Ajker Patrika

বিএনপির অনুষ্ঠানে সাংবাদিককে ‘ফ্যাসিস্ট’ আখ্যা, প্রতিবাদ জানালেন ফখরুল

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ০১ জুলাই ২০২৫, ২৩: ০৯
আজ মঙ্গলবার বিএনপির অনুষ্ঠানে তোপের মুখে পড়েন এহসান মাহমুদ। ছবি: সংগৃহীত
আজ মঙ্গলবার বিএনপির অনুষ্ঠানে তোপের মুখে পড়েন এহসান মাহমুদ। ছবি: সংগৃহীত

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের প্রথম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে বিএনপির অনুষ্ঠানে এহসান মাহমুদ নামের একজন উপস্থাপক তীব্র ক্ষোভের মুখে পড়েন। তীব্র সমালোচনা ও দুয়োধ্বনির মুখে তাঁকে উপস্থাপনা থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়। পরে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল এক সংবাদ বিবৃতিতে এই ঘটনাকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও মিথ্যাচার বলে প্রতিবাদ জানান।

অনুষ্ঠানের পরিকল্পনা অনুযায়ী এহসান মাহমুদকে উপস্থাপনা শুরু করলে ‘স্বৈরাচারের দোসর’ ও ‘ফ্যাসিস্ট’ আখ্যা দিয়ে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের মতো অনুষ্ঠানে উপস্থাপনায় আপত্তি জানানো হয়। পরে তাঁকে আর মঞ্চে উঠতে দেননি আয়োজকেরা।

আজ মঙ্গলবার রাজধানীর বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে এমন ঘটনা ঘটেছে। এর আগে বেলা ৩টায় বিএনপির অনুষ্ঠান শুরু হয়।

এতে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। এর আগে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন।

সভাপতিত্ব করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব ও আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক রুহুল কবির রিজভী। অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে শহীদ পরিবারের সদস্যরা।

অনুষ্ঠানের শুরুর দিকে রুহুল কবির রিজভী ঘোষণা করেন, তিনজন বাকি অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করবেন। যার মধ্যে একজন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, একজন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষিকা, আরেকজন সাংবাদিক এহসান মাহমুদ।

পরে অনুষ্ঠানের শুরুতে কোরআন তিলাওয়াত ও দোয়া করেন ওলামা দলের সদস্যসচিব আবুল হোসেন। এরপরই ডায়েসের সামনে এসে এহসান মাহমুদ এক মিনিট নীরবতার ঘোষণা দেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, এহসান মাহমুদ মঞ্চে উঠে কথা বলতেই সামনে থেকে সমস্বরে ‘ফ্যাসিস্ট’, ‘ফ্যাসিস্ট’ বলে আপত্তি জানানো হয়। এ সময় ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন।

আজ মঙ্গলবার বিএনপির অনুষ্ঠানে তোপের মুখে পড়েন এহসান মাহমুদ। ছবি: সংগৃহীত
আজ মঙ্গলবার বিএনপির অনুষ্ঠানে তোপের মুখে পড়েন এহসান মাহমুদ। ছবি: সংগৃহীত

পরে আপত্তির কথা শুনে মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দাঁড়িয়ে যান। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের কানেও চিৎকার পৌঁছায়। এরপর এহসান মাহমুদকে উপস্থাপনা থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। উপস্থাপনার দায়িত্বে থাকা অন্য দুজনের বিরুদ্ধেও স্বৈরাচারের সঙ্গে সম্পৃক্ততার অভিযোগ তুলেছেন কেউ কেউ।

মির্জা ফখরুলের প্রতিবাদ

এই অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার পর এক বিজ্ঞপ্তিতে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জানান, সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সাংবাদিক ও লেখক এহসান মাহমুদকে নিয়ে মিথ্যাচার করা হচ্ছে। একটি মহল উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে এই অপপ্রচার চালাচ্ছে। পতিত স্বৈরাচারের আমলে পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে ২০২৩ সালের জুলাইয়ে ফ্যাসিস্ট সরকারের চাপে চাকরিচ্যুত হয়েছিলেন এহসান মাহমুদ।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকারের বিভিন্ন নির্যাতনের মুখে পড়লে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করেছিলাম আমি ব্যক্তিগতভাবে। সেই সময়ে সুইডেনভিত্তিক সংবাদ সংস্থা নেত্র নিউজ এহসান মাহমুদকে চাকরি দিয়ে এবং নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দিলে তখন তাঁকে দেশান্তরী হতে হয়নি।

জুলাই-আগস্টের আন্দোলনের আগেও গণতান্ত্রিক লড়াইয়ে রাজপথে উপস্থিত থাকার পাশাপাশি সভা-সেমিনারের আয়োজনের উদ্যোক্তাও ছিলেন এহসান মাহমুদ। এহসান মাহমুদ জুলাই-আগস্টে স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে লেখালেখি ও রাজপথে সোচ্চার ছিলেন। তাঁর বিরুদ্ধে পরিকল্পিত এই প্রচারণার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনাপত্তির পরই অস্ত্রের লাইসেন্স পান উপদেষ্টা আসিফ

চীনের নতুন হাইপারসনিক এয়ারক্র্যাফট, গতি ঘণ্টায় প্রায় ১৫ হাজার কিলোমিটার

জুলাই নিয়ে ফেসবুকে পুলিশ সদস্যের আপত্তিকর পোস্ট, প্রতিবাদে সড়ক অবরোধ

উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের এনপিবি পিস্তল কী ধরনের আগ্নেয়াস্ত্র

১৬ জুলাই নিয়ে নাটক করা হয়েছে: শহীদ আবু সাঈদের ভাই

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত