোমুখি সংঘর্ষে মধু উল্লাহ (৫২) নামের এক ফল ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন দুই চালক। আজ সোমবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে ফরিদপুর-বরিশাল মহাসড়কের উপজেলার প্রাণিসম্পদ ইনস্টিটিউটের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগে