আনোয়ার হোসেন শামীম, গাইবান্ধা
‘সারা দিন কামাই করে হয় চার-পাঁচ শ ট্যাকা। এই ট্যাকা কোনা নিয়ে বাজারত আলে চাউল কিনলে কাঁচা তরকারি কেনা যায় না। যদি তরকারি কিনি, তাহলে চাউল কেনা যায় না। গরীম মানুষের কষ্ট কেউ বুজবে না। জিনিসপাতির দাম শুনে গাও গরম হয়ে যায়।’ গাইবান্ধা শহরের হকার্স মার্কেটে বাজার করতে এসেছে কথাগুলো বললেন দিনমজুর সাইফুল ইসলাম।
শুধু সাইফুল ইসলামই নন। তাঁর মতো অনেক ক্রেতাই গাইবান্ধায় সবজির বাজারে এসে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। কারণ শীতের মৌসুমেও এখানে শীতকালীন সবজির বাজার চওড়া।
ক্রেতারা বলছেন, গত বছর সবজির দাম হাতের নাগালে ছিল। তবে এ বছর কমবেশি সব সবজির দাম তিন থেকে চার গুন বেড়েছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন তাঁরা।
শহরের বাজারগুলো ঘুরে দেখা যায়, ফুলকপি প্রতি কেজি ৫০ টাকা, শিম ৬০ টাকা, আলু ৫০–৬০ টাকা, গাজর প্রতিকেজি ৩০ টাকা, টমেটো ৪০, বেগুন ৫০, আদা ২৪০, মরিচ ৬০, পেঁয়াজ ৬৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। অন্যদিকে চালের ভরা মৌসুমেও প্রতিকেজি চালের দাম চার থেকে পাঁচ টাকা বিক্রি পেয়েছে। বর্তমানে উনত্রিশের চাল প্রতি কেজি ৫৪ টাকা, মোটা চাল ৪৮, কাটারিভোগ ৬৫, মিনিকেট ৭০, চিনিগুঁড়া চাল ১২০ টাকা দরে প্রতিকেজি বাজারে বিক্রি করা হচ্ছে।
গত বছর শীতের মৌসুমে ফুলকপি প্রতি পিস হিসাবে বিক্রি হতো। শিম বিক্রি হয়েছিল প্রতি কেজি ২০ টাকা, আলুর দাম ছিল ১৫ টাকা কেজি, গাজর ছিল ২০ টাকা এবং মরিচের দাম ছিল প্রতি কেজি ২০ টাকা। অর্থাৎ এ মৌসুমে এসব সবজির দাম প্রতি কেজিতে তিন থেকে চারগুণ বেড়েছে।
এ ছাড়া খাসির মাংসের দাম প্রতি কেজি ৯০০, গরুর মাংস ৭০০, দেশি মুরগি ৪২০, বয়লার ১৯০, সোনালি মুরগি ২৪০ টাকা প্রতি কেজির দাম। তবে সয়াবিন তেলের দাম বৃদ্ধি না হলেও সব ধরনের ডাল প্রতি কেজি ২৫ থেকে ৩০ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে। গরম ময়লার দাম প্রকারভেদে ৬শ থেকে ৮শ টাকা প্রতিকেজির দাম বৃদ্ধি হয়েছে।
গাইবান্ধা পৌর শহরের পুরাতন বাজারে কেনাকাটা করতে আসা রিকশাচালক ফিরোজের সঙ্গে কথা হয়। তিনি বলেন, ‘শীতের সময় সবজির দাম প্রত্যক বছরই কম থাকে। তবে অন্যান্য বছরের তুলনায় তিন থেকে চার গুন বেশি এবার। গত বছর এ সময়ে যে ফুলকপি বিক্রি হতো পিস পাঁচ টাকা, এখন বাজারে পিস নয়, প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা। এমন কোনো কিছু নাই যে তার দাম বাড়ে নাই। গরিব মানুষের অবস্থা কাহিল। এই বাজার দামে জিনিসপাতি কিনে খায়ে বেঁচে থাকাটাই মুশকিল।’
আরেক ক্রেতা আজিজার রহমান বলেন, ‘শীতেও শাকসবজির দাম এত বেশি। বাজারত উঠছে বেশি। তাও দাম বেশি। এত ট্যাকা দিয়ে ক্যামনে কিনে খামো। যেটারই দাম শুনি, কেনা তো দূরের কথা, শোনার সঙ্গে সঙ্গেই গাও কোনা শিংরে উঠে।’
পুলবন্দির হামিদ আলী বাজার করতে এসেছেন শহরের পুরাতন বাজারে। তিনি বলেন, ‘ভোট কোনাও শেষ গরিবের বন্ধুও শেষ। ভোটের আগোত কলো সক জিনিসের দাম কমলে। এখন দেখছি দাম আরও বাড়ছে। কাম শেষ হলে কেউ গরিবের বন্ধু নয় বাবা।’
এই বাজারে আরেক ক্রেতা ছাত্তার মিয়া বলেন, মানুষের আয় রোজগার কমে গেছে। জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে। এই ভরা মৌসুমে শাক সবজির দাম কয়েক গুন বেশি। তার সঙ্গে আবার পাল্লা দিয়ে চালের দামও বাড়ছে। সময় আরও পড়ে আছে। নিম্ন-মধ্যবিত্তরা বাজারে আসে জিনিসপত্রের দাম শুনে মাথায় বাজ পড়ে। সরকারি চাকরিজীবীদের কাছে বাজারের দাম নিয়ে চিন্তা নাই। জিনিসপত্রের দাম বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তাদের বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা দিয়ে থাকে সরকার। একবার গরিবের কথা ভাবা দরকার।
পুরাতন বাজারের কাঁচামাল ব্যবসায়ী সোহেল রানা বলেন, ‘এবার শীতকালীন সবজির দাম অনেক বেশি। আমরা কম দামে কিনতে না পারলে কম দামে বিক্রি করব ক্যামনে।’
ব্যবসায়ী বালু মিয়া বলেন, সব জিনিসপাতির দাম বাড়লে কাঁচামালের দাম বাড়বে অবশ্যই। কৃষকেরা চড়া দামে সার বীজ কিনে ফসল করলে তাঁরাও তো বেশি দামে বিক্রি করবে।
আড়তদার আহম্মেদ বলেন, ‘বাজারে সবজি পর্যাপ্ত। তবে আমরা কম দামে কিনতে না পারলে ক্যামনে কম দামে বিক্রি করব। কাঁচামালতো মজুত করে রাখার জিনিস না।’
গাইবান্ধা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আফসানা পারভিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, সব ধরনের জিনিসপত্রের দাম ক্রেতাদের নাগালে রাখতে বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখতে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। এ ছাড়া কোথাও দ্রব্যের দাম নিয়ে কোনো ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট করার চেষ্টা করলে তাদের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন তিনি।
‘সারা দিন কামাই করে হয় চার-পাঁচ শ ট্যাকা। এই ট্যাকা কোনা নিয়ে বাজারত আলে চাউল কিনলে কাঁচা তরকারি কেনা যায় না। যদি তরকারি কিনি, তাহলে চাউল কেনা যায় না। গরীম মানুষের কষ্ট কেউ বুজবে না। জিনিসপাতির দাম শুনে গাও গরম হয়ে যায়।’ গাইবান্ধা শহরের হকার্স মার্কেটে বাজার করতে এসেছে কথাগুলো বললেন দিনমজুর সাইফুল ইসলাম।
শুধু সাইফুল ইসলামই নন। তাঁর মতো অনেক ক্রেতাই গাইবান্ধায় সবজির বাজারে এসে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। কারণ শীতের মৌসুমেও এখানে শীতকালীন সবজির বাজার চওড়া।
ক্রেতারা বলছেন, গত বছর সবজির দাম হাতের নাগালে ছিল। তবে এ বছর কমবেশি সব সবজির দাম তিন থেকে চার গুন বেড়েছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন তাঁরা।
শহরের বাজারগুলো ঘুরে দেখা যায়, ফুলকপি প্রতি কেজি ৫০ টাকা, শিম ৬০ টাকা, আলু ৫০–৬০ টাকা, গাজর প্রতিকেজি ৩০ টাকা, টমেটো ৪০, বেগুন ৫০, আদা ২৪০, মরিচ ৬০, পেঁয়াজ ৬৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। অন্যদিকে চালের ভরা মৌসুমেও প্রতিকেজি চালের দাম চার থেকে পাঁচ টাকা বিক্রি পেয়েছে। বর্তমানে উনত্রিশের চাল প্রতি কেজি ৫৪ টাকা, মোটা চাল ৪৮, কাটারিভোগ ৬৫, মিনিকেট ৭০, চিনিগুঁড়া চাল ১২০ টাকা দরে প্রতিকেজি বাজারে বিক্রি করা হচ্ছে।
গত বছর শীতের মৌসুমে ফুলকপি প্রতি পিস হিসাবে বিক্রি হতো। শিম বিক্রি হয়েছিল প্রতি কেজি ২০ টাকা, আলুর দাম ছিল ১৫ টাকা কেজি, গাজর ছিল ২০ টাকা এবং মরিচের দাম ছিল প্রতি কেজি ২০ টাকা। অর্থাৎ এ মৌসুমে এসব সবজির দাম প্রতি কেজিতে তিন থেকে চারগুণ বেড়েছে।
এ ছাড়া খাসির মাংসের দাম প্রতি কেজি ৯০০, গরুর মাংস ৭০০, দেশি মুরগি ৪২০, বয়লার ১৯০, সোনালি মুরগি ২৪০ টাকা প্রতি কেজির দাম। তবে সয়াবিন তেলের দাম বৃদ্ধি না হলেও সব ধরনের ডাল প্রতি কেজি ২৫ থেকে ৩০ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে। গরম ময়লার দাম প্রকারভেদে ৬শ থেকে ৮শ টাকা প্রতিকেজির দাম বৃদ্ধি হয়েছে।
গাইবান্ধা পৌর শহরের পুরাতন বাজারে কেনাকাটা করতে আসা রিকশাচালক ফিরোজের সঙ্গে কথা হয়। তিনি বলেন, ‘শীতের সময় সবজির দাম প্রত্যক বছরই কম থাকে। তবে অন্যান্য বছরের তুলনায় তিন থেকে চার গুন বেশি এবার। গত বছর এ সময়ে যে ফুলকপি বিক্রি হতো পিস পাঁচ টাকা, এখন বাজারে পিস নয়, প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা। এমন কোনো কিছু নাই যে তার দাম বাড়ে নাই। গরিব মানুষের অবস্থা কাহিল। এই বাজার দামে জিনিসপাতি কিনে খায়ে বেঁচে থাকাটাই মুশকিল।’
আরেক ক্রেতা আজিজার রহমান বলেন, ‘শীতেও শাকসবজির দাম এত বেশি। বাজারত উঠছে বেশি। তাও দাম বেশি। এত ট্যাকা দিয়ে ক্যামনে কিনে খামো। যেটারই দাম শুনি, কেনা তো দূরের কথা, শোনার সঙ্গে সঙ্গেই গাও কোনা শিংরে উঠে।’
পুলবন্দির হামিদ আলী বাজার করতে এসেছেন শহরের পুরাতন বাজারে। তিনি বলেন, ‘ভোট কোনাও শেষ গরিবের বন্ধুও শেষ। ভোটের আগোত কলো সক জিনিসের দাম কমলে। এখন দেখছি দাম আরও বাড়ছে। কাম শেষ হলে কেউ গরিবের বন্ধু নয় বাবা।’
এই বাজারে আরেক ক্রেতা ছাত্তার মিয়া বলেন, মানুষের আয় রোজগার কমে গেছে। জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে। এই ভরা মৌসুমে শাক সবজির দাম কয়েক গুন বেশি। তার সঙ্গে আবার পাল্লা দিয়ে চালের দামও বাড়ছে। সময় আরও পড়ে আছে। নিম্ন-মধ্যবিত্তরা বাজারে আসে জিনিসপত্রের দাম শুনে মাথায় বাজ পড়ে। সরকারি চাকরিজীবীদের কাছে বাজারের দাম নিয়ে চিন্তা নাই। জিনিসপত্রের দাম বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তাদের বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা দিয়ে থাকে সরকার। একবার গরিবের কথা ভাবা দরকার।
পুরাতন বাজারের কাঁচামাল ব্যবসায়ী সোহেল রানা বলেন, ‘এবার শীতকালীন সবজির দাম অনেক বেশি। আমরা কম দামে কিনতে না পারলে কম দামে বিক্রি করব ক্যামনে।’
ব্যবসায়ী বালু মিয়া বলেন, সব জিনিসপাতির দাম বাড়লে কাঁচামালের দাম বাড়বে অবশ্যই। কৃষকেরা চড়া দামে সার বীজ কিনে ফসল করলে তাঁরাও তো বেশি দামে বিক্রি করবে।
আড়তদার আহম্মেদ বলেন, ‘বাজারে সবজি পর্যাপ্ত। তবে আমরা কম দামে কিনতে না পারলে ক্যামনে কম দামে বিক্রি করব। কাঁচামালতো মজুত করে রাখার জিনিস না।’
গাইবান্ধা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আফসানা পারভিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, সব ধরনের জিনিসপত্রের দাম ক্রেতাদের নাগালে রাখতে বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখতে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। এ ছাড়া কোথাও দ্রব্যের দাম নিয়ে কোনো ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট করার চেষ্টা করলে তাদের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন তিনি।
পুরান ঢাকার আরমানি টোলায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থী মো. জুবায়েদ হোসেনকে হত্যার ঘটনায় তাঁর ছাত্রীকে আটক করেছে পুলিশ। রোববার (১৯ অক্টোবর) রাত ১১টা ২০ মিনিটের দিকে বংশালের নূর বক্স রোডে রৌশান ভিলা থেকে ওই ছাত্রীকে (এইচএসসি শিক্ষার্থী) আটক করে নিয়ে যায় পুলিশ। জুবায়েদ তাকে বাসায় গিয়ে পড়াতেন
১ ঘণ্টা আগেচট্টগ্রাম নগরীর পতেঙ্গা থেকে এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রোববার (১৯ অক্টোবর) দুপুর ১২টার দিকে পুলিশ মরদেহটি উদ্ধার করে। পতেঙ্গা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী মুহাম্মদ সুলতান আহসান উদ্দীন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
২ ঘণ্টা আগেরাজধানীর মিরপুরের রূপনগরে কেমিক্যাল গোডাউন ও পোশাক কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় নিহত ১৬ জনের মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে। রোববার (১৯ অক্টোবর) রাত ৯টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের মর্গ থেকে মরদেহ হস্তান্তরের প্রক্রিয়া শুরু হয়।
২ ঘণ্টা আগেআইনশৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখতে বরগুনার বেতাগী উপজেলার চান্দখালীর আল্লাহু চত্বর এলাকায় যৌথ বাহিনী চেকপোস্ট পরিচালনা করেছে। আজ রোববার (১৯ অক্টোবর) সকাল ১০টা থেকে দুপুর পর্যন্ত এ কার্যক্রম পরিচালনা করেন নৌবাহিনীর লেফটেন্যান্ট জুম্মান খান।
২ ঘণ্টা আগে