Ajker Patrika

কালবৈশাখীতে উলিপুরে ৭ জন আহত, ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি

উলিপুর (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি
আপডেট : ১৬ মে ২০২৩, ২০: ৪৫
Thumbnail image

কুড়িগ্রামের উলিপুরে কালবৈশাখীর তাণ্ডবে আহত হয়েছেন সাতজন। মারা গেছে চারটি ছাগল। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, বসতবাড়ি, গাছপালা ও বৈদ্যুতিক খুঁটি। গতকাল সোমবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে ১৫ মিনিট স্থায়ী কালবৈশাখী আঘাত হানে।

স্থানীয়রা জানান, উপজেলার তবকপুর ইউনিয়নের উমানন্দ স্কুল অ্যান্ড কলেজের ছয়টি শ্রেণিকক্ষ ও ৫০টি বেঞ্চসহ আসবাবপত্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ সময় ঘরের টিন দুমড়ে-মুচড়ে যায়। শতাধিক ঘর, গাছপালাও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

এ ছাড়া উপজেলার থেতরাই ইউনিয়নের তিস্তা নদীর উভয় তীরে অবস্থিত হোকডাঙা, জুয়ানসাতরা, রামনিয়াশা ও গোড়াইপিয়ার গ্রামে ঝড়ের আঘাতে ব্যাপক ক্ষতি হয়।

ওই এলাকাসহ উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। এদিকে ঝড়ের আঘাতে উপজেলার হাতিয়া, থেতরাই, ধামশ্রেণী, বজরা, পান্ডুল, গুনাইগাছ তবকপুর ও পৌরসভাসহ বিভিন্ন এলাকার ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।

উমানন্দ কলেজের শিক্ষার্থী শাহনাজ খাতুন, মিথিলা সরকার ও শারমিন আক্তার জানান, কলেজটির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। নতুন ভবন নির্মাণ না হলে লেখাপড়া ব্যাহত হবে।

থেতরাই ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আতাউর রহমান আতা বলেন, ১৫ মিনিটের ঝড়ের কবলে পড়ে এ ইউনিয়নের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ঝড়ে এমদাদুল হক (৪৫), আব্দুল হাইসহ (৭০) সাতজন আহত হয়েছেন। এ ছাড়া হোকডাঙা গ্রামে আব্দুল হাই নামে এক কৃষকের ঘরে গাছ ভেঙে পড়লে চারটি ছাগল মারা যায়।

ইউপি চেয়ারম্যান আরও বলেন, ঝড়ে এলাকার শতাধিক ঘর-বাড়ি, অসংখ্য গাছপালাসহ একাধিক বৈদ্যুতিক খুঁটি ভেঙে পড়েছে।

উপজেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা সিরাজুদৌল্লা বলেন, ‘আজ মঙ্গলবার বিকেল পর্যন্ত ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার চেয়ারম্যানেরা ঝড়ে ক্ষয়ক্ষতির তালিকা জমা দেননি। কী পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে এর পূর্ণ তথ্য নেই। তবে বিভিন্নভাবে যতটুকু খবর পাওয়া গেছে এতে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা তারিকুল ইসলাম বলেন, ‘উমানন্দ স্কুল অ্যান্ড কলেজের শ্রেণিকক্ষের ক্ষতি হওয়ার বিষয়টি শুনেছি। তবে প্রতিষ্ঠানপ্রধান এখন পর্যন্ত লিখিতভাবে জানাননি।’

উলিপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার শোহানুর রহমান বলেন, গত রাতে কালবৈশাখীর তাণ্ডবে বিভিন্ন এলাকায় ১৬টি বৈদ্যুতিক খুঁটি ভেঙে পড়েছে। তার ছিঁড়ে গেছে ৭৭টি স্থানে। ১০৮টি স্থানে বৈদ্যুতিক লাইনে গাছ পড়েছে এবং গাছ পড়ার কারণে ৬৩টি মিটার সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শোভন রাংসা বলেন, ঝড়ে ক্ষতির বিষয়ে মোবাইল ফোনে থেতরাই, বজরা, পান্ডুল, তবকপুরসহ কয়েকটি ইউনিয়নের চেয়ারম্যানরা জানিয়েছেন। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ লিখিতভাবে পেলে জেলা কার্যালয়ে জানিয়ে সাহায্য চাওয়া হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত