তাজরুল ইসলাম, পীরগাছা (রংপুর)
রংপুরের পীরগাছার ইটাকুমারীর জরাজীর্ণ হয়ে পড়া জমিদার বাড়ি থেকে ইট খুলে নেওয়া হচ্ছে। দেখভালের অভাবে গোপনে কে বা কারা এই কাজ করছে, কেউ জানাতে পারছে না। দুই শ বছরের পুরোনো বাড়িটি সংস্কার করে পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার দাবি জানিয়েছে এলাকাবাসী।
সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, জমিদার শিবচন্দ্রের বাড়িটি কালের সাক্ষী হিসেবে আজও দাঁড়িয়ে আছে জরাজীর্ণ অবস্থায়। ভেতরে গবাদিপশুর অবাধ বিচরণ। দেয়াল থেকে খসে পড়ছে ইট-বালু। সংস্কারহীন বাড়ি থেকে গোপনে দুর্বৃত্তরা খুলে নিয়ে যাচ্ছে ইট। কয়েক যুগ ধরে প্রাচীন পুরাকীর্তির অন্যতম নিদর্শন হিসেবে দাঁড়িয়ে থাকলেও সরকারিভাবে নেওয়া হয়নি সংরক্ষণের উদ্যোগ। ফলে অযত্ন ও অবহেলায় বিলুপ্তির পথে ইটাকুমারীর রাজা শিবচন্দ্র রায়ের জমিদার বাড়িটি।
রংপুর শহর থেকে দক্ষিণ-পূর্ব দিকে প্রায় ১৮ কিলোমিটার এবং পীরগাছা থেকে প্রায় আট কিলোমিটার উত্তরে অবস্থিত জমিদার বাড়িটির অবস্থান। চারদিকে লতাপাতা আর ঝোপ–জঙ্গলে ভরা জমিদার বাড়িটি ঘিরে রয়েছে গৌরবগাথা। এই জমিদার বাড়ি থেকেই ঐতিহাসিক প্রজা বিদ্রোহের সূচনা হয়েছিল। ইটাকুমারীর জমিদার রাজা শিবচন্দ্র রায় নিজের রক্ষার জন্য বিভিন্ন এলাকার সাঁওতালদের এনে জমিদার বাড়ির চারপাশে বসতি স্থাপন করেছিলেন। সে সময় সাঁওতালরা ছিল তীরন্দাজ যোদ্ধা। আজ সেই যোদ্ধা সাঁওতাল সম্প্রদায়ের বংশধররা বিভিন্ন পাড়ায় বাস করছে। নিজেদের ঐতিহ্য হারিয়ে নতুন নতুন পেশা গ্রহণ করছে।
কালক্রমে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে কিছু প্রভাবশালী ইটাকুমারীর জমিদারির ত্রাণকর্তা সেজে জমিদার বাড়ির অলংকার লুট করে নিয়ে যায় এবং তার সম্পদ ভোগদখল করতে থাকে। কিন্তু শিবচন্দ্র রায়ের জমিদার বাড়িটি রয়ে যায় অরক্ষিত।
সরেজমিন দেখা যায়, জমিদার বাড়িটি ঝোপ-জঙ্গলে ভরা। বারান্দার ভেতর মূল দেয়ালের ইট খুঁচিয়ে তুলে নিয়ে গেছে কে বা কারা। বাড়ির পাশে একটি মাত্র ছোট দোকান থাকলেও বন্ধ হয়ে যায় সন্ধ্যার আগেই। সন্ধ্যার পর এটি ভুতুড়ে বাড়িতে পরিণত হয়।
স্থানীয় বাসিন্দা প্রিয়নাথ বর্মণ ও আব্দুস সাত্তার বলেন, বাড়িটি দেখতে প্রতিদিন অসংখ্য পর্যটক আসে। কিন্তু অযত্ন আর অবহেলায় জমিদার বাড়িটি আজ ধ্বংসের পথে। গোপনে কে বা কারা জমিদার বাড়ির ইট খুলে নিয়ে যাচ্ছে। অথচ দেখার কেউ নেই।
স্থানীয় শিক্ষার্থী সাইফুল ইসলাম ও রবিউল হাসান বলেন, দিনের বেলা লোকজন থাকলেও রাতে এটি ভুতুড়ে বাড়িতে পরিণত হয়। নেশাখোর ছেলেরা এখানে আড্ডা দেয়। ফলে ভয়ে কেউ সেখানে যায় না। এই সুযোগে গোপনে বাড়িটির ইট খুলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। প্রশাসন কার্যকর ব্যবস্থা না নিলে ধীরে ধীরে বাড়িটি ধ্বংস হয়ে যাবে।
ইটাকুমারীর শিবচন্দ্র রায় কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ, তিস্তা বাঁচাও, নদী বাঁচাও সংগ্রাম কমিটির সভাপতি নজরুল ইসলাম হক্কানী বলেন, জমিদার বাড়িটি প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের আওতায় এনে পর্যটন কেন্দ্র তৈরির জন্য অনেক আবেদন–নিবেদন করা হয়েছে। কিন্তু তাতে কোনো কাজ হয়নি। আগামী প্রজন্মের কাছে ফতেপুর চাকলার এ বাড়িটি সরকারিভাবে রক্ষণাবেক্ষণ করা জরুরি প্রয়োজন। এ ছাড়া জমিদার বাড়ি পুনঃসংস্কার করে একটি আদর্শ পর্যটন কেন্দ্রে রূপান্তর করা হলে ইটাকুমারী জমিদার বাড়ি চির যৌবনা হয়ে বেঁচে থাকবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পীরগাছা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. নাজমুল হক সুমন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘জমিদার বাড়িটি প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের আওতায় আনার জন্য আবেদন করা হয়েছে। আর ইট খুলে নিয়ে যাওয়ার বিষয়টি ওসিকে অবগত করেছি। তিনি বিষয়টি দেখবেন।’
রংপুরের পীরগাছার ইটাকুমারীর জরাজীর্ণ হয়ে পড়া জমিদার বাড়ি থেকে ইট খুলে নেওয়া হচ্ছে। দেখভালের অভাবে গোপনে কে বা কারা এই কাজ করছে, কেউ জানাতে পারছে না। দুই শ বছরের পুরোনো বাড়িটি সংস্কার করে পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার দাবি জানিয়েছে এলাকাবাসী।
সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, জমিদার শিবচন্দ্রের বাড়িটি কালের সাক্ষী হিসেবে আজও দাঁড়িয়ে আছে জরাজীর্ণ অবস্থায়। ভেতরে গবাদিপশুর অবাধ বিচরণ। দেয়াল থেকে খসে পড়ছে ইট-বালু। সংস্কারহীন বাড়ি থেকে গোপনে দুর্বৃত্তরা খুলে নিয়ে যাচ্ছে ইট। কয়েক যুগ ধরে প্রাচীন পুরাকীর্তির অন্যতম নিদর্শন হিসেবে দাঁড়িয়ে থাকলেও সরকারিভাবে নেওয়া হয়নি সংরক্ষণের উদ্যোগ। ফলে অযত্ন ও অবহেলায় বিলুপ্তির পথে ইটাকুমারীর রাজা শিবচন্দ্র রায়ের জমিদার বাড়িটি।
রংপুর শহর থেকে দক্ষিণ-পূর্ব দিকে প্রায় ১৮ কিলোমিটার এবং পীরগাছা থেকে প্রায় আট কিলোমিটার উত্তরে অবস্থিত জমিদার বাড়িটির অবস্থান। চারদিকে লতাপাতা আর ঝোপ–জঙ্গলে ভরা জমিদার বাড়িটি ঘিরে রয়েছে গৌরবগাথা। এই জমিদার বাড়ি থেকেই ঐতিহাসিক প্রজা বিদ্রোহের সূচনা হয়েছিল। ইটাকুমারীর জমিদার রাজা শিবচন্দ্র রায় নিজের রক্ষার জন্য বিভিন্ন এলাকার সাঁওতালদের এনে জমিদার বাড়ির চারপাশে বসতি স্থাপন করেছিলেন। সে সময় সাঁওতালরা ছিল তীরন্দাজ যোদ্ধা। আজ সেই যোদ্ধা সাঁওতাল সম্প্রদায়ের বংশধররা বিভিন্ন পাড়ায় বাস করছে। নিজেদের ঐতিহ্য হারিয়ে নতুন নতুন পেশা গ্রহণ করছে।
কালক্রমে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে কিছু প্রভাবশালী ইটাকুমারীর জমিদারির ত্রাণকর্তা সেজে জমিদার বাড়ির অলংকার লুট করে নিয়ে যায় এবং তার সম্পদ ভোগদখল করতে থাকে। কিন্তু শিবচন্দ্র রায়ের জমিদার বাড়িটি রয়ে যায় অরক্ষিত।
সরেজমিন দেখা যায়, জমিদার বাড়িটি ঝোপ-জঙ্গলে ভরা। বারান্দার ভেতর মূল দেয়ালের ইট খুঁচিয়ে তুলে নিয়ে গেছে কে বা কারা। বাড়ির পাশে একটি মাত্র ছোট দোকান থাকলেও বন্ধ হয়ে যায় সন্ধ্যার আগেই। সন্ধ্যার পর এটি ভুতুড়ে বাড়িতে পরিণত হয়।
স্থানীয় বাসিন্দা প্রিয়নাথ বর্মণ ও আব্দুস সাত্তার বলেন, বাড়িটি দেখতে প্রতিদিন অসংখ্য পর্যটক আসে। কিন্তু অযত্ন আর অবহেলায় জমিদার বাড়িটি আজ ধ্বংসের পথে। গোপনে কে বা কারা জমিদার বাড়ির ইট খুলে নিয়ে যাচ্ছে। অথচ দেখার কেউ নেই।
স্থানীয় শিক্ষার্থী সাইফুল ইসলাম ও রবিউল হাসান বলেন, দিনের বেলা লোকজন থাকলেও রাতে এটি ভুতুড়ে বাড়িতে পরিণত হয়। নেশাখোর ছেলেরা এখানে আড্ডা দেয়। ফলে ভয়ে কেউ সেখানে যায় না। এই সুযোগে গোপনে বাড়িটির ইট খুলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। প্রশাসন কার্যকর ব্যবস্থা না নিলে ধীরে ধীরে বাড়িটি ধ্বংস হয়ে যাবে।
ইটাকুমারীর শিবচন্দ্র রায় কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ, তিস্তা বাঁচাও, নদী বাঁচাও সংগ্রাম কমিটির সভাপতি নজরুল ইসলাম হক্কানী বলেন, জমিদার বাড়িটি প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের আওতায় এনে পর্যটন কেন্দ্র তৈরির জন্য অনেক আবেদন–নিবেদন করা হয়েছে। কিন্তু তাতে কোনো কাজ হয়নি। আগামী প্রজন্মের কাছে ফতেপুর চাকলার এ বাড়িটি সরকারিভাবে রক্ষণাবেক্ষণ করা জরুরি প্রয়োজন। এ ছাড়া জমিদার বাড়ি পুনঃসংস্কার করে একটি আদর্শ পর্যটন কেন্দ্রে রূপান্তর করা হলে ইটাকুমারী জমিদার বাড়ি চির যৌবনা হয়ে বেঁচে থাকবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পীরগাছা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. নাজমুল হক সুমন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘জমিদার বাড়িটি প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের আওতায় আনার জন্য আবেদন করা হয়েছে। আর ইট খুলে নিয়ে যাওয়ার বিষয়টি ওসিকে অবগত করেছি। তিনি বিষয়টি দেখবেন।’
পার্বত্য খাগড়াছড়ির সীমান্তবর্তী পানছড়ির বিভিন্ন এলাকায় নির্বিচারে কাটা হচ্ছে পাহাড়। এতে ধ্বংস হচ্ছে জীববৈচিত্র্য। ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর পরিবর্তিত রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে একটি চক্র এই পাহাড় কাটায় জড়িত বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে।
৫ ঘণ্টা আগেমৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি ৫০ শয্যার। তবে তীব্র জনবল-সংকটে এখানে চিকিৎসাসেবা পাওয়া দুরূহ। সাতজন চিকিৎসা কর্মকর্তা (মেডিকেল অফিসার) থাকার কথা থাকলেও আছেন মাত্র একজন। ২৩ চিকিৎসকের জায়গায় রয়েছেন ১০ জন। চিকিৎসকের ঘাটতি মেটাতে সাব-অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিউনিটি মেডিকেল অফিসাররা
৫ ঘণ্টা আগেনানা সমস্যায় জর্জরিত দিনাজপুরের ফুলবাড়ী পৌরসভা। দীর্ঘদিন ধরে পৌর এলাকার রাস্তা ও ড্রেনের নাজুক অবস্থা, নেই পর্যাপ্ত ডাস্টবিন। ফলে যত্রতত্র গড়ে উঠেছে ময়লা-আবর্জনার ভাগাড়। ফলে দুর্ভোগ বেড়েছে পৌরবাসীর। নাগরিকদের অভিযোগ, নামে প্রথম শ্রেণির পৌরসভা হলেও বাড়েনি সেবার মান। তাই রাস্তা ও ড্রেনগুলো দ্রুত সংস্ক
৫ ঘণ্টা আগেময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে ৫ কোটির বেশি টাকায় নেওয়া শতাধিক প্রকল্পে লুটপাটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। সাবেক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সারমিনা সাত্তার ও উপজেলা প্রকৌশলী আয়েশা আখতার নিয়ম-বহির্ভূতভাবে প্রকল্প গ্রহণ ও ভুয়া প্রকল্প দেখিয়ে এই অনিয়ম করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। বিষয়টি আড়াল করতে প্রকল্পের কাগজপত্র
৫ ঘণ্টা আগে